Ajker Patrika

চট্টগ্রামে প্রার্থীর প্রচারে গুলি: পাসপোর্ট ব্লক থাকায় বিদেশে যেতে পারেননি সরোয়ার

  • বাকলিয়ায় দুই খুনের পর থেকে বিদেশে যাওয়ার চেষ্টা
  • রাজনৈতিক নেতাদের মাধ্যমে পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তদবির
সবুর শুভ, চট্টগ্রাম    
আপডেট : ০৯ নভেম্বর ২০২৫, ১৪: ৫৩
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত
বিএনপি প্রার্থীর গণসংযোগে এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত সরওয়ার হোসেন বাবলা। ছবি: সংগৃহীত

সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদ দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী হিসেবে চট্টগ্রামে পরিচিতি পান ২৬ বছর আগে। তখন সরোয়ার হোসেন বাবলা, নুরনবী ম্যাক্সন, আকবর আলী ওরফে ঢাকাইয়া আকবর ও ছোট সাজ্জাদকে নিয়ে সন্ত্রাসী দল গড়েন বড় সাজ্জাদ। একসময় উল্লিখিত ব্যক্তিদের হাতেই ছিল চট্টগ্রামের অপরাধজগতের নিয়ন্ত্রণ। এলাকায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে ম্যাক্সন, সরোয়ার ও আকবর আলী বড় সাজ্জাদের সঙ্গ ছেড়ে আলাদাভাবে পথচলা শুরু করেন ১০ বছর আগে। এ অবস্থায় ২০১৫ সাল থেকে বড় সাজ্জাদের কমান্ডে ছোট সাজ্জাদ দলের হাল ধরেন। পরে ভারতে ম্যাক্সনের রহস্যজনক মৃত্যু হয়। সরোয়ার ও আকবর বড় ও ছোট দুই সাজ্জাদের নিশানায় পড়ে হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন বলে এ-সংক্রান্ত মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে।

এদিকে গত ২৯ মার্চ নগরের বাকলিয়া অ্যাকসেস রোড এলাকায় প্রাইভেট কারে গুলি চালিয়ে সরোয়ারকে হত্যার চেষ্টা করা হয়। ওই সময় প্রাইভেট কারে থাকা তাঁর দুই সহযোগী বখতিয়ার হোসেন মানিক (৩০) ও মো. আবদুল্লাহ (৩৬) ঘটনাস্থলে মারা যান। সেই থেকে সরোয়ার হোসেন বাবলা বিদেশে চলে যাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। রাজনৈতিক নেতাদের দিয়ে তদবির করে তিনি পুলিশের সংশ্লিষ্ট শাখায় তিন মাস ধরে চেষ্টা করেছেন বলে জানান বাবলার ছোট ভাই মো. আজিজ। কিন্তু কোনো কাজ হয়নি। ২০২০ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি কাতার থেকে দেশে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে গ্রেপ্তার হন সরোয়ার। এরপর তৎকালীন আওয়ামী লীগ সরকার সরোয়ারের পাসপোর্ট ব্লক (বন্ধ) করে দেয় বলে জানান মো. আজিজ।

সরোয়ারের আরেক সহযোগী নগরের বিভিন্ন থানার হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজির ১০টি মামলার আসামি আলী আকবর ওরফে ঢাকাইয়া আকবরকে গত ২৩ মে রাত সাড়ে ৮টার দিকে পতেঙ্গা সমুদ্রসৈকত এলাকায় উপর্যুপরি গুলি চালিয়ে হত্যার চেষ্টা করা হয়। দুই দিন পর ঢাকাইয়া আকবর মারা যান। কারাগারে বন্দী সন্ত্রাসী ছোট সাজ্জাদ হোসেনের অনুসারীরা আকবর হত্যার পেছনে রয়েছেন বলে অভিযোগ ওঠে। সহযোগীর এই ধরনের টার্গেটেড হত্যাকাণ্ডে বিদেশে যাওয়ার জন্য আরও ব্যাকুলতা বাড়ে সরোয়ার হোসেন বাবলার। এর মধ্যে একের পর এক প্রাণনাশের হুমকি আসতে থাকে বড় সাজ্জাদ ও রায়হানদের কাছ থেকে। কেউ সাত দিন, কেউ তিন দিনের মৃত্যুর পরোয়ানা পাঠায় সরোয়ারকে। এরই মধ্যে গত ১৯ সেপ্টেম্বর বিয়ের পিঁড়িতে বসেন সরোয়ার। বিয়ের পর স্ত্রীসহ পরিবারের সবাই জোর করছিল সরোয়ারকে বিদেশে চলে যেতে। জীবন বাঁচাতে সরোয়ারও বিদেশে চলে যেতে চেয়েছিলেন। কিন্তু পাসপোর্টের ব্লক খুলতে পারছিলেন না। শেষতক মৃত্যুই সরোয়ারের জীবনের সমাধান দিল বলে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন তাঁর ছোট ভাই মো. আজিজ।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের উপকমিশনার (বিশেষ শাখা) মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস আজকের পত্রিকাকে বলেন, পাসপোর্ট ব্লক মূলত সরকারি সিদ্ধান্তের বিষয়। সরকার নির্দেশনা দিলে স্পেশাল ব্রাঞ্চ (পুলিশের বিশেষ শাখা) আবেদন করে ইমিগ্রেশন বিভাগের কাছে। এরপর পাসপোর্ট ব্লক হয়। সরোয়ার হোসেন বাবলার পাসপোর্ট ব্লকের বিষয়ে কোনো তথ্য আমাদের কাছে থাকার কথা নয়।’

বুধবার (৫ নভেম্বর) মাগরিবের নামাজের পরপরই চট্টগ্রামে বিএনপির মনোনীত প্রার্থীর সঙ্গে নির্বাচনী গণসংযোগে অংশ নিয়ে গুলিতে নিহত হন সরোয়ার হোসেন বাবলা। এ সময় চট্টগ্রাম-৮ (চান্দগাঁও-বোয়ালখালী) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী এরশাদ উল্লাহও গুলিবিদ্ধ হন। এরশাদ উল্লাহ বর্তমানে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম নগর পুলিশের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার বাবলা। ৫ আগস্টের পর জামিনে মুক্তি পান। তাঁর বিরুদ্ধে হত্যা, অস্ত্র, চাঁদাবাজিসহ ১৫টির বেশি মামলা রয়েছে।

এদিকে সরোয়ার হত্যায় করা মামলার এজাহারে এক নম্বরে যাঁর নাম এসেছে, সেই সাজ্জাদ আলী ওরফে বড় সাজ্জাদের। নগরের বায়েজিদ বোস্তামীর চালিতাতলী এলাকার ঠিকাদার আবদুল গণির ছেলে সাজ্জাদ আলী। ১৯৯৯ সালের ২ জুন পাঁচলাইশ ওয়ার্ডের তৎকালীন কাউন্সিলর লিয়াকত আলী খান বাড়ির সামনে খুন হন। লিয়াকত হত্যায় সাজ্জাদ জড়িত ছিলেন বলে ব্যাপক প্রচার আছে। এ নিয়ে দায়ের করা মামলার আসামি ছিলেন সাজ্জাদ আলী। লিয়াকত হত্যার পর অপরাধজগতে সাজ্জাদের নাম ছড়িয়ে পড়ে।

২০০০ সালের ১২ জুলাই মাইক্রোবাসে করে একটি দলীয় সমাবেশে যোগ দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগের ছয় নেতা-কর্মী। পথে বহদ্দারহাটে ওই মাইক্রোবাস থামিয়ে ব্রাশফায়ার করে সন্ত্রাসীরা। ঘটনাস্থলেই ছাত্রলীগের ওই ছয় নেতা-কর্মীসহ আটজন মারা যান। ‘এইট মার্ডার’ নামে পরিচিত ওই হত্যাকাণ্ডে সাজ্জাদ নেতৃত্ব দেন বলে অভিযোগ ওঠে। ২০০০ সালের ১ অক্টোবর একে-৪৭ রাইফেলসহ গ্রেপ্তার হয়েছিলেন বড় সাজ্জাদ। ২০০৪ সালে জামিনে বেরিয়ে তিনি বিদেশে পালিয়ে যান। বর্তমানে ভারতের পাঞ্জাবে রয়েছেন বলে জানা গেছে। বড় সাজ্জাদের স্ত্রী পাঞ্জাবি হওয়ার সূত্রে তিনি পাঞ্জাবে অবস্থানের সুযোগ পেয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদির হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ

সিদ্ধিরগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে সাইনবোর্ড এলাকায় তারা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।

অবরোধের কারণে মহাসড়কটি দিয়ে ওই এলাকায় যানবাহন চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এতে উভয় লেনে প্রায় তিন কিলোমিটার যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। অবরোধের মধ্যে অ্যাম্বুলেন্স চলাচল স্বাভাবিক ছিল।

সরেজমিন দেখা গেছে, প্রায় ৪০-৪৫ জন ছাত্র-জনতা একত্র হয়ে মহাসড়কের সাইনবোর্ডে জড়ো হয়ে হাদি হত্যার বিচারের দাবি জানিয়ে বিভিন্ন স্লোগান দেয়।

বিক্ষোভে অংশ নেওয়া জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) অঙ্গ সংগঠন জাতীয় যুবশক্তির কেন্দ্রীয় সংগঠক নীরব রায়হান বলেন, ‘ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ইনকিলাব মঞ্চের ডাকা বিভাগীয় কর্মসূচিতে একাত্মতা প্রকাশ করে আমরা নারায়ণগঞ্জবাসী মাঠে নেমেছি। হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা লড়ে যাব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার

গোয়াইনঘাট (সিলেট) প্রতিনিধি 
সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা
সিলেটে পরিত্যক্ত অবস্থায় অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার। ছবি: আজকের পত্রিকা

সিলেটের গোয়াইনঘাটে পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি অবিস্ফোরিত মর্টার শেল উদ্ধার করেছে পুলিশ। আজ রোববার উপজেলার জাফলং বাজারের ভাঙারি দোকানের সামনে থেকে মর্টার শেলটি উদ্ধার করা হয়।

প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, উদ্ধার করা মর্টার শেলটি মুক্তিযুদ্ধকালীন হতে পারে।

পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, জাফলং বাজারের একটি ভাঙারি দোকানের সামনে থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় মর্টার শেলের মতো একটি সন্দেহজনক বস্তু দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে তাঁরা দ্রুত গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবহিত করেন।

খবর পেয়ে গোয়াইনঘাট থানার পূর্ব জাফলং ইউনিয়নের বিট অফিসার (এসআই) আব্দুল হান্নানসহ পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে মর্টার শেলটি উদ্ধার করে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে গোয়াইনঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মনিরুজ্জামান বলেন, জাফলং বাজারের বাচ্চু মিয়ার ভাঙারির দোকানের সামনে স্থানীয় লোকজন পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি পুরোনো মর্টার শেল দেখতে পান।

তাৎক্ষণিক স্থানীয় লোকজন গোয়াইনঘাট থানা-পুলিশকে বিষয়টি অবগত করলে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে ভাঙারির দোকানে সামনে পরিত্যক্ত অবস্থায় থাকা মর্টার শেল এলাকাটি বেষ্টনী করে রাখে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। পরবর্তী কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ, বন্ধ যান চলাচল

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরিফ ওসমান বিন হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচার দাবিতে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর থেকে ঢাকার শাহবাগে অবরোধ শুরু করেছে সংগঠনটি।

শাহবাগ অবরোধ করায় যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। তবে শুধু অ্যাম্বুলেন্স চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতাকর্মীরা।

আজ রোববার বেলা ২টা থেকে সারা দেশের বিভাগীয় শহরগুলোতে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালনের ঘোষণা দিয়েছিল ইনকিলাব মঞ্চ। সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের গতকাল শনিবার রাতে শাহবাগের অবস্থান কর্মসূচি থেকে এ ঘোষণা দেন। এরপর তাঁরা শাহবাগ ছাড়েন।

শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরে ইনকিলাব মঞ্চের অফিশিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে জানানো হয়, ডিএমপি কমিশনারের সংবাদ সম্মেলন পর্যালোচনার পর রোববার দুপুর ২টা থেকে ঢাকাসহ ৮ বিভাগে অবরোধ কর্মসূচি চলবে।

এর আগে, গত শুক্রবার দুপুর থেকে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

এদিকে, আজ রোববার ডিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে অতিরিক্ত কমিশনার এস এন নজরুল ইসলাম জানান, শরিফ ওসমান হাদি হত্যা মামলার প্রধান আসামি ফয়সাল করিম মাসুদ ও তাঁর সহযোগী আলমগীর শেখ ভারতে পালিয়েছেন। তাঁদের পালাতে সহযোগিতা করেছেন ভারতের দুই নাগরিক। মেঘালয় পুলিশ ওই দুই ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে। আগামী ৭-১০ দিনের মধ্যে এই মামলার অভিযোগপত্র দেওয়া হবে বলে ডিএমপি জানায়।

শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা
শাহবাগে সর্বাত্মক অবরোধ শুরু করেছে ইনকিলাব মঞ্চ। ছবি: আজকের পত্রিকা

শরিফ ওসমান হাদি ঢাকা-৮ আসনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করতে তিনি প্রচার চালাচ্ছিলেন। ১২ ডিসেম্বর জুমার নামাজের কিছু পর রাজধানীর পুরানা পল্টনের কালভার্ট রোডে মোটরসাইকেল থেকে ব্যাটারিচালিত রিকশায় থাকা ওসমান হাদিকে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। তাঁকে মাথায় গুলি করার পর আততায়ীরা মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে হাদিকে উন্নত চিকিৎসার জন্য সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১৮ ডিসেম্বর মারা যান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিএনপি থেকে পদত্যাগ করলেন সাবেক এমপি শাহিন, স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ২৬
শাহ নুরুল কবীর শাহিন। ছবি: সংগৃহীত
শাহ নুরুল কবীর শাহিন। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) থেকে পদত্যাগ করেছেন ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি), উত্তর জেলা বিএনপি এবং ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা বিএনপির সদস্য শাহ নুরুল কবীর শাহিন। তবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে ভোটের মাঠে লড়াইয়ের ঘোষণাও দিয়েছেন তিনি।

রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে ঈশ্বরগঞ্জ প্রেসক্লাব মিলনায়তনে এক সংবাদ সম্মেলন করে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন তিনি নিজেই। এ সময় শাহ নুরুল কবীর শাহিন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বরাবর পাঠানো পদত্যাগপত্রের একটি কপি সাংবাদিকদের কাছে হস্তান্তর করেন। পদত্যাগপত্রে তিনি উল্লেখ করেন, ‘আমার ব্যক্তিগত অসুবিধা থাকায় আমি (শাহিন) দলের সকল পদ থেকে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তাই আমি দলের প্রাথমিক সদস্য পদসহ সকল পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।’

শাহ নুরুল কবীর শাহিন ঈশ্বরগঞ্জ পৌর শহরের কাকনহাটি গ্রামের বাসিন্দা। তিনি ওই গ্রামের প্রয়াত শাহ নুরুল হুদার ছেলে।

সংবাদ সম্মেলনে শাহ নুরুল কবীর শাহিন বলেন, ‘আমি ছাত্রজীবন থেকে শুরু করে ৪৩ বছর ধরে বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম। ২০০১ সালে ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসন থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়ে ঈশ্বরগঞ্জবাসীর সুখে-দুঃখে পাশে থেকেছি। আসন্ন ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনেও আমি ভোটের মাঠে থাকব।’

আপনি অন্য কোনো দল থেকে নির্বাচনে অংশ নেবেন কি না সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে শাহিন বলেন, ‘অনেক দলই আমাকে অফার করছে। কিন্তু আমি এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নিইনি। তবে আমি ভোটের মাঠে থাকব।’

উল্লেখ্য, ময়মনসিংহ-৮ (ঈশ্বরগঞ্জ) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক প্রকৌশলী লুৎফুল্লাহেল মাজেদ বাবু।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত