ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)

হাতিয়ায় বিয়েবাড়ি, নতুন অতিথি আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহার হিসেবে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। নোয়াখালীর এই দ্বীপ উপজেলার মহিষের দইয়ের বাণিজ্যিকভাবে রয়েছে অনেক সম্ভাবনা।
হাতিয়া উপজেলার চারপাশে ১০টি চরে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মহিষ। বাতানেরা (মহিষ পালনের জন্য যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়) এসব মহিষের দেখভাল করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন চর থেকে প্রায় ৩ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করেন গোয়ালারা। তা দিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করেন দই। চরের মহিষের দইয়ের কদর বেশি থাকায় বংশানুক্রমে অনেকে যুগ যুগ ধরে এই ব্যবসা করে আসছেন।
আফাজিয়া বাজারের সুজয় দধি ভান্ডারের মালিক মনিন্দ কুমার দেবনাথ (৮৫) জানান, ১৯৬৯ সাল থেকে এই ব্যবসা করে আসছেন। তখন এক মণ দুধ পাওয়া যেত ১০-১২ টাকায়। এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ব্যবসা ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনি এসে দেখভাল করেন।
মনিন্দ কুমার দেবনাথ আরও জানান, এখন দইয়ের ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে মাটির হাঁড়িতে দই বসানো হতো। এখন টিনের কৌটা ও প্লাস্টিকের বালতিতে বসানো হয়। তবে মান আগের মতো রয়ে গেছে। বাপ-চাচাদের হাতে শিক্ষা নিয়ে করা এই ব্যবসায় কখনো রাসায়নিক ব্যবহার করেননি। এর পরও স্বাদ ও সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে। আগে মানুষ মাটির ছোট হাঁড়ির একটি দুটি করে কিনে নিয়ে যেত। এখন মানুষ মণকে মণ কিনে নেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
মনিন্দ কুমার দেবনাথের ছেলে সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, এক কেজি দুধে ৭০০-৮০০ গ্রাম দই হয়। স্থানীয় বাজারে এক কেজি দইয়ের দাম ২০০ টাকা। একসময় গোয়ালারা হাটের দিন রাস্তার পাশে বসে মাটির হাঁড়িতে বসানো দই বিক্রি করতেন। এখন দিন বদলে গেছে। দোকান থেকে নিয়ে যান গ্রাহকেরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্ডারও নিয়ে থাকেন তাঁরা। একটি অনুষ্ঠানের জন্য ১০-২০ মণ, এমনকি কখনো কখনো আরও বেশি সরবরাহ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসে একজন কুয়েতপ্রবাসী তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু দই নিয়ে গেছেন। এই দই কুয়েতে মালিকসহ আপনজনদের উপহার হিসেবে খাওয়াবেন। শুধু কুয়েত নয়, তাঁদের তৈরি দই বিভিন্ন সময়ে ওমান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিয়ার মহিষের দইয়ের সুনাম রয়েছে অর্ধশত বছরের ও বেশি সময় ধরে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হচ্ছে। হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী জাহাজে পাঠানো হয় এই দই।
আফাজিয়া বাজারের রনি দধি ভান্ডারের মালিক মো. রনি জানান, হাতিয়ার বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই দইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। আগে তাঁদের তৈরি করা দই চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতেন। এখন অনেক পাইকার এসে হাতিয়া থেকে নিয়ে যান। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে বেড়াতে আসা লোকজন এই দইয়ের অনেক বড় ক্রেতা। এখন প্লাস্টিকের পাত্রে দই বসানোর কারণে পরিবহন অনেক সহজ।
চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ায় বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, হাতিয়ার মহিষের দই খেয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। এখন বাজারে এসে ১০ কেজির অর্ডার দিয়েছেন। যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে বাসায় নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, হাতিয়ার দইয়ে কোনো কেমিক্যাল নেই বলে মনে হয়েছে। খাওয়ার পর তৈলাক্ত আবরণ লেগে যায় হাতে। খেতেও অনেক সুস্বাদু।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মহিষের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মহিষের দুধ ও দই খেয়ে ভিটামিনের এই চাহিদা পূরণ করে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য চর রয়েছে। এসব চরে ১০ হাজারের মতো মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ থেকে পাওয়া দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় দই, যার চাহিদা স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাতিয়ায় সরকারিভাবে মহিষের বাণিজ্যিক পালন বৃদ্ধির জন্য একটি অঞ্চলকে গোচারণভূমি ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

হাতিয়ায় বিয়েবাড়ি, নতুন অতিথি আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহার হিসেবে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। নোয়াখালীর এই দ্বীপ উপজেলার মহিষের দইয়ের বাণিজ্যিকভাবে রয়েছে অনেক সম্ভাবনা।
হাতিয়া উপজেলার চারপাশে ১০টি চরে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মহিষ। বাতানেরা (মহিষ পালনের জন্য যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়) এসব মহিষের দেখভাল করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন চর থেকে প্রায় ৩ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করেন গোয়ালারা। তা দিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করেন দই। চরের মহিষের দইয়ের কদর বেশি থাকায় বংশানুক্রমে অনেকে যুগ যুগ ধরে এই ব্যবসা করে আসছেন।
আফাজিয়া বাজারের সুজয় দধি ভান্ডারের মালিক মনিন্দ কুমার দেবনাথ (৮৫) জানান, ১৯৬৯ সাল থেকে এই ব্যবসা করে আসছেন। তখন এক মণ দুধ পাওয়া যেত ১০-১২ টাকায়। এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ব্যবসা ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনি এসে দেখভাল করেন।
মনিন্দ কুমার দেবনাথ আরও জানান, এখন দইয়ের ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে মাটির হাঁড়িতে দই বসানো হতো। এখন টিনের কৌটা ও প্লাস্টিকের বালতিতে বসানো হয়। তবে মান আগের মতো রয়ে গেছে। বাপ-চাচাদের হাতে শিক্ষা নিয়ে করা এই ব্যবসায় কখনো রাসায়নিক ব্যবহার করেননি। এর পরও স্বাদ ও সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে। আগে মানুষ মাটির ছোট হাঁড়ির একটি দুটি করে কিনে নিয়ে যেত। এখন মানুষ মণকে মণ কিনে নেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
মনিন্দ কুমার দেবনাথের ছেলে সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, এক কেজি দুধে ৭০০-৮০০ গ্রাম দই হয়। স্থানীয় বাজারে এক কেজি দইয়ের দাম ২০০ টাকা। একসময় গোয়ালারা হাটের দিন রাস্তার পাশে বসে মাটির হাঁড়িতে বসানো দই বিক্রি করতেন। এখন দিন বদলে গেছে। দোকান থেকে নিয়ে যান গ্রাহকেরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্ডারও নিয়ে থাকেন তাঁরা। একটি অনুষ্ঠানের জন্য ১০-২০ মণ, এমনকি কখনো কখনো আরও বেশি সরবরাহ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসে একজন কুয়েতপ্রবাসী তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু দই নিয়ে গেছেন। এই দই কুয়েতে মালিকসহ আপনজনদের উপহার হিসেবে খাওয়াবেন। শুধু কুয়েত নয়, তাঁদের তৈরি দই বিভিন্ন সময়ে ওমান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিয়ার মহিষের দইয়ের সুনাম রয়েছে অর্ধশত বছরের ও বেশি সময় ধরে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হচ্ছে। হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী জাহাজে পাঠানো হয় এই দই।
আফাজিয়া বাজারের রনি দধি ভান্ডারের মালিক মো. রনি জানান, হাতিয়ার বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই দইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। আগে তাঁদের তৈরি করা দই চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতেন। এখন অনেক পাইকার এসে হাতিয়া থেকে নিয়ে যান। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে বেড়াতে আসা লোকজন এই দইয়ের অনেক বড় ক্রেতা। এখন প্লাস্টিকের পাত্রে দই বসানোর কারণে পরিবহন অনেক সহজ।
চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ায় বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, হাতিয়ার মহিষের দই খেয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। এখন বাজারে এসে ১০ কেজির অর্ডার দিয়েছেন। যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে বাসায় নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, হাতিয়ার দইয়ে কোনো কেমিক্যাল নেই বলে মনে হয়েছে। খাওয়ার পর তৈলাক্ত আবরণ লেগে যায় হাতে। খেতেও অনেক সুস্বাদু।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মহিষের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মহিষের দুধ ও দই খেয়ে ভিটামিনের এই চাহিদা পূরণ করে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য চর রয়েছে। এসব চরে ১০ হাজারের মতো মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ থেকে পাওয়া দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় দই, যার চাহিদা স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাতিয়ায় সরকারিভাবে মহিষের বাণিজ্যিক পালন বৃদ্ধির জন্য একটি অঞ্চলকে গোচারণভূমি ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।
ইসমাইল হোসেন কিরন, হাতিয়া (নোয়াখালী)

হাতিয়ায় বিয়েবাড়ি, নতুন অতিথি আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহার হিসেবে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। নোয়াখালীর এই দ্বীপ উপজেলার মহিষের দইয়ের বাণিজ্যিকভাবে রয়েছে অনেক সম্ভাবনা।
হাতিয়া উপজেলার চারপাশে ১০টি চরে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মহিষ। বাতানেরা (মহিষ পালনের জন্য যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়) এসব মহিষের দেখভাল করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন চর থেকে প্রায় ৩ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করেন গোয়ালারা। তা দিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করেন দই। চরের মহিষের দইয়ের কদর বেশি থাকায় বংশানুক্রমে অনেকে যুগ যুগ ধরে এই ব্যবসা করে আসছেন।
আফাজিয়া বাজারের সুজয় দধি ভান্ডারের মালিক মনিন্দ কুমার দেবনাথ (৮৫) জানান, ১৯৬৯ সাল থেকে এই ব্যবসা করে আসছেন। তখন এক মণ দুধ পাওয়া যেত ১০-১২ টাকায়। এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ব্যবসা ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনি এসে দেখভাল করেন।
মনিন্দ কুমার দেবনাথ আরও জানান, এখন দইয়ের ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে মাটির হাঁড়িতে দই বসানো হতো। এখন টিনের কৌটা ও প্লাস্টিকের বালতিতে বসানো হয়। তবে মান আগের মতো রয়ে গেছে। বাপ-চাচাদের হাতে শিক্ষা নিয়ে করা এই ব্যবসায় কখনো রাসায়নিক ব্যবহার করেননি। এর পরও স্বাদ ও সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে। আগে মানুষ মাটির ছোট হাঁড়ির একটি দুটি করে কিনে নিয়ে যেত। এখন মানুষ মণকে মণ কিনে নেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
মনিন্দ কুমার দেবনাথের ছেলে সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, এক কেজি দুধে ৭০০-৮০০ গ্রাম দই হয়। স্থানীয় বাজারে এক কেজি দইয়ের দাম ২০০ টাকা। একসময় গোয়ালারা হাটের দিন রাস্তার পাশে বসে মাটির হাঁড়িতে বসানো দই বিক্রি করতেন। এখন দিন বদলে গেছে। দোকান থেকে নিয়ে যান গ্রাহকেরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্ডারও নিয়ে থাকেন তাঁরা। একটি অনুষ্ঠানের জন্য ১০-২০ মণ, এমনকি কখনো কখনো আরও বেশি সরবরাহ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসে একজন কুয়েতপ্রবাসী তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু দই নিয়ে গেছেন। এই দই কুয়েতে মালিকসহ আপনজনদের উপহার হিসেবে খাওয়াবেন। শুধু কুয়েত নয়, তাঁদের তৈরি দই বিভিন্ন সময়ে ওমান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিয়ার মহিষের দইয়ের সুনাম রয়েছে অর্ধশত বছরের ও বেশি সময় ধরে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হচ্ছে। হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী জাহাজে পাঠানো হয় এই দই।
আফাজিয়া বাজারের রনি দধি ভান্ডারের মালিক মো. রনি জানান, হাতিয়ার বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই দইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। আগে তাঁদের তৈরি করা দই চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতেন। এখন অনেক পাইকার এসে হাতিয়া থেকে নিয়ে যান। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে বেড়াতে আসা লোকজন এই দইয়ের অনেক বড় ক্রেতা। এখন প্লাস্টিকের পাত্রে দই বসানোর কারণে পরিবহন অনেক সহজ।
চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ায় বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, হাতিয়ার মহিষের দই খেয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। এখন বাজারে এসে ১০ কেজির অর্ডার দিয়েছেন। যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে বাসায় নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, হাতিয়ার দইয়ে কোনো কেমিক্যাল নেই বলে মনে হয়েছে। খাওয়ার পর তৈলাক্ত আবরণ লেগে যায় হাতে। খেতেও অনেক সুস্বাদু।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মহিষের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মহিষের দুধ ও দই খেয়ে ভিটামিনের এই চাহিদা পূরণ করে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য চর রয়েছে। এসব চরে ১০ হাজারের মতো মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ থেকে পাওয়া দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় দই, যার চাহিদা স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাতিয়ায় সরকারিভাবে মহিষের বাণিজ্যিক পালন বৃদ্ধির জন্য একটি অঞ্চলকে গোচারণভূমি ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

হাতিয়ায় বিয়েবাড়ি, নতুন অতিথি আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহার হিসেবে যাচ্ছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে। নোয়াখালীর এই দ্বীপ উপজেলার মহিষের দইয়ের বাণিজ্যিকভাবে রয়েছে অনেক সম্ভাবনা।
হাতিয়া উপজেলার চারপাশে ১০টি চরে রয়েছে প্রায় ১০ হাজার মহিষ। বাতানেরা (মহিষ পালনের জন্য যাদের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়) এসব মহিষের দেখভাল করেন। প্রতিদিন বিভিন্ন চর থেকে প্রায় ৩ হাজার লিটার দুধ সংগ্রহ করেন গোয়ালারা। তা দিয়ে নিজস্ব পদ্ধতিতে তৈরি করেন দই। চরের মহিষের দইয়ের কদর বেশি থাকায় বংশানুক্রমে অনেকে যুগ যুগ ধরে এই ব্যবসা করে আসছেন।
আফাজিয়া বাজারের সুজয় দধি ভান্ডারের মালিক মনিন্দ কুমার দেবনাথ (৮৫) জানান, ১৯৬৯ সাল থেকে এই ব্যবসা করে আসছেন। তখন এক মণ দুধ পাওয়া যেত ১০-১২ টাকায়। এখন বয়সের ভারে নুয়ে পড়েছেন। ব্যবসা ছেলের হাতে তুলে দিয়েছেন। মাঝেমধ্যে তিনি এসে দেখভাল করেন।
মনিন্দ কুমার দেবনাথ আরও জানান, এখন দইয়ের ব্যবসায় অনেক পরিবর্তন এসেছে। আগে মাটির হাঁড়িতে দই বসানো হতো। এখন টিনের কৌটা ও প্লাস্টিকের বালতিতে বসানো হয়। তবে মান আগের মতো রয়ে গেছে। বাপ-চাচাদের হাতে শিক্ষা নিয়ে করা এই ব্যবসায় কখনো রাসায়নিক ব্যবহার করেননি। এর পরও স্বাদ ও সুনাম অক্ষুণ্ন রয়েছে। আগে মানুষ মাটির ছোট হাঁড়ির একটি দুটি করে কিনে নিয়ে যেত। এখন মানুষ মণকে মণ কিনে নেয় বিভিন্ন অনুষ্ঠানে।
মনিন্দ কুমার দেবনাথের ছেলে সঞ্জয় কুমার দেবনাথ জানান, এক কেজি দুধে ৭০০-৮০০ গ্রাম দই হয়। স্থানীয় বাজারে এক কেজি দইয়ের দাম ২০০ টাকা। একসময় গোয়ালারা হাটের দিন রাস্তার পাশে বসে মাটির হাঁড়িতে বসানো দই বিক্রি করতেন। এখন দিন বদলে গেছে। দোকান থেকে নিয়ে যান গ্রাহকেরা। বিভিন্ন অনুষ্ঠানের জন্য অগ্রিম অর্ডারও নিয়ে থাকেন তাঁরা। একটি অনুষ্ঠানের জন্য ১০-২০ মণ, এমনকি কখনো কখনো আরও বেশি সরবরাহ করতে হয়।
তিনি আরও জানান, গত মাসে একজন কুয়েতপ্রবাসী তাঁর কাছ থেকে বেশ কিছু দই নিয়ে গেছেন। এই দই কুয়েতে মালিকসহ আপনজনদের উপহার হিসেবে খাওয়াবেন। শুধু কুয়েত নয়, তাঁদের তৈরি দই বিভিন্ন সময়ে ওমান, দুবাই ও সৌদি আরবসহ যাচ্ছে বিভিন্ন দেশে।
স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, হাতিয়ার মহিষের দইয়ের সুনাম রয়েছে অর্ধশত বছরের ও বেশি সময় ধরে। ঢাকা-চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে বাণিজ্যিকভাবে পাঠানো হচ্ছে। হাতিয়ার নলচিরা ঘাট থেকে চট্টগ্রামের উদ্দেশে ছেড়ে যাওয়া যাত্রীবাহী জাহাজে পাঠানো হয় এই দই।
আফাজিয়া বাজারের রনি দধি ভান্ডারের মালিক মো. রনি জানান, হাতিয়ার বাইরে চট্টগ্রাম, ঢাকাসহ বিভিন্ন অঞ্চলে এই দইয়ের চাহিদা অনেক বেশি। আগে তাঁদের তৈরি করা দই চট্টগ্রামে নিয়ে বিক্রি করতেন। এখন অনেক পাইকার এসে হাতিয়া থেকে নিয়ে যান। এ ছাড়া শীতের মৌসুমে বেড়াতে আসা লোকজন এই দইয়ের অনেক বড় ক্রেতা। এখন প্লাস্টিকের পাত্রে দই বসানোর কারণে পরিবহন অনেক সহজ।
চট্টগ্রাম থেকে হাতিয়ায় বেড়াতে আসা ব্যবসায়ী আব্দুল হামিদ বলেন, হাতিয়ার মহিষের দই খেয়েছেন আত্মীয়ের বাড়িতে। খুবই তৃপ্তি পেয়েছেন। এখন বাজারে এসে ১০ কেজির অর্ডার দিয়েছেন। যাওয়ার সময় চট্টগ্রামে বাসায় নিয়ে যাবেন।
তিনি আরও জানান, হাতিয়ার দইয়ে কোনো কেমিক্যাল নেই বলে মনে হয়েছে। খাওয়ার পর তৈলাক্ত আবরণ লেগে যায় হাতে। খেতেও অনেক সুস্বাদু।
হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসক খালেদ সাইফুল্লাহ বলেন, মহিষের দুধে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ক্যালসিয়াম। গরুর দুধের তুলনায় মহিষের দুধে প্রোটিন বেশি থাকে। প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর একটি বড় অংশ মহিষের দুধ ও দই খেয়ে ভিটামিনের এই চাহিদা পূরণ করে।
হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুরাইয়া আক্তার লাকী বলেন, হাতিয়ার চারপাশে অসংখ্য চর রয়েছে। এসব চরে ১০ হাজারের মতো মহিষ রয়েছে। এসব মহিষ থেকে পাওয়া দুধ দিয়ে তৈরি করা হয় দই, যার চাহিদা স্থানীয় পর্যায় থেকে শুরু করে রয়েছে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে। হাতিয়ায় সরকারিভাবে মহিষের বাণিজ্যিক পালন বৃদ্ধির জন্য একটি অঞ্চলকে গোচারণভূমি ঘোষণা দেওয়ার চেষ্টা চলছে।

এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪১ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেসহিবুর রহমান, হবিগঞ্জ

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হবিগঞ্জের শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলায় কৃষিজমির উপরিভাগের মাটি (টপসয়েল) কেটে অবাধে বিক্রির অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়দের ভাষ্য, প্রতিবছর শীত মৌসুম এলেই একটি সংঘবদ্ধ মাটিখেকো চক্র সক্রিয় হয়ে ওঠে। গত কয়েক বছর ধরে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় এ অবৈধ কার্যক্রম চললেও শীত শুরু হলেই ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নে তৎপরতা সবচেয়ে বেশি বেড়ে যায়।
স্থানীয়দের অভিযোগ, প্রশাসনের কার্যকর তদারকির অভাবে চলতি মৌসুমে মাটিখেকোদের দৌরাত্ম্য কয়েক গুণ বেড়েছে। দিন-রাত শ্রমিক ও ভেকু (এক্সকাভেটর) ব্যবহার করে কৃষিজমির উপরিভাগের উর্বর মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে বিভিন্ন স্থানে সরিয়ে নেওয়া হচ্ছে। এতে কৃষিজমির উৎপাদনক্ষমতা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পাশাপাশি পরিবেশের ভারসাম্যও হুমকির মুখে পড়ছে। অতিরিক্ত ভারী যান চলাচলে গ্রামীণ সড়কগুলোরও ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে।
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। তারা কৃষিজমি থেকে টপসয়েল কেটে বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তির কাছে বিক্রি করে আসছেন বলে অভিযোগ রয়েছে।
স্থানীয় একাধিক বাসিন্দা জানান, ব্রাহ্মণডোরা ইউনিয়নের শেরপুর, কেশবপুর ও ঋষিপাড়া এলাকা থেকে নিয়মিত মাটি কেটে ট্রাক্টরের মাধ্যমে পরিবহন করা হচ্ছে। মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের কাছ থেকে প্রতি ট্রাক্টর টপসয়েল ২০০ থেকে ৩০০ টাকায় কিনে পরে তা ১ হাজার থেকে ১ হাজার ২০০ টাকায় বিক্রি করছেন।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক জনপ্রতিনিধি বলেন, ‘এই মাটিখেকো চক্রের সঙ্গে প্রভাবশালী মহল জড়িত থাকায় প্রকাশ্যে কিছু বলা কঠিন। সরকার পরিবর্তন হলেও প্রভাবশালীরা থেকে যায়।’
অভিযোগের বিষয়ে কামাল মিয়া বলেন, ‘আমরা যে জমি থেকে মাটি কাটি, তা মালিকের কাছ থেকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া। যদি আইনি কোনো বাধা থাকে, তাহলে আর এসব কাজ করব না।’
আরেক অভিযুক্ত মন্নর মিয়া বলেন, ‘এই মৌসুমে মাত্র দুই দিন মাটি কেটেছি। এখন আর কাটছি না। যে গাড়ি এনেছিলাম, সেটিও ফেরত পাঠিয়েছি। এ বছর আর মাটি কাটব না।’
এ বিষয়ে শায়েস্তাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. নাহিদ হোসেন বলেন, ‘কৃষিজমি থেকে অবৈধভাবে মাটি কাটার বিষয়টি শুনেছি। যারা এ কাজে জড়িত, তাদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

হাতিয়ায় বিয়ে বাড়ি, নতুন অতিথির আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহ
০৯ নভেম্বর ২০২৩
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪১ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেবাগেরহাট প্রতিনিধি

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমেও এ নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা হচ্ছে। আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতাদের সঙ্গে থাকা ঘনিষ্ঠ ছবি শেয়ার করে দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাগেরহাট-১ (ফকিরহাট-মোল্লাহাট-চিতলমারী) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোটের সাধারণ সম্পাদক কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল। তিনি একই সঙ্গে বিশ্ব হিন্দু পরিষদ (ভিএইচপি) বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের মহাসচিব এবং বাংলাদেশ অশ্বিনী সেবা আশ্রমের সভাপতি। ছিলেন চিতলমারী উপজেলার কলাতলা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সহসভাপতি।
অপর দিকে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসনে মনোনয়ন পেয়েছেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সভাপতি সোমনাথ দে। বিশ্ব হিন্দু পরিষদের বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সাবেক সভাপতি ছিলেন তিনি। এ ছাড়া তিনি মোরেলগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য ছিলেন। গত বছরের আগস্টের শেষ দিকে তিনি আওয়ামী লীগ থেকে স্বেচ্ছায় অব্যাহতি নেন। এর আগে সোমনাথ দে জাতীয় পার্টি করতেন। পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদের সংখ্যালঘুবিষয়ক উপদেষ্টা ও মোরেলগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক ছিলেন তিনি। ২০১৮ সালের ১১তম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে বাগেরহাট-৪ (শরণখোলা-মোরেলগঞ্জ) আসন থেকে নির্বাচন করেছিলেন।
২০১৯ সালের শেষের দিকে তিনি আওয়ামী লীগে যোগ দেন। ২০২২ সালে গঠিত উপজেলা আওয়ামী লীগের সর্বশেষ পূর্ণাঙ্গ কার্যনির্বাহী কমিটিতে তিনি ৩নং সদস্য হিসেবে স্থান পেয়েছিলেন। ‘দেশবিরোধী চক্রান্তের অভিযোগে’ কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল চলতি বছরের মার্চে পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হন এবং অপর একটি মামলায় কারাভোগ করেছেন সোমনাথ দে। জেল থেকে বেরিয়ে সনাতন ধর্মের অনুসারীদের নিয়ে ২০ আগস্ট বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের হাতে ফুল দিয়ে বিএনপিতে যোগ দেন কপিল ও সোমনাথ।
এই নেতাকে মনোনয়ন দেওয়ায় শরণখোলার বাসিন্দা রাসেল আহম্মেদ ফেসবুকে সোমনাথ দের ছবি শেয়ার দিয়ে লিখেছেন, ‘জয় বাংলা, ধানের শীষে ভোট দিন।’ পোস্টের নিচে একজন লিখেছেন, ‘সাথে জাতীয় পার্টির স্লোগান যুক্ত করে দিন।’
গত শনিবার বিকেলে গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয় থেকে প্রার্থী ঘোষণার পরে আসন দুটি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তীব্র সমালোচনা শুরু হয়। এ বিষয়ে জেলা বিএনপির আহ্বায়ক এ টি এম আকরাম হোসেন তালিম বলেন, ‘কেন্দ্রের সিদ্ধান্তের বাইরে আমাদের আসলে করার কিছু নেই। তবে স্থানীয় নেতা-কর্মীদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। দীর্ঘদিন দল করে, জুলুম-নির্যাতন সহ্য করার পরে অন্য দলের কেউ এসে মনোনয়ন পাওয়ায় তাঁরা ক্ষোভে ফুঁসছেন। আমরা নিয়মতান্ত্রিকভাবে এসব বিষয় কেন্দ্রকে জানিয়েছি।’
জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি এম এ সালাম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের পদধারী নেতাদের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা এটি কীভাবে মেনে নেবে বলেন। তাঁরা দুজনই সুবিধাবাদী এবং শেখ হেলালের নিকটতম অনুসারী ছিলেন।’
তবে বাগেরহাট-১ আসনের মনোনয়নপ্রাপ্ত কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল বলেন, ‘কখনো অন্য কোনো দলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এটিই আমার প্রথম রাজনীতিতে যুক্ত হওয়া।’ আর বাগেরহাট-৪ আসনের প্রার্থী সোমনাথ দে বলেন, ‘আমি মনোনয়ন পাওয়ায় যাঁরা চাঁদাবাজ, জুলুমকারী, নির্যাতন করে, তাঁদের গাত্রদাহ হচ্ছে। কিন্তু যাঁরা সাধারণ মানুষ তাঁরা আমাকে সাদরে বরণ করেছেন। আমি জাতীয় পার্টি করেছি, আওয়ামী লীগ করেছি, ৫ আগস্টের পর জেল খেটেছি। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মহোদয়, দলের হাইকমান্ড আমাকে মনোনীত করেছেন।’

হাতিয়ায় বিয়ে বাড়ি, নতুন অতিথির আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহ
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৬ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেখুলনা প্রতিনিধি

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

খুলনা সরকারি মহিলা কলেজের একাদশ শ্রেণির বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি পিইসি পরীক্ষায় বৃত্তিসহ এ+ এবং জেএসসি ও এসএসসি পরীক্ষায় এ+ পেয়েছেন। অত্যন্ত মেধাবী এই ছাত্রী গত চার বছর ধরে দুরারোগ্য ব্যাধিতে ভুগছে।
চিকিৎসকের পরামর্শে এর আগে পরপর দুবার পার্শ্ববর্তী দেশ ভারতের চেন্নাইয়ের অ্যাপোলো হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন তিনি। তবে এখনো শারীরিক অবস্থার আশানুরূপ উন্নতি না হওয়ায় পুনরায় বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া জরুরি হয়ে পড়েছে।
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
এ অবস্থায় ‘স্যাক্রোলাইটিস’ রোগে আক্রান্ত মেধাবী ছাত্রী আরিফা জান্নাত আসফি নিজের জীবন রক্ষার্থে সমাজের বিত্তবান ও সহৃদয়বান ব্যক্তিদের কাছে আর্থিক সহায়তার আবেদন জানিয়েছেন। সামান্য সহযোগিতাই হয়তো তার চিকিৎসা অব্যাহত রাখতে এবং একটি সম্ভাবনাময় জীবন রক্ষা করতে পারে।

হাতিয়ায় বিয়ে বাড়ি, নতুন অতিথির আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহ
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪১ মিনিট আগে
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
১ ঘণ্টা আগেনকলা (শেরপুর) প্রতিনিধি

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

শেরপুরের নকলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়েছে জেলা প্রশাসন। রোববার (২১ ডিসেম্বর) জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের নেতৃত্বে পরিবেশ অধিদপ্তরের সহযোগিতায় দিনব্যাপী এ অভিযান পরিচালিত হয়।
অভিযানকালে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় গড়ে ওঠা সাতটি অবৈধ ইটভাটায় ভ্রাম্যমাণ আদালত বসানো হয়। ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন, ২০১৩-এর বিভিন্ন ধারায় ভাটামালিকদের মোট ২২ লাখ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ সময় অবৈধভাবে প্রস্তুত করা কাঁচা ইট বিনষ্ট করা হয় এবং সংশ্লিষ্ট ইটভাটাগুলোর বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়। পাশাপাশি অবৈধ ইটভাটার সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ রাখতে মালিকপক্ষকে কঠোর নির্দেশনা দেওয়া হয়।
জেলা প্রশাসন সূত্র জানায়, পরিবেশের ক্ষতি রোধ ও সরকারি আইন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান নিয়মিতভাবে চলমান থাকবে।

হাতিয়ায় বিয়ে বাড়ি, নতুন অতিথির আগমন, ঈদ, পূজাসহ বড় সব অনুষ্ঠানে মহিষের দইয়ের কদর অনেক বেশি। গ্রামাঞ্চলে দই ছাড়া কোনো অনুষ্ঠান চিন্তাই করা যায় না। এই ঐতিহ্য চলে আসছে যুগ যুগ ধরে। দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা অতিথি ও ভ্রমণপিপাসুদের কাছেও রয়েছে এর অনেক সুনাম। চরের মহিষের দুধ দিয়ে তৈরি করা এই দই এখন উপহ
০৯ নভেম্বর ২০২৩
এলাকাবাসীর অভিযোগ, টপসয়েল কাটা ও পরিবহনের সঙ্গে একটি মধ্যস্বত্বভোগী চক্র জড়িত। অভিযোগ অনুযায়ী, ব্রাহ্মণডোরা এলাকার মুর্শেদ মিয়ার ছেলে কামাল মিয়া, শেরপুর এলাকার সামসু মিয়ার ছেলে সুমন মিয়া এবং অলিপুর এলাকার মন্নর মিয়া এ চক্রের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
২৬ মিনিট আগে
বাগেরহাটের চারটি আসনে প্রার্থী চূড়ান্ত করেছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)। তবে চারটির দুটিতেই দলটির মনোনয়ন পেয়েছেন কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের দুই নেতা। বিএনপিতে যোগ দিয়ে এক বছরের মধ্যে দুটি আসনের মনোনয়ন পাওয়ায় বিএনপি বেশির ভাগ নেতা-কর্মীর মধ্যে ক্ষোভ বিরাজ করছেন।
৪১ মিনিট আগে
আসফির পরিবার জানায়, আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে তার চিকিৎসার ব্যয় বহন করতে তারা চরম সংকটে পড়েছে। ভারতে গিয়ে পুনরায় চিকিৎসা নিতে কমপক্ষে ১০ লাখ টাকার প্রয়োজন হলেও দরিদ্র পরিবারের পক্ষে এ অর্থ জোগাড় করা সম্ভব নয়।
১ ঘণ্টা আগে