সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম
চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা। সাইফুল হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করায় এবং আদালতে এসে হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা আদালতে আসছেন না। এতে আটকে গেছে বেশ কিছু মামলার শুনানিও।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন চট্টগ্রাম আদালতে নামঞ্জুর হয় গত ২৬ নভেম্বর। এর জেরে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।
এর একপর্যায়ে সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চিন্ময়ের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন চট্টগ্রামের রিগ্যান আচার্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন আইনজীবী। সম্প্রতি এই আইনজীবীদের সাতটি চেম্বার ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এরপর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা চট্টগ্রামের আদালতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সাধারণ আইনজীবীরা বলেছেন, উদ্ভূত এই পরিস্থিতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ থাকলেও তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী না পাওয়ায় শুনানি এক মাস পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আদালত আগামী ২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
গতকাল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়ে আগে থেকে সংশয় ছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চিন্ময়ের আইনজীবীরা নিজেরাই মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে আছেন। অন্য আইনজীবীরাও ভয়ে চিন্ময়ের জামিনে বিষয়ে কথা বলছেন না।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিতে যেসব আইনজীবী ছিলেন, তাঁরা এখন ওনার জামিনের বিষয়ে আগ্রহী নন। এ কারণে তাঁরা আজ শুনানিতে অংশ নেননি।’
এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে মারধর কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।’
৭০ হিন্দু আইনজীবী আসামি
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা এবং আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় ৫টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটিতে বাদী হচ্ছে পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর এসব মামলা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর রাত ১২টার পর হত্যা মামলা করেন নিহত সাইফুলের বাবা। একই সময় আদালতে ভাঙচুর, আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন নিহত আইনজীবীর ভাই খানে আলম। মামলায় চিন্ময়ের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীদের আসামি করলেও কোনো মামলায় চিন্ময়কে আসামি করা হয়নি। এ ঘটনায় গতকাল ৩১৫ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, খানে আলম বাদী হয়ে করা মামলায় ৭০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি মামলায় ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা আত্মগোপনে আছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আদালতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের জন্য আদালতে পরিস্থিতি এখনো অনুকূলে নেই। আইনজীবীদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন অনেকে। আমাদের কাউকে দেখলে মারধর করা হচ্ছে।’
চট্টগ্রামের আদালত এলাকায় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যার ঘটনার পর থেকে আতঙ্কে রয়েছেন হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা। সাইফুল হত্যার ঘটনায় করা মামলায় আসামি করায় এবং আদালতে এসে হামলার শিকার হওয়ার ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা আদালতে আসছেন না। এতে আটকে গেছে বেশ কিছু মামলার শুনানিও।
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন চট্টগ্রাম আদালতে নামঞ্জুর হয় গত ২৬ নভেম্বর। এর জেরে পুলিশ, বিজিবির সঙ্গে চিন্ময়ের অনুসারীদের সংঘর্ষ হয়।
এর একপর্যায়ে সাইফুলকে কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
চিন্ময়ের আইনজীবী হিসেবে নিযুক্ত ছিলেন চট্টগ্রামের রিগ্যান আচার্যসহ হিন্দু সম্প্রদায়ের কয়েকজন আইনজীবী। সম্প্রতি এই আইনজীবীদের সাতটি চেম্বার ভাঙচুর করা হয়েছে। কয়েকজনকে মারধরও করা হয়। এরপর থেকে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা চট্টগ্রামের আদালতে আসা বন্ধ করে দিয়েছেন।
সাধারণ আইনজীবীরা বলেছেন, উদ্ভূত এই পরিস্থিতির কারণে গতকাল মঙ্গলবার চট্টগ্রাম আদালতে চিন্ময়ের জামিন শুনানির তারিখ থাকলেও তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী না পাওয়ায় শুনানি এক মাস পিছিয়েছে। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনে আদালত আগামী ২ জানুয়ারি পরবর্তী শুনানির তারিখ নির্ধারণ করেছেন।
গতকাল চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিতে তাঁর পক্ষে কোনো আইনজীবী দাঁড়াবেন কি না, তা নিয়ে আগে থেকে সংশয় ছিল। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, চিন্ময়ের আইনজীবীরা নিজেরাই মামলার আসামি হয়ে আত্মগোপনে আছেন। অন্য আইনজীবীরাও ভয়ে চিন্ময়ের জামিনে বিষয়ে কথা বলছেন না।
এ সময় চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি মো. নাজিম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘আমাদের মনে হয়েছে, চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিন শুনানিতে যেসব আইনজীবী ছিলেন, তাঁরা এখন ওনার জামিনের বিষয়ে আগ্রহী নন। এ কারণে তাঁরা আজ শুনানিতে অংশ নেননি।’
এ ছাড়া হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের ওপর হামলার ঘটনা অস্বীকার করেছেন নাজিম উদ্দিন চৌধুরী। তিনি বলেন, ‘আমাদের পক্ষ থেকে কাউকে মারধর কিংবা ভয়ভীতি দেখানো হয়নি।’
৭০ হিন্দু আইনজীবী আসামি
পুলিশ জানায়, চট্টগ্রাম আদালতে সংঘর্ষ, ভাঙচুর, পুলিশের ওপর হামলা এবং আইনজীবী সাইফুল হত্যার ঘটনায় নগরের কোতোয়ালি থানায় ৫টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে তিনটিতে বাদী হচ্ছে পুলিশ। গত ২৭ নভেম্বর এসব মামলা হয়। এরপর ২৯ নভেম্বর রাত ১২টার পর হত্যা মামলা করেন নিহত সাইফুলের বাবা। একই সময় আদালতে ভাঙচুর, আইনজীবীদের ওপর হামলা, বিস্ফোরণের অভিযোগে আরও একটি মামলা করেন নিহত আইনজীবীর ভাই খানে আলম। মামলায় চিন্ময়ের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেওয়া আইনজীবীদের আসামি করলেও কোনো মামলায় চিন্ময়কে আসামি করা হয়নি। এ ঘটনায় গতকাল ৩১৫ জনকে আসামি করে আরও একটি মামলা দেওয়ার প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছিল। তবে আদালত মামলাটি গ্রহণ করেননি।
মামলার নথি থেকে জানা যায়, খানে আলম বাদী হয়ে করা মামলায় ৭০ জন হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীকে আসামি করা হয়েছে। তিনি মামলায় ১১৬ জনের নাম উল্লেখ করেন এবং অজ্ঞাতনামা ৫০০-৬০০ জনকে আসামি করেন। ওই মামলায় গ্রেপ্তারের ভয়ে হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীরা আত্মগোপনে আছেন।
হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের কয়েকজন নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আদালতে প্রতিদিনই বিক্ষোভ হচ্ছে। হিন্দু সম্প্রদায়ের আইনজীবীদের জন্য আদালতে পরিস্থিতি এখনো অনুকূলে নেই। আইনজীবীদের মামলায় আসামি করা হয়েছে। গ্রেপ্তারের ভয়ে আছেন অনেকে। আমাদের কাউকে দেখলে মারধর করা হচ্ছে।’
হবিগঞ্জে আঞ্চলিক সড়কে ইজিবাইক ছিনতাইচেষ্টার সময় তিনজনকে আটক করে পুলিশে দিয়েছেন স্থানীয়রা। আটকদের কাছ থেকে ছুরি, দড়ি ও দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়েছে। আজ শনিবার ভোরে জেলার সদর উপজেলার নিতাইরচক এলাকায় হবিগঞ্জ-নছরতপুর সড়কে এ ঘটনা ঘটে।
৩ মিনিট আগেকুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে বিদ্যুতের খুঁটিতে বেঁধে ইমরান হোসেন নামের এক যুবককে নির্যাতনের অভিযোগ উঠেছে। গতকাল শুক্রবার রাতে উপজেলার কনকাপৈত ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় যুবকের কাছে থাকা ৫০ হাজার টাকা ছিনিয়ে নেওয়া হয় বলে অভিযোগ রয়েছে।
৪ মিনিট আগেরবিউল জানান, ১৭ বছর বয়সে বিডিআরে চাকরি পান। প্রশিক্ষণ শেষে সদর দপ্তর পিলখানায় যোগদানের ১৯ দিনের মাথায় বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা তাঁর চোখের সামনে। চাকরির এই ১৯ দিনে সদর দপ্তরের সবকিছুই তাঁর কাছে অচেনা ছিল। ঘটনার দিন বিডিআর সদর দপ্তরে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। সেখানে তিনিও যাওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
১৬ মিনিট আগেঊনবিংশ শতাব্দীর বাঙালি কবি ও নাট্যকার তথা বাংলার নবজাগরণ সাহিত্যের অন্যতম পুরোধা ব্যক্তিত্ব ছিলেন মাইকেল মধুসূদন দত্ত। ১৮২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি যশোরের কেশবপুর উপজেলার কপোতাক্ষ নদের তীরে সাগরদাঁড়ি গ্রামের জমিদার দত্ত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন তিনি। তাঁর বাবা জমিদার রাজনারায়ণ দত্ত আর মা জাহ্নবী দেবী।
২২ মিনিট আগে