সোহেল মারমা, চট্টগ্রাম

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলাবিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতরে নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৫০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগুলোর বরাদ্দ পাবেন পুলিশের পরিদর্শক থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পুলিশ লাইনে নির্মিতব্য ভবনের ফ্ল্যাটের আকার-আয়তন নিয়ে এএসআই ও কনস্টেবলদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত এক কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকাটা কঠিন হবে। ফ্ল্যাটে ছোট্ট দুটি রুম থাকবে। সেখানে গাদাগাদি করে ছেলেমেয়ের পাশাপাশি বাবা-মাকে নিয়ে থাকা অসম্ভব। সরকারি কোয়ার্টারগুলো এর চেয়ে অনেক বড়। আবার ভাড়া হিসেবে বেতনের বেসিক অনুযায়ী অর্ধেক টাকা কেটে রাখা হবে। আমাদের ভয় হচ্ছে, স্যারেরা কোনদিন জোর করে এসব ফ্ল্যাট আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন।’
ফ্ল্যাটগুলো তুলনামূলক ছোটো হওয়ায় এতে থাকার বিষয়ে তাঁর মতো অন্য অনেক পুলিশ কনস্টেবল ও এএসআইয়ের মধ্যে অনীহা রয়েছে। নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পিডব্লিউর অধীনে যেসব সরকারি কোয়ার্টার নির্মিত হচ্ছে, সেসব ফ্ল্যাট সর্বনিম্ন ৮০০ বর্গফুট করে নির্মিত হচ্ছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের জন্য মাত্র ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলদের জন্য নির্মিত ফ্ল্যাটে অন্তত তিনটি বেডরুম রাখার প্রয়োজন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ সদস্য বলেছেন, এখানে বৈষম্য চলছে। কনস্টেবলদের জন্য গাদাগাদি করে ছোট ফ্ল্যাট দিচ্ছে। আর অফিসারদের জন্য দিচ্ছে আলিশান বাড়ি।
এ বিষয়ে সিএমপির পক্ষে প্রকল্পটির তদারককারী উপকমিশনার (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) এস এম মোস্তাইন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবন নির্মাণের আগে সরকার ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়। পরে আমরা ফ্ল্যাটের আয়তন ৭৫০ বর্গফুট করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এ বিষয়ে তো আমরা আর বেশি কিছু করতে পারি না। ওপরের নির্দেশনার বাইরে তো আমরা যেতে পারি না।’
তবে পরবর্তীতে সিএমপিতে যেসব ভবন নির্মিত হবে, সেসব ফ্ল্যাটের আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরপর থেকে যেসব ভবন নির্মিত হবে সেগুলো আয়তনে বড় হবে।
প্রকল্পের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন ও ডবলমুরিং থানার ভেতর প্রথমবারের মতো বিশতলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পুলিশের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই ভবন দুটি নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেয়েছেন বিবিএল ও ডিইসিএল (জেভি)। মনসুরাবাদের ভবনটির প্রতি তলায় ১২ ইউনিট করে মোট ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দে্য়ও হয়েছে। ২০ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ডবলমুরিং থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে নির্মিত ২২ তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবনটির প্রতি তলায় ৮টি ইউনিট করে মোট ১৫২টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ওপরে। গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রকল্পটির চুক্তি সম্পাদিত হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল মেয়াদ ধরা হয়েছে।
প্রকল্প তদারক করছে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট-২), সিএমপির ডিসি (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ।
ডিসি এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, সিএমপিতে কর্মকালীন সরকারি বাসা হিসেবে ফ্ল্যাটগুলো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের বেসিক অনুযায়ী ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ যে বাসা ভাড়া পেয়ে থাকেন, বাসা বরাদ্দ পেলে তা কেটে রাখা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত কাজ শুরু হতে আমাদের একটু দেরি হয়েছিল। যে কারণে নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও দেড় বছরের মতো লেগে যাবে।’

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলাবিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতরে নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়তন ৬৫০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগুলোর বরাদ্দ পাবেন পুলিশের পরিদর্শক থেকে উচ্চপদস্থ কর্মকর্তারা। পুলিশ লাইনে নির্মিতব্য ভবনের ফ্ল্যাটের আকার-আয়তন নিয়ে এএসআই ও কনস্টেবলদের মধ্যে অসন্তোষ দেখা দিয়েছে।
চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশে (সিএমপি) কর্মরত এক কনস্টেবল নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘এই ফ্ল্যাটে পরিবার নিয়ে থাকাটা কঠিন হবে। ফ্ল্যাটে ছোট্ট দুটি রুম থাকবে। সেখানে গাদাগাদি করে ছেলেমেয়ের পাশাপাশি বাবা-মাকে নিয়ে থাকা অসম্ভব। সরকারি কোয়ার্টারগুলো এর চেয়ে অনেক বড়। আবার ভাড়া হিসেবে বেতনের বেসিক অনুযায়ী অর্ধেক টাকা কেটে রাখা হবে। আমাদের ভয় হচ্ছে, স্যারেরা কোনদিন জোর করে এসব ফ্ল্যাট আমাদের ওপর চাপিয়ে দেবেন।’
ফ্ল্যাটগুলো তুলনামূলক ছোটো হওয়ায় এতে থাকার বিষয়ে তাঁর মতো অন্য অনেক পুলিশ কনস্টেবল ও এএসআইয়ের মধ্যে অনীহা রয়েছে। নগর পুলিশের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা বলেন, পিডব্লিউর অধীনে যেসব সরকারি কোয়ার্টার নির্মিত হচ্ছে, সেসব ফ্ল্যাট সর্বনিম্ন ৮০০ বর্গফুট করে নির্মিত হচ্ছে। সেখানে পুলিশ সদস্যদের জন্য মাত্র ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়া হয়েছে। পুলিশ কনস্টেবলদের জন্য নির্মিত ফ্ল্যাটে অন্তত তিনটি বেডরুম রাখার প্রয়োজন ছিল।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আরেক পুলিশ সদস্য বলেছেন, এখানে বৈষম্য চলছে। কনস্টেবলদের জন্য গাদাগাদি করে ছোট ফ্ল্যাট দিচ্ছে। আর অফিসারদের জন্য দিচ্ছে আলিশান বাড়ি।
এ বিষয়ে সিএমপির পক্ষে প্রকল্পটির তদারককারী উপকমিশনার (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) এস এম মোস্তাইন হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভবন নির্মাণের আগে সরকার ৬৫০ বর্গফুটের ফ্ল্যাট বরাদ্দ দেয়। পরে আমরা ফ্ল্যাটের আয়তন ৭৫০ বর্গফুট করার বিষয়ে প্রস্তাব দিয়েছিলাম। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। এ বিষয়ে তো আমরা আর বেশি কিছু করতে পারি না। ওপরের নির্দেশনার বাইরে তো আমরা যেতে পারি না।’
তবে পরবর্তীতে সিএমপিতে যেসব ভবন নির্মিত হবে, সেসব ফ্ল্যাটের আয়তন বাড়ানোর বিষয়ে তাঁদের আশ্বস্ত করা হয়েছে উল্লেখ করে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, এরপর থেকে যেসব ভবন নির্মিত হবে সেগুলো আয়তনে বড় হবে।
প্রকল্পের তথ্য ঘেঁটে দেখা যায়, চট্টগ্রামের মনসুরাবাদ পুলিশ লাইন ও ডবলমুরিং থানার ভেতর প্রথমবারের মতো বিশতলাবিশিষ্ট আবাসিক ভবন নির্মাণের কাজ চলছে। পুলিশের জন্য দেশের বিভিন্ন জায়গায় ৯টি আবাসিক টাওয়ার নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে এই ভবন দুটি নির্মিত হচ্ছে। বাংলাদেশ পুলিশ ও গণপূর্ত অধিদপ্তর প্রকল্পের কাজটি বাস্তবায়ন করছে। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পেয়েছেন বিবিএল ও ডিইসিএল (জেভি)। মনসুরাবাদের ভবনটির প্রতি তলায় ১২ ইউনিট করে মোট ২২৮টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৮১ কোটি ৪৫ লাখ ৩৪ হাজার টাকা। গত বছরের ১২ অক্টোবর প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কার্যাদেশ দে্য়ও হয়েছে। ২০ মাসের মধ্যে প্রকল্পটি বাস্তবায়নের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
এদিকে ডবলমুরিং থানার কম্পাউন্ডের ভেতরে নির্মিত ২২ তলা ভিত্তিসহ ২০ তলা আবাসিক ভবনটির প্রতি তলায় ৮টি ইউনিট করে মোট ১৫২টি ফ্ল্যাট নির্মিত হচ্ছে। এর ব্যয় ধরা হয়েছে ৭৮ কোটি ৪১ লাখ ৭৭ হাজার টাকার ওপরে। গত বছরের ১৭ আগস্ট প্রকল্পটির চুক্তি সম্পাদিত হয়। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে কাজ পায় কুশলী নির্মাতা লিমিটেড। ১৮ মাসের মধ্যে প্রকল্পটির বাস্তবায়নকাল মেয়াদ ধরা হয়েছে।
প্রকল্প তদারক করছে পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত ডিআইজি (ডেভেলপমেন্ট-২), সিএমপির ডিসি (এস্টেট ও ডেভেলপমেন্ট) ও চট্টগ্রাম গণপূর্ত বিভাগ।
ডিসি এস এম মোস্তাইন হোসেন বলেন, সিএমপিতে কর্মকালীন সরকারি বাসা হিসেবে ফ্ল্যাটগুলো পুলিশ সদস্যদের মধ্যে বরাদ্দ দেওয়া হবে। ভবনটির নির্মাণকাজ শেষ হলে এই বরাদ্দ প্রক্রিয়া শুরু হবে। পুলিশ সদস্যদের বেসিক অনুযায়ী ৪৫ থেকে ৫০ শতাংশ যে বাসা ভাড়া পেয়ে থাকেন, বাসা বরাদ্দ পেলে তা কেটে রাখা হবে।
পুলিশের এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘অবকাঠামোগত কাজ শুরু হতে আমাদের একটু দেরি হয়েছিল। যে কারণে নির্মাণকাজ শেষ হতে আরও দেড় বছরের মতো লেগে যাবে।’

খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন
২৩ মিনিট আগে
নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগেবগুড়া প্রতিনিধি

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বগুড়ায় নেমে এসেছে গভীর শোক। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের কান্নার রোল দেখা গেছে। শহরের অলিগলি, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরাজ করছে নীরবতা। কোথাও নেই স্লোগান বা রাজনৈতিক আলোচনা—শুধু স্মৃতিচারণা, দীর্ঘশ্বাস আর স্তব্ধতা।
যে শহর বারবার ভোটের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করেছে, সেই বগুড়াই আজ হারাল তার বধূকে, তার নেত্রীকে, তার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অনিবার্য অধ্যায়কে।
খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
তিনি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন। প্রতিবারই ভোটের ব্যবধান ছিল উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনী রাজনীতিতে এমন ধারাবাহিক সাফল্য খুব কম নেতার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর একসময় নিভৃতচারী গৃহবধূ খালেদা জিয়াকে নিতে হয় একটি ভঙ্গুর রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা। সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন, রাজপথের সংগ্রাম ও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কঠিন দায়িত্ব সামলে তিনি হয়ে ওঠেন শক্তিশালী এক রাজনৈতিক প্রতীক। আপসহীন অবস্থানের কারণেই তিনি পরিচিত হন ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে। দীর্ঘ এই পথচলায় বগুড়া ছিল তাঁর নির্ভরতার জায়গা, একটি নিরাপদ ভোটব্যাংক।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বগুড়ায় বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, এটি শুধু একজন নেত্রীর বিদায় নয়, এটি একটি যুগের সমাপ্তি। তবে শোক শুধু দলীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই; রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন—এমন অনেক মানুষও এই মৃত্যুতে আবেগাপ্লুত।

অনেকের স্মৃতিতে ভেসে উঠছে নির্বাচনী দিনের চিত্র। ভোটের আগে মিছিল, সভা আর মানুষের ঢল। খালেদা জিয়া যখন নির্বাচনী প্রচারে বগুড়ায় আসতেন, শহরের চেহারাই বদলে যেত। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকত লাখো মানুষ, এক ঝলক দেখার আশায়।
রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক, সংঘাত ও মামলার মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে তাঁকে। ক্ষমতায় থাকা ও না থাকার দুই সময়েই কারাবরণ, অবরুদ্ধ জীবন ও যোগাযোগহীনতা ছিল তাঁর বাস্তবতা। তবু বগুড়ার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সেই নারী, যিনি সব প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা নত করেননি।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
রেজাউল করিম বাদশা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেবল আমাদের নেত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন মায়ের মতো। বগুড়ার মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমরা সত্যিকার অর্থেই এতিম হয়ে গেলাম।’
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থাতেও ম্যাডাম দলের ও দেশের মানুষের খোঁজ নিতেন। এই ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের নওয়াববাড়ি রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। জেলা বিএনপির উদ্যোগে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় শহরের বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

বিএনপি চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে বগুড়ায় নেমে এসেছে গভীর শোক। জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের কান্নার রোল দেখা গেছে। শহরের অলিগলি, চায়ের দোকান থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষের মধ্যেও বিরাজ করছে নীরবতা। কোথাও নেই স্লোগান বা রাজনৈতিক আলোচনা—শুধু স্মৃতিচারণা, দীর্ঘশ্বাস আর স্তব্ধতা।
যে শহর বারবার ভোটের মাধ্যমে ভালোবাসা প্রকাশ করেছে, সেই বগুড়াই আজ হারাল তার বধূকে, তার নেত্রীকে, তার রাজনৈতিক ইতিহাসের এক অনিবার্য অধ্যায়কে।
খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
তিনি বগুড়া-৬ ও বগুড়া-৭ আসন থেকে একাধিকবার জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিয়ে রেকর্ড ভোটে জয়লাভ করেন। প্রতিবারই ভোটের ব্যবধান ছিল উল্লেখযোগ্য। নির্বাচনী রাজনীতিতে এমন ধারাবাহিক সাফল্য খুব কম নেতার ক্ষেত্রেই দেখা গেছে।
১৯৮১ সালে রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের পর একসময় নিভৃতচারী গৃহবধূ খালেদা জিয়াকে নিতে হয় একটি ভঙ্গুর রাজনৈতিক দলের দায়িত্ব। সেখান থেকেই শুরু হয় তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক পথচলা। সামরিক শাসক এরশাদের বিরুদ্ধে টানা আন্দোলন, রাজপথের সংগ্রাম ও দলকে ঐক্যবদ্ধ রাখার কঠিন দায়িত্ব সামলে তিনি হয়ে ওঠেন শক্তিশালী এক রাজনৈতিক প্রতীক। আপসহীন অবস্থানের কারণেই তিনি পরিচিত হন ‘আপসহীন নেত্রী’ হিসেবে। দীর্ঘ এই পথচলায় বগুড়া ছিল তাঁর নির্ভরতার জায়গা, একটি নিরাপদ ভোটব্যাংক।
খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবরে বগুড়ায় বিএনপির সব কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে কালো পতাকা উত্তোলন, কোরআনখানি ও দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। নেতা-কর্মীদের ভাষ্য, এটি শুধু একজন নেত্রীর বিদায় নয়, এটি একটি যুগের সমাপ্তি। তবে শোক শুধু দলীয় গণ্ডিতে সীমাবদ্ধ নেই; রাজনীতির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত নন—এমন অনেক মানুষও এই মৃত্যুতে আবেগাপ্লুত।

অনেকের স্মৃতিতে ভেসে উঠছে নির্বাচনী দিনের চিত্র। ভোটের আগে মিছিল, সভা আর মানুষের ঢল। খালেদা জিয়া যখন নির্বাচনী প্রচারে বগুড়ায় আসতেন, শহরের চেহারাই বদলে যেত। রাস্তার দুই পাশে দাঁড়িয়ে থাকত লাখো মানুষ, এক ঝলক দেখার আশায়।
রাজনৈতিক জীবনে বিতর্ক, সংঘাত ও মামলার মধ্য দিয়েও যেতে হয়েছে তাঁকে। ক্ষমতায় থাকা ও না থাকার দুই সময়েই কারাবরণ, অবরুদ্ধ জীবন ও যোগাযোগহীনতা ছিল তাঁর বাস্তবতা। তবু বগুড়ার মানুষের কাছে তিনি ছিলেন সেই নারী, যিনি সব প্রতিকূলতার মধ্যেও মাথা নত করেননি।
মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে জেলা বিএনপির কার্যালয়সহ বিভিন্ন এলাকায় নেতা-কর্মীদের কান্নায় ভেঙে পড়তে দেখা যায়। খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক পৌর মেয়র রেজাউল করিম বাদশা এবং ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন।
রেজাউল করিম বাদশা কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কেবল আমাদের নেত্রী ছিলেন না, তিনি ছিলেন মায়ের মতো। বগুড়ার মানুষের সঙ্গে তাঁর আত্মিক সম্পর্ক ছিল। তাঁর মৃত্যুতে আমরা সত্যিকার অর্থেই এতিম হয়ে গেলাম।’
ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক মোশারফ হোসেন বলেন, ‘অসুস্থ অবস্থাতেও ম্যাডাম দলের ও দেশের মানুষের খোঁজ নিতেন। এই ক্ষতি কোনো দিন পূরণ হওয়ার নয়।’
মঙ্গলবার সকাল থেকেই শহরের নওয়াববাড়ি রোডে জেলা বিএনপির কার্যালয়ে নেতা-কর্মীদের ভিড় বাড়তে থাকে। জেলা বিএনপির উদ্যোগে মরহুমার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনায় শহরের বায়তুর রহমান সেন্ট্রাল মসজিদে বিশেষ দোয়া ও মোনাজাত অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতর নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়রত সাড়ে ৬০০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলেরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগু
১৫ অক্টোবর ২০২১
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন
২৩ মিনিট আগে
নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগেজীবননগর (চুয়াডাঙ্গা) প্রতিনিধি

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রউফ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল অফিস শেষ করে অফিসকক্ষে তালা দিয়ে বাসায় চলে যান। সকালে অফিস খুলে দেখেন, জালানার রড ভাঙা এবং অফিসের চারটি ও পাশের রুমের পাঁচটি আলমারি ভাঙা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে। পুলিশ এসেছিল। কী কী চুরি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।
নৈশপ্রহরী বিদ্যুৎ বলেন, ‘আমি রাত ১টা পর্যন্ত জেগেছিলাম। পরে প্রচণ্ড শীত ও অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালবেলা জানতে পারলাম চুরি হয়েছে। পেছনের জানালার গ্রিল ভেঙে চুরি হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মকবুল হাসান বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে জীবননগরের বাইরে রয়েছি। চুরির বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।’
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের প্রধান সহকারী কাম হিসাবরক্ষক আব্দুর রউফ জানান, প্রতিদিনের ন্যায় গতকাল অফিস শেষ করে অফিসকক্ষে তালা দিয়ে বাসায় চলে যান। সকালে অফিস খুলে দেখেন, জালানার রড ভাঙা এবং অফিসের চারটি ও পাশের রুমের পাঁচটি আলমারি ভাঙা। প্রয়োজনীয় কাগজপত্র এলোমেলোভাবে পড়ে রয়েছে। পুলিশ এসেছিল। কী কী চুরি হয়েছে, তা দেখা হচ্ছে।
নৈশপ্রহরী বিদ্যুৎ বলেন, ‘আমি রাত ১টা পর্যন্ত জেগেছিলাম। পরে প্রচণ্ড শীত ও অসুস্থতার কারণে ঘুমিয়ে পড়ি। সকালবেলা জানতে পারলাম চুরি হয়েছে। পেছনের জানালার গ্রিল ভেঙে চুরি হয়েছে।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা মকবুল হাসান বলেন, ‘আমি অফিসের কাজে জীবননগরের বাইরে রয়েছি। চুরির বিষয়টি শুনেছি। এ বিষয়ে থানায় অভিযোগ করা হবে।’
জীবননগর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) রিপন কুমার দাস বলেন, ‘খবর পেয়ে আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে অভিযোগ করতে বলা হয়েছে। আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতর নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়রত সাড়ে ৬০০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলেরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগু
১৫ অক্টোবর ২০২১
খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
৭ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন
২৩ মিনিট আগে
নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগেসীতাকুণ্ড (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন আই এগ্রো ফার্মে’ এ ঘটনা ঘটে।
খামারমালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গভীর রাতে ১২–১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত খামারের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় আমি খামারের পাশের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে ছুটে গেলে ডাকাতরা আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে খামারের ভেতর রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খামারে থাকা ১২টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।’
ইসমাইল হোসেন জানান, তাঁর ভাতিজা নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে খামারটি চালু করেন তিনি। গরু কেনার জন্য স্থানীয় একটি এনজিও থেকে বড় অঙ্কের ঋণও নেওয়া হয়েছে। গরু বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল তাঁদের। কিন্তু ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এখন পুঁজি তো নেইই, ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন—তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন।
ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন খামারের পাশের একটি চায়ের দোকানের মালিক আমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গভীর রাতে চিৎকার ও দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে দোকান থেকে বের হয়ে খামারের দিকে যাই। ডাকাতদের গরু লুট করে নিয়ে যেতে দেখে বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় ডাকাতরা।’
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে বাঁশবাড়িয়া এলাকার একটি খামার থেকে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লুট হওয়া গরু উদ্ধারে ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে।
গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন আই এগ্রো ফার্মে’ এ ঘটনা ঘটে।
খামারমালিক ইসমাইল হোসেন বলেন, ‘গভীর রাতে ১২–১৫ জন মুখোশধারী ডাকাত খামারের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢোকে। এ সময় আমি খামারের পাশের একটি কক্ষে ঘুমিয়ে ছিলাম। দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে ছুটে গেলে ডাকাতরা আমাকে অস্ত্র ঠেকিয়ে খামারের ভেতর রশি দিয়ে বেঁধে রাখে। পরে খামারে থাকা ১২টি গরু লুট করে নিয়ে যায়।’
ইসমাইল হোসেন জানান, তাঁর ভাতিজা নজরুলকে সঙ্গে নিয়ে খামারটি চালু করেন তিনি। গরু কেনার জন্য স্থানীয় একটি এনজিও থেকে বড় অঙ্কের ঋণও নেওয়া হয়েছে। গরু বিক্রি করে ঘুরে দাঁড়ানোর স্বপ্ন ছিল তাঁদের। কিন্তু ডাকাতির ঘটনায় তাঁরা সর্বস্বান্ত হয়েছেন। এখন পুঁজি তো নেইই, ঋণ কীভাবে পরিশোধ করবেন—তা ভেবেই দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
এ ঘটনায় আজ মঙ্গলবার সকালে অজ্ঞাতনামা ডাকাতদের বিরুদ্ধে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা করেছেন ইসমাইল হোসেন।
ডাকাতদের হামলায় আহত হয়েছেন খামারের পাশের একটি চায়ের দোকানের মালিক আমিন হোসেন। তিনি বলেন, ‘গভীর রাতে চিৎকার ও দরজা ভাঙার শব্দ পেয়ে দোকান থেকে বের হয়ে খামারের দিকে যাই। ডাকাতদের গরু লুট করে নিয়ে যেতে দেখে বাধা দিতে গেলে আমাকে মারধর করে রাস্তার পাশের একটি পুকুরে ফেলে দেয় ডাকাতরা।’
সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আলমগীর ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, গভীর রাতে বাঁশবাড়িয়া এলাকার একটি খামার থেকে ১২টি গরু লুটের ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। লুট হওয়া গরু উদ্ধারে ও জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতর নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়রত সাড়ে ৬০০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলেরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগু
১৫ অক্টোবর ২০২১
খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
১৪ মিনিট আগে
নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
৩৮ মিনিট আগেনরসিংদী সংবাদদাতা

নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহিদুল উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের গয়েশপুরের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। তিনি সেখেরচর হাটে ব্যবসা করতেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কেউ জাহিদুলকে রাতে ফোন দিয়ে মাধবদীর নোয়াপাড়ায় ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘তার বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দায়ীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের পরিবার জানাজা ও দাফন শেষে থানায় মামলা করবে।

নরসিংদীর মাধবদীতে জাহিদুল ইসলাম পলাশ (২৫) নামে এক ছাত্রদল নেতাকে ছুরিকাঘাতে হত্যা করার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাতে সদর উপজেলার নোয়াপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত জাহিদুল উপজেলার জিনারদী ইউনিয়নের গয়েশপুরের মোশাররফ হোসেন ভূঁইয়ার ছেলে। তিনি ওই ইউনিয়নের ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন। তিনি সেখেরচর হাটে ব্যবসা করতেন।
পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, কেউ জাহিদুলকে রাতে ফোন দিয়ে মাধবদীর নোয়াপাড়ায় ডেকে নেয়। সেখানে আগে থেকে ওত পেতে থাকা দুর্বৃত্তরা তাঁকে ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। স্থানীয়রা তাঁকে দ্রুত নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নরসিংদী জেলা হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক এ এন এম মিজানুর রহমান বলেন, ‘তার বুকে ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্তের পর বিস্তারিত জানা যাবে।’
মাধবদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামাল হোসেন বলেন, ঘটনার তদন্ত চলছে এবং দায়ীদের শনাক্ত করে দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। নিহতের পরিবার জানাজা ও দাফন শেষে থানায় মামলা করবে।

নগরীর মনসুরাবাদে আধা কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশের জন্য নির্মিত হচ্ছে বিশতলা বিশিষ্ট দুটি আবাসিক ভবন। এর মধ্যে মনসুরাবাদ পুলিশ লাইনের ভেতর নির্মিতব্য ভবনের প্রতিটি ফ্ল্যাটের আয়রত সাড়ে ৬০০ বর্গফুট। এতে থাকবেন সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) ও কনস্টেবলেরা। অন্য ভবনটিতে ১ হাজার বর্গফুটের ১৫২টি ফ্ল্যাট থাকছে। এগু
১৫ অক্টোবর ২০২১
খালেদা জিয়ার শ্বশুরবাড়ি বগুড়ার গাবতলী উপজেলায়। সময়ের সঙ্গে এই সম্পর্ক কেবল আনুষ্ঠানিকতায় সীমাবদ্ধ থাকেনি, হয়ে উঠেছিল আবেগের জায়গা। বগুড়ার মানুষ তাঁকে দেখেছে ঘরের বধূ হিসেবে, আবার দেখেছে দেশের নেতৃত্বে থাকা এক দৃঢ়চেতা রাজনীতিক হিসেবে।
৭ মিনিট আগে
চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চুরির ঘটনা ঘটেছে। গতকাল সোমবার রাতে হাসপাতালের অফিসের দুটি রুমের জানালার গ্রিল ভেঙে এই চুরির ঘটনা ঘটে। পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।
১৪ মিনিট আগে
চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে একটি গরুর খামারে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে খামারমালিককে বেঁধে রেখে ডাকাত দল ১২টি গরু লুট করে নিয়ে গেছে। গতকাল সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের বাঁশবাড়িয়া উচ্চবিদ্যালয়সংলগ্ন উত্তর বাঁশবাড়িয়া এলাকায় ইসমাইল হোসেনের মালিকানাধীন ‘এন
২৩ মিনিট আগে