Ajker Patrika

সন্তানের সাফল্যে ‘সফল জননী নারী’ হলেন আনোয়ারার রোকেয়া

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি: 
আপডেট : ১২ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৫: ৪৪
সন্তানের সাফল্যে ‘সফল জননী নারী’ হলেন আনোয়ারার রোকেয়া

স্বামীর মৃত্যুর পর পরিবার ও তিন সন্তানের খরচ চালাতে হিমশিম খেতে হতো রোকেয়া বেগমকে। চেষ্টা করতেন নিজে কিছু করতে। বাড়িতে হাঁস-মুরগি, শাকসবজির আবাদ করেও টাকা জোগাড় করতেন। এই টাকা দিয়েই সন্তানদের লেখাপড়ার খরচ ও চাহিদা মেটাতেন। নিজে ষষ্ঠ শ্রেণি পর্যন্ত পড়াশোনা করলেও তিন সন্তানকেই উচ্চশিক্ষায় শিক্ষিত করেছেন রোকেয়া। সেই সন্তানেরা এখন আলো ছড়াচ্ছেন দেশের হয়ে। আর সেই সাফল্যের পেছনে থাকা মা রোকেয়া বেগমকে ‘সফল জননী নারী’ হিসেবে পুরস্কৃত করেছে এবার জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ। 

চট্টগ্রামের আনোয়ারার বারখাইন ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসাইনের স্ত্রী রোকেয়া। ‘সফল জননী নারী’ শ্রেষ্ঠ জয়িতা হিসেবে বেগম রোকেয়া পদক পেয়েছেন। গত শনিবার আন্তর্জাতিক নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং বেগম রোকেয়া দিবসে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামানের কাছ থেকে জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে জয়িতা অন্বেষণে বাংলাদেশ কার্যক্রমের আওতায় সফল জননী নারীর শ্রেষ্ঠ জয়িতার সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি। 

সফল জননী রোকেয়া বেগম বলেন, ‘যুদ্ধের সময় অল্প বয়সে বিয়ে দিয়ে দেয় আমাকে। বিয়ের কয়েক বছর পর জীবনে নেমে আসে ঝড়। অবুঝ সন্তানদের রেখে অল্প বয়সে মারা গেছেন স্বামী। বিগত বছরগুলো সংগ্রাম আর দুঃখের যা ভোলার মতো নয়। নিজে পড়াশোনা করতে পারিনি। তাই সব সময় চেয়েছি আমার সন্তানেরা যেন ঠিকমতো পড়াশোনা চালিয়ে যেতে পারে। কখনো সন্তানদের ভালো কাপড় আর প্রাইভেট পড়াতে পারিনি। তবে পড়াশোনায় ঘাটতি যেন না থাকে, সেটা খেয়াল করতাম। এখন সন্তানেরা দেশের কাজে লেগেছে, সেটাই আমার জন্য আনন্দের। তাদের জন্য আমি কোনো দিন এমন সম্মান পাব, সেটা ভাবিনি। খুবই ভালো লাগছে।’ 

 ১৯৭১ সালের যুদ্ধের সময় ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া রোকেয়ার পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়। বাবাহারা মেয়েটার বিয়ে হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসাইনের সঙ্গে। বিয়ের পাঁচ বছর পর তাঁদের ঘরে আসে প্রথম কন্যাসন্তান। বছর না যেতেই মারা যায় সেই শিশু। এর পরই আবারও তাদের সংসার আলোকিত করে আসে আরেক কন্যাশিশু। কিছু দিনপর সেই শিশুও টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মারা যায়। রোকেয়ার দুঃখ যেন তাকে পিছু ছাড়ছে না। 

বিয়ের ঠিক ১৬ বছরের মধ্যে তাদের সংসারে জন্ম নেন এক ছেলে ও দুই কন্যা। এর কয়েক বছর পরই প্যারালাইজড রোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান স্বামী বীর মুক্তিযোদ্ধা আমির হোসাইন। ছোট্ট তিন শিশুকে নিয়ে বিধবা রোকেয়া পড়েন বিপাকে। আত্মীয়স্বজনের সহযোগিতায় ঝাঁপিয়ে পড়েন জীবনযুদ্ধে। সংসারের অভাবের মধ্যে তিন সন্তানের মধ্যে দুজনকে গড়ে তুলেছেন বিসিএস (প্রশাসন) ক্যাডার হিসেবে। 

বড় মেয়ে আইরিন আকতার রাঙামাটি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে রয়েছেন রাজস্ব শাখার রেভিনিউ ডেপুটি কালেক্টর হিসেবে। ছেলে মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী চট্টগ্রাম বিভাগীয় কমিশনার (উন্নয়ন শাখা) সিনিয়র সহকারী কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। আর ছোট মেয়ে নাসরিন সোলতানা চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে এমবিবিএস পাস করে ৩৯তম বিসিএস (স্বাস্থ্য) ক্যাডারে ওসমানী মেডিকেল কলেজের রেডিওলজি বিভাগের এমডিএমএসে অধ্যয়নরত। 

মায়ের এই সম্মাননা প্রাপ্তিতে তাঁদের কেমন লাগছে প্রশ্নের জবাবে বড় মেয়ে আইরিন আকতার ও ছেলে মোহাম্মদ মঈনুল হোসেন চৌধুরী জানান, মাকে গর্বিত করার চেয়ে আনন্দের পৃথিবীতে আর কী হতে পারে! তবে বাবার মৃত্যুর পর মা যেভাবে ম্যাজিকের মতো তাঁদের গড়ে তুলেছেন, সেটা ভাবলে এখন অসম্ভব মনে হয়। বাবা বেঁচে থাকলে আজ ভীষণ খুশি হতো। মায়ের কারণে একেকজন একেক জায়গায় প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন। 

নারী জাগরণের অগ্রদূত ও নারী অধিকার আন্দোলনের অন্যতম পথিকৃৎ বেগম রোকেয়া। বাস্তবে তো অনেক দূরের কথা, যখন বাঙালি নারীর স্বপ্ন বা চিন্তার স্বাধীনতাও ছিল না, তেমনি একটা সময়ে অবরোধপ্রথার বিরুদ্ধে এবং নারীমুক্তি ও নারী স্বাধীনতার দাবি তুলে ধরেন মহীয়সী এই নারী। ১৮৮০ সালের ৯ ডিসেম্বর খ্যাতিমান বাঙালি সাহিত্যিক ও সমাজসংস্কারক বেগম রোকেয়া সাখাওয়াত হোসেন রংপুরের পায়রাবন্দে জন্ম গ্রহণ করেন। নারীর ক্ষমতায়ন ও অগ্রগতিতে অবদান রাখায় পাঁচজন বিশিষ্ট নারীকে প্রতিবছর বেগম রোকেয়া পদক দেওয়া হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক দাবায় চ্যাম্পিয়ন রবিউল

নিজস্ব প্রতিবেদক, চট্টগ্রাম
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

চেসকোড বিজয় দিবস আন্তর্জাতিক রেটিং দাবা প্রতিযোগিতায় অপরাজিত চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করেছেন মো. রবিউল হোসেন। সাত খেলায় ৬ পয়েন্ট পেয়ে তিনি এ শিরোপা জয় করেন। প্রতিযোগিতার সমাপনী অনুষ্ঠানে বিজয়ীদের মাঝে নগদ অর্থ ও ট্রফি তুলে দেওয়া হয়।

আন্তর্জাতিক দাবা সংস্থা (ফিদে) অনুমোদিত এ আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টে তিনজন ভারতীয় খেলোয়াড়সহ দেশের মোট ৪০ জন রেটেড দাবাড়ু অংশ নেন।

প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ এই টুর্নামেন্টে টাইব্রেকিং পদ্ধতির মাধ্যমে শীর্ষস্থানগুলো নির্ধারিত হয়। ৬ পয়েন্ট নিয়ে চ্যাম্পিয়ন হন মো. রবিউল হোসেন। প্রথম রানারআপ হন ইফতেখার আলম (৫.৫ পয়েন্ট) ও দ্বিতীয় রানারআপ হন আসিফ মাহমুদ (৫.৫ পয়েন্ট)।

৫ পয়েন্ট পেয়ে ভারতীয় দাবাড়ু আরমান সিদ্দিকী চতুর্থ, সফিউল মুসনাবিন পঞ্চম এবং অনিন্দ্য রিক দিগ্বিজয় ষষ্ঠ হয়েছেন। ৪.৫ পয়েন্ট পেয়ে সপ্তম হয়েছেন মোহাম্মদ সুলতান।

বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে যাঁরা শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করেছেন তাঁদের মধ্যে আছেন—অনূর্ধ্ব ১৪ বিভাগে সুহৃদ দে, মহিলা বিভাগে তাওহীদা বেগম, ৫০ ঊর্ধ্ব বিভাগে আবু মহসিন।

অনূর্ধ্ব ৮-এ আইলান তাজওয়ার, অনূর্ধ্ব ১০-এ আফরাজ আহমেদ এবং অনূর্ধ্ব ১২ বিভাগে আইলান দীপ দাস। এ ছাড়া চেসকোড একাডেমি আন্তদাবায় স্বর্ণাভ বিশ্বাস প্রথম, জায়ান উর রহমান দ্বিতীয় ও দীপায়ন ঘোষ তৃতীয় পুরস্কার লাভ করেন।

চেসকোড একাডেমির পরিচালক ও পদ্মা অয়েল পিএলসির কোম্পানি সচিব আলী আবছারের সভাপতিত্বে সমাপনী অনুষ্ঠানটি পরিচালিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান আরমিটার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তানজিলা তুর নুর।

সমাপনী অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রাম জেলা ক্রীড়া সংস্থার দাবা কমিটির সম্পাদক প্রকৌশলী এস এম তারেক, চবি সহকারী অধ্যাপক সায়মা আলমসহ চেসকোড একাডেমির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মতলবে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জন আটক

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

চাঁদপুরের মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলা থেকে কিশোর গ্যাংয়ের সঙ্গে জড়িত সন্দেহে ২৮ জনকে আটক করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার রাতে অভিযানের বিষয়টি নিশ্চিত করেন সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, গতকাল বুধবার রাত ৮টা থেকে ১০টা পর্যন্ত এই অভিযান চলেছে। অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার সন্দেহে মতলব উত্তর ও দক্ষিণ উপজেলার কাজলি বালুর মাঠ, নিউ হোস্টেল মাঠ, ছেংগারচর কলেজমাঠসহ বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ স্থানে অভিযান চালিয়ে ২৮ জনকে আটক করা হয়। যাচাই-বাছাই শেষে আটক ২৭ জনকে কাউন্সিলিংয়ের মাধ্যমে অভিভাবকের জিম্মায় মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। এ সময় পুলিশ কর্মকর্তারা তাদের সন্ধ্যার পর পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান।

এ ছাড়া অভিযানে আটক আরেকজনের কাছ থেকে ২৮ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে নিয়মিত মামলা করা হয়েছে।

সহকারী পুলিশ সুপার (মতলব সার্কেল) জাবীর হুসনাইন সানীব বলেন, কিশোর অপরাধ ও মাদক নিয়ন্ত্রণে এ ধরনের বিশেষ অভিযান অব্যাহত থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

হাতিয়ায় গোলাগুলির দুই দিন পর সামছুর লাশের সন্ধান, নিহত বেড়ে ৬

­হাতিয়া (নোয়াখালী) প্রতিনিধি
সামছু। ছবি: সংগৃহীত
সামছু। ছবি: সংগৃহীত

নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার চরকিং ও সুখচর ইউনিয়নসংলগ্ন মেঘনা নদীর জাগলার চরে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষের ঘটনার দুই দিন পর সামছুর লাশ খুঁজে পেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে জাগলার চরে কেউড়া বনের মধ্যে লাশটি খুঁজে পান তাঁরা।

বিষয়টি নিশ্চিত করে হাতিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল আলম বলেন, সন্ধ্যার একটু আগে পরিবারের সদস্যরা সামছুর লাশ খুঁজে পাওয়ার বিষয়টি তাঁকে জানান।

এ বিষয়ে সামছুর বড় ছেলে ফখরুল ইসলাম জানান, কয়েকজন আত্মীয়কে নিয়ে তাঁরা জাগলার চরে যান বাবাকে খোঁজ করার জন্য। সারা দিন খোঁজ করে বিকেলে কেউড়া বনের মধ্যে তাঁর বাবার লাশ দেখতে পান। তবে লাশের অনেক জায়গায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। বিষয়টি তাঁরা পুলিশকে জানিয়েছেন।

বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এ ঘটনায় সামছুর ভাই আবুল বাশার বাদী হয়ে মামলা করেন।

হাতিয়া থানার ওসি বলেন, নিখোঁজ সামছুর লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। এ ঘটনায় তাঁর ভাই বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ভারতে পালানোর সময় বেনাপোল সীমান্তে ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার

বেনাপোল (যশোর) প্রতিনিধি  ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত
রাসেল পাঠান। ছবি: সংগৃহীত

ভারতে পালানোর সময় যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরে গ্রেপ্তার হয়েছেন ময়মনসিংহের যুবলীগ নেতা রাসেল পাঠান (৩৭)। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) সকালে ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে। রাসেল বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ময়মনসিংহের সাগর হত্যা মামলার আসামি।

গ্রেপ্তার রাসেল ময়মনসিংহ মহানগর যুবলীগের যুগ্ম আহ্বায়ক। তিনি নগরীর সানকিপাড়া শেষ মোড় এলাকার আব্দুর রাজ্জাক পাঠানের ছেলে।

ময়মনসিংহ অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (অর্থ ও প্রশাসন) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, রাসেল পাঠান বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে সাগর হত্যা মামলার আসামি। তাঁকে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ গ্রেপ্তার করে স্থানীয় থানায় হস্তান্তর করেছে।

এ বিষয়ে বেনাপোল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন বলেন, সকালে বেনাপোল স্থলবন্দর দিয়ে ভারতে পালানোর সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ রাসেল পাঠানকে গ্রেপ্তার করে। গ্রেপ্তারের পর ইমিগ্রেশন পুলিশ তাঁকে থানায় হস্তান্তর করে। হস্তান্তরের পর ৫৪ ধারায় তাঁকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

উল্লেখ্য, গত বছরের ১৯ জুলাই ময়মনসিংহ নগরীর মিন্টু কলেজ এলাকায় ছাত্রদের বিক্ষোভ-মিছিলে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা হামলা ও গুলি করলে রেদোয়ান হোসেন ওরফে সাগর (২৪) নিহত হন। তিনি নগরীর আকুয়া চৌরঙ্গী মোড় এলাকার বাসিন্দা আসাদুজ্জামানের ছেলে। এ ঘটনায় পুলিশ বাদী হয়ে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত