Ajker Patrika

মুরাদনগরে ধর্ষণে অভিযুক্তরা ৫ আগস্টের আগে আওয়ামী লীগ করতেন, দাবি বিএনপি নেতাদের

কুমিল্লা প্রতিনিধি
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ১৪: ২৩
সাবেক এমপি ইউসুফ হারুনের কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা খোকন চেয়ারম্যানের সাথে ফজর আলী এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মূল আসামি ফজর আলী। ছবি সংগৃহীত
সাবেক এমপি ইউসুফ হারুনের কার্যালয়ে স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতা খোকন চেয়ারম্যানের সাথে ফজর আলী এবং আওয়ামী লীগের দলীয় মিছিলে নেতৃত্ব দিচ্ছেন ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তারকৃত মূল আসামি ফজর আলী। ছবি সংগৃহীত

কুমিল্লার মুরাদনগরে আলোচিত ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি ফজর আলীসহ কয়েকজনকে ঘিরে তাঁদের রাজনৈতিক পরিচয় নিয়ে শুরু হয়েছে নানা বিতর্ক। স্থানীয় বিএনপি নেতারা বলছেন, অভিযুক্ত ব্যক্তিরা আগে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় থাকলেও, ৫ আগস্টের পর তাঁরা বিএনপির সমর্থক হিসেবে পরিচয় দেওয়া শুরু করেন।

স্থানীয় সূত্র ও আওয়ামী লীগের লোকজনের বরাতে জানা গেছে, ফজর আলী দীর্ঘদিন ধরে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন এবং বিভিন্ন মিছিল-সমাবেশে সক্রিয় অংশগ্রহণ করতেন। তবে গত ৫ আগস্টের পর তিনি স্থানীয় বিএনপি নেতাদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন এবং নিজেকে বিএনপির কর্মী দাবি করতে থাকেন। এ অবস্থায়, ঘটনার পর তাঁকে কখনো আওয়ামী লীগ আবার কখনো বিএনপি নেতা হিসেবে উপস্থাপন করছে কিছু পক্ষ।

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় ভিডিও ছড়িয়ে দেওয়ার অভিযোগে গ্রেপ্তার হওয়া মো. সুমন রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ছাত্রলীগ সভাপতি এবং অপর আসামি রমজান আলী, মো. আরিফ ও মো. অনিক আওয়ামী লীগ অনুসারী বলে স্থানীয়ভাবে জানা গেছে।

স্থানীয় বাসিন্দা সজীব বলেন, `গতকাল রাতে হিন্দু বাড়িতে একটি অনুষ্ঠান চলছিল। আমরা অনুষ্ঠান দেখছিলাম। রাত আনুমানিক সাড়ে ১০টার দিকে ভুক্তভোগীর চাচি এসে জানায়, পাশের বাড়িতে কিছু একটা হচ্ছে। আমরা গিয়ে দেখি দরজা ভাঙা, ভেতরে ফজর আলী ধর্ষণ করছে। আমরা ভুক্তভোগীকে উদ্ধার করি। অভিযুক্ত ফজর আলী ৫ আগস্টের পর থেকে বিএনপি নেতাদের সাথে সম্পর্ক গড়ে তোলে ও নিজেকে বিএনপি নেতা বলে দাবি করে। এলাকায় এমন কোনো অপকর্ম নাই যা সে করেনি।’

এ বিষয়ে মুরাদনগর রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন যুবদলের সভাপতি আল আমিন বলেন, `ফজর আলী আওয়ামী লীগের সক্রিয় একজন নেতা ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনের সব মিছিল মিটিংয়ের আয়োজক ও মিছিলে নেতৃত্ব দিতেন। তিনি স্থানীয় ইউনিয়ন চেয়ারম্যান গোলাম কিবরিয়া খোকনের সাথে থাকতেন। এছাড়া সুমন ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি, বাকিরা আওয়ামী লীগের অনুসারী।’

এ বিষয়ে মুরাদনগর উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক মহিউদ্দিন অঞ্জন বলেন, ‘বিএনপির সঙ্গে ফজর আলীর কোনো সম্পর্ক নেই। তিনি বরং আওয়ামী লীগ করে এবং আওয়ামী লীগের এক চেয়ারম্যানের দেহরক্ষী হিসেবে কাজ করে। এখন অনেকে তাকে বিএনপি কর্মী হিসেবে চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে।’

তবে মহিউদ্দিন অঞ্জনের এ বক্তব্যকে ‘মিথ্যা ও মনগড়া’ বলে দাবি করেছেন রামচন্দ্রপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও আওয়ামী লীগ নেতা গোলাম কিবরিয়া খোকন। তিনি বলেন, ‘আমি জনপ্রতিনিধি, আমার কাছে যে কেউ আসতেই পারে। কে কী মনে রাখে, সেটা আমি বলতে পারি না। আর ফজর আলীকে আমি তেমন ভালোভাবে চিনি না।’

এদিকে ধর্ষণের ঘটনায় পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বিষয়টি আজ রোববার (২৯ জুন) সকালে নিশ্চিত করেছেন কুমিল্লার পুলিশ সুপার নাজির আহমেদ খান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

তিন ‘ভারতীয় নাগরিককে’ ঠেলে পাঠাল বিএসএফ

কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত
কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে ঠেলে পাঠানো ব্যক্তিরা। ছবি: সংগৃহীত

কুড়িগ্রামের রৌমারী উপজেলার সীমান্ত দিয়ে নারীসহ তিন ব্যক্তিকে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠিয়েছে ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী (বিএসএফ)। তাঁরা ভারতের আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার বাসিন্দা বলে পরিচয় দেন।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) ভোরের দিকে উপজেলার শৌলমারী ইউনিয়নের চরবোয়ালমারী সীমান্তের ১০৫৯ নম্বর আন্তর্জাতিক মূল পিলারসংলগ্ন এলাকা দিয়ে ওই তিন ব্যক্তিকে ঠেলে পাঠানো হয়। ভারতের কুকুরমারা বিএসএফ ক্যাম্পের সদস্যরা তাঁদের ঠেলে দেন বলে অভিযোগ উঠেছে।

পুশ ইন করা তিন ব্যক্তি হলেন আসাম রাজ্যের নোয়াগাঁও জেলার সামগুরা থানার সালথা এলাকার বাসিন্দা আয়েশা বেগম (৫২), একই জেলার কলিয়াবর থানার আব্দুল জব্বার মিয়ার ছেলে রুস্তম আলী (৬৬) ও রোহা থানার সমস আলীর ছেলে ইদ্রিস আলী (৪৬)। বর্তমানে তাঁরা স্থানীয় বাসিন্দাদের জিম্মায় রয়েছেন বলে জানা গেছে।

সীমান্তের স্থানীয় বাসিন্দা কফিল উদ্দিন, আনোয়ার হোসেন ও আজাহার আলী জানান, বিএসএফ অবৈধভাবে একজন নারী ও দুজন পুরুষকে ভোররাতে বাংলাদেশের ভেতর ঠেলে দিয়েছে। তাঁরা দাঁতভাঙা ইউনিয়নের তেকানিগ্রাম-বাঘেরহাট বাজারে ঘোরাঘুরি করছিলেন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁদের জিজ্ঞাসা করলে তাঁরা ভারতের নাগরিক বলে নিজেদের পরিচয় দেন।

জানতে চাইলে বিজিবির গয়টাপাড়া ক্যাম্পের নায়েক সুবেদার মানিক মিয়া বলেন, ‘নারীসহ ভারতীয় তিন ব্যক্তিকে অবৈধভাবে বাংলাদেশের ভেতরে ঠেলে দেওয়া হয়েছে বলে জেনেছি। তবে তাঁরা কোথায় আছেন, তা জানা নেই।’

এ বিষয়ে জামালপুর বিজিবি ৩৫ ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল হাসানুর রহমানের মোবাইল ফোনে কল করা হলে তিনি সাড়া দেননি।

এর আগে ২৪ ডিসেম্বর নারীসহ আসামের ৯ নাগরিককে কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরী সীমান্তপথে বাংলাদেশে ঠেলে দেয় বিএসএফ। পরে তাঁদের আটক করে ফেরত পাঠায় বিজিবি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাগেরহাটে ঘের থেকে মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার

বাগেরহাট প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বাগেরহাটে মাছের ঘের থেকে মিলন শেখ (৩৫) নামের এক মৎস্য ব্যবসায়ীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুরে সদর উপজেলার গোটাপাড়া ইউনিয়নের পারনওয়াপাড়া গ্রামে নিজের ঘের থেকে তাঁর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

লাশ ময়নাতদন্তের জন্য বাগেরহাট ২৫০ শয্যা জেলা হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

মিলন শেখ বাগেরহাট সদর উপজেলার দেপাড়া গ্রামের মৃত ছায়েদ আলী শেখের ছেলে।

পরিবারের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বাড়ি থেকে প্রতিদিনের মতো পারনওয়াপাড়া এলাকায় নিজের মাছের ঘের পাহারা দেওয়ার জন্য যান মিলন। সকাল ১০টার পরেও বাড়িতে না ফেরায় লোকজন খোঁজাখুঁজি শুরু করেন। একপর্যায়ে নিজ ঘেরের পানিতে তাঁর লাশ পাওয়া যায়।

বাগেরহাট সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মাসুম খান বলেন, খবর পেয়ে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট পেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ জানা যাবে। সেই সঙ্গে তাঁর পরিবারের সদস্য ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। ঘটনার মূল রহস্য উদ্‌ঘাটনে পুলিশ কাজ শুরু করেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

২৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৭: ৪১
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি
পরিচ্ছন্নতা কর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবীমার কার্ড তুলে দেওয়া হয়। ছবি: বিজ্ঞপ্তি

ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি) প্রথমবারের মতো পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের জন্য স্বাস্থ্যবিমা সুবিধা চালু করেছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২ হাজার ৪৬৭ জন পরিচ্ছন্নতাকর্মীকে এই স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হয়েছে।

আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর) গুলশানের নগর ভবনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যবিমা কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিএনসিসির প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা কর্মকর্তা কমডোর এ বি এম শামসুল আলম।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘পরিচ্ছন্নতাকর্মীরা ঝুঁকিপূর্ণ পরিবেশে কাজ করেন। তাঁদের সামাজিক ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করা আমাদের দায়িত্ব।’ সরকারি-বেসরকারি সব প্রতিষ্ঠানে এ ধরনের স্বাস্থ্যবিমা থাকা উচিত বলে তিনি মন্তব্য করেন।

মোহাম্মদ এজাজ জানান, নিয়মিত কর্মীদের পাশাপাশি আউটসোর্সিংয়ের প্রায় ৫ হাজার কর্মী ও মশকনিধন কর্মীদেরও পর্যায়ক্রমে স্বাস্থ্যবিমার আওতায় আনা হবে।

সভাপতির বক্তব্যে কমডোর এ বি এম শামসুল আলম বলেন, গত এক বছরে ডিএনসিসির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মাইলস্টোন উদ্যোগ হচ্ছে এই স্বাস্থ্যবিমা কার্যক্রম, যা প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সামাজিক সুরক্ষা নিশ্চিত করবে।

স্বাস্থ্যবিমার আওতায় উপকারভোগীরা রাজধানীর ৪০০টির বেশি বেসরকারি ক্লিনিকে ৫০ শতাংশ ছাড়ে চিকিৎসা নিতে পারবেন। এ ছাড়া অসুস্থতা ও দুর্ঘটনাজনিত ঝুঁকিতে বিশেষ স্বাস্থ্য সুরক্ষা সুবিধা পাবেন। কোনো কর্মী মৃত্যুবরণ করলে পরিবারকে এককালীন ৩০ হাজার টাকা সহায়তা দেওয়া হবে।

বার্ষিক বিমা প্রিমিয়াম নির্ধারণ করা হয়েছে মাত্র ২০০ টাকা। এর মধ্যে ১ হাজার কর্মীর প্রিমিয়াম বহন করছে সাজেদা ফাউন্ডেশন ও রেকিট বাংলাদেশ (হারপিক) এবং অন্য ১ হাজার ৪৬৭ জনের ব্যয় দিচ্ছে ডিএনসিসি। চার্টার্ড লাইফ ইনস্যুরেন্সের সহযোগিতায় এই বিমা সুবিধা দেওয়া হচ্ছে।

অনুষ্ঠান শেষে উপকারভোগী পরিচ্ছন্নতাকর্মীদের হাতে স্বাস্থ্যবিমা কার্ড তুলে দেওয়া হয়। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ আসাদুজ্জামান; প্রধান প্রকৌশলী ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. মঈন উদ্দিন; প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল ইমরুল কায়েস চৌধুরী; উপপ্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, সাজেদা ফাউন্ডেশন, মোহাম্মদ ফজলুল হক ও হেড অব মার্কেটিং, রেকিট বাংলাদেশ, সাবরিন মারুফ তিন্নি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে আজ রোববার বরিশাল নগরীর কেন্দ্রীয় বাসটার্মিনাল এলাকায় মহাসড়ক অবরোধ করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে ঢাকা-বরিশাল মহাসড়ক অবরোধ করেছে ছাত্র-জনতা। আজ রোববার (২৮ ডিসেম্বর বেলা ৩টার দিকে নগরীর কেন্দ্রীয় বাস টার্মিনাল নথুল্লাবাদ-সংলগ্ন মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।

অবরোধের ফলে মহাসড়কের দুই পাশে শত শত যাত্রীবাহী বাসসহ অন্যান্য যানবাহন আটকে যায়। এতে যাত্রী ও চালকেরা দুর্ভোগে পড়ে। এ সময় অবরোধকারীরা ওসমান হাদি হত্যায় জড়িত সবাইকে গ্রেপ্তার করে দ্রুত বিচারের দাবি জানান।

আন্দোলনকারী এক শিক্ষার্থী বলেন, ‘ওসমান হাদি আমাদেরই ভাই। দিনের আলোয় তাঁকে গুলি করে হত্যা করা হয়েছে। অথচ এখনো প্রধান খুনিসহ অন্যরা ধরাছোঁয়ার বাইরে। আমরা আর কোনো আশ্বাস চাই না, আমরা জড়িতদের গ্রেপ্তার করে দৃশ্যমান বিচার চাই। বিচার নিশ্চিতে প্রশাসন যদি ব্যর্থ হয়, তাহলে ছাত্রসমাজ নিজেরাই রাজপথে দাঁড়িয়ে বিচার আদায় করবে।’

মহাসড়কে আটকে পড়া যাত্রী পটুয়াখালীর যাত্রী ইয়াসিন মল্লিক বলেন, ‘আমি ঢাকায় অসুস্থ মাকে দেখতে যাচ্ছিলাম। প্রায় এক ঘণ্টা ধরে বাস দাঁড়িয়ে আছে। কষ্ট হচ্ছে। তবে ওসমান হাদি হত্যার বিচারও হওয়া দরকার।’

বরিশাল মহানগর পুলিশের এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ‘মহাসড়কে যেন কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি না হয়, সে জন্য অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। আন্দোলনকারীদের সঙ্গে আমরা কথা বলছি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত