Ajker Patrika

ছাতিম ফুলের সৌরভে মুগ্ধ পথচারী

মো. আনোয়ারুল ইসলাম, ব্রাহ্মণপাড়া (কুমিল্লা)
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফুলের প্রতি মানুষের ভালোবাসা আবহমানকালের। ফুল শুধু প্রকৃতিকেই শোভিত করে না, এর ঘ্রাণ মানুষকে মোহিত করে। এমনই এক ঘ্রাণময় ফুল হলো ছাতিম, যার মাদকতাময় সৌরভে কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি এখন মোহনীয়। সন্ধ্যা নামতেই ছাতিম ফুলের তীব্র মিষ্টি ঘ্রাণে ভরে উঠছে চারপাশ, যা মন জুড়াচ্ছে পথচারী ও প্রকৃতিপ্রেমীদের।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ব্রাহ্মণপাড়া-মিরপুর সড়কের দুই পাশ, উপজেলার বিভিন্ন রাস্তা এবং বাড়িঘরের আশপাশে এখন সৌন্দর্য বিলাচ্ছে ছাতিম ফুল। সন্ধ্যা নামলেই এই ফুলের ঘ্রাণে যেন মাতোয়ারা হয়ে ওঠে পুরো পরিবেশ। গাছের নিচে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা ঝরা ফুল পথচারীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছে।

স্থানীয় বাসিন্দা আশিকুর রহমান বলেন, ‘ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। আগে এই এলাকায় অনেক ছাতিমগাছ ছিল, এখন আর আগের মতো দেখা যায় না।’

আরেক বাসিন্দা হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আগে গ্রামগঞ্জে অনেক ছাতিমগাছ দেখা যেত। এখন সংখ্যা কমে গেছে। তবে আমাদের ইউনিয়ন পরিষদের সামনে একটি গাছ আছে, সন্ধ্যার পর আশপাশে ফুলের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে।’

কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী নুসরাত জাহান তাবাসসুম বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মন কেড়ে নেওয়ার মতো আকর্ষণীয়। রাত যত বাড়ে, এর ঘ্রাণ তত তীব্র হয়। আমাদের বাড়ির পাশে একটি গাছ আছে, প্রতিবছর এই ফুল ফোটার অপেক্ষায় থাকি।’

মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হুমায়ুন কবির বলেন, ‘ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ মানুষকে বিমোহিত করে। ফুলের সৌন্দর্যের চেয়ে ঘ্রাণই মানুষকে বেশি টানে। গাছের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ফুল কাছ থেকে দেখা না গেলেও এর গন্ধে বোঝা যায়, গাছজুড়ে ফুল ফুটেছে।’

ইউনানি চিকিৎসকদের তথ্যমতে, ছাতিম ফুলের শুধু সৌন্দর্যই নয়, এর রয়েছে নানা ঔষধি গুণও। জ্বর উপশম, দীর্ঘস্থায়ী আমাশয় ও পাতলা পায়খানা নিরাময়ে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে, এমনকি চর্মরোগের চিকিৎসায়ও এই গাছের ছাল, পাতা ও কষ ব্যবহৃত হয়। এর ছাল থেকে তৈরি ক্বাথ ম্যালেরিয়া ও টাইফয়েড জ্বরের চিকিৎসায়ও কার্যকর।

ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ব্রাহ্মণপাড়া থেকে কুমিল্লা যাওয়ার পথে ছাতিমগাছ চোখে পড়ে। সন্ধ্যা হলে এই ফুলের ঘ্রাণে মন ভরে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ইউনানি চিকিৎসক সোহেল রানা বলেন, ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ অনেক দূর পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। সন্ধ্যার পর কোথাও গাছ চোখে না পড়লেও এর গন্ধ জানিয়ে দেয়, আশপাশে ফুটেছে ছাতিম ফুল। এই গাছের ভেষজ গুণও অনেক। তবে দিন দিন এর সংখ্যা কমে যাওয়ায় ফুলের ঘ্রাণের পাশাপাশি চিকিৎসায়ও এর ব্যবহার হ্রাস পাচ্ছে।

বিজ্ঞানসম্মতভাবে ছাতিম গাছের নাম অ্যালস্টনিয়া স্কলাররিস (Alstonia scholaris)। এটি অ্যাপোসাইনেসি (Apocynaceae) পরিবারভুক্ত বহুবর্ষজীবী সপুষ্পক উদ্ভিদ। ইংরেজিতে এটি ‘ডেভিলস ট্রি’ বা ‘ব্ল্যাকবোর্ড ট্রি’ নামে পরিচিত। বাংলায় পরিচিত নামগুলো হলো—ছাতিম, ছাতিয়ান বা ছাতইন। এর সংস্কৃত নাম হলো সপ্তপর্ণী। এর আদিনিবাস ভারতীয় উপমহাদেশ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া। ছাতিমগাছ সাধারণত ২০ থেকে ৪০ মিটার পর্যন্ত লম্বা হয়। গাছের ছাল ধূসর ও অসমতল। সাতটি পাতা একসঙ্গে গুচ্ছ আকারে থাকে। ফুল হালকা ঘিয়ে রঙের ও গুচ্ছাকারে ফোটে। এই গাছের কাঠ ব্ল্যাকবোর্ড, পেনসিল ও কফিন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাশাপাশি এটি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায়ও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

একসময় ব্রাহ্মণপাড়ার সর্বত্র যে ছাতিম ফুলের ঘ্রাণ ভেসে বেড়াত, এখন তা সীমিত। তবু বছরের এই সময়ে সন্ধ্যা নামলে ছাতিম ফুলের সুবাসে এখনো মুগ্ধ হয় ব্রাহ্মণপাড়ার প্রকৃতি ও মানুষ।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নওগাঁয় ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ

­­­নওগাঁ প্রতিনিধি
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা সার। ছবি: আজকের পত্রিকা

নওগাঁর ধামইরহাটে ১৩০ বস্তা ডিএপি ও ৩০ বস্তা টিএসপি সার জব্দ করেছে স্থানীয় জনতা। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) রাতে উপজেলার পূর্ব বাজার এলাকার সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে সারবোঝাই একটি ট্রাক আটকে দেয় জনতা। পরে কৃষি বিভাগের সহযোগিতায় সারের বস্তাগুলো থানায় হস্তান্তর করা হয়।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, বিএডিসি ডিলার মেসার্স সরকার ট্রেডার্সের মালিক লিপি রানী সরকার নওগাঁ বিএডিসি গুদাম থেকে বিকেলে সারগুলো নিয়ে রাতে ধামইরহাট এলাকায় যান। এলাকাবাসী ট্রাকটি থামিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। তবে সারগুলোর বৈধ গন্তব্য ও বিতরণপত্র দেখাতে না পারায় জনতার সন্দেহ হয়। পরে বিষয়টি তারা পুলিশ ও কৃষি বিভাগকে জানায়। ধামইরহাট থানা-পুলিশ ও উপজেলা কৃষি বিভাগ ঘটনাস্থলে গিয়ে সার, ট্রাক ও চালককে থানায় নিয়ে যায়।

এ বিষয়ে ধামইরহাট উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তৌফিক আল জুবায়ের বলেন, সারগুলো থানায় জমা দেওয়া হয়েছে। সংশ্লিষ্ট ডিলারের লাইসেন্স বাতিলসহ আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

ধামইরহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, ঘটনার বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেলে আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সড়কের ওপর রাখা ধানে দুর্ঘটনা, কুলাউড়ায় দুই চাচাতো ভাই নিহত

মৌলভীবাজার প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

মৌলভীবাজারের কুলাউড়ায় সড়কের ওপর রাখা ধানে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুই চাচাতো ভাই নিহত হয়েছেন। মঙ্গলবার (৯ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় উপজেলার শরীফপুর ইউনিয়নের তালতলা এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ব্যক্তিরা হলেন স্থানীয় ব্যবসায়ী মো. গিয়াস উদ্দিন (৫৫) ও তাঁর চাচাতো ভাই জালাল আহমদ (৪৫)। তাঁরা দুজনই শরীফপুর ইউনিয়নের তেলিবিল (তালতলা) গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে মোটরসাইকেলে করে বটতলা বাজারে যাচ্ছিলেন গিয়াস ও জালাল। তালতলা এলাকায় সড়কের ওপর জমি থেকে কাটা ধানের গাদা রাখা ছিল। এতে মোটরসাইকেল নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে সামনে থেকে আসা একটি ব্যাটারিচালিত টমটমের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। দুই ভাই গুরুতর আহত হন। স্থানীয় বাসিন্দারা উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁদের মৃত ঘোষণা করেন।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. লোকমান আহমদ বলেন, একই পরিবারের দুই সদস্যের মৃত্যুতে গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।

কুলাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনিরুজ্জামান মোল্যা বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে।

স্থানীয় সচেতন নাগরিকেরা জানান, আমন মৌসুমে ধান কাটার সময় বিভিন্ন সড়কে ধান ও খড় রাখা সাধারণ ঘটনায় পরিণত হয়েছে। কুয়াশায় খড় পিচ্ছিল হয়ে দুর্ঘটনার ঝুঁকি আরও বাড়ে। এ বিষয়ে প্রশাসন বা স্থানীয়ভাবে কার্যকর উদ্যোগ না নেওয়ায় অনেকেই প্রতিনিয়ত দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নরসিংদীতে সংঘাত বন্ধে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা

নরসিংদী প্রতিনিধি
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা। ছবি: আজকের পত্রিকা

নরসিংদীর চরাঞ্চলে চলমান সংঘাত, দখলবাজি ও সন্ত্রাসী তৎপরতা বন্ধে দ্রুত সময়ের মধ্যে বিশেষ কম্বিং অপারেশন চালানো হবে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। আজ বুধবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে নরসিংদী পুলিশ লাইনস পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই তথ্য জানান।

পরিদর্শনকালে তিনি পুলিশ লাইনসে বৃক্ষরোপণ করেন এবং হাসপাতাল, রেশন স্টোর, রান্নাঘর, খাবারের মান, পুকুর, প্রশিক্ষণের মাঠসহ বিভিন্ন স্থাপনা ঘুরে দেখেন। সামগ্রিক পরিস্থিতি দেখে সন্তোষ প্রকাশ করেন তিনি। এ সময় নরসিংদীর পুলিশ সুপারসহ জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘নরসিংদীতে সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা এখন রায়পুরা উপজেলা। চরাঞ্চলে সন্ত্রাসীদের আড্ডা, আধিপত্য বিস্তার ও অবৈধ অস্ত্রের বিস্তার উদ্বেগজনক। যত দ্রুত সম্ভব কম্বিং অপারেশন চালিয়ে সব সন্ত্রাসীকে আইনের আওতায় আনা হবে।’

রায়পুরার চরাঞ্চলে দীর্ঘদিনের সংঘাত মানুষের স্বাভাবিক জীবন ব্যাহত করছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সরকার চরাঞ্চলকে সন্ত্রাসমুক্ত করে স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছে। এ জন্য আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি বিভিন্ন গোয়েন্দা সংস্থাকে সমন্বিত অভিযান পরিচালনার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

স্থানীয় সচেতন ব্যক্তিরা মনে করেন, ঘোষিত বিশেষ কম্বিং অপারেশন বাস্তবায়িত হলে বহুদিনের সশস্ত্র সংঘাত, গোলাগুলি ও সন্ত্রাসী তৎপরতার অবসান ঘটবে এবং নরসিংদীর চরাঞ্চলে শান্তি ফিরে আসবে।

পরে দুপুর ১২টার দিকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জেলা কারাগার পরিদর্শন করেন। বেলা ২টায় তিনি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় অংশ নেন, যেখানে জেলার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি, কৃষি উৎপাদন, সার-বীজ সরবরাহ ও সেচ ব্যবস্থাপনা নিয়ে আলোচনা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

মাদকসেবী ও বখাটের উৎপাতে অতিষ্ঠ শহরবাসী, প্রতিকার চাইলেন পুলিশ সুপারের কাছে

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা
মোহনগঞ্জ থানা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মাদকে ছেয়ে গেছে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ পৌর শহর। দিনরাত চলে মাদকসেবী ও বখাটেদের উৎপাত। এতে অতিষ্ঠ শহরবাসী। এ ছাড়া শহরের একাধিক স্থানে চলে অসামাজিক কার্যকলাপ। এসব স্থানে মাদকসেবীদের আড্ডা বসে। প্রভাবশালীদের ছত্রচ্ছায়ায় এসব অসামাজিক কার্যকলাপ দীর্ঘদিন ধরে চললেও স্থানীয় পুলিশ ও প্রশাসন কোনো ব্যবস্থা নেয়নি। এসব বন্ধে শহরের বাসিন্দারা অতিষ্ঠ হয়ে এবার পুলিশ সুপারের দ্বারস্থ হয়েছেন।

শহরের ৮০ জন বাসিন্দা স্বাক্ষরিত একটি অভিযোগপত্র গত রোববার পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে জমা দেওয়া হয়েছে। এর অনুলিপি জেলা প্রশাসক, সংশ্লিষ্ট থানার ওসি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার দপ্তরেও পাঠানো হয়েছে।

আজ বুধবার জেলা পুলিশের মুখপাত্র অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ডিএসবি) হাফিজুল ইসলাম বলেন, এসব ঘটনায় স্থানীয় প্রশাসন ও পুলিশ মিলে যৌথ অভিযান পরিচালনা করলে আশানুরূপ ফল আসবে। বিষয়টি তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য থানা-পুলিশকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, পৌর শহরে মাদকসেবীর সংখ্যা অস্বাভাবিকভাবে বেড়েছে। মাদকের টাকা জোগাড় করতে তরুণেরা অপরাধে জড়াচ্ছেন। সেই সঙ্গে শিক্ষার্থীরাও মাদকে জড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে।

মোহনগঞ্জ থানার ওসির দায়িত্বে থাকা পরিদর্শক (তদন্ত) মো. শফিকুজ্জামান বলেন, দ্রুত এ বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমেনা খাতুন বলেন, ‘অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি নিয়ে পুলিশের সঙ্গে কথা বলব। যৌথভাবে এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

জেলা প্রশাসক মো. সাইফুর রহমান বলেন, ‘সংশ্লিষ্ট ইউএনওর সঙ্গে কথা বলেছি। এ বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত