Ajker Patrika

ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনও

আলীকদম (বান্দরবান) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৪ সেপ্টেম্বর ২০২২, ১৮: ২৩
ফুটবল টুর্নামেন্টের ট্রফি ভাঙলেন ক্ষুব্ধ ইউএনও

বান্দরবানের আলীকদম উপজেলায় একটি ফুটবল টুর্নামেন্টের পুরস্কার বিতরণীতে গিয়ে ট্রফি ভেঙে ফেলেছেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। এ ঘটনায় গতকাল শুক্রবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নানা আলোচনা-সমালোচনা চলছে। ইউএনওর বিরুদ্ধে ক্ষোভ জানাচ্ছেন অনেকে। ইউএনওর বিরুদ্ধে ফেসবুক স্ট্যাটাস দিয়ে তাঁর অপসারণ দাবি করেছেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আবুল কালাম। 

এ ব্যাপারে ওই সময় উপস্থিত থাকা চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘ইউএনও বক্তব্য দেওয়ার সময় কেউ কেউ “ব্যাড সাউন্ড” করায় ইউএনও ক্ষুব্ধ হয়েছিলেন।’ 

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকেলে উপজেলার চৈক্ষ্যং ইউনিয়নের মাংতাই হেডম্যান পাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের মাঠে আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজের উদ্যোগে জুনিয়র একাদশ বনাম রেপারপাড়া বাজার একাদশ ফুটবল টিমের ফাইনাল খেলা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মেহরুবা ইসলাম। 

সমাপনী খেলার প্রথমে দুই দলে ৩৫ মিনিট করে ৭০ মিনিট খেলার পর ড্র হয়ে যায়। এ কারণে রেফারি দুই দলকে টাইব্রেকার খেলার সিদ্ধান্ত দেয়। টাইব্রেকারে আবাসিক জুনিয়র দল তিনটি গোল দেয়, আর রেপার পাড়া একাদশ গোল দেয় একটি। খেলার নিয়ম অনুযায়ী আবাসিক জুনিয়র একাদশ চ্যাম্পিয়ন এবং রেপার পাড়া একাদশ রানার্স আপ হয়। 

কিন্তু জয়-বিজয় নিয়ে বিরোধ থেকেই যায়। একপক্ষ ট্রফি নিতে চায়, আরেক পক্ষ রাজি হয় না। এ সময় প্রধান অতিথির বক্তব্য দিতে মাইক্রোফোন নেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। তিনি বলেন, ‘খেলায় হার-জিত থাকবে। এতে কারও মন খারাপের কারণ নেই।’ উপস্থিত জনতার কাছে খেলার ফলাফলে সন্তুষ্ট কি না জানতে চাইলে কয়েকজন খেলার ‘ফলাফল মানি না’ বলে চিৎকার করে। এতে ইউএনও ক্ষিপ্ত হন। তিনি বলেন, ‘আমি ডিসিশন নিয়েছি, এখন ট্রফিগুলো রেখে মেডেলগুলো দিয়ে যাব। আপনারা যত দিন পর্যন্ত সহনশীল না হতে পারবেন, তত দিন এগুলো (ট্রফিগুলো) আমার কাছে আমানত হিসেবে থাকবে। তারপর আরেকটি ম্যাচ হলে তারপর দেব। আপনারা রাজি নাকি?’ তখন জনতার মধ্যে থেকে একপক্ষ ‘না না’ বলে চিৎকার করে উঠে। 

যদি ট্রফি না থাকত, আমরা খেলতাম না?...আমি ট্রফিটা ভেঙে এখন খেলা শুরু করব—এই বলেই ট্রফি দুটি একে একে আছড়ে ভেঙে ফেলেন ইউএনও। 

গতকাল বিকেলে এ ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভিডিওটি ভাইরাল হয়ে গেছে। 

 অনুষ্ঠানে সবার সামনে চ্যাম্পিয়ন ও রানার্সআপ দলের ট্রফি ভেঙে ফেলেন ইউএনও মেহরুবা ইসলাম। ছবি: ভিডিও থেকে নেওয়াএ ব্যাপারে জানতে চাইলে ইউএনও মেহেরুবা ইসলাম বলেন, ‘খেলা শেষে পুরস্কার বিতরণের সময় হঠাৎ একজন এসে বললেন যে, তিন গোল চার গোল তারা মানে না। তখন আমি বললাম, খেলা আবার হবে কি না। তখন এটা নিয়ে পেছন থেকে খুব আওয়াজ শুরু হলো। কয়েকজন বলল তারা ট্রফি নেবে না, এ ট্রফি যত দিন থাকবে একটা আক্রোশ থাকবে। তারা বলল, ট্রফি ভেঙে ফেলা হোক। পরে আমি বললাম, তাহলে ঠিক আছে আপনারা মেডেলগুলো নিয়ে যান।’ 

ইউএনও বলেন, ‘তারা সেগুলোও না নেওয়ার পরিস্থিতি তৈরি হয়। ওরাই বলছে ট্রফিটা ভেঙে ফেলা হোক। তাই ভেঙে ফেলা হয়েছে। ওখানে বহিরাগত কিছু ছেলে এসেছিল। স্থানীয় চেয়ারম্যানরাও তাদের চেনেন না বলে জানিয়েছেন।’ 

জানতে চাইলে আজ সকালে চৈক্ষ্যং ইউপি চেয়ারম্যান মো. জয়নাল আবেদীন বলেন, ‘আমি এ খেলায় উপস্থিত ছিলাম। ইউএনওর বক্তব্যকালে কেউ কেউ “ব্যাড সাউন্ড” দেয়। বলে যে, আবারও খেলতে হবে। এতে সাময়িক উত্তেজনা হয়।’ চেয়ারম্যান বলেন, ‘টমটম চালক আব্দুর রশিদের ছেলে এবং বাজার পাড়ার একাদশের পক্ষের করিম নামে একজন এই হট্টগোল করে। এরপর ইউএনও ক্ষিপ্ত হন।’ 

ইউএনওর ট্রফি ভাঙার ঘটনায় কেউ কেউ ফেসবুকে ইউএনওর প্রত্যাহার এবং আন্দোলনের ঘোষণাও দিচ্ছেন। এ ব্যাপারে খেলার আয়োজক সংগঠন ‘আবাসিক স্বাধীন যুব সমাজ’-এর সভাপতি সাদ্দাম হোসেন বলেন, ‘ট্রফি ভাঙার বিষয়ে আমাদের কোনো আন্দোলন বা কর্মসূচি নেই। যারা আন্দোলনের ডাক দিয়েছে তাদের সঙ্গে আমাদের একাত্মতা নেই। এ বিষয়ে আমরা কোথাও অভিযোগও দেইনি।’ 

ঘটনার বর্ণনায় খেলায় উপস্থিত যুবক আনিসুর রহমান বলেন, ‘ঘটনাকে কেন্দ্র করে একশ্রেণির মানুষ তাদের স্বার্থ হাসিল করছে। ইউএনওকে ট্রফি ভেঙে ফেলার অনুরোধ উপস্থিত জনতাই করেছিল। খেলার ফলাফল দুই পক্ষ মেনে না নেওয়ায় এমন দাবি উঠেছিল। পরে খেলার মাঠে বা ওই এলাকাতে ট্রফি ভাঙাকে কেন্দ্র করে কোনো গন্ডগোল হয়নি, বিজয়ী ও পরাজিত দুই দলকে প্রাইজবন্ড দিয়ে খেলা সমাপ্ত হয়।’ 

এদিকে, আলীকদম উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মো. আবুল কালাম ইউএনও মেহেরুবা ইসলামের প্রত্যাহার চেয়ে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ সমাবেশ করেছেন। আজ বিকেলে মানববন্ধনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ইউএনওকে প্রশাসন পরিচালনায় ‘অপরিপক্ব’ ও ‘মানসিক ভারসাম্যহীন’ বলে মন্তব্য করেন। তিনি ২৪ ঘণ্টার মধ্য ইউএনওকে প্রত্যাহারের দাবি জানান। অন্যথায় আলীকদম অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রাকচাপায় ভূমি অফিসের সহকারী নিহত

শেরপুর (বগুড়া) প্রতিনিধি  
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার শেরপুরে ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কে ট্রাকচাপায় শামসুল ইসলাম (৩৫) নামের ভূমি অফিসের এক সহকারী নিহত হয়েছেন। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে শেরপুর পৌর শহরের করতোয়া বাসস্ট্যান্ড এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে মনির হোসেন (৪০) নামের একজন আহত হন।

নিহত শামসুলের বাড়ি গাবতলী উপজেলার বাগবাড়ি ইউনিয়নে। তিনি উপজেলার বাগবাড়ি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে অফিস সহকারী ছিলেন। অন্য দিকে আহত মনির হোসেন একই অফিসের ভূমি কর্মকর্তা। তিনি বগুড়ার শাজাহানপুর উপজেলার বাসিন্দা।

স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, ঢাকা–বগুড়া মহাসড়কের বগুড়াগামী লেনে থাকা একটি মোটরসাইকেলকে ট্রাক চাপা দেয়। এতে মোটরসাইকেলে থাকা শামসুল ও মনির গুরুতর আহত হন। দুর্ঘটনার পর ট্রাকটি দ্রুত বগুড়ার দিকে চলে যায়। পরে তাঁদের বগুড়া শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়।

সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শামসুল ইসলাম মারা যান।

শেরপুর হাইওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির সার্জেন্ট মোকলেছুর রহমান জানান, হতাহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা হয়েছে। দুর্ঘটনায় জড়িত ট্রাকটি শনাক্ত ও আটক করার চেষ্টা চলছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঝালকাঠিতে ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা ও দোয়া

ঝালকাঠি প্রতিনিধি  
ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
ওসমান হাদির স্মরণে আলোচনা সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আধিপত্যবাদবিরোধী বিপ্লবী জুলাই যোদ্ধা শহীদ ওসমান বিন হাদির রূহের মাগফিরাত কামনায় নিজ জেলা ঝালকাঠিতে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) বিকেলে ঝালকাঠির কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ময়দানে ‘আমরা ঝালকাঠিবাসী’ ব্যানারে এই কর্মসূচির আয়োজন করা হয়।

জেলা ইমাম সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই নিজামীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন জামায়াতের কেন্দ্রীয় শুরা সদস্য ও জেলা আমির অ্যাডভোকেট হাফিজুর রহমান, ইসলামী আন্দোলনের জেলা সভাপতি হাফেজ মুহাম্মদ আলমগীর হোসাইন, জামায়াত মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী শেখ নেয়ামুল করীম, ইসলামী আন্দোলন মনোনীত সংসদ সদস্য প্রার্থী মাওলানা সিরাজুল ইসলাম সিরাজী, ড. ফয়জুল হক, মাওলানা ইব্রাহিম আল হাদী, রাজাপুরের কারীমপুর দরবার শরীফের পীর মাওলানা হেদায়েতুল্লাহ ফয়েজী, উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদের খতিব ও কুতুবনগর মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা মুহাম্মদ আব্দুল মান্নান, মসজিদ মিশন জেলা সভাপতি মাওলানা এমদাদুল হক, নওপাড়া ফাজিল মাদ্রাসার অধ্যক্ষ মাওলানা এ কে এম গোলাম মোস্তফা, আব বাংলাদেশ ঝালকাঠি শাখার আহ্বায়ক বদরুল আলম সাইফী, ওসমান হাদির সহপাঠী সাংবাদিক ইসমাইল মুসাফির, জেলা কাজী সমিতির সভাপতি মাওলানা আব্দুল হাই, এনসিপি জেলা আহ্বায়ক মাইনুল ইসলাম মান্না, খেলাফত মজলিস জেলা সভাপতি মাওলানা আব্দুর রহিম খান, জেলা ইসলামী আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মোখতার আহমেদ, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের জেলা সদস্যসচিব রাইয়ান বিন কামাল, জেলা ছাত্রশিবির সভাপতি এনামুল হাসান ও ছাত্র আন্দোলনের সভাপতি ওয়ালিউল্লাহ সরদার।

অনুষ্ঠানে শহীদ ওসমান হাদির জীবন ও কর্মের গুরুত্ব তুলে ধরে তাঁর প্রতি শ্রদ্ধা জানানো হয় এবং তাঁর রূহের মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগ, ইউপি উদ্যোক্তার স্বামী গ্রেপ্তার

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত
মওদুদ আহমেদ শাওন। ছবি: সংগৃহীত

নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে চেয়ারম্যান, মেম্বারের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর বসিয়ে ১৩ রোহিঙ্গার জন্মনিবন্ধন তৈরির অভিযোগে মওদুদ আহমেদ শাওন (৩৫) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার আদালতের নির্দেশে তাঁকে জেলহাজতে নেওয়া হয়। মোহনগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

এর আগে গতকাল বুধবার দুপুরে মোহনগঞ্জ উপজেলা পরিষদের সামনের একটি দোকান থেকে শাওনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তার শাওন মোহনগঞ্জ পৌর শহরের টেংগাপাড়া এলাকার বাসিন্দা। তিনি উপজেলার গাগলাজুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) উদ্যোক্তা ঝর্ণা আক্তারের স্বামী।

জানা গেছে, চার-পাঁচ বছর আগে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে টেকনিশিয়ান পদে আবেদন করেন শাওন। চাকরি না হলেও তখন থেকেই ওই কার্যালয়ের সব অনলাইনের কাজকর্ম শুরু করেন তিনি। একপর্যায়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) টিসিবি কার্ড সংযোজন ও যাচাই বাছাই-সংক্রান্ত ওয়েবসাইট এবং জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধন ওয়েবসাইটের পাসওয়ার্ডসহ সবকিছু নিজের হাতে নিয়ে নেন শাওন। ইউএনও কার্যালয়ে কাজের প্রভাব খাটিয়ে অন্য সাত ইউনিয়নের জন্ম-মৃত্যুনিবন্ধনসহ সব কাজ কবজা করেন তিনি। চেয়ারম্যান, মেম্বারদের সিল-স্বাক্ষর নকল করে অবৈধভাবে জন্মনিবন্ধন তৈরির বাণিজ্য শুরু করেন তিনি।

এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আমেনা খাতুন বলেন, ‘আমি আসার পরই সব পাসওয়ার্ড শাওনের থেকে নিয়ে নিয়েছি। বাইরের জেলার ১৩ জন লোককে এখানকার জন্মনিবন্ধন করে দেওয়ার বিষয়টি টের পাওয়ার পরই অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়। এ ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশি তদন্তে বিস্তারিত বের হয়ে আসবে।’

মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা মোহনগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) জয় পাল বলেন, সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করে আজ বিকেলে আসামিকে আদালতে পাঠানো হয়েছে। পরে আদালতে তাঁকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ বিষয়ে মোহনগঞ্জ থানার ওসি মো. হাফিজুল ইসলাম হারুন বলেন, ‘চেয়ারম্যান-মেম্বারের ভুয়া সিল-স্বাক্ষর বসিয়ে অন্য জেলার ১৩ নাগরিককে এখানকার জন্মনিবন্ধন তৈরি করে দিয়েছেন শাওন। ওই ১৩ জন রোহিঙ্গা বলে ধারণা করা হচ্ছে। শাওন তাঁর ব্যবহৃত সাইটটির ইউজার পাসওয়ার্ড হ্যাক হয়েছে বলে দাবি করলেও প্রাথমিক তদন্ত এটি মিথ্যা প্রমাণিত হয়েছে। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। আশা করছি, তদন্তে সবকিছু বেরিয়ে আসবে।’ ওসি আরও বলেন, এ ঘটনায় সংশ্লিষ্ট ইউপি সচিব বাদী হয়ে মামলা করেছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ধানমন্ডিতে ককটেল বিস্ফোরণ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১: ৫৯
আবাহনী মাঠ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ছবি: ডিএমপি
আবাহনী মাঠ এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়েছে। ছবি: ডিএমপি

রাজধানীর ধানমন্ডিতে আবাহনী মাঠ এলাকায় একটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) রাত সোয়া ৯টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।

সূত্রটি জানায়, এ ঘটনায় কোনো ধরনের ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে।

এর আগে, গতকাল বুধবার রাত পৌনে ৮টার দিকে মগবাজারের নিউ ইস্কাটন এলাকায় ককটেল বিস্ফোরণে সিয়াম মজুমদার (২১) নামের এক তরুণ নিহত হন। ককটেলটি সিয়ামের মাথায় সরাসরি আঘাত করে। ঘটনাস্থলেই তাঁর মৃত্যু হয়।

এ ঘটনায় সিয়ামের বাবা হাতিরঝিল থানায় অজ্ঞাতপরিচয় আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন। হাতিরঝিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মর্তুজা বলেন, এখনো কাউকে শনাক্ত করা যায়নি। জড়িতদের চিহ্নিত করতে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত