Ajker Patrika

ভূগর্ভস্থ পানি তুলে নিচ্ছে কাফকো, নলকূপে পানি পাচ্ছে না দুই ইউনিয়নের মানুষ

মো. ইমরান হোসাইন, কর্ণফুলী
আপডেট : ৩০ এপ্রিল ২০২৩, ১৪: ৫৮
ভূগর্ভস্থ পানি তুলে নিচ্ছে কাফকো, নলকূপে পানি পাচ্ছে না দুই ইউনিয়নের মানুষ

খাওয়ার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে চট্টগ্রামের আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর দুই ইউনিয়নে। দুই ইউনিয়নে অধিকাংশ নলকূপে পানি উঠছে না। আনোয়ারা উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের অংশ থেকে কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেড গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নেওয়ায় এসব এলাকার সাধারণ মানুষের নলকূপগুলোতে পানির সংকট চলছে। 

এলাকাবাসীর অভিযোগ, বহুজাতিক কোম্পানি কাফকো প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে ভূগর্ভস্থ পানি উঠিয়ে নেওয়ার ফলে উপজেলার বৈরাগসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে ভূগর্ভস্থ পানির স্তর কমে সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে আনোয়ারা ও কর্ণফুলীর বড় উঠানের হাজারের বেশি টিউবওয়েলে পানি পাওয়া যাচ্ছে না। 

এলাকাবাসী অভিযোগ করে আরও বলেন, কাফকোর উৎপাদন অব্যাহত রাখার জন্য অতিরিক্ত পরিমাণে ভূগর্ভস্থ পানি তুলে ফেলায় পানির স্তর অনেক নিচে নেমে গেছে, যার কারণে অগভীর নলকূপগুলোতে পানি মিলছে না। সাধারণ মানুষ বাধ্য হয়ে বছর দুয়েক ধরে পুকুর থেকে পানি নিয়ে ফুটিয়ে পান করে আসছিলেন। কিন্তু এখন আর পুকুরেও ঠিকমতো পানি থাকছে না। এমনকি পুকুরের পানি শুকিয়ে গেছে। 

এ ছাড়া প্রচণ্ড গরমে জনজীবন বিপর্যস্ত হয়ে উঠেছে। সঙ্গে দেখা দিয়েছে খাওয়ার পানির তীব্র সংকট। এ ছাড়া ভয়াবহ লোডশেডিং আরও ১০ গুণ কষ্ট বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে মানুষের জীবনমান চরম কষ্টের দিকে ধাবিত হচ্ছে। 

গত বৃহস্পতিবার সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত উপজেলার বৈরাগ ইউনিয়নে গুয়াপঞ্চক, বৈরাগ ও উত্তর বন্দর এলাকায় উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন ও বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী পরিদর্শন করেন এবং নলকূপ দেখে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। 

বৈরাগ ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নোয়াব আলী বলেন, ‘কাফকো শুরু থেকে ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের মাধ্যমে কারখানা পরিচালনা করে। এর ফলে আনোয়ারার ভূগর্ভস্থ পানির স্তর দিনে দিনে কমছে। ১০ বছর আগেও স্থানীয়রা কাফকোর পানি উত্তোলন নিয়ে প্রতিবাদ সমাবেশ করেছে, কিন্তু তার সুরাহা হয়নি। বর্তমানে বৈরাগ ইউনিয়নে পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। বলতে গেলে খাওয়ার পানির জন্য হাহাকার চলছে। এলাকার শত শত টিউবওয়েলে পানি উঠছে না। আমি এ বিষয়ে ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরীকে অবহিত করেছি। পাশাপাশি সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের সুদৃষ্টি কামনা করছি।’ 

নোয়াব আলী আরও বলেন, ‘সব পুকুর শুকিয়ে যাচ্ছে। সিইউএফএল রাষ্ট্রীয় কোম্পানি হয়ে কালুরঘাটের কর্ণফুলী নদী এলাকা থেকে যদি মিঠাপানি আনতে পারে, তাহলে কাফকো কেন পারবে না?’ 

কেইপিজেডের ডিজিএম মুশফিকুর রহমান বলেন, কেইপিজেড প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে এলাকার ভূগর্ভস্থ পানির লেয়ার বাড়ানোর জন্য কেইপিজেডে বনায়নের পাশাপাশি বড় বড় লেক তৈরি করে পানি ধরে রাখার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। কেইপিজেডের ইন্ডাস্ট্রিয়াল কাজে ব্যবহারের জন্য ভূগর্ভস্থ পানি ব্যবহারের প্রয়োজন হয় না। শুধু শ্রমিকদের খাওয়া ও পরিচ্ছন্নতার জন্য প্রয়োজনীয় পানি ভূগর্ভ থেকে উত্তোলন করে। 

মুশফিকুর রহমান আরও বলেন, কেইপিজেডের উদ্যোগে চট্টগ্রাম ওয়াসার যে পানি সরবরাহ লাইন স্থাপন করা হয়েছে, সেটির সুফল পুরো দক্ষিণ চট্টগ্রামবাসী ভোগ করবে। ইতিমধ্যে কেইপিজেডের কর্ণফুলীর দৌলতপুর প্রধান গেটে ওয়াসা পানি সংরক্ষণাগার স্থাপন করেছে। আগামী জুনে এটি চালু হলে ভূগর্ভস্থ কোনো পানি কেইপিজেড ব্যবহার করবে না। 

আনোয়ারা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. ইশতিয়াক ইমন সাংবাদিকদের বলেেন, ‘বৈরাগ ইউনিয়নের বিভিন্ন এলাকায় টিউবওয়েলে ভূগর্ভস্থ পানি পাওয়া যাচ্ছে না বলে স্থানীয়দের অভিযোগ সরেজমিনে তদন্ত করে সত্যতা পেয়েছি। এ বিষয়ে কাফকো ও কেইপিজেডের সঙ্গে কথা বলে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।’ 

সূত্র জানায়, কর্ণফুলী ফার্টিলাইজার কোম্পানি লিমিটেডে (কাফকো) উৎপাদন চালু রাখতে হলে ঘণ্টায় ৮০০ মেট্রিক টন মিঠাপানির প্রয়োজন হয়। এসব পানি পাশের কর্ণফুলী নদী থেকে নেওয়ার কথা ছিল। কিন্তু নদীর পানিতে লবণাক্ততা বেড়ে গেলে চাহিদামতো পানি পাচ্ছে না কাফকো। ফলে প্রতিষ্ঠানটি সাতটি গভীর নলকূপ স্থাপন করে পানি তুলে নিচ্ছে কারখানায়। এ কারণে উপজেলার বৈরাগ, চাতরী, বারশত ইউনিয়ন ও কর্ণফুলী উপজেলার বড় উঠান ইউনিয়নের লক্ষাধিক সাধারণ মানুষ বিগত কয়েক বছর ধরে তাদের নলকূপগুলোতে পানি পাচ্ছে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

চন্দনাইশে অলিপুত্রের সমর্থনে সরে দাঁড়ালেন জামায়াতের প্রার্থী

চন্দনাইশ (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি  
মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত
মো. শাহাদাৎ হোসেন ও ওমর ফারুক। ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-১৪ (চন্দনাইশ-সাতকানিয়া আংশিক) আসনে নির্বাচনী লড়াই থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী মনোনীত প্রার্থী ডা. মো. শাহাদাৎ হোসেন। জোটগত সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান জানিয়ে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) চেয়ারম্যান ড. কর্নেল অলি আহমদের (বীর বিক্রম) ছেলে ওমর ফারুকের পক্ষে তিনি নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহারের এই ঘোষণা দেন।

গতকাল সোমবার রাতে মো. শাহাদাৎ হোসেন তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক প্রোফাইলে একটি পোস্টের মাধ্যমে প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তের কথা জানান। দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন প্রচার-প্রচারণা চালানোর পর সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পূর্ণ আনুগত্য প্রকাশ করে তিনি লেখেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ! দীর্ঘ ১০ মাস ১২ দিন পর আজ এক বড় জবাবদিহিতার জিম্মাদারি থেকে মুক্তি পেলাম। জোটের বৃহৎ স্বার্থে জনগণের ব্যাপক চাহিদা থাকা সত্ত্বেও আমরা সকলেই সংগঠনের সিদ্ধান্তের প্রতি পরিপূর্ণ আনুগত্য প্রদর্শন করলাম। ইনসাফের বাংলাদেশ গড়তে আমরা সর্বদা একযোগে কাজ করব ইনশা আল্লাহ।’

শাহাদাৎ হোসেন জামায়াতে ইসলামীর কোনো পদ-পদবিতে না থাকলেও দলের একজন একনিষ্ঠ সমর্থক হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছিলেন এবং মাঠপর্যায়ে ব্যাপক জনমত তৈরি করতে সক্ষম হয়েছিলেন। নিজের আসনটি তিনি অলি আহমদের ছেলের জন্য সহজে ছেড়ে দিতে রাজি হবেন কি না, তা নিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে ব্যাপক কৌতূহল ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত তাঁর প্রার্থিতা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে জোটের ঐক্য সুসংহত করার একটি বড় পদক্ষেপ হিসেবে দেখছেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকেরা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ঠাকুরগাঁওয়ে অবৈধ ভাটা গুঁড়িয়ে দিল প্রশাসন

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

পরিবেশ রক্ষায় জেলা প্রশাসন ও পরিবেশ অধিদপ্তরের যৌথ উদ্যোগে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে কঠোর অভিযান চলছে। তারই ধারাবাহিকতায় আজ মঙ্গলবার সদর উপজেলার ভপলা এলাকায় অবস্থিত মেসার্স ফাইজুল ব্রিকস নামের অবৈধ ইটভাটা চিমনিসহ ভেঙে গুঁড়িয়ে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন অনুযায়ী ভাটামালিককে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।

অভিযানটি পরিচালনা করেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান। প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন পরিবেশ অধিদপ্তর ঠাকুরগাঁও জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক মো. তামিম হাসান। অভিযানে পুলিশ, আনসার, সেনাবাহিনী এবং ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা সার্বিক সহযোগিতা করেন।

পরিবেশ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, পরিবেশ ছাড়পত্র ছাড়া এবং নিষিদ্ধ এলাকায় গড়ে ওঠা এই ইটভাটা দীর্ঘদিন ধরে কার্যক্রম চালিয়ে আসছিল। এতে ফসলি জমির ফসল ও মাটির উর্বরতা নষ্ট হওয়ার পাশাপাশি বায়ুদূষণ বাড়ছিল। অভিযানে ভাটার চুল্লি ভেঙে ফেলা হয় এবং কাঁচা ইট নষ্ট করে দেওয়া হয়।

নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আক্তারুজ্জামান জানান, পরিবেশ ও জনস্বার্থ রক্ষায় অবৈধ ইটভাটার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে। আইন অমান্যকারী কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

দিনাজপুরের মেয়ে পুতুলের স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় শোকের ছায়া

দিনাজপুর প্রতিনিধি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি
বেগম খালেদা জিয়া। ফাইল ছবি

দেশের তিনবারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার মৃত্যুতে শোকের ছায়া নেমেছে দিনাজপুরে। খালেদা জিয়ার পৈতৃক নিবাস দিনাজপুর শহরের বালুবাড়ি এলাকায়। এই বালুবাড়ি এলাকায় তৈয়বা ভিলা বাড়িতেই কেটেছে খালেদা জিয়ার শৈশব ও কৈশোরের দিনগুলো। আজ সকাল থেকে তৈয়বা ভিলার সামনে জড়ো হয়েছেন শোকার্ত স্থানীয় মানুষ, দলীয় নেতা-কর্মী ও গণমাধ্যমকর্মীরা।  

খালেদা জিয়ার পারিবারিক নাম খালেদা খানম পুতুল। উইকিপিডিয়ার তথ্য অনুযায়ী, ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে তিনি জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ইস্কান্দার মজুমদার ও মা তৈয়বা মজুমদার। বর্তমানে খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে।

আজ সকালে খালেদা জিয়ার মৃত্যুর খবর শুনে শহরের জেলমোড় এলাকায় দলীয় কার্যালয়ে বিএনপির নেতা-কর্মীরা ছুটে যান ।

দলীয় কার্যালয় ও বালুবাড়ির পৈতৃক নিবাসে কোরআন তেলাওয়াতের আয়োজন করা হয়েছে।  

বেগম খালেদা জিয়ার আপন খালাতো ভাই আবু তাহের আবু বলেন, ‘তিনি (খালেদা জিয়া) ছিলেন আমাদের অভিভাবক। নিজের আত্মীয়স্বজনের সঙ্গে তিনি ছিলেন খুবই আন্তরিক। ১৯৯১ সালের তিনি যখন প্রথম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দিনাজপুরে এলেন, এসে আমাকে জিজ্ঞাসা করলেন, কিরে পটল কেমন আছিস? তিনি আদর করে আমাকে পটল বলে ডাকতেন। তিনি বাসায় এলে সবার কথা শুনতেন। সবশেষ  ২০১২  সালের  সেপ্টেম্বরে একবার দিনাজপুর গোরে শহীদ ময়দানে এক জনসভায় এসেছিলেন তিনি। তারও আগে  ২০০৮ সালে মায়ের মৃত্যুর সময় একবার দিনাজপুরে এসেছিলেন।’

পাঁচ বছর বয়সে দিনাজপুর মিশন স্কুলে শিক্ষাজীবন শুরু হয় খালেদা জিয়ার। এরপর  ১৯৬০ সালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ে।  

সেখান থেকেই ম্যাট্রিকুলেশন পাস করেন। পরবর্তীকালে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে (পূর্বের নাম সুরেন্দ্রনাথ কলেজ)।

খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
খালেদা জিয়ার স্মৃতিবিজড়িত তৈয়বা ভিলায় বেসরকারি ডায়াগনস্টিক সেন্টার করা হয়েছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

তাঁর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করে দিনাজপুর সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাজমা ইয়াসমিনবলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া দিনাজপুরের গর্ব, দেশের গর্ব। আমরা গর্ব করে বলি,  তিনি এই বিদ্যালয়ে পড়ালেখা করেছেন। প্রথম নারী হিসেবে দেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাঁর মৃত্যুতে দেশ আজকে একজন অভিভাবক হারাল।’

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনে প্রথমবারের মতো নিজের জন্মস্থানে প্রার্থী হয়েছিলেন খালেদা জিয়া। ২৮ ডিসেম্বর জেলা বিএনপির সভাপতি,  সাধারণ সম্পাদকসহ দলীয় নেতা-কর্মীরা তাঁর পক্ষে মনোনয়নপত্র জমাও দিয়েছিলেন। দিনাজপুর-৩ আসনে দলের 

চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার অংশগ্রহণের কথা শুনে সব বিভেদ ভুলে একাট্টা হয়েছিলেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। প্রত্যেকে নিজ নিজ জায়গা থেকে প্রিয় নেত্রীর পক্ষে প্রচারণাও চালিয়েছেন।  

তাঁর মৃত্যুতে জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল বলেন, ‘বাংলাদেশের অবিসংবাদিত আপসহীন নেত্রীকে হারিয়ে দেশ আজ একজন 

অভিভাবককে হারাল। এই শূন্যতা পূরণ হওয়ার নয়। সবশেষ তিনি অসুস্থ হওয়ার কয়েক দিন আগে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রিয় নেত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছি। দিনাজপুরের মানুষ তাঁকে প্রার্থী হিসেবে পেয়ে ভীষণ উচ্ছ্বসিত ছিলেন। দিনাজপুরের উন্নয়নে 

স্বাক্ষর রেখে গেলেন। জাতির বড় প্রয়োজনের সময় আমরা তাঁকে হারালাম। এই দেশ জাতির ইতিহাসে তিনি কিংবদন্তী।’

জেলা বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি মো. মোকাররম হোসেন বলেন, ‘আমরা আমাদের অভিভাবককে হারিয়ে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েছি। দলের সকল পর্যায়ের নেতা-কর্মী সবাই শোকে মুহ্যমান হয়ে পড়েছে। জেলার সকল এলাকা থেকে নেতা-কর্মীরা তাঁর জানাজায় শরিক হওয়ার জন্য রাজধানীর পথে রওনা দিতে শুরু করেছে। তাঁর মৃত্যু আমাদের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাজীপুরে ২ বিদেশি পিস্তল ও ২৪টি গুলিসহ ‘মিয়া কসাই’ গ্রেপ্তার

গাজীপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ৩০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ৫২
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা
অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার যুবক। ছবি: আজকের পত্রিকা

গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে ২টি বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন, ২৪টি গুলিসহ মোসলেম উদ্দিন মিয়া ওরফে মিয়া কসাই (৪০) নামের এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দিবাগত রাত ১০টার দিকে মহানগরীর গাছা থানাধীন দক্ষিণ খাইলকুর পূর্বপাড়া এলাকার বগারটেক চায়না ফ্যাক্টরি গলির একটি ভাড়া বাসায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে গ্রেপ্তার করা হয়।

জিএমপি গাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ মনিরুজ্জামানের নেতৃত্বে একটি দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে দক্ষিণ খাইলকুর এলাকার তাহেরের বাড়িতে অভিযান চালায়। ওই বাড়ির ভাড়াটিয়া মোসলেম উদ্দিনের কক্ষে তল্লাশি চালিয়ে অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার করা অস্ত্রের মধ্যে রয়েছে একটি ৭.৬৫ এমএম ও একটি ৯ এমএম বিদেশি পিস্তল, ৪টি ম্যাগাজিন ও ২৪টি তাজা গুলি।

গ্রেপ্তার মোসলেম উদ্দিন মিয়া ঢাকা মহানগরের হাতিরঝিল থানার মগবাজার নয়াটোলা এলাকার মৃত জালাল মিয়ার ছেলে। পুলিশ জানায়, তিনি এলাকায় ‘মিয়া কসাই’ নামে পরিচিত। তাঁর বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। নতুন করে গাছা থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। আসামিকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত