Ajker Patrika

অসচেতনতায় গুপ্তখালে আটকে মৃত্যুর ঝুঁকি

  • সতর্কতা না মেনে গোসলে নেমে বিপদে পড়ে পর্যটকেরা।
  • দুর্ঘটনার প্রায় সবগুলোই গুপ্তখালের কারণে হয়েছে।
  • লাইফ গার্ড বাড়ানোর উদ্যোগ জেলা প্রশাসনের।
মাইনউদ্দিন শাহেদ, কক্সবাজার
আপডেট : ২৯ জুন ২০২৫, ০৭: ২৪
গুপ্তখাল হিসেবে চিহ্নিত করে লাল নিশানা দেওয়া স্থানে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ। সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা
গুপ্তখাল হিসেবে চিহ্নিত করে লাল নিশানা দেওয়া স্থানে পর্যটকদের অবাধ বিচরণ। সম্প্রতি কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতের কলাতলী পয়েন্টে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঈদুল আজহার লম্বা ছুটিতে রাজশাহী শহর থেকে স্ত্রী, দুই সন্তানসহ ৮ জুন কক্সবাজার ভ্রমণে এসেছিলেন চাকরিজীবী শাহীনুর রহমান (৫৫)। দুপুরে ছেলে সিফাত রহমানকে (২০) নিয়ে সমুদ্রসৈকতের কলাতলীর সায়মন বিচে গোসলে নামেন তিনি। গোসলের একপর্যায়ে সিফাত সমুদ্রের দিকে ভেসে যেতে থাকেন। ছেলেকে বাঁচাতে এগিয়ে যান শাহীনুর। প্রাণপণ চেষ্টা করেও বাবা-ছেলে সৈকততীরে আর ফিরতে পারেননি।

শাহীনুরের পরিবারের মতো ভ্রমণে এসে দেশের প্রধান পর্যটনকেন্দ্র কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে গোসলে নেমে গুপ্তখাল বা উল্টো স্রোতে পড়ে প্রায়ই পর্যটকের প্রাণহানি ঘটছে। চলতি মাসের ৮ ও ৯ জুন গোসলে নেমে বাবা-ছেলেসহ তিন পর্যটক, দুই রোহিঙ্গা কিশোর ও স্থানীয় এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়েছে।

প্রতিবছর গোসলে নেমে সৈকতে পর্যটক কিংবা স্থানীয়দের এমন অনাকাঙ্ক্ষিত মৃত্যু ঘটলেও এ পর্যন্ত কতজনের মৃত্যু হয়েছে, তার সঠিক পরিসংখ্যান সরকারি কোনো দপ্তরে নেই। পাশাপাশি নেই কোনো প্রতিরোধব্যবস্থা। সৈকতে দায়িত্বরত বেসরকারি সংস্থা সি-সেফ লাইভ গার্ডের দেওয়া তথ্যমতে, এক দশকে কেবল শহরের লাবণী, সুগন্ধা, কলাতলী ও সিগাল পয়েন্টে ৬০ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে জীবিত উদ্ধার করা হয়েছে অন্তত ৭৭৫ জন।

গুপ্তখালে অসতর্ক পর্যটক

কক্সবাজার শহরের নাজিরারটেক থেকে টেকনাফ পর্যন্ত ১২০ কিলোমিটার দৈর্ঘ্য কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত। ভ্রমণে আসা পর্যটকদের বড় অংশ সাগরের নোনাজলে গা ভেজাতে চায়। কিন্তু বিশ্বের দীর্ঘতম বালুকাময় এ সৈকতে শহরের কবিতা চত্বর থেকে কলাতলী পয়েন্ট পর্যন্ত পাঁচ কিলোমিটার জায়গায় কেবল গোসলে নেমে বিপদের সম্মুখীন হওয়া পর্যটকদের উদ্ধারের ব্যবস্থা আছে। বাকি সৈকতের কোথাও এ তৎপরতা নেই। দীর্ঘ সৈকতের বিভিন্ন স্থানে এখন গুপ্তখাল তৈরি হয়েছে।

জেলা প্রশাসনের বিচ কর্মীদের সহকারী সুপারভাইজার বেলাল হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সৈকতের যেসব স্থানে গুপ্তখাল আছে, সেখানে গোসল থেকে বিরত থাকতে লাল নিশানা টাঙিয়ে দেওয়া হয়। পাশাপাশি মাইকিং করে সতর্ক করা হয়। কিন্তু পর্যটকদের বড় অংশ সতর্কতা না মেনে গোসলে নেমে বিপদে পড়ছে।

টানা বা বিশেষ ছুটিতে শহরের লাবণী থেকে কলাতলী পর্যন্ত প্রতিদিন কমপক্ষে এক লাখ পর্যটক সৈকতে নামে। পাঁচ কিলোমিটার এ সৈকতে পালা করে দায়িত্ব পালন করেন সি-সেফ লাইফ গার্ডের ২৬ জন কর্মী। এ সময় গোসলে নামা বিপুলসংখ্যক পর্যটককে নজরদারিতে রাখা কঠিন হয়ে পড়ে বলে জানান সি-সেফের ব্যবস্থাপক ইমতিয়াজ আহমেদ।

গুপ্তখাল নিয়ে সমুদ্রবিজ্ঞানীদের ভাষ্য

উল্টো স্রোত বা গুপ্তখাল কীভাবে সৃষ্টি হয়, তা নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে কথা হয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সদ্য অবসরপ্রাপ্ত সচিব এবং বাংলাদেশ সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের (বোরি) সাবেক মহাপরিচালক সমুদ্রবিজ্ঞানী সাঈদ মাহমুদ বেলাল হায়দরের। তিনি বলেন, ‘গুপ্তখাল সমুদ্রের এক বিশেষ ধরনের স্রোত। যেটি সমুদ্রসৈকতে তৈরি হয়। যখন খুব উচ্চ এবং ঘন ঘন ঢেউ সৈকতে এসে আঘাত করে; তখন সৈকতে বেশ কিছু পানি জমা হয়। এই জমে থাকা পানি ফিরে যাওয়ার সময় একটি সংকীর্ণ চ্যানেলের মাধ্যমে খুব দ্রুত সাগরে ফিরে যায়; এটিই মূলত গুপ্তখাল।

সাঈদ মাহমুদ বলেন, সাধারণত সমুদ্রের তলদেশ যদি অসমতল কিংবা খাঁজ কাটার তীর রেখা থাকে, তাহলে গুপ্তখাল সহজে তৈরি হয়। এ ছাড়া যখন খারাপ আবহাওয়া থাকে এবং ঘূর্ণিঝড়-পরবর্তী সময়ে সমুদ্রে যখন খুব উচ্চ মাত্রায় ঢেউ থাকে, তখনো তৈরির আশঙ্কা থাকে। তিনি বলেন, এটি তৈরিতে বাতাসেরও প্রভাব রয়েছে। যদি উপকূলে সমান্তরালভাবে বাতাস বইয়ে যায় এবং এই সমান্তরাল বাতাসের কারণে তরঙ্গের ওপর যে প্রভাব পড়ে, তাতেও তৈরি হতে পারে।

একজন দক্ষ সাঁতারুও যদি এই গুপ্তখালে আটকা পড়েন, তাহলে তাঁরও রক্ষা পাওয়ার কোনো উপায় থাকে না। সাঈদ মাহমুদ বলেন, এতে আটকে পড়লে সাঁতার কেটে কূলে ফিরে আসার চেষ্টা করা যাবে না। আটকে পড়া ব্যক্তিকে শান্ত থাকতে হবে। পানিতে ভেসে থাকতে হবে। বাঁয়ে বা ডানে বের হয়ে যাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। তিনি মনে করেন, গত কয়েক বছরে কক্সবাজার সৈকতের দুর্ঘটনার প্রায় সবগুলো গুপ্তখালের কারণে হয়েছে।

উপকরণ ও লাইফ গার্ড বাড়ানোর উদ্যোগ

সৈকত ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ সালাহ্উদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ১২০ কিলোমিটার সৈকতে সবখানে পর্যটক নামে না। এর মধ্যে যেসব ঝুঁকিপূর্ণ স্থান রয়েছে, তা চিহ্নিত করে পর্যটকদের সতর্ক করতে কাজ করেন লাইফ গার্ড, বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ। কিন্তু পর্যটকেরা সতর্কতা অবলম্বন না করে ঝুঁকি নিয়ে গোসলে নেমে বিপদে পড়েন।’ উদ্ধার তৎপরতার সরঞ্জাম অপ্রতুল জানিয়ে জেলা প্রশাসক বলেন, সৈকতের যেসব স্থানে জনসমাগম বেশি হয়, সেখানে লাইফ গার্ড সদস্য বাড়ানো, প্রয়োজনীয় উদ্ধার সামগ্রী ও মেডিসিন সরবরাহের পরিকল্পনা নেওয়া হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শাহবাগে আবারও ইনকিলাব মঞ্চের অবরোধ

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা
টানা চতুর্থ দিনের মতো শাহবাগে অবস্থান করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। ছবি: ফোকাস বাংলা

‎শহীদ শরিফ ওসমান বিন হাদির হত্যাকারীদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে আবারও রাজধানীর শাহবাগ মোড় অবরোধ করেছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। টানা চার দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে আজ সোমবার বেলা সোয়া ২টা থেকে তাঁরা শাহবাগে অবস্থান নেন।

‎অবরোধের ফলে শাহবাগ মোড় বন্ধ হয়ে যায় এবং এর প্রভাব পড়ে আশপাশের সড়কগুলোতেও। এতে এলাকায় যান চলাচল সম্পূর্ণভাবে বন্ধ হয়ে যায়, ভোগান্তিতে পড়েন সাধারণ মানুষ।

‎আগের ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, আজ বেলা ২টা থেকে অবরোধ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও দুপুর ১২টার পর থেকেই বিক্ষোভকারীরা শাহবাগ মোড়ে আসতে শুরু করেন। তাঁরা মোড়ের পাশে সড়কে অবস্থান নিয়ে স্লোগান দেন। সোয়া ২টার পর তাঁরা শাহবাগ মোড় বন্ধ করে দেন।

‎গত শুক্রবার দুপুর থেকে ওসমান হাদির খুনিদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে শাহবাগে টানা অবস্থান কর্মসূচি পালন করছেন ইনকিলাব মঞ্চের নেতা-কর্মীরা। এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষও যোগ দিয়েছেন।

‎গতকাল সারা দেশের বিভাগীয় শহরে সর্বাত্মক অবরোধ কর্মসূচি পালন করে ইনকিলাব মঞ্চ। পরে রাত ১০টার দিকে খুনিদের গ্রেপ্তার, বাংলাদেশে থাকা ভারতীয়দের কাজের অনুমতি বাতিলসহ চার দফা দাবি ঘোষণা করেন সংগঠনের সদস্যসচিব আবদুল্লাহ আল জাবের।

‎ইনকিলাব মঞ্চের চার দফা হলো—

১. খুনি, খুনের পরিকল্পনাকারী, খুনের সহায়তাকারী, পলায়নে সহযোগী, আশ্রয়দাতাসহ পুরো খুনি চক্রের আগামী ২৪ দিনের মধ্যে বিচারকার্য সম্পন্ন করতে হবে।

২. বাংলাদেশে অবস্থানরত সব ভারতীয়ের ওয়ার্ক পারমিট বাতিল করতে হবে।

৩. ভারত তার অভ্যন্তরে আশ্রয় নেওয়া সব খুনিদের ফেরত দিতে অস্বীকৃতি জানালে ভারতের বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক আদালতে মামলা করতে হবে।

৪. সিভিল মিলিটারি ইন্টেলিজেন্সের মধ্যে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে থাকা ফ্যাসিস্টের দোসরদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তার ও বিচারের মুখোমুখি করতে হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

খুবির প্রথম বর্ষের চার ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ

খুলনা প্রতিনিধি
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ে (খুবি) ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক/স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষের ভর্তি পরীক্ষার চারটি ইউনিটের ফল প্রকাশ করা হয়েছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে ফল প্রকাশিত হয়। পরীক্ষার্থীরা http://apply.ku.ac.bd/ ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে নিজ নিজ প্রোফাইলে লগইন করে ফল জানতে পারবে।

আজ দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দেওয়া এক বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মেধাতালিকায় স্থান পাওয়া শিক্ষার্থীদের আগামী ১ থেকে ৩ জানুয়ারি পর্যন্ত অনলাইনে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ডিসিপ্লিনের পছন্দক্রম পূরণ না করলে ভর্তির অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে। ডিসিপ্লিনভিত্তিক চূড়ান্ত ফলাফল প্রকাশ করা হবে আগামী ৮ জানুয়ারি। আগামী ১২ থেকে ১৩ জানুয়ারি (সকাল ৯টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৫টা) পর্যন্ত মেধাতালিকা থেকে ভর্তি করা হবে।

এদিকে ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশের লক্ষ্যে আজ সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি ও উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. রেজাউল করিমের সভাপতিত্বে এক সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় চারটি ইউনিটের প্রধানেরা নিজ নিজ ইউনিটের ফলাফল উপস্থাপন করেন। সভায় চূড়ান্ত পর্যবেক্ষণ ও অনুমোদন শেষে আনুষ্ঠানিকভাবে ওয়েবসাইটে ফলাফল প্রকাশ করা হয়।

সভায় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. হারুনর রশীদ খান, ট্রেজারার প্রফেসর ড. মো. নূরুন্নবী, সব স্কুলের ডিন, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) এবং ভর্তি কমিটির অন্য সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, ১৮ ডিসেম্বর ‘সি’ ইউনিট (কলা ও মানবিক, সামাজিক বিজ্ঞান, আইন, শিক্ষা এবং চারুকলা স্কুল) ও ‘ডি’ ইউনিট (ব্যবস্থাপনা ও ব্যবসায় প্রশাসন স্কুল) এবং ১৯ ডিসেম্বর ‘এ’ ইউনিট (বিজ্ঞান, প্রকৌশল ও প্রযুক্তিবিদ্যা স্কুল) ও ‘বি’ ইউনিটের (জীববিজ্ঞান স্কুল) ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল

ফেনী প্রতিনিধি
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা
ফেনী-১ আসনে খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র দাখিল। ছবি: আজকের পত্রিকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ফেনী-১ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন দলীয় নেতা-কর্মীরা। আজ সোমবার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা মনিরা হকের কাছে তাঁর পক্ষ থেকে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়।

একই আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও বিএনপি চেয়ারপারসনের নির্বাচনী সমন্বয়ক রফিকুল আলম মজনুও মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন।

এ ছাড়া ফেনী-২ আসনে দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা অধ্যাপক জয়নাল আবেদীন ও ফেনী-৩ আসনে বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল আউয়াল মিন্টু মনোনয়নপত্র জমা দেন।

জানতে চাইলে আবদুল আউয়াল মিন্টু আজকের পত্রিকাকে বলেন, দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ফেনী-১ আসনে দলের চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার সঙ্গে আরেকজন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এটি দলের অনুমতি নিয়েই হয়েছে। তবে নেত্রীর বিকল্প কেউ নেই, তাঁর অসুস্থতার কারণেই এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

আবদুল আউয়াল মিন্টু আরও বলেন, চেয়ারপারসন মাঠে না থাকলেও নির্বাচনী প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে।

রফিকুল আলম মজনু বলেন, ‘খালেদা জিয়া এই আসন থেকে বিপুল ভোটে বারবার নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। দলের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী আমি খালেদা জিয়াকে সহযোগিতার জন্য কাজ করব।’

উল্লেখ্য, ফেনীর তিনটি সংসদীয় আসনে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও স্বতন্ত্র মিলে মোট ৪৫ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেছেন। এর মধ্যে ফেনী-১ আসনে ১৩ জন, ফেনী-২ আসনে ১৬ জন ও ফেনী-৩ আসনে ১৬ জন মনোনয়নপত্র সংগ্রহ করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা, স্বাক্ষরের স্থলে আঙুলের ছাপ

বগুড়া প্রতিনিধি
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
বগুড়া-৭ আসনে বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে রিটার্নিং কর্মকর্তার হাতে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

বগুড়া-৭ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া আছে। আজ সোমবার (২৯ ডিসেম্বর) বেলা তিনটার দিকে দলীয় প্রধানের উপদেষ্টা হেলালুজ্জামান তালুকদারের (লালু) নেতৃত্বে বগুড়ার জেলা প্রশাসক ও রিটার্নিং কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের কাছে এই মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। তবে খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে মনোনয়নপত্রে তাঁর স্বাক্ষরের বদলে আঙুলের ছাপ নেওয়া হয়েছে।

এর আগে, বেলা দেড়টার দিকে দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেন জেলা বিএনপির সভাপতি রেজাউল করিম বাদশা।

তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
তারেক রহমানের পক্ষে মনোনয়নপত্র জমা দেওয়া হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

এ সময় জেলা বিএনপি ও সদর উপজেলা বিএনপির বিভিন্ন পর্যায়ের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। মনোনয়নপত্র জমা উপলক্ষে নেতাকর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ উদ্দীপনা দেখা গেছে।

মনোনয়নপত্র জমা দেওয়ার পর উপস্থিত সাংবাদিকদের বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হেলালুজ্জানান তালুকদার বলেন, বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া অসুস্থ। তিনি ইশারা-ইঙ্গিতে যোগাযোগ করছেন। মনোনয়নপত্রে খালেদা জিয়া স্বাক্ষরের বদলে তাঁর আঙুলের ছাপ দিয়েছেন।

উল্লেখ্য, খালেদা জিয়া বগুড়া-৭ (গাবতলী-শাজাহানপুর) ও তারেক রহমান বগুড়া-৭ (সদর) আসনে জাতীয় সংসদ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত