Ajker Patrika

বাবুর কবরে শ্রদ্ধা জানাতে যাননি পরিবারের কেউ

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
আপডেট : ০৫ নভেম্বর ২০২৪, ১৯: ১৩
হাইলধরে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কবর।
হাইলধরে আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর কবর।

মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবু দক্ষিণ চট্টগ্রামের মানুষের কাছে ‘বাবু মিয়া’ নামে পরিচিত। আমৃত্যু ছিলেন আওয়ামী লীগের প্রভাবশালী নেতা। তাঁর মৃত্যুবার্ষিকীতে কবরে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ঢল নামতো। পা ফেলার জায়গা থাকত না আনোয়ারার হাইলধরের গ্রামের বাড়িতে।

গতকাল ৪ নভেম্বর ছিল তাঁর ১২ তম মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিন শ্রদ্ধা জানাতে কবরস্থানে সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত যায়নি দল বা পরিবারের কেউ। দেখা যায়নি সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা জানাতে আসা কোনো মানুষকে।

প্রতিবারই মৃত্যুবার্ষিকী ঘিরে এক মাস আগে থেকে নগরীর আনোয়ারা ও কর্ণফুলী এলাকা ব্যানার–পোস্টারে ঢাকা পড়ত। শোকবার্তায় ভরপুর থাকত পত্রিকার ভেতরে-বাইরে প্রায় পুরো পাতা। কিন্তু এই বছর সেই দৃশ্যপট নেই হাইলধরের কবরস্থানে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, ‘অন্যান্য বছর (৪ নভেম্বর) এই দিনে কবরস্থানে শ্রদ্ধা জানাতে মানুষের ভিড়ে পা ফেলার জায়গা পাওয়া যেত না। কিন্তু আজ কোনো নেতা কর্মীদের এখানে আসতে দেখিনি। অন্যান্যবার ভোর থেকে হাজারো নেতা কর্মী আসত। ফুলের স্তূপ পড়ে যেত, কিন্তু এবার কবরে একটি ফুল দিতেও কেউ আসেনি।’

তিনি বলেন, ‘২০১২ সালে মৃত্যুর পর আওয়ামী লীগের ক্ষমতাবিহীন এটি প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। এখান থেকে রাজনৈতিক নেতা কর্মীদের শিক্ষা নেওয়া উচিত।’

নাম প্রকাশ না করে স্থানীয় এক আওয়ামী লীগ নেতা বলেন, ‘মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে মাদ্রাসার শিক্ষার্থীদের মাধ্যমে কোরআন খতম করা হয়েছে। সকালে কর্ণফুলী থেকে উপজেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. সেলিম হকসহ কয়েকজন নেতা কর্মী এসে জিয়ারত করে চলে গেছেন।’

উল্লেখ্য, আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আখতারুজ্জামান চৌধুরী বাবুর ছেলে সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ পরিবারসহ দেশ ছাড়েন। নেতা কর্মীরাও গ্রেপ্তার আতঙ্কে ঘরছাড়া রয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত