Ajker Patrika

গৃহপরিচারিকা ভাগনিকে খুনতির ছ্যাঁকা, ব্লেড-ছুরি দিয়ে জখম, মামা-মামি আটক

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুরে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে আজ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুরে নির্যাতনের শিকার তরুণীকে আজ বৃহস্পতিবার উদ্ধার করেছে থানা-পুলিশ। ছবি: আজকের পত্রিকা

চাঁদপুরে রুজিনা (২০) নামের এক তরুণীকে গৃহপরিচারিকার কাজের জন্য এনে তাঁর মামা ও মামি পাশবিক নির্যাতন চালিয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। চার মাস ধরে তাঁর ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়। নির্যাতন সইতে না পেরে কাঁধে, হাতে, পিঠে ছ্যাঁকা ও ক্ষতচিহ্ন নিয়ে আজ বৃহস্পতিবার মামার বাড়ি থেকে বেরিয়ে পড়েন এই তরুণী।

বিকেলে রুজিনাকে রাস্তার ধারে বসে কাঁদতে দেখে স্থানীয় লোকজন বিষয়টি থানায় জানালে পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে। অভিযোগের ভিত্তিতে রুজিনার মামা ও মামিকে আটক করা হয়েছে। আটক দম্পতি হলেন রোকেয়া বেগম ও কাউসার রুবেল মোল্লা।

নির্যাতনের শিকার রুজিনা বলেন, ‘মামা-মামি আমার মা-বাবার সঙ্গে যোগাযোগ করতে দেননি। প্রতিদিন মারতেন। পিঠে ব্লেড ও দা দিয়ে জখম করেন। গরম খুনতি দিয়ে ছ্যাঁকা দিতেন। পায়ের আঙুলগুলো পুতা দিয়ে থেঁতলে দেন। পুতা, দা, ছুরিসহ নানা কিছু দিয়ে শরীরে আঘাত করতেন। দুই হাতে পেটানোর কারণে ফুলে গেছে। আমাকে ঠিকমতো খাবার দিতেন না। কিছু হলেই নির্যাতন করতেন।’

রুজিনা আরও বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) মামি বাসায় ছিলেন না। এসেই কোনো না কোনো অজুহাতে মারতেন। তাই দরজা খুলে বের হয়ে যাই। আমার মামি আমার সঙ্গে যা করেছেন, আমি এর বিচার চাই।’

ওই তরুণী পুলিশকে জানিয়েছেন, আপন মামাতো বোন শিশু রাজিয়া ও মামাতো ভাই প্রতিবন্ধী রিফাতকে দেখাশোনা করার জন্য ছয় মাস আগে তাঁকে তাঁর মামা চাঁদপুরের বাসায় নিয়ে আসেন। শহরের মাদ্রাসা রোডে তাঁর মামা রুবেল মোল্লার বাসা। চার মাস ধরে কারণে-অকারণে ভুল ধরে রুজিনার ওপর অমানবিক ও পৈশাচিক নির্যাতন চালান মামি রোকেয়া বেগম।

মোরশেদ আলম ও ফরহাদ হোসেন নামের দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রুজিনা রাস্তার পাশে বসে কাঁদছিলেন। তাঁকে কথায় কথায় নির্যাতন করা হয়, মামার বাসা থেকে তিনি পালিয়ে এসেছেন বলে জানান। পরে তাঁর অবস্থা খারাপ দেখে স্থানীয় লোকজন থানায় খবর দেন। পুলিশ এসে তাঁকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। পরে তাঁর কাছ থেকে নির্যাতনের অভিযোগ শুনে কাউসার রুবেল মোল্লা ও তাঁর স্ত্রী রোকেয়াকে আটক করা হয়।

নির্যাতনের শিকার রুজিনার বাড়ি চাঁদপুর সদর উপজেলার চান্দ্রা ইউনিয়নের একটি গ্রামে। রুবেল মোল্লা আবুল মোল্লার ছেলে। রুজিনা তাঁর আপন ভাগনি। রুবেল মোল্লা ঢাকায় একটি কোম্পানিতে চাকরি করেন।

রুজিনা বলেন, ‘ছয় মাস আগে মামার বাসায় কাজ করার জন্য আনা হয়। কাজ করার সময় কারণে-অকারণে মামি মারধর করেন। কোনো ভুল হলেই মারধর করতেন এবং গালমন্দ করতেন। কাজ করলে ভুল হতেও পারে। আমাকে পুতা, কাঠ ও দা দিয়ে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেন। চার মাস ধরে এভাবে মারধর চলে। মামা কয়েকবার ওষুধ এনে দিয়েছেন, কিন্তু ক্ষত সারেনি।’

এদিকে ঘটনাটি জেনে থানায় আসেন রুজিনার বাবা আলী আহম্মদ ভূঁইয়া। তিনি মেয়ের এমন পরিস্থিতি দেখে কান্নায় মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। মেয়েটিকে তাঁর বাবার জিম্মায় দেওয়া হয়েছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে। তবে সর্বশেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত এ ঘটনায় মামলা হয়নি।

আলী আহম্মদ ভূঁইয়া বলেন, ‘আমার মেয়ে এমন নির্যাতনের শিকার আমি জানতাম না। বাড়ি নিয়ে আসার জন্য বললে রুবেল বলত, পরে নিয়ে আসব। রুজিনা ঢাকায় আমার বড় মেয়ের কাছে ছিল। সেখান থেকে আমাকে না জানিয়ে রুবেলের বাসায় নিয়ে আসে। রোকেয়া আমার মেয়েকে এমন নির্যাতন করেছে, কেউ না দেখলে বিশ্বাস করবে না। এই নিষ্ঠুর মহিলার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি জানাই।’

চাঁদপুর সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. বাহার মিয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে গৃহকর্মী মেয়েটিকে উদ্ধার করা হয়েছে। মেয়েটির পরিবারকে বিষয়টি জানানো হয়েছে। অভিযুক্ত দম্পতিকে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়েছে। তাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটে দেশীয় পিস্তল ও কার্তুজ উদ্ধার

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত অস্ত্র। ছবি: সংগৃহীত

হবিগঞ্জের চুনারুঘাট উপজেলার কালেঙ্গা বৈরাগী টিলা এলাকা থেকে একটি দেশীয় তৈরি পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করেছেন র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র‍্যাব)-৯ সদস্যরা। রোববার দিবাগত রাত সোয়া ১২টার দিকে র‍্যাব-৯ সিলেট সিপিসি-৩, শায়েস্তাগঞ্জ ক্যাম্পের সদস্যরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চুনারুঘাট উপজেলার ১০ নম্বর মিরাশি ইউনিয়নের বৈরাগী টিলা এলাকায় বিশেষ অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় নীল রঙের পলিথিন দিয়ে মোড়ানো পরিত্যক্ত অবস্থায় একটি দেশীয় তৈরি লোহার পিস্তল ও একটি কার্তুজ উদ্ধার করা হয়।

উদ্ধারকৃত আলামত পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চুনারুঘাট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারে র‍্যাবের গোয়েন্দা তৎপরতা ও অভিযান অব্যাহত রয়েছে বলে জানিয়েছে র‍্যাব।

র‍্যাব-৯ জানায়, দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধারে তাদের নিয়মিত অভিযান চলমান থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নোয়াখালীতে ৮ দফা দাবিতে কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ

নোয়াখালী প্রতিনিধি
আজ দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর-ফেনী সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ দুপুরে বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকায় ঢাকা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর-ফেনী সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

উচ্চশিক্ষাসহ আট দফা দাবি দ্রুত বাস্তবায়নের দাবিতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছেন কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের (এটিআই) শিক্ষার্থীরা। সোমবার দুপুর ১২টা থেকে ১টা পর্যন্ত জেলার বেগমগঞ্জ উপজেলার চৌমুহনী চৌরাস্তা এলাকায় তাঁরা ঢাকা-নোয়াখালী ও লক্ষ্মীপুর-ফেনী সড়ক অবরোধ করেন। এতে ওই দুটি সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।

কর্মসূচির অংশ হিসেবে শিক্ষার্থীরা কৃষি প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউটের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন এবং সমাপনী পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দেন। পরে আজ সন্ধ্যার মধ্যে তাঁদের দাবিগুলো নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারির আলটিমেটাম দিয়ে অবরোধ কর্মসূচি প্রত্যাহার করেন তাঁরা।

বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ কৃষি ডিপ্লোমা ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক রায়হান উদ্দিন শামীম, সাবেক এটিআই ভিপি রায়হান খানসহ অন্য শিক্ষার্থীরা।

আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, তাঁদের দাবির মধ্যে রয়েছে—ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের পাবলিক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে উচ্চশিক্ষার সুযোগ প্রদান, উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় শ্রেণির কর্মচারী হিসেবে গেজেট প্রকাশ ও নিয়োগে ধারাবাহিকতা নিশ্চিত করা, কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষার মান উন্নয়নে শিক্ষকসংকট দূর করা এবং কৃষি ডিপ্লোমা শিক্ষাকে ডিএইয়ের অধীন থেকে বের করে কৃষি মন্ত্রণালয়ের আওতায় স্বতন্ত্র প্রতিষ্ঠান হিসেবে গঠন করা।

এ ছাড়া সব কৃষি গবেষণাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা পদ শুধু ডিপ্লোমা কৃষিবিদদের জন্য সংরক্ষণ, বেসরকারি চাকরিতে ন্যূনতম দশম গ্রেড প্রদান, মাঠ সংযুক্তি ভাতা চালু এবং উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তাদের চাকরিতে যোগদানের পর ছয় মাসের ফাউন্ডেশন ট্রেনিং চালুর দাবিও জানান তাঁরা।

শিক্ষার্থীরা বলেন, আজ সন্ধ্যার মধ্যে তাঁদের দাবিগুলো নিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি না হলে আরও কঠোর কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহে আগুন: গ্রেপ্তার ১২ আসামির ৩ দিন করে রিমান্ড

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি
আপডেট : ২২ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ০৪
আদালতে তোলা হচ্ছে আসামিদের। ছবি: আজকের পত্রিকা
আদালতে তোলা হচ্ছে আসামিদের। ছবি: আজকের পত্রিকা

ময়মনসিংহের ভালুকায় দিপু চন্দ্র দাস (২৮) নামে এক যুবককে পিটিয়ে হত্যার পর মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়ার মামলায় গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দিয়েছেন আদালত। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) দুপুরে ৭ নম্বর আমলি আদালতের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট শাহাদাত হোসেন গ্রেপ্তার ১২ আসামির তিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।

রিমান্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন আশিকুর রহমান (২৫), কাইয়ুম (২৫), মো. লিমন সরকার (১৯), মো. তারেক হোসেন (১৯), মো. মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিজাম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮), মো. মিরাজ হোসেন আকন (৪৬), মো. আজমল হাসান সগীর (২৬), মো. শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল (২১)।

চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের পরিদর্শক শেখ মোস্তাছিনুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, পুলিশ গ্রেপ্তার ১২ আসামিকে পাঁচ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন। পরে বিচারক প্রত্যেককে তিন দিন করে রিমান্ড আদেশ দেন।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকার জামিরদিয়া এলাকার পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কারখানায় ধর্ম অবমাননার অভিযোগে দিপুকে গণপিটুনি দেয় উত্তেজিত জনতা। পরে তাঁর মরদেহ ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের পাশে নিয়ে আগুনে পুড়িয়ে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে রাত আড়াইটার দিকে অর্ধপোড়া মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠায়।

গত শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বিকেলে নিহতের ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ১৫০-১৬০ জনকে আসামি করে ভালুকা থানায় মামলা করেন। মামলার পর উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় অভিযান চালিয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

নিখোঁজের ১৮ ঘণ্টা পর স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

নারায়ণগঞ্জের বন্দরে নিখোঁজের প্রায় ১৮ ঘণ্টা পর এক স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। সোমবার (২২ ডিসেম্বর) সকাল ৮ টার দিকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ২০ নম্বর ওয়ার্ডের দড়ি সোনাকান্দা এলাকা থেকে ওই স্কুলছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।

নিহত স্কুল ছাত্রীর নাম আকলিমা (১৩)। সে বন্দরের দড়ি সোনাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণিতে অধ্যয়নরত ছিল। নিহত আকলিমা সোনাকান্দা এলাকার মো. আলীর মেয়ে।

পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, রোববার দুপুরের পর থেকে আকলিমাকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। সম্ভাব্য বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজির পরও তার কোনো সন্ধান মেলেনি। আজ সকালে স্থানীয়রা দড়ি সোনাকান্দা এলাকায় একটি কিশোরীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে।

এ বিষয়ে বন্দর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মুক্তার আশরাফ জানান, রোববার দুপুর থেকে নিখোঁজ সেই স্কুল ছাত্রীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তার মুখে কিছু আচরের চিহ্ন আছে। তার মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ঘটনার প্রকৃত কারণ উদঘাটনে তদন্ত চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত