Ajker Patrika

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়: সিন্ডিকেট থেকে দুই শিক্ষককে অপসারণ করলেন উপাচার্য

নিজস্ব প্রতিবেদক, বরিশাল
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন ও সহ-উপাচার্য ড. গোলাম রাব্বানীর মধ্যে চলমান দ্বন্দ্বের মধ্যেই বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট কমিটি থেকে দুই শিক্ষককে অপসারণ করা হয়েছে। ওই দুই শিক্ষককে ‘স্বৈরাচারের দোসর’ আখ্যা দিয়ে সিন্ডিকেট থেকে সরিয়েছেন উপাচার্য। অভিযোগ উঠেছে, সিন্ডিকেট কমিটিতে নিজের লোক বসাতে উপাচার্য এ কাজ করেছেন।

সিন্ডিকেট থেকে অপসারিত দুই শিক্ষক হলেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. ফরহাদ উদ্দীন এবং সমাজকর্ম বিভাগের প্রভাষক মোস্তাকিম মিয়া। শিক্ষক প্রতিনিধি হিসেবে মেয়াদ দুই বছর হলেও মেয়াদের ছয় মাস বাকি থাকতেই তাঁদের অপসারণ করা হয়েছে। ৬ ফেব্রুয়ারি একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় তাঁদের বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়। উপাচার্য ওই দুই সদস্যকে শিক্ষার্থীদের দাবির অজুহাত দেখিয়েছেন সভায়।

প্রভাষক মোস্তাকিম মিয়া বলেন, ‘আওয়ামী দোসর এক কর্মকর্তাকে ট্রেজারার হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। আমরা শিক্ষকেরা নিয়োগ বাতিল চেয়ে আন্দোলন করি। সে জন্য উপাচার্যের সঙ্গে আমার একবার বাগ্বিতণ্ডা হয়েছিল। এ ছাড়া ওই কর্মকর্তা উপাচার্যের খুবই ঘনিষ্ঠজন ছিলেন। সে জন্য আমার ওপর ব্যক্তিগত ক্ষোভ ছিল উপাচার্যের। এ কারণেই বাদ দিয়েছেন।’

৬ ফেব্রুয়ারির একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় উপস্থিত ছিলেন—এমন এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে আজকের পত্রিকাকে বলেন, একাডেমিক কাউন্সিলের সভার অ্যাজেন্ডায় বিষয়টি ছিল না। তবে ভিসি শুচিতা শরমিন শিক্ষার্থীদের দাবির দোহাই দিয়ে ‘স্বৈরাচারের দোসরদের’ সিন্ডিকেট থেকে বাদ দেওয়ার কথা উল্লেখ করেন। অথচ তাঁর দপ্তরেই আওয়ামী দোসর রয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য ও কোস্টাল স্টাডিজ বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. হাফিজ আশরাফুল হক বলেন, ভিসি ক্ষমতার অপব্যবহার করেছেন। তিনি যে হিসেবে দুজনকে বাদ দিয়েছেন, তাতে সঙ্গে সঙ্গে শূন্য পদ পূরণ করার কথা। অথচ তিনি এটি না করে বলেছেন, এটা নিয়ে পরে ভাববেন। এ থেকে বোঝা যায়, এটি উপাচার্যের স্বেচ্ছাচারিতা ছাড়া কিছুই নয়। তিনি আরও বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন দপ্তরে এমনকি উপাচার্যের নিজ দপ্তরেও স্বৈরাচারের দোসর রয়েছে। সেখানে কোনো সমস্যা হচ্ছে না। বিরোধী মতাদর্শের লোককে স্বৈরাচারের দোসর আখ্যা দিয়ে অপসারণ করা শিক্ষকদের জন্য অসম্মানজনক।

এ প্রসঙ্গে শুচিতা শরমিনকে একাধিকবার ফোন করা হলেও তিনি ধরেননি। ভিসির কার্যালয়ের একাধিক সূত্র বলেছে, তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে নেই। এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সচিব ও বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মনিরুল ইসলাম কোনো মন্তব্য করতে রাজি হননি।

এর আগে সম্প্রতি বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য ড. গোলাম রাব্বানী একাডেমিক বিষয়ক সভা ডেকে বিভাগীয় চেয়ারম্যানদের চিঠি দিলে তা আমলে না নিতে পাল্টা চিঠি দেন উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিন। তার জবাবে উপাচার্যকে চিঠি প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়ে চিঠি দিয়েছেন সহ-উপাচার্য। এ নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েছেন উপাচার্য শুচিতা শরমিন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এবার ‘পাকিস্তানপন্থার’ বিরুদ্ধে ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিলেন আসিফ মাহমুদ

সমাবেশে দলীয় স্লোগান ও জাতীয় সংগীত পরিবেশনে বাধা দেওয়া প্রসঙ্গে এনসিপির বিবৃতি

বাহাত্তরের সংবিধান, জুলাই সনদ, প্রধানমন্ত্রী ও প্রধান বিচারপতির ক্ষমতা নিয়ে আইন উপদেষ্টার গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য

প্রেমের ফাঁদে ফেলে ওষুধ কোম্পানির কর্মকর্তাকে হত্যা

চাকরিতে কোটা: সমতলের ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর জন্য আসছে সমান সুযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত