শিমুল চৌধুরী, ভোলা

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের কথা।
ছোটবেলা থেকে ঢাকা মীরের বাগ এলাকায় বসবাস করছিল তারা। সেখানে একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে আরিফ। বাবা আচমত আলী নদীতে মাছ শিকার করতেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস এসে তাঁদের জীবনকে যেন এলোমেলো করে দিল। তিন ভাই আর এক বোনের সংসারে দেখা দেয় অভাব অনটন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। মা একজন মানসিক রোগী। ফলে অভাবের তাড়নায় এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই গত প্রায় ১ বছর আগে গ্রামের বাড়ি ও নানা বাড়ি ভোলায় চলে আসে। সেখানে এসে ভোলা সদরের শিবপুরের শান্তিরহাট মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত হাফিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে শ্রমিকের কাজ শুরু করে।
ওয়ার্কশপের মালিক মো. বাচ্চু জানান, করোনার কারণে দরিদ্র আরিফের সংসারে অভাব দেখা দিলে সে পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকা থেকে ভোলায় নিজ গ্রামের বাড়ি চলে আসে। ওদের ৪ ভাই-বোনের অভাবী সংসারের অসহায়ত্ব দেখে তিনি আরিফকে দুই হাজার টাকা বেতনে ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেন। তার সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করে দেন।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় গড়ে ওঠা মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় ৪-৫ জন শিশুকে সুতার কাজ করতে দেখা গেছে। তাদের সবাই সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে ১৪ বছরের শিশু মো. জোনায়েদ জানায়, সে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা বাজার সংলগ্ন আল এহসান হোসাইনিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ কারখানায় এসে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে সুতার কাজ করছে সে। সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জোনায়েদ সবার বড়।
প্লাস্টিকের এ কারখানায় একই কাজ করছে ১৩ বছরের শিশু জিসান। তার বাবা মো. হেলাল উদ্দিন একজন কৃষক। জিসান ওই এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। আর তাই এ দরিদ্র বড় ভাইয়ের ওপর দায়িত্বও বড়। সেই চিন্তা করে করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অভাবের সংসারে আয় করতে গত প্রায় ১ বছর আগে স্কুল থেকে দূরে সরে গিয়ে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে এ কারখানায় সুতার কাজ করছে সে।
স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ রেখে একই কাজ করছে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী (১৪)। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র মেহেদীর জন্মের পর পরই তার বাবা জসিম মারা যান। আর মা লাইজুর অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেহেদী। তাই মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় সুতার কাজ করতে হচ্ছে এ শিশুটির। তিন বেলা খাবারের পর মাস শেষে যে দুই হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়েই কোনোমতে চলে যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু মেহেদীর সংসার।
স্কুল ছেড়ে দিয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে মো. ওমর নামের আরেক স্কুলছাত্র। সে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত প্রায় ২ মাস আগে স্কুল ছেড়ে এ কাজে যোগ দেয়। ওমরের বাবা বাবুল একজন দরিদ্র দিন মজুর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এ কাজে নেমেছে এসব শিশুরা। স্কুল ছেড়ে এখন এটাই তাদের একমাত্র কাজ। একদিকে ব্যাপক সমারোহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্কুল থেকে ছিটকে পড়া এমন বহু শিশু-কিশোরের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। যেই হাতে বই-খাতা আর কলম থাকার কথা, করোনাভাইরাস সে হাতে তুলে দিয়েছে লোহালক্কড়ের কঠিন কাজ। স্কুলগামী এসব কোমলমতি শিশুদের পরিণত করেছে ইস্পাতের কাঠামোয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া উপকূলের অধিকাংশ অসহায় শিশুর গল্পগুলো প্রায় একই রকম।
এ ব্যাপারে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে কি’না সেটা এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কি পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে সেটা এক বছর পর জানা যাবে। তবে গত দুই দিনে ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী অভাবের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজে জড়িয়ে পড়েছে তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেন্ড চান্স নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেখানে ১৪ ক্লাস পর্যন্ত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই হবে না। দ্বীপ ও উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষার্থী গরিব ও অসহায়। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে দূরে সরে গেছে। অনেকে কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে হলে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানোর কর্মসূচি নিতে হবে। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোও শিশুদের স্কুলে ফেরাতে বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।
এ দিকে ভোলায় কর্মরত ড্রপ ইনটিগ্রিটি ইন স্কুল ওয়াশ প্রকল্পের স্কুল মোবিলাইজার শান্তা মুনিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। তিনি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও যৌথ গবেষণার বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের কথা।
ছোটবেলা থেকে ঢাকা মীরের বাগ এলাকায় বসবাস করছিল তারা। সেখানে একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে আরিফ। বাবা আচমত আলী নদীতে মাছ শিকার করতেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস এসে তাঁদের জীবনকে যেন এলোমেলো করে দিল। তিন ভাই আর এক বোনের সংসারে দেখা দেয় অভাব অনটন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। মা একজন মানসিক রোগী। ফলে অভাবের তাড়নায় এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই গত প্রায় ১ বছর আগে গ্রামের বাড়ি ও নানা বাড়ি ভোলায় চলে আসে। সেখানে এসে ভোলা সদরের শিবপুরের শান্তিরহাট মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত হাফিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে শ্রমিকের কাজ শুরু করে।
ওয়ার্কশপের মালিক মো. বাচ্চু জানান, করোনার কারণে দরিদ্র আরিফের সংসারে অভাব দেখা দিলে সে পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকা থেকে ভোলায় নিজ গ্রামের বাড়ি চলে আসে। ওদের ৪ ভাই-বোনের অভাবী সংসারের অসহায়ত্ব দেখে তিনি আরিফকে দুই হাজার টাকা বেতনে ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেন। তার সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করে দেন।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় গড়ে ওঠা মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় ৪-৫ জন শিশুকে সুতার কাজ করতে দেখা গেছে। তাদের সবাই সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে ১৪ বছরের শিশু মো. জোনায়েদ জানায়, সে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা বাজার সংলগ্ন আল এহসান হোসাইনিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ কারখানায় এসে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে সুতার কাজ করছে সে। সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জোনায়েদ সবার বড়।
প্লাস্টিকের এ কারখানায় একই কাজ করছে ১৩ বছরের শিশু জিসান। তার বাবা মো. হেলাল উদ্দিন একজন কৃষক। জিসান ওই এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। আর তাই এ দরিদ্র বড় ভাইয়ের ওপর দায়িত্বও বড়। সেই চিন্তা করে করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অভাবের সংসারে আয় করতে গত প্রায় ১ বছর আগে স্কুল থেকে দূরে সরে গিয়ে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে এ কারখানায় সুতার কাজ করছে সে।
স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ রেখে একই কাজ করছে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী (১৪)। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র মেহেদীর জন্মের পর পরই তার বাবা জসিম মারা যান। আর মা লাইজুর অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেহেদী। তাই মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় সুতার কাজ করতে হচ্ছে এ শিশুটির। তিন বেলা খাবারের পর মাস শেষে যে দুই হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়েই কোনোমতে চলে যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু মেহেদীর সংসার।
স্কুল ছেড়ে দিয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে মো. ওমর নামের আরেক স্কুলছাত্র। সে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত প্রায় ২ মাস আগে স্কুল ছেড়ে এ কাজে যোগ দেয়। ওমরের বাবা বাবুল একজন দরিদ্র দিন মজুর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এ কাজে নেমেছে এসব শিশুরা। স্কুল ছেড়ে এখন এটাই তাদের একমাত্র কাজ। একদিকে ব্যাপক সমারোহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্কুল থেকে ছিটকে পড়া এমন বহু শিশু-কিশোরের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। যেই হাতে বই-খাতা আর কলম থাকার কথা, করোনাভাইরাস সে হাতে তুলে দিয়েছে লোহালক্কড়ের কঠিন কাজ। স্কুলগামী এসব কোমলমতি শিশুদের পরিণত করেছে ইস্পাতের কাঠামোয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া উপকূলের অধিকাংশ অসহায় শিশুর গল্পগুলো প্রায় একই রকম।
এ ব্যাপারে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে কি’না সেটা এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কি পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে সেটা এক বছর পর জানা যাবে। তবে গত দুই দিনে ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী অভাবের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজে জড়িয়ে পড়েছে তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেন্ড চান্স নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেখানে ১৪ ক্লাস পর্যন্ত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই হবে না। দ্বীপ ও উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষার্থী গরিব ও অসহায়। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে দূরে সরে গেছে। অনেকে কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে হলে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানোর কর্মসূচি নিতে হবে। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোও শিশুদের স্কুলে ফেরাতে বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।
এ দিকে ভোলায় কর্মরত ড্রপ ইনটিগ্রিটি ইন স্কুল ওয়াশ প্রকল্পের স্কুল মোবিলাইজার শান্তা মুনিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। তিনি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও যৌথ গবেষণার বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন।
শিমুল চৌধুরী, ভোলা

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের কথা।
ছোটবেলা থেকে ঢাকা মীরের বাগ এলাকায় বসবাস করছিল তারা। সেখানে একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে আরিফ। বাবা আচমত আলী নদীতে মাছ শিকার করতেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস এসে তাঁদের জীবনকে যেন এলোমেলো করে দিল। তিন ভাই আর এক বোনের সংসারে দেখা দেয় অভাব অনটন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। মা একজন মানসিক রোগী। ফলে অভাবের তাড়নায় এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই গত প্রায় ১ বছর আগে গ্রামের বাড়ি ও নানা বাড়ি ভোলায় চলে আসে। সেখানে এসে ভোলা সদরের শিবপুরের শান্তিরহাট মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত হাফিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে শ্রমিকের কাজ শুরু করে।
ওয়ার্কশপের মালিক মো. বাচ্চু জানান, করোনার কারণে দরিদ্র আরিফের সংসারে অভাব দেখা দিলে সে পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকা থেকে ভোলায় নিজ গ্রামের বাড়ি চলে আসে। ওদের ৪ ভাই-বোনের অভাবী সংসারের অসহায়ত্ব দেখে তিনি আরিফকে দুই হাজার টাকা বেতনে ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেন। তার সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করে দেন।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় গড়ে ওঠা মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় ৪-৫ জন শিশুকে সুতার কাজ করতে দেখা গেছে। তাদের সবাই সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে ১৪ বছরের শিশু মো. জোনায়েদ জানায়, সে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা বাজার সংলগ্ন আল এহসান হোসাইনিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ কারখানায় এসে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে সুতার কাজ করছে সে। সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জোনায়েদ সবার বড়।
প্লাস্টিকের এ কারখানায় একই কাজ করছে ১৩ বছরের শিশু জিসান। তার বাবা মো. হেলাল উদ্দিন একজন কৃষক। জিসান ওই এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। আর তাই এ দরিদ্র বড় ভাইয়ের ওপর দায়িত্বও বড়। সেই চিন্তা করে করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অভাবের সংসারে আয় করতে গত প্রায় ১ বছর আগে স্কুল থেকে দূরে সরে গিয়ে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে এ কারখানায় সুতার কাজ করছে সে।
স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ রেখে একই কাজ করছে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী (১৪)। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র মেহেদীর জন্মের পর পরই তার বাবা জসিম মারা যান। আর মা লাইজুর অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেহেদী। তাই মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় সুতার কাজ করতে হচ্ছে এ শিশুটির। তিন বেলা খাবারের পর মাস শেষে যে দুই হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়েই কোনোমতে চলে যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু মেহেদীর সংসার।
স্কুল ছেড়ে দিয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে মো. ওমর নামের আরেক স্কুলছাত্র। সে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত প্রায় ২ মাস আগে স্কুল ছেড়ে এ কাজে যোগ দেয়। ওমরের বাবা বাবুল একজন দরিদ্র দিন মজুর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এ কাজে নেমেছে এসব শিশুরা। স্কুল ছেড়ে এখন এটাই তাদের একমাত্র কাজ। একদিকে ব্যাপক সমারোহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্কুল থেকে ছিটকে পড়া এমন বহু শিশু-কিশোরের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। যেই হাতে বই-খাতা আর কলম থাকার কথা, করোনাভাইরাস সে হাতে তুলে দিয়েছে লোহালক্কড়ের কঠিন কাজ। স্কুলগামী এসব কোমলমতি শিশুদের পরিণত করেছে ইস্পাতের কাঠামোয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া উপকূলের অধিকাংশ অসহায় শিশুর গল্পগুলো প্রায় একই রকম।
এ ব্যাপারে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে কি’না সেটা এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কি পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে সেটা এক বছর পর জানা যাবে। তবে গত দুই দিনে ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী অভাবের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজে জড়িয়ে পড়েছে তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেন্ড চান্স নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেখানে ১৪ ক্লাস পর্যন্ত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই হবে না। দ্বীপ ও উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষার্থী গরিব ও অসহায়। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে দূরে সরে গেছে। অনেকে কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে হলে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানোর কর্মসূচি নিতে হবে। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোও শিশুদের স্কুলে ফেরাতে বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।
এ দিকে ভোলায় কর্মরত ড্রপ ইনটিগ্রিটি ইন স্কুল ওয়াশ প্রকল্পের স্কুল মোবিলাইজার শান্তা মুনিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। তিনি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও যৌথ গবেষণার বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের কথা।
ছোটবেলা থেকে ঢাকা মীরের বাগ এলাকায় বসবাস করছিল তারা। সেখানে একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করতে আরিফ। বাবা আচমত আলী নদীতে মাছ শিকার করতেন। কিন্তু মহামারি করোনাভাইরাস এসে তাঁদের জীবনকে যেন এলোমেলো করে দিল। তিন ভাই আর এক বোনের সংসারে দেখা দেয় অভাব অনটন। বাবা দ্বিতীয় বিয়ে করে অন্যত্র চলে যান। মা একজন মানসিক রোগী। ফলে অভাবের তাড়নায় এবং অনেকটা বাধ্য হয়েই গত প্রায় ১ বছর আগে গ্রামের বাড়ি ও নানা বাড়ি ভোলায় চলে আসে। সেখানে এসে ভোলা সদরের শিবপুরের শান্তিরহাট মেঘনা নদীর পাড়ে অবস্থিত হাফিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ওয়ার্কশপে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে শ্রমিকের কাজ শুরু করে।
ওয়ার্কশপের মালিক মো. বাচ্চু জানান, করোনার কারণে দরিদ্র আরিফের সংসারে অভাব দেখা দিলে সে পড়াশোনা বন্ধ করে ঢাকা থেকে ভোলায় নিজ গ্রামের বাড়ি চলে আসে। ওদের ৪ ভাই-বোনের অভাবী সংসারের অসহায়ত্ব দেখে তিনি আরিফকে দুই হাজার টাকা বেতনে ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেন। তার সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও করে দেন।
ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের রতনপুর এলাকায় গড়ে ওঠা মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় ৪-৫ জন শিশুকে সুতার কাজ করতে দেখা গেছে। তাদের সবাই সম্প্রতি করোনাভাইরাসের কারণে স্কুল-মাদ্রাসা থেকে ঝরে পড়া শিক্ষার্থী।
এদের মধ্যে ১৪ বছরের শিশু মো. জোনায়েদ জানায়, সে সদর উপজেলার ইলিশা ইউনিয়নের ইলিশা বাজার সংলগ্ন আল এহসান হোসাইনিয়া মাদ্রাসার পঞ্চম শ্রেণির ছাত্র। করোনার কারণে স্কুল বন্ধ থাকায় গত প্রায় দুই সপ্তাহ আগে এ কারখানায় এসে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে সুতার কাজ করছে সে। সঙ্গে তিন বেলা খাবারের ব্যবস্থাও রয়েছে। দুই ভাই ও এক বোনের মধ্যে জোনায়েদ সবার বড়।
প্লাস্টিকের এ কারখানায় একই কাজ করছে ১৩ বছরের শিশু জিসান। তার বাবা মো. হেলাল উদ্দিন একজন কৃষক। জিসান ওই এলাকার রতনপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের তৃতীয় শ্রেণির ছাত্র। তিন ভাইয়ের মধ্যে সে সবার বড়। আর তাই এ দরিদ্র বড় ভাইয়ের ওপর দায়িত্বও বড়। সেই চিন্তা করে করোনায় স্কুল বন্ধ থাকায় অভাবের সংসারে আয় করতে গত প্রায় ১ বছর আগে স্কুল থেকে দূরে সরে গিয়ে দুই হাজার টাকা মাসিক বেতনে এ কারখানায় সুতার কাজ করছে সে।
স্কুলের পড়াশোনা বন্ধ রেখে একই কাজ করছে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র মেহেদী (১৪)। দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হতদরিদ্র মেহেদীর জন্মের পর পরই তার বাবা জসিম মারা যান। আর মা লাইজুর অন্যত্র বিয়ে হওয়ায় পড়াশোনা ছেড়ে দিয়ে সংসারের হাল ধরে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী মেহেদী। তাই মিনার প্লাস্টিকের কারখানায় সুতার কাজ করতে হচ্ছে এ শিশুটির। তিন বেলা খাবারের পর মাস শেষে যে দুই হাজার টাকা বেতন পায় তা দিয়েই কোনোমতে চলে যায় দৃষ্টি প্রতিবন্ধী শিশু মেহেদীর সংসার।
স্কুল ছেড়ে দিয়ে এ কাজে জড়িয়ে পড়েছে মো. ওমর নামের আরেক স্কুলছাত্র। সে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণির ছাত্র। গত প্রায় ২ মাস আগে স্কুল ছেড়ে এ কাজে যোগ দেয়। ওমরের বাবা বাবুল একজন দরিদ্র দিন মজুর।
দেশে করোনাভাইরাসের প্রকোপ বেড়ে যাওয়ায় স্কুল বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর থেকেই এ কাজে নেমেছে এসব শিশুরা। স্কুল ছেড়ে এখন এটাই তাদের একমাত্র কাজ। একদিকে ব্যাপক সমারোহে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে স্কুল থেকে ছিটকে পড়া এমন বহু শিশু-কিশোরের দীর্ঘশ্বাস বাড়ছে। যেই হাতে বই-খাতা আর কলম থাকার কথা, করোনাভাইরাস সে হাতে তুলে দিয়েছে লোহালক্কড়ের কঠিন কাজ। স্কুলগামী এসব কোমলমতি শিশুদের পরিণত করেছে ইস্পাতের কাঠামোয়। স্কুল থেকে ঝরে পড়া উপকূলের অধিকাংশ অসহায় শিশুর গল্পগুলো প্রায় একই রকম।
এ ব্যাপারে রতনপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকেরা বলছেন, কোনো শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে কি’না সেটা এক সপ্তাহ পর বোঝা যাবে। এই মুহূর্তে এ বিষয়ে তেমন কিছু বলা যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে ভোলা সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার শেখর রঞ্জন ভক্ত মঙ্গলবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, কি পরিমাণ শিক্ষার্থী স্কুল থেকে ঝরে পড়েছে সেটা এক বছর পর জানা যাবে। তবে গত দুই দিনে ৭৩ থেকে ৭৫ শতাংশ শিক্ষার্থী স্কুলে উপস্থিত পাওয়া যাচ্ছে। তিনি আরও বলেন, যে সব শিক্ষার্থী অভাবের কারণে বিভিন্ন জায়গায় কাজে জড়িয়ে পড়েছে তাদের স্কুলে ফিরিয়ে আনতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। এ ছাড়া সেকেন্ড চান্স নামে একটি প্রকল্প চালু করা হয়েছে। যেখানে ১৪ ক্লাস পর্যন্ত ঝরে পড়া শিক্ষার্থীদের শনাক্ত করে তাদের পাঠদানের ব্যবস্থা করা হবে।
এ বিষয়ে ভোলার বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ নাজিউর রহমান ডিগ্রি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ এম ফারুকুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, শুধু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খুলে দিলেই হবে না। দ্বীপ ও উপকূলীয় এলাকার অনেক শিক্ষার্থী গরিব ও অসহায়। দীর্ঘ সময় স্কুল বন্ধ থাকার কারণে অনেক শিক্ষার্থী স্কুল থেকে দূরে সরে গেছে। অনেকে কাজে জড়িয়ে পড়েছে। এসব শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরাতে হলে সরকারকে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে। প্রয়োজনে আর্থিক সহায়তার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্কুলে ফেরানোর কর্মসূচি নিতে হবে। সেই সঙ্গে এনজিওগুলোও শিশুদের স্কুলে ফেরাতে বিভিন্নভাবে পদক্ষেপ নিতে পারে।
এ দিকে ভোলায় কর্মরত ড্রপ ইনটিগ্রিটি ইন স্কুল ওয়াশ প্রকল্পের স্কুল মোবিলাইজার শান্তা মুনিয়া আজকের পত্রিকাকে জানান, প্রাথমিক পর্যায়ে ১৯ ও মাধ্যমিক পর্যায়ে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পড়াশোনার বাইরে চলে গেছে। ২০২০ সালের এপ্রিল থেকে ২০২১ সালের মার্চ পর্যন্ত এই জরিপ পরিচালিত হয়। তিনি বেসরকারি গবেষণা সংস্থা ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অব ডেভেলপমেন্ট অ্যান্ড গভর্ন্যান্সের (বিআইজিডি) ও পাওয়ার অ্যান্ড পার্টিসিপেটরি রিসার্চ সেন্টার (পিপিআরসি) ও যৌথ গবেষণার বরাত দিয়ে এসব কথা বলেন।

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২৮ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৩৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেচাঁদপুর প্রতিনিধি

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো কলেজ এলাকা শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান খান, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের চাঁদপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।
নেতারা বক্তব্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই সঙ্গে তাঁরা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার সময় শরিফ ওসমান হাদির প্রতীকী কফিন সামনে রেখে শপথবাক্য পাঠ করান ইনকিলাব মঞ্চের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ। শপথে হাদির আদর্শ বাস্তবায়ন এবং ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
জানাজা শেষে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে একটি কফিন মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
কফিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে হামলার প্রতিবাদ জানান এবং বিচার দাবি করেন।

চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে।
শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় পুরো কলেজ এলাকা শোকাবহ পরিবেশে পরিণত হয়।
জানাজার আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন চাঁদপুর শহর জামায়াতে ইসলামীর আমির অ্যাডভোকেট মো. শাহাজান খান, এনসিপির জেলা সমন্বয়ক মো. মাহবুব আলম এবং গণঅধিকার পরিষদের চাঁদপুর জেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।
নেতারা বক্তব্যে শরিফ ওসমান হাদির ওপর সংঘটিত হামলা ও মৃত্যুর ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেন এবং ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের দ্রুত গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানান।
একই সঙ্গে তাঁরা গণতন্ত্র, মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও নিরাপদ রাজনৈতিক পরিবেশ নিশ্চিত করার আহ্বান জানান।
এ সময় ইনকিলাব মঞ্চসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সামাজিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দ এবং সর্বস্তরের মানুষ উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার সময় শরিফ ওসমান হাদির প্রতীকী কফিন সামনে রেখে শপথবাক্য পাঠ করান ইনকিলাব মঞ্চের নেতা নিয়াজ মোর্শেদ। শপথে হাদির আদর্শ বাস্তবায়ন এবং ন্যায়ের পক্ষে আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার ব্যক্ত করা হয়।
জানাজা শেষে সরকারি কলেজ মাঠ থেকে একটি কফিন মিছিল বের করে ছাত্র-জনতা। মিছিলটি কলেজ মাঠ থেকে শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে রেলওয়ে জামে মসজিদ চত্বরে গিয়ে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
কফিন মিছিলে অংশগ্রহণকারীরা বিভিন্ন স্লোগানের মাধ্যমে হামলার প্রতিবাদ জানান এবং বিচার দাবি করেন।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২৮ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৩৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্মীয় কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাস হত্যা ও লাশ পোড়ানোর মামলায় প্রধান অভিযুক্তসহ ১০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাতে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) এবং জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখা (ডিবি) তাঁদের গ্রেপ্তার করে।

আজ শনিবার ময়মনসিংহ র্যাব-১৪-এর সদর সপ্তরে সংবাদ সম্মেলনে সাতজনের গ্রেপ্তারের তথ্য জানানো হয়।
র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন তারেক হোসেন (১৯), লিমন সরকার, মানিক মিয়া (২০), এরশাদ আলী (৩৯), নিঝুম উদ্দিন (২০), আলমগীর হোসেন (৩৮) ও মিরাজ হোসেন আকন (৪৬)। তাঁদের মধ্যে আলমগীর হোসেন পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড কোম্পানির ফ্লোর ম্যানেজার এবং মিরাজ হোসেন আকন কোয়ালিটি ইনচার্জ।
ডিবির হাতে গ্রেপ্তার আসামিরা হলেন আজমল হাসান সগীর (২৬), শাহিন মিয়া (১৯) ও মো. নাজমুল।
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন। বিষয়টি বাইরে ছড়িয়ে পড়লে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে না জানিয়ে দিপুকে জনতার হাতে তুলে দেওয়া হয়। পরে এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। হত্যার পর গাছের ডালে বেঁধে লাশে আগুন দেওয়া গ্রহণযোগ্য নয়। হত্যাকারীরা কেউ রাজনৈতিক দলের সঙ্গে জড়িত নন। বাকি আসামিদেরও দ্রুত গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে গত বৃহস্পতিবার রাতে ভালুকা উপজেলায় ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে যুবক দিপু চন্দ্র দাসকে (২৮) পিটিয়ে হত্যা করা হয়। পরে তাঁর লাশে আগুন দেওয়া হয়। এ ঘটনায় ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক প্রায় দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখা হয়। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে এবং অর্ধপোড়া লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল মর্গে পাঠায়।
এ ঘটনায় শুক্রবার বিকেলে দিপুর ছোট ভাই অপু চন্দ্র দাস বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় ১৫০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করে হত্যা মামলা করেন।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৩৪ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেরাবি প্রতিনিধি

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
গত বৃহস্পতিবার রাতে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে তাৎক্ষণিকভাবে বিক্ষোভ মিছিল–পরবর্তী সমাবেশে এমন কথা বলেন তিনি।
মোস্তাকুর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রশিবির সভাপতি পদেও আছেন। তাঁর বক্তব্যের একটি ভিডিও ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
বিক্ষোভ সমাবেশে রাবি শিবির সভাপতি মোস্তাকুর রহমান বলেন, ‘আমরা আজকের এই প্রোগ্রাম থেকে ঘোষণা দিচ্ছি, প্রথম আলো, ডেইলি স্টারসহ এসব সুশীল সংবাদ পত্রিকাকে অবশ্যই বন্ধ করতে হবে। আমরা মনে করি, এই প্রোগ্রামে যদি প্রথম আলো, ডেইলি স্টার পত্রিকার কোনো সাংবাদিক আসেন, তাহলে এখনই এখান থেকে চলে যাবেন।’
শিবির নেতা মোস্তাকুর এই বক্তব্য দেওয়ার কিছু সময় আগে ঢাকায় প্রথম আলোর কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। একপর্যায়ে এই দুর্বৃত্তদের একটি অংশ ঢাকার কাজী নজরুল ইসলাম অ্যাভিনিউয়ে অবস্থিত ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা করে ভবনটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। সেখানে ডেইলি স্টারের বহু কর্মী আটকা পড়েন। কয়েক ঘণ্টার প্রচেষ্টায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা তাঁদের উদ্ধার করেন।
রাজশাহীতে অবস্থিত ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে উল্লেখ করে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান বিক্ষোভ সমাবেশে বলেন, ‘আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে কোনো প্রকার আওয়ামী ফ্যাসিস্ট শিক্ষক ক্লাসে আসতে পারবে না। আমরা ঘোষণা দিচ্ছি, হাদি ভাইয়ের রক্ত থেকে লক্ষ হাদি জন্ম নিব, ইনশা আল্লাহ। ভারতীয় হাইকমিশন বাংলাদেশে মাত্র দুইটা। তার মধ্যে একটা রাজশাহীতে। আমরা বলব, রাজশাহীতে ভারতীয় হাইকমিশন উচ্ছেদ করে দিতে হবে।’
রাবি ভিপি ও শিবির নেতার এমন বক্তব্যের নিন্দা জানিয়ে আজ শনিবার বিবৃতি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা।
দুপুরে এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে শিক্ষার্থীরা সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত শরিফ ওসমান বিন হাদির আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন। একই সঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক বিচার নিশ্চিত করার দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে একটি গোষ্ঠী পরিকল্পিতভাবে দেশের শীর্ষস্থানীয় বাংলা দৈনিক প্রথম আলো, ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার-এর কার্যালয় এবং সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান ছায়ানট ও উদীচীতে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ ও লুটপাট চালিয়েছে। এ সময় ইংরেজি দৈনিক নিউ এজ-এর সম্পাদক ও সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরের ওপর হামলার ঘটনাও ঘটে।
বিজ্ঞপ্তিতে রাকসু ভিপি মোস্তাকুর রহমান জাহিদের বক্তব্য নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের শিক্ষার্থীরা। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) হাদি হত্যার প্রতিবাদে আয়োজিত সমাবেশে তিনি প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, এসব পত্রিকার কোনো প্রতিনিধি উপস্থিত থাকলে কর্মসূচি থেকে বের হয়ে যেতে। যা দায়িত্বশীল অবস্থান থেকে দেওয়া এমন বক্তব্য অত্যন্ত নিন্দনীয় এবং তা চলমান উগ্রতাকে আরও উসকে দেয়। তাঁরা ওই বক্তব্য অবিলম্বে প্রত্যাহারের দাবি জানান।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরও দেশজুড়ে আওয়ামী নৈরাজ্য, মব সন্ত্রাস, উগ্রবাদ এবং জাতীয় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর হত্যাকাণ্ড ও অরাজকতা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের চরম ব্যর্থতার পরিচয় বহন করে, যা গণতান্ত্রিক রূপান্তরের পথে বড় বাধা। সংশ্লিষ্ট সকল অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত করে আইনের আওতায় এনে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২৮ মিনিট আগে
দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড হয়েছে রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবনের। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
১ ঘণ্টা আগেরিমন রহমান, রাজশাহী

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

দ্বিতীয় স্ত্রীর করা ভরণপোষণের মামলায় তিন মাসের কারাদণ্ড পেয়েছেন রাজশাহীর চারঘাট উপজেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক জহুরুল হক জীবন। পুলিশের চোখে তিনি এখন পলাতক, তাঁকে খুঁজেই পাওয়া যাচ্ছে না। অথচ প্রকাশ্যেই ঘুরে বেড়াচ্ছেন জীবন।
এমনকি বিএনপির একজন ‘বিদ্রোহী’ প্রার্থীর পক্ষে তিনি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয় থেকে মনোনয়ন ফরমও সংগ্রহ করেছেন। গত বুধবার অন্য নেতাদের সঙ্গে জীবনও সেখানে যান। তখনকার ছবিতে দেখা যাচ্ছে, সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস এবং উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) রাহাতুল করিম মিজানের মাঝে দাঁড়িয়ে আছেন সাজাপ্রাপ্ত বিএনপি নেতা জহরুল হক জীবন।
রাজশাহী-৬ (বাঘা-চারঘাট) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা কমিটির আহ্বায়ক আবু সাঈদ চাঁদ। তবে দলের মনোনয়ন প্রত্যাশা করছেন জেলা যুবদলের সাবেক আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলও। মনোনয়ন না পেলে হতে পারেন ‘বিদ্রোহী’। বুধবার তাঁর পক্ষেই সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার কাছ থেকে মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করেন জীবন। তাঁর সঙ্গে বাঘা উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও চারঘাট উপজেলার সাধারণ সম্পাদক মুরাদ পাশাও উপস্থিত ছিলেন।
মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করার সময় তাঁরা সাজাপ্রাপ্ত আসামি জীবনের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন। জীবন যখন মনোনয়ন ফরম সংগ্রহ করতে যান, তখনো উপজেলা ক্যাম্পাসে পুলিশের একটি ভ্যান ছিল। সবার সামনে প্রকাশ্যেই ছিলেন জীবন। তবে পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ইউএনও ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা জান্নাতুল ফেরদৌস বলেন, ‘এ বিষয়ে আমি কী মন্তব্য করব? এটা যাদের কাজ (পুলিশ), তাদেরকেই জিজ্ঞেস করুন।’ সাজাপ্রাপ্ত আসামিকে দিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে কথা বলতে জেলা বিএনপির সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আনোয়ার হোসেন উজ্জ্বলকে ফোন করা হয়। তবে ব্যস্ত আছেন জানিয়ে তিনি কথা বলতে চাননি।
কাগজপত্রে দেখা যায়, জহুরুল হক জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী সোনিয়া খাতুন তাঁর মোহরানা ও দুই সন্তানের ভরণপোষণের দাবিতে রাজশাহীর পারিবারিক আদালতে মামলা করেছিলেন। জীবন তা তোয়াক্কা না করে আদালতে হাজিরই হননি। এ অবস্থায় গত ৫ নভেম্বর একতরফা রায় দেন আদালত। রায়ে সোনিয়ার মোহরানা ও সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ ৪ লাখ ২৯ হাজার টাকা দিতে জীবনকে নির্দেশ দেওয়া হয়। পাশাপাশি তাঁকে তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর দেড় মাস পার হলেও জীবন গ্রেপ্তার হননি।
স্থানীয়রা জানান, ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌসের স্বামী ইশতিয়াক আহমেদ শুভর সঙ্গে জহুরুল হক জীবনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক। ইউএনও জান্নাতুল ফেরদৌস চারঘাট পৌরসভার প্রশাসক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। জীবন বিভিন্ন লাইসেন্সে চারঘাট উপজেলা ও পৌরসভার ঠিকাদারি কাজ করছেন। কাজের মান নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয় না। সাজা পরোয়ানা মাথায় নিয়ে তিনি উপজেলা ও পৌরসভা ঘুরে বেড়াচ্ছেন। ইউএনওর কাছে কাজের বিল দাখিল করছেন। পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করছে না।
মামলার বাদী সোনিয়া খাতুন বলেন, ‘আমি জীবনের দ্বিতীয় স্ত্রী। মামলা করার কারণে সে আমাকে অব্যাহতভাবে ফোনে হুমকি দিয়ে যাচ্ছে। বিএনপির প্রভাবের কারণে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করছে না। আমার জীবনের এখন কোনো নিরাপত্তা নাই। যেকোনো সময় ক্ষতি হতে পারে।’ তিনি বলেন, ‘মামলার রায় হওয়ার পরও জীবন আমার বাড়িতে এসে আমাকে মারধর করে গেছে। থানা-পুলিশ-মামলা করে কোনো লাভ নাই বলে সে আমাকে জানিয়ে গেছে। বলে গেছে, থানায় সে ফ্যান-টিভি কিনে দিয়েছে। থানা তার কিছুই করবে না।’
গ্রেপ্তারি পরোয়ানা নিয়ে ঘুরে বেড়ানোর বিষয়ে জানতে চাইলে বিএনপি নেতা জহুরুল হক জীবন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার স্ত্রী গোপনে মামলা করে। নোটিশ চেপে রেখে একতরফা রায় নেয়। সাজার বিষয়ে আমি জানতে পেরে আদালতে টাকা জমা দিয়েছি। সামনের তারিখে হয়তো কাগজ পেয়ে যাব। তারপর সেটি থানায় এনে জমা দেব। এখন পর্যন্ত দিতে পারিনি, এটা আমারই ফল্ট।’ স্ত্রীর অভিযোগের সবই মিথ্যা বলে দাবি করেন তিনি।
জীবনের সাজা পরোয়ানা এবং তাঁকে গ্রেপ্তার না করার ব্যাপারে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে চারঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হেলাল উদ্দিন ফারুকীর কাছে জানতে চাওয়া হয়। তখন তিনি মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র চান এবং সেটি দেখার পরে মন্তব্য করবেন বলে জানান। বৃহস্পতিবারই ওসির হোয়াটসঅ্যাপে জীবনের মামলা-সংক্রান্ত কাগজপত্র পাঠানো হয়। কিন্তু পরে আর ফোন ধরেননি ওসি। শুক্র ও শনিবারও তিনি ফোন ধরেননি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চারঘাট থানা থেকে বিষয়টি জানার জন্য কিছুক্ষণ সময় নেন জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন। পরে তিনি আজকের পত্রিকাকে জানান, জহুরুল হক জীবনের বিরুদ্ধে থানায় গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। পুলিশ তাঁকে খুঁজে পায় না।
ইউএনওর কার্যালয়ে গিয়ে মনোনয়ন ফরম তোলার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, চারঘাট থানার ওসি তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি থানায় নতুন এসেছেন। বিষয়টি বুঝে উঠতে পারেননি। তবে আসামি যে-ই হোক না কেন, তাঁকে দ্রুত গ্রেপ্তারের জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলেও জানান অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাবিনা ইয়াসমিন।

উপকূলীয় দ্বীপ জেলা ভোলা সদর উপজেলার শিবপুর ইউনিয়নের শান্তিরহাট এলাকায় মেঘনা পাড়ের বেড়ির ওপরে গড়ে ওঠা একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করতে দেখা গেছে ১২ / ১৩ বছরের এক শিশুকে। তার নাম মো. আরিফ। বাড়ি দৌলতখান উপজেলার মেদুয়া ইউনিয়নের মাঝিরহাট এলাকায়। আরিফের সঙ্গে কয়েক মিনিট আলোচনায় উঠে আসে তার দুঃখগাথা জীবনের
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
চাঁদপুরে ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শহীদ শরিফ ওসমান হাদির গায়েবানা জানাজা ও প্রতীকী কফিন নিয়ে মিছিল বের হয়েছে। শনিবার (২০ ডিসেম্বর) বেলা আড়াইটার দিকে চাঁদপুর সরকারি কলেজ মাঠে হাজারো ছাত্র-জনতার অংশগ্রহণে গায়েবানা জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
৭ মিনিট আগে
সংবাদ সম্মেলনে র্যাব-১৪-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি নয়মুল হাসান বলেন, ‘ধর্ম নিয়ে কটূক্তির অভিযোগে শ্রমিকদের সঙ্গে দিপুর সঙ্গে কোম্পানির ভেতর বাগ্বিতণ্ডা শুরু হয়। পরে কারখানার ফ্লোর ম্যানেজার আলমগীর তাঁকে চাকরি থেকে ইস্তফা নিতে বাধ্য করেন।
২৮ মিনিট আগে
দৈনিক প্রথম আলো ও ইংরেজি দৈনিক দ্য ডেইলি স্টার বন্ধ করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (রাকসু) সহসভাপতি (ভিপি) ও শিবির নেতা মোস্তাকুর রহমান।
৩৪ মিনিট আগে