Ajker Patrika

জুমার নামাজ পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ জনতা ব্যাংকের ডিজিএম

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ০৫ জুলাই ২০২৫, ২০: ৫২
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআরডি) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত
জনতা ব্যাংকের প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআরডি) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান। ছবি: সংগৃহীত

রাজধানীর খিলক্ষেতের বাসা থেকে জুমার নামাজ পড়তে বেরিয়ে নিখোঁজ হয়েছেন জনতা ব্যাংক পিএলসির প্রধান কার্যালয়ের মানবসম্পদ বিভাগের (এইচআরডি) উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. মুশফিকুর রহমান। গতকাল শুক্রবার দুপুর থেকে আজ শনিবার বিকেল পর্যন্ত এই ব্যাংক কর্মকর্তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকি বাসার পাশে যে মসজিদে তাঁর জুমার নামাজ পড়ার কথা ছিল, সেখানেও তিনি যাননি।

এমন পরিস্থিতিতে আজ বিকেলে খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছে তাঁর পরিবার।

মুশফিকুর রহমানের ছোট ভাই জিয়াউর রহমান আজকের পত্রিকাকে জানান, গতকাল শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জুমার নামাজ পড়ার কথা বলে খিলক্ষেতের পূর্ব নাওয়াপাড়া এলাকার বাসা থেকে বের হন মুশফিকুর রহমান (৫৮)। সঙ্গে তিনি তাঁর মোবাইল ফোন নিয়ে যাননি। বাসায় রেখে যান। নামাজ শেষ হওয়ার অনেক পরেও বাসায় না ফেরায় তাঁর খোঁজ নিতে শুরু করেন পরিবারের সদস্যরা। সম্ভাব্য সব জায়গায় খোঁজ নেওয়া হয়। কিন্তু আজ বিকেল পর্যন্ত কোথাও তাঁর সন্ধান মেলেনি।

জিয়াউর রহমান জানান, মুশফিকুর রহমানের বাসা ও আশপাশের সড়কের ক্লোজড সার্কিট (সিসি) ক্যামেরার ভিডিও পর্যবেক্ষণ করা হয়েছে। তাতে দেখা যায়, গতকাল দুপুরে বাসার পাশের মসজিদে তিনি জুমার নামাজ আদায় করতে যাননি।

পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে এই ব্যাংক কর্মকর্তার সন্ধানে আজ খিলক্ষেত থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়েছে।

এ বিষয়ে খিলক্ষেত থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ব্যাংক কর্মকর্তার নিখোঁজের বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। বেশ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। তবে এখনো তাঁর অবস্থান নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কোরআন-সুন্নাহবিরোধী আইন না করার অঙ্গীকার মির্জা ফখরুলের

ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধি
ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজ দুপুরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা
ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আজ দুপুরে বক্তব্য দেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ‘আমরা কমিটেড, আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ—এই দেশে কোরআন ও সুন্নাহর বাইরে কোনো আইন করতে দেব না। এটা আমাদের কমিটমেন্ট।’ তিনি বিভ্রান্তি সৃষ্টিকারীদের উদ্দেশে বলেন, ‘যারা বলে আমরা নাকি কোরআন ও সুন্নাহর আইন চাই না—নাউজুবিল্লাহ। আমরা সব সময় কোরআন ও সুন্নাহর মধ্যেই থাকতে চাই।’

রোববার ঠাকুরগাঁওয়ের মানব কল্যাণ পরিষদ প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। তারেক রহমান দেশে ফেরার পর জনতার স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থনের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, তাঁর বক্তব্যে বারবার ইসলাম ও আল্লাহর কথা এসেছে, যা আলেম-ওলামারা পছন্দ করেছেন।

মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের বংশে, রক্তে এটা আছে—আমি একজন মুসলমান, অত্যন্ত গর্বিত। ইসলাম শান্তির ধর্ম। আমরা শান্তি চাই। নির্বাচনের মধ্য দিয়ে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হোক, একটা নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠুক—যেখানে আমি শান্তিতে এবাদত করতে পারব, ধর্মচর্চা করতে পারব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সুন্দর ভবিষ্যৎ রচনা করতে পারব। এটাই আমাদের একমাত্র লক্ষ্য।’

তিনি চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকের কথা স্মরণ করে বলেন, ‘সেখানে একমত হওয়া ১০টি বিষয়ের মধ্যে কোরআন-সুন্নাহভিত্তিক আইন একটি ছিল।’

বিএনপি ক্ষমতায় গেলে খতিব, ইমাম ও মুয়াজ্জিনদের সামাজিক মর্যাদা ও জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ উদ্যোগ নেওয়া হবে বলে জানান মির্জা ফখরুল। তিনি বলেন, মাসিক সম্মানী প্রদান, ধর্মীয় উৎসবে বিশেষ ভাতা, দক্ষতা উন্নয়ন প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিকল্প কর্মসংস্থান সৃষ্টি, ১৯৯৩ সালের মসজিদভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রম সারা দেশে বিস্তার, ইমাম-মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টকে সময়োপযোগী করা এবং তাঁদের রাষ্ট্রীয় মর্যাদা বৃদ্ধির উদ্যোগ নেওয়া হবে।

একই সুবিধা হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টানসহ অন্য ধর্মের উপাসনালয়ের প্রধানদের জন্যও প্রযোজ্য হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।

ক্ষমতায় গেলে ঠাকুরগাঁওয়ের পুরোনো বিমানবন্দর পুনরায় চালু করা হবে এবং মেডিকেল কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়সহ স্থানীয় দাবিগুলো বাস্তবায়ন করা হবে বলে আশ্বাস দেন বিএনপির মহাসচিব।

বয়সের কথা উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘এই নির্বাচন আমার শেষ নির্বাচন। বয়স হয়ে গেছে, পরে নির্বাচন করা সম্ভব হবে কি না জানি না।’

দেশের বর্তমান অস্থিরতার প্রসঙ্গ টেনে তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘কিছু লোক পেছন থেকে অস্থিরতা সৃষ্টির চেষ্টা করছে। সবাইকে সাবধান থাকতে হবে যেন বিভেদ সৃষ্টি না হয় এবং চক্রান্তকারীদের ফাঁদে না পড়ি। এই নির্বাচন ভাঙার চেষ্টা চলছে, সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।’ সভায় স্থানীয় আলেম-ওলামা ও বিএনপি নেতারা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারকালে টেকনাফে ১৭ জনকে উদ্ধার

টেকনাফ (কক্সবাজার) প্রতিনিধি
আপডেট : ২৮ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ২৬
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত
উদ্ধারকৃত ১৭ জন। ছবি: সংগৃহীত

কক্সবাজারের টেকনাফে সাগরপথে মালয়েশিয়া পাচারের সময় মানব পাচার চক্রের হাত থেকে ১৭ জনকে উদ্ধার করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।

টেকনাফ-২ বিজিবির অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান রোববার (২৮ ডিসেম্বর) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান জানান, গত শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) রাত ১টার দিকে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে টেকনাফের মেরিন ড্রাইভ-সংলগ্ন রাজারছড়া এলাকায় অভিযান চালায় বিজিবি। এ সময় একটি ট্রলারকে ঘিরে ফেলেন বিজিবি সদস্যরা। বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারী চক্রের সদস্যরা রাতের আঁধারে সাঁতরে পালিয়ে যায়। পরে ট্রলারটি তল্লাশি করে ৭ জন পুরুষ, ৪ নারী, ৬ শিশুসহ মোট ১৭ জনকে অক্ষত অবস্থায় উদ্ধার করা হয়। উদ্ধার হওয়া ব্যক্তিরা উখিয়া ও টেকনাফের বিভিন্ন রোহিঙ্গা ক্যাম্পের বাসিন্দা।

লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিকুর রহমান বলেন, উন্নত জীবন, উচ্চ বেতনের চাকরি ও স্বল্প খরচে বিদেশে যাওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে মানব পাচারকারী চক্রটি তাঁদের সাগরপথে মালয়েশিয়ায় পাচারের প্রস্তুতি নিচ্ছিল। উদ্ধার করা ব্যক্তিদেরকে টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর করা হবে বলেও জানান তিনি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বগুড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলের মৃত্যু

বগুড়া প্রতিনিধি
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

বগুড়ার সোনাতলায় ট্রেনে কাটা পড়ে মা-ছেলে মারা গেছেন। এ সময় তাঁদেরকে উদ্ধার করতে গিয়ে আরও এক ব্যক্তি আহত হয়েছেন। নিহত ব্যক্তিরা হলেন রনি বেগম (৩০) ও তাঁর ছেলে ইয়াসিন আরাফাত (১০)। তাঁরা পার্শ্ববর্তী গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার দৌহাইল গ্রামের বাসিন্দা। রোববার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে সোনাতলা রেলস্টেশনের অদূরে ছয়ঘড়িয়াপাড়ায় এই ঘটনা ঘটে।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রনি বেগম তাঁর ছেলেকে নিয়ে সোনাতলা বাজারে কোচিং সেন্টারে যাচ্ছিলেন। রেললাইনের পাশ দিয়ে হাঁটার সময় লালমনিরহাটগামী পদ্মরাগ ট্রেন দেখে রনি বেগম আত্মহত্যার জন্য ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দেওয়ার চেষ্টা করেন। এ সময় ছেলে ইয়াসিন আরাফাত তার মাকে উদ্ধার করতে গেলে মা-ছেলে দুজনেই ট্রেনের নিচে কাটা পড়েন। এই দৃশ্য দেখে পথচারী তাজুল ইসলাম (৬৫) মা-ছেলেকে উদ্ধার করতে গেলে তিনিও ট্রেনের ধাক্কায় আহত হন। পরে স্থানীয় লোকজন তাঁকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে ভর্তি করে।

পুলিশ জানায়, নিহত ব্যক্তিদের পরিবারের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানা গেছে, রনি বেগম মানসিক রোগী ছিলেন। তিনি এর আগেও বাড়িতে আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন।

সোনাতলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কবির হোসেন জানান, মা-ছেলের লাশ উদ্ধার করে পুলিশের হেফাজতে রাখা হয়েছে। রেলওয়ে পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নেবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চকরিয়ায় ডিম বিক্রেতার পাথর নিক্ষেপে ভাঙল ট্রেনের কাচ

চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি   
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা
পাথর নিক্ষেপের ফলে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়। ছবি: আজকের পত্রিকা

কক্সবাজারের চকরিয়া স্টেশনে সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনে পাথর নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। গতকাল শনিবার রাত পৌনে ১১টার দিকে চকরিয়া রেলওয়ে স্টেশনে ট্রেনের এক যাত্রীকে লক্ষ্য করে এক তরুণ ডিম বিক্রেতা পাথর নিক্ষেপ করেন। এতে ট্রেনের খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

চকরিয়া রেলস্টেশন সূত্রে জানা যায়, কক্সবাজার থেকে ছেড়ে আসা সৈকত এক্সপ্রেস ট্রেনটি চকরিয়া রেলস্টেশনে পৌঁছায় শনিবার রাত পৌনে ১১টায়। এ সময় একজন ভাসমান ডিম বিক্রেতা ট্রেনে ডিম বিক্রি করছিলেন। একজন যাত্রী ওই বগিতে ডিম বিক্রেতাকে যেতে নিষেধ করেন। এতে ডিম বিক্রেতার সঙ্গে ওই যাত্রীর কথা-কাটাকাটি হয়।

একপর্যায়ে দুজনের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে ট্রেনের অন্য যাত্রীরা এগিয়ে এলে ডিম বিক্রেতা চলে যান। এরপর ট্রেন চট্টগ্রামের উদ্দেশে রওনা দিলে ডিম বিক্রেতা বগি লক্ষ্য করে পাথর ছুড়ে মারেন। পাথরটি ট্রেনের খাবারের কোচের জানালায় লাগলে কাচ ভেঙে যায়। এতে খাবারের কোচের একজন সহকারী সামান্য আহত হন।

এ ব্যাপারে চকরিয়া রেলস্টেশনের ইনচার্জ মো. ফরহাদ বিন জাফর চৌধুরী বলেন, সৈকত এক্সপ্রেস চকরিয়া স্টেশনে পৌঁছানোর পর এক যাত্রী ডিম বিক্রেতাকে বগিতে যেতে বারণ করেন। এতে তিনি ক্ষিপ্ত হয়ে যাত্রীর সঙ্গে হাতাহাতিতে জড়িয়ে পড়েন। এরপর ট্রেনটি ছেড়ে যাওয়ার সময় ওই ডিম বিক্রেতা বগিতে পাথর ছুড়ে মারেন, সেটি লেগে খাবারের কোচের জানালার কাচ ভেঙে যায়।

ফরহাদ আরও বলেন, এই ঘটনার খবর পাওয়ার পর স্টেশনের সিসিটিভি ক্যামেরায় দেখে পাথর নিক্ষেপকারী ওই ডিম বিক্রেতাকে শনাক্ত করা হয়। তাঁর নাম মনসুর আলম। তাঁর বাড়ি সাহারবিল আব্দুল জব্বার সিকদারপাড়া গ্রামে। এ বিষয়ে রেল প্রশাসন ও রেল পুলিশকে জানানো হয়েছে। এই ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার প্রক্রিয়া চলছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত