Ajker Patrika

নিজের চাপ কমাতে অন্যের ওপর গলা চড়াচ্ছে চীন

তাসনিম মহসিন
নিজের চাপ কমাতে অন্যের ওপর গলা চড়াচ্ছে চীন

ঢাকা: বাংলাদেশের ও চীনের মধ্যে বেশ উষ্ণ সম্পর্ক বিদ্যমান। বাংলাদেশের বহু উন্নয়ন প্রকল্পে দেশটির বিনিয়োগ রয়েছে। এ ছাড়া সাম্প্রতিক করোনাভাইরাস মহামারির সময়েও চীনকে বন্ধুর মতো করেই পাশে পেয়েছে বাংলাদেশ। এমনকি এই কয়েক দিন আগে যখন করোনার টিকা পাওয়া–না পাওয়া নিয়ে দোলাচল শুরু হয় তখনো চিন তার সিনোভ্যাক টিকা নিয়ে পাশে দাঁড়িয়েছে। এমন সুন্দর সম্পর্কের মধ্যেই গতকাল সোমবার হঠাৎ করেই বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং কোয়াড নিয়ে বেশ কড়া হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেছেন, যা সবাইকে নড়েচড়ে বসতে বাধ্য করেছে। কূটনীতিকেরা মনে করেছন, বৈশ্বিক ও আঞ্চলিক নানা চাপ সামলাতে গিয়ে চীন নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছে। তাই অন্যের ওপর গলা চরাচ্ছে তারা।

চীন বর্তমান বিশ্বের অন্যতম বড় বাণিজ্যিক শক্তি। যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন একমেরু বিশ্বকাঠামোয় নিজের হিস্যা বুঝে নিতে লড়ছে দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রও বসে নেই। এশিয়াসহ গোটা বিশ্বে নিজেদের প্রভাব বাড়াতে নানা কৌশল ও জোট গঠনের পরিকল্পনা করছে দেশটি। এ ক্ষেত্রে ইউরোপের পরীক্ষিত মিত্রদের নিজের পাশে পাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। সঙ্গে চীনের প্রতিবেশীদের মধ্যেও অনেককে পাশে পাচ্ছে ওয়াশিংটন।

কোভিড-১৯, তাইওয়ান, হংকং, দক্ষিণ চীন সাগরসহ বিভিন্ন ইস্যুতে চীনের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে বিশ্বের ক্ষমতাধর দেশগুলোর অবস্থান। চীনকে কোনঠাসা করতে মার্কিন নেতৃত্বে গড়ে উঠেছে কয়েকটি জোট। এগুলো নিয়ে চীন আগে খুব একটা সোচ্চার না থাকলেও বর্তমানে নিজেদের অবস্থান ধরে রাখতে সোচ্চার হয়েছে। দীর্ঘ দিন ধরে শুধু মার্কিন নেতৃত্বে ভারত, জাপান, অস্ট্রেলিয়া বা দক্ষিণ চীন সাগরের কয়েকটি দেশ নিজ স্বার্থে চীন বিরোধিতা করে আসছিল। তবে এবার পুরো অঞ্চলের দেশগুলোকে এ জোটে টানার চেষ্টা করছে যুক্তরাষ্ট্র। ইন্দো প্যাসিফিক কৌশলের (আইপিএস) মাধ্যমে ভারত মহাসাগর অঞ্চলের দেশগুলোকে কাছে টানছে যুক্তরাষ্ট্র। গঠন করা হয়েছে কৌশলগত জোট কোয়াড, যেখানে রয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়া।

সম্প্রতি কোয়াডের দেশগুলো কোভিড-১৯ পরিস্থিতি নিয়ে বৈঠক করেছে। আর এ বৈঠক থেকে আসিয়ানভুক্ত দেশ ও আইপিএসের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে ১০০ কোটি ডোজ টিকা দেওয়ার ঘোষণা দেয়া হয়। এতে টিকার ফর্মূলা দেবে যুক্তরাষ্ট্র এবং অর্থায়ন করবে জাপান ও অস্ট্রেলিয়া। আর টিকা উৎপাদন করবে ভারত। আর এটাই নতুন করে মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে চীনের জন্য। কারণ আসিয়ানের দেশগুলোর সবাই চীনের প্রতিবেশী। দীর্ঘ দিন ধরে চীন এ দেশগুলোর ওপর এক ধরনের নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।

বিশ্লেষকদের মতে, বিশ্বের দেশগুলোকে যুক্তরাষ্ট্র ও চীন নিজের দিকে টানার চেষ্টা করছে। যুক্তরাষ্ট্র ও চীনের সম্পর্ক টানাপোড়েন যত বাড়বে, অন্য দেশগুলাকে ততই বিপদে পড়তে হবে। বাংলাদেশ কখনোই কোনো নিরাপত্তা জোটে অংশ নেয়নি। কুয়েত বা ইরাক যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশের কাছে জোটভুক্ত হওয়ার প্রস্তাব ছিল। কিন্তু বাংলাদেশ যায়নি। পররাষ্ট্রনীতির কারণেই বাংলাদেশের কাঠামোতে সামরিক দিকে যাওয়ার সুযোগ নেই। কিন্তু বাংলাদেশ যেহেতু সামরিক অংশ বাদ দিয়ে আইপিএসে যোগ দেওয়ার কথা বলেছে, তাই বাংলাদেশের ওপর চীনের তীক্ষ্ণ নজর পড়েছে। আর এমন পরিস্থিতিতেই গতকাল সোমবার চীন অনেকটা হঠাৎ করেই এমন হুঁশিয়ারি দিয়েছে।

গতকাল সোমবার বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং এক ভার্চ্যুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বলেন, যুক্তরাষ্ট্র, জাপান, ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার কৌশলগত জোট কোয়াডকে চীনবিরোধী একটি ছোট গোষ্ঠী হিসেবে বিবেচনা করে বেইজিং। তাই চীন মনে করে, এতে যেকোনোভাবে বাংলাদেশের অংশগ্রহণ ঢাকা-বেইজিং সম্পর্ককে ‘যথেষ্ট খারাপ’ করবে।

এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলছে, বাংলাদেশ সমতা বজায় রেখেই দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক রাখবে। কোনো দেশের শত্রু বাংলাদেশের শত্রু হবে, তা ভাবার কোনো কারণ নেই। এটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির বাইরে। বাংলাদেশের প্রধান লক্ষ্য—জনগনের উন্নয়ণ। এ জন্য সব দেশের সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক বজায় রেখে অর্থনৈতিক উন্নয়নে কাজ করবে বাংলাদেশ।

তবে এমন বক্তব্য সুনির্দিষ্ট প্রশ্নের প্রেক্ষাপটেই এসেছে বলে মনে করেন ঢাকায় নিযুক্ত পশ্চিমা মিশনের কর্মকর্তারা। তাঁরা বলছেন, চীনা রাষ্ট্রদূতকে একটি প্রশ্ন করা হয়েছিল। তার উত্তর তিনি দিয়েছেন। প্রশ্নটি এই মুহূর্তে একটু অন্য রকম হলেও সমসাময়িক ছিল। বিশেষ করে চীন যেভাবে তার কূটনীতিকে পরিচালনা করে, তার তুলনায় এর উত্তর অন্য সময়ের থেকে বেশি জোরালো ছিল। বিগত দিনগুলোর পরিস্থিতি, চীনের প্রতিরক্ষামন্ত্রীর ঢাকা সফর, টিকা কূটনীতিসহ সামনের দিনে চীনের অবস্থানের একটি পরিষ্কার বার্তা এই বক্তব্যের মধ্য দিয়ে দিয়েছে বেইজিং।

চীনের হুমকির বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘ন্যাচারালি তিনি একটি দেশের প্রতিনিধিত্ব করেন। তাঁরা হয়তো এটা চায় না। তিনি তাঁর বক্তব্য বলবেন। যে প্রতিষ্ঠানের কথা বলেছেন, সে প্রতিষ্ঠানের লোকজন আমাদের কাছে অ্যাপ্রোচও করে নাই। এটা একটু আগ বাড়িয়ে বলা হয়েছে। আমরা এটা নিয়ে খুব একটা... উনি বলেছেন, ফাইন, দ্যাটস মাচ। এটা নিয়ে আমাদের বিশেষ বক্তব্য নাই। বাট উই উইল ডিসাইড হোয়াট টু ডু (কিন্তু আমরা ঠিক করবে যে, আমরা কী করব)। আমরা আমাদের জনগণের জন্য, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী এত দিন ধরে দেখেছেন। বহু সময় বহু লোক বহু কিছু বলেছেন। কিন্তু আমাদের দেশের স্বার্থের ব্যপারে, আমাদের দেশের মঙ্গলের জন্য, যা যা করার, আমরা সেটাই করেছি। উই মেইনটেইন আ নন অ্যালাইন (জোটনিরপেক্ষ) এবং একটি ব্যালেন্স ফরেন পলিসি (ভারসাম্যপূর্ণ পররাষ্ট্রনীতি)। অ্যান্ড উই কনটিনিউ টু ডু ইট (আমরা এই ধারাবাহিকতা ধরে রাখব)।’

চীনের বক্তব্যটিকে ভাষাগত দিক থেকে বিবেচনা করছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের অধ্যাপক ইমতিয়াজ আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘চীনা রাষ্ট্রদূত প্রশ্নের পরিপ্রেক্ষিতে উত্তর দিয়েছেন। আর চীনের তো একটি অবস্থান রয়েছেই। কোয়াড বা আইপিএস হলো একটি সামরিক জোট। ফলে এখানে চীন বাংলাদেশকে এর অংশীদার হিসেবে দেখতে চায় না। ব্রিটিশরা বললে হয়তো আরও পরিশীলিত ভাষায় বলত। চীনারা ভাষাগত দিক থেকে একটু সরাসরি বলেছে।’

এদিকে চীনের রাষ্ট্রদূতকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে তলব করে বাংলাদেশের অবস্থান জানিয়ে দেওয়ার গুঞ্জন উঠেছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তাঁর মন্তব্যের জন্য তলব করা হবে কি না—জানতে চাইলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বশীল একটি সূত্র জানায়, ‘এখনো সে রকম কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। তবে এ বিষয়ে এখনো পরিষ্কার কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি যে, তলব করা হবে না। তাঁর সঙ্গে আমরা কথা বলব।’

এ নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আবদুল মোমেন বলেন, ‘আমরা কী করি–না করি, তা আমরা সব মিডিয়াকে বলি না। উই হ্যাভ ভিশন...ওয়েস অব ডুয়িং থিংস (আমাদের নিজস্ব লক্ষ্য ও কাজের ধরন আছে)।’

২০১৬ সালের অক্টোবরের মাঝামাঝি চীনের রাষ্ট্রপতি সি চিন পিং বাংলাদেশ সফর করেন। সফরে মধ্য দিয়ে দুই দেশের সহযোগিতামূলক সম্পর্ক কৌশলগত সম্পর্কে উন্নীত হয়। সে সময় দেশের ২৭টি প্রকল্পে ২ হাজার ৪০০ কোটি মার্কিন ডলার ঋণ প্রদানে সমঝোতা স্মারক (এমওইউ) সই হয়। এরই অংশ হিসেবে ২০১৭ সালকে দুই দেশের জন্য বন্ধুত্বের বছর হিসেবে ঘোষণা করেছিলেন চীনের প্রেসিডেন্ট। ২০২০ সালের মধ্যে ওই ২৭ প্রকল্পের সই হওয়া সমঝোতা স্মারকগুলো ঋণ চুক্তিতে বাস্তবায়নের মেয়াদকাল ধরা হয়েছিল। তবে ২০২০ সালের মে পর্যন্ত এ ২৭ সমঝোতার মাত্র ছয়টি ঋণ চুক্তিতে রূপান্তর হয়েছে। আর ২১টি প্রকল্পের ক্ষেত্রে ঐকমত্যে পৌঁছাতে পারেনি চীন-বাংলাদেশ। তবে এর মধ্যেই আরও নয়টি প্রকল্পে মোট ৬৪১ কোটি ৪৮ লাখ ডলার চেয়েছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশে এ মুহূর্তে চীনের ঋণে যেসব প্রকল্প চলমান, তার মধ্যে রয়েছে ৫০ কোটি ডলারের ‘ইনস্টলেশন অব সিঙ্গেল পয়েন্ট মুরিং উইথ ডাবল পাইপলাইন’, ২০ কোটি ডলারের ‘মর্ডানাইজেশন অব টেলিকমিউনিকেশন নেটওয়ার্ক ফর ডিজিটাল কানেক্টিভিটি’, ১৬৫ কোটি ৮৫ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-১)’ ও ৯১ কোটি ৭১ লাখ ডলারের ‘পদ্মা ব্রিজ রেল লিংক (ফেজ-২)’ প্রকল্প। এ ছাড়া ‘ডেভেলপমেন্ট অব ন্যাশনাল আইসিটি ইনফ্রা-নেটওয়ার্ক ফর বাংলাদেশ গভর্নমেন্ট ফেজ-৩’ ও ‘কনস্ট্রাকশন অব টানেল আন্ডার দ্য রিভার কর্ণফুলি’ প্রকল্পের কথাও উল্লেখ করা যায়। এ দুই প্রকল্পের সম্ভাব্য ব্যয় ধরা হয়েছে যথাক্রমে ১৫ কোটি ও ৭০ কোটি ৫৮ লাখ ডলার। এখন পর্যন্ত প্রায় ১০০ কোটি ডলারের বেশি ঋণের অর্থ ছাড় করেছে চীন। এর বাইরে সররকারি ব্যবস্থানায় পায়রায় কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্র এবং চট্টগ্রামে এস আলম গ্রুপের একটি কয়লাভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের কাজ করছে চীনারা।

এ বিষয়ে নাম প্রকাশ না করার শর্তে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন এক কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চীনের এ আচরণে আমরা বিরক্ত হয়েছি কথাটা পুরোপুরি ঠিক না হলেও ভুল না। এটাকে এককথায় বিরক্ত না বলে অপ্রত্যাশিত বলাটা ঠিক হবে। কারণ, বিরক্ত শব্দের আলাদা অর্থ রয়েছে। চীনের একজন রাষ্ট্রদূতের কাছ থেকে আমরা এ রকম আচরণ প্রত্যাশা করিনি। চীনকে এ নিয়ে তলব করা হবে কি না, তা নিয়ে আলোচনা চলছে। চীনের রাষ্ট্রদূতকে তলব করার বিষয়টি নিয়ে এ মুহূর্তে নানা হিসাব করা হচ্ছে। শুধু চীনা প্রকল্প নয়, চীনা টিকারও প্রয়োজন রয়েছে বাংলাদেশের। ফলে জনগণের স্বার্থে যেটি ভালো হবে, আলোচনা করে সেই সিদ্ধান্তই নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

জোটেনি বীর নিবাস, আশ্রয়ণের ঘরেই মুক্তিযোদ্ধার ঠাঁই

মনিরামপুর (যশোর) প্রতিনিধি
বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা
বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী। ছবি: আজকের পত্রিকা

যশোরের মনিরামপুরের হরিহরনগর ইউনিয়নের বীর মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী (৭৫) জীবনের শেষ বয়সে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘরে মানবেতর জীবন কাটাচ্ছেন। ১৯৭১ সালে শত্রুর বিরুদ্ধে লড়ে দেশ স্বাধীন করলেও তাঁর ভাগ্যে এখনো জোটেনি বীর নিবাসের ঘর।

মনিরামপুরে দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ৩৪টি বীর নিবাস নির্মাণ করা হলেও তিনবার আবেদন করে সেই তালিকায় নাম ওঠেনি আরশাদ আলীর। বরাদ্দ পাওয়া ঘরগুলোর মধ্যে একটির মালিকানা দেওয়া হয়েছিল উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড কাউন্সিলের সাবেক কমান্ডার ও অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য আলাউদ্দিনের নামে, যিনি পৌর শহরে তিনতলা বাড়ি ও ঢাকায় ফ্ল্যাটের মালিক। বিষয়টি নিয়ে সমালোচনা শুরু হলে আলাউদ্দিন লিখিতভাবে ঘর না নেওয়ার সিদ্ধান্ত জানান।

মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী জানান, ১৯৭১ সালে ভারত থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে খুলনার বটিয়াঘাটা ও বয়রা এলাকায় যুদ্ধ করেছেন তিনি। যুদ্ধের পর মৌচাক থেকে মধু সংগ্রহ ও বিক্রি করে পরিবার চালাতেন। মনিরামপুরের গোয়ালবাড়ি এলাকায় আট শতক জমি কিনে বসতঘর করেছিলেন। কিন্তু জমিটি খাস হয়ে গেলে ২০২৩ সালে সরকার জমি অধিগ্রহণ করে আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নির্মাণ করে। তাঁর দুই ছেলে ও এক ছেলের শাশুড়ি ওই ঘরগুলো বরাদ্দ পান। শাশুড়ি সেখানে না থাকায় সেই ঘরে উঠেছেন আরশাদ আলী।

আরশাদ আলী বলেন, ‘স্ত্রী মারা গেছেন কয়েক বছর আগে। ছয় ছেলেকে কষ্ট করে বড় করেছি। বসতভিটা দিতে পারিনি বলে সবাই আলাদা থাকে। ২০১৬ সালে ভাতার তালিকায় নাম ওঠে। এখন ২০ হাজার টাকা পাই। এক ছেলেকে বিদেশ পাঠাতে ১০ লাখ টাকা ধার করেছিলাম। দালালের কাছে সেই টাকা খোয়া গেছে। কিস্তি দিয়ে হাতে ৬ হাজার টাকার মতো থাকে।’

আরশাদ আলী আরও বলেন, ‘গোয়ালবাড়ি মৌজায় আরও আট শতক জমি কিনেছি, কিন্তু ঘর তুলতে পারিনি। বীর নিবাসের জন্য দুবার আবেদন করেছি, লাভ হয়নি। আবার আবেদন দিয়েছি। সরকার যদি ঘর দেয়, শেষ বয়সে নিজের ঘরে একটু শান্তিতে থাকতে পারব।’

দুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য সাড়ে ১৬ লাখ টাকা ব্যয়ে বীর নিবাস নির্মাণ প্রকল্পের অংশ হিসেবে মনিরামপুরে ৩৪টি ঘর নির্মাণ করা হয়েছে। সম্প্রতি নতুন পাঁচটি ঘরের বরাদ্দ এসেছে, যার মধ্যে চারটির নির্মাণকাজ চলছে।

বীর নিবাস নির্মাণ কমিটির সদস্যসচিব ও উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, ‘আলাউদ্দিনের নামে বরাদ্দ হওয়া ঘরটি তিনি না নেওয়ায় কাজ বন্ধ আছে। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলী নতুন আবেদন দিয়েছেন। সেই ঘরটি তাঁর নামে বরাদ্দ দেওয়া যায় কি না, যাচাই চলছে।’

মনিরামপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সম্রাট হোসেন বলেন, ‘আমি নতুন এসেছি। মুক্তিযোদ্ধা আরশাদ আলীর বিষয়টি খতিয়ে দেখে তাঁর নামে বীর নিবাস বরাদ্দের বিষয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গাংনীতে সারের সংকট: কাঁদছেন চাষি, হাসছে সিন্ডিকেট

রাকিবুল ইসলাম, গাংনী (মেহেরপুর) 
খেতে সার ছিটাচ্ছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা
খেতে সার ছিটাচ্ছেন এক কৃষক। ছবি: আজকের পত্রিকা

মেহেরপুরের গাংনী উপজেলায় ডিএপি ও টিএসপি সারের সংকট দেখা দিয়েছে। ন্যায্যমূল্যে সার না পেয়ে চাষিদের মধ্যে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে। কৃষকের অভিযোগ, কৃত্রিম সংকট ও সিন্ডিকেটের কারণে তাঁদের বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে।

বিভিন্ন গ্রামের কৃষকেরা জানান, প্রয়োজনীয় সার পাওয়া যাচ্ছে না। অল্প সার পাওয়া যাচ্ছে, তা-ও নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দামে কিনতে হচ্ছে। খুচরা বিক্রেতারাও বলছেন, ডিলারের কাছে গিয়ে তাঁরা পর্যাপ্ত সার পাচ্ছেন না।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কয়েকজন খুচরা ব্যবসায়ী জানান, ডিলারদের কাছ থেকে পর্যাপ্ত সার না পাওয়ায় তাঁদেরও বেশি দামে সার কিনতে হচ্ছে। এতে চাষিদের ভোগান্তি বাড়ছে। প্রশাসনের তদারকি বাড়লে সংকট কমবে বলে তাঁরা মনে করেন।

কয়েকজন সাবডিলার জানান, চাহিদার তুলনায় ডিএপি ও টিএসপি সারের বরাদ্দ খুব কম। অনেক সময় বাইরে থেকে বেশি দামে সার আনতে হচ্ছে, তাই বেশি দামে বিক্রি করতে হচ্ছে।

করমদী গ্রামের কৃষক লাভলু হোসেন বলেন, ‘ডিএপি-টিএসপি না পেয়ে আমরা বিপাকে পড়েছি। যারা কৃত্রিম সংকট তৈরি করছে, প্রশাসন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নিলে এই সমস্যা দূর হবে না।’

তেরাইল মাঠের কৃষক উকিলুর রহমান জানান, ডিএপি-টিএসপি সাধারণত ১ হাজার ২০০ থেকে ১ হাজার ৩০০ টাকায় পাওয়া যেত। এখন ১ হাজার ৭০০ থেকে ১ হাজার ৯০০ টাকা দিয়ে কিনতে হচ্ছে; তবু মিলছে না। তিনি বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দাবি জানাই, সিন্ডিকেট ভেঙে ন্যায্যমূল্যে সার নিশ্চিত করা হোক।’

বামন্দী মাঠের মারফত আলী বলেন, গম-ভুট্টাসহ অন্যান্য ফসলের মৌসুমে ডিএপি-টিএসপি অত্যন্ত প্রয়োজনীয়। সংকটের কারণে চাষাবাদ ব্যাহত হচ্ছে।

গাংনী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইমরান হোসেন বলেন, সরকারের নির্ধারিত দামের চেয়ে বেশি দাম নেওয়া যাবে না। কৃত্রিম সংকট তৈরি করলে কাউকে ছাড় দেওয়া হবে না। অভিযোগ পেলে তাৎক্ষণিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

গাংনী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আনোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, সারের দাম বেশি নেওয়ার বিষয়টি খতিয়ে দেখা হবে। প্রমাণ পাওয়া গেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নির্বাচনে কোনো প্রভাব ফেলবে না: ব্যারিস্টার খোকন

নোয়াখালী প্রতিনিধি
গতকাল রাতে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গতকাল রাতে কর্মিসভায় বক্তব্য দেন ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন। ছবি: আজকের পত্রিকা

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এবং নোয়াখালী-১ (চাটখিল ও সোনাইমুড়ী আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার অসুস্থতার কারণে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে কোনো সংকট বা প্রভাব পড়বে না। তাঁর ভাষায়, ‘খালেদা জিয়া নিজেই চান নির্বাচন যথাসময়ে অনুষ্ঠিত হোক। সুস্থ হয়ে তিনি তাঁর তিনটি নির্বাচনী এলাকায় জিতবেন এবং আমাদের সবাইকে নিয়ে প্রচারণায় নামবেন।’

শনিবার রাতে সোনাইমুড়ী পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্য সাহাপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ধানের শীষের সমর্থনে আয়োজিত কর্মিসভায় তিনি এসব কথা বলেন।

ব্যারিস্টার খোকন বলেন, বিএনপি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন চায়। কিন্তু যাঁরা সরকারি চাকরিতে থেকে রাজনৈতিক পদও ধরে রেখেছেন, তাঁদের দিয়ে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়। নির্বাচনে এমন ব্যক্তিদের দায়িত্ব না দেওয়ার আহ্বান জানান তিনি। একই সঙ্গে এমন পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে তার দায় নির্বাচন কমিশনকে বহন করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন খোকন।

সভায় আরও বক্তব্য দেন সোনাইমুড়ী পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন মানিক, সদস্যসচিব সৈয়দ মাহবুবে রেজা রাব্বীসহ বিভিন্ন সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

পরে খালেদা জিয়ার সুস্থতা ও দীর্ঘায়ু কামনায় দোয়া করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

পঞ্চগড়ে চলছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ

পঞ্চগড় প্রতিনিধি
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা
হেডলাইট জ্বালিয়ে চলছে গাড়ি। আজ সকাল ৮টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

পঞ্চগড়ে শীতের তীব্রতা হঠাৎ বেড়ে গিয়ে শুরু হয়েছে মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ। রোববার (৭ ডিসেম্বর) তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এসময় বাতাসে আর্দ্রতা ছিল ৯৯ শতাংশ।

গত কয়েক দিন ধরে ১১ থেকে ১৩ ডিগ্রির মধ্যে ওঠানামা করা তাপমাত্রা শনিবার থেকে আরও কমে যায়। আবহাওয়া অফিসের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার তাপমাত্রা ছিল ১০ দশমিক ৫, শুক্রবার ১২, বৃহস্পতিবার ১২ দশমিক ৫, বুধবার ১২ দশমিক ২ ও মঙ্গলবার ১১ দশমিক ৭ ডিগ্রি সেলসিয়াস। গতকাল দিনের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ২৬ দশমিক ৫ ডিগ্রি।

রোববার ভোর থেকেই জেলার বিভিন্ন এলাকায় ঘন কুয়াশা ছড়িয়ে পড়ে। হেডলাইট জ্বালিয়েও সামনে দেখা যাচ্ছিল না। ফলে প্রয়োজন ছাড়া মানুষের চলাচল ছিল কম। অনেকেই গরম কাপড় জড়িয়ে কাজে বের হলেও অনেকে ঠাণ্ডায় ঘরে অবস্থান করতে বাধ্য হন।

ঢাকা–পঞ্চগড় রুটে চলাচলকারী হানিফ পরিবহনের চালক মো. সামিউল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে এমন কুয়াশা পড়ে যে গাড়ির লাইটও ব্যাক করে আসে। রাস্তার লাইন দেখা যায় না। যাত্রীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে গতি অর্ধেক কমিয়ে চালাতে হয়।’

শীতের তীব্রতা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে জেলায় শীতজনিত রোগীর সংখ্যাও বেড়েছে। সর্দি–কাশি, জ্বর, অ্যালার্জি ও শ্বাসকষ্টে বিশেষ করে শিশু ও বয়স্ক রোগীদের ভিড় দেখা যাচ্ছে হাসপাতালে।

তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জিতেন্দ্রনাথ রায় বলেন, ‘আজ তেঁতুলিয়ায় সর্বনিম্ন ১০ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড হয়েছে। বাতাসে আর্দ্রতা ৯৯ শতাংশ। মৌসুমের প্রথম শৈত্যপ্রবাহ চলছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

স্বাস্থ্যের ডিজির সঙ্গে তর্কের পর সেই চিকিৎসককে অব্যাহতি ও শোকজ নোটিশ

খালেদা জিয়া এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে লন্ডন যেতে পারেন বুধবার

তুমি কে? নিজেকে কী ভাব—পাকিস্তান সামরিক বাহিনীর বিবৃতিতে ক্ষুব্ধ ইমরান-সমর্থকদের কড়া প্রতিক্রিয়া

চেরনোবিল পারমাণবিক চুল্লি ক্ষতিগ্রস্ত, তেজস্ক্রিয় বিকিরণের বিষয়ে জাতিসংঘের সতর্কবার্তা

মৃত নবজাতক নিয়ে থানায় হাজির মা-বাবা, হাসপাতালে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত