Ajker Patrika

এসপির ‘আচরণে’ বদলির হিড়িক

  • ফোর্সদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গালাগালসহ হয়রানির অভিযোগ।
  • অনেকেই বদলি হচ্ছেন, চাকরি ছাড়ার আবেদন একজনের।
  • এসপি খন্দকার খালিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।
ইয়াহইয়া মারুফ, সিলেট
আপডেট : ১৯ মার্চ ২০২৫, ১৫: ২৮
খন্দকার খালিদ বিন নূর। ছবি: সংগৃহীত
খন্দকার খালিদ বিন নূর। ছবি: সংগৃহীত

২৫তম বিসিএসের পুলিশ কর্মকর্তা খন্দকার খালিদ বিন নূর। ক্ষমতার পালাবদলের পর পুলিশ সুপার (এসপি) হিসেবে ২০২৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর যোগদান করেন ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নে। দুদিন পরই অফিসে কর্মরত সুন্দরী কনস্টেবলকে নিজের ‘বডিগার্ড’ নিয়োগ করেন। এক দিন পর বডিগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে অপারগতা জানান ওই নারী কনস্টেবল। এরপরই শুরু হয় নিপীড়ন। এলসি (লিটারেট কনস্টেবল) থেকে রেগুলার ফোর্স করে তাঁকে পাঠানো হয় টানা ডিউটিতে। বাবা অবসরপ্রাপ্ত পুলিশ কর্মকর্তা স্ট্রোকের রোগী এবং প্যারালাইজড মায়ের দোহাই দিয়েও বদলির জন্য একটা মাস সময় মেলেনি ওই নারী পুলিশ সদস্যের।

শুধু এই নারী সহকর্মী নয়; এসপি খন্দকার খালিদ বিন নূর সিলেট রিজিয়নে যোগদানের পর থেকেই অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গালাগালিসহ নানাভাবে হয়রানি করে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। ফোর্সদের ‘চামেলি’র (ভাইরাল কথিত গার্মেন্টসকর্মী) ছেলে, গার্মেন্টসকর্মী, সিকিউরিটি গার্ড হিসেবে সম্বোধন করেন। কুকুরের সঙ্গে দাঁড় করিয়ে ছবি তোলেন। তিনি অফিসার-ফোর্সদের বলেন, ‘এই ...বাচ্চারা’, তোদের ৫ তারিখে (৫ আগস্ট) মেরে ফেলা উচিত ছিল। সেন্ট্রি পোস্টে যাঁরা ডিউটি করেন, তাঁদের বলেন, ‘তরা সিকিউরিটি গার্ড, বাইরের গেটে দাঁড়িয়ে থাকবি। গরু, ছাগল, হাঁস, মুরগি, কুত্তা তাড়াবি; এ ছাড়া তোদের কোনো কাজ নেই।’ চাকরির ভয়ে তাঁর বিরুদ্ধে কেউই মুখ খোলার সাহস পান না। ইউনিট প্রধানের অসদাচরণ সইতে না পেরে অনেকেই বদলি হয়ে যাচ্ছেন। সর্বশেষ এসপি খন্দকার খালিদের এসব অপকর্ম, ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ, গালাগালি সইতে না পেরে চাকরি ছাড়ার আবেদন করেছেন ইন্দ্রজিত নামের এক পুলিশ সদস্য।

অনন্যোপায় হয়ে গত বৃহস্পতিবার ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসানের কাছে লিখিতভাবে বিস্তারিত তুলে ধরেন কনস্টেবল ইন্দ্রজিত দেব। এমন পরিস্থিতিতে চাকরি করা সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি ২৩ মার্চের মধ্যে অব্যাহতি চান।

পরদিন বিকেলে অনলাইনে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান সিলেট রিজিয়নের অফিসার-ফোর্সদের সঙ্গে জুম মিটিং করেন। মিটিংয়ে রিজিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (পুলিশ সুপার পদে পদোন্নতি) মোল্লা মোহাম্মদ শাহীন, পরিদর্শক গোলাম দস্তগীর আহমেদসহ শতাধিক অফিসার-ফোর্স যুক্ত হয়ে কথা বলেন। অভিযোগের সত্যতা পেয়ে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেন। তবে গতকাল পর্যন্ত এসপি খন্দকার খালিদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি।

বডিগার্ড নিয়োগ হওয়া নারী কনস্টেবল আজকের পত্রিকা'র সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে রাজি হননি। তবে তাঁর একটি বক্তব্য আজকের পত্রিকার হাতে এসেছে। সেখানে তাঁকে কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলতে শোনা যায়, ‘স্যার আসার দুদিন পরই আমার সঙ্গে আলাপ-আলোচনা না করেই আমাকে ওনার বডিগার্ড নিয়োগ করেন। ওনার বিছানা গুছিয়ে দেওয়া, বাথরুম পরিষ্কার করা, রুম ঝাড়ু দেওয়াসহ সব কাজ খুব কষ্ট করে এক দিন করেছি। পরদিন পারিবারিক সমস্যা দেখিয়ে বডিগার্ডের দায়িত্ব পালন করতে অপারগতা জানাই। পুরুষ এসপি স্যার কোথাও নারী বডিগার্ড নেয় না। উনি কেন নিতে চাচ্ছেন, এটা আপনারাই বোঝেন। এরপরই শুরু নিপীড়ন, নানাভাবে হয়রানি। একপর্যায়ে বদলি। অসুস্থ বাবা-মায়ের দোহাই দিয়ে এক মাস সময় চেয়েছিলাম, সেটিও মেলেনি।’

আরেক নারী কনস্টেবল বলেন, ‘উনি (এসপি) মেয়েদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করেন। উনার মুখের ভাষা খুবই খারাপ।’

২৪তম বিসিএস পুলিশের একজন কর্মকর্তা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‌‘বডিগার্ডের বিষয়ে পিআরবিতে পুরুষ-মহিলা উল্লেখ নেই। শুধু বলা আছে, একজন “আর্দালি” নেওয়া যাবে। তবে কোথাও কখনো নারী কনস্টেবলকে পুরুষ এসপির বডিগার্ড হিসেবে নিতে দেখিনি, শুনিওনি।’

এসপির অসদাচরণ সহ্য করতে না পেরে এএসআই মো. রাসেল মিয়া বদলি হয়ে গেছেন। আরও অনেকেই বদলির চেষ্টায় আছেন। আর এসপি বদলি করেছেন ৬ জন নায়েক ও কনস্টেবলকে।

অভিযোগ অস্বীকার করে ট্যুরিস্ট পুলিশ সিলেট রিজিয়নের এসপি খন্দকার খালিদ বিন নূর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমি হক-হালালি, ইমানদারি জীবনযাপন করি। ইন্দ্রজিত ছেলেটাকে অনিয়ম-দুর্নীতির জন্য বারবার বোঝানোর পরও কাজ হয়নি। এরপর সতর্ক করেও লাভ না হওয়ায় বদলি করেছি। অন্যায়কে আমি প্রশ্রয় দেব না।’ নারী কনস্টেবলকে বডিগার্ড নিয়োগসংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘না না, ও কে বডিগার্ড করার প্রশ্নই আসে না। ও না শুধু আরও কয়েক নারী কনস্টেবলকে বদলি করেছি। কারণ, আমার এখানে ৯টি পদের জায়গায় ১৯ জন আছেন। অথচ অন্যান্য জোনে কাজ বেশি, লোক নেই। তাঁরা যেতে চান না, এ জন্য মন খারাপ।’

জানতে চাইলে ট্যুরিস্ট পুলিশপ্রধান ও অতিরিক্ত আইজিপি মো. মাইনুল হাসান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বিষয়টি তো বাহিনীর ইন্টারন্যাল (অভ্যন্তরীণ)। এটা সমাধান হয়ে গেছে।’

আরও খবর পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চাঁদপুরে নতুন ভোটারদের নিয়ে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’

চাঁদপুর প্রতিনিধি
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা
চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে নির্বাচনী অলিম্পিয়াডের আয়োজন করা হয়। ছবি: আজকের পত্রিকা

‘গণতন্ত্র শক্তিশালীকরণ’ কার্যক্রমের অংশ হিসেবে চাঁদপুরে শতাধিক নতুন ভোটারের অংশগ্রহণে ‘নির্বাচনী অলিম্পিয়াড’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শুক্রবার (৫ ডিসেম্বর) সকালে চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে দ্য হাঙ্গার প্রজেক্ট বাংলাদেশের আয়োজনে এবং সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) চাঁদপুর জেলা কমিটির সহযোগিতায় অনুষ্ঠানটি হয়।

আজ সকাল সাড়ে ৯টায় চাঁদপুর সরকারি কলেজ ক্যাম্পাসে জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও বেলুন উড়িয়ে নির্বাচনী অলিম্পিয়াড অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন কলেজের উপাধ্যক্ষ প্রফেসর মোহাম্মদ হাবিবুর রহমান মিয়া। নতুন ভোটারদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘এই অংশগ্রহণের মাধ্যমে নির্বাচনী আচরণবিধি, গণতন্ত্রের মূল্যবোধ, স্বচ্ছতা, জবাবদিহি, সুশাসন ইত্যাদি সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখার সুযোগ হয়েছে। সুজনের সহযোগিতায় এই আয়োজন অবশ্যই অংশগ্রহণকারীদের অনেক সমৃদ্ধ করবে এবং সচেতন নাগরিক তৈরি হবে।’

পরে কলেজের অডিটরিয়ামে ৫০টি এমসিকিউ পদ্ধতির প্রশ্নের মাধ্যমে ৩০ মিনিটের পরীক্ষা হয়। অংশগ্রহণকারীদের মধ্য থেকে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত ১০ জনকে বিজয়ী ঘোষণা করা হয়। তাঁদের মধ্য থেকে প্রথম থেকে তৃতীয় স্থান অর্জনকারী তিনজন জাতীয় নির্বাচনী অলিম্পিয়াডে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পাবেন। পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ দেওয়া হয়।

পরীক্ষা শেষে সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য ও বিজয়ীদের হাতে সনদ তুলে দেন চাঁদপুরের জেলা প্রশাসক (ডিসি) মো. নাজমুল ইসলাম সরকার। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সুজন চাঁদপুরের সভাপতি অধ্যক্ষ মোশারফ হোসেন। সঞ্চালনায় ছিলেন সুজনের আঞ্চলিক সমন্বয়ক নাছির উদ্দিন।

সুজন চাঁদপুর জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক রহিব বাদশা, শিক্ষক ওমর ফারুক, সংগঠক সালাউদ্দিন, কর আইনজীবী আব্দুল্লাহ আল ফারুক, সাংবাদিক আলম পলাশ, জাকির হোসেন, শোভন আল-ইমরান, মোরশেদ আলম রোকন, মো. মাসুদ আলম, শরীফুল ইসলামসহ সুজন জেলা কমিটির সদস্যরা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

চায়ের দোকানে চলে একটি বাতি-ফ্যান, বিদ্যুৎ বিল এল সাড়ে ৫৫ হাজার টাকা

টঙ্গিবাড়ী (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিদ্যুৎ বিলের কাগজ হাতে লিটুখান বাজারের দুই দোকানদার। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাজারে ছোট একটি চায়ের দোকান চালান বাদশা ব্যাপারী। দোকানে কেবল একটি বাতি ও একটি ফ্যান চালানো হয়। সাধারণত তাঁর মাসিক বিল ২০০ থেকে ৩০০ টাকার মধ্যে আসে। কিন্তু চলতি মাসে তাঁর হাতে এসেছে ৫৫ হাজার ৫৫০ টাকার বিদ্যুৎ বিল। বিল হাতে পেয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন তিনি।

মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার দিঘিরপাড় ইউনিয়নের লিটুখান বাজারের দোকানদার বাদশা ব্যাপারী। বিদ্যুৎ বিলের ব্যাপারে বাদশা বলেন, ‘এটা অসম্ভব। আমার দোকানে এত বিদ্যুৎ ব্যবহারের সুযোগই নেই। বিলের নম্বরে ফোন করলে শুধু অফিসে যেতে বলে।’

এমন ‘ভুতুড়ে’ বিদ্যুৎ বিল পেয়েছেন লিটুখান বাজারের আরেক দোকানদার শহীদ খান। বাজারে খাবারের দোকান রয়েছে তাঁর। দোকানে দুটি বাতি, একটি ফ্যান ও একটি ছোট ফ্রিজ ব্যবহার করা হয়। প্রতি মাসে যেখানে ৬০০ থেকে ৮০০ টাকা বিল দিতেন, সেখানে এবার বিল এসেছে ২৪ হাজার ২১৬ টাকা। শহীদ বলেন, ‘বিলটা দেখে দাঁড়াতেই পারছিলাম না। এমন বিল হলে দোকান চালানোই কঠিন হয়ে যাবে।’

বাজারের অন্য ব্যবসায়ীরা অভিযোগ করে বলেন, কয়েক মাস ধরে এলাকায় এমন অস্বাভাবিক বিল আসছে। তাঁদের ধারণা, মিটার রিডিং অথবা বিলিং পদ্ধতিতে গুরুতর ত্রুটি রয়েছে। দ্রুত তদন্ত করে সঠিক হিসাব ঠিক করার পাশাপাশি দায়ী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন তাঁরা।

বিল প্রস্তুতকারী কর্মী সুমি রানী দাস বলেন, সংশ্লিষ্ট গ্রাহকদের অফিসে যোগাযোগের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। তিনি বলেন, ‘তারা অফিসে এলে আমরা সরেজমিন যাচাই করে বিল পুনরায় বিবেচনা করব।’

টঙ্গিবাড়ী পল্লী বিদ্যুৎ জোনাল অফিসের ডিজিএম মো. আব্দুস ছালাম বলেন, ‘মিটার রিডিং বা বিলিং সিস্টেমে ত্রুটি থাকতে পারে। আমরা সরেজমিন যাচাই করে দ্রুত সমাধানের পদক্ষেপ নেব। ভোক্তাদের অফিসে যোগাযোগ করতে বলা হয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাসার বাথরুমে পড়ে ছিল নারী প্রভাষকের লাশ, মাথায় আঘাতের চিহ্ন

বগুড়া প্রতিনিধি
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত
ফাবিয়া তাসনিম সিধি। ছবি: সংগৃহীত

বগুড়ার এক বাসা থেকে ফাবিয়া তাসনিম সিধি (২৯) নামের এক প্রভাষকের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার দিবাগত রাত ১২টার দিকে বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ভাড়া বাসা থেকে লাশটি উদ্ধার করে পুলিশ।

মৃত ফাবিয়া বগুড়ার সরকারি শাহ সুলতান কলেজের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের প্রভাষক। বছর দেড়েক আগে তিনি কলেজটিতে যোগদান করেন।

এই তথ্য নিশ্চিত করে বগুড়া সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান জানান, ফাবিয়া অবিবাহিত। তিনি বগুড়া শহরের চক ফরিদ এলাকায় ডা. রাশেদুল হাসানের বাড়ির তিনতলায় ভাড়া বাসায় তাঁর মায়ের সঙ্গে থাকতেন। কয়েক দিন আগে তাঁর মা গ্রামের বাড়ি ময়মনসিংহে যান। গতকাল দুপুরের পর থেকে মেয়েকে ফোনে না পাওয়ায় তাঁর মা রাত ১০টার দিকে বগুড়া আসেন। অনেক ডাকাডাকি করে দরজা না খোলায় পুলিশে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ সেখানে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের উপস্থিতিতে দরজা ভেঙে ঘরে ঢুকে বাসার বাথরুমে ফাবিয়ার লাশ দেখতে পায়।

পুলিশ জানায়, মৃত ব্যক্তির নাক দিয়ে রক্ত ঝরছিল এবং মাথার পেছনে আঘাতের চিহ্ন ছাড়াও জিবে দাঁত দিয়ে কামড় দেওয়া ছিল। লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজার রহমান বলেন, ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেলে মৃত্যুর সঠিক কারণ নিশ্চিত হওয়া যাবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

অটোরিকশাকে চাপা দিল বাস, প্রাণ গেল শিশুসহ চারজনের

ফরিদপুর প্রতিনিধি
আপডেট : ০৫ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৫: ১৬
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা
বাসচাপায় অটোরিকশাটি ভেঙেচুরে গেছে। ছবি: আজকের পত্রিকা

ফরিদপুরের ভাঙ্গায় বাসের চাপায় একটি ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার চার যাত্রী নিহত হয়েছেন। আজ শুক্রবার বেলা পৌনে ১২টার দিকে ফরিদপুর-ভাঙ্গা-বরিশাল মহাসড়কের কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় এই দুর্ঘটনা ঘটে।

নিহতদের মধ্যে দুজন নারী, একজন পুরুষ ও তিন বছর বয়সী এক শিশু রয়েছে। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁদের পরিচয় জানা যায়নি।

খবর পেয়ে পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ঘটনাস্থলে গিয়ে উদ্ধার অভিযান চালান। বাসচাপায় ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। আহত চারজনকে উদ্ধার করে ভাঙ্গা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে পাঠানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় এক শিশুর মৃত্যু হয়।

ভাঙ্গা হাইওয়ে থানার এসআই সোহেল মিয়া বলেন, অটোরিকশাটি ভাঙ্গা থেকে টেকেরহাটের উদ্দেশে যাচ্ছিল। কৈডুবী সদরদি রেলক্রসিং এলাকায় পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে আসা নিউ মডার্ন পরিবহনের একটি বাস অটোরিকশাটিকে চাপা দেয়। এতে ঘটনাস্থলে তিনজন মারা যান। পরবর্তীতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আরও একজনের মৃত্যুর তথ্য নিশ্চিত করেন ভাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আশরাফ হোসেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত