রাজু নূরুল

২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার আগে ড. আকবর আলি খান সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না। সে সময় দেশের গণতন্ত্রের সীমাহীন ক্রান্তিলগ্নে তিনিসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান দেশের আপামর জনতার মতো আমাকেও মুগ্ধ করেছিল। পদত্যাগের সংস্কৃতিহীন বাংলাদেশে পদত্যাগের মাধ্যমে দেশকে এক কঠিন সংকট থেকে বাঁচিয়েছিলেন তাঁরা; যা ছিল এক বিরল দৃষ্টান্ত। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অনার্স শেষ হয়েছে কেবল, মাস্টার্সের ক্লাস শুরুর জন্য অপেক্ষা করছি। পদত্যাগী উপদেষ্টাদের নিয়ে পত্রপত্রিকায় নানা গুণগ্রাহী লেখা ছাপা হয়। সেসব পড়েই আকবর আলি খান বিষয়ে আগ্রহের জন্ম। ধীরে ধীরে তাঁর লেখার সঙ্গে পরিচয় হতে থাকলাম। সে পরিচয়পর্ব আজও চলছে।
প্রথম পড়েছিলাম, ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’। আমি নিজে অর্থনীতির ছাত্র। তত দিনে জেনেছি, অর্থনীতি মানেই হিসাব-নিকাশ, নানা গাণিতিক সূত্র আর থিউরির সন্নিবেশ। যেসব থিউরির প্রায় সবই শুরু হয় ‘ধরি’ বা ‘মনে করি’ দিয়ে। ফলে আকবর আলি খান পড়ে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছিলাম। অর্থনীতির মতো আপাত দাঁতভাঙা একটা বিষয়কে নিতান্ত হাস্যরসের মাধ্যমে কত সহজে উপস্থাপন করা যায়, ১৫টি অতি সুখপাঠ্য প্রবন্ধের মাধ্যমে আকবর আলি খান তা দেখিয়েছিলেন। বইটি পড়লে অর্থনীতির নানা খুঁটিনাটি তো বটেই; এই কঠিন বিষয় সম্পর্কে যে কারও গভীর আগ্রহ যে তৈরি হবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আরও পরে, উন্নয়ন খাতে কাজ শুরু করার বেশ কিছু বছর পরে, বইটি দ্বিতীয়বার হাতে নিয়েছি। উন্নয়ন আর সুশাসনের নানা সংকট বুঝতে বইটির নানা অংশ পুনঃপাঠ করেছি। মনে হয়েছে, উন্নয়ন অর্থনীতিতে আগ্রহ আছে, এমন যে কারও জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য।
প্রশ্ন জেগেছে, হাস্যরসের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে অর্থনীতির মতো এত সিরিয়াস একটা বিষয় লঘু হয়ে যায় কি না! বিষয়বস্তুর গুরুত্ব কি খাটো হয়ে আসে? এর উত্তরও আকবর আলি খান ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইয়ে দিয়েছেন। উত্তরের জন্য রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন, ‘আমারে পাছে সহজে বোঝ, তাইতো এত লীলার ছিল; বাহিরে যার হাসির ছটা, ভিতরে তার চোখের জল।’ তাঁর মতে, ‘হালকা ও চটুল ভঙ্গি অর্থনীতির বক্তব্যকে লঘু করে দেয় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে গভীরতর দ্যোতনা দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘অর্থনীতির দুজ্ঞেয় তত্ত্ব ও দুর্বোধ্য পদ্ধতি রাজনীতিবিদ ও প্রশাসকদের মধ্যে প্রবল অনীহা সৃষ্টি করে। ফলে বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদের অবস্থা রবীন্দ্রনাথের “বিদায় অভিশাপ” কবিতার অভিশপ্ত কচের মতো; তারা যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করতে পারেন না। উদাহরণের জন্যও তিনি কৌতুকের আশ্রয় নিয়েছেন, লিখছেন, একবার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তাঁর একটি প্রিয় প্রকল্পের দুর্বলতা বোঝাতে গিয়ে “অপরচুনিটি কস্ট” (বিকল্পের নিরিখে ব্যয়) সম্পর্কে কিছু বক্তব্য পেশের চেষ্টা করেছিলাম। কর্মকর্তাটি রেগে বললেন, “অপরচুনিস্ট” (সুবিধাবাদ) তিনি মোটেও পছন্দ করেন না।’
বইটিরই একটি প্রবন্ধের নাম ‘শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি’। এই প্রবন্ধে তিনি ব্রিটিশ আমলের আসানসোলের মহকুমা প্রশাসক মাইকেল ক্যারিটের কথা লিখেছেন। মাইকেল ক্যারিট তাঁর সঙ্গে এক পাঞ্জাবি ঠিকাদারের কথোপকথন বর্ণনা করেছেন এভাবে, সেই পাঞ্জাবি ঠিকাদার বলেছিল, হুজুর, এ দেশে তিন ধরনের মানুষ আছে। যারা ঘুষ খায় না। যারা ঘুষ খায় এবং কাজ করে। আর ৩ নম্বর দলে আছে কিছু শুয়োরের বাচ্চা, যারা ঘুষও খায় কিন্তু কাজ করে দেয় না। তাঁর মতে, শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি হলো, ৩ নম্বরও দলের লোকজন, যারা ঘুষ খেয়েও কাজ করে দেয় না। আর শুয়োরের বাচ্চাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা হলো, যারা ঝাড়ু হাতে ফটোসেশন করলেও রাস্তাটা পরিষ্কার করে না।
বইটা পড়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে তাঁর সব লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে। নানা জনকে দেওয়া তাঁর প্রতিটা সাক্ষাৎকার, পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ, বিভিন্ন ঈদসংখ্যায় প্রকাশিক প্রবন্ধ খুঁজে খুঁজে পড়েছি, আর দারুণভাবে উপকৃত হয়েছি। তাঁর লেখা পড়ে উন্নয়নের সঠিক দিশা বুঝতে সহায়ক হয়েছে। বৈষম্য নিয়ে সম্যক ধারণা পেয়েছি। বছর কয়েক আগে একটি দৈনিক পত্রিকার ঈদসংখ্যায় দুনিয়াজুড়ে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ে একটা প্রবন্ধ ছাপা হলো, সেখানে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারত-পাকিস্তান, কানাডা, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন কতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়, তার সবিস্তার তুলে এনেছিলেন। জ্ঞান অনুসন্ধানে কতটা অন্তঃপ্রাণ হলে ওরকম একটা লেখা তৈরি করা যায়। হাস্যরস, কৌতুকপ্রধান কিংবা সর্বোপরি সুলেখকই শুধু নন, তিনি ছিলেন পরিশ্রমী লেখক। তাঁর প্রতিটি বই, সাক্ষাৎকার কিংবা নিবন্ধ তথ্য ও উপাত্তনির্ভর। এ ক্ষেত্রে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা যে তাঁকে সহযোগিতা করেছিল সেটা তাঁর বয়ানেই জানা যায়। তিনি লিখেছেন, ‘প্রায় সাতাশ বছর আগে আমি যখন কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে এমএ পড়তে যাই, তখন আমার শিক্ষকদের কণ্ঠে গণিত বিনা কোনও গীত ছিল না। তাই আমাকে সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অর্থনীতির বুলি (জারগান) ও দূরধিগম্য পদ্ধতি রপ্ত করতে হয়েছে।’
সমাজবিজ্ঞানের দুয়োরানী অর্থনীতিই আজকের সমাজবিজ্ঞানের সম্রাজ্ঞী। রাষ্ট্রচালনা থেকে ইতিহাস, জীবনযাপনের সর্বস্তরে অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ রাখে। অর্থনীতির বই মানে বিদেশি লেখকদের কঠিন ইংরেজিতে লেখা তত্ত্ব। বাংলায় অর্থনীতি পড়ার ইচ্ছে পোষণ যেন অপরাধতুল্য! অথচ জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক এরকম নানা বিষয় নিয়ে তিনি বাংলায় লিখেছেন, ‘আজব ও জবর আজব অর্থনীতি’। যে বইটির সূচিপত্র পাঠককে কৌতূহলোদ্দীপক করে তুলবে। বইটিতে সন্নিবেশ ঘটেছে ‘মিত্রপক্ষের গুলি: অনভিপ্রেত পরিণামের অর্থনীতি’, ‘সুখের লাগিয়া’, ‘জন্মদিনের অর্থনীতি’ নামের দারুণ সুখপাঠ্য প্রবন্ধ।
দারিদ্র্য নিয়ে সুসংবাদ হলো, ১৯৯০ সালে বিশ্বে ৫৫.১ শতাংশ মানুষ সহনীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। ২০১৫ সালে এ হার ২৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। দুঃসংবাদ হলো, ২০১৫ সালে পৃথিবীতে ১৯৩ কোটি মানুষ ছিল দরিদ্র, অথচ ১৯০০ সালে সারা দুনিয়ার জনসংখ্যাই ছিল ১৬৫ কোটি। ফলে সম্পূর্ণ দারিদ্র্য বিমোচন এখনো বহু দূরে। এসব নিয়ে তাঁর লেখা বই ‘দারিদ্র্যের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’। গোটা বইয়ে যে পরিমাণ তথ্য ও উপাত্ত তিনি হাজির করেছেন, তা দেখে খানিকটা আন্দাজ করা যায়, কতটা শ্রমলব্ধ লেখক ছিলেন তিনি।
শুধু অর্থনীতির বই নয়, সাহিত্যের আরও নানা শাখায় তিনি সাবলীল ছিলেন। যেমন ‘দুর্ভাবনা ও ভাবনা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে’। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর প্রতিভার মূল্যায়ন নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার আছে। একদল যেমন রবীন্দ্রনাথকে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখক মনে করে, ঠিক আরেক দল আছে যারা মনে করে রবীন্দ্রনাথ অতিমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা মনে করে, রবীন্দ্রনাথ ইতিমধ্যে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলমান অপপ্রচারগুলো তালিকাবদ্ধ করেছেন বইটিতে। তারপর নানা ব্যাখ্যা, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ দিয়ে সাতটি প্রবন্ধে তিনি প্রমাণ করেছেন যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলমান অপপ্রচারের সারবত্তা নেই। আবার রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যারা অতিভক্তি দেখায়, তাদের জন্য আছে আরও সাতটি প্রবন্ধ। আবার জীবনানন্দ দাশের বনলতা কবিতার বই নিয়ে লিখেছেন, ‘চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন’।
২০২২ সালের বইমেলায় ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ নামে তাঁর আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড বেরিয়েছে। বেশ ঢাউস সাইজের বই। দামও বেশ চড়া। অথচ এই বইটি এবারের মেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় বইগুলোর অন্যতম। নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে সম্ভবত সবচেয়ে বিক্রীত বই ছিল এটি। লেখক হিসেবে তিনি কতটা অনন্য ছিলেন, পাঠকের কতখানি কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন, এটিই তার প্রমাণ। বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন, তাঁর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড আসবে, যেখানে ৭৫-পরবর্তী সময়ের নানা কথা থাকবে। তবে সেটি প্রকাশিত হবে তাঁর মৃত্যুর পরে, কারণ জীবদ্দশায় সব কথা বলে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও প্রবল আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করেছি; কিন্তু আরও বহু দিন তাঁকে পেতে চেয়েছে দেশ।
লেখক হিসেবে শুধু অর্থনীতির বই নয়, তার রয়েছে আরও অসামান্য সব কাজ। আকবর আলি খানের বইসমূহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক উত্থান নিয়ে প্রামাণ্য দলিল। বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন এবং এ দেশে ইসলামের বিকাশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণালব্ধ লেখা আছে তাঁর।
সুলেখকের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সংগঠকও। ৭১-পূর্ববর্তী সময়ে তিনি সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অসহযোগের সমর্থক। ২৫ মার্চের কালরাতের পর যখন অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়নি, তখনই হবিগঞ্জে পুলিশের অস্ত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেন তিনি। নিজ হাতে তৈরি করেন অস্ত্র উন্মুক্তকরণের সরকারি লিখিত অনুমতি। অস্থায়ী সরকারের জন্য তহবিল গড়তে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ কোটি টাকা ট্রাকে করে আগরতলা পৌঁছে দেন। বাঙালির চেতনা ও অহংকারের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতার সঙ্গে কর্তব্য পালনে পিছপা হননি।
এই যে প্রবল উচ্চকণ্ঠ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাওয়া, অকপটে সত্য কথা বলা, সরকারের খোলাখুলি সমালোচনা করা, এটা বোধ হয় তাঁর মতো এ দেশে আর কেউ করেননি। জেনেছি, একজন মানুষ কতখানি দেশপ্রেমিক হতে পারে, কতটা সৎ হলে কেউ বলতে পারেন যে, ‘আমি সত্য বলতে চেষ্টা করি।’
চাকরিজীবনের শেষের দিকে এসে লেখায় মনোনিবেশ করেন। অবসরের পর তাঁর আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। গত কয়েক বছর নিজ হাতে লিখতেও পারতেন না। হাত কাঁপত। শ্রুতলিখনের সাহায্য নিয়েছেন। যদি আরও আগে লেখা শুরু করতেন, যদি সুস্থ থাকতেন, তবে আরও দারুণ সব কাজ উপহার দিয়ে যেতেন নিঃসন্দেহে।
আকবর আলি খানের মৃত্যুতে স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করছি। একজন পাঠক হিসেবে তাঁর কাছ থেকে যা পেয়েছি, সে অনন্য; এ ঋণ শোধের সাধ্য নেই। তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীকে তার ঔরসে ধারণ করেছে। এক গুণমুগ্ধ পাঠকের পক্ষ থেকে শত সহস্র প্রণতি।

২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা হওয়ার আগে ড. আকবর আলি খান সম্পর্কে প্রায় কিছুই জানতাম না। সে সময় দেশের গণতন্ত্রের সীমাহীন ক্রান্তিলগ্নে তিনিসহ আরও কয়েকজন উপদেষ্টার দৃঢ় অবস্থান দেশের আপামর জনতার মতো আমাকেও মুগ্ধ করেছিল। পদত্যাগের সংস্কৃতিহীন বাংলাদেশে পদত্যাগের মাধ্যমে দেশকে এক কঠিন সংকট থেকে বাঁচিয়েছিলেন তাঁরা; যা ছিল এক বিরল দৃষ্টান্ত। তখন বিশ্ববিদ্যালয়ে আমাদের অনার্স শেষ হয়েছে কেবল, মাস্টার্সের ক্লাস শুরুর জন্য অপেক্ষা করছি। পদত্যাগী উপদেষ্টাদের নিয়ে পত্রপত্রিকায় নানা গুণগ্রাহী লেখা ছাপা হয়। সেসব পড়েই আকবর আলি খান বিষয়ে আগ্রহের জন্ম। ধীরে ধীরে তাঁর লেখার সঙ্গে পরিচয় হতে থাকলাম। সে পরিচয়পর্ব আজও চলছে।
প্রথম পড়েছিলাম, ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’। আমি নিজে অর্থনীতির ছাত্র। তত দিনে জেনেছি, অর্থনীতি মানেই হিসাব-নিকাশ, নানা গাণিতিক সূত্র আর থিউরির সন্নিবেশ। যেসব থিউরির প্রায় সবই শুরু হয় ‘ধরি’ বা ‘মনে করি’ দিয়ে। ফলে আকবর আলি খান পড়ে রীতিমতো বিস্মিত হয়েছিলাম। অর্থনীতির মতো আপাত দাঁতভাঙা একটা বিষয়কে নিতান্ত হাস্যরসের মাধ্যমে কত সহজে উপস্থাপন করা যায়, ১৫টি অতি সুখপাঠ্য প্রবন্ধের মাধ্যমে আকবর আলি খান তা দেখিয়েছিলেন। বইটি পড়লে অর্থনীতির নানা খুঁটিনাটি তো বটেই; এই কঠিন বিষয় সম্পর্কে যে কারও গভীর আগ্রহ যে তৈরি হবে, তাতে সন্দেহের অবকাশ নেই। আরও পরে, উন্নয়ন খাতে কাজ শুরু করার বেশ কিছু বছর পরে, বইটি দ্বিতীয়বার হাতে নিয়েছি। উন্নয়ন আর সুশাসনের নানা সংকট বুঝতে বইটির নানা অংশ পুনঃপাঠ করেছি। মনে হয়েছে, উন্নয়ন অর্থনীতিতে আগ্রহ আছে, এমন যে কারও জন্য এই বই অবশ্যপাঠ্য।
প্রশ্ন জেগেছে, হাস্যরসের মাধ্যমে উপস্থাপন করলে অর্থনীতির মতো এত সিরিয়াস একটা বিষয় লঘু হয়ে যায় কি না! বিষয়বস্তুর গুরুত্ব কি খাটো হয়ে আসে? এর উত্তরও আকবর আলি খান ‘পরার্থপরতার অর্থনীতি’ বইয়ে দিয়েছেন। উত্তরের জন্য রবীন্দ্রনাথের আশ্রয় নিয়েছেন, ‘আমারে পাছে সহজে বোঝ, তাইতো এত লীলার ছিল; বাহিরে যার হাসির ছটা, ভিতরে তার চোখের জল।’ তাঁর মতে, ‘হালকা ও চটুল ভঙ্গি অর্থনীতির বক্তব্যকে লঘু করে দেয় না, বরং অনেক ক্ষেত্রে গভীরতর দ্যোতনা দেয়। তিনি লিখেছেন, ‘অর্থনীতির দুজ্ঞেয় তত্ত্ব ও দুর্বোধ্য পদ্ধতি রাজনীতিবিদ ও প্রশাসকদের মধ্যে প্রবল অনীহা সৃষ্টি করে। ফলে বেশির ভাগ অর্থনীতিবিদের অবস্থা রবীন্দ্রনাথের “বিদায় অভিশাপ” কবিতার অভিশপ্ত কচের মতো; তারা যা শিখেছেন তা প্রয়োগ করতে পারেন না। উদাহরণের জন্যও তিনি কৌতুকের আশ্রয় নিয়েছেন, লিখছেন, একবার এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে তাঁর একটি প্রিয় প্রকল্পের দুর্বলতা বোঝাতে গিয়ে “অপরচুনিটি কস্ট” (বিকল্পের নিরিখে ব্যয়) সম্পর্কে কিছু বক্তব্য পেশের চেষ্টা করেছিলাম। কর্মকর্তাটি রেগে বললেন, “অপরচুনিস্ট” (সুবিধাবাদ) তিনি মোটেও পছন্দ করেন না।’
বইটিরই একটি প্রবন্ধের নাম ‘শুয়োরের বাচ্চাদের অর্থনীতি’। এই প্রবন্ধে তিনি ব্রিটিশ আমলের আসানসোলের মহকুমা প্রশাসক মাইকেল ক্যারিটের কথা লিখেছেন। মাইকেল ক্যারিট তাঁর সঙ্গে এক পাঞ্জাবি ঠিকাদারের কথোপকথন বর্ণনা করেছেন এভাবে, সেই পাঞ্জাবি ঠিকাদার বলেছিল, হুজুর, এ দেশে তিন ধরনের মানুষ আছে। যারা ঘুষ খায় না। যারা ঘুষ খায় এবং কাজ করে। আর ৩ নম্বর দলে আছে কিছু শুয়োরের বাচ্চা, যারা ঘুষও খায় কিন্তু কাজ করে দেয় না। তাঁর মতে, শুয়োরের বাচ্চার অর্থনীতি হলো, ৩ নম্বরও দলের লোকজন, যারা ঘুষ খেয়েও কাজ করে দেয় না। আর শুয়োরের বাচ্চাদের পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা হলো, যারা ঝাড়ু হাতে ফটোসেশন করলেও রাস্তাটা পরিষ্কার করে না।
বইটা পড়ার পর আর ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে তাঁর সব লেখা পড়ার সুযোগ হয়েছে। নানা জনকে দেওয়া তাঁর প্রতিটা সাক্ষাৎকার, পত্রিকায় প্রকাশিত নিবন্ধ, বিভিন্ন ঈদসংখ্যায় প্রকাশিক প্রবন্ধ খুঁজে খুঁজে পড়েছি, আর দারুণভাবে উপকৃত হয়েছি। তাঁর লেখা পড়ে উন্নয়নের সঠিক দিশা বুঝতে সহায়ক হয়েছে। বৈষম্য নিয়ে সম্যক ধারণা পেয়েছি। বছর কয়েক আগে একটি দৈনিক পত্রিকার ঈদসংখ্যায় দুনিয়াজুড়ে চলমান সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা-হাঙ্গামা নিয়ে একটা প্রবন্ধ ছাপা হলো, সেখানে বাংলাদেশ থেকে শুরু করে ভারত-পাকিস্তান, কানাডা, যুক্তরাস্ট্র, যুক্তরাজ্যে প্রতিদিন কতগুলো সাম্প্রদায়িক হামলা হয়, তার সবিস্তার তুলে এনেছিলেন। জ্ঞান অনুসন্ধানে কতটা অন্তঃপ্রাণ হলে ওরকম একটা লেখা তৈরি করা যায়। হাস্যরস, কৌতুকপ্রধান কিংবা সর্বোপরি সুলেখকই শুধু নন, তিনি ছিলেন পরিশ্রমী লেখক। তাঁর প্রতিটি বই, সাক্ষাৎকার কিংবা নিবন্ধ তথ্য ও উপাত্তনির্ভর। এ ক্ষেত্রে কানাডার কুইন্স ইউনিভার্সিটিতে অর্থনীতি নিয়ে পিএইচডি গবেষণা যে তাঁকে সহযোগিতা করেছিল সেটা তাঁর বয়ানেই জানা যায়। তিনি লিখেছেন, ‘প্রায় সাতাশ বছর আগে আমি যখন কানাডার কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে অর্থনীতি বিভাগে এমএ পড়তে যাই, তখন আমার শিক্ষকদের কণ্ঠে গণিত বিনা কোনও গীত ছিল না। তাই আমাকে সাড়ে পাঁচ বছর ধরে অর্থনীতির বুলি (জারগান) ও দূরধিগম্য পদ্ধতি রপ্ত করতে হয়েছে।’
সমাজবিজ্ঞানের দুয়োরানী অর্থনীতিই আজকের সমাজবিজ্ঞানের সম্রাজ্ঞী। রাষ্ট্রচালনা থেকে ইতিহাস, জীবনযাপনের সর্বস্তরে অর্থনীতি গুরুত্বপূর্ণ রাখে। অর্থনীতির বই মানে বিদেশি লেখকদের কঠিন ইংরেজিতে লেখা তত্ত্ব। বাংলায় অর্থনীতি পড়ার ইচ্ছে পোষণ যেন অপরাধতুল্য! অথচ জীবনের নিত্যনৈমিত্তিক এরকম নানা বিষয় নিয়ে তিনি বাংলায় লিখেছেন, ‘আজব ও জবর আজব অর্থনীতি’। যে বইটির সূচিপত্র পাঠককে কৌতূহলোদ্দীপক করে তুলবে। বইটিতে সন্নিবেশ ঘটেছে ‘মিত্রপক্ষের গুলি: অনভিপ্রেত পরিণামের অর্থনীতি’, ‘সুখের লাগিয়া’, ‘জন্মদিনের অর্থনীতি’ নামের দারুণ সুখপাঠ্য প্রবন্ধ।
দারিদ্র্য নিয়ে সুসংবাদ হলো, ১৯৯০ সালে বিশ্বে ৫৫.১ শতাংশ মানুষ সহনীয় দারিদ্র্যসীমার নিচে ছিল। ২০১৫ সালে এ হার ২৬.৩ শতাংশে নেমে এসেছে। দুঃসংবাদ হলো, ২০১৫ সালে পৃথিবীতে ১৯৩ কোটি মানুষ ছিল দরিদ্র, অথচ ১৯০০ সালে সারা দুনিয়ার জনসংখ্যাই ছিল ১৬৫ কোটি। ফলে সম্পূর্ণ দারিদ্র্য বিমোচন এখনো বহু দূরে। এসব নিয়ে তাঁর লেখা বই ‘দারিদ্র্যের অর্থনীতি: অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যৎ’। গোটা বইয়ে যে পরিমাণ তথ্য ও উপাত্ত তিনি হাজির করেছেন, তা দেখে খানিকটা আন্দাজ করা যায়, কতটা শ্রমলব্ধ লেখক ছিলেন তিনি।
শুধু অর্থনীতির বই নয়, সাহিত্যের আরও নানা শাখায় তিনি সাবলীল ছিলেন। যেমন ‘দুর্ভাবনা ও ভাবনা রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে’। বাংলাদেশে রবীন্দ্রনাথ ও তাঁর প্রতিভার মূল্যায়ন নিয়ে নানা রকম অপপ্রচার আছে। একদল যেমন রবীন্দ্রনাথকে বাংলা ভাষার শ্রেষ্ঠ লেখক মনে করে, ঠিক আরেক দল আছে যারা মনে করে রবীন্দ্রনাথ অতিমূল্যায়িত হয়েছেন, তারা মনে করে, রবীন্দ্রনাথ ইতিমধ্যে তাঁর প্রাসঙ্গিকতা হারিয়েছে। রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলমান অপপ্রচারগুলো তালিকাবদ্ধ করেছেন বইটিতে। তারপর নানা ব্যাখ্যা, ঐতিহাসিক দলিল-দস্তাবেজ দিয়ে সাতটি প্রবন্ধে তিনি প্রমাণ করেছেন যে রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে চলমান অপপ্রচারের সারবত্তা নেই। আবার রবীন্দ্রনাথকে নিয়ে যারা অতিভক্তি দেখায়, তাদের জন্য আছে আরও সাতটি প্রবন্ধ। আবার জীবনানন্দ দাশের বনলতা কবিতার বই নিয়ে লিখেছেন, ‘চাবিকাঠির খোঁজে: নতুন আলোকে জীবনানন্দের বনলতা সেন’।
২০২২ সালের বইমেলায় ‘পুরানো সেই দিনের কথা’ নামে তাঁর আত্মজীবনীর প্রথম খণ্ড বেরিয়েছে। বেশ ঢাউস সাইজের বই। দামও বেশ চড়া। অথচ এই বইটি এবারের মেলায় প্রকাশিত সবচেয়ে পাঠকপ্রিয় বইগুলোর অন্যতম। নন-ফিকশন ক্যাটাগরিতে সম্ভবত সবচেয়ে বিক্রীত বই ছিল এটি। লেখক হিসেবে তিনি কতটা অনন্য ছিলেন, পাঠকের কতখানি কাছে পৌঁছাতে পেরেছিলেন, এটিই তার প্রমাণ। বইয়ের ভূমিকায় বলেছেন, তাঁর আত্মজীবনীর দ্বিতীয় খণ্ড আসবে, যেখানে ৭৫-পরবর্তী সময়ের নানা কথা থাকবে। তবে সেটি প্রকাশিত হবে তাঁর মৃত্যুর পরে, কারণ জীবদ্দশায় সব কথা বলে যাওয়া সম্ভব নয়। যদিও প্রবল আগ্রহ নিয়ে দ্বিতীয় পর্বের জন্য অপেক্ষা করেছি; কিন্তু আরও বহু দিন তাঁকে পেতে চেয়েছে দেশ।
লেখক হিসেবে শুধু অর্থনীতির বই নয়, তার রয়েছে আরও অসামান্য সব কাজ। আকবর আলি খানের বইসমূহ বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও ঐতিহাসিক উত্থান নিয়ে প্রামাণ্য দলিল। বাংলাদেশের সামাজিক পরিবর্তন এবং এ দেশে ইসলামের বিকাশ নিয়ে গুরুত্বপূর্ণ গবেষণালব্ধ লেখা আছে তাঁর।
সুলেখকের পাশাপাশি তিনি ছিলেন সংগঠকও। ৭১-পূর্ববর্তী সময়ে তিনি সর্বদাই অন্যায়ের বিরুদ্ধে উচ্চকণ্ঠ ছিলেন, ছিলেন বঙ্গবন্ধুর অসহযোগের সমর্থক। ২৫ মার্চের কালরাতের পর যখন অস্থায়ী সরকার গঠিত হয়নি, তখনই হবিগঞ্জে পুলিশের অস্ত্র সাধারণ মানুষের মধ্যে বিলিয়ে দিয়ে যুদ্ধ করতে অনুপ্রাণিত করেন তিনি। নিজ হাতে তৈরি করেন অস্ত্র উন্মুক্তকরণের সরকারি লিখিত অনুমতি। অস্থায়ী সরকারের জন্য তহবিল গড়তে তিনি বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে ৩ কোটি টাকা ট্রাকে করে আগরতলা পৌঁছে দেন। বাঙালির চেতনা ও অহংকারের মুক্তিযুদ্ধে অসম সাহসিকতার সঙ্গে কর্তব্য পালনে পিছপা হননি।
এই যে প্রবল উচ্চকণ্ঠ হয়ে অন্যায়ের প্রতিবাদ করে যাওয়া, অকপটে সত্য কথা বলা, সরকারের খোলাখুলি সমালোচনা করা, এটা বোধ হয় তাঁর মতো এ দেশে আর কেউ করেননি। জেনেছি, একজন মানুষ কতখানি দেশপ্রেমিক হতে পারে, কতটা সৎ হলে কেউ বলতে পারেন যে, ‘আমি সত্য বলতে চেষ্টা করি।’
চাকরিজীবনের শেষের দিকে এসে লেখায় মনোনিবেশ করেন। অবসরের পর তাঁর আবির্ভাব ঘটে পূর্ণকালীন লেখক হিসেবে। গত কয়েক বছর নিজ হাতে লিখতেও পারতেন না। হাত কাঁপত। শ্রুতলিখনের সাহায্য নিয়েছেন। যদি আরও আগে লেখা শুরু করতেন, যদি সুস্থ থাকতেন, তবে আরও দারুণ সব কাজ উপহার দিয়ে যেতেন নিঃসন্দেহে।
আকবর আলি খানের মৃত্যুতে স্বজন হারানোর বেদনা অনুভব করছি। একজন পাঠক হিসেবে তাঁর কাছ থেকে যা পেয়েছি, সে অনন্য; এ ঋণ শোধের সাধ্য নেই। তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীকে তার ঔরসে ধারণ করেছে। এক গুণমুগ্ধ পাঠকের পক্ষ থেকে শত সহস্র প্রণতি।

আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২২ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫তৌহিদুল হক

রক্ত লাল
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে
গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায়
ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের
জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
যা স্বভাববিদ্ধ, তবে কতটা উপকারী বা বাঁচিয়ে
রাখার নিরলস অভিপ্রায়। মানুষের তরে
প্রাণীর অফুরন্ত প্রাচুর্য বিস্তৃতকরণে, কিংবা
উদ্ভিদের অন্তিম প্রেমে বসন্তের অভিষেকে।
কতটা জ্বলতে হয় পরের জন্য, কতটা ফুটন্ত
শরীর নিয়ে চালিয়ে যায় সেবার পরিধি।
এক চিরন্তন শিক্ষা, আবার উদিত হয়
দিনের শুরুতে, বিদায় প্রান্তিক অপূর্ব
মায়ায়-দিনের শেষ প্রান্তে।
এতটুকু কার্পণ্য রেখে যায়নি, হয়তো মুখ
ফিরিয়ে নিবে না কোনো দিন। তবে ভাবনার
অন্তিমে শেষ দৃশ্যের সংলাপে ভেসে
ওঠে জনদরদি রাজার মুখ। যেখানে রক্ত ঝরে
বন্যার বেগে সেখানেও প্রতিদিন ফুল ফোটে ফুল হয়ে।
যত দেখি
যত দেখি তৃপ্ত হই, শীতল হয়ে
জড়িয়ে পড়ি তোমার সমস্ত শরীরে। এক অজানা
শিহরণ ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের সমস্ত পৃষ্ঠা জুড়ে।
যেন দীর্ঘদিনের শুষ্কতা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে দূরে।
হারিয়ে যাওয়া রস ফিরছে মূলে, নিয়ে যাচ্ছে আদিপর্বে।
যেমন নেয় নদীর কূল, জোয়ারের ফেনা।
ভাবনার অতলে অদ্ভুত মায়া, দীর্ঘক্ষণ মোহগ্রস্ত
করে রাখে চোখের পলক, তাকিয়ে থাকি মায়ার মায়ায়। কী অপরূপ মায়া!
সেখানেও দেখি তৃষ্ণার ব্যাকুলতা নিয়ে অপেক্ষারত কান্না।
জীবনের তল্লাটে হারিয়ে খুঁজি আজ
আমারও জীবন ছিল। মায়ায় ভরা নির্বিঘ্ন আয়োজন, কলমিলতার মতো নিষ্পাপ।
তৃপ্ত হই ঘাসে, বাতাসের বেহায়া আঘাতে
অভিমানের মোড়ক ছুড়ে ফেলে হাতে তুলে নেই
কচু পাতায় টলোমলো জলের লজ্জা। এ জীবনের চাহিদা তোমায় দেখার
প্রয়োজনে তপ্ত, হয় উত্তপ্ত অথবা সহ্যের অতীত শীতল।
এ যেন কেমন
গহিন অরণ্যে সবুজ পাতার মতো, মগজে
চিন্তার রাজ্যে ভাবের উদয়, আকুল বিন্যাসে
একটু একটু করে এগিয়ে নেয়, আবার ভরা কলসির
মতো বসিয়ে রাখে-ভবের রাজ্যে। একদিন সমস্ত ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে
এদিক-ওদিক চলন, জীবন্ত মরণ! মানুষ
কেন বাঁচে, কীভাবে বাঁচে-প্রশ্নের সমাধা
আজ তর্কপ্রিয় সন্ধানে, মূর্ত প্রার্থনা।
সকল প্রিয়জন পরিত্যাগে, নিগূঢ় যত্নে হৃদয়ে প্রবেশ করে
নিজের অপরিচিত চেহারা, সব জিজ্ঞাসার
অন্ত-ক্রিয়ার এক উচ্চতম বিলাস।
জীবনের মানে অর্থশুন্য ভবিতব্য! এ কী হয়?
চোখের পলকে নিষ্পাপ দৃশ্যলোক-পেছন ডাকে বারবার
যেখানে থাকে আবার দেখার ইচ্ছা, নামে যে মুক্তকরণ। মিলনকান্তির আবাস।
চতুর্মুখ সমীকরণে খেলে যায় সময়ের ঝাঁজালো সিদ্ধান্ত। কেউ কী অপ্রিয় হয় কারও?
যেখানে ভেসে ওঠে নীলপদ্ম, অতীতের নিটোল কিতাব। সে-তো মানুষের ছবি!
চলে আসুন সবজি বাজারে
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি অনেক কিছু
যা মানুষের নয়। অ-মানুষের জন্ম-উত্তর বাঁচার
উপায় হতে পারে। পোশাকে সজ্জিত দেহ কতভাবে
হিংস্র হয়, গোপনে, অন্ধের গহনে।
প্রবেশের আগেই পেয়েছি সংকেত। কত নোংরা, পচা, আবর্জনায় ভরা একটি থালার মতো
পড়ে আছে সম্মুখে। কেউ কি দেখেছে?
হয়তো মেনে নিয়েছে সবাই, সবার আগে সে
যে ভেবেছে, কী বা আছে উপায়!
চারপাশে কত কিছুর ঘ্রাণ, চোখ যা বলে তা কি মেনে নেয় স্বাস্থ্যবার্তা
ফুটে আছে ফুলের মতো দোকানের পসরা। খেতে বা কেনায় বারণ বালাই নেই।
যা পাচ্ছে নিচ্ছে, অনেকে। কেউ গায়ে কেউ পেটে।
আহা! দেখার কেউ নেই!
এক অন্ধকারে হাঁটছে আমাদের পা।
কেউ কি আছে কোথাও, আলো নিয়ে হাতে? ভেবেছে কি কেউ
কেন আমাদের আয়োজনে সবাই নেই?
কেউ এসে শুধু একবার বলুক, এই নিন-আপনাদের জীবন টিকিট যা উত্তরণ।
চলে আসুন সবজির বাজারে, সবুজের খোঁজে।
ইতিহাস
আজ স্পষ্ট ঘোষণা, আমার চোখের সামনে কেউ নেই
নেই কেউ ভাবের অন্তিম ঘরে। এক অস্পৃশ্য অনুভব
ছুঁয়ে চলে, ভাসিয়ে দেয় অগণিত স্রোতের তুমুল আলিঙ্গনে।
আজ কিছু ভেবে বলছি না, সরাসরি জবাব---
আমি নই কারও!
সব বাতাসের সাথে মিশে থাকা চোখের প্রেম
ভাবনার বিলাসে জড়িয়ে পড়ার বাসনা----সকলের অগোচরে
অথবা সকলের মাঝে। জীবনের অর্থে হৃদয়ের গুড়গুড় আলাপ
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হৃদয়ে খোলা আকাশ, শুধু
এক মুখচ্ছবি।
আজ কোনো ক্ষমা নেই---নিজের প্রতি! নিজের পাপে
হাঁটি আমি, সবার মাঝে একলা হয়ে। বেদনার
কালো রং নিয়ে। শুধু দেখে যাই, শুধু দেখতে যাই।
কত রং বিরাজ করে ভাবনার গরমিলে, স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রই।
দাঁড়িয়ে থেকেও হেঁটে যাই!
আজকের না বলা কথা, কোনো দিন বলা হবে না
হবে না দাঁড়িয়ে আবার ভাবা আর একটু বসলে
ভালো হতো। যে বসিয়ে রাখে যে আশায় বসে থাকে
সবকিছুর-ই সময় থাকে---
এরপর---ইতিহাস!

রক্ত লাল
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে
গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায়
ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের
জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
যা স্বভাববিদ্ধ, তবে কতটা উপকারী বা বাঁচিয়ে
রাখার নিরলস অভিপ্রায়। মানুষের তরে
প্রাণীর অফুরন্ত প্রাচুর্য বিস্তৃতকরণে, কিংবা
উদ্ভিদের অন্তিম প্রেমে বসন্তের অভিষেকে।
কতটা জ্বলতে হয় পরের জন্য, কতটা ফুটন্ত
শরীর নিয়ে চালিয়ে যায় সেবার পরিধি।
এক চিরন্তন শিক্ষা, আবার উদিত হয়
দিনের শুরুতে, বিদায় প্রান্তিক অপূর্ব
মায়ায়-দিনের শেষ প্রান্তে।
এতটুকু কার্পণ্য রেখে যায়নি, হয়তো মুখ
ফিরিয়ে নিবে না কোনো দিন। তবে ভাবনার
অন্তিমে শেষ দৃশ্যের সংলাপে ভেসে
ওঠে জনদরদি রাজার মুখ। যেখানে রক্ত ঝরে
বন্যার বেগে সেখানেও প্রতিদিন ফুল ফোটে ফুল হয়ে।
যত দেখি
যত দেখি তৃপ্ত হই, শীতল হয়ে
জড়িয়ে পড়ি তোমার সমস্ত শরীরে। এক অজানা
শিহরণ ছুঁয়ে যায় হৃদয়ের সমস্ত পৃষ্ঠা জুড়ে।
যেন দীর্ঘদিনের শুষ্কতা ধীরে ধীরে সরে যাচ্ছে দূরে।
হারিয়ে যাওয়া রস ফিরছে মূলে, নিয়ে যাচ্ছে আদিপর্বে।
যেমন নেয় নদীর কূল, জোয়ারের ফেনা।
ভাবনার অতলে অদ্ভুত মায়া, দীর্ঘক্ষণ মোহগ্রস্ত
করে রাখে চোখের পলক, তাকিয়ে থাকি মায়ার মায়ায়। কী অপরূপ মায়া!
সেখানেও দেখি তৃষ্ণার ব্যাকুলতা নিয়ে অপেক্ষারত কান্না।
জীবনের তল্লাটে হারিয়ে খুঁজি আজ
আমারও জীবন ছিল। মায়ায় ভরা নির্বিঘ্ন আয়োজন, কলমিলতার মতো নিষ্পাপ।
তৃপ্ত হই ঘাসে, বাতাসের বেহায়া আঘাতে
অভিমানের মোড়ক ছুড়ে ফেলে হাতে তুলে নেই
কচু পাতায় টলোমলো জলের লজ্জা। এ জীবনের চাহিদা তোমায় দেখার
প্রয়োজনে তপ্ত, হয় উত্তপ্ত অথবা সহ্যের অতীত শীতল।
এ যেন কেমন
গহিন অরণ্যে সবুজ পাতার মতো, মগজে
চিন্তার রাজ্যে ভাবের উদয়, আকুল বিন্যাসে
একটু একটু করে এগিয়ে নেয়, আবার ভরা কলসির
মতো বসিয়ে রাখে-ভবের রাজ্যে। একদিন সমস্ত ভাবনা থেকে মুক্ত হয়ে
এদিক-ওদিক চলন, জীবন্ত মরণ! মানুষ
কেন বাঁচে, কীভাবে বাঁচে-প্রশ্নের সমাধা
আজ তর্কপ্রিয় সন্ধানে, মূর্ত প্রার্থনা।
সকল প্রিয়জন পরিত্যাগে, নিগূঢ় যত্নে হৃদয়ে প্রবেশ করে
নিজের অপরিচিত চেহারা, সব জিজ্ঞাসার
অন্ত-ক্রিয়ার এক উচ্চতম বিলাস।
জীবনের মানে অর্থশুন্য ভবিতব্য! এ কী হয়?
চোখের পলকে নিষ্পাপ দৃশ্যলোক-পেছন ডাকে বারবার
যেখানে থাকে আবার দেখার ইচ্ছা, নামে যে মুক্তকরণ। মিলনকান্তির আবাস।
চতুর্মুখ সমীকরণে খেলে যায় সময়ের ঝাঁজালো সিদ্ধান্ত। কেউ কী অপ্রিয় হয় কারও?
যেখানে ভেসে ওঠে নীলপদ্ম, অতীতের নিটোল কিতাব। সে-তো মানুষের ছবি!
চলে আসুন সবজি বাজারে
মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে দেখেছি অনেক কিছু
যা মানুষের নয়। অ-মানুষের জন্ম-উত্তর বাঁচার
উপায় হতে পারে। পোশাকে সজ্জিত দেহ কতভাবে
হিংস্র হয়, গোপনে, অন্ধের গহনে।
প্রবেশের আগেই পেয়েছি সংকেত। কত নোংরা, পচা, আবর্জনায় ভরা একটি থালার মতো
পড়ে আছে সম্মুখে। কেউ কি দেখেছে?
হয়তো মেনে নিয়েছে সবাই, সবার আগে সে
যে ভেবেছে, কী বা আছে উপায়!
চারপাশে কত কিছুর ঘ্রাণ, চোখ যা বলে তা কি মেনে নেয় স্বাস্থ্যবার্তা
ফুটে আছে ফুলের মতো দোকানের পসরা। খেতে বা কেনায় বারণ বালাই নেই।
যা পাচ্ছে নিচ্ছে, অনেকে। কেউ গায়ে কেউ পেটে।
আহা! দেখার কেউ নেই!
এক অন্ধকারে হাঁটছে আমাদের পা।
কেউ কি আছে কোথাও, আলো নিয়ে হাতে? ভেবেছে কি কেউ
কেন আমাদের আয়োজনে সবাই নেই?
কেউ এসে শুধু একবার বলুক, এই নিন-আপনাদের জীবন টিকিট যা উত্তরণ।
চলে আসুন সবজির বাজারে, সবুজের খোঁজে।
ইতিহাস
আজ স্পষ্ট ঘোষণা, আমার চোখের সামনে কেউ নেই
নেই কেউ ভাবের অন্তিম ঘরে। এক অস্পৃশ্য অনুভব
ছুঁয়ে চলে, ভাসিয়ে দেয় অগণিত স্রোতের তুমুল আলিঙ্গনে।
আজ কিছু ভেবে বলছি না, সরাসরি জবাব---
আমি নই কারও!
সব বাতাসের সাথে মিশে থাকা চোখের প্রেম
ভাবনার বিলাসে জড়িয়ে পড়ার বাসনা----সকলের অগোচরে
অথবা সকলের মাঝে। জীবনের অর্থে হৃদয়ের গুড়গুড় আলাপ
ঘুটঘুটে অন্ধকারে হৃদয়ে খোলা আকাশ, শুধু
এক মুখচ্ছবি।
আজ কোনো ক্ষমা নেই---নিজের প্রতি! নিজের পাপে
হাঁটি আমি, সবার মাঝে একলা হয়ে। বেদনার
কালো রং নিয়ে। শুধু দেখে যাই, শুধু দেখতে যাই।
কত রং বিরাজ করে ভাবনার গরমিলে, স্থির হয়ে দাঁড়িয়ে রই।
দাঁড়িয়ে থেকেও হেঁটে যাই!
আজকের না বলা কথা, কোনো দিন বলা হবে না
হবে না দাঁড়িয়ে আবার ভাবা আর একটু বসলে
ভালো হতো। যে বসিয়ে রাখে যে আশায় বসে থাকে
সবকিছুর-ই সময় থাকে---
এরপর---ইতিহাস!

তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২২ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫জন্মদিনের শ্রদ্ধাঞ্জলি
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’ জবাবে ফারুক বললেন, ‘কী আশ্চর্য ভাই?’ হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘এই যে প্রকৃতি, জোছনা, বৃষ্টি, নদী— কী সুন্দর! একদিন হয়তো আমি এসব আর দেখতে পারব না। একুশের বইমেলা হবে। লোকেদের ভিড়, আড্ডা; আমি সেখানে থাকব না। এটা কি মেনে নেওয়া যায়! হায় রে জীবন!’
‘আমার না বলা কথা’ বইয়ে ফারুক আহমেদ এই স্মৃতিচারণ করেছেন। লিখেছেন, ‘আমি কিছু না বলে মূর্তির মতো বসে রইলাম। একসময় তাকিয়ে দেখলাম, হুমায়ূন ভাইয়ের দুচোখের কোনায় পানি।’
হুমায়ূন আহমেদ নেই। তবে তিনি রয়েছেন দেশের তরুণদের মনে। যে বইমেলায় তিনি থাকবেন না বলে আক্ষেপ, সেই বইমেলায় তাঁর বইয়ের স্টলে তরুণদের ঢলের মধ্যে আছেন।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম এই দিনে (১৩ নভেম্বর); ভারত ভাগের এক বছর পরে ১৯৪৮ সালে। ছোট সময়ে তাঁর নাম ছিল শামসুর রহমান। তাঁর বাবা ছেলেমেয়েদের নাম পাল্টে ফেলতেন। তাঁর নাম পাল্টে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের স্রষ্টা তিনি। শুধু কথাসাহিত্যেই নয়; ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’,
‘আজ রবিবার’-এর মতো নাটক বানিয়েছেন, তৈরি করেছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’র মতো চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ বৃষ্টি, জোছনা ভালোবাসতেন। তাঁর লেখায় সেসব উঠে এসেছে বারবার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বর্ষাতেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন ওপারে।
তিনি নেই। কিন্তু তাঁর লেখায় উঠে আসা চান্নিপসর, বৃষ্টি বিলাস আজও আছে তরুণদের মনে। ফারুক আহমেদ তাঁর ওই বইয়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করেছিলেন এভাবে—‘এক বিকেলে শুটিং শেষে তাঁর প্রিয় লিচুগাছের দিকে তাকিয়ে আছেন হুমায়ূন। সেখানে ঝুলছে পাকা লিচু। তিনি তাঁর কেয়ারটেকার মুশাররফকে ডেকে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়ে এলেন। তাদের বললেন, গাছে উঠে যে যত পারে লিচু খেতে। বাচ্চারা কেউ গাছে উঠে লিচু খাচ্ছে, হইচই করছে। কেউ পকেটে ভরছে। হুমায়ূন আহমেদ অবাক হয়ে সেই লিচু খাওয়া দেখতে লাগলেন।’
ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘হুমায়ূন ভাই একসময় আমাকে বললেন, এমন সুন্দর দৃশ্য তুমি কখনো দেখেছো? এমন ভালো লাগার অনুভূতি কি অন্য কোনোভাবে পাওয়া যায়? আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ বললাম, না ভাই এমন ভালো লাগার অনুভূতি কোনোভাবেই পাওয়া যায় না।’
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ঘিরে রাজধানীসহ জন্মস্থান নেত্রকোনাতে রয়েছে নানা আয়োজন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন খতম করবেন। এরপর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং হুমায়ূনভক্তদের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। পরে লেখকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জন্মদিনের কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, কুইজ, হুমায়ূন আহমেদের রচিত নাটক ও সিনেমার অংশবিশেষ নিয়ে অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজধানীতে হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র সপ্তাহ, হুমায়ূন প্রতিযোগিতা, হুমায়ূন জন্মোৎসব, টেলিভিশন চ্যানেলে নাটক ও অনুষ্ঠান প্রচারসহ নানা আয়োজনে মুখর থাকছে দিনটি।

হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’ জবাবে ফারুক বললেন, ‘কী আশ্চর্য ভাই?’ হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘এই যে প্রকৃতি, জোছনা, বৃষ্টি, নদী— কী সুন্দর! একদিন হয়তো আমি এসব আর দেখতে পারব না। একুশের বইমেলা হবে। লোকেদের ভিড়, আড্ডা; আমি সেখানে থাকব না। এটা কি মেনে নেওয়া যায়! হায় রে জীবন!’
‘আমার না বলা কথা’ বইয়ে ফারুক আহমেদ এই স্মৃতিচারণ করেছেন। লিখেছেন, ‘আমি কিছু না বলে মূর্তির মতো বসে রইলাম। একসময় তাকিয়ে দেখলাম, হুমায়ূন ভাইয়ের দুচোখের কোনায় পানি।’
হুমায়ূন আহমেদ নেই। তবে তিনি রয়েছেন দেশের তরুণদের মনে। যে বইমেলায় তিনি থাকবেন না বলে আক্ষেপ, সেই বইমেলায় তাঁর বইয়ের স্টলে তরুণদের ঢলের মধ্যে আছেন।
নেত্রকোনার মোহনগঞ্জে হুমায়ূন আহমেদের জন্ম এই দিনে (১৩ নভেম্বর); ভারত ভাগের এক বছর পরে ১৯৪৮ সালে। ছোট সময়ে তাঁর নাম ছিল শামসুর রহমান। তাঁর বাবা ছেলেমেয়েদের নাম পাল্টে ফেলতেন। তাঁর নাম পাল্টে রাখেন হুমায়ূন আহমেদ। হিমু, মিসির আলি, শুভ্রর মতো চরিত্রের স্রষ্টা তিনি। শুধু কথাসাহিত্যেই নয়; ‘বহুব্রীহি’, ‘অয়োময়’, ‘কোথাও কেউ নেই’,
‘আজ রবিবার’-এর মতো নাটক বানিয়েছেন, তৈরি করেছেন ‘আগুনের পরশমণি’, ‘শ্যামল ছায়া’র মতো চলচ্চিত্র।
হুমায়ূন আহমেদ বৃষ্টি, জোছনা ভালোবাসতেন। তাঁর লেখায় সেসব উঠে এসেছে বারবার। ২০১২ সালের জুলাইয়ে বর্ষাতেই তিনি পাড়ি জমিয়েছিলেন ওপারে।
তিনি নেই। কিন্তু তাঁর লেখায় উঠে আসা চান্নিপসর, বৃষ্টি বিলাস আজও আছে তরুণদের মনে। ফারুক আহমেদ তাঁর ওই বইয়ে হুমায়ূন আহমেদকে নিয়ে আরেকটি স্মৃতিচারণ করেছিলেন এভাবে—‘এক বিকেলে শুটিং শেষে তাঁর প্রিয় লিচুগাছের দিকে তাকিয়ে আছেন হুমায়ূন। সেখানে ঝুলছে পাকা লিচু। তিনি তাঁর কেয়ারটেকার মুশাররফকে ডেকে গ্রামের ছোট ছেলেমেয়েদের ডেকে নিয়ে এলেন। তাদের বললেন, গাছে উঠে যে যত পারে লিচু খেতে। বাচ্চারা কেউ গাছে উঠে লিচু খাচ্ছে, হইচই করছে। কেউ পকেটে ভরছে। হুমায়ূন আহমেদ অবাক হয়ে সেই লিচু খাওয়া দেখতে লাগলেন।’
ফারুক আহমেদ লিখেছেন, ‘হুমায়ূন ভাই একসময় আমাকে বললেন, এমন সুন্দর দৃশ্য তুমি কখনো দেখেছো? এমন ভালো লাগার অনুভূতি কি অন্য কোনোভাবে পাওয়া যায়? আমি কী বলব বুঝতে পারছিলাম না। হঠাৎ বললাম, না ভাই এমন ভালো লাগার অনুভূতি কোনোভাবেই পাওয়া যায় না।’
হুমায়ূন আহমেদের জন্মদিন ঘিরে রাজধানীসহ জন্মস্থান নেত্রকোনাতে রয়েছে নানা আয়োজন। নেত্রকোনার কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ি ইউনিয়নের কুতুবপুরে হুমায়ূন আহমেদ প্রতিষ্ঠিত শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ এবং এলাকাবাসীর উদ্যোগে এসব কর্মসূচি পালন করা হবে। সকালে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা কোরআন খতম করবেন। এরপর শহীদ স্মৃতি বিদ্যাপীঠ প্রাঙ্গণ থেকে শিক্ষক-শিক্ষার্থী, এলাকাবাসী এবং হুমায়ূনভক্তদের আনন্দ শোভাযাত্রা বের হবে। পরে লেখকের প্রতিকৃতিতে পুষ্পমাল্য অর্পণ, জন্মদিনের কেক কাটা, বৃক্ষরোপণ, কুইজ, হুমায়ূন আহমেদের রচিত নাটক ও সিনেমার অংশবিশেষ নিয়ে অভিনয়, চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা, পুরস্কার বিতরণ এবং আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এ ছাড়া রাজধানীতে হুমায়ূন আহমেদের চলচ্চিত্র নিয়ে চলচ্চিত্র সপ্তাহ, হুমায়ূন প্রতিযোগিতা, হুমায়ূন জন্মোৎসব, টেলিভিশন চ্যানেলে নাটক ও অনুষ্ঠান প্রচারসহ নানা আয়োজনে মুখর থাকছে দিনটি।

তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
মঞ্চনাট্যটি স্কলাস্টিকার প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন মুরশেদকে উৎসর্গ করা হয়।

স্কুলের এসটিএম মিলনায়তন প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনকে সামনে রেখে আয়োজিত এ নাট্যানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, দিলারা জামান ও আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ ফারাহ্ সোফিয়া আহমেদ।
হীরক রাজার দেশে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। প্রোডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন শৈলী পারমিতা নীলপদ্ম। সংগীত পরিচালনা করেন গাজী মুন্নোফ, ইলিয়াস খান ও পলাশ নাথ লোচন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুক ও ফরহাদ আহমেদ শামিম।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন নাজিফা ওয়াযিহা আহমেদ, আরিয়াদ রহমান, আজিয়াদ রহমান, বাজনীন রহমান, মোহম্মদ সফির চৌধুরী, ফাহিম আহম্মেদ, সৈয়দ কাফশাত তাইয়ুশ হামদ ও তাজরীবা নওফাত প্রমুখ।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত অভিনয়, গান ও নাচ উপভোগ করেন।

প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
মঞ্চনাট্যটি স্কলাস্টিকার প্রতিষ্ঠাতা ইয়াসমিন মুরশেদকে উৎসর্গ করা হয়।

স্কুলের এসটিএম মিলনায়তন প্রতিষ্ঠার রজতজয়ন্তী উদ্যাপনকে সামনে রেখে আয়োজিত এ নাট্যানুষ্ঠানের সমাপনী দিনে বিশেষ অতিথি ছিলেন নাট্যব্যক্তিত্ব আবুল হায়াত, দিলারা জামান ও আফজাল হোসেন। অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার অধ্যক্ষ ফারাহ্ সোফিয়া আহমেদ।
হীরক রাজার দেশে নাটকটির নির্দেশনায় ছিলেন কাজী তৌফিকুল ইসলাম ইমন। প্রোডাকশন ম্যানেজারের দায়িত্ব পালন করেন শৈলী পারমিতা নীলপদ্ম। সংগীত পরিচালনা করেন গাজী মুন্নোফ, ইলিয়াস খান ও পলাশ নাথ লোচন। নৃত্য পরিচালনায় ছিলেন শাম্মী ইয়াসমিন ঝিনুক ও ফরহাদ আহমেদ শামিম।
নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন নাজিফা ওয়াযিহা আহমেদ, আরিয়াদ রহমান, আজিয়াদ রহমান, বাজনীন রহমান, মোহম্মদ সফির চৌধুরী, ফাহিম আহম্মেদ, সৈয়দ কাফশাত তাইয়ুশ হামদ ও তাজরীবা নওফাত প্রমুখ।
শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষকেরা অনুষ্ঠানে শিক্ষার্থীদের পরিবেশিত অভিনয়, গান ও নাচ উপভোগ করেন।

তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২২ দিন আগে
জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল।
২০ অক্টোবর ২০২৫আজকের পত্রিকা ডেস্ক

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল। কিন্তু ভাষাবিদ ও সাহিত্য ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধারণা আসলে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি এক ‘ঔপনিবেশিক কল্পনা’ মাত্র। বাস্তবে আরবি সাহিত্য কখনোই থেমে যায়নি।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অষ্টম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খলিফাদের অধীনে বিজ্ঞান, দর্শন ও কবিতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বাগদাদ। আবু নুয়াস, আল-মুতানাব্বি, আল-ফারাবি ও ইবনে সিনার মতো কবি ও দার্শনিকদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এক স্বর্ণযুগ। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় গবেষকেরা—যেমন ফরাসি চিন্তাবিদ আর্নেস্ট রেনাঁ ও ডাচ ইতিহাসবিদ রেইনহার্ট দোজি সেই আমলটিকেই আরবি বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের শিখর বলে স্বীকার করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, একাদশ শতাব্দীর পর এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। তাঁদের মতে, এরপর প্রায় ৮০০ বছর আরবে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বা দার্শনিক কাজ হয়নি—যতক্ষণ না ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হয়।
কিন্তু আধুনিক গবেষকেরা বলছেন, এই ধারণা সরলীকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট। ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজিত এক আলোচনায় ভাষাবিদেরা দাবি করেছেন, আরবি রচনা শৈলী কখনো বিলুপ্ত হয়নি; বরং তা ধারাবাহিকভাবে কপি, অনুবাদ ও পাঠের মাধ্যমে বেঁচে ছিল।
জার্মান গবেষক বেয়াট্রিস গ্রুন্ডলার তাঁর ‘দ্য রাইজ অব দ্য অ্যারাবিক বুক’ গ্রন্থে দাবি করেছেন, আরবি সাহিত্যে ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে যে ধারণাটি প্রচলিত আছে তা আসলে গাল-গল্প। এই বইটি এবারের শেখ জায়েদ পুরস্কারের শর্টলিস্টে রয়েছে। গ্রুন্ডলার এতে দেখিয়েছেন, নবম শতাব্দীর বাগদাদে বইয়ের ব্যবসা, কপিকারদের প্রতিযোগিতা, জনসম্মুখে পাঠ ও লেখার প্রচলন—সবই ছিল আধুনিক প্রকাশনা সংস্কৃতির পূর্বসূরি। তিনি মত দিয়েছেন, ‘বাগদাদের রাস্তায় হাঁটলে আপনি দেখতেন লোকেরা হস্তলিপি বিক্রি করছে, বিরামচিহ্ন নিয়ে তর্ক করছে—এ যেন এক জীবন্ত প্রকাশনা বাজার।’
গবেষণা বলছে, আরবি সাহিত্য আসলে কখনো এক জায়গায় স্থির থাকেনি। এর কেন্দ্র এক সময় বাগদাদ থেকে কায়রো, দামেস্ক ও আন্দালুসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু ধারাটি অব্যাহতই থাকে। নতুন ঘরানা তৈরি হয়, পুরোনো ঘরানা রূপান্তরিত হয়।
ফরাসি অধ্যাপক হাকান ওজকান তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ‘জাজাল’ নামের কথ্য ছন্দভিত্তিক কবিতার ধারা আব্বাসীয় যুগের পরও বিকশিত হতে থাকে। তাঁর মতে, ‘এই কবিরা নিয়ম ভেঙে নতুন রূপ দিয়েছে—তাঁদের ছন্দ ও ব্যঙ্গ আধুনিক র্যাপের মতো প্রাণবন্ত।’

এদিকে এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২০ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, আবুধাবির নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ‘আরবি সাহিত্য লাইব্রেরি’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই ‘হারানো শতাব্দী’ বলে বিবেচিত সময়ের ৬০ টিরও বেশি আরবি সাহিত্যকর্ম পুনরুদ্ধার করেছে। প্রকল্পটির সম্পাদক অধ্যাপক মরিস পোমেরান্টজ বলেছেন, ‘এই বইগুলো সম্পাদনা করা মানে এক চলমান সংলাপে অংশ নেওয়া—যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেখক, অনুবাদক ও সমালোচকেরা একে অপরকে উত্তর দিয়ে গেছেন।’
মরিস মনে করেন, আরবি সাহিত্য স্থবির হয়ে যাওয়ার ধারণাটি মূলত অনুবাদের অভাব থেকেই জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো লেখা অনুবাদ করা হয় না, তখন সেটি বৈশ্বিক অস্তিত্ব হারায়।’
মরিসের মতে, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সাহিত্যকে আবার জনসাধারণের কল্পনায় ফিরিয়ে আনা—স্কুলে পড়ানো, মঞ্চে উপস্থাপন করা, অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তা না হলে আরবি সাহিত্যের ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে চিহ্নিত সময়টি অধরাই থেকে যাবে।

জার্মানির ফ্রাঙ্কফুর্ট বইমেলায় উপস্থাপিত আরবি সাহিত্য নিয়ে সাম্প্রতিক এক গবেষণা ইতিহাসের বহুল প্রচলিত ধারণাকে প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। এত দিন মনে করা হতো, আব্বাসীয় আমলের (৭৫০-১২৫৮ খ্রিষ্টাব্দ) পর আরবি সাহিত্য প্রায় ৮০০ বছর বছর স্থবির হয়ে ছিল। কিন্তু ভাষাবিদ ও সাহিত্য ইতিহাসবিদদের মতে, এই ধারণা আসলে পশ্চিমা দৃষ্টিকোণ থেকে তৈরি এক ‘ঔপনিবেশিক কল্পনা’ মাত্র। বাস্তবে আরবি সাহিত্য কখনোই থেমে যায়নি।
প্রচলিত ধারণা অনুযায়ী, অষ্টম শতাব্দীতে আব্বাসীয় খলিফাদের অধীনে বিজ্ঞান, দর্শন ও কবিতার কেন্দ্র হয়ে উঠেছিল বাগদাদ। আবু নুয়াস, আল-মুতানাব্বি, আল-ফারাবি ও ইবনে সিনার মতো কবি ও দার্শনিকদের হাত ধরে শুরু হয়েছিল এক স্বর্ণযুগ। ঊনবিংশ শতাব্দীর ইউরোপীয় গবেষকেরা—যেমন ফরাসি চিন্তাবিদ আর্নেস্ট রেনাঁ ও ডাচ ইতিহাসবিদ রেইনহার্ট দোজি সেই আমলটিকেই আরবি বুদ্ধিবৃত্তিক জীবনের শিখর বলে স্বীকার করেছিলেন এবং দাবি করেছিলেন, একাদশ শতাব্দীর পর এই ধারাবাহিকতার পতন ঘটে। তাঁদের মতে, এরপর প্রায় ৮০০ বছর আরবে আর কোনো গুরুত্বপূর্ণ সাহিত্যিক বা দার্শনিক কাজ হয়নি—যতক্ষণ না ইউরোপে রেনেসাঁ শুরু হয়।
কিন্তু আধুনিক গবেষকেরা বলছেন, এই ধারণা সরলীকৃত ও পক্ষপাতদুষ্ট। ফ্রাঙ্কফুর্ট আন্তর্জাতিক বইমেলায় শেখ জায়েদ বুক অ্যাওয়ার্ডের আয়োজিত এক আলোচনায় ভাষাবিদেরা দাবি করেছেন, আরবি রচনা শৈলী কখনো বিলুপ্ত হয়নি; বরং তা ধারাবাহিকভাবে কপি, অনুবাদ ও পাঠের মাধ্যমে বেঁচে ছিল।
জার্মান গবেষক বেয়াট্রিস গ্রুন্ডলার তাঁর ‘দ্য রাইজ অব দ্য অ্যারাবিক বুক’ গ্রন্থে দাবি করেছেন, আরবি সাহিত্যে ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে যে ধারণাটি প্রচলিত আছে তা আসলে গাল-গল্প। এই বইটি এবারের শেখ জায়েদ পুরস্কারের শর্টলিস্টে রয়েছে। গ্রুন্ডলার এতে দেখিয়েছেন, নবম শতাব্দীর বাগদাদে বইয়ের ব্যবসা, কপিকারদের প্রতিযোগিতা, জনসম্মুখে পাঠ ও লেখার প্রচলন—সবই ছিল আধুনিক প্রকাশনা সংস্কৃতির পূর্বসূরি। তিনি মত দিয়েছেন, ‘বাগদাদের রাস্তায় হাঁটলে আপনি দেখতেন লোকেরা হস্তলিপি বিক্রি করছে, বিরামচিহ্ন নিয়ে তর্ক করছে—এ যেন এক জীবন্ত প্রকাশনা বাজার।’
গবেষণা বলছে, আরবি সাহিত্য আসলে কখনো এক জায়গায় স্থির থাকেনি। এর কেন্দ্র এক সময় বাগদাদ থেকে কায়রো, দামেস্ক ও আন্দালুসিয়ায় স্থানান্তরিত হয়। কিন্তু ধারাটি অব্যাহতই থাকে। নতুন ঘরানা তৈরি হয়, পুরোনো ঘরানা রূপান্তরিত হয়।
ফরাসি অধ্যাপক হাকান ওজকান তাঁর গবেষণায় দেখিয়েছেন, ‘জাজাল’ নামের কথ্য ছন্দভিত্তিক কবিতার ধারা আব্বাসীয় যুগের পরও বিকশিত হতে থাকে। তাঁর মতে, ‘এই কবিরা নিয়ম ভেঙে নতুন রূপ দিয়েছে—তাঁদের ছন্দ ও ব্যঙ্গ আধুনিক র্যাপের মতো প্রাণবন্ত।’

এদিকে এই বিষয়ে এক প্রতিবেদনে সোমবার (২০ অক্টোবর) আমিরাতভিত্তিক সংবাদমাধ্যম দ্য ন্যাশনাল জানিয়েছে, আবুধাবির নিউইয়র্ক ইউনিভার্সিটির ‘আরবি সাহিত্য লাইব্রেরি’ প্রকল্প ইতিমধ্যেই ‘হারানো শতাব্দী’ বলে বিবেচিত সময়ের ৬০ টিরও বেশি আরবি সাহিত্যকর্ম পুনরুদ্ধার করেছে। প্রকল্পটির সম্পাদক অধ্যাপক মরিস পোমেরান্টজ বলেছেন, ‘এই বইগুলো সম্পাদনা করা মানে এক চলমান সংলাপে অংশ নেওয়া—যেখানে প্রজন্মের পর প্রজন্ম লেখক, অনুবাদক ও সমালোচকেরা একে অপরকে উত্তর দিয়ে গেছেন।’
মরিস মনে করেন, আরবি সাহিত্য স্থবির হয়ে যাওয়ার ধারণাটি মূলত অনুবাদের অভাব থেকেই জন্ম নিয়েছে। তিনি বলেন, ‘যখন কোনো লেখা অনুবাদ করা হয় না, তখন সেটি বৈশ্বিক অস্তিত্ব হারায়।’
মরিসের মতে, এখন সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ হলো এই সাহিত্যকে আবার জনসাধারণের কল্পনায় ফিরিয়ে আনা—স্কুলে পড়ানো, মঞ্চে উপস্থাপন করা, অনুবাদের মাধ্যমে বিশ্বে ছড়িয়ে দেওয়া। তা না হলে আরবি সাহিত্যের ‘হারানো শতাব্দী’ হিসেবে চিহ্নিত সময়টি অধরাই থেকে যাবে।

তাঁর লেখা পড়লে আমাদের বারবার মনে পড়বে যে, একজন লেখক কতটা পরিশ্রমী, নিষ্ঠাবান হতে পারেন। মনে করিয়ে দেবে, কীভাবে প্রচলিত চিন্তাকে চ্যালেঞ্জ জানাতে হয়। যেকোনে প্রতিকূলতায় শিরদাঁড়া সোজা করে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়। ফলে তাঁর লেখা বইগুলোর কাছে বারবার ফেরত যেতে হবে আমাদের। বাংলাদেশের সৌভাগ্য যে, তাঁর মতো এক গুণীক
০৯ সেপ্টেম্বর ২০২২
আলসেমি শরীরে এদিক-ওদিক চেয়ে আটকে গেল চোখ পশ্চিমান্তে। রক্তিম সূর্যের বিদায় ধীর গতিতে। খুব লাল হয়েছে, সারা দিনের জ্বলন্ত প্রহরে পেয়েছে এক অপূর্ব রূপ।
১৩ দিন আগে
হুমায়ূন আহমেদ তখন ক্যানসার আক্রান্ত। যুক্তরাষ্ট্রে কেমোথেরাপি নিচ্ছেন। হঠাৎ চিকিৎসকের কাছ থেকে ছুটি নিয়ে চলে এলেন নুহাশপল্লীতে। নাটক বানাবেন। অভিনেতা ফারুক আহমেদকে ডাকলেন। নুহাশপল্লীতে নাটকের শুটিংয়ের ফাঁকে গল্প করছিলেন হুমায়ূন ও ফারুক। হুমায়ূন আহমেদ বললেন, ‘কী আশ্চর্য, তাই না ফারুক!’
২২ দিন আগে
প্রখ্যাত চলচ্চিত্রকার সত্যজিৎ রায়ের ‘হীরক রাজার দেশে’ চলচ্চিত্র মঞ্চস্থ করেছে স্কলাস্টিকার শিক্ষার্থীরা। গতকাল শুক্রবার স্কলাস্টিকা উত্তরা সিনিয়র শাখার নাটক, সংগীত ও নৃত্যকলা ক্লাবের উদ্যোগে দুই দিনব্যাপী বার্ষিক নাট্যানুষ্ঠানে এটি মঞ্চস্থ করা হয়।
০৮ নভেম্বর ২০২৫