সম্পাদকীয়

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।
সম্পাদকীয়

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
অজিতকুমার গুহর জন্ম ১৯১৪ সালের ১৫ এপ্রিল কুমিল্লা শহরের সুপারিবাগানে। তিনি কুমিল্লার ঈশ্বর পাঠশালা থেকে ম্যাট্রিক, ভিক্টোরিয়া কলেজ থেকে আইএ ও বিএ এবং কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এমএ পাস করেন। পরে তিনি বিটি পরীক্ষায়ও কৃতিত্বের পরিচয় দেন। দুই বছর শান্তিনিকেতনে পড়াশোনা শেষ করে ঢাকার প্রিয়নাথ হাইস্কুলে শিক্ষক হিসেবে যোগ দেন। এরপর তিনি তৎকালীন জগন্নাথ কলেজের বাংলা বিভাগে যোগ দিয়ে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি পান। এক বছর তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের খণ্ডকালীন অধ্যাপক ছিলেন। একসময় তিনি জগন্নাথ কলেজ ছেড়ে ঢাকার টিচার্স ট্রেনিং কলেজের উপাধ্যক্ষ হন।
কোনো দলীয় রাজনীতিতে সম্পৃক্ত না থেকেও শুধু সংস্কৃতিচর্চা করার অপরাধে তাঁকে পাকিস্তান সরকার জেলে বন্দী করে। ভাষা আন্দোলনে সক্রিয় অংশগ্রহণের দায়ে তাঁকে আবারও গ্রেপ্তার করা হয়। প্রায় দেড় বছর পর তিনি মুক্তি পান।
অজিতকুমার খুব বেশি না লিখলেও যা লিখেছেন তাতেই তাঁর পাণ্ডিত্য ও মননশীলতার পরিচয় পাওয়া যায়। তিনি রবীন্দ্রনাথের সঞ্চয়িতা, সোনার তরী, গীতাঞ্জলি, গীতবিতান, কালিদাসের মেঘদূত ও বঙ্কিমের কৃষ্ণকান্তের উইলের মতো গুরুত্বপূর্ণ বইয়ের মূল্যবান ভূমিকা লিখেছেন।
তিনি ছিলেন কেন্দ্রীয় কচি-কাঁচার মেলার অন্যতম উপদেষ্টা। শিশু-কিশোরদের উপযোগী বেশ কিছু মূল্যবান বই লিখেছেন। তাঁর উল্লেখযোগ্য শিশুতোষ রচনাগুলো হলো উৎসবের আলো, একটি ঘোড়ার অপমৃত্যু, একুশে ফেব্রুয়ারি হবে, একুশের চিন্তা, কালো ব্যাজ, ডাক, পদ্মার কবি রবীন্দ্রনাথ, বুলু, বাঘিনী, কবিয়াল রমেশ শীল, বোকার হাতী, ওরাও কাঁদে, যা দেখেছি যা পেয়েছি তুলনা তার নাই, যে ফুল শুকাবে না, রবীন্দ্রকথা, সাতাশে এপ্রিল, সেদিন আর এদিন ও হোসেনের মা।
১৯৬৯ সালের ১২ নভেম্বর তিনি কুমিল্লায় মৃত্যুবরণ করেন।

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত।
১৮ ঘণ্টা আগে
আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল...
২ দিন আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে...
৩ দিন আগে
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত। তবে স্থানীয়দের একাংশের মতে, এটি অন্য এক ঘসেটি বিবির নির্মাণ—যিনি মক্কা-মদিনা থেকে ফিরে ধর্মানুরাগে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন এবং ওপরতলায় বসবাস করতেন। মসজিদটি ঘিরে রয়েছে নানা লোককথা; একসময় নাকি আজানের সময় সাপ বের হতো—এমন জনশ্রুতি প্রচলিত।
সরকারি বিএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘ঘসেটি বিবির মসজিদ আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের ইসলামি স্থাপত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এর স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণরীতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এটি মোগল আমলের শেষ ভাগে কিংবা তার কিছু পরে নির্মিত হতে পারে। স্থানীয় ইতিহাস গবেষণায় মনোযোগ বাড়ানো গেলে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব।’ এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা না হলে ইতিহাসের এক অমূল্য অধ্যায় হারিয়ে যাবে।
তথ্য ও ছবি: আশিকুর রহমান তুষার, পটুয়াখালী

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত। তবে স্থানীয়দের একাংশের মতে, এটি অন্য এক ঘসেটি বিবির নির্মাণ—যিনি মক্কা-মদিনা থেকে ফিরে ধর্মানুরাগে এই মসজিদ তৈরি করেছিলেন এবং ওপরতলায় বসবাস করতেন। মসজিদটি ঘিরে রয়েছে নানা লোককথা; একসময় নাকি আজানের সময় সাপ বের হতো—এমন জনশ্রুতি প্রচলিত।
সরকারি বিএম কলেজের ইতিহাস বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক মো. গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘ঘসেটি বিবির মসজিদ আমাদের দক্ষিণাঞ্চলের ইসলামি স্থাপত্যের এক গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন। এর স্থাপত্যশৈলী ও নির্মাণরীতি বিশ্লেষণ করে দেখা যায়, এটি মোগল আমলের শেষ ভাগে কিংবা তার কিছু পরে নির্মিত হতে পারে। স্থানীয় ইতিহাস গবেষণায় মনোযোগ বাড়ানো গেলে প্রকৃত তথ্য উদ্ঘাটন করা সম্ভব।’ এই ঐতিহ্য সংরক্ষণ করা না হলে ইতিহাসের এক অমূল্য অধ্যায় হারিয়ে যাবে।
তথ্য ও ছবি: আশিকুর রহমান তুষার, পটুয়াখালী

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
১২ নভেম্বর ২০২৪
আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল...
২ দিন আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে...
৩ দিন আগে
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল শিখে নিয়ে নিজেই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন।
সেই কৌশলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ছেলেদেরও তৈরি করা শিখিয়েছেন এই সন্দেশ, যা এখন ছানার সন্দেশ নামে পরিচিত। দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক গোসাই দাস জানান, সাধারণত ৬-৭ কেজি দুধে ১ কেজি ছানা পাওয়া যায়। সেই ছানার সঙ্গে ১ কেজি চিনি মিশিয়ে অল্প জ্বাল দিতে হয়। ২০-৩০ মিনিট পর পাকিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট রাখলেই কাঁচামাল তৈরি হয়। পরিমাণমতো নিয়ে কাঠের ওপরে রেখে সন্দেশের আকার দেওয়া হয়। ব্যস! এবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত!
তথ্য ও ছবি: মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)

আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল শিখে নিয়ে নিজেই তৈরি করে বাজারে বিক্রি করতেন।
সেই কৌশলের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতার সমন্বয়ে ছেলেদেরও তৈরি করা শিখিয়েছেন এই সন্দেশ, যা এখন ছানার সন্দেশ নামে পরিচিত। দুর্গা মিষ্টান্ন ভান্ডারের মালিক গোসাই দাস জানান, সাধারণত ৬-৭ কেজি দুধে ১ কেজি ছানা পাওয়া যায়। সেই ছানার সঙ্গে ১ কেজি চিনি মিশিয়ে অল্প জ্বাল দিতে হয়। ২০-৩০ মিনিট পর পাকিয়ে অল্প আঁচে ৫ মিনিট রাখলেই কাঁচামাল তৈরি হয়। পরিমাণমতো নিয়ে কাঠের ওপরে রেখে সন্দেশের আকার দেওয়া হয়। ব্যস! এবার খাওয়ার জন্য প্রস্তুত!
তথ্য ও ছবি: মো. শামীমুল ইসলাম, আগৈলঝাড়া (বরিশাল)

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
১২ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত।
১৮ ঘণ্টা আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে...
৩ দিন আগে
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে এখন বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করলেও ঝুঁকি রয়েই গেছে। কথিত আছে, একসময় মসজিদের ভেতরে কথা বললে প্রতিধ্বনি হতো, তাই নাম হয় ‘আওকরা’ মসজিদ। স্থানীয়দের দাবি, সংস্কার করা হলে শুধু ধর্মীয় স্থানই নয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি পর্যটক আকর্ষণেও পরিণত হবে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত সংস্কারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে ।
তথ্য ও ছবি: এস এম রকি, দিনাজপুর (খানসামা)

দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে এখন বড় বড় ফাটল দেখা দিয়েছে। ২০১৮ সালে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের তালিকাভুক্ত হলেও সংস্কারের কোনো উদ্যোগ নেওয়া হয়নি।
স্থানীয়রা ঝোপঝাড় পরিষ্কার করে নামাজ আদায়ের ব্যবস্থা করলেও ঝুঁকি রয়েই গেছে। কথিত আছে, একসময় মসজিদের ভেতরে কথা বললে প্রতিধ্বনি হতো, তাই নাম হয় ‘আওকরা’ মসজিদ। স্থানীয়দের দাবি, সংস্কার করা হলে শুধু ধর্মীয় স্থানই নয়, ইতিহাস ও ঐতিহ্যের অংশ হিসেবে এটি পর্যটক আকর্ষণেও পরিণত হবে। উপজেলা প্রশাসন জানিয়েছে, দ্রুত সংস্কারে প্রত্নতত্ত্ব অধিদপ্তরের সঙ্গে যোগাযোগ অব্যাহত রয়েছে ।
তথ্য ও ছবি: এস এম রকি, দিনাজপুর (খানসামা)

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
১২ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত।
১৮ ঘণ্টা আগে
আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল...
২ দিন আগে
৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে।
৬ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে। কিন্তু অল্প কদিনেই হাঁপিয়ে উঠে আবারও কাজে ফিরতে চাইছেন তিনি। কোটিপতি হয়েও অবসর তাঁকে সুখ দিতে পারছিল না বলে জানান গ্রোগান।
ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় চিকেন উইংস বিক্রেতা ব্র্যান্ড উইংসটপ ইউকের মালিক টম গ্রোগান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। যার মূল্য ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ পাউন্ড মজুরিতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রোগান। এরপর একসময় নিজের ব্যবসা শুরুর চিন্তা করেন তিনি। টেক্সাসে একটি ‘কোল্ড ই-মেইল’ পাঠানোর মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন টম গ্রোগান। এরপর টানা ৫০ টির বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৫৭টি রেস্টুরেন্ট চালু করতে সক্ষম হন এই উদ্যোক্তা। এই সফল যাত্রার পর একসময় তাঁর মনে হলো, নিজেকে সময় দেওয়া যাক।
ব্যবসা বিক্রির পর জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখে তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। অবসরজীবনের ফাঁকা সময় এখন তার কাছে এক নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টম গ্রোগান বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার পুরো মন-মস্তিষ্ক শুধু একটা জিনিসেই ব্যস্ত ছিল। এই ব্যবসাকে সফল করা। প্রতিদিন সেই ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকত। তারপর যখন লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেল, এ যেন অবিশ্বাস্য। মনে হচ্ছিল, আচ্ছা এখন কাজ শেষ। কিন্তু এবার কী? আর টাকাও সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না।’
এখন আবার কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন গ্রোগান। তবে কী নিয়ে কাজ করবেন এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। শুধু বলেন, ‘সম্ভবত এটা খাবার বা পানীয় শিল্পে হবে না।’
গ্রোগান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ভাবনাটা পুরো বদলাতে হবে। আমরা এখন আর ব্যবসা গড়ে তুলছি না। এখন আমরা অর্থ পরিচালনা করছি। আর এই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দক্ষতা। তাই আমাদের শিখতে হচ্ছে বিনিয়োগের জগৎ। আর্থিক উপকরণ, শেয়ার, বন্ড এসব নতুন আমাদের কাছে। তবে আমরা কৌশলগতভাবে সতর্ক থেকে এগোচ্ছি।’
অগাধ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিলাসিতায় মেতে উঠছেন না টম গ্রোগান। এখনো ভাড়া বাসাতেই থাকছেন। সহপ্রতিষ্ঠাতা হারম্যান সাহোতা ও সল লিউইনের সঙ্গে বসে ভাবছেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমি সারাজীবন সাগরপাড়ে বসে কাটাতে পারি না। আমাদের মনের ব্যস্ততা দরকার, নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার একটা উদ্দেশ্য দরকার, যেটা এখন আমাদের নেই।’
তবে গ্রোগানের মতো এমন শূন্যতা অনুভব এবং কাজের জন্য ক্ষুধার উদ্রেক অনেক সফল উদ্যোক্তার মধ্যেই দেখা গেছে। এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান চেস্কিও তেমন এক উদাহরণ। কোম্পানির আইপিওর পর বিলিয়নিয়ার বনে গেলেও তিনিও একই রকম হতাশা অনুভব করেছিলেন।
চেস্কি ভেবেছিলেন সাফল্য তাঁকে ভালোবাসা দেবে, জীবনের সব কিছু ঠিক করে দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি নিজের সেই মুহূর্তকে বর্ণনা করেছেন জীবনের ‘সবচেয়ে দুঃখের সময়গুলোর একটি’ হিসেবে।
চেস্কি বলেন, ‘পাহাড়ের নিচে থাকলে তোমার মনে আশা থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, যখন তুমি চূড়ায় পৌঁছাও তখন দেখো, তুমি একা। চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
এমন অভিজ্ঞতার কথা আগেও বলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ শঙ্কর। ৫০ কোটি ডলারে ব্যবসা বিক্রি করার পর মানসিক দিক থেকে কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, সেটি জানিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেন, কোম্পানি বিক্রির পর জীবনের পরিবর্তনটা ছিল কঠিন। ১৫ বছর টানা কাজের মধ্যে থাকার পর হঠাৎ নিয়মিত রুটিন হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরিবারের সবাই ভেবেছিল, এত টাকা পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও সুখের হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
তিনি মজা করে বলেন, ‘প্লে স্টেশন খেলা বা গলফ খেলারও একটা সীমা আছে।’ ভেতরে ভেতরে তিনি অনুভব করছিলেন এক গভীর শূন্যতা। উদ্যোক্তা জীবনের ছন্দ থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেই মানসিক শূন্যতা সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে।
বাইরের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সাফল্য পেলেও জীবনের উদ্দেশ্য ও মানে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

৩৫ বছর বয়সী টম গ্রোগান। ব্রিটিশ উদ্যোক্তা। এক দশক খেটে শূন্য থেকে গড়েছিলেন মিলিয়ন মিলিয়ন পাউন্ডের ব্যবসা। সেই ব্যবসার বড় একটি অংশ বিক্রি করে দিয়ে গেলেন অবসরে। কিন্তু অল্প কদিনেই হাঁপিয়ে উঠে আবারও কাজে ফিরতে চাইছেন তিনি। কোটিপতি হয়েও অবসর তাঁকে সুখ দিতে পারছিল না বলে জানান গ্রোগান।
ফরচুন ম্যাগাজিনের প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় চিকেন উইংস বিক্রেতা ব্র্যান্ড উইংসটপ ইউকের মালিক টম গ্রোগান। যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক একটি প্রাইভেট ইক্যুইটি প্রতিষ্ঠানের কাছে এর বেশির ভাগ শেয়ার বিক্রি করে দেন তিনি। যার মূল্য ছিল ৬ হাজার ৪৩৫ কোটি টাকা।
নির্মাণশ্রমিক হিসেবে ঘণ্টায় মাত্র ৫ পাউন্ড মজুরিতে কর্মজীবন শুরু করেছিলেন গ্রোগান। এরপর একসময় নিজের ব্যবসা শুরুর চিন্তা করেন তিনি। টেক্সাসে একটি ‘কোল্ড ই-মেইল’ পাঠানোর মধ্য দিয়ে কাজ শুরু করেন টম গ্রোগান। এরপর টানা ৫০ টির বেশি বিনিয়োগ প্রস্তাব প্রত্যাখ্যাত হয়। কিন্তু ধৈর্য হারাননি তিনি। শেষ পর্যন্ত যুক্তরাজ্যে ৫৭টি রেস্টুরেন্ট চালু করতে সক্ষম হন এই উদ্যোক্তা। এই সফল যাত্রার পর একসময় তাঁর মনে হলো, নিজেকে সময় দেওয়া যাক।
ব্যবসা বিক্রির পর জীবনের নতুন অধ্যায়ে পা রেখে তিনি মানিয়ে নিতে পারছিলেন না। অবসরজীবনের ফাঁকা সময় এখন তার কাছে এক নতুন ধরনের চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
টম গ্রোগান বলেন, ‘সাত বছর ধরে আমার পুরো মন-মস্তিষ্ক শুধু একটা জিনিসেই ব্যস্ত ছিল। এই ব্যবসাকে সফল করা। প্রতিদিন সেই ভাবনা মাথায় ঘুরতে থাকত। তারপর যখন লক্ষ্য অর্জন হয়ে গেল, এ যেন অবিশ্বাস্য। মনে হচ্ছিল, আচ্ছা এখন কাজ শেষ। কিন্তু এবার কী? আর টাকাও সেই শূন্যতা পূরণ করতে পারে না।’
এখন আবার কাজে ফেরার পরিকল্পনা করছেন গ্রোগান। তবে কী নিয়ে কাজ করবেন এখনো সিদ্ধান্ত নেননি। শুধু বলেন, ‘সম্ভবত এটা খাবার বা পানীয় শিল্পে হবে না।’
গ্রোগান আরও বলেন, ‘এখন আমাদের ভাবনাটা পুরো বদলাতে হবে। আমরা এখন আর ব্যবসা গড়ে তুলছি না। এখন আমরা অর্থ পরিচালনা করছি। আর এই দুটি সম্পূর্ণ আলাদা দক্ষতা। তাই আমাদের শিখতে হচ্ছে বিনিয়োগের জগৎ। আর্থিক উপকরণ, শেয়ার, বন্ড এসব নতুন আমাদের কাছে। তবে আমরা কৌশলগতভাবে সতর্ক থেকে এগোচ্ছি।’
অগাধ সম্পদ থাকা সত্ত্বেও বিলাসিতায় মেতে উঠছেন না টম গ্রোগান। এখনো ভাড়া বাসাতেই থাকছেন। সহপ্রতিষ্ঠাতা হারম্যান সাহোতা ও সল লিউইনের সঙ্গে বসে ভাবছেন পরবর্তী পদক্ষেপ নিয়ে।
তিনি বলেন, ‘এটা বিরক্তিকর। আমি সারাজীবন সাগরপাড়ে বসে কাটাতে পারি না। আমাদের মনের ব্যস্ততা দরকার, নিজেদের চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলতে হবে। প্রতিদিন সকালে ঘুম থেকে ওঠার একটা উদ্দেশ্য দরকার, যেটা এখন আমাদের নেই।’
তবে গ্রোগানের মতো এমন শূন্যতা অনুভব এবং কাজের জন্য ক্ষুধার উদ্রেক অনেক সফল উদ্যোক্তার মধ্যেই দেখা গেছে। এয়ারবিএনবির সহপ্রতিষ্ঠাতা ব্রায়ান চেস্কিও তেমন এক উদাহরণ। কোম্পানির আইপিওর পর বিলিয়নিয়ার বনে গেলেও তিনিও একই রকম হতাশা অনুভব করেছিলেন।
চেস্কি ভেবেছিলেন সাফল্য তাঁকে ভালোবাসা দেবে, জীবনের সব কিছু ঠিক করে দেবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। তিনি নিজের সেই মুহূর্তকে বর্ণনা করেছেন জীবনের ‘সবচেয়ে দুঃখের সময়গুলোর একটি’ হিসেবে।
চেস্কি বলেন, ‘পাহাড়ের নিচে থাকলে তোমার মনে আশা থাকে। কিন্তু সমস্যাটা হলো, যখন তুমি চূড়ায় পৌঁছাও তখন দেখো, তুমি একা। চারপাশ থেকে বিচ্ছিন্ন।’
এমন অভিজ্ঞতার কথা আগেও বলেছেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত উদ্যোক্তা সিদ্ধার্থ শঙ্কর। ৫০ কোটি ডলারে ব্যবসা বিক্রি করার পর মানসিক দিক থেকে কীভাবে ভেঙে পড়েছিলেন, সেটি জানিয়েছিলেন তিনি।
এক সাক্ষাৎকারে শঙ্কর বলেন, কোম্পানি বিক্রির পর জীবনের পরিবর্তনটা ছিল কঠিন। ১৫ বছর টানা কাজের মধ্যে থাকার পর হঠাৎ নিয়মিত রুটিন হারিয়ে ফেলেন তিনি। পরিবারের সবাই ভেবেছিল, এত টাকা পাওয়ার পর তাঁর জীবন আরও সুখের হবে। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি।
তিনি মজা করে বলেন, ‘প্লে স্টেশন খেলা বা গলফ খেলারও একটা সীমা আছে।’ ভেতরে ভেতরে তিনি অনুভব করছিলেন এক গভীর শূন্যতা। উদ্যোক্তা জীবনের ছন্দ থেকে হঠাৎ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ায় সেই মানসিক শূন্যতা সামলানো কঠিন হয়ে ওঠে।
বাইরের স্বীকৃতি ও অর্থনৈতিক সাফল্য পেলেও জীবনের উদ্দেশ্য ও মানে হারিয়ে ফেলেছিলেন তিনি।

তিনি ছিলেন একজন আদর্শবান শিক্ষক—অজিতকুমার গুহর এটাই সবচেয়ে বড় পরিচয়। নিজের জাগতিক উন্নতিকে কখনো বড় করে দেখেননি তিনি। শিক্ষার্থীদের আদর্শ জীবন উপহার দেওয়াই ছিল তাঁর ব্রত। তিনি সক্রিয় ছিলেন ঢাকার প্রগতিশীল সাহিত্য-সাংস্কৃতিক পরিসরেও। সুবক্তা হিসেবে তাঁর খ্যাতির কমতি ছিল না।
১২ নভেম্বর ২০২৪
পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার শৌলা গ্রামে তেঁতুলিয়াতীরে দাঁড়িয়ে আছে রহস্যে ঘেরা এক স্থাপনা—ঘসেটি বিবির মসজিদ। দোতলা এই ছোট ইটের মসজিদ শুধু স্থাপত্যে নয়, গল্পগাথায়ও সমৃদ্ধ। প্রচলিত ধারণা, এটি নবাব সিরাজউদ্দৌলার খালা ঘসেটি বেগমের নামে নির্মিত।
১৮ ঘণ্টা আগে
আহা! আগৈলঝাড়া উপজেলায় যাবেন, আর গৈলা গ্রামে যাবেন না, তা কি হয়? গৈলা গ্রামের ছানার সন্দেশ আপনার মন জুড়িয়ে দেবে। স্বাদে অনন্য এ সন্দেশে লেগে থাকে গরুর খাঁটি দুধের টাটকা ঘ্রাণ। সন্দেশ এখন এই উপজেলার ঐতিহ্য। মিষ্টি ব্যবসায়ী ও সুদক্ষ কারিগর কার্তিক দাস প্রায় ৫০ বছর আগে সন্দেশ তৈরির কৌশল...
২ দিন আগে
দিনাজপুরের খানসামা উপজেলার আঙ্গারপাড়া ইউনিয়নের মীর্জার মাঠে অবস্থিত প্রায় ২৬০ বছরের পুরোনো ঐতিহাসিক নিদর্শন আওকরা মসজিদটি আজ ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে। বাংলা ১১৭২ সনে (১৭৬৬ সালে) মীর্জা লাল বেগ চিকন ইটে নির্মাণ করেছিলেন এই মসজিদ। নকশা করা অনন্য স্থাপত্যশৈলীর এই মসজিদটির দেয়ালে...
৩ দিন আগে