সম্পাদকীয়

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২
সম্পাদকীয়

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
বিশ্বভারতীতে তিনি ক্লাস নিতেন। একটা নির্দিষ্ট গাছতলায় অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরা। তিনি আসতেন, তারপর লেকচার দিতেন। অনীশ ঘটক নামে তাঁর এক ছাত্র ছিল। খুবই রসিক সে ছেলে। গৌরী দত্তের এক ক্লাস সিনিয়র ছিল ছেলেটা। গৌরী দত্ত পরে আবু সয়ীদ আইয়ুবকে বিয়ে করেছিলেন। এর পর থেকে তাঁর নাম হয়েছিল গৌরী আইয়ুব।
একদিন সেই অনীশ অম্লান বদনে জিজ্ঞেস করল, ‘আচ্ছা আইয়ুবদা, আমরা আপনাকে ভাইজান বলে ডাকলে কি আপনি বেশি খুশি হবেন? গৌরী বলছিল...’
আবু সয়ীদ আইয়ুব অপাঙ্গে একবার গৌরীর দিকে তাকিয়ে বলেছিলেন, ‘নিশ্চয় খুশি হব। শুধু আইয়ুব সাহেব না বললেই হলো।’
একবার আবু সয়ীদ আইয়ুব পড়াচ্ছিলেন ‘অ্যাপেয়ারেন্স অ্যান্ড রিয়ালিটি’। পড়াতে পড়াতে ম্যাজিশিয়ানের মতো তিনি একটি ফল বের করে সবাইকে দেখিয়ে প্রশ্ন করলেন, ‘কী এটা?’
সবাই হেসে বলল, ‘কমলা!’
তাহলে এই কমলার গন্ধ কী রকম হবে, স্পর্শ করলে কেমন লাগবে? সবাই যে যার মতো এই প্রশ্নের উত্তর দিতে লাগল। উত্তর পাওয়ার পর আবু সয়ীদ আইয়ুব একজনের হাতে ফলটি দিয়ে বললেন, ‘দেখো দিকিনি, তোমাদের অনুমান ঠিক কি না!’
হাতে নিয়ে দেখা গেল, সেটা একেবারেই কমলা নয়। কৃষ্ণনগরে তৈরি মাটির খেলনা। এবার শুরু হলো মূল বক্তৃতা। যা দেখা যায় এবং বাস্তবতা যে এক না-ও হতে পারে, তা নিয়েই কথা বলা হলো। এবং কথা বলতে বলতে একসময় আবু সয়ীদ আইয়ুব শিক্ষার্থীদের মনে একটা প্রশ্ন ঢুকিয়ে দিলেন: এই বিশ্বকে যেমনটা দেখায়, বিশ্ব কি ঠিক তাই, না অন্য কোনো কিছু?
সূত্র: গৌরী আইয়ুব, আমাদের দুজনের কথা এবং অন্যান্য, পৃষ্ঠা ৫১-৫২

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৩ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৩ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৩ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৩ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৩ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

আবু সয়ীদ আইয়ুব মূলত ছিলেন উর্দুভাষী। তিন পুরুষ ধরে তাঁদের পরিবারের কলকাতায় বসবাস। উর্দু কাহকুশান পত্রিকায় রবীন্দ্রনাথের গীতাঞ্জলি পড়েন তিনি ষোলো বছর বয়সে। রবীন্দ্রনাথ পড়ার জন্য তিনি বাংলা শিখেছিলেন। বাংলায় তাঁর লেখা বইগুলো প্রবন্ধ সাহিত্যের বড় সম্পদ।
১৪ সেপ্টেম্বর ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৩ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৩ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৫ দিন আগে