রিক্তা রিচি, ঢাকা

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের নাক বরাবর যে সড়ক কৃষি মার্কেটের দিকে গেছে, সেখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয় প্রিন্স বাজারের পেছনে তেলের মিলের গলি।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই সড়কেই আড্ডা দিতে আসেন আশপাশের মানুষ। দূর থেকেও আসেন অনেকে। সেদিন সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে রস-রসিকতা নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করলেন এক বৃদ্ধ নারী। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন। কুঁজো শরীর নিয়ে হেঁটে হেঁটে এ এলাকায় ভিক্ষা করেন তিনি। এসব তথ্য জানলাম তাঁর সঙ্গে আলাপের পরই।
আগেই বলেছি, কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। একটা মমতা বা অন্য কিছু তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা বলতে বাধ্য করল বলা যায়। কুঁজো হয়ে হেঁটে যাওয়া একজন বয়সী মানুষ কিছু বললে সাড়া না দিয়ে পারা যায় না। আমরাও দিলাম। কথা এগোলো। আমার বন্ধু লামিয়া তাঁকে কিছু টাকা দিল। আমরা তাঁকে টুল পেতে বসতে দিলাম। বললাম, চা খাবেন? আমাদের কৌতূহল চাপা রেখেই চলছিল এসব। বয়সী অভিজ্ঞ চোখে তিনি হয়তো বুঝে থাকবেন এসব। তাই অনেকটা বাধ্য ছাত্রীর মতো বসলেন আমাদের সপ্রশ্ন কৌতূহলী চোখের সামনে। আমাদেরও করছেন দু-একটা প্রশ্ন। তাঁরও কি কৌতূহল আছে তবে? থাকলে কিসের? সেই প্রশ্ন অবশ্য করা হয় না আর।
বরং সাদামাটা আলাপে জানতে চাইলাম তাঁর নাম। বললেন—মরিয়ম। শুনেই মনে হলো যিশুর কথা। মনে হলো মাতা মেরির কথা। মনে পড়ল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে, মনে পড়ল ভার্জিন অব দ্য রকস। ভালো করে তাকাই আবার আমাদের মরিয়মের দিকে, যাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। ঢাকায় থাকেন অনেক বছর ধরে। কিশোরী থাকতেই এক সন্তানের মা হলেন। সেই সন্তান নিয়েই স্বামীর সঙ্গে আসেন ঢাকায়। স্বামী কাজ করতেন রং নিয়ে। রংমিস্ত্রি ছিলেন কি না, বোঝা গেল না। রঙের কথায়, সঙ্গীর কথায় আমাদের অনভ্যস্ত চোখ তখন খুঁজছিল রঙের আভাস। তাঁরও কী? স্বামীর কথা বলতে বলতে কেমন যেন হয়ে উঠলেন মরিয়ম। মনে হলো তাঁর মনের আকাশে উঁকি দিচ্ছে হাজারো স্মৃতি-বিস্মৃতির গল্প।
ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে উদ্গ্রীব কান পাতি। কিন্তু কথা বলতে বেশ কষ্ট হয় মরিয়মের। মুখে কথারা দড়ির মতো জড়িয়ে যায়। সুস্পষ্ট উচ্চারণও হয় না। কীভাবে হবে? বয়স যে আশির ঘরে। চায়ে দু চুমুক দেওয়ার পর আমাদের দিকে তাকালেন। বললেন—‘স্বামীডা ভালা ছিল না। জুয়া খেলত। অনেক মারধর করত। অনেক কষ্ট দিত আমারে। এসব জ্বালা তোমরা এহন বুঝবা না; পরে বুঝবা। এহনও তো বিয়া করো নাই। বিয়া করলে বুঝবা।’
‘আপনার স্বামী এখন কী করে?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা। বললেন, দশ বছর আগে মারা গেছে। সন্তানও নেই তাঁর। আমরা বাদ সাধি। বলি, এক সন্তান যে হয়েছিল ঢাকায় আসার আগে, তার কী হলো? বললেন, এক সন্তান ছিল, সেও কোনো এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বলতে বলতে আবারও চায়ে চুমুক দিলেন।
কথাগুলো শুনে শীত-সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত আমরাও ভারাক্রান্ত হয়ে গেলাম। মনে অনেক কথা ঘুরে গেল, বলা হলো না। শেষে জানতে চাইলাম—এই বয়সে কোথায় থাকেন, কীভাবে চলে সংসার? মরিয়ম জানালেন, কৃষি মার্কেটের এই দিকেই একটা ঘরে থাকেন তিনি। একারই সংসার। ঘরে আর কেউ নেই। মাস শেষে গুনতে হয় ৪ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি ভিক্ষা করে পান। রোজ তাজমহল রোড-কৃষি মার্কেট এলাকায় ভিক্ষা করেন। নিজেই বাজার করেন, রান্না করেন।
কিন্তু অসুস্থ হলে সেবা-যত্নের প্রশ্ন উঠতেই বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে মরিয়ম বললেন, ‘আশপাশের মানুষ আছে না? ওরাই সেবা করে। মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’
উত্তরটা শুনে থমকে গেলাম। চলে গেলাম সেদিনেরই, অর্থাৎ একই দিনের আধা ঘণ্টা আগের স্মৃতিতে।
গজ কাপড় কিনতে একটি দোকানে ঢুকেছিলাম। বিভিন্ন প্রিন্টের কাপড় দেখছিলাম। ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশিই ভিড় ছিল। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যাচ্ছিল না। কাপড় কেনায় আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এর এক ফাঁকেই আমার বন্ধুর ব্যাগের লক ও চেন খুলে মোবাইল নিয়ে গেল কেউ। চারপাশে নারীই বেশি। তাই স্বাভাবিক সন্দেহ—কোনো নারীই হয়তো নিয়েছেন। সন্দেহ আরও গাঢ় হওয়ার কারণ—আমরা যখন কাপড় দেখছিলাম, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলাম, তখন বোরকা পরিহিত এক নারী ঘুরঘুর করছিলেন আশপাশে।
কাপড় কেনা শেষে দোকান থেকে বের হয়ে দুই পা এগোতেই পেছন থেকে একজন আমাদের ধাক্কা দিয়েছিল। একটা মুহূর্ত কেবল। এর মধ্যেই ফোনটা চুরি হয়েছে। আমার বন্ধু যখন দেখল ব্যাগের চেইন খোলা, তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। যিনি চুরি করেছেন, তিনি তখন হাওয়া। এত ভিড়ের মধ্যে কে চুরি করেছে, তা বলা মুশকিল। নিজ চোখে না দেখে তো কাউকে দোষারোপ করা যাবে না; ঠিকও নয়। কিন্তু ওই যে ধাক্কা এবং তারপর মোবাইল ফোনের হাওয়া হয়ে যাওয়া—সন্দেহ দানা বেঁধে গাঢ় হতে সময় লাগে কি? লাগে না। যদি ধরেও নিই হঠাৎ ধাক্কা লাগা ওই নারী ফোনটি চুরি করেননি, তবুও কেউ না কেউ তো নিয়েছে এই ভিড়ের সুযোগে। কেউ না কেউ তো ছিল অন্যের ব্যাগে নজর রাখা চোখ নিয়ে। সেও তো আশপাশেই ছিল, যেমন আছেন এই মরিয়ম।
আধা ঘণ্টা আগের ও পরের মানুষ দুজন। তাদের কাজ দুই রকম। একজন আশি-বিরাশি বছর বয়সে চলার শক্তি হারিয়ে ভিক্ষা করেন, আস্থা রাখেন মানুষের ওপর। আরেকজন চুরি করেন; লোক ঠকান। একজন বলছেন—‘মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’ মানুষকে তিনি বসিয়েছেন অনেকটা উঁচুতে। অন্যজন মানুষের জিনিসপত্র চুরি করছেন। মানুষকে দেখছেন তিনি সংকীর্ণ জায়গা থেকে।

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই। মোহাম্মদপুর কেন্দ্রীয় কলেজের নাক বরাবর যে সড়ক কৃষি মার্কেটের দিকে গেছে, সেখানেই রয়েছে বেশ কয়েকটি চায়ের দোকান, হোটেল-রেস্তোরাঁ। আরেকটু সহজ করে বললে বলতে হয় প্রিন্স বাজারের পেছনে তেলের মিলের গলি।
বন্ধুবান্ধব নিয়ে এই সড়কেই আড্ডা দিতে আসেন আশপাশের মানুষ। দূর থেকেও আসেন অনেকে। সেদিন সন্ধ্যায় চায়ের দোকানে বসে চা খাচ্ছিলাম। বন্ধুদের সঙ্গে রস-রসিকতা নিয়ে ব্যস্ত যখন, তখন আমাদের মনোযোগ আকর্ষণ করলেন এক বৃদ্ধ নারী। বয়সের ভারে কুঁজো হয়ে গেছেন। কুঁজো শরীর নিয়ে হেঁটে হেঁটে এ এলাকায় ভিক্ষা করেন তিনি। এসব তথ্য জানলাম তাঁর সঙ্গে আলাপের পরই।
আগেই বলেছি, কথা হচ্ছিল তাঁর সঙ্গে। একটা মমতা বা অন্য কিছু তাঁর সঙ্গে আমাদের কথা বলতে বাধ্য করল বলা যায়। কুঁজো হয়ে হেঁটে যাওয়া একজন বয়সী মানুষ কিছু বললে সাড়া না দিয়ে পারা যায় না। আমরাও দিলাম। কথা এগোলো। আমার বন্ধু লামিয়া তাঁকে কিছু টাকা দিল। আমরা তাঁকে টুল পেতে বসতে দিলাম। বললাম, চা খাবেন? আমাদের কৌতূহল চাপা রেখেই চলছিল এসব। বয়সী অভিজ্ঞ চোখে তিনি হয়তো বুঝে থাকবেন এসব। তাই অনেকটা বাধ্য ছাত্রীর মতো বসলেন আমাদের সপ্রশ্ন কৌতূহলী চোখের সামনে। আমাদেরও করছেন দু-একটা প্রশ্ন। তাঁরও কি কৌতূহল আছে তবে? থাকলে কিসের? সেই প্রশ্ন অবশ্য করা হয় না আর।
বরং সাদামাটা আলাপে জানতে চাইলাম তাঁর নাম। বললেন—মরিয়ম। শুনেই মনে হলো যিশুর কথা। মনে হলো মাতা মেরির কথা। মনে পড়ল লিওনার্দো দ্য ভিঞ্চিকে, মনে পড়ল ভার্জিন অব দ্য রকস। ভালো করে তাকাই আবার আমাদের মরিয়মের দিকে, যাঁর বাড়ি শরীয়তপুরে। ঢাকায় থাকেন অনেক বছর ধরে। কিশোরী থাকতেই এক সন্তানের মা হলেন। সেই সন্তান নিয়েই স্বামীর সঙ্গে আসেন ঢাকায়। স্বামী কাজ করতেন রং নিয়ে। রংমিস্ত্রি ছিলেন কি না, বোঝা গেল না। রঙের কথায়, সঙ্গীর কথায় আমাদের অনভ্যস্ত চোখ তখন খুঁজছিল রঙের আভাস। তাঁরও কী? স্বামীর কথা বলতে বলতে কেমন যেন হয়ে উঠলেন মরিয়ম। মনে হলো তাঁর মনের আকাশে উঁকি দিচ্ছে হাজারো স্মৃতি-বিস্মৃতির গল্প।
ইতিমধ্যে চা চলে এসেছে। চায়ে চুমুক দিয়ে উদ্গ্রীব কান পাতি। কিন্তু কথা বলতে বেশ কষ্ট হয় মরিয়মের। মুখে কথারা দড়ির মতো জড়িয়ে যায়। সুস্পষ্ট উচ্চারণও হয় না। কীভাবে হবে? বয়স যে আশির ঘরে। চায়ে দু চুমুক দেওয়ার পর আমাদের দিকে তাকালেন। বললেন—‘স্বামীডা ভালা ছিল না। জুয়া খেলত। অনেক মারধর করত। অনেক কষ্ট দিত আমারে। এসব জ্বালা তোমরা এহন বুঝবা না; পরে বুঝবা। এহনও তো বিয়া করো নাই। বিয়া করলে বুঝবা।’
‘আপনার স্বামী এখন কী করে?’ প্রশ্ন ছুড়ে দিয়ে কিছুক্ষণ অপেক্ষা। বললেন, দশ বছর আগে মারা গেছে। সন্তানও নেই তাঁর। আমরা বাদ সাধি। বলি, এক সন্তান যে হয়েছিল ঢাকায় আসার আগে, তার কী হলো? বললেন, এক সন্তান ছিল, সেও কোনো এক দুর্ঘটনায় মারা গেছে। বলতে বলতে আবারও চায়ে চুমুক দিলেন।
কথাগুলো শুনে শীত-সন্ধ্যার কিছু মুহূর্ত আমরাও ভারাক্রান্ত হয়ে গেলাম। মনে অনেক কথা ঘুরে গেল, বলা হলো না। শেষে জানতে চাইলাম—এই বয়সে কোথায় থাকেন, কীভাবে চলে সংসার? মরিয়ম জানালেন, কৃষি মার্কেটের এই দিকেই একটা ঘরে থাকেন তিনি। একারই সংসার। ঘরে আর কেউ নেই। মাস শেষে গুনতে হয় ৪ হাজার টাকা। এই টাকা তিনি ভিক্ষা করে পান। রোজ তাজমহল রোড-কৃষি মার্কেট এলাকায় ভিক্ষা করেন। নিজেই বাজার করেন, রান্না করেন।
কিন্তু অসুস্থ হলে সেবা-যত্নের প্রশ্ন উঠতেই বেশ দৃঢ়তার সঙ্গে মরিয়ম বললেন, ‘আশপাশের মানুষ আছে না? ওরাই সেবা করে। মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’
উত্তরটা শুনে থমকে গেলাম। চলে গেলাম সেদিনেরই, অর্থাৎ একই দিনের আধা ঘণ্টা আগের স্মৃতিতে।
গজ কাপড় কিনতে একটি দোকানে ঢুকেছিলাম। বিভিন্ন প্রিন্টের কাপড় দেখছিলাম। ছুটির দিন হওয়ায় সাধারণ দিনের তুলনায় একটু বেশিই ভিড় ছিল। স্বাভাবিকভাবে হাঁটা যাচ্ছিল না। কাপড় কেনায় আমরা ব্যস্ত ছিলাম। এর এক ফাঁকেই আমার বন্ধুর ব্যাগের লক ও চেন খুলে মোবাইল নিয়ে গেল কেউ। চারপাশে নারীই বেশি। তাই স্বাভাবিক সন্দেহ—কোনো নারীই হয়তো নিয়েছেন। সন্দেহ আরও গাঢ় হওয়ার কারণ—আমরা যখন কাপড় দেখছিলাম, এক দোকান থেকে অন্য দোকানে যাচ্ছিলাম, তখন বোরকা পরিহিত এক নারী ঘুরঘুর করছিলেন আশপাশে।
কাপড় কেনা শেষে দোকান থেকে বের হয়ে দুই পা এগোতেই পেছন থেকে একজন আমাদের ধাক্কা দিয়েছিল। একটা মুহূর্ত কেবল। এর মধ্যেই ফোনটা চুরি হয়েছে। আমার বন্ধু যখন দেখল ব্যাগের চেইন খোলা, তখন বেশ দেরি হয়ে গেছে। যিনি চুরি করেছেন, তিনি তখন হাওয়া। এত ভিড়ের মধ্যে কে চুরি করেছে, তা বলা মুশকিল। নিজ চোখে না দেখে তো কাউকে দোষারোপ করা যাবে না; ঠিকও নয়। কিন্তু ওই যে ধাক্কা এবং তারপর মোবাইল ফোনের হাওয়া হয়ে যাওয়া—সন্দেহ দানা বেঁধে গাঢ় হতে সময় লাগে কি? লাগে না। যদি ধরেও নিই হঠাৎ ধাক্কা লাগা ওই নারী ফোনটি চুরি করেননি, তবুও কেউ না কেউ তো নিয়েছে এই ভিড়ের সুযোগে। কেউ না কেউ তো ছিল অন্যের ব্যাগে নজর রাখা চোখ নিয়ে। সেও তো আশপাশেই ছিল, যেমন আছেন এই মরিয়ম।
আধা ঘণ্টা আগের ও পরের মানুষ দুজন। তাদের কাজ দুই রকম। একজন আশি-বিরাশি বছর বয়সে চলার শক্তি হারিয়ে ভিক্ষা করেন, আস্থা রাখেন মানুষের ওপর। আরেকজন চুরি করেন; লোক ঠকান। একজন বলছেন—‘মানুষ কি মানুষরে ফালাইয়্যা দিতে পারে!’ মানুষকে তিনি বসিয়েছেন অনেকটা উঁচুতে। অন্যজন মানুষের জিনিসপত্র চুরি করছেন। মানুষকে দেখছেন তিনি সংকীর্ণ জায়গা থেকে।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই।
১৫ জানুয়ারি ২০২২
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই।
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১১ মিনিট আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই।
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

রোজ সন্ধ্যায় তাজমহল রোডের চায়ের দোকানগুলো বেশ জমে ওঠে। মানুষ গমগম করে এখানে। শুক্র, শনি কিংবা যেকোনো ছুটির দিন হলে তো কথাই নেই।
১৫ জানুয়ারি ২০২২
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
১১ মিনিট আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে