
স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

স্কটল্যান্ডে গ্লাসগো রিভারসাইড জাদুঘরে আয়োজন করা হয়েছে এক ব্যতিক্রমী প্রদর্শনী। ব্রিটিশ–ভারতে সাগরে কাজ করা দক্ষিণ এশীয় খালাসিদের ইতিহাস ও সংস্কৃতির প্রদর্শনী হচ্ছে সেখানে। এই খালাসিরাই ‘লস্কর’ নামে পরিচিত। এই আয়োজনের পেছনে রয়েছে স্থানীয় কমিউনিটি সংগঠন বাংলাদেশি অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো।
মূলত লস্করদের সম্পর্কে গবেষণার অংশ হিসেবে আয়োজন করা হয়েছে এই প্রদর্শনীর। এই গোষ্ঠীটি নিয়ে যারা গবেষণা করছেন, তাঁরা বলেন, লস্কররা ছিলেন ব্রিটিশ জাহাজের চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী। খুবই সাদাসিধা জীবনযাপন করতেন। তাঁদের জীবনযাত্রার ব্যয় ছিল খুব সামান্য। তাঁদের মজুরি দেওয়া হতো যৎসামান্য। অধিকাংশ লস্কর ছিলেন মুসলিম। তাঁরা মদ্যপান করতেন না। যেকারণে ঝগড়া–বিবাদে কম জড়াতেন। এসব কারণেই ব্রিটিশ জাহাজ কোম্পানিগুলো খালাসি নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বাঙালিরাই ছিলেন প্রথম পছন্দ।
ব্রিটিশ আমলে গ্লাসগো শহরে লস্করদের জন্য বিশেষ কিছু ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। কুইন্স ডকে তাঁদের জন্য আলাদা টয়লেট, একটি হোস্টেল এবং একটি ক্লাব তৈরি করা হয়। প্রদর্শনীতে এই ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ নিদর্শন হিসেবে একটি ঢালাই লোহার ফলক সংরক্ষিত আছে, যা গ্লাসগোর কুইন্স ডকের একটি শৌচাগারের অংশ ছিল। এতে ইংরেজি লেখা ‘LASCARS ONLY’ আর নিচেই বাংলায় লেখা ‘এই কমতালা খালি নসকরের জন্যে’।
এই প্রদর্শনীতে আরও রয়েছে সি–লাইনার (কার্গো জাহাজ) ভাইসরয় অব ইন্ডিয়া–এর ১: ৪৮ স্কেলের একটি মডেল, যেখানে লস্করদের ছোট ছোট প্রতিকৃতিও রাখা হয়েছে। এ ছাড়া, বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
এ ছাড়াও প্রদর্শনীতে লস্করদের জীবনাচরণের ওপর নির্মিত ‘মাউন্টেন অব লাইট’ চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। ইতিহাসের পাশাপাশি পৌরাণিক ও লোককাহিনির মিশেলে সাজানো হয়েছে এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য।

বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন গ্লাসগো, গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম এবং আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ প্রকল্পের তরুণ সদস্যরা একসঙ্গে কাজ করে এই প্রদর্শনী সম্ভব করেছেন। এর মধ্যে চলচ্চিত্র ছাড়াও ছিল ম্যাগাজিন, পডকাস্ট, ব্লগ এবং অন্যান্য শিল্পকর্ম।
এই প্রদর্শনী লস্করদের ইতিহাসকে নতুন প্রজন্মের কাছে তুলে ধরার পাশাপাশি তাঁদের জীবনসংগ্রামের স্বীকৃতি দিচ্ছে বলে মনে করেন আয়োজকেরা।
প্রকল্প সম্পর্কে যা জানা যায়
১৯৯২ সালে গ্লাসগো মিউজিয়ামে ‘LASCARS ONLY’ লেখা একটি কাস্ট আয়রনের ফলক পাওয়া যায়, যা ১৮৯০–এর দশকে স্টোবক্রস কুই–এর শৌচাগারে ব্যবহৃত হয়েছিল। লস্কররা মূলত দক্ষিণ এশিয়া ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের নাবিক ছিলেন, যারা ইউরোপীয় শিপিং কোম্পানিগুলোর বৈষম্যমূলক শর্তে কাজ করতেন। এ আবিষ্কার গ্লাসগোর বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন, আওয়ার শেয়ারড কালচার হেরিটেজ (ওএসসিএইচ) ও গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়ামস–কে এক মঞ্চে আনে। তারা যৌথভাবে লস্করদের ইতিহাস ও স্কটল্যান্ডের সঙ্গে তাঁদের সম্পর্ক নিয়ে গবেষণা শুরু করে।
২০২২ সালে শুরু হওয়া প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ে বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন ‘LASCARi’ বা লস্করি নামে একটি নাটক নির্মাণ করে। এটি মঞ্চস্থ হয়েছিল গ্লাসগোর ‘টল শিপ গ্লেনলি’ জাহাজে। এ ছাড়া, ওএসসিএইচ–এর সদস্যরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র, চিত্রকর্ম ও ইতিহাস সংরক্ষণমূলক কাজ করেন। গ্লাসগো লাইফ মিউজিয়াম দুটি সেমিনার ও পপ-আপ প্রদর্শনীর আয়োজন করে, যেখানে দক্ষিণ এশীয় নাবিক ও গবেষকেরা তাঁদের অভিজ্ঞতা বর্ণনা করেন।

২০২৩ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে একটি তথ্যচিত্র, বই ও পডকাস্ট নির্মাণ করা হয়। ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটিতে লস্করদের অজানা ইতিহাস তুলে ধরা হয়েছে। প্রকল্পটি একটি আন্তঃপ্রজন্ম উদ্যাপনে পরিণত হয়, যেখানে ইতিহাস, সংস্কৃতি ও দক্ষিণ এশীয় অভিবাসী অভিজ্ঞতার সংযোগ গড়ে ওঠে।
প্রকল্পটি লস্করদের ইতিহাসকে গ্লাসগোর মূলধারায় তুলে এনেছে। গবেষণায় বাংলাদেশি ভাষাবিদ ও নাবিকেরা যুক্ত হন, যার ফলে ঐতিহ্য আরও গভীরভাবে অনুধাবন করা সম্ভব হয়। এই উদ্যোগ সাবেক নাবিক আবদুল ফাত্তাহ-এর মতো অনেকের জন্য জীবন পরিবর্তন করে দেয়। এখানে প্রাপ্ত পারিশ্রমিক দিয়ে তিনি বাংলাদেশে একটি ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান খোলেন।
প্রকল্পটি ২০২৩ সালের ‘মিউজিয়ামস চেঞ্জ লাইভস’ পুরস্কার জিতেছে এবং ‘স্কটল্যান্ডস লস্কর হেরিটেজ’ বইটি ‘সলটায়ার সোসাইটি স্কটিশ রিসার্চ বুক অব দ্য ইয়ার’ মনোনীত হয়।
তথ্যসূত্র: গ্লাসগো লাইফ, দ্য বেস্ট ইন হেরিটেজ

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

বেশ কয়েকজন লস্করের গল্পও তুলে ধরা হয়েছে প্রদর্শনীটিতে। যেমন—মুসা আলী, ১৯৫০ সালে গ্লাসগোতে অনিচ্ছাকৃতভাবে তাঁর কাছ থেকে গুটি বসন্ত ছড়িয়ে পড়ে। আছে বাংলাদেশি লস্কর আব্দুল ফাত্তাহর গল্পও। তিনি বাংলাদেশের সিলেটের বাসিন্দা। একবার ভারত মহাসাগরে জলদস্যুদের হাতে বন্দী হয়েছিলেন।
১৭ মার্চ ২০২৫
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৮ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে