সম্পাদকীয়

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২
সম্পাদকীয়

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
১ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
২ দিন আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৬ দিন আগে