সম্পাদকীয়

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২
সম্পাদকীয়

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবীপ্রসাদ চট্টোপাধ্যায়, দীপেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় প্রমুখ। সম্মেলনের অভ্যর্থনা কমিটির সভাপতি ছিলেন খান বাহাদুর আবদুর রহমান খাঁ। ড. মুহম্মদ শহীদুল্লাহ ছিলেন উদ্বোধক। মূল সভাপতি ছিলেন আবদুল গফুর সিদ্দিকী।
এ রকম একটা বড় সম্মেলন করতে হলে তো অনেক টাকা দরকার। ব্যয় কম নয়। কোথা থেকে জোগাড় হবে টাকা? খুবই নাজুক অবস্থা আয়োজকদের। সে সময় কবি সানাউল হক ছিলেন নারায়ণগঞ্জের মহকুমা হাকিম। হাসান হাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদিন একদল সাহিত্যিক রওনা দিলেন নারায়ণগঞ্জে। সানাউল হককে খুলে বললেন সব কথা। বললেন, তুলে দিতে হবে কিছু টাকা।
সানাউল হক বেশ কয়েকটি ফোন করলেন। তারপর উপস্থিত সাহিত্যিকদের বললেন, ‘আপনারা আর পি সাহার কাছে যান। তিনি আপনাদের সাহায্য করবেন।’
রণদা প্রসাদ সাহার নাম তাঁরা শুনেছেন। দানবীর হিসেবে তাঁর সুনাম ছিল। সানাউল হকের কথামতো তাঁরা গেলেন রণদা প্রসাদ সাহার কাছে। নিজেদের নামধাম বলার পর আসার উদ্দেশ্য সম্পর্কে কিছু বলার আগেই রণদা প্রসাদ সাহা নানা কথা দিয়ে জমিয়ে ফেললেন আড্ডা।
সবার মনে একটা শঙ্কা দেখা দিল। তাহলে কি চা খাইয়েই বিদায় করবেন আর পি সাহা? এ রকম সময়ে বিদায়কালে একটা খাম ধরিয়ে দিলেন আর পি সাহা। সেই খামে ছিল ৫ হাজার টাকা। সেই আমলে ৫ হাজার মানে অনেক টাকা।
বিদায় নেওয়ার সময় তিনি সবাইকে দরজা পর্যন্ত এগিয়ে দিয়ে এসেছিলেন। সাহিত্য সম্মেলন সুষ্ঠুভাবে হওয়ার পেছনে এই টাকার একটা বড় ভূমিকা ছিল।
সূত্র: আনিসুজ্জামান, স্মরণ ও বরণ, পৃষ্ঠা ২১–২২

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৭ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

১৯৫৪ সালে ঢাকায় পূর্ব পাকিস্তান সাহিত্য সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। তখন যুক্তফ্রন্ট ক্ষমতায় এসেছে, ফলে একটা প্রাণের জোয়ার ছিল। পূর্ব পাকিস্তানের প্রায় সব জায়গা থেকেই এসেছিলেন প্রতিনিধিরা। এসেছিলেন কলকাতা থেকে বিশিষ্ট সাহিত্যিকেরা, যাঁদের মধ্যে ছিলেন কাজী আবদুল ওদুদ, মনোজ বসু, সুভাষ মুখোপাধ্যায়, দেবী
২৩ আগস্ট ২০২১
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
৪ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
৫ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৬ দিন আগে