
বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ্বল এক নাম। ১৭৮২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি।
তিতুমীর নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার বশিরহাট মহকুমার (কোনো কোনো সূত্র অনুযায়ী বারাসত মহকুমায়) চাঁদপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন তিতুমীর। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। মাদ্রাসায় পড়ার সময় একজন দক্ষ কুস্তিগির হিসেবেও পরিচিতি পান।
তিতুমীর ১৮২২ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। সেখানে বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ শহীদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৮২৭ সালে মক্কা থেকে দেশে ফিরে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি অনুশাসন প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। একপর্যায়ে মুসলমানদের ওপর অবৈধ কর আরোপের জন্য জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ হয়। পরে অন্য জমিদারদের সঙ্গেও তাঁর লড়াই বাঁধে।
তিতুমীর নীলচাষিদের ব্রিটিশ নীলকর ও জমিদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। নীলচাষিদের বিদ্রোহে বড় ভূমিকা ছিল অর্ধশতাব্দী ধরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ নীলকরদের নিপীড়ন। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায়, তিতুমীরের এই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী জমিদার ও নীলকর সাহেবরা।
জমিদারদের মোকাবিলা এবং কৃষকদের নিরাপত্তায় তিতুমীর একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। সদস্যদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর অনুসারী ও ভাগনে গোলাম মাসুমকে বাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। শঙ্কিত হয়ে জমিদারেরা তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ শুরু করেন। গোবরডাঙ্গার জমিদারের ইন্ধনে ইংরেজ কুঠিয়াল ডেভিস তাঁর বাহিনী নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়নে। তবে এতে জয় হয় তিতুমীরেরই। তিতুমীরের সঙ্গে সংঘর্ষে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হন। এ সময় তিতুমীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারের কাছে জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
একপর্যায়ে তিতুমীর ২৪ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে তিতুমীরের এই বিদ্রোহ পরিচিত ‘বারাসতের বিদ্রোহ’ নামে।
১৮৩১ সালে বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা। সেখানে অস্ত্র জমা করেন তাঁরা। কলকাতা থেকে ইংরেজদের একটি বাহিনী তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে পাঠানো হয়। কিন্তু ইংরেজ ও জমিদারদের বাহিনী তিতুমীরের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়।
অবশেষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে পদাতিক, অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী সৈন্যদের একটি বিশাল বাহিনী পাঠায় তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে। ১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ইংরেজ সেনারা তিতুমীরের বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। সাধারণ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে না পেরে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেন তিতুমীর ও তাঁর সঙ্গীরা। ইংরেজদের কামানের গোলা বাঁশের কেল্লা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। বহু অনুসারীসহ তিতুমীর যুদ্ধে শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর।
সূত্র. বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ্বল এক নাম। ১৭৮২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি।
তিতুমীর নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার বশিরহাট মহকুমার (কোনো কোনো সূত্র অনুযায়ী বারাসত মহকুমায়) চাঁদপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন তিতুমীর। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। মাদ্রাসায় পড়ার সময় একজন দক্ষ কুস্তিগির হিসেবেও পরিচিতি পান।
তিতুমীর ১৮২২ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। সেখানে বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ শহীদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৮২৭ সালে মক্কা থেকে দেশে ফিরে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি অনুশাসন প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। একপর্যায়ে মুসলমানদের ওপর অবৈধ কর আরোপের জন্য জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ হয়। পরে অন্য জমিদারদের সঙ্গেও তাঁর লড়াই বাঁধে।
তিতুমীর নীলচাষিদের ব্রিটিশ নীলকর ও জমিদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। নীলচাষিদের বিদ্রোহে বড় ভূমিকা ছিল অর্ধশতাব্দী ধরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ নীলকরদের নিপীড়ন। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায়, তিতুমীরের এই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী জমিদার ও নীলকর সাহেবরা।
জমিদারদের মোকাবিলা এবং কৃষকদের নিরাপত্তায় তিতুমীর একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। সদস্যদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর অনুসারী ও ভাগনে গোলাম মাসুমকে বাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। শঙ্কিত হয়ে জমিদারেরা তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ শুরু করেন। গোবরডাঙ্গার জমিদারের ইন্ধনে ইংরেজ কুঠিয়াল ডেভিস তাঁর বাহিনী নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়নে। তবে এতে জয় হয় তিতুমীরেরই। তিতুমীরের সঙ্গে সংঘর্ষে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হন। এ সময় তিতুমীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারের কাছে জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
একপর্যায়ে তিতুমীর ২৪ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে তিতুমীরের এই বিদ্রোহ পরিচিত ‘বারাসতের বিদ্রোহ’ নামে।
১৮৩১ সালে বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা। সেখানে অস্ত্র জমা করেন তাঁরা। কলকাতা থেকে ইংরেজদের একটি বাহিনী তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে পাঠানো হয়। কিন্তু ইংরেজ ও জমিদারদের বাহিনী তিতুমীরের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়।
অবশেষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে পদাতিক, অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী সৈন্যদের একটি বিশাল বাহিনী পাঠায় তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে। ১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ইংরেজ সেনারা তিতুমীরের বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। সাধারণ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে না পেরে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেন তিতুমীর ও তাঁর সঙ্গীরা। ইংরেজদের কামানের গোলা বাঁশের কেল্লা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। বহু অনুসারীসহ তিতুমীর যুদ্ধে শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর।
সূত্র. বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ্বল এক নাম। ১৭৮২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি।
তিতুমীর নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার বশিরহাট মহকুমার (কোনো কোনো সূত্র অনুযায়ী বারাসত মহকুমায়) চাঁদপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন তিতুমীর। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। মাদ্রাসায় পড়ার সময় একজন দক্ষ কুস্তিগির হিসেবেও পরিচিতি পান।
তিতুমীর ১৮২২ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। সেখানে বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ শহীদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৮২৭ সালে মক্কা থেকে দেশে ফিরে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি অনুশাসন প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। একপর্যায়ে মুসলমানদের ওপর অবৈধ কর আরোপের জন্য জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ হয়। পরে অন্য জমিদারদের সঙ্গেও তাঁর লড়াই বাঁধে।
তিতুমীর নীলচাষিদের ব্রিটিশ নীলকর ও জমিদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। নীলচাষিদের বিদ্রোহে বড় ভূমিকা ছিল অর্ধশতাব্দী ধরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ নীলকরদের নিপীড়ন। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায়, তিতুমীরের এই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী জমিদার ও নীলকর সাহেবরা।
জমিদারদের মোকাবিলা এবং কৃষকদের নিরাপত্তায় তিতুমীর একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। সদস্যদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর অনুসারী ও ভাগনে গোলাম মাসুমকে বাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। শঙ্কিত হয়ে জমিদারেরা তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ শুরু করেন। গোবরডাঙ্গার জমিদারের ইন্ধনে ইংরেজ কুঠিয়াল ডেভিস তাঁর বাহিনী নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়নে। তবে এতে জয় হয় তিতুমীরেরই। তিতুমীরের সঙ্গে সংঘর্ষে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হন। এ সময় তিতুমীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারের কাছে জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
একপর্যায়ে তিতুমীর ২৪ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে তিতুমীরের এই বিদ্রোহ পরিচিত ‘বারাসতের বিদ্রোহ’ নামে।
১৮৩১ সালে বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা। সেখানে অস্ত্র জমা করেন তাঁরা। কলকাতা থেকে ইংরেজদের একটি বাহিনী তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে পাঠানো হয়। কিন্তু ইংরেজ ও জমিদারদের বাহিনী তিতুমীরের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়।
অবশেষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে পদাতিক, অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী সৈন্যদের একটি বিশাল বাহিনী পাঠায় তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে। ১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ইংরেজ সেনারা তিতুমীরের বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। সাধারণ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে না পেরে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেন তিতুমীর ও তাঁর সঙ্গীরা। ইংরেজদের কামানের গোলা বাঁশের কেল্লা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। বহু অনুসারীসহ তিতুমীর যুদ্ধে শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর।
সূত্র. বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ্বল এক নাম। ১৭৮২ সালের এই দিনে অর্থাৎ ২৭ জানুয়ারি পৃথিবীতে এসেছিলেন তিনি।
তিতুমীর নামে পরিচিত হলেও তাঁর পুরো নাম সৈয়দ মীর নিসার আলী। পশ্চিমবঙ্গের ২৪ পরগণা জেলার বশিরহাট মহকুমার (কোনো কোনো সূত্র অনুযায়ী বারাসত মহকুমায়) চাঁদপুর গ্রামে তাঁর জন্ম। বাবার নাম সৈয়দ মীর হাসান আলী এবং মা আবিদা রোকেয়া খাতুন।
গ্রামের স্কুলে প্রাথমিক শিক্ষা শেষে স্থানীয় একটি মাদ্রাসায় লেখাপড়া করেন তিতুমীর। তিনি ইসলামি ধর্মশাস্ত্র, আইনশাস্ত্র, দর্শনসহ বিভিন্ন বিষয়ে পণ্ডিত ছিলেন। মাদ্রাসায় পড়ার সময় একজন দক্ষ কুস্তিগির হিসেবেও পরিচিতি পান।
তিতুমীর ১৮২২ সালে পবিত্র হজ পালনের জন্য মক্কায় যান। সেখানে বিখ্যাত ইসলামি ধর্মসংস্কারক ও বিপ্লবী নেতা সাইয়িদ আহমদ শহীদের সান্নিধ্যে আসেন। ১৮২৭ সালে মক্কা থেকে দেশে ফিরে চব্বিশ পরগনা ও নদীয়া জেলায় মুসলমানদের মধ্যে ইসলামি অনুশাসন প্রচার শুরু করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তাঁর আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল সামাজিক ও ধর্মীয় সংস্কার। একপর্যায়ে মুসলমানদের ওপর অবৈধ কর আরোপের জন্য জমিদার কৃষ্ণদেব রায়ের সঙ্গে তিতুমীরের সংঘর্ষ হয়। পরে অন্য জমিদারদের সঙ্গেও তাঁর লড়াই বাঁধে।
তিতুমীর নীলচাষিদের ব্রিটিশ নীলকর ও জমিদারদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ করে তোলেন। নীলচাষিদের বিদ্রোহে বড় ভূমিকা ছিল অর্ধশতাব্দী ধরে তাঁদের ওপর ব্রিটিশ নীলকরদের নিপীড়ন। ঐতিহাসিক সুপ্রকাশ রায়ের ভাষায়, তিতুমীরের এই সংগ্রাম ছিল প্রকৃত কৃষক বিদ্রোহ, যার লক্ষ্য ছিল অত্যাচারী জমিদার ও নীলকর সাহেবরা।
জমিদারদের মোকাবিলা এবং কৃষকদের নিরাপত্তায় তিতুমীর একটি বাহিনী গড়ে তোলেন। সদস্যদের লাঠি ও দেশীয় অস্ত্র চালনায় প্রশিক্ষণ দেন। তাঁর অনুসারী ও ভাগনে গোলাম মাসুমকে বাহিনীর অধিনায়ক করা হয়। শঙ্কিত হয়ে জমিদারেরা তাঁর বিরুদ্ধে সম্মিলিত প্রতিরোধ শুরু করেন। গোবরডাঙ্গার জমিদারের ইন্ধনে ইংরেজ কুঠিয়াল ডেভিস তাঁর বাহিনী নিয়ে তিতুমীরের বিরুদ্ধে যুদ্ধে নেমে পড়নে। তবে এতে জয় হয় তিতুমীরেরই। তিতুমীরের সঙ্গে সংঘর্ষে গোবরা-গোবিন্দপুরের জমিদার নিহত হন। এ সময় তিতুমীর ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি সরকারের কাছে জমিদারদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দেন। কিন্তু তাতে লাভ হয়নি।
একপর্যায়ে তিতুমীর ২৪ পরগণার কিছু অংশ, নদীয়া ও ফরিদপুরের একাংশ নিয়ে স্বাধীন রাষ্ট্র ঘোষণা করেন। অত্যাচারী জমিদার ও নীলকরদের বিরুদ্ধে তিতুমীরের এই বিদ্রোহ পরিচিত ‘বারাসতের বিদ্রোহ’ নামে।
১৮৩১ সালে বারাসতের কাছে নারিকেলবাড়িয়া গ্রামে একটি বাঁশের কেল্লা নির্মাণ করেন তিতুমীর ও তাঁর অনুসারীরা। সেখানে অস্ত্র জমা করেন তাঁরা। কলকাতা থেকে ইংরেজদের একটি বাহিনী তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে পাঠানো হয়। কিন্তু ইংরেজ ও জমিদারদের বাহিনী তিতুমীরের বাহিনীর কাছে পরাজিত হয়।
অবশেষে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি কর্নেল স্টুয়ার্টের নেতৃত্বে পদাতিক, অশ্বারোহী ও বন্দুকধারী সৈন্যদের একটি বিশাল বাহিনী পাঠায় তিতুমীরের সঙ্গে লড়াই করতে। ১৮৩১ সালের ১৪ নভেম্বর ইংরেজ সেনারা তিতুমীরের বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায়। সাধারণ, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে আধুনিক অস্ত্রসজ্জিত ইংরেজ বাহিনীকে প্রতিরোধ করতে না পেরে বাঁশের কেল্লায় আশ্রয় নেন তিতুমীর ও তাঁর সঙ্গীরা। ইংরেজদের কামানের গোলা বাঁশের কেল্লা সম্পূর্ণ বিধ্বস্ত করে দেয়। বহু অনুসারীসহ তিতুমীর যুদ্ধে শহীদ হন। দিনটি ছিল ১৮৩১ সালের ১৯ নভেম্বর।
সূত্র. বাংলাপিডিয়া, বিবিসি বাংলা, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে ধরে এনে হত্যা করে লোকোশেডের পুকুরে ফেলে দিত। এমনকি রাজবাড়ী রেলওয়ে স্টেশনে যাত্রীবাহী ট্রেন থামলে সেই ট্রেন থেকেও সন্দেহভাজন মুক্তিকামী বাঙালিদের ধরে নিয়ে আসত লোকোশেড ক্যাম্পে। তাদের সহায়তা করতে দোসররা তো ছিলই। আর ক্যাম্পে আনা বাঙালিদের ভাগ্যে জুটত নির্মম নির্যাতন। এরপর হত্যা। এবং মৃতদেহগুলোর জায়গা হতো সেই পুকুরেই। দুই দশক আগে সরকারি অর্থায়নে সেই শহীদদের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য বধ্যভূমি এলাকায় নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিশৌধ।
ছবি: মো. সাকিবুল হাসান, উইকিপিডিয়া

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
...লেখালেখি বিষয়টি একজন লেখকের কাছে সবচেয়ে কোমল আর সূক্ষ্ম অনুভূতি দাবি করে, সবচেয়ে গভীর মনোযোগ দাবি করে, আমার তো এ-ও মনে হয় যে ধ্যানমগ্নতা ছাড়া একজনের পক্ষে লেখকই হওয়া সম্ভব নয়। তো সতীর্থদের নোংরামি দেখে, ভণ্ডামি দেখে, বদমায়েশি দেখে কি একজন প্রকৃত লেখকের আহত হওয়ার কথা নয়?
...আমি তো সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি—শিল্পীদের লোভ থাকতে নেই। লোভ থাকলে শিল্প হয় না, যেমন হয় না অসৎ মানুষেরও। শিল্পীর সততা থাকাটা খুব জরুরি, আমি বলব অপরিহার্য। যাই হোক, আমি শুধু সাহিত্য জগতের ভণ্ডামি দেখে লেখালেখি থেকে দূরে সরে এসেছি, সেটা বলা ঠিক হবে না। এটা একটা কারণ ছিল বটে, তবে আরও কারণ নিশ্চয়ই আছে।
আগেই তো তোমাকে বলেছি, আমি শেষের দিকে এসে একঘেয়েমিতে ভুগছিলাম। তা ছাড়া একটা সময় এসব কিছুকেই ভীষণ অর্থহীন মনে হলো আমার কাছে। কী করছি, কেন করছি, এসবের ফলাফল কী, আদৌ এসব করার কোনো অর্থ হয় কি না—এই সব আরকি! সব মিলিয়ে লেখালেখিটা আর ভালো লাগেনি। অবশ্য একবারে পরিকল্পনা করে, সিদ্ধান্ত নিয়ে লেখালেখি বন্ধ করেছিলাম, তা নয়। এ রকম তো সব লেখকেরই হয় যে মাঝে মাঝে ক্লান্তি আসে, মাঝে মাঝে বিশ্রাম নিতে ইচ্ছে করে, মাঝে মাঝে বন্ধ্যত্বও দেখা দেয়। আমার সেটাই হয়েছিল। কিন্তু সব লেখকই সেই সময়টি পেরিয়ে আবার লেখালেখিতে আসেন। আমার আর ফিরে আসা সম্ভব হয়নি। আর এখন তো শারীরিক কারণেই অনেক কিছু করা সম্ভব হয় না। যে উদ্দাম জীবন আমি যাপন করেছি, সেটা শুনলে তোমরা অবাক হয়ে যাবে, আর এখন তো দিনের পর দিন ঘরে বন্দী হয়ে থাকি, বেরুতেই পারি না...
সূত্র: আহমাদ মোস্তফা কামাল কর্তৃক মাহমুদুল হকের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘হিরণ্ময় কথকতা’, পৃষ্ঠা ৯০-৯১

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের। শতাধিক বাঙালিকে লাইনে দাঁড় করিয়ে ব্রাশফায়ার করে পাকিস্তানি সেনারা। তাঁদের অপরাধ ছিল একটাই—মুক্তিযোদ্ধাদের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণের পরিকল্পনা করা। গণহত্যার পর হানাদার বাহিনী মিলের দক্ষিণ দিকের দেয়াল ভেঙে চলে যায়। মরদেহগুলো তিন-চার দিন মিলের সুপারিবাগানে পড়ে থাকে। শিয়াল-শকুন খুবলে খায় সেগুলো। দেশ স্বাধীন হলে গ্রামবাসী মিলের ভেতরে গিয়ে ১৩৬ জনের লাশ পান। মিলের দক্ষিণ পাশে ১০৬ জনের মৃতদেহকে গণকবরে শায়িত করা হয়। বাকিদের মরদেহ নিয়ে যান স্বজনেরা। ১৯৯৬ সালে শহীদদের সম্মানে মিল কর্তৃপক্ষ ‘শহীদ স্মরণে’ স্মৃতিফলকটি নির্মাণ করে গণকবরের জায়গাটিতে।
ছবি: সংগৃহীত

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৪ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

বাংলার জমিদার ও ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে কৃষকদের সংগঠিত করেছিলেন তিতুমীর। তাঁদের রক্ষা করতে লড়াই করেছিলেন। প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন বাঁশের কেল্লা থেকে। ব্রিটিশ সেনাদের সঙ্গে যুদ্ধ করার সময় বাঁশের কেল্লাতেই শহীদ হন তিনি। ভারতীয় উপমহাদেশের স্বাধীনতাসংগ্রামের ইতিহাসে তিতুমীর উজ্জ
২৭ জানুয়ারি ২০২৪
রাজবাড়ী শহরেই অবস্থিত বিনোদপুর লোকোশেড। বলা হয় রাজবাড়ী জেলার সবচেয়ে বড় বধ্যভূমি এটি—রাজবাড়ী বধ্যভূমি বা বিনোদপুর লোকোশেড বধ্যভূমি নামে পরিচিত। ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী বিনোদপুরের লোকোশেড এলাকায় ক্যাম্প বসিয়েছিল। তারা শহরের বিভিন্ন জায়গা থেকে অসংখ্য মানুষকে...
১ দিন আগে
ভালো-মন্দ সব জায়গাতেই আছে। সাহিত্য জগতেও যে ভালো মানুষ পাইনি, তা তো নয়। একজন লেখক অসম্ভব স্পর্শকাতর এবং সংবেদনশীল মানুষ। লেখালেখি বিষয়টাই তো সাংঘাতিক স্পর্শকাতর—লেখক এবং লেখা উভয়েই সামান্য কারণে আহত হয়!
২ দিন আগে
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধের শেষ প্রহর। গাজীপুর জেলার কালীগঞ্জ উপজেলায় ১ ডিসেম্বর চলে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বর্বর গণহত্যা। শীতলক্ষ্যার পশ্চিম পারে খলাপাড়া গ্রামে ‘ন্যাশনাল জুট মিলস লি.’ নামে যে কারখানাটি অবস্থিত, সেখানেই নারকীয়ভাবে হত্যা করা হয় মুক্তিযোদ্ধাসহ মিলের মুক্তিকামী শ্রমিক-কর্মচারীদের।
৩ দিন আগে