Ajker Patrika

জলাতঙ্ক টিকার আবিষ্কারক লুই পাস্তুরের জন্মদিন আজ

আপডেট : ২৭ ডিসেম্বর ২০২৩, ১১: ৫১
জলাতঙ্ক টিকার আবিষ্কারক লুই পাস্তুরের জন্মদিন আজ

রোগে অণুজীবের ভূমিকা এবং কীভাবে ভ্যাকসিন দিয়ে রোগ প্রতিরোধ করা যায়, তা আবিষ্কার করা প্রথম দিককার বিজ্ঞানীদের একজন লুই পাস্তুর। আমরা অবশ্য তাঁকে বেশি চিনি জলাতঙ্ক রোগের টিকার আবিষ্কারক হিসেবেই। ১৮২২ সালের এই দিনে, অর্থাৎ ২৭ ডিসেম্বর ফ্রান্সের দোলে জন্ম নেন এই বিজ্ঞানী। 

ওই সময়ে বিজ্ঞানীদের মধ্যে প্রচলিত সাধারণ ধারণা ছিল খাবার নষ্ট হওয়া এবং গাঁজন হলো এমন একটি রাসায়নিক প্রক্রিয়া, যা বাতাসের অক্সিজেনের কারণে ঘটে। 

এদিকে ১৮৩০-এর দশকে দুই বিজ্ঞানী থিওডর সোয়ান এবং শার্ল কেনিয়ার দ্য লা তুর অণুবীক্ষণ যন্ত্র ব্যবহার করে পর্যবেক্ষণ করেন যে বিয়ারের ইস্ট পুনরুৎপাদনকারী কোষ দ্বারা গঠিত। তাঁরা প্রস্তাব করেন, এদের বৃদ্ধির কারণে তৈরি হয় অ্যালকোহল। লুই পাস্তুর রাসায়নিক পচনতত্ত্বকে বাতিল করে তার নিজস্ব বিশদ পরীক্ষা-নিরীক্ষা না করা পর্যন্ত তাদের ধারণাগুলো ছিল উপেক্ষিত। 

পাস্তুর দেখিয়েছিলেন যে কোনো ফুটানো নির্যাস থেকে যদি বাতাস বের করে নেওয়া হয়ে যায়, এতে কোনো জীবাণু উপস্থিত হয় না, তবে যদি বায়ুমণ্ডলীয় ধূলিকণা প্রবেশ করতে দেওয়া হয়, তাহলে কয়েক দিনের মধ্যে জীবাণুগুলো উপস্থিত হবে। 

পাস্তুর বুঝতে পেরেছিলেন যে খুদে জীবাণুগুলো খাবার নষ্ট করার জন্য দায়ী। বিষয়টির সঙ্গে ওয়াইনের সম্পর্ক থাকায় ফ্রান্সের অর্থনীতির জন্যও খুব গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে এটি। পাস্তুর আবিষ্কার করেছিলেন যে ওয়াইনকে ৫৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় গরম করলে ব্যাকটেরিয়া মারা যায়। এভাবে স্বাদকে প্রভাবিত না করেই ওয়াইন নষ্ট হওয়া বন্ধ করে দেয়। প্রক্রিয়াটি পাস্তুরাইজেশন হিসেবে পরিচিতি পায়, যা আজও ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হয়। 

ফ্রান্সে রেশম পোকার এক মহামারিতে রেশমের উৎপাদন হ্রাস পেয়েছিল। ১৮৬৫ সালে ফ্রান্স সরকার পাস্তুরকে রেশমশিল্পের সমস্যা সমাধানের অনুরোধ করেন। পাস্তুর পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে বুঝতে পারেন রেশম পোকার এই সমস্যা বংশগত। অর্থাৎ মায়ের থেকে পরবর্তী প্রজন্মে সংক্রামিত হয়। তিনি শিল্পটিকে বাঁচানোর জন্য রোগমুক্ত গুটি বাছাই করার প্রস্তাব করেন। 

 গবেষণাগারে লুই পাস্তুর। ছবি: সায়েন্স হিস্টরি ইনস্টিটিউট১৮৮০ সালে পাস্তুর মুরগির কলেরার ওপর পরীক্ষা-নিরীক্ষার কথা জানান। জঁ জজি অরি ত্যুসাঁ আগে এটি নিয়ে কাজ শুরু করেছিলেন। পাস্তুর দেখতে পেলেন যে কিছু কৌশল ব্যবহার করে জীবাণুর বিষক্রিয়া হ্রাস করা সম্ভব। এই দুর্বল জীবাণু দিয়ে তৈরি টিকা মুরগিকে রোগটির থেকে রেহাই পেতে সাহায্য করবে। তিনি বিশ্বাস করতেন যে এই নীতি সমস্ত সংক্রামক রোগের বিরুদ্ধে ভ্যাকসিন বা টিকা তৈরিতে প্রয়োগ করা যেতে পারে। 

তিনি ভ্যাকসিন অ্যানথ্রাক্সে আক্রান্ত ভেড়াকে সুস্থ করে তুলতে একটি পরীক্ষা চালান। ঘটনাটি ১৮৮৫ সালের, দুই দল ভেড়াকে অ্যানথ্রাক্স জীবাণুর টিকা দেওয়া হলো। টিকা পেয়েছে এমন ভেড়াগুলো বেঁচে যায়, না পাওয়াগুলো মারা যায়। পাস্তুরের দাবি ছিল, তিনি প্রতিষেধকটা তৈরি করেন নিজের পদ্ধতিতে, মানে বাতাসে রেখে। এ ক্ষেত্রে পাস্তুর তাঁর নিজের নয়, ত্যুসাঁর একটি পদ্ধতি অনুসারে তৈরি একটি ভ্যাকসিন ব্যবহার করেছিলেন। তবে এ কথা তখন প্রকাশ করেননি। ১৯৭০-এর দশকে তাঁর গোপন নোটবুকগুলো ইতিহাসবিদদের হাতে আসার পর বিশ্ব এ বিষয়ে হতাশার কথা জানতে পারে। 

পাস্তুরের নোট বই অনুসারে নিজের নয়, শুরুতে জঁ জজি অরি ত্যুসাঁর পদ্ধতিই অনুসরণ করেছিলেন। অবশ্য কয়েক মাসের মধ্যেই পাস্তুর বাতাসের উপস্থিতিতেই টিকা বানিয়েছিলেন বলে নোট বইয়ে উল্লেখ আছে। 

 ১৮৮৫ সালে পাগলা কুকুরে কামড়ানো একটি ছেলেকে পাস্তুরের কাছে আনা হয়। পাস্তুর তাকে একের পর এক ইনজেকশন দেয় এবং সে বেঁচে যায়। আর এভাবেই লুই পাস্তুরের হাত ধরে আবিষ্কৃত হয় জলাতঙ্ক রোগের টিকা। 

পরে পাস্তুর বাণিজ্যিকভাবে অ্যানথ্রাক্স ও জলাতঙ্কের ভ্যাকসিন তৈরি করতে শুরু করেন এবং পাস্তুর ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠার জন্য এই আয় ব্যবহার করেন। পাস্তুর ইনস্টিটিউটের পরিচালক থাকা অবস্থায় ১৮৯৫ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর পৃথিবী থেকে চিরবিদায় নেন এই বিজ্ঞানী। 

সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট, ব্রিটানিকা, উইকিপিডিয়া

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বধ্যভূমি ৭১

সম্পাদকীয়
বধ্যভূমি ৭১

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

রহনপুর গণকবর

সম্পাদকীয়
রহনপুর গণকবর

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।

ছবি: সংগৃহীত

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

সম্পাদকীয়
ইলিয়াসের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে শাহাদুজ্জামান

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।

আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।

বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।

তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।

সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

সম্পাদকীয়
শিয়ালবাড়ি বধ্যভূমি

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।

তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

আতাউর রহমান বিক্রমপুরী কারাগারে

বিএনপিতে রেদোয়ান আহমেদ-ববি হাজ্জাজ, ছেড়ে দিচ্ছে আরও ৮ আসন

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নতুন প্রধান বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরী

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত