জাহাঙ্গীর আলম

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যাঁরা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাঁদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
ভাগ্য ভালো হলে দেখা মিলতে পারে মাঙ্কি টুপিরও। সৌভাগ্যের কথা বলছি কারণ, বাঁশের আগায় অ্যানটেনা বাঁধা ঝিরঝিরে সাদাকালো রোমান্টিক টেলিভিশনের মতো এই টুপিও এখন বিলুপ্তপ্রায়।
অথচ এককালে উত্তরের জার থেকে বাঁচতে এই হনুমান টুপির বিকল্প ছিল না। সস্তার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে শোভা পেত কত রং-বেরঙের টুপি, কাঠের চলায় পেরেক মেরে বানানো আঁকশিতে বানরের মতো ঝুলে থাকত। এত সস্তায় শীত নিবারণের এমন মোক্ষম পোশাক সম্ভবত উত্তরের মানুষ কখনো পায়নি!
কোথায় থেকে কীভাবে এল এমন টুপি? উইকিপিডিয়া ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, দেড় শ বছর আগে, ক্রিমিয়া যুদ্ধে এমন টুপি ব্যবহার করা হতো। কৃষ্ণসাগরের উত্তরে ইউক্রেনের ওই উপদ্বীপে যখন প্রচণ্ড শীতে দাঁতে দাঁত ঠুকে যাওয়ার অবস্থা, তখন ব্রিটিশ সেনাদের জন্য পাঠানো হয়েছিল বালাক্লাভা। অবশ্য এই টুপি তখনো এই নাম পায়নি।
১৮৫৪ সালের ক্রিমিয়া যুদ্ধের সময় ‘ব্যাটল অব বালাক্লাভা’ থেকেই টুপিটির এমন নামকরণ। এগুলো ছিল হাতে বোনা। ব্রিটিশ সেনাদের জন্য রসদ (গরম কাপড়, পানিরোধী প্যান্ট এবং খাবার) সময়মতো পৌঁছায়নি। কারণ, এসব যাচ্ছিল জলপথে। ফলে শীত থেকে বাঁচতে এটা জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছিল।
রিচার্ড রাট তাঁর ‘হিস্ট্রি অব হ্যান্ডনিটিং’ বইয়ে লিখেছেন, ক্রিমিয়া যুদ্ধের সময় ‘বালাক্লাভা হেলমেট’ নামটি ব্যবহার করা হয়নি। যুদ্ধের অনেক পরে ১৮৮১ সালে এই নাম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
অবশ্য টুপির মতো দেখতে শিরস্ত্রাণ উনিশ শতকের পোলিশ এবং প্রুশিয়ার সেনাদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। তারা এটিকে বলত, উহলান ক্যাপ। তা ছাড়া ক্রীড়াবিদেরা ‘টেম্পলার ক্যাপ’ নামে এ ধরনের টুপি পরতেন।
ভারতে এসে ‘মাঙ্কি টুপি’ নাম পাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে—এ ধরনের টুপির রং সাধারণত মেটে, আর মুখের মাথার অধিকাংশ ঢেকে ফেলে বলে মুখটা হনুমানের মতোই লাগে!
যা হোক, সেই দিন গেছে। এই টুপি এখন হলিউডে গিয়ে মানসম্মান হারিয়ে চোর-ছ্যাচ্চড় ছিনতাইকারীর মুখোশে অধঃপতিত হয়েছে! ভারতবর্ষে অনেক পরে এলেও এরই মধ্যে এই টুপির সামাজিক মর্যাদা তলানি পৌঁছে গেছে। উত্তরবঙ্গের গ্রামেগঞ্জে কিছু দেখা যায়। শহরের মানুষ অনেক আধুনিক হয়েছেন। মাঙ্কি টুপির স্থান দখল করেছে হুডি, উলের মাফলার। হাতে বোনা উলের টুপিও পাওয়া যায়, ফ্যাশন দুরস্ত, দামও বেশ।
সে যাই হোক, হিমেল হাওয়া সমেত শীত আটকাতে কিন্তু মাঙ্কি টুপি অব্যর্থ। ফ্যাশনেবল ব্র্যান্ডের স্কাল ক্যাপ, কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন আর গলায় উলের রঙিন মাফলার ঝোলালে হয়তো বেশ ইউরোপীয় কেতাদুরস্ত বলে ঠাহর হয়, কিন্তু মাঙ্কি টুপি পরলে তো একসঙ্গে তিনটি কাজই হয়ে যায়। মানে দাঁড়াল, এই টুপির জুড়ি নেই। এক টুপির কাজ করছে তিন সৈন্য মিলে!
অবশ্য গ্রামে অনেকে এখনো পরেন। ফাঁকা ধু ধু মাঠে কনকনে শীতের মধ্যে খেতের ফসল দেখতে বের হওয়া চাষি, অথবা মোটরসাইকেল চালক, যে গরমের কারণে সারা বছর হেলমেট পরে না, শীতকালে তার ভরসা ওই মাঙ্কি টুপি।
ইংরেজদের হাত ধরে আসা এই এক অনন্য পোশাক স্থান করে নিয়েছিল গরিব, মধ্যবিত্তের ঘরে। যুগ বদলেছে, বদলে গেছে আর্থসামাজিক অবস্থা। আরও অনেক কিছুর মতো মাঙ্কি টুপিও এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির জেল্লায় ম্রিয়মাণ কোণঠাসা। ফলে পোশাকও যে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের চিহ্ন, সেটিও হয়তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ওই ব্র্যান্ডের লোগো লাগানো স্কাল ক্যাপ। অর্থনৈতিক উদারীকরণের জোয়ারে ‘উন্নত’ সংস্কৃতির ছোঁয়া যাদের ঘর পর্যন্ত এখনো পৌঁছায়নি রক্ষণশীল মধ্যবিত্তের মতো (আসলে সামর্থ্যহীনতা), তারাই এখনো শীতের সকালে বাইরে বেরোনোর সময় দুই হাতে টেনে মাথায় ঢোকান হনুমান টুপি।

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যাঁরা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাঁদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
ভাগ্য ভালো হলে দেখা মিলতে পারে মাঙ্কি টুপিরও। সৌভাগ্যের কথা বলছি কারণ, বাঁশের আগায় অ্যানটেনা বাঁধা ঝিরঝিরে সাদাকালো রোমান্টিক টেলিভিশনের মতো এই টুপিও এখন বিলুপ্তপ্রায়।
অথচ এককালে উত্তরের জার থেকে বাঁচতে এই হনুমান টুপির বিকল্প ছিল না। সস্তার গরম কাপড়ের দোকানগুলোতে শোভা পেত কত রং-বেরঙের টুপি, কাঠের চলায় পেরেক মেরে বানানো আঁকশিতে বানরের মতো ঝুলে থাকত। এত সস্তায় শীত নিবারণের এমন মোক্ষম পোশাক সম্ভবত উত্তরের মানুষ কখনো পায়নি!
কোথায় থেকে কীভাবে এল এমন টুপি? উইকিপিডিয়া ঘেঁটে দেখা যাচ্ছে, দেড় শ বছর আগে, ক্রিমিয়া যুদ্ধে এমন টুপি ব্যবহার করা হতো। কৃষ্ণসাগরের উত্তরে ইউক্রেনের ওই উপদ্বীপে যখন প্রচণ্ড শীতে দাঁতে দাঁত ঠুকে যাওয়ার অবস্থা, তখন ব্রিটিশ সেনাদের জন্য পাঠানো হয়েছিল বালাক্লাভা। অবশ্য এই টুপি তখনো এই নাম পায়নি।
১৮৫৪ সালের ক্রিমিয়া যুদ্ধের সময় ‘ব্যাটল অব বালাক্লাভা’ থেকেই টুপিটির এমন নামকরণ। এগুলো ছিল হাতে বোনা। ব্রিটিশ সেনাদের জন্য রসদ (গরম কাপড়, পানিরোধী প্যান্ট এবং খাবার) সময়মতো পৌঁছায়নি। কারণ, এসব যাচ্ছিল জলপথে। ফলে শীত থেকে বাঁচতে এটা জরুরি ভিত্তিতে পাঠানো হয়েছিল।
রিচার্ড রাট তাঁর ‘হিস্ট্রি অব হ্যান্ডনিটিং’ বইয়ে লিখেছেন, ক্রিমিয়া যুদ্ধের সময় ‘বালাক্লাভা হেলমেট’ নামটি ব্যবহার করা হয়নি। যুদ্ধের অনেক পরে ১৮৮১ সালে এই নাম ব্যাপকভাবে ব্যবহৃত হতে দেখা যায়।
অবশ্য টুপির মতো দেখতে শিরস্ত্রাণ উনিশ শতকের পোলিশ এবং প্রুশিয়ার সেনাদের ব্যবহার করতে দেখা যায়। তারা এটিকে বলত, উহলান ক্যাপ। তা ছাড়া ক্রীড়াবিদেরা ‘টেম্পলার ক্যাপ’ নামে এ ধরনের টুপি পরতেন।
ভারতে এসে ‘মাঙ্কি টুপি’ নাম পাওয়ার একটা বড় কারণ হতে পারে—এ ধরনের টুপির রং সাধারণত মেটে, আর মুখের মাথার অধিকাংশ ঢেকে ফেলে বলে মুখটা হনুমানের মতোই লাগে!
যা হোক, সেই দিন গেছে। এই টুপি এখন হলিউডে গিয়ে মানসম্মান হারিয়ে চোর-ছ্যাচ্চড় ছিনতাইকারীর মুখোশে অধঃপতিত হয়েছে! ভারতবর্ষে অনেক পরে এলেও এরই মধ্যে এই টুপির সামাজিক মর্যাদা তলানি পৌঁছে গেছে। উত্তরবঙ্গের গ্রামেগঞ্জে কিছু দেখা যায়। শহরের মানুষ অনেক আধুনিক হয়েছেন। মাঙ্কি টুপির স্থান দখল করেছে হুডি, উলের মাফলার। হাতে বোনা উলের টুপিও পাওয়া যায়, ফ্যাশন দুরস্ত, দামও বেশ।
সে যাই হোক, হিমেল হাওয়া সমেত শীত আটকাতে কিন্তু মাঙ্কি টুপি অব্যর্থ। ফ্যাশনেবল ব্র্যান্ডের স্কাল ক্যাপ, কানে ব্লুটুথ ইয়ারফোন আর গলায় উলের রঙিন মাফলার ঝোলালে হয়তো বেশ ইউরোপীয় কেতাদুরস্ত বলে ঠাহর হয়, কিন্তু মাঙ্কি টুপি পরলে তো একসঙ্গে তিনটি কাজই হয়ে যায়। মানে দাঁড়াল, এই টুপির জুড়ি নেই। এক টুপির কাজ করছে তিন সৈন্য মিলে!
অবশ্য গ্রামে অনেকে এখনো পরেন। ফাঁকা ধু ধু মাঠে কনকনে শীতের মধ্যে খেতের ফসল দেখতে বের হওয়া চাষি, অথবা মোটরসাইকেল চালক, যে গরমের কারণে সারা বছর হেলমেট পরে না, শীতকালে তার ভরসা ওই মাঙ্কি টুপি।
ইংরেজদের হাত ধরে আসা এই এক অনন্য পোশাক স্থান করে নিয়েছিল গরিব, মধ্যবিত্তের ঘরে। যুগ বদলেছে, বদলে গেছে আর্থসামাজিক অবস্থা। আরও অনেক কিছুর মতো মাঙ্কি টুপিও এখন মুক্তবাজার অর্থনীতির জেল্লায় ম্রিয়মাণ কোণঠাসা। ফলে পোশাকও যে আর্থসামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অবস্থানের চিহ্ন, সেটিও হয়তো চোখে আঙুল দিয়ে দেখিয়ে দিচ্ছে ওই ব্র্যান্ডের লোগো লাগানো স্কাল ক্যাপ। অর্থনৈতিক উদারীকরণের জোয়ারে ‘উন্নত’ সংস্কৃতির ছোঁয়া যাদের ঘর পর্যন্ত এখনো পৌঁছায়নি রক্ষণশীল মধ্যবিত্তের মতো (আসলে সামর্থ্যহীনতা), তারাই এখনো শীতের সকালে বাইরে বেরোনোর সময় দুই হাতে টেনে মাথায় ঢোকান হনুমান টুপি।

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা। চা-শ্রমিক ও বাঙালি হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন এখানে এসে পূজা দিত, মনোবাসনা পূরণে মানত করত। সবাই জায়গাটিকে চিনত ‘সাধু বাবার থলি’ নামে। যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে মুক্তিযোদ্ধাদের ধরে এখানে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে। হত্যার আগে বটগাছের ডালে ঝুলিয়ে তাঁদের ওপর অমানবিক অত্যাচার চালানো হয়েছে। মুক্তিযোদ্ধাদের স্বজন ও মুক্তিকামী সাধারণ মানুষও বাদ যাননি। গাছের ডালে উল্টো করে বেঁধে রাখা হতো তাঁদের। নির্যাতনের যন্ত্রণায় ছটফট করতে করতে তাঁরা শহীদ হন। সেই সব শহীদের ত্যাগকে অমর করে রাখতে এখানে নির্মিত হয় ‘বধ্যভূমি ৭১’ নামের স্মৃতিস্তম্ভটি। একাত্তরের স্মৃতিবিজড়িত বধ্যভূমিটিতে আরও রয়েছে ‘মৃত্যুঞ্জয়ী ৭১’ নামে একটি ভাস্কর্য।
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যারা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে। শহীদদের সংখ্যাটা প্রায় ১০ হাজার! রহনপুর সরকারি এ বি উচ্চবিদ্যালয়ে ছিল পাকিস্তানিদের ক্যাম্প। এখানেও শত শত মানুষকে ধরে এনে হত্যা করা হয়। বধ্যভূমির যে স্থানে হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে, সেখানেই শহীদদের সম্মানে নির্মিত হয়েছে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। এই বধ্যভূমিটি রহনপুর শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের গণকবর নামে পরিচিত।
ছবি: সংগৃহীত

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যারা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই। তাঁর সাক্ষাৎকারে এমন কিছু প্রসঙ্গে আলাপ করেছি, যা হয়তো অত স্বচ্ছন্দে হাসান আজিজুল হকের সঙ্গে করতে পারতাম না। যেমন ধরেন যৌনতা-সংক্রান্ত প্রশ্নগুলো। তবে আড্ডাবাজ ব্যক্তিত্বের জন্যও তাঁর সাক্ষাৎকারটি হয়েছে অনেক প্রাণবন্ত। তাঁকে তো বাম ঘরানার লেখকই ধরা হয়, মার্ক্সবাদে তাঁর বিশ্বাস ছিল। তবে তিনি কিন্তু গোঁড়া মার্ক্সবাদী ছিলেন না।
আমি এ ব্যাপারটিও তাঁর সঙ্গে খোলাসা করার জন্য আলাপ করেছি। সোশ্যালিস্ট রিয়েলিজমের নামে একসময় একধরনের যান্ত্রিক মার্ক্সবাদ চর্চা হয়েছে সাহিত্যে। তিনি এর ঘোর বিরোধী ছিলেন। তিনি এ সাক্ষাৎকারেই বলেছেন, এ দেশের মার্ক্সবাদীদের অনেক জ্ঞান থাকলেও কাণ্ডজ্ঞান নেই। তিনি তাঁর লেখায় জীবনকে একেবারে ভেতর থেকে ধরার চেষ্টা করেছেন। অহেতুক শ্রমিকশ্রেণির জয়গান গাননি, লাল পতাকা ওঠাননি। আমার সাক্ষাৎকারে সেক্সের সঙ্গে ক্লাস পজিশনের সম্পর্ক নিয়ে কথা আছে। তিনি এও বলছেন, তাঁর চিলেকোঠার সেপাইয়ের রিকশাশ্রমিক হাড্ডি খিজির যে চরিত্র, তাকে তিনি মহান করে দেখাননি, শুধু শ্রমিকশ্রেণির বিজয়গাথা তিনি দেখাননি।
বরং হাড্ডি খিজির যে একটি লুম্পেন চরিত্র, তার ভেতর যে নানা জোচ্চুরি আছে, সেটাকেও দেখিয়েছেন। এই যে মানুষকে টোটালিটিতে দেখতে এবং দেখাতে পারা, এটাই আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের শক্তি।
তো এগুলো নিয়ে বিভিন্ন সময় কথা হতো তাঁর সঙ্গে, সেটাকেই আমি সাক্ষাৎকারে ধরতে চেষ্টা করেছি।
সূত্র: মঞ্জুরুল আজিম পলাশ কর্তৃক কথাসাহিত্যিক শাহাদুজ্জামানের সাক্ষাৎকার গ্রহণ, ‘দূরগামী কথার ভেতর’, পৃষ্ঠা: ২৭-২৮।

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যারা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায়...
৬ দিন আগেসম্পাদকীয়

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

১৯৭১ সালে পুরো বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে স্বাধীন হয়েছিল ১৬ ডিসেম্বর। কিন্তু রাজধানীর মিরপুর তখনো শত্রুদের দখলে। পরের বছর জানুয়ারিতে শত্রুমুক্ত হলে একে একে সন্ধান পাওয়া যেতে থাকে বধ্যভূমিগুলোর। ঢাকায় সবচেয়ে বেশি বধ্যভূমি মিরপুর অঞ্চলে। আর মিরপুরের বধ্যভূমিগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি লাশ পাওয়া যায় শিয়ালবাড়ি এলাকায়। মিরপুরের প্রশিকা ভবন থেকে কমার্স কলেজের দিকে যেতে একটি কালভার্ট ছিল। এখন যদিও রাস্তার মাঝে ঢাকা পড়েছে। সেখানেই ৬০টি বস্তায় প্রায় ৩৫০টি মাথার খুলি পাওয়া গিয়েছিল। সৈয়দ আলী জামে মসজিদের পাশের কুয়ায় পাওয়া গিয়েছিল অসংখ্য লাশ। ৬ নম্বর লেনের শেষ প্রান্তের মাঠে স্তূপাকারে পড়ে থাকা দুই শতাধিক লাশ শিয়ালবাড়ি গণকবরে কবর দেওয়া হয়। এটি ছিল ১০ কাঠা জমির ওপর। বেশির ভাগই দখল হয়ে গেছে। যেটুকু অংশ বাকি আছে, তা বর্তমানে মাতবরবাড়ি পারিবারিক কবরস্থান। শিয়ালবাড়ির যেসব কুয়ায় শহীদদের লাশ পাওয়া গিয়েছিল, সেখানে এখন বহুতল ভবন, কারখানা, শপিং মল।
তথ্য ও ছবি: মিরপুরের ১০টি বধ্যভূমি, মিরাজ মিজু

এ বছর আগেভাগেই জেঁকে বসেছে শীত। শহরের বাবুদের শীত নিয়ে হাহাকার দেখে প্রকৃতি বুঝি এবার করুণা করলেন। তাই খানিকটা অকালেই এসে পড়েছেন। হাড় কাঁপিয়ে দিতে শৈত্যপ্রবাহ আসন্ন বলেও জানাচ্ছে আবহাওয়া বিভাগ। রাজধানীতে যারা সারা বছর শীত উপভোগের জন্য বুভুক্ষু থাকেন, এটাই সময় তাদের উত্তরবঙ্গ যাওয়ার!
২৩ ডিসেম্বর ২০২১
মৌলভীবাজার জেলার শ্রীমঙ্গলের ভানুগাছ সড়কে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সেক্টর হেডকোয়ার্টার্স-সংলগ্ন ভুরভুরিয়াছড়ার পাশেই বধ্যভূমি ৭১ পার্ক অবস্থিত। সেখানে প্রাচীন একটি বটগাছ রয়েছে, যা একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধের সাক্ষ্য বহন করে। পাকিস্তান আমলে গাছটির নিচে ছিল এক সাধুর আস্তানা।
৯ ঘণ্টা আগে
চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার রহনপুর রেলস্টেশনের কাছেই রয়েছে একটি বধ্যভূমি। ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের শেষের দিকে সহযোগীদের সহায়তায় পাকিস্তান সেনাবাহিনী রহনপুর ও আশপাশের এলাকার মুক্তিযোদ্ধা এবং অনেক সাধারণ বাঙালিকে এই বধ্যভূমিতে বিভিন্ন সময় ধরে এনে হত্যা করে।
৪ দিন আগে
আমার সৌভাগ্য হয়েছিল আখতারুজ্জামান ইলিয়াসের ঘনিষ্ঠ হওয়ার। হাসান আজিজুল হকের সূত্রেই পরিচয় হয়েছিল তাঁর সঙ্গে। পরে তাঁর সঙ্গে প্রচুর আড্ডা দেওয়ার সুযোগ হয়েছিল। তিনি ছিলেন তুমুল আড্ডাবাজ মানুষ। আর তাঁর সঙ্গে জগৎ সংসারের যেকোনো বিষয়ে আলাপ করা যেত। এমন কোনো বিষয় নেই যাতে তাঁর আগ্রহ নেই।
৫ দিন আগে