Ajker Patrika

আমার দিলীপ কুমার

জাহীদ রেজা নূর
আপডেট : ০৯ জুলাই ২০২১, ২০: ৪৩
আমার দিলীপ কুমার

আশির দশকে ‘ক্রান্তি’ বা ‘শক্তি’ নামে নির্মিত সিনেমার মাধ্যমে দিলীপ কুমারের সঙ্গে আমাদের যোগাযোগ হতে পারত। আমাদের বলতে আশির দশকের তরুণদের কথা বলছি। আশির দশকের শুরুতে যখন একটু একটু করে ভিসিআর এসে হাজির হচ্ছে ঢাকা শহরে, সিনেমা হলের মতো টিকিট কেটে হিন্দি ছবি দেখা হচ্ছে বেগমবাজারসহ পুরান ঢাকার বিভিন্ন মহল্লায়, সে সময় নির্ঘাত মাঝবয়সী দিলীপ কুমারকে ছোট্ট টিভি স্ক্রিনে দেখার সৌভাগ্য হতো। একসময় এই ভদ্রলোক ‘ট্র্যাজেডি কিং’ উপাধি পেয়েছিলেন, সে কথা পত্র–পত্রিকার লেখালেখির মাধ্যমে রসিয়ে রসিয়ে উপভোগ করা যেত। 

ট্র্যাজেডি শব্দটির সঙ্গে উপভোগ শব্দটিকে কি খুবই বিসদৃশ লাগছে? একটু ভেবে দেখলেই পরিষ্কার হবে, আসলে দিলীপ কুমারের ট্র্যাজেডি মানেই বক্স অফিসে 'কাঁড়ি কাঁড়ি টাকা'। হলভর্তি দর্শক হাপুস নয়নে কাঁদছে, আর প্রযোজকের মুখ উজ্জ্বল হয়ে উঠছে—এ এক অন্য খেলা! সেই যখন পেশোয়ারে থাকতেন ইউসুফ খান (পরে দিলীপ কুমার), যখন তাঁর প্রতিবেশী ছিলেন আরেক কিংবদন্তি কাপুর পরিবার, তখনো আর্থিক অবস্থা একেবারেই ভালো ছিল না দিলীপ কুমারদের। কত খাটাখাটনি, বাবার সঙ্গে ঝগড়া, পালিয়ে গিয়ে আর্মি ক্লাবে চাকরি, ফেরার সময় ৫ হাজার রুপি নিয়ে ঘরে ফেরা—নাহ! দিলীপ কুমারের জীবনী এখানে বলার কোনো প্রয়োজন নেই, যারা এ লেখা পড়ছেন, তাঁরা সবাই জানেন দিলীপের জীবনেতিহাস। এখানে শুধু সে কথাই বলার চেষ্টা করছি, আশির দশকে আসলে আমরা কী করে দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। এবং সেটা পেলাম আস্ত রোমান্টিক এবং ট্র্যাজিক কুমারকেই! মাঝবয়সী চরিত্রাভিনেতাকে নয়। 

দুই. 
এরশাদ ক্ষমতায় আসার পর বঙ্গবন্ধুর দেওয়া নিউ ইস্কাটনের বাড়ি থেকে আমাদের নামিয়ে দিল পুলিশ। বাড়ির আসবাবপত্র ছুড়ে ছুড়ে ফেলতে লাগল রাস্তায়। আমরা অসহায়ের মতো দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে পুলিশের এই কাণ্ডকীর্তি দেখতে লাগলাম। এ সময় আমার কোনো এক ভাই বুঝতে পারল, এভাবে দাঁড়িয়ে থাকলে রাত কাটাতে হবে ফুটপাতে। তাই তখনই বাড়ি খুঁজতে বের হলেন তিনি। একটা ভাড়া বাড়ির খুব প্রয়োজন তখন। 

সে সময় জিগাতলা পোস্ট অফিসের কাছে একটি বাড়ি পাওয়া গেল। সে এক আকস্মিক ব্যাপার। শুধু তাই নয়, মালপত্র নিয়ে সে বাড়ির একতলায় ওঠার পর দোতলায় বসবাসরত বাড়িওয়ালারা আমাদের মুরগি আর ডাল দিয়ে ভাত খাওয়ালেন রাতে। এ রকম ট্র্যাজেডির মধ্যে এ যেন স্বর্গীয় আদর–যত্ন। 

এই জিগাতলায় এলাম বলেই তরুণ দিলীপ কুমারকে খুঁজে পেলাম। কী করে তা সম্ভব হলো, সেটাই বলি। নতুন জায়গা। শহরের কেন্দ্র থেকে বেশ খানিকটা দূরে। ধানমন্ডি, রায়ের বাজার, হাজারিবাগ খুব কাছে। ট্যানারির বীভৎস গন্ধ প্রায় সব সময় নাকে এসে লাগে। তারই মধ্যে নতুন জীবন। হেঁটে হেঁটে জায়গাটার সঙ্গে পরিচিত হচ্ছি। হাজারীবাগ গিয়ে বাঁ দিকে মোড় নিয়ে কিছু দূর এগোলেই সুইপার কলোনি। সেটা পার হয়ে আরও কিছুটা এগোলে বিডিআর মিলনায়তন। সেখানে গিয়ে দেখি ছবি চলছে। সাধারণ সিনেমা হলের চেয়ে টিকিটের দাম কম। ছবির নাম ‘বাবুল’। অভিনয় করেছেন দিলীপ কুমার আর নার্গিস। দিলীপ কুমার বড়লোকের ছেলে। পোস্টমাস্টার হয়ে এসেছেন এই ছোট্ট শহরে। গরিব বাবার মেয়ে নার্গিস। ছবিতে যার নাম বেলা। বেলা আর অশোকের মধ্যে খুব ভাব। বেলার বাবা ভাবেন, অশোক নিশ্চয়ই বেলাকে বিয়ে করবে। এ সময় উষা নামে একটি ধনী বাবার কন্যার সঙ্গে পরিচয় হয় অশোকের। অশোক হয় তার গৃহশিক্ষক। উষা প্রেমে 'পড়ে' অশোকের। 

এর পর এগিয়ে চলে কাহিনি। যারা দেখেননি, তাদের কাছে ছবিটি দেখার আহ্বান থাকল। এর বেশি কাহিনি বলে দিলে দেখার আগ্রহ নষ্ট হতে পারে। তবে এটুকু বলে রাখি, ছবিজুড়ে শামসাদ বেগম আর তালাত মাহমুদের গাওয়া গান মন ভরে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। 

ঢাকা শহরের একটি সিনেমা হলে ভারতীয় হিন্দি ছবি! আমাদের জানা ছিল, ১৯৬৫ সালের পাকিস্তান–ভারতের মধ্যে যুদ্ধ হওয়ার পর ভারতীয় ছবির আগমন বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। যে প্রিন্টগুলো ছিল এখানে, সেগুলোই ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দেখানো হতো। ফলে বিডিআর মিলনায়তনে বাবুল, বৈজু বাওরা, লুকোচুরির মতো ছবিগুলো চলত। খুবই খারাপ প্রিন্ট। কিন্তু বারবার তা দেখতাম। লুকোচুরি মনে হয় কুড়িবারের বেশি দেখেছিলাম, বাবুল দেখেছিলাম দশবারের বেশি। 

তিন. 
দুঃসংবাদগুলো দিয়ে রাখি। 

দিলীপ কুমারের ছোট ভাই নাসির খান মারা গিয়েছিলেন সেই ১৯৭৪ সালে। তিনিও ছিলেন নামকরা চলচ্চিত্র অভিনেতা। বৈজয়ন্তী মালা আর দিলীপ কুমারের সঙ্গে তিনি ‘গঙ্গা যমুনা’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। 

দিলীপ কুমার তাঁর আরও দুই ভাইকে হারিয়েছেন গত বছর। দুজনেই মারা গেছেন কোভিডে। আসলাম খান মারা গেছেন গত বছর আগস্ট মাসে। তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮ বছর। এহসান খান মারা গেছেন ৯০ বছর বয়সে, গত বছরেরই সেপ্টেম্বরে। 

চার. 
অমিতাভ বচ্চন বহু আগেই বলেছিলেন, দিলীপ কুমার ভারতের সেরা অভিনেতাদের একজন এবং শুধু ভারত নয়, পৃথিবীর সেরা অভিনেতাদের অন্যতম। 

কথাটা অমিতাভ বাড়িয়ে বলেননি। আমাদের অনেকেরই মনে পড়ে যাবে, দিলীপ কুমার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড দেওয়া শুরু হলে সেরা অভিনেতার পুরস্কারটা পেয়েছিলেন ১৯৫৪ সালে। ‘দাগ’ ছিল ছবিটার নাম। এর পর আরও সাতবার সেই পুরস্কার জুটেছে তাঁর কপালে। সে সময়কার সেরা অভিনেত্রীরা তাঁর সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। এদের মধ্যে ছিলেন মধুবালা, বৈজয়ন্তী মালা, নার্গিস, নিম্মি, মিনা কুমারী, কামিনী কৌশল। 

এখন তো শিল্পকেও নিয়ন্ত্রণ করে বাণিজ্য। সে কারণেই একটি তথ্য এখানে জানিয়ে রাখতে চাই। 

পঞ্চাশের দশকের ৩০টি ব্যবসাসফল ছবির মধ্যে দিলীপ কুমার অভিনীত ছবির সংখ্যা ছিল নয়টি। তাহলে না বোঝার কোনো কারণ নেই, এ সময় গরিব মানুষটা টাকা–পয়সার মুখ দেখেছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তা হয়েছিল আকাশসমান। 

এর পর যদি ষাটের দশকের মুঘল–ই–আজম ছবিটির কথা বলি, তাহলে বলতে হবে, ভারতের সর্বাধিক ব্যবসাসফল ছবি হিসেবে ১১ বছর টিকে ছিল সেটা। ছবিটি মুক্তি পেয়েছিল ১৯৬০ সালে। ১৯৭১ সালে নির্মিত ‘হাতি মেরা সাথি’ ছবিটি এই রেকর্ড ভঙ্গ করে। এর পর সে রেকর্ডও ভেঙে যায় ১৯৭৫ সালে ‘শোলে’ মুক্তি পাওয়ার পর। তবে অনেকেই বলে থাকেন, যদি মুদ্রাস্ফীতির কথা মাথায় রাখা হয়, তাহলে ২০১০ সাল পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি আয় করা ছবি হিসেবে মুঘল–ই আজমকেই সামনে রাখতে হবে। ২০১১ সালের হিসেবে ১০০০ কোটি টাকা আয়ের কথা বলা হচ্ছে! 

মুঘল–ই–আজম ছবিটি রাজপুত্র সেলিমকে নিয়ে। আমরা যাকে জাহাঙ্গীর বলে জানি। সেলিম বিদ্রোহ করেছিলেন তাঁর বাবা আকবরের বিরুদ্ধে। এই ছবিতে দিলীপ কুমার অভিনয় করেছিলেন সেলিমের ভূমিকায়। বাবা আকবর হয়েছিলেন রাজ কাপুরের বাবা পৃত্থীরাজ কাপুর। মধুবালা অভিনয় করেছিলেন আনারকলি চরিত্রে। ছবিটি ছিল সাদা–কালো। শুধু দ্বিতীয় ভাগে কিঞ্চিৎ রঙিন ছিল। ২০০৪ সালে পুরো ছবিটি রঙিন করে আবার সিনেমা হলে মুক্তি দেওয়া হয়েছিল। 

পাঁচ. 
যদিও এই তথ্য অনেকেই জানেন, পত্র–পত্রিকায়ও প্রকাশিত হয়েছে, তারপরও মনে হয়, এখানে উল্লেখ করা দরকার। ব্রিটিশ পরিচালক ডেভিড লিনকে আমরা চিনি লরেন্স অব অ্যারাবিয়া ছবির মাধ্যমে। এই ছবিটি নির্মাণ করা হয়েছিল ১৯৬২ সালে। তিনি সেখানে শেরিফ আলী চরিত্রে দিলীপ কুমারকে চেয়েছিলেন। দিলীপ রাজি হননি। তখন মিসরীয় অভিনেতা ওমর শরিফ ওই চরিত্রে অভিনয় করেন। ওমর শরীফের জীবনে এই ছবি একটি মাইলফলক হয়ে আছে। 

যে তথ্য অনেকেই জানেন না, সেটা এখানে বলি। দিলীপ কুমার ‘লরেন্স অব অ্যারাবিয়া’ ছবিটি দেখার পর নির্দ্বিধায় বলেছেন, ‘আমি যদি এই ছবিতে অভিনয় করতাম, তাহলে ওমর শরিফের মতো এত ভালো করতে পারতাম না। তিনি খুব ভালো অভিনয় করেছেন।’ 

ডেভিড লিন ‘তাজমহল’ নামে একটি ছবি তৈরি করতে চেয়েছিলেন। সে ছবির নায়িকা হিসেবে নিয়েছিলেন এলিজাবেথ টেইলরকে। আর নায়ক হিসেবে ভেবেছিলেন দিলীপ কুমারকে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত ছবিটি আর হয়নি। 

ছয়. 
সত্তরের দশকে দিলীপ কুমারের ক্যারিয়ারে ধস নেমেছিল। ছবিগুলো সেভাবে দর্শক টানতে পারছিল না। তবে ১৯৭০ সালটি আমাদের জন্য খুব আনন্দদায়ক। এ বছর তিনি ‘সাগিনা মাহাতো’ ছবিতে অভিনয় করেছিলেন। দিলীপ কুমার অভিনীত একমাত্র বাংলা ছবি এটি। ১৯৭৪ সালে এই ছবি হিন্দি ভাষায় আবার করেন তিনি। উত্তর–পূর্ব ভারতের একজন চা শ্রমিক চা বাগানের ব্রিটিশ কর্মকর্তাদের অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ করেন, তারই বর্ণনা রয়েছে এই ছবিতে। সায়রা বানু, অনিল চ্যাটার্জি, ভানু বন্দ্যোপাধ্যায় অভিনয় করেছিলেন এই ছবিতে। ১৯৭৬ সালে তিনি ছুটি নেন চলচ্চিত্র থেকে। ফিরে আসেন আশির দশকের শুরুতে। 

সাত. 
লেখাটা এখান থেকেই শুরু করেছিলাম। এ সময় ভিসিআরের মাধ্যমে ছোট পর্দায় দিলীপ কুমারের সঙ্গে মোলাকাত হতে পারত। কিন্তু বিডিআর অডিটোরিয়ামের বড় পর্দায়ই ট্র্যাজেডির রাজাকে আমরা দেখে ফেলেছিলাম। ‘ক্রান্তি’ ছবিতে দিলীপের সঙ্গে ছিলেন মনোজ কুমার, শশী কাপুর, হেমা মালিনী, শত্রুঘ্ন সিনহা। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনের একজন নেতা ছিলেন তিনি এই ছবিতে। ভারতের স্বাধীনতার সৈনিক। তারকাবহুল এই ছবি দর্শক লুফে নিয়েছিল। এর পর সুভাষ ঘাইয়ের ‘বিধাতা’। তারপর একই পরিচালকের ‘কর্ম।’ কর্ম নিয়ে একটা কথা বলতে ভালো লাগবে। এই ছবিতে দিলীপ অভিনয় করেছিলেন তাঁরই সমসাময়িক আরেক বড় শিল্পী নুতনের সঙ্গে। মজার ব্যাপার হলো, ‘শিকওয়া’ নামের একটি ছবিতে তাঁরা জুটি বেঁধেছিলেন আরও তিন দশক আগে। কিন্তু ছবিটি শেষ করা হয়নি। ১৯৮৯ সালেও দিলীপ–নুতন অভিনয় করেন ‘কানুন আপনা আপনা’ নামে ছবিতে। 

শেষ ছবিটি ছিল ‘কিলা’। মুক্তি পেয়েছিল ১৯৯৮ সালে। এর পর আর অভিনয়ের জন্য ক্যামেরার সামনে দাঁড়াননি। 

আট. 
এরপরও অনেকগুলো বছর বেঁচেছেন দিলীপ কুমার। বেশ কয়েকবার তাঁর মৃত্যু সংবাদ শুনতে হয়েছে আমাদের। পরে তা মিথ্যে বলে প্রমাণিত হয়েছে। এবার কিন্তু মৃত্যু সংবাদটা মিথ্যে ছিল না। 

 ৭ জুলাই চলেই গেলেন ভারতীয় চলচ্চিত্রের শৃঙ্গ স্পর্শ করা এই প্রতিভাবান মানুষটি।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

শিল্পকলায় নাট্যতীর্থের আয়োজনে ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
শিল্পকলায় নাট্যতীর্থের আয়োজনে ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।

উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।

আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।

২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।

২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।

২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।

২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।

২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘রাক্ষস’-এর গল্প বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে সুস্মিতাকে

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত
সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়। ছবি: সংগৃহীত

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।

সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’

প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’

ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’

ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।

২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’

রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।

টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ঢাকায় দুই কনসার্টে গাইলেন আতিফ আসলাম

বিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা
ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত
ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আতিফ আসলাম। ছবি: সংগৃহীত

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।

গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।

আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।

এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।

এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

এ সপ্তাহের ওটিটি: ‘সাবা’সহ মুক্তির তালিকায় যেসব সিনেমা-সিরিজ

প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।

বিনোদন ডেস্ক
মিসেস দেশপান্ডে সিরিজে মাধুরী। ছবি: সংগৃহীত
মিসেস দেশপান্ডে সিরিজে মাধুরী। ছবি: সংগৃহীত

সাবা (বাংলা সিনেমা)

  • মুক্তি: হইচই (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মেহজাবীন চৌধুরী, মোস্তফা মনওয়ার, রোকেয়া প্রাচী
  • গল্পসংক্ষেপ: মধ্যবিত্ত পরিবারের সন্তান সাবা। বাবা গত হয়েছে। মা সড়ক দুর্ঘটনায় আহত হয়ে বিছানায় পড়ে আছে। বেঁচে থাকার একমাত্র অবলম্বন মেয়ে সাবা। পরিবার আর মায়ের সেবায় নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে উঠতে পারেনি সাবা। অর্থের টানাটানিতে দিনরাত এক করে মাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা তার।

রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী, রাধিকা আপ্তে, চিত্রাঙ্গদা সিং
  • গল্পসংক্ষেপ: ২০২০ সালে মুক্তি পাওয়া ক্রাইম থ্রিলার ‘রাত আকেলি হ্যায়’ সিনেমার সিকুয়েল এটি। ইন্সপেক্টর জটিল যাদব এবার ফিরছে নতুন মামলা নিয়ে। কানপুরের ধনী ও প্রভাবশালী বানসাল পরিবারে ঘটে যাওয়া নৃশংস হত্যাকাণ্ডের তদন্তের দায়িত্ব পড়ে জটিল যাদবের ওপর। ঘটনার অন্তরালের লোভ, বিশ্বাসঘাতকতা ও ষড়যন্ত্রের জাল উন্মোচন করে সে।

মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)

  • মুক্তি: জিওহটস্টার (১৯ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: মাধুরী দীক্ষিত, প্রিয়াংশু চ্যাটার্জি, সিদ্ধার্থ চান্দেকর
  • গল্পসংক্ষেপ: ফরাসি থ্রিলার ‘লা ম্যান্টে’র অনুপ্রেরণায় তৈরি এ সিরিজে মাধুরীকে দেখা যাবে একজন সিরিয়াল কিলারের চরিত্রে। অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় ২৫ বছর সাজা হয় মিসেস দেশপান্ডের। তার খুন করার ধরন কপি করছে আরেকজন। তাকে ধরতে পুলিশ সহায়তা নেয় মিসেস দেশপান্ডের।

এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)

  • মুক্তি: নেটফ্লিক্স (১৮ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: লিলি কুপার, ফিলিপাইন লেরয়-বিউলিউ, অ্যাশলে পার্ক
  • গল্পসংক্ষেপ: চতুর্থ সিজনে এমিলি কুপারের ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে অনেক কিছু অমীমাংসিত ছিল। সেসব প্রশ্ন ও কৌতূহল নিয়েই শুরু হচ্ছে পঞ্চম সিজন। এবার শুধু প্যারিসে নয়, এমিলির জার্নি বিস্তৃত হবে রোম শহরেও।

থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

  • মুক্তি: প্রাইম ভিডিও (১৬ ডিসেম্বর)
  • অভিনয়: আয়ুষ্মান খুরানা, রাশমিকা মান্দানা, নওয়াজুদ্দিন সিদ্দিকী
  • গল্পসংক্ষেপ: ভৌতিক গল্পের এ সিনেমার শুরুতে পাহাড়ে ট্রেকিংয়ে গিয়ে বিপদে পড়ে অলোক নামের এক সাংবাদিক। পথ ভুলে পৌঁছায় এমন এক ডেরায়, যেখানে অতিপ্রাকৃত শক্তির বাস। সেখানেই অলোকের দেখা হয় মানুষরূপী এ প্রেতাত্মার সঙ্গে। ধীরে ধীরে তাদের মধ্যে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত