Ajker Patrika

চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন

রিক্তা রিচি, ঢাকা
আপডেট : ১৭ নভেম্বর ২০২১, ২০: ৩৩
চুলের যত্ন কীভাবে নেবেন

বনলতা সেন চুলের যত্নে কী করতেন, কবি সে বিষয়ে কিছু বলেননি। তাই সেই টোটকার কথা আমরা জানি না। কিন্তু যুগ যুগ ধরে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে যেটা জেনেছি সেটা হলো, ঘন কালো, ঝলমলে, প্রাণবন্ত ও সুন্দর চুলের জন্য যত্ন চাই। যত্নহীন যেমন গাছ বাঁচে না, তেমনি চুলও টিকে থাকে না।

সাধারণত একটি চুলের গড় আয়ু দুই থেকে পাঁচ বছর। কেউ কেউ বলেন আরও কম। এরপর চুল এমনিতেই ঝরে যায়। চ্যালেঞ্জের বিষয় হলো চুল পড়ার পাশাপাশি নতুন চুল গজানো। নতুন চুল গজালে চুল পড়লেও মাথায় চুলের পরিমাণ ঠিক থাকে। চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জিনিস মেনে চলতে হয়। সঠিক খাদ্যাভ্যাস, ঘুম, দুশ্চিন্তাহীন জীবন, যত্নে ভালো পণ্যের ব্যবহার ইত্যাদি সুন্দর চুলের সঙ্গে যুক্ত।

১. স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়া
চুলের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে সবার আগে আসে খাদ্যাভ্যাস। কিছু বিশেষ খাবার চুলের যত্নে বেশ সহায়ক—

ডিম
প্রোটিন ও বায়োটিনের খুব ভালো উৎস হলো ডিম। চুল ভালো রাখার জন্য এ দুই উপাদান খুব গুরুত্বপূর্ণ। পর্যাপ্ত প্রোটিন গ্রহণ না করা হলে চুলের স্বাস্থ্য খারাপ হয়ে যায়। অতিরিক্ত চুল পড়ে। প্রোটিন ও বায়োটিন ছাড়াও ডিমে আছে জিংক, সেলেনিয়াম এবং চুলের জন্য উপকারী পুষ্টি উপাদান। তাই চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে খাদ্যতালিকায় ডিম রাখুন। 

বেরি তথা জাম
স্ট্রবেরি, ব্ল্যাকবেরি ইত্যাদি চুলের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। এ ধরনের ফলে আছে ভিটামিন সি, অ্যান্টি অক্সিডেন্টসহ আরও গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট চুলের বিভিন্ন ধরনের ক্ষতি দূর করে। এক কাপ স্ট্রবেরিতে ১৪৪ গ্রাম ভিটামিন সি থাকে, যা প্রতিদিনের ভিটামিন সি-এর চাহিদার ১৪১ শতাংশ পর্যন্ত পূরণ করে। এ ছাড়া অ্যান্টি অক্সিডেন্ট, ফ্রি র‍্যাডিকেলের হাত থেকে ত্বককেও রক্ষা করে।

পালং শাক
আমাদের খুব পরিচিত পালং শাক। এতে রয়েছে উপকারী উপাদান, যেমন ফোলেট, আয়রন, ভিটামিন এ, ভিটামিন সি। এগুলো দ্রুত চুলের বৃদ্ধি ঘটাতে সাহায্য করে। ভিটামিন এ ত্বকের গ্রন্থিতে সিবাম উৎপাদন করতে সহায়তা করে। এতে মাথার ত্বক সতেজ থাকে। এক কাপ বা ৩০ গ্রাম পালং শাক ভিটামিন এ-এর দৈনিক চাহিদার ৫৪ শতাংশ পূরণ করে। পালং শাকে উচ্চ পরিমাণে আয়রন আছে। এটি চুলের বৃদ্ধিতে উপকারী ভূমিকা রাখে। 

তৈলাক্ত মাছ
সব ধরনের তৈলাক্ত মাছ চুলের জন্য ভীষণ উপকারী। স্যামন, রুই, কাতলাসহ ছোট-বড় সব মাছ খাদ্যতালিকায় রাখুন। কারণ, মাছে আছে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এটি চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। তৈলাক্ত মাছে আরও আছে প্রোটিন, সেলেনিয়াম, ভিটামিন ডি৩, ভিটামিন বি এবং অন্যান্য পুষ্টি উপাদান। এগুলো চুল ভালো রাখে। চুলে প্রাণ ফেরায়। 

মিষ্টি আলু
মিষ্টি আলুতে থাকে বিটা ক্যারোটিন। শরীর বিটা ক্যারোটিনকে ভেঙে ভিটামিন এ-তে রূপান্তর করে। বিটা ক্যারোটিন ও ভিটামিন এ চুলের জন্য উপকারী। যদি চুল পড়া কমাতে চান, তাহলে খাদ্যতালিকায় মিষ্টি আলু রাখুন। 

বাদাম
চীনাবাদাম, কাঠবাদাম, পেস্তাবাদাম ইত্যাদি সব ধরনের বাদাম চুল ভালো রাখতে সহায়তা করে। বাদামে আছে পর্যাপ্ত পরিমাণে প্রোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন ই, জিংক এবং প্রয়োজনীয় ফ্যাটি অ্যাসিড। এক আউন্স বা ২৮ গ্রাম কাঠবাদাম দৈনিক চাহিদার ৩৭ শতাংশ পূরণ করে। রোজ বাদাম খেলে চুল তো ভালো থাকেই। সেই সঙ্গে হার্ট ভালো থাকে। 

চুলের যত্নে ঘরোয়া কিছু হেয়ার প্যাক ভীষণ কাজে দেয়

বীজ
বিভিন্ন ধরনের বিচি ও বীজ খাদ্যতালিকায় রাখুন। এগুলো চুল পড়া বন্ধ করে এবং চুলে পুষ্টি জোগায়। বিচি ও বীজে থাকে চুলের জন্য উপকারী ভিটামিন ই, জিংক ও সেলেনিয়াম। মটরশুঁটি, শিমের বিচিসহ এ জাতীয় খাবারেও পর্যাপ্ত পুষ্টি উপাদান থাকে। থাকে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড। এ উপাদানগুলো চুলের ভেঙে যাওয়া রোধ করে এবং চুলের বৃদ্ধি অব্যাহত রাখে। 

মাংস
চুলের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সপ্তাহে নির্দিষ্ট পরিমাণে মাংস খান। কারণ, এতে আছে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন। আর প্রোটিন খেলে চুল শক্ত ও মজবুত থাকে। মাংস খেলে চুলের ফলিকলগুলো ভালো থাকে। 

২. চুলের যত্নে ঘরোয়া হেয়ার প্যাক
চুলের যত্নে ঘরোয়া কিছু হেয়ার প্যাক ভীষণ কাজে দেয়—

মেথি পেস্ট 
মেথি চুলের জন্য উপকারী। এতে শর্করা, প্রোটিন, চর্বি, আয়রন, ম্যাংগানিজ, কপার, ম্যাগনেশিয়াম আছে। এতে আরও আছে বায়োটিন, ফোলেট, সেলেনিয়াম, জিংক। এই উপাদানগুলো চুলের জন্য উপকারী। মেথি চুল পড়া কমাতে, নতুন চুল গজাতে কাজ করে। মেথি ও মেথি ভেজানো পানি দুই-ই কাজে লাগে। 

সারা রাত মেথি ভিজিয়ে রেখে সকালবেলা পানিটা আরেকটি পাত্রে রেখে দিন। সেই পানি স্প্রে বোতলে ভরে চুলে লাগালে নতুন চুল গজায়। চুল ভালো থাকে। মেথি পেস্ট করে প্রতি সপ্তাহে একদিন মাথায় লাগালে চুলের গোড়া শক্ত হয়। চুল পড়া বন্ধ হয় এবং মাথায় নতুন চুল গজায়। 

ডিমের হেয়ার প্যাক
ডিম চুল ভালো রাখে। চুল সিল্কি ও ঝরঝরে করতে ডিমের জুড়ি নেই। একটি ডিমের সঙ্গে এক কাপ দুধ, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পড়া বন্ধ করে। 

কলার হেয়ার মাস্ক
কলায় আছে উচ্চ পরিমাণে পটাশিয়াম, প্রাকৃতিক তেল ও ভিটামিন। এ উপাদানগুলো চুল পড়া কমায়। দুটি কলা, এক টেবিল চামচ অলিভ অয়েল, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। সবগুলো উপাদান ব্লেন্ড করে প্যাক তৈরি করে নিন। প্যাকটি কিছুক্ষণ রেখে কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। এ হেয়ার মাস্কটি চুলকে সতেজ করবে, চুলের ড্যামেজ দূর করবে, চুলের খুশকি দূর করবে এবং চুলের উজ্জ্বলতা বাড়াবে।

দইয়ের হেয়ার মাস্ক
চুল নরম ও সুন্দর রাখতে দইয়ের জুড়ি নেই। চুলে পুষ্টি জোগাতে কাজ করে দই। এক কাপ দইয়ের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আপেল সিডার ভিনেগার এবং এক টেবিল চামচ মধু মিশিয়ে নিন। হেয়ার মাস্কটি চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। 

 

কারি পাতা ও নারকেল তেলের হেয়ার মাস্ক
কারি পাতা চুলের হারিয়ে যাওয়া সৌন্দর্য ফিরিয়ে আনতে সহায়তা করে। চুল কালো করতে এবং অকালে চুল পাকা রোধ করতে সহায়তা করে। ১০ থেকে ১২টি কারি পাতার সঙ্গে দুই টেবিল চামচ নারকেল তেল মিশিয়ে ব্লেন্ড করে নিন। এই পেস্ট মাথার ত্বকে ও চুলে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু করে নিন। সপ্তাহে দুবার ব্যবহারে ভালো উপকার পাবেন। 

ক্যাস্টর অয়েলের মাস্ক
ক্যাস্টর অয়েলে উচ্চ পরিমাণে প্রোটিন আছে। এটি ব্যবহারে খুশকি দূর হয়। চুলের রুক্ষতা দূর করে চুলকে প্রাণবন্ত করে ক্যাস্টর ওয়েল। এর সঙ্গে ডিম মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। যাদের চুল কোঁকড়ানো, তারা এই প্যাক লাগাতে পারেন। ডিম ও প্যাক চুল স্ট্রেইট তথা সোজা করতে সাহায্য করে। 

চুল সিল্কি ও ঝরঝরে করতে ডিমের জুড়ি নেই

ভিটামিন ই ক্যাপের ব্যবহার
ভিটামিন ই-তে রয়েছে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এটি অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে। ভিটামিন ই-তে টোকোফেরল রয়েছে, যা চুলের বৃদ্ধিতে সহায়তা করে। এতে আছে অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিইনফ্লামেটরি উপাদান। এগুলো মাথার ত্বক সুস্থ রাখে। 

দুটি ভিটামিন ই ক্যাপের সঙ্গে এক টেবিল চামচ আমন্ড তেল, এক টেবিল চামচ নারকেল তেল, এক চা-চামচ ক্যাস্টর অয়েল এবং কয়েক ফোঁটা এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ সারা রাত মাথায় লাগিয়ে রাখুন। সকালে চুল ধুয়ে নিন। সপ্তাহে তিনবার এটি ব্যবহার করলে রুক্ষ চুলে প্রাণ ফিরবে। 

৩. চুলে ভালো ব্রাশ ব্যবহার করা
মাথার ত্বকে রক্ত চলাচল ঠিক রাখতে চুলে ভালো ব্রাশ ব্যবহার করুন। যাদের বেশি চুল পড়ে অথবা যাদের চুলে জট লাগে, তারা মোটা দাঁতের চিরুনি ব্যবহার করুন। মোটা দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ালে চুল পড়া কমে। চুল ভালো রাখতে প্যাডল ব্রাশের চিরুনি, পিন ব্রাশ, কুইল ব্রাশ, বোর ব্রিশল ব্রাশের চিরুনি কিনতে পারেন। 

৪. প্রয়োজনে হট অয়েল ম্যাসাজ
চুলে প্রাণ ফেরাতে হট অয়েল ম্যাসাজ করুন। একটি পাত্রে তেল নিয়ে কুসুম গরম করে নিন। তারপর চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। এতে রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। 

৫. নিয়মিত চুলে তেল দেওয়া
মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে গেলে মরা চামড়া থেকে অনেক খুশকি হয়। তাই মাথার ত্বক কোমল ও সতেজ রাখতে তেল ব্যবহারের বিকল্প নেই। সপ্তাহে তিন দিন চুলে তেল দিলে চুল ভালো থাকবে। আপনার মাথায় সহ্য হয়, এমন যেকোনো তেল ব্যবহার করতে পারেন। 

৬. ভালো বালিশ ব্যবহার করা
চুল ও ত্বক ভালো রাখতে সিল্কের বালিশ কভার ব্যবহার করার পরামর্শ দেন রূপবিশেষজ্ঞরা। সুতি কভারের বালিশে ঘুমালে ঘষা লেগে চুল নষ্ট হতে পারে। সিল্ক ও সাটিনের বালিশের কভার ব্যবহার করলে চুল ও বালিশের মধ্যে ঘর্ষণ কম হয়। এতে চুলে জট বাঁধা ও ক্ষয় কম হয়। 

৭. সঠিক উপায়ে বেণি করা
অনেকে ঘুমানোর আগে শক্ত করে বেণি করেন। এতে চুল ভেঙে যাওয়া কিংবা ঝরে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। বেণি আঁটসাঁটভাবে না করে, কিছুটা হালকাভাবে করতে হবে। এতে চুল কুঁকড়ে যাবে না। 

৮. আলতোভাবে চুলে তোয়ালে ব্যবহার করা
গোসলের পর ভেজা চুল তোয়ালে দিয়ে শক্তভাবে না বেঁধে আলতোভাবে বাঁধুন। বেশি শক্ত করে বাঁধলে এবং ভেজা চুল আঁচড়ালে চুল বেশি পড়ে। 

৯. হেয়ার স্ট্রেইটনার বেশি বেশি ব্যবহার না করা
আপনি জানেন কি, বেশি বেশি হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে চুল ভেঙে যায়? এ ছাড়া বেশি বেশি হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে চুল পড়া বাড়ে। হেয়ার স্ট্রেইটনার ব্যবহার করলে ধীরে ধীরে চুলের আর্দ্রতা কমে যায়। চুল শুষ্ক হয়ে চুলের আগা ফেটে যায়। চুলে বিভিন্ন ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করলেও চুলের ক্ষতি হয়। অকালে চুল ঝরে পড়ে। 

১০. হেয়ার প্রোডাক্ট ঘন ঘন পরিবর্তন না করা
চুল ভালো রাখতে আপনার চুলের জন্য যেসব শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও প্যাক উপকারী, সেগুলো ব্যবহার করুন। তবে দীর্ঘদিন একই পণ্য ব্যবহার করবেন না। কারণ, বয়স, আবহাওয়া ইত্যাদির সঙ্গে সঙ্গে ত্বক ও চুলে পরিবর্তন আসে। মাঝেমধ্যে ভিন্ন ব্র্যান্ডের শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার ব্যবহার করুন। তবে আজ এক শ্যাম্পু বা প্যাক, কাল অন্য একটি, পরের দিন আরেকটি পণ্য ব্যবহার করবেন না। ঘন ঘন পণ্য পরিবর্তন করলে চুলের কিউটিকলের ক্ষতি হতে পারে। 

ভিটামিন ই-তে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট অক্সিডেটিভ স্ট্রেস কমিয়ে চুল পড়া বন্ধ করতে সহায়তা করে

১১. হেয়ার কন্ডিশনার ব্যবহার করা
যাদের চুল খুব রুক্ষ, প্রাণহীন তারা অবশ্যই চুলে কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন। কন্ডিশনার ব্যবহার করতে হবে শ্যাম্পু করার পর। ভুলেও চুলের গোড়ায় কন্ডিশনার লাগাবেন না। কন্ডিশনার লাগাতে হয় চুলে। চুলে কন্ডিশনার লাগানোর পর সঙ্গে সঙ্গে না ধুয়ে ৫ মিনিট পর ঠান্ডা পানি দিয়ে চুল ধুতে হবে। 

১২. চুলে অ্যালোভেরার ব্যবহার
অ্যালোভেরা প্রাকৃতিকভাবে চুলকে সতেজ, কোমল ও ঝলমলে রাখে। এটি মাথার ত্বকের অ্যালার্জি দূর করে, খুশকি ও রুক্ষতা দূর করে এবং চুল পড়া বন্ধ করে। মাথায় নতুন চুল গজাতে ত্বকে অ্যালোভেরা জেল ঘষতে পারেন। ঘষে ১ ঘণ্টার মতো রেখে ধুয়ে ফেলুন। যেকোনো হেয়ার প্যাকের সঙ্গে অ্যালোভেরার জেল মিশিয়ে নিতে পারেন। যারা নিয়মিত মেহেদি প্যাক ব্যবহার করেন, সেখানেও অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে মাথায় লাগাতে পারেন। একটি পাত্রে অ্যালোভেরার জেল, নারকেল তেল ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে, কুসুম গরম করে মাথায় লাগালেও উপকার পাবেন। 

১৩. চুলের যত্নে ডিম
ডিম চুল ভালো রাখে। চুল সিল্কি ও ঝরঝরে করতে এর জুড়ি নেই। কারণ, ডিমে আছে প্রোটিন ও বায়োটিন। এ দুই উপাদান চুল ভালো রাখতে কার্যকরী ভূমিকা রাখে। একটি ডিমের সঙ্গে এক কাপ দুধ, দুই টেবিল চামচ লেবুর রস এবং দুই টেবিল চামচ অলিভ অয়েল মিশিয়ে নিন। এই মিশ্রণ মাথার ত্বকে লাগিয়ে নিন। শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে ২০ মিনিট ঢেকে রেখে ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। এই প্যাক চুলের বৃদ্ধি ঘটায়। চুল পড়া বন্ধ করে। 

মেথি পেস্ট কিংবা অন্য যেকোনো প্যাকের সঙ্গে ডিমের সাদা অংশ মিশিয়ে লাগাতে পারেন। এতেও দারুণ উপকার পাবেন। 

১৪. চুলে পেঁয়াজের ব্যবহার
চুল পড়া কমিয়ে মাথায় নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে পেঁয়াজের রস। কারণ, এতে আছে সালফার। এটি চুল ভালো রাখতে ও নতুন চুল গজাতে সাহায্য করে। যাদের প্রচুর চুল পড়ে, তাঁরা পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে তার রসটুকু মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘন হবে। 

ঘরোয়া পদ্ধতিতে চুলের যত্ন
পেঁয়াজ, ডিম, কলা, দই, মসুর ডাল, মেথি ইত্যাদি উপাদানগুলো দিয়ে ঘরোয়া উপায়ে চুলের যত্ন নেওয়া যায়। 
পেঁয়াজ ব্লেন্ড করে তার রসটুকু মাথার ত্বকে লাগাতে পারেন। লাগানোর পর ২০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। এটি নিয়মিত ব্যবহারে চুল ঘন হবে। 
মসুর ডালের পানি, মেথির পেস্ট ও ডিম একসঙ্গে মিশিয়ে ৩০ মিনিট চুলে লাগিয়ে রাখুন। এর পর শ্যাম্পু করে ফেলুন। 
কলা ও ডিম ব্লেন্ড করে তার সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপ মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। 
দই চুল ভালো রাখে। দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস ও মধু মিশিয়ে চুলে লাগাতে পারেন। এই প্যাক চুলে লাগিয়ে ১৫-২০ মিনিট রাখুন। তারপর ধুয়ে ফেলুন। 
দইয়ের সঙ্গে মধু ও ঘৃতকুমারীর জেল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক চুলের গোড়ায় লাগিয়ে ৩০-৪০ মিনিট অপেক্ষা করুন। এর পর কুসুম গরম পানি দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন। 

চুলের জন্য ভালো শ্যাম্পু
টাকা খরচ করে যেসব শ্যাম্পু আমরা কিনি, সেসব শ্যাম্পুতে থাকা বিভিন্ন ক্ষতিকর উপাদান চুলের ক্ষতি করে। যেসব শ্যাম্পুতে সোডিয়াম ক্লোরাইড, পলিথিলিন গ্লাইকল, ডাইথেনোসেমিন অথবা ট্রাইএথোলেনিনের মতো উপাদান রয়েছে, সেগুলো চুলের জন্য ভালো নয়। শ্যাম্পু কেনার আগে দেখে নেবেন শ্যাম্পুতে অ্যামোনিয়াম লরেথ সালফেট এবং সোডিয়াম লরেথ সালফেট আছে কিনা। যদি থাকে তাহলে সে শ্যাম্পু কিনবেন না। কারণ, অ্যামোনিয়াম লরেথ সালফেট এবং সোডিয়াম লরেথ সালফেট চুলের জন্য ক্ষতিকর। শ্যাম্পুতে থাকা প্যারাবিন, ফরমালডিহাইডও চুলের ক্ষতি করে। তাই একটু ভালো ব্র্যান্ডের দামি শ্যাম্পু কিনুন। কম দামি শ্যাম্পুতে বেশি ফেনা হলেও, সেগুলোতে বেশি ক্ষতিকর উপাদান থাকে। 

চুল ভালো রাখতে চুলের জন্য যেসব শ্যাম্পু, কন্ডিশনার ও প্যাক উপকারী, সেগুলো ব্যবহার করুনজাফরান হেয়ার অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
চুল শক্ত ও মজবুত করে জাফরান হেয়ার অয়েল। এর সঙ্গে নারকেল তেল কিংবা অলিভ অয়েল সামান্য গরম করে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। এতে চুলের গোড়ায় রক্ত সঞ্চালন বাড়বে। 

রুক্ষ চুলের যত্ন
রুক্ষ চুলের যত্নে সপ্তাহে ৩ দিন চুলে নারকেল তেলের সঙ্গে ভিটামিন ই ক্যাপ ও অলিভ অয়েল মিশিয়ে লাগাতে পারেন। চুলে প্রাণ ফেরাতে ডিম ও দইয়ের জুড়ি নেই। ডিম, দই, কলা একসঙ্গে ব্লেন্ড করে সপ্তাহে একদিন চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের রুক্ষতা দূর হবে। 

ক্যাস্টর অয়েল ব্যবহারের নিয়ম
ক্যাস্টর অয়েলে ওমেগা থ্রি ফ্যাটি অ্যাসিড, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়া, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদান আছে। ত্বকের পিএইচ লেভেলের পাশাপাশি মাথার ত্বকে রক্ত সঞ্চালন করতে সাহায্য করে এটি। 

মাথায় ক্যাস্টর অয়েল লাগানোর আগে হাতে গ্লাভস পরে নিন। কয়েক ফোঁটা ক্যাস্টর অয়েল হাতে নিয়ে চুলের গোড়ায় ম্যাসাজ করুন। তারপর পুরো চুলে ক্যাস্টর অয়েল লাগিয়ে নিন। তারপর একবার চুল আঁচড়ে নিতে পারেন। একটি শাওয়ার ক্যাপ দিয়ে চুল ঢেকে নিয়ে দুই ঘণ্টা রেখে দিন। এর পর শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে ফেলুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

কুষ্টিয়ায় শেষ হলো তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা

কু‌ষ্টিয়া প্রতি‌নি‌ধি
ছবি: আজকের পত্রিকা
ছবি: আজকের পত্রিকা

কুষ্টিয়ায় সফলভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছে তিন দিনব্যাপী সাইনোটাইপ কর্মশালা।

অশ্রু আর্কাইভ ও স্টুডিও শব্দ যৌথ উদ্যোগে এই কর্মশালার আয়োজন ক‌রে। গত শুক্রবার শুরু হওয়া এই সৃজনশীল কর্মযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় অশ্রু আর্কাইভ এবং স্মরণ মৎস্য বীজ খামার প্রাঙ্গণে। রোববার ছিল‌ তিন দিনব‌্যাপী আয়োজ‌নের শেষ দিন।

অশ্রু আর্কাইভের এই আয়োজনের মূল লক্ষ্য ছিল কুষ্টিয়ার সমৃদ্ধ ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতিকে সাইনোটাইপ মাধ্যমে নতুনভাবে উপস্থাপন করা এবং স্থানীয় শিল্পচর্চাকে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে তুলে ধরা। কর্মশালায় দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও জেলা থেকে আসা বর্তমান, সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবরেণ্য গুণী শিল্পীরা অংশ নেন।

তিন দিনব্যাপী এই নিবিড় কর্মশালায় মেন্টর ও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন স্টুডিও শব্দর কর্ণধার শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন। অশ্রু আর্কাইভের প্রতিষ্ঠাতা, বিশিষ্ট শিল্পী ও গবেষক শাওন আকন্দ কর্মশালা কিউরেট করেন।

কর্মশালার প্রথম দিনে সাইনোটাইপ শিল্পের ইতিহাস ও তাত্ত্বিক দিক তুলে ধরা হয়। পরবর্তী দিনগুলোতে ব্যবহারিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে অংশগ্রহণকারীরা নিজেরাই সাইনোটাইপ প্রিন্ট তৈরি করার সুযোগ পান। আলো, কেমিক্যাল ও নকশার সঠিক ব্যবহার নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়।

শিল্পী নাজমুল হোসেন নয়ন বলেন, ‘সাইনোটাইপ শুধু একটি বিকল্প ফটোগ্রাফিক প্রক্রিয়া নয়; এটি সময়, স্মৃতি ও স্থানকে ধারণ করার একধরনের নীরব ভাষা।

কর্মশালায় অংশগ্রহণকারী শিল্পী তানজুম নাহার পর্ণা বলেন, ‘তিন দিনব্যাপী কর্মশালাটি আমাদের জন্য শুধু একটি কারিগরি প্রশিক্ষণই ছিল না; বরং এটি ছিল সময়, স্মৃতি এবং স্থানের সঙ্গে এক গভীর শিল্পভাষার সংযোগ। সাইনোটাইপের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কুষ্টিয়ার ইতিহাস, লোকজ সংস্কৃতি ও সামাজিক বাস্তবতাকে নতুনভাবে অনুধাবন করার সুযোগ পেয়েছি; বিশেষ করে রাসায়নিকের অনুপাত নির্ধারণ, কোটিং, এক্সপোজার, ওয়াশিং, টোনিং ও ড্রয়িং—প্রতিটি ধাপ হাতেকলমে শেখার অভিজ্ঞতা আমাদের অ্যানালগ ফটোগ্রাফির প্রতি দৃষ্টিভঙ্গিকে আরও গভীর করেছে।’

কিউরেটর শাওন আকন্দ ব‌লেন, কুষ্টিয়ার ইতিহাস ও ঐতিহ্য নিয়ে গবেষণার পাশাপাশি এ ধরনের সৃজনশীল এবং ঐতিহ্যবাহী ফটোগ্রাফিক কার্যক্রম নিয়ে ভবিষ্যতেও নিয়মিতভাবে কর্মশালা আয়োজন করার পরিকল্পনা রয়েছে।

১৮৪২ সালে স্যার জন হার্শেল আবিষ্কৃত সাইনোটাইপ বিশ্বের অন্যতম প্রাচীন ও ক্যামেরাবিহীন ফটোগ্রাফিক মুদ্রণ পদ্ধতি। এই প্রক্রিয়ায় অতিবেগুনি রশ্মি বা সূর্যালোকের সাহায্যে রাসায়নিক বিক্রিয়ার মাধ্যমে কাগজ বা কাপড়ে গাঢ় নীল রঙের (প্রুশিয়ান ব্লু) নান্দনিক ছাপ তৈরি করা হয়

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

এই ডিসেম্বরে যা কিছু করতে পারেন

ফারিয়া রহমান খান 
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৪: ২৯
ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

ডিসেম্বর মানেই অন্য রকম অনুভূতি। একদিকে বছর শেষের সব হিসাবনিকাশ, নতুন বছরের আগমনী বার্তা; অন্যদিকে বিজয়ের আনন্দ আর পিঠা-পার্বণের আমেজ। সব মিলিয়ে এই মাসটি যেন সত্যিই বিশেষ। ডিসেম্বরে, বছরের শেষ সময়গুলো কীভাবে একটু অর্থবহ করা যায়, তা জেনে নিন।

উদ্দেশ্য স্থির করুন

নতুন বছরে আপনি কী কী করতে চান, তা এখনই ভেবে ফেলুন। একটু স্থির হয়ে বসে খাতা-কলমে লিখে আপনার নতুন বছরের উদ্দেশ্য স্থির করে নিন। লিখে রাখলে তা বিভিন্নভাবে উদ্দেশ্য পূরণে সহায়তা করবে।

ঘর সাজান

পুরোনো বছরকে সুন্দর করে বিদায় দিতেই হোক বা নতুন বছরকে স্বাগত জানাতে—ঘর সাজান সুন্দর করে। কিছু ওয়ার্ম লাইট ও জানালা বা টেবিলে কিছু গাছ রেখে ঘরে দিন একটু উষ্ণতার ছোঁয়া। সঙ্গে পুরোনো অপ্রয়োজনীয় জিনিস অন্য কাউকে দিয়ে দিন। দেখবেন বাসায় একটা শান্ত ও পরিচ্ছন্ন ভাব আসবে।

পিঠা-পার্বণের আমেজ ও আড্ডা

পিঠা সংস্কৃতির অংশ। তাই ঐতিহ্য ধরে রাখাতে পরিবার ও বন্ধুবান্ধব নিয়ে সময় করে একদিন বিভিন্ন রকম পিঠা বানাতে পারেন। বড় আয়োজন নয়, বরং চা-বিস্কুট আর পিঠা নিয়ে একটি ঘরোয়া আড্ডা জমান। পুরোনো দিনের স্মৃতিচারণা করুন। দেখবেন, মন থেকে অনেকখানি ভার নেমে গেছে।

বই পড়ুন

ডিসেম্বরের আবহাওয়া বই পড়ার জন্য উপযুক্ত। ছুটির দিনে দুপুরগুলো কাজে লাগান। গায়ে হালকা কাঁথা জড়িয়ে একটা অলস দুপুর বই পড়ে দেখুন। অথবা একটা ভালো উপন্যাস নিয়ে শীতের মিষ্টি রোদে বসে পড়ুন। সঙ্গে রাখুন এক কাপ চা। দেখবেন, খুব ভালো লাগবে।

নিজেকে সময় দিন

বছরের এই শেষ সময় এসেও নিজের জন্য সময় বের করুন। নিজের যত্ন নিন, নিজেকে নিজেই কিছু উপহার দিন। দেখবেন নিজেকে মূল্যবান ও যোগ্য মনে হবে। তা ছাড়া কাউকে কিছু উপহার দিতে চাইলেও দিতে পারেন। সেটাও কিন্তু নিজেকে সময় দেওয়ার কাজ করবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

স্থানীয় উদ্যোক্তাদের সহায়তা করুন

শীতকালে অনেক জায়গায় পিঠা মেলা বা হস্তশিল্প মেলা বসে। এই মেলাগুলোতে ঘুরে বেড়ান। উৎসবের কেনাকাটায় বড় শপিং মল এড়িয়ে স্থানীয় কারিগরদের কাছ থেকে কিছু কিনুন এবং শীতের খাবার চেখে দেখুন। এতে ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা উপকৃত হবেন। মনে রাখবেন, উদ্যোক্তাদের সহায়তা না করলে তারা বড় হতে পারবে না। তাদের বড় করতে সহায়তা করাও একটা উদ্যোগ বটে।

সহায়তার হাত বাড়ান

শীতকালে অসহায় মানুষদের কষ্ট কমাতে গরম কাপড় ও কম্বল দান করুন। ছোট ছোট কাজ করে অন্যের মুখে হাসি ফোটান; যেমন কাউকে চা বা কফি খাওয়ান, বাসে বয়স্ক কারও জন্য আসন ছেড়ে দিন, কাউকে রাস্তা পার করিয়ে দিন। ছোট একটি মানবিক কাজ আপনার জীবনকে অর্থবহ করে তুলবে।

ছবি: পেক্সেলস
ছবি: পেক্সেলস

বছরের প্রতিফলন

পরিবার ও বন্ধুবান্ধবের সঙ্গে বসে অথবা একা বসে এই বছর কী কী ভালো ও খারাপ হয়েছে, তা নিয়ে ভাবুন। কী কী ভুল করেছেন, সেগুলো ভেবে দেখুন। সামনের বছরগুলোতে এসব ভুল যেন না হয়, সে জন্য সতর্ক হোন। এই বছর যা কিছু ইতিবাচক হয়েছে, সেগুলো একটি ডায়েরিতে লিখে সৃষ্টিকর্তাকে কৃতজ্ঞতা জানান। কারও সঙ্গে মনোমালিন্য হয়ে থাকলে তা মিটিয়ে নিন। অযথা মনে রাগ পুষে রেখে নিজেকে কষ্ট দেবেন না।

পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে দেখা করুন

পুরোনো বন্ধুরা আসলে মানুষের ব্রিদিং স্পেস বা নিশ্বাস ফেলার জায়গা। তাঁদের সঙ্গে যোগাযোগ করুন। সবার সঙ্গে সম্ভব না হলেও যাঁদের বা যাঁর সঙ্গে সম্ভব, তাঁদের বা তাঁর সঙ্গে দেখা করে কিছু সময় কাটিয়ে আসুন। মন খুলে হাসুন। স্মৃতিচারণা করুন। অন্তত এক বেলা একসঙ্গে বসে খেয়ে ফেলুন মনের মতো কোনো খাবার। দেখবেন নতুন বছর অন্য রকমভাবে শুরু হবে।

সূত্র: ক্যামিলিস্টাইল ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

শীতের রোদে ত্বক পুড়েছে? গোসলের সময় এই প্যাকগুলো ব্যবহারে মিলবে উপকার

ফিচার ডেস্ক, ঢাকা 
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস
দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। প্রতীকী ছবি: পেক্সেলস

বলতে দ্বিধা নেই, গরমের দিনে রোদ গায়ে লাগিয়ে ভিটামিন ডি নেওয়ার কথা ভুলে গেলেও শীতে যেন তা বেশি বেশি মনে পড়ে। হিম সকালে রোদ গায়ে মাখতে কারো মন্দ লাগে না। ফলে এই মৌসুমে গায়ে রোদ লাগানোও হয় বেশি। আর এতে অতিরিক্ত পাতলা ত্বকের মানুষেরা একটু ঝামেলায় পড়েন। দীর্ঘক্ষণ রোদে বসে থাকলে সূর্যের অতিবেগুনি রশ্মিতে পাতলা ত্বকের মানুষদের ত্বক দ্রুত পুড়ে যায়। ফলে গায়ের রং তামাটে হয়ে যায়। তাই এ সময় নিয়মিত যাঁরা রোদ পোহাচ্ছেন, তাঁদের ত্বক যদি এ রকম রোদে পুড়ে তামাটে হয়ে যায়, তাঁরা গোসলের সময় কিছু ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করতে পারেন। তাতে সুবিধা পাবেন।

লেবুর রস, মধু ও গোলাপজলের ফেসপ্যাক

লেবুর রস প্রাকৃতিক ব্লিচিং এজেন্ট হিসেবে কাজ করে। অন্যদিকে মধু ত্বক আর্দ্র রাখে, যা শীতকালের রুক্ষ আবহাওয়ায় জরুরি। ১ চা-চামচ করে লেবুর রস, শসার রস, মধুর সঙ্গে আধা চা-চামচ গোলাপজল মিশিয়ে প্যাক তৈরি করুন। প্যাকটি মুখে লাগিয়ে রাখুন ১০ থেকে ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ঠান্ডা পানি দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তবে এই প্যাক ব্যবহার করার ২৪ ঘণ্টার মধ্যে সরাসরি রোদে না বের হওয়াই ভালো। বের হলেও ছাতা ব্যবহার করুন।

দই, বেসন ও হলুদের ফেসপ্যাক

এই প্যাক একই সঙ্গে ট্যান দূর করতে, মৃত কোষ ঝরাতে এবং ত্বক উজ্জ্বল করতে খুব ভালো কাজ করে। ২ চা-চামচ টক দই, ১ চা-চামচ বেসন, এক চিমটি হলুদবাটা মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে ও গলায় ভালো করে লাগিয়ে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট রাখুন। এরপর হালকা গরম পানি দিয়ে ম্যাসাজ করে ধুয়ে ফেলুন। প্রয়োজনে এই প্যাক শরীরের অন্য অংশের রোদে পোড়া দাগের জন্যও ব্যবহার করা যেতে পারে।

লেবুর রস ও চিনির মিশ্রণ

ঘরে বসে ট্যান অপসারণের জন্য ফেসপ্যাকে যোগ করতে পারেন লেবুর রস। প্রাকৃতিক ব্লিচিং ক্ষমতার কারণে এটি ত্বকের যেকোনো দাগ দূর করতে খুব ভালো কাজ করে। এ ছাড়া এর অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট বৈশিষ্ট্য ত্বকের দূষণ দূরে সহায়ক। সানট্যান দূর করতে লেবুর রস মধু বা চিনির সঙ্গে মিশিয়ে আক্রান্ত জায়গাগুলোয় স্ক্র‍্যাব করুন। ১৫ মিনিট আলতো করে ঘষে ধুয়ে নিন। তবে লেবু মিশ্রিত প্যাক বা স্ক্র‍্যাব ত্বকে ব্যবহার করলে ধোয়ার পর অবশ্যই ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করতে হবে। নয়তো ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে উঠতে পারে।

আলুর রস ও মুলতানি মাটির ফেসপ্যাক

আলুর রসে মৃদু ব্লিচিং বৈশিষ্ট্য রয়েছে, যা সানট্যান হালকা করতে পারে। অন্যদিকে মুলতানি মাটি ত্বক পরিষ্কার করে। ২ চা-চামচ আলুর রস, ১ চা-চামচ মুলতানি মাটি, অল্প পরিমাণে গোলাপজল বা পানি মিশিয়ে ঘন পেস্ট তৈরি করুন। এই প্যাক মুখে লাগান এবং ২০ মিনিট বা পুরোপুরি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। শুকিয়ে গেলে পানি ও স্ক্র‍্যাবার দিয়ে ম্যাসাজ করে ভালো করে ধুয়ে ফেলুন।

নারকেলের দুধেও মিলবে উপকার

ট্যান দূর করার পাশাপাশি নারকেল দুধ ত্বকের অন্যান্য উপকারও করে। মুখ ও হাতে ট্যান পড়ে থাকলে নারকেলের দুধকেই সমাধান হিসেবে গ্রহণ করতে পারেন। রোদে পোড়া ত্বকে তাজা নারকেল দুধ লাগিয়ে রাখুন আধা ঘণ্টা। এরপর ধুয়ে নিন। ত্বক ধীরে ধীরে উজ্জ্বলতা ছড়াবে।

শসা ও লেবুর রসের মিশ্রণ

শসা ত্বক আর্দ্র রাখে এবং পোড়া ত্বকে আরাম দেয়। অন্যদিকে লেবুর রস ত্বকের রং হালকা করতে সহায়ক। শসা দিয়ে মুখ, ঘাড় ও হাতের ট্যান দূর করার ভালো উপায় হলো, খোসা ছাড়িয়ে থেঁতো করে রস বের করে নিয়ে তাতে সমপরিমাণ লেবুর রস মিশিয়ে তুলার বল দিয়ে সেই রস আক্রান্ত জায়গায় লাগানো। এরপর সেই রস ত্বকে পুরোপুরি শুকিয়ে গেলে পানি দিয়ে ভালোভাবে ধুয়ে নিতে হবে।

সূত্র: ফেমিনা ও অন্যান্য

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৫৫
আজকের রাশিফল: প্রাক্তন ফোন করবে ও পুরোনো পাওনা টাকার কথা স্মরণ হবে, তবে পরিণতি একই

মেষ

আজ এক প্রকার ‘অটো-মোডে’ থাকবেন। সকালে উঠেই মনে হবে, ‘আমি কি ঘুমিয়েও কাজ করে ফেলতে পারি?’ বসের সামনে আপনার একটি ভুল আইডিয়া আজ এমনভাবে হিট করবে যে তিনি ভাববেন, আপনি হয়তো রাতের বেলা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে কোনো বিশ্বমানের কোর্স করেছেন। সাবধান; পুরোনো প্রেমিকার হঠাৎ ফোন আসতে পারে। ফোনটা ধরবেন নাকি বলবেন ‘নেটওয়ার্কের বাইরে আছি’, সেটা আপনার কর্মফল! প্রেমের ক্ষেত্রে বিরক্তি বা অনাগ্রহ না দেখানোই ভালো।

বৃষ

আজ আপনার ব্যাংক ব্যালেন্সের দিকে নজর দিতে হবে। না, অর্থ আসবে না; বরং অর্থ যাওয়ার পথ তৈরি হবে! বিশেষত অনলাইন শপিংয়ের দিকে মন ঝুঁকতে পারে। এমন কিছু অর্ডার করে ফেলবেন, যেটা হাতে আসার পর মনে হবে—‘এটার আসল প্রয়োজন কী ছিল?’ স্ত্রীর কাছ থেকে উপহার চেয়ে বসলে এমন কিছু পাবেন, যা দেখে হাসবেন নাকি কাঁদবেন, তা ঠিক করতে পারবেন না। ফাস্ট ফুডের দিক থেকে চোখ ফিরিয়ে নিন। একটু কম তেল-ঝাল খান, নইলে গ্যাসের চোটে মহাকাশে যাত্রা শুরু করতে পারেন।

মিথুন

মিথুন রাশির দ্বৈত সত্তা আজ দ্বিগুণ সক্রিয়। এক মন বলবে, ‘কাজটা করে ফেলি,’ আর অন্য মন বলবে, ‘আরে বাবা! নেটফ্লিক্সের সিরিজটা আগে শেষ করা যাক!’ এই দোটানার জন্য দিনের শেষে আপনার কাজও হবে না, আবার সিরিজটাও শেষও হবে না। কর্মক্ষেত্রে সহকর্মী আজ আপনার সাফল্যের গল্পে এত বেশি রং মেশাবেন যে আসল গল্পের চেয়ে সেটা শুনেই বসের বেশি হাসি পাবে। সন্ধ্যায় পরিচিত কাউকে এমন একটি উপদেশ দেবেন, যা আপনি নিজে জীবনে কখনো মেনে চলেননি।

কর্কট

কর্কট রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত ঘরকুনো হন। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে ঘরের বাইরে ঠেলে দেবে। অপ্রত্যাশিতভাবে বন্ধু বা আত্মীয়ের দল বাড়িতে এসে আপনার শান্তি ভঙ্গ করতে পারে। তাদের আপ্যায়ন করতে গিয়ে পকেটের দফারফা হবে। তবে চিন্তা নেই, এই বিড়ম্বনার মধ্যেই লুকিয়ে আছে ভবিষ্যতের কোনো শুভ ইঙ্গিত। প্রেমিক/প্রেমিকা আজ আপনাকে ‘ডায়েট কন্ট্রোল’ করতে বলবে। আপনি গোপনে লুকিয়ে ফ্রিজের দিকে এগোনোর সময় ধরা পড়তে পারেন।

সিংহ

সিংহ রাশি, আজ আপনার ব্যক্তিত্বের তেজ এতটা বেশি থাকবে যে ঘরে ঢুকে লাইট না জ্বাললেও চলবে। সবাই আজ আপনার কথা শুনতে চাইবে, কিন্তু দুঃখের বিষয় হলো—আপনার বলার মতো বিশেষ কোনো কথা আজ থাকবে না। বসের চোখে পড়তে চাচ্ছেন? যান, একটু উল্টাপাল্টা কিছু করুন। আপনার ভুল করার স্টাইল দেখেও তারা মুগ্ধ হতে পারে। অপ্রয়োজনীয় জিনিসে প্রচুর টাকা খরচ হতে পারে, যেমন চতুর্থ কফির কাপ অথবা একটি লাল রঙের ক্যাপ যা আপনার মোটেই প্রয়োজন নেই।

কন্যা

আজ আপনার ভেতরের ‘পারফেকশনিস্ট’ সত্তাটি চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছাবে। সহকর্মীর ফাইলে সামান্য একটি বানান ভুল পেলেও এমন রিঅ্যাক্ট করবেন যেন তিনি পৃথিবীর সবচেয়ে বড় অপরাধটি করে ফেলেছেন। এই বাড়তি খুঁতখুঁতে স্বভাবের জন্য কিছু মানুষ আপনাকে এড়িয়ে যেতে পারে। নিজেকে নিয়ে একটু হাসিঠাট্টা করুন। সবকিছু সিরিয়াসলি নেবেন না। যদি দেখেন জুতা উল্টো পরে ফেলেছেন, তা নিয়ে একটা সেলফি তুলে পোস্ট করে দিন! দেখবেন দিনটি হালকা হয়ে গেছে।

তুলা

গ্রহদের মতে, আজ আপনার ‘ব্যালেন্সিং অ্যাক্ট’ সফল হবে। তবে এই ব্যালেন্স কর্মক্ষেত্র বা ব্যক্তিগত জীবনে নয়, হবে আপনার ফ্রিজের খাবার আর আপনার ডায়েটের মধ্যে! আপনি দুই দিকেই সামঞ্জস্য রক্ষা করবেন; অর্থাৎ ডায়েটও ভাঙবেন, আবার রাতে আফসোসও করবেন। আজ আপনার সঙ্গী এমন একটি অদ্ভুত প্রশ্ন করতে পারে, যার উত্তর দিতে গিয়ে আপনার মাথা পুরোপুরি ঘুরে যাবে; যেমন ‘বিয়ে না হলে আমাদের জীবনটা কেমন হতো?’ শান্ত থাকুন এবং হাসতে শিখুন।

বৃশ্চিক

বৃশ্চিক, আপনার রহস্যময় স্বভাব আজ কারও কাছে ধরা পড়বে না। কারণ, নিজেই আজ আপনার রহস্য ভুলে যাবেন! পুরোনো একটি ভুলে যাওয়া ঋণ বা পাওনা টাকা আজ হুট করে মনে পড়তে পারে। তবে যখন সেটি দাবি করতে যাবেন, তখন অন্য পক্ষ এমন এক গল্প শোনাবে যে আপনি উল্টো তাকেই সহানুভূতি দেখিয়ে টাকা দিয়ে আসতে পারেন। কর্মক্ষেত্রে আজ এমন একজনের সঙ্গে দেখা হবে, যিনি আপনার চেয়েও বেশি গম্ভীর। দুজন মিলে এমন একটি হাসির মুহূর্ত তৈরি করবেন, যা কেউ কল্পনাও করেনি।

ধনু

ধনু রাশির জাতক-জাতিকারা সাধারণত অ্যাডভেঞ্চার পছন্দ করেন। কিন্তু আজকের অ্যাডভেঞ্চারটি হবে আলমারি গোছানো! ভাবতেও পারেননি, আপনার আলমারির ভেতরে এত অদ্ভুত জিনিস লুকিয়ে ছিল। পুরোনো প্রেমের চিঠি থেকে শুরু করে ছেঁড়া মোজা পর্যন্ত সবই পেয়ে যাবেন। যদি আজ কোথাও যাওয়ার প্ল্যান থাকে, তবে সাবধানে যান। মানিব্যাগটি ভুল করে রান্নাঘরে রেখে আসতে পারেন। এই ভুলে যাওয়াটাই আজ আপনার সবচেয়ে বড় কৌতুক হতে চলেছে।

মকর

মকর, আপনি সাধারণত খুব শৃঙ্খলাপরায়ণ। কিন্তু আজ গ্রহরা আপনাকে একটু ডিসকোয়ালিফাই করবে। দিনের শুরুতেই গুরুত্বপূর্ণ মিটিংয়ের আগে মোবাইল ফোন খুঁজে পাবেন না। পরে দেখবেন, ফোনটি প্যান্টের পকেটেই ছিল। আপনার কঠোর পরিশ্রমের ফল আজ মিষ্টি হবে, তবে মিষ্টির সঙ্গে সামান্য তেতো অভিজ্ঞতাও আসতে পারে। বিনিয়োগের আগে দুবার চিন্তা করুন। এমন কাউকে বিশ্বাস করবেন না, যিনি আপনাকে ‘এক মাসে দ্বিগুণ লাভ’ করার স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।

কুম্ভ

কুম্ভ, আজ আপনার বুদ্ধি আকাশ ছুঁয়ে যাবে। এমন একটি সমস্যার সমাধান করবেন, যা কেউ ভাবতেও পারেনি। কিন্তু আফসোস! সেই সমস্যাটি হয়তো একেবারেই গুরুত্বহীন ছিল, যেমন ‘কে আগে রিমোট নেবে’ বা ‘চায়ের কাপের দাগটা কীভাবে তোলা যায়।’ বন্ধুদের মধ্যে কেউ আজ এমন একটি বড় দাবি করবে, যা শুনে আপনি প্রথমে অবাক হবেন, পরে হো হো করে হেসে উঠবেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট করলে তাতে অপ্রত্যাশিতভাবে প্রচুর লাইক ও কমেন্ট পাবেন।

মীন

মীন রাশির জাতক-জাতিকারা স্বপ্ন দেখতে ভালোবাসেন। আজ সেই স্বপ্নময় জগৎটি আপনার কর্মক্ষেত্রে এসে পড়তে পারে। কাজের মধ্যে হঠাৎ কল্পনায় ডুবে যাবেন এবং বসকে ভুল করে অন্য কারও নাম ধরে ডেকে ফেলতে পারেন। প্রেমের ক্ষেত্রে আবেগপ্রবণতা আজ অতিরিক্ত বাড়বে। নিজের হাতে লেখা একটি কবিতা বা চিঠি প্রিয়জনকে দিলে তারা হয়তো হাসতে হাসতে গড়িয়ে পড়বে। কারণ, আবেগ দেখানোর জন্য আপনার শব্দচয়ন হয়তো আজ খুব একটা সিরিয়াস হবে না। তবে মনে রাখবেন, হাসিই সম্পর্কের সেরা মসলা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত