মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়া সম্ভব হয়েছে ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে।
ইসির সচিব শফিউল আজিমও বিষয়টির সত্যতা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাঁ হাত, ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে (ডেটাবেইস) ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রত্যেকে দুটি করে এনআইডি নিয়েছেন। অথচ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক একটি এনআইডি পাবেন। আইন লঙ্ঘনে দণ্ডও আছে। তারপরও একাধিক এনআইডি নিয়েছেন সোয়া পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রয়েছেন। এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে। হারিছ ও জোসেফের নামে করা চারটি এনআইডি বাতিল (লক) করেছে ইসি। আরও অনেক এনআইডির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কেউ জ্ঞাতসারে একাধিক এনআইডি নিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ ইসির তথ্যভান্ডারের ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার আইন অনুযায়ী অপরাধী। কারণ, তাঁদের একাধিক এনআইডি রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এনআইডি জাল করলে বা এমন এনআইডি বহন করলে অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এনআইডি জাল করতে সহায়তাকারী এবং জাল এনআইডি বহনে প্ররোচনা দেওয়া ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার হতে শুরুতে দুই হাতের বৃদ্ধাঙুল ও তর্জনীর ছাপ নেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া শুরু করে ইসি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ছাড়া সারা বছর থানা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনকালে এসব ছাপ ও প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়। কেউ নতুন ভোটার হতে গেলে তাঁর আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ইসির তথ্যভান্ডারে থাকা প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে মেলানো হয়।
সেখানে কারও সঙ্গে না মিললে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি একটি এনআইডি পান। ২০১৯ সালের আগে কেউ ভোটার হতে আবেদন করলে শুরুতে তাঁকে একটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হতো। পরে তাঁর তথ্য যাচাই করা হতো।
ইসির একটি সূত্র বলছে, একাধিক এনআইডি নেওয়ার বেশির ভাগ ঘটনাই ২০১৯ সালের আগে। যে কারণে একজনের আবারও এনআইডি নেওয়ার জালিয়াতি ধরা পড়েনি। তবে ইসির বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে, এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির দেওয়ার, ডানের বদলে বাম ও বামের বদলে ডান হাতের আঙুলের ছাপ দেওয়ার, এমনকি হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপ দেওয়ার কারসাজিও হয়েছে। এসব হয়েছে মিল এড়ানোর জন্য। আর এতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশ্য ইসি এ দায় নিজেদের কর্মকর্তাদের নয়, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরদের ওপর চাপাতে চায়।
সূত্র জানায়, ভোটার হতে আসা নাগরিকের আঙুলের ছাপ ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না হলে তা সার্ভারে আপলোড না করার নির্দেশনা রয়েছে ইসির। তা সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো বা অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অনেকে অপূর্ণাঙ্গ ছাপ আপলোড করেছেন। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া একজনের তথ্য আরেকজনের সঙ্গে বদল করার অভিযোগও রয়েছে।
চলতি বছরেও এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নম্বর দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিজেই ধরেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের ওই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ভুলে তিনি এনআইডি সংশোধনের আবেদনের পরিবর্তে গত জানুয়ারিতে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে ফেলেন। মার্চে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে বলতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামে আরেকটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেদিনই তিনি ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগেরটি বহালের এবং দ্বিতীয় এনআইডি বাতিলের আবেদন করেন। ৮ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তাঁর দুটি এনআইডিই বহাল ছিল। তবে মার্চের পর শিক্ষাসনদ দিয়ে আবেদন করলে তাঁর এনআইডি সংশোধন হয়।
ইসির সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একাধিক এনআইডি বন্ধ করতে এবং এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি-দুর্নীতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার কারণে এমন হওয়ায় এগুলো ধীরে ধীরে উন্নত করার চেষ্টা চলছে।
একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে করণীয় সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা বলেন, একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে স্থানীয় থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের প্রথম এনআইডি বহাল রেখে পরেরটি বাতিল করছে কমিশন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক ব্যক্তির দুটি এনআইডি কার্ড থাকতে পারে না। এটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সমাধান করতে হবে। এটি শুধু যাচাই-বাছাই করা নয়; যাঁদের একাধিক এনআইডি আছে, শুনানি করে অথবা তাঁদের কাছে বার্তা দিয়ে এটি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়া সম্ভব হয়েছে ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে।
ইসির সচিব শফিউল আজিমও বিষয়টির সত্যতা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাঁ হাত, ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে (ডেটাবেইস) ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রত্যেকে দুটি করে এনআইডি নিয়েছেন। অথচ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক একটি এনআইডি পাবেন। আইন লঙ্ঘনে দণ্ডও আছে। তারপরও একাধিক এনআইডি নিয়েছেন সোয়া পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রয়েছেন। এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে। হারিছ ও জোসেফের নামে করা চারটি এনআইডি বাতিল (লক) করেছে ইসি। আরও অনেক এনআইডির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কেউ জ্ঞাতসারে একাধিক এনআইডি নিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ ইসির তথ্যভান্ডারের ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার আইন অনুযায়ী অপরাধী। কারণ, তাঁদের একাধিক এনআইডি রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এনআইডি জাল করলে বা এমন এনআইডি বহন করলে অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এনআইডি জাল করতে সহায়তাকারী এবং জাল এনআইডি বহনে প্ররোচনা দেওয়া ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার হতে শুরুতে দুই হাতের বৃদ্ধাঙুল ও তর্জনীর ছাপ নেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া শুরু করে ইসি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ছাড়া সারা বছর থানা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনকালে এসব ছাপ ও প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়। কেউ নতুন ভোটার হতে গেলে তাঁর আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ইসির তথ্যভান্ডারে থাকা প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে মেলানো হয়।
সেখানে কারও সঙ্গে না মিললে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি একটি এনআইডি পান। ২০১৯ সালের আগে কেউ ভোটার হতে আবেদন করলে শুরুতে তাঁকে একটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হতো। পরে তাঁর তথ্য যাচাই করা হতো।
ইসির একটি সূত্র বলছে, একাধিক এনআইডি নেওয়ার বেশির ভাগ ঘটনাই ২০১৯ সালের আগে। যে কারণে একজনের আবারও এনআইডি নেওয়ার জালিয়াতি ধরা পড়েনি। তবে ইসির বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে, এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির দেওয়ার, ডানের বদলে বাম ও বামের বদলে ডান হাতের আঙুলের ছাপ দেওয়ার, এমনকি হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপ দেওয়ার কারসাজিও হয়েছে। এসব হয়েছে মিল এড়ানোর জন্য। আর এতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশ্য ইসি এ দায় নিজেদের কর্মকর্তাদের নয়, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরদের ওপর চাপাতে চায়।
সূত্র জানায়, ভোটার হতে আসা নাগরিকের আঙুলের ছাপ ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না হলে তা সার্ভারে আপলোড না করার নির্দেশনা রয়েছে ইসির। তা সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো বা অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অনেকে অপূর্ণাঙ্গ ছাপ আপলোড করেছেন। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া একজনের তথ্য আরেকজনের সঙ্গে বদল করার অভিযোগও রয়েছে।
চলতি বছরেও এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নম্বর দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিজেই ধরেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের ওই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ভুলে তিনি এনআইডি সংশোধনের আবেদনের পরিবর্তে গত জানুয়ারিতে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে ফেলেন। মার্চে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে বলতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামে আরেকটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেদিনই তিনি ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগেরটি বহালের এবং দ্বিতীয় এনআইডি বাতিলের আবেদন করেন। ৮ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তাঁর দুটি এনআইডিই বহাল ছিল। তবে মার্চের পর শিক্ষাসনদ দিয়ে আবেদন করলে তাঁর এনআইডি সংশোধন হয়।
ইসির সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একাধিক এনআইডি বন্ধ করতে এবং এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি-দুর্নীতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার কারণে এমন হওয়ায় এগুলো ধীরে ধীরে উন্নত করার চেষ্টা চলছে।
একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে করণীয় সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা বলেন, একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে স্থানীয় থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের প্রথম এনআইডি বহাল রেখে পরেরটি বাতিল করছে কমিশন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক ব্যক্তির দুটি এনআইডি কার্ড থাকতে পারে না। এটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সমাধান করতে হবে। এটি শুধু যাচাই-বাছাই করা নয়; যাঁদের একাধিক এনআইডি আছে, শুনানি করে অথবা তাঁদের কাছে বার্তা দিয়ে এটি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়া সম্ভব হয়েছে ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে।
ইসির সচিব শফিউল আজিমও বিষয়টির সত্যতা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাঁ হাত, ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে (ডেটাবেইস) ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রত্যেকে দুটি করে এনআইডি নিয়েছেন। অথচ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক একটি এনআইডি পাবেন। আইন লঙ্ঘনে দণ্ডও আছে। তারপরও একাধিক এনআইডি নিয়েছেন সোয়া পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রয়েছেন। এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে। হারিছ ও জোসেফের নামে করা চারটি এনআইডি বাতিল (লক) করেছে ইসি। আরও অনেক এনআইডির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কেউ জ্ঞাতসারে একাধিক এনআইডি নিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ ইসির তথ্যভান্ডারের ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার আইন অনুযায়ী অপরাধী। কারণ, তাঁদের একাধিক এনআইডি রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এনআইডি জাল করলে বা এমন এনআইডি বহন করলে অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এনআইডি জাল করতে সহায়তাকারী এবং জাল এনআইডি বহনে প্ররোচনা দেওয়া ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার হতে শুরুতে দুই হাতের বৃদ্ধাঙুল ও তর্জনীর ছাপ নেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া শুরু করে ইসি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ছাড়া সারা বছর থানা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনকালে এসব ছাপ ও প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়। কেউ নতুন ভোটার হতে গেলে তাঁর আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ইসির তথ্যভান্ডারে থাকা প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে মেলানো হয়।
সেখানে কারও সঙ্গে না মিললে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি একটি এনআইডি পান। ২০১৯ সালের আগে কেউ ভোটার হতে আবেদন করলে শুরুতে তাঁকে একটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হতো। পরে তাঁর তথ্য যাচাই করা হতো।
ইসির একটি সূত্র বলছে, একাধিক এনআইডি নেওয়ার বেশির ভাগ ঘটনাই ২০১৯ সালের আগে। যে কারণে একজনের আবারও এনআইডি নেওয়ার জালিয়াতি ধরা পড়েনি। তবে ইসির বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে, এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির দেওয়ার, ডানের বদলে বাম ও বামের বদলে ডান হাতের আঙুলের ছাপ দেওয়ার, এমনকি হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপ দেওয়ার কারসাজিও হয়েছে। এসব হয়েছে মিল এড়ানোর জন্য। আর এতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশ্য ইসি এ দায় নিজেদের কর্মকর্তাদের নয়, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরদের ওপর চাপাতে চায়।
সূত্র জানায়, ভোটার হতে আসা নাগরিকের আঙুলের ছাপ ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না হলে তা সার্ভারে আপলোড না করার নির্দেশনা রয়েছে ইসির। তা সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো বা অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অনেকে অপূর্ণাঙ্গ ছাপ আপলোড করেছেন। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া একজনের তথ্য আরেকজনের সঙ্গে বদল করার অভিযোগও রয়েছে।
চলতি বছরেও এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নম্বর দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিজেই ধরেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের ওই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ভুলে তিনি এনআইডি সংশোধনের আবেদনের পরিবর্তে গত জানুয়ারিতে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে ফেলেন। মার্চে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে বলতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামে আরেকটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেদিনই তিনি ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগেরটি বহালের এবং দ্বিতীয় এনআইডি বাতিলের আবেদন করেন। ৮ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তাঁর দুটি এনআইডিই বহাল ছিল। তবে মার্চের পর শিক্ষাসনদ দিয়ে আবেদন করলে তাঁর এনআইডি সংশোধন হয়।
ইসির সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একাধিক এনআইডি বন্ধ করতে এবং এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি-দুর্নীতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার কারণে এমন হওয়ায় এগুলো ধীরে ধীরে উন্নত করার চেষ্টা চলছে।
একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে করণীয় সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা বলেন, একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে স্থানীয় থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের প্রথম এনআইডি বহাল রেখে পরেরটি বাতিল করছে কমিশন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক ব্যক্তির দুটি এনআইডি কার্ড থাকতে পারে না। এটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সমাধান করতে হবে। এটি শুধু যাচাই-বাছাই করা নয়; যাঁদের একাধিক এনআইডি আছে, শুনানি করে অথবা তাঁদের কাছে বার্তা দিয়ে এটি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কর্মকর্তারা বলেছেন, এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়া সম্ভব হয়েছে ইসির কিছু অসাধু কর্মকর্তা-কর্মচারীর যোগসাজশে।
ইসির সচিব শফিউল আজিমও বিষয়টির সত্যতা মেনে নিয়ে বলেছেন, বাঁ হাত, ডান হাতের বিষয় তো পরে, পায়ের আঙুলের ছাপ দিয়েও ভোটার হওয়ার অভিযোগ রয়েছে।
ইসি সূত্র জানায়, বর্তমানে ইসির তথ্যভান্ডারে (ডেটাবেইস) ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার রয়েছেন। অর্থাৎ তাঁরা প্রত্যেকে দুটি করে এনআইডি নিয়েছেন। অথচ জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, একজন নাগরিক একটি এনআইডি পাবেন। আইন লঙ্ঘনে দণ্ডও আছে। তারপরও একাধিক এনআইডি নিয়েছেন সোয়া পাঁচ লাখের বেশি মানুষ। যাঁদের মধ্যে ডা. সাবরিনা শারমিন ওরফে সাবরিনা আরিফ চৌধুরী, সাবেক সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) আজিজ আহমেদের দুই ভাই হারিছ আহমেদ ও তোফায়েল আহমেদ ওরফে জোসেফ রয়েছেন। এনআইডি জালিয়াতির অভিযোগে ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে মামলা করেছে ইসি। আরও অনেকের বিরুদ্ধে এমন মামলা করা হয়েছে। হারিছ ও জোসেফের নামে করা চারটি এনআইডি বাতিল (লক) করেছে ইসি। আরও অনেক এনআইডির বিরুদ্ধে এমন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন আইন অনুযায়ী, কেউ জ্ঞাতসারে একাধিক এনআইডি নিলে এক বছরের কারাদণ্ড বা অনধিক ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড বা উভয় দণ্ডে দণ্ডিত হবেন। অর্থাৎ ইসির তথ্যভান্ডারের ৫ লাখ ৩০ হাজার ২৫৮ জন দ্বৈত ভোটার আইন অনুযায়ী অপরাধী। কারণ, তাঁদের একাধিক এনআইডি রয়েছে। আইনে আরও বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এনআইডি জাল করলে বা এমন এনআইডি বহন করলে অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন। এনআইডি জাল করতে সহায়তাকারী এবং জাল এনআইডি বহনে প্ররোচনা দেওয়া ব্যক্তি অনূর্ধ্ব ৭ বছরের কারাদণ্ড এবং অনধিক ১ লাখ টাকা অর্থদণ্ডে দণ্ডিত হবেন।
ইসি সূত্র জানায়, ভোটার হতে শুরুতে দুই হাতের বৃদ্ধাঙুল ও তর্জনীর ছাপ নেওয়া হতো। পরবর্তী সময়ে দুই হাতের ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া শুরু করে ইসি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের সময় ছাড়া সারা বছর থানা ও উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে নতুন ভোটার নিবন্ধনকালে এসব ছাপ ও প্রতিচ্ছবি নেওয়া হয়। কেউ নতুন ভোটার হতে গেলে তাঁর আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি ইসির তথ্যভান্ডারে থাকা প্রায় ১৩ কোটি নাগরিকের আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবির সঙ্গে মেলানো হয়।
সেখানে কারও সঙ্গে না মিললে আগ্রহী ব্যক্তিকে ভোটার করা হয়। ভোটার হিসেবে নিবন্ধন সম্পন্ন হলে তিনি একটি এনআইডি পান। ২০১৯ সালের আগে কেউ ভোটার হতে আবেদন করলে শুরুতে তাঁকে একটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হতো। পরে তাঁর তথ্য যাচাই করা হতো।
ইসির একটি সূত্র বলছে, একাধিক এনআইডি নেওয়ার বেশির ভাগ ঘটনাই ২০১৯ সালের আগে। যে কারণে একজনের আবারও এনআইডি নেওয়ার জালিয়াতি ধরা পড়েনি। তবে ইসির বিভিন্ন তদন্ত প্রতিবেদনে ধরা পড়েছে, এক ব্যক্তির আঙুলের ছাপ অন্য ব্যক্তির দেওয়ার, ডানের বদলে বাম ও বামের বদলে ডান হাতের আঙুলের ছাপ দেওয়ার, এমনকি হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপ দেওয়ার কারসাজিও হয়েছে। এসব হয়েছে মিল এড়ানোর জন্য। আর এতে সহায়তা করেছেন সংশ্লিষ্ট নির্বাচন কার্যালয়ের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী। অবশ্য ইসি এ দায় নিজেদের কর্মকর্তাদের নয়, ডেটা অ্যান্ট্রি অপারেটরদের ওপর চাপাতে চায়।
সূত্র জানায়, ভোটার হতে আসা নাগরিকের আঙুলের ছাপ ৬০ শতাংশ বা তার বেশি না হলে তা সার্ভারে আপলোড না করার নির্দেশনা রয়েছে ইসির। তা সত্ত্বেও তাড়াহুড়ো বা অনৈতিক সুযোগ নিয়ে অনেকে অপূর্ণাঙ্গ ছাপ আপলোড করেছেন। ফলে এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নেওয়ার সুযোগ থেকে যাচ্ছে। এ ছাড়া একজনের তথ্য আরেকজনের সঙ্গে বদল করার অভিযোগও রয়েছে।
চলতি বছরেও এক ব্যক্তির একাধিক এনআইডি নম্বর দেওয়ার ঘটনা ধরা পড়েছে। বিষয়টি নিজেই ধরেছেন রাজধানী ঢাকার মিরপুরের ওই বাসিন্দা। তাঁর দাবি, ভুলে তিনি এনআইডি সংশোধনের আবেদনের পরিবর্তে গত জানুয়ারিতে নতুন ভোটার হওয়ার আবেদন করে ফেলেন। মার্চে নিজের ভুল বুঝতে পেরে তিনি থানা নির্বাচন কার্যালয়ে বলতে গিয়ে জানতে পারেন, তাঁর নামে আরেকটি এনআইডি নম্বর দেওয়া হয়েছে। সেদিনই তিনি ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগেরটি বহালের এবং দ্বিতীয় এনআইডি বাতিলের আবেদন করেন। ৮ অক্টোবর দুপুর পর্যন্ত তাঁর দুটি এনআইডিই বহাল ছিল। তবে মার্চের পর শিক্ষাসনদ দিয়ে আবেদন করলে তাঁর এনআইডি সংশোধন হয়।
ইসির সচিব শফিউল আজিম আজকের পত্রিকাকে বলেন, একাধিক এনআইডি বন্ধ করতে এবং এক্ষেত্রে কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জালিয়াতি-দুর্নীতি ঠেকাতে মাঠপর্যায়ে আঙুলের ছাপ ও আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়ার স্থান সিসিটিভি ক্যামেরার আওতায় আনার উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে। এ ব্যবস্থায় ঘাটতি থাকার কারণে এমন হওয়ায় এগুলো ধীরে ধীরে উন্নত করার চেষ্টা চলছে।
একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে করণীয় সম্পর্কে ইসির কর্মকর্তারা বলেন, একাধিক এনআইডি হয়ে থাকলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে নিজ উদ্যোগে স্থানীয় থানা বা উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে আবেদন করতে হয়। ওই আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মাঠপর্যায়ের কর্মকর্তাদের সুপারিশের ভিত্তিতে সংশ্লিষ্ট নাগরিকের প্রথম এনআইডি বহাল রেখে পরেরটি বাতিল করছে কমিশন।
জানতে চাইলে স্থানীয় সরকার বিশেষজ্ঞ ড. তোফায়েল আহমেদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক ব্যক্তির দুটি এনআইডি কার্ড থাকতে পারে না। এটি অবশ্যই নির্বাচন কমিশনকে সমাধান করতে হবে। এটি শুধু যাচাই-বাছাই করা নয়; যাঁদের একাধিক এনআইডি আছে, শুনানি করে অথবা তাঁদের কাছে বার্তা দিয়ে এটি সংশোধন করতে হবে। এ ছাড়া অন্য কোনো উপায় নেই।

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৫ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের মেয়াদ এই ডিসেম্বরে শেষ হওয়ার কথা। তবে নতুন প্রস্তাবে এই মেয়াদ ২০২৭ সালের জুন পর্যন্ত বাড়ানোর কথা বলা হয়েছে। প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনীতে এই প্রস্তাব অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এই সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, যমুনা রেলসেতুর কাঠামো ও রেললাইন নির্মাণকাজ শেষ হওয়ায় চলতি বছরের ১৮ ফেব্রুয়ারি বাণিজ্যিকভাবে ট্রেন চলাচল উদ্বোধন করা হয়। তবে ঠিকাদারের কাজের বিল বকেয়া রয়েছে। সংকেত (সিগন্যালিং) ব্যবস্থার কিছু কাজ এবং নতুন একটি প্যাকেজের আওতায় অবকাঠামো নির্মাণ-কাজ এখনো বাকি।
বিশেষ করে নতুন প্যাকেজের দরপত্র প্রক্রিয়াই শুরু করা যায়নি। ফলে প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রকল্পের মূল উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনায় (ডিপিপি) যমুনা রেলসেতু প্রকল্প বাস্তবায়নের মেয়াদ নির্ধারণ করা হয়েছিল ২০১৬ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। পরে প্রথম সংশোধনীতে সেই মেয়াদ বাড়িয়ে ২০২৫ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়।
প্রকল্পসংশ্লিষ্টরা জানান, ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কার্গো ভিলেজের আমদানি কার্গো কমপ্লেক্সে অগ্নিকাণ্ডে এই প্রকল্পের ব্রিজ লাইটিংয়ের কিছু মালামাল পুড়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্ত এসব মালামাল ঠিকাদার নিজ দায়িত্বে আবার সংগ্রহ করে সরবরাহ করবে। এ ছাড়া ওই অগ্নিকাণ্ডের পর আমদানি কার্গো কমপ্লেক্স কিছুদিন বন্ধ থাকায় সিগন্যালিং-সংক্রান্ত কিছু মালামাল আমদানিতে বিলম্ব হয়েছে। পরে রুট পরিবর্তন করে এসব মালামাল অন্য বন্দর দিয়ে আনার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, এ কারণে কাজ সম্পন্ন করতে অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন হচ্ছে।
প্রকল্পের আওতায় একটি বিশেষ নির্মাণ প্যাকেজের (ডব্লিউডি-৫) অধীনে রেলওয়ে সেতু জাদুঘর, পরিদর্শন বাংলো, ক্যাফেটেরিয়া, অভ্যন্তরীণ সড়ক, মাটি ভরাট ও ড্রেনেজ নির্মাণের পরিকল্পনা ছিল। এর প্রাক্কলিত ব্যয় ধরা হয়েছিল ৭৪ কোটি টাকা। তবে ২০২৫ সালের ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এই প্যাকেজে পরিবর্তন আনা হয়। সংশোধিত পরিকল্পনায় রেলওয়ে সেতু জাদুঘর বাদ দিয়ে পরিদর্শন বাংলো, অভ্যন্তরীণ সড়ক, ড্রেনেজ এবং সয়দাবাদ রেলওয়ে স্টেশনের অবকাঠামো নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিবর্তিত এই প্যাকেজে ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ৫৪ কোটি টাকা। তবে এখনো এই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হয়নি। দরপত্রপ্রক্রিয়া সম্পন্ন এবং নির্মাণকাজ শেষ করতে অতিরিক্ত সময় লাগবে।
এদিকে প্রকল্পের আওতায় নতুন করে ‘সিসিটিভি নজরদারি ব্যবস্থা’ শীর্ষক একটি আলাদা প্যাকেজ যুক্ত করা হয়েছে। এই প্যাকেজ বাস্তবায়নের কাজও বাকি রয়েছে।
প্রকল্প সূত্র জানায়, সার্বিকভাবে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের ভৌত অগ্রগতি হয়েছে ৯৯ দশমিক ২৮ শতাংশ এবং আর্থিক অগ্রগতি ৮২ দশমিক শূন্য ২ শতাংশ।
সার্বিক বিষয়ে জানতে চাইলে যমুনা রেলসেতু প্রকল্পের পরিচালক আল ফাত্তাহ মো. মাসউদুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, প্রকল্পের দ্বিতীয় সংশোধনী প্রস্তাব ইতিমধ্যে রেলপথ উপদেষ্টার অনুমোদন পেয়েছে। এখন এটি পরিকল্পনা কমিশনে পাঠানো হবে। প্রকল্পের ভেতর এখনো কিছু ছোটখাটো কাজ বাকি থাকায় চূড়ান্তভাবে কাজ শেষ করতে এই অতিরিক্ত সময় প্রয়োজন। তিনি বলেন, ডব্লিউডি-৫ প্যাকেজের কাজ শেষ করতে আনুমানিক ছয় মাস লাগতে পারে। তবে এ নিয়ে বড় কোনো জটিলতা নেই। সিগন্যালিংয়ের কাজ আগামী মধ্য জানুয়ারিতে শেষ হবে। বাড়তি সময়ের মধ্যেই প্রকল্পের সব কাজ শেষ হবে বলে তাঁরা আশাবাদী।
প্রকল্পের ব্যয় কমেছে
প্রকল্পের আওতায় যমুনা রেলসেতুসহ ভায়াডাক্ট, অ্যাপ্রোচ এমব্যাংকমেন্ট, লুপ, সাইডিংসহ মোট ৩০ দশমিক ৭৩ কিলোমিটার রেললাইন স্থাপন করা হয়েছে। সয়দাবাদ ও ইব্রাহিমাবাদ স্টেশন আধুনিকীকরণ, ইয়ার্ড রিমডেলিং, সিগন্যালিং ও টেলিযোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন এবং সেতু রক্ষণাবেক্ষণে নিয়োজিত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের জন্য অফিস ও আবাসন নির্মাণ করা হয়েছে।
মূল ডিপিপিতে প্রকল্পের ব্যয় নির্ধারণ করা হয়েছিল ৯ হাজার ৭৩৪ কোটি ৭ লাখ টাকা। পরে প্রথম সংশোধনীতে ব্যয় বেড়ে দাঁড়ায় ১৬ হাজার ৭৮০ কোটি ৯৫ লাখ টাকায়। তবে দ্বিতীয় সংশোধনীতে প্রকল্প ব্যয় ২৬৮ দশমিক ৩৫ কোটি টাকা কমিয়ে ১৬ হাজার ৫১২ কোটি ৬০ লাখ টাকা প্রস্তাব করা হয়েছে।
এই প্রকল্পে ৪ হাজার ৬০৪ দশমিক ৪১ কোটি টাকা অর্থায়ন করা হয়েছে দেশীয় উৎস থেকে এবং বাকি ১১ হাজার ৯০৮ দশমিক ১১ কোটি টাকা ঋণ হিসেবে দিয়েছে জাপানের উন্নয়ন সহযোগী সংস্থা জাইকা।
১৯৯৮ সালে যমুনা নদীর ওপর নির্মিত বহুমুখী সেতু দিয়ে ঢাকার সঙ্গে উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের ট্রেন চলাচল শুরু হয়। তবে ২০০৮ সালে সেতুতে ফাটল দেখা দিলে ট্রেনের গতি সীমিত করা হয়। এই সমস্যার স্থায়ী সমাধানে যমুনা নদীর ওপর আলাদা রেলসেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয় তৎকালীন সরকার।
প্রকল্পের সার্বিক বিষয়ে যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, মূল সেতু চালু হওয়ায় বড় অর্জন হয়েছে। তবে সিগন্যালিং, স্টেশন অবকাঠামো ও নিরাপত্তাব্যবস্থার মতো বিষয়গুলো সম্পূর্ণ না হলে কাঙ্ক্ষিত সুফল পুরোপুরি পাওয়া যাবে না। তাই প্রকল্পের মেয়াদ যৌক্তিকভাবে বাড়িয়ে কাজ শেষ করাই বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত। তবে পরিকল্পিত সময়ে কাজ শেষ করতে না পারা একটা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে, এটা বন্ধ করা দরকার।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৫ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেবাসস, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার সন্ধ্যায় সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হবে।
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময় সন্ধ্যা ৬টা ৫ মিনিটে ঢাকায় অবতরণ করবে।’
বাংলাদেশ সময় আজ বৃহস্পতিবার রাত ৯টা ৪৫ মিনিটে সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ইন্তেকাল করেন ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদি।
গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৫ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ। বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে একটি বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেলকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
ডা. আহাদ জানান, বাংলাদেশ সময় বিকেল ৫টার দিকে শরিফ ওসমান হাদির পরিবার অস্ত্রোপচারের জন্য সম্মতি দেয়। পরে তাঁকে অপারেশন থিয়েটারে নেওয়া হয়। তিনি বলেন, ‘অপারেশন শেষ হওয়ার পর আর কোনো আপডেট পাওয়া যায়নি। পরে সরাসরি তাঁর মৃত্যুর খবর জানানো হয়।’
এদিকে হাদির মরদেহ শুক্রবার সকালে দেশে এসে পৌঁছাবে বলেও জানিয়েছেন ডা. আহাদ।
উল্লেখ্য, গত ১২ ডিসেম্বর রাজধানীর বিজয়নগর এলাকায় গণসংযোগে অংশ নিতে গেলে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে শরিফ ওসমান হাদিকে লক্ষ্য করে গুলি করে আততায়ী। এ সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচারের পর বেসরকারি এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য পরে তাঁকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।
হাদির মৃত্যুতে শুক্রবার বিশেষ মোনাজাত ও শনিবার রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে এই ঘোষণা দেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৫ ঘণ্টা আগে
শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। আজ বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া এক ভাষণে এই ঘোষণা দেন তিনি।
সিঙ্গাপুরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেছেন হাদি। এই উপলক্ষে দেওয়া ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
শরিফ ওসমান হাদির এই অকাল মৃত্যুতে গভীর শোক ও দুঃখ প্রকাশ করে ড. ইউনূস বলেন, তাঁর প্রয়াণ দেশের রাজনৈতিক ও গণতান্ত্রিক পরিসরে এক অপূরণীয় ক্ষতি।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
এ সময় হাদির মৃত্যুতে আগামী শনিবার (২০ ডিসেম্বর) এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বলেন, শহীদ শরিফ ওসমান হাদির অকাল মৃত্যুতে আগামী শনিবার এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করছি। এই উপলক্ষে শনিবার দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
একই সঙ্গে আগামীকাল শুক্রবার বাদ জুমা দেশের প্রতিটি মসজিদে শহীদ ওসমান হাদির রুহের মাগফিরাত কামনায় বিশেষ দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হবে বলে জানান ড. ইউনূস। তিনি বলেন, অন্যান্য ধর্মের উপাসনালয়গুলোতেও আয়োজন হবে বিশেষ প্রার্থনার।

দেশের সোয়া পাঁচ লাখেরও বেশি মানুষের দুটি করে জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) রয়েছে। একাধিক এনআইডি করা দণ্ডনীয় অপরাধ হলেও তাঁরা তা করেছেন। ফাঁকি দিতে অনেকে হাতের বদলে পায়ের আঙুলের ছাপও দিয়েছেন।
২৭ অক্টোবর ২০২৪
যমুনা নদীর ওপর নির্মিত ৪ দশমিক ৮ কিলোমিটার দীর্ঘ ডুয়েলগেজ ডাবল লাইনের যমুনা রেলসেতুতে ট্রেন চলাচল করলেও প্রকল্পের আনুষঙ্গিক কিছু কাজ বাকি রয়েছে। তাই প্রকল্পের মেয়াদ আরও দেড় বছর বাড়ানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
৪ ঘণ্টা আগে
এনসিপির স্বাস্থ্য সেলের প্রধান ও হাদির চিকিৎসায় নিয়োজিত থাকা ডা. আব্দুল আহাদ সাংবাদিকদের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ওসমান হাদির মরদেহ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ বিমানের একটি বাণিজ্যিক ফ্লাইট স্থানীয় সময় বিকাল সাড়ে ৩টা ৫০ মিনিটে সিঙ্গাপুর থেকে রওনা হয়ে সম্ভাব্য সময়...
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান হাদি সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন। অস্ত্রোপচারের পর তাঁর মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক ও ন্যাশনাল হেলথ অ্যালায়েন্সের (এনএইচএ) সদস্যসচিব ডা. মো. আব্দুল আহাদ।
৫ ঘণ্টা আগে