Ajker Patrika

আগামী বছর বিশ্বের যে ১০টি শহরে না গেলেই নয়

আপডেট : ২৪ অক্টোবর ২০২৪, ১৯: ১৫
আগামী বছর বিশ্বের যে ১০টি শহরে না গেলেই নয়

লোনলি প্ল্যানেট নামটির সঙ্গে অন্তত ভ্রমণপ্রিয় পাঠকেরা বেশ পরিচিত। ভ্রমণগাইড প্রকাশের পাশাপাশি পর্যটকদের ঘুরে বেড়াবার নানা তথ্য দিয়ে পর্যটকদের সাহায্য করে তারা। আর এ বিষয়ের লোনলি প্ল্যানেটের অভিজ্ঞতাই বলে দিচ্ছে অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন জায়গা, শহর বা দেশের যে তালিকা তারা করবে সেটি মোটেই হেলাফেলা করার মতো কিছু হবে না। আজ আমরা পরিচিত হবে লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন ১০টি শহরের সঙ্গে।

জাদুঘর এবং ঐতিহাসিক সব দালান-কোঠার জন্য বিখ্যাত তুলুজ শহর। ছবি: উইকিপিডিয়াতুলুজ, ফ্রান্স
লোনলি প্ল্যানেটের অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় সবার ওপরে আছে ফ্রান্সের তুলুজ। গেহনে নদীর তীরে গড়ে ওঠা পুরোনো এই শহরটি প্রচুর সংখ্যায় জাদুঘর এবং ঐতিহাসিক সব দালান-কোঠার জন্য বিখ্যাত। এখনকার খাবারেরও আলাদা নাম আছে। 

লোনলি প্ল্যানেটের কনটেন্ট ও নির্বাহী সম্পাদক নিতিয়া চেম্বারস সিএনএনকে বলেন, ‘ছুটি কাটানোর জন্য এটি দারুণ একটি জায়গা। শিল্পসামগ্রীর গ্যালারি, পুনঃপ্রক্রিয়াজাতকরণ কারখানা, রেস্তোরাঁ মিলিয়ে দারুণ ও বৈচিত্র্যময় এক শহর এটি।’ 

জনসংখ্যার দিক থেকে প্যারিস, মার্সেই এবং লিওর পরে ফ্রান্সের চতুর্থ বৃহত্তম শহর এটি। এর বিভিন্ন দালানকোঠায় গোলাপি রংয়ের ছটার কারণে কেউ কেউ একে পিংক সিটি নামেও ডাকে। ১২২৯ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্য ইউনিভার্সিটি অব তুলুজ ইউরোপের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির একটি। এখানকার সেতুগুলো মুগ্ধ করবে আপনাকে। আর বার, ক্লাব ও লাইভ মিউজিক মিলিয়ে রাতে জীবন্ত এক শহর তুলুজ।

সুন্দর সব সাগরসৈকতের জন্য নাম আছে পদুচেরি শহরের। ছবি: উইকিপিডিয়াপদুচেরি, ভারত
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় দুইয়ে থাকা শহরটি আপনাকে চমকে দিতে পারে। এটি ভারতের পদুচেরি, যেটি একটা সময় পরিচিত ছিল পন্ডিচেরি নামে। 

নিতিয়া চেম্বার বলেন, ‘পদুচেরি তালিকায় দুইয়ে থাকার কারণ এখানকার সৈকত এবং তীরে আছড়ে পড়া একের পর এক ঢেউ। এদিকে সাগরের ঢেউয়ে ক্ষতিগ্রস্ত হওয়া সৈকতগুলোকেও পুনরুদ্ধার করা হচ্ছে এখানে।’ চেন্নাই থেকে সহজেই ট্রেনে চেপে পৌঁছে যেতে পারবেন জায়গাটিকে।

১৯৫৪ সাল পর্যন্ত ফরাসি কলোনিয়াল শাসন চলে জায়গাটিতে। এখানকার পথ-ঘাট, স্থাপত্য, খাবার-দাবার সবকিছুতে এখনো ফরাসিদের প্রভাব চোখে পড়ে। এখানকার কিছু মানুষ এখনো ফরাসি ভাষায় কথা বলেন। অনেকেই জায়গাটিতে ভারতের ‘লিটল ফ্রান্স’ নামে ডাকেন আদর করে। আন্তর্জাতিকভাবে প্রসিদ্ধ শ্রী অরবিন্দ আশ্রম শহরের উত্তরে অবস্থিত।

বাঁচকো বিখ্যাত স্কিইংয়ের জন্য। ছবি: উইকিপিডিয়াবাঁচকো, বুলগেরিয়া
বুলগেরিয়ার ছোট্ট এই পার্বত্য শহরটি বছরজুড়েই টানে পর্যটকদের। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় তিনে থাকা শহরটি সবচেয়ে বেশি নাম কাটিয়েছেন বরফে ঢাকা পর্বতে স্কিইংয়ের জন্য।

রোমাঞ্চপ্রিয় কিংবা প্রকৃতির কোলে শান্ত একটি শহরের প্রত্যাশা করা পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্য এটি। সাম্প্রতিক বছরগুলিতে এটি ডিজিটাল নোমাডদের পছন্দের জায়গায় পরিণত হয়েছে। অর্থাৎ সুন্দর এ শহরটিতে থেকে অনলাইনে চাকরি করেন কোনো ব্যস্ত শহরের প্রতিষ্ঠানে।

পুরোনো জাদুঘর, গির্জাসহ নানা স্থাপনাও আকৃষ্ট করবে। এখানকার মুখোরোচক খাওয়া-দাওয়াও আকৃষ্ট করবে আপনাকে। গন্ডোলা বা ক্যাবল কারে চলা, মাউন্টেন বাইকিং, পাহাড়ে ট্র্যাকিং এমন রোমাঞ্চকর আরও নানা কিছু করার সুযোগ মেলে এখানে স্কিইংয়ের পাশাপাশি। 

লোনলি প্ল্যানেটর তালিকায় চিয়াং মাইয়ের অবস্থান চারে। ছবি: উইকিপিডিয়াচিয়াং মাই
থাইল্যান্ডের শীতল শহরগুলির একটি চিয়াং মাই। লোনলি প্ল্যানেটের তালিকায় এর অবস্থান চার। ‘আপনি যদি একজন ভোজনবিলাসী ভ্রমণপ্রেমী হন কিংবা নতুন স্বাদ নিতে আগ্রহী থাকেন তবে এটি আপনার পছন্দের তালিকায় ওপরের দিকে থাকবে। এখানকার প্রকৃতি, পরিবেশ খাবার-দাবারের সঙ্গে দারুণ মানানসই।’ বলেন চেম্বারস।

ব্যস্ত শহর এবং জমকালো সমুদ্র সৈকতগুলি এমনিতে থাইল্যান্ডকে পর্যটকদের প্রিয় গন্তব্যে পরিণত করেছে। তবে চিয়াং মাইয়ের শান্ত পাহাড়ি প্রকৃতি সম্পূর্ণ বিপরীত একটি পরিস্থিতি নিয়ে হাজির হয় পর্যটকদের সামনে। শ্বাসরুদ্ধকর দৃশ্য, ঐতিহ্যবাহী হস্তশিল্প এবং পাকা সব রাঁধুনির জন্য আলাদা নাম আছে শহরটির। বুঝতেই পারছেন এখানে দেখার এবং করার মতো  অনেক কিছু রয়েছে।

প্রাচীর ঘেরা পুরোনো শহর ছাড়িয়ে, রোমাঞ্চপ্রেমীরা পছন্দ অনুযায়ী জায়গা বেছে নেওয়াতেও বাধা নেই। জঙ্গল, নদী, গুহা, পাহাড় এবং জলপ্রপাত সবই পাবেন আশপাশে। তবে সবকিছু ছাপিয়ে খাবার এবং অরণ্য চিয়াং মাই-এর বড় আকর্ষণ। আপনি যতবারই যান না কেন সেখানে সব সময় নতুন কিছু আবিষ্কার করা যায়।

জেনোয়ার রাস্তার দু-পাশে সুন্দর সব অট্টালিকা। ছবি: উইকিপিডিয়াজেনোয়া, ইতালি
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পাঁচে জেনোয়া। ইতালির বৃহত্তম সমুদ্র বন্দরটিতে পরস্পরবিরোধী কিছু বিষয় চোখে পড়বে। কোথাও জমকালো, ঝলমলে আলো এবং কোথাও গভীর ছায়ায় পূর্ণ। এটি অনেক ভ্রমণকারীর জন্য নৌভ্রমণে বেরিয়ে পড়ার একটি প্রবেশদ্বার হিসেবে কাজ সকরে। তবে এর স্থাপত্য ঐতিহ্য তার পুরোনো গৌরবের কথা মনে করিয়ে দেয়। রিপাবলিক অব জেনোয়া বারো এবং তেরো শতকে ভূমধ্যসাগর শাসন করে। জেনোয়াতে এলে পুরোনো সেই ইতিহাস জীবন্ত হয়ে যেন আপনার সামনে ধরা দেবে। পুরোনো সেই শহরের অনেক কিছুই এখনো অক্ষত এখানে।

এখনকার স্থানীয় নানা খাবার মুগ্ধ করবে আপনাকে। শহরের বাসিন্দারাও খুব বন্ধুভাবাপন্ন। তেমনি সমুদ্রবিষয়ক জাদুঘর, থিয়েটার ও সংগীত পরিবেশনার নানা জায়গা মুগ্ধ করে পর্যটকদের।

পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় জনবহুল শহর পিটার্সবার্গ। ছবি: উইকিপিডিয়াপিটার্সবার্গ, যুক্তরাষ্ট্র
অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন শহরের তালিকায় পিটসবার্গের অবস্থান ছয়ে। ফিলাডেলফিয়ার পর পেনসিলভানিয়া অঙ্গরাজ্যের দ্বিতীয় জনবহুল শহর এটি। অ্যালিঘেনি এবং মনোনগাহেলা নদীর সংযোগস্থলে অবস্থান শহরটির। এ দুটি নদী মিলে জন্ম দিয়েছে ওহাইও নদীর।

যুক্তরাষ্ট্রের ইস্পাত শিল্পে বড় অবদানের জন্য একসময় স্টিল সিটি নামেই বেশি পরিচিত ছিল। তবে এখনকার নতুন কিছু পরিচয় যোগ হয়েছে শহরটির। বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে উঠেছে।

শহর জুড়ে গড়ে উঠেছে মুখরোচক খাবারের সব রেস্তোরাঁ, জাদুঘরগুলো বিশ্বমানের শিল্প ও আঞ্চলিক ইতিহাসে ভরপুর; শহরের তিনটি নদী বরাবর সারা বছর প্রচুর কার্যকলাপের সুযোগ আছে।

রাতের ওসাকা শহর। ছবি: উইকিপিডিয়াওসাকা, জাপান
বিশ্বে জনবহুল শহরের তালিকায় সেরা দশে থাকা জাপানের এ শহরটিতে এক কোটি ৮৯ লাখ ৬৭ হাজারের বেশি মানুষের বাস। আর লোনলি প্ল্যানেটের বিবেচনায় অবশ্যই যাওয়া উচিত এমন সপ্তম শহর এটি। 

বাণিজ্য ও শিল্পের কেন্দ্র হিসাবে ঐতিহাসিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ শহরটিতে এখনো অনেক বড় জাপানি কোম্পানির সদর দপ্তর অবস্থিত।

ওসাকা তার নানা পদের খাবার এবং আধুনিক স্থাপত্যের জন্য পর্যটকদের কাছে প্রিয় গন্তব্য। শহরের মেট্রো বছরে ৯০ কোটির বেশি যাত্রী পরিবহন করে। এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য স্থান ওসাকা ক্যাসল। চৌদ্দ শ বছর আগে স্থাপিত বৌদ্ধ মন্দির শিতেনো-জি ছাড়াও বিখ্যাত ওসাকা অ্যাকোরিয়াম কাইয়ুকান এবং তেমপোজান নাগরদোলা এখানকার অন্যতম দ্রষ্টব্য জায়গা।

কুরিতিবার বোটানিক্যাল গার্ডেন। ছবি: উইকিপিডিয়াকুরিতিবা, ব্রাজিল 
ব্রাজিলের পারানা রাজ্যের রাজধানী শহর কুরিতিবা তার উদ্ভাবনী নগর-পরিকল্পনা এবং টেকসই উন্নয়ন উদ্যোগের জন্য বিখ্যাত। কীভাবে একটি শহর সফলভাবে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং পরিবেশ সংরক্ষণে ভারসাম্য বজায় রাখতে পারে তার একটি উজ্জ্বল উদাহরণ হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে।

সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্য, বৈচিত্র্যময় সংস্কৃতির জন্য পরিচিত শহরটি। এখানকার উদ্ভিদ উদ্যানটি একটি জনপ্রিয় পর্যটনকেন্দ্র। শহরটিতে অসংখ্য আর্ট গ্যালারি, থিয়েটার রয়েছে। ঐতিহ্যবাহী ব্রাজিলিয়ান খাবার থেকে শুরু করে নানা দেশের বিভিন্ন পদের খাবারের জন্য আলাদা নাম আছে। কুরিতিবায় ৩০টির বেশি পার্ক এবং সবুজ আচ্ছাদনযুক্ত জায়গা রয়েছে।

পালমা দে মালোরকা শহরের একটি ক্যাথেড্রাল। ছবি: উইকিপিডিয়াপালমা দে মালোরকা, স্পেন
মালোরকা দ্বীপের রাজধানীটি একই নামের একটি উপসাগরের তীরে অবস্থিত। এখানকার চমৎকার জলবায়ু পর্যটকদের ভারি পছন্দ। বার্ষিক গড় তাপমাত্রা আঠারো ডিগ্রি সেলসিয়াসের আশপাশে। চমৎকার সব সৈকত এবং ঐতিহ্যবাহী ইমারতে ভরপুর পুরোনো শহর পালমা দে মালোরকাকে পর্যটকদের কাছে এক আকর্ষণীয় গন্তব্যে পরিণত করেছে।

এখানে বেড়াতে আসা মানুষদের দ্য ক্যাথেড্রাল, দা আলদমাদাইনা প্যালেস, প্লাজা মেয়র স্কয়ারের জন্য হাতে আলাদা করে কিছুটা সময় রাখতে হয়। পাইনের জঙ্গল এবং পাম গাছের সারি শহরের বড় বৈশিষ্ট্য।

দ্বীপের উপকূল বরাবর সৈকত এবং পাহাড়ের দেখা মেলে। ভেতরের দিকে গ্রাম এবং এক হাজার ৫০০ মিটার পর্যন্ত উচ্চতার পর্বতশ্রেণী রয়েছে।

কানাডার আলবার্টা শহরের রাজধানী এডমন্টন। ছবি: উইকিপিডিয়াএডমন্টন, কানাডা
কানাডার আলবার্টা শহরের রাজধানী এডমন্টন। ঝাঁ চকচকে আকাশচুম্বী ভবন, বিভিন্ন বিনোদনের সুবিধা এবং নানা ধরনের উৎসব মিলিয়ে আলবার্টার মতো শহর পাবেন কমই । ব্যাপক বিনিয়োগের মাধ্যমে কানাডার পঞ্চম বৃহত্তম শহরটি গত এক দশকে পরিবর্তিত হয়েছে। 

নর্থ সাসকাচোয়ান নদীর তীরের এর অবস্থান। বছরে ২২০০ ঘণ্টার বেশি উজ্জ্বল সূর্যালোক পায় শহরটি। গ্রীষ্মে ১৭ ঘণ্টা পর্যন্ত সূর্যালোক পায় এটি। শীতে নিয়মিতই দেখা মেলে নর্দান লাইটের। বছরজুড়ে অন্তত ৩০টি ফেস্টিভ্যাল বা উৎসব হয় এখানে। শহরের কেন্দ্র থেকে কেবল এক ঘণ্টায় গাড়িতে পৌঁছে যেতে পারবেন বিখ্যাত এল্ক আইল্যান্ড ন্যাশনাল পার্কে।

সূত্র: লোনলি প্ল্যানেট, সিএনএন, ফ্যাক্টস ডট নেট, ওয়ার্ল্ড সিটি ট্রেইল ডট কম 

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

গম্বুজ তলে শব্দের মেলা, পাঁচ পাঠাগারের কাব্যিক অভিযাত্রা

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৬: ১৭
তিয়ানজিন বিনহাই লাইব্রেরির বইয়ের তাকগুলো ঢেউয়ের মতো খেলে গেছে পুরো দেয়াল জুড়ে। ছবি: আজর ম্যাগাজিন
তিয়ানজিন বিনহাই লাইব্রেরির বইয়ের তাকগুলো ঢেউয়ের মতো খেলে গেছে পুরো দেয়াল জুড়ে। ছবি: আজর ম্যাগাজিন

বইয়ের পাতার মৃদু মর্মর আর শতাব্দীর প্রাচীন প্রতিধ্বনি। এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে এই সুর যেন একই সুতোয় গাঁথা। মেলবোর্ন থেকে রিও, বিশ্বের এই পাঁচটি অনন্য গ্রন্থাগার একটি বিশেষ দর্শনকে ধারণ করে আছে। পড়া মানে কেবল তথ্যের আহরণ নয়, বরং একটি বিশেষ স্থাপত্যের আবহে নিজেকে সঁপে দেওয়া। মঠের নিস্তব্ধতা থেকে শুরু করে প্রজাতন্ত্রী উদ্যোগ কিংবা ভবিষ্যতের কোনো স্বপ্নদর্শী প্রকল্প। এই সবকটি স্থাপনা আজ বিশ্বের বুদ্ধিবৃত্তিক এবং নগর সভ্যতার মাইলফলক। তাদের মূল সার্থকতা এখানেই যে, তারা বইকে কেবল তাকে সাজিয়ে রাখেনি বরং বইকে রূপান্তরিত করেছে এক একটি জীবন্ত পরিসরে। বইপ্রেমীদের জন্য পৃথিবীর সেরা সেই পাঁচটি লাইব্রেরি যেন পাঠ-স্বর্গের গল্প বলে। এই পাঁচটি লাইব্রেরি কেবল পড়ার জায়গা নয় বরং প্রতিটি বইপ্রেমীর জন্য একবার হলেও ঘুরে আসার মতো তীর্থস্থান।

স্টেট লাইব্রেরি অফ ভিক্টোরিয়া (মেলবোর্ন)

অস্ট্রেলিয়ার সাংস্কৃতিক রাজধানীর হৃদপিণ্ডে অবস্থিত এই গ্রন্থাগারটি জ্ঞানের এক বিশাল বাতিঘর। ১৮৫৬ সাল থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত এই প্রতিষ্ঠানটি সংস্কৃতির অবাধ অধিকারের এক মূর্ত প্রতীক। এর মূল আকর্ষণ হলো ১৯১৩ সালে নির্মিত ’ট্রোব রিডিং রুম’। এক বিশাল ৩৫ মিটারের অষ্টভুজাকার গম্বুজের নিচে দাঁড়িয়ে মনে হবে আপনি কোনো এক আধুনিক উপাসনালয়ে আছেন। সরু সিঁড়ি দিয়ে যুক্ত এর উঁচু গ্যালারিগুলো কক্ষটির গম্ভীরতাকে এক অনন্য উচ্চতা দান করেছে। এডওয়ার্ডিয়ান স্থাপত্যের এই শ্রেষ্ঠ নিদর্শনটি গত এক শতাব্দী ধরে জ্ঞান বিনিময়ের এক জীবন্ত সাক্ষী হয়ে দাঁড়িয়ে আছে।

১৮৫৬ সাল থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের স্টেট লাইব্রেরি অফ ভিক্টোরিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া
১৮৫৬ সাল থেকে সবার জন্য উন্মুক্ত অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্নের স্টেট লাইব্রেরি অফ ভিক্টোরিয়া। ছবি: উইকিপিডিয়া

তিয়ানজিন বিনহাই লাইব্রেরি (তিয়ানজিন)

দৃষ্টিভ্রম নাকি কোনো মায়াবী জগত? ২০১৭ সালে চীনে নির্মিত এই লাইব্রেরিটি পড়ার ঘরের চিরাচরিত ধারণা পুরোপুরি বদলে দিয়েছে। এখানে সবকিছুই শুভ্র। এর বইয়ের তাকগুলো ঢেউয়ের মতো খেলে গেছে পুরো দেয়াল জুড়ে, যা কখনও সিঁড়ি আবার কখনও বসার আসনে পরিণত হয়েছে। তাকিয়ে থাকলে মনে হবে তাকগুলো বুঝি মিশে গেছে ছাদের কোনো অলীক শিল্পকর্মে। স্থাপত্যের ঠিক মাঝখানে রয়েছে এক বিশাল স্বচ্ছ গোলক, যার নাম দেওয়া হয়েছে ’দ্য আই’ বা ’চক্ষু’। ৩৩ হাজার বর্গমিটারের এই রেট্রো-ফিউচারিস্টিক প্রাঙ্গণে ১০ লক্ষেরও বেশি বই রয়েছে। ডাচ সংস্থা MVRDV-এর তৈরি এই স্থাপত্যটি নির্মাণ করতে সময় লেগেছে মাত্র তিন বছর।

লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস (ওয়াশিংটন)

আমেরিকার সবচেয়ে গম্ভীর এবং আভিজাত্যপূর্ণ স্থান হলো এর জেফারসন উইং। মার্বেল পাথরের কারুকাজ আর সোনালি রঙের ছটায় এখানে তৈরি হয়েছে এক রাজকীয় পরিবেশ। ঐতিহাসিক চরিত্রদের আবক্ষ মূর্তি আর মোজাইকের পথ ধরে যখন আপনি অষ্টভুজাকার রিডিং রুমে প্রবেশ করবেন, তখন চারপাশের বিশালাকার গম্বুজ আর নরম আলো আপনাকে এক অদ্ভুত ঘোরের মধ্যে ফেলে দেবে। ১৭ কোটি ৫০ লক্ষ নথি ও বইয়ের সংগ্রহ নিয়ে এটি বিশ্বের বৃহত্তম গ্রন্থাগার। বিরল পাণ্ডুলিপি থেকে শুরু করে কমিক বই কিংবা বিজ্ঞানের জটিল কাজ—সবই এখানে সাজানো আছে মাইলের পর মাইল বিস্তৃত তাকে। পাথরের গায়ে এখানে খোদাই করা আছে আমেরিকার উচ্চাভিলাষের গল্প।

মার্বেল পাথরের কারুকাজ আর সোনালি রঙের ছটায় এখানে তৈরি হয়েছে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস। ছবি: উইকিপিডিয়া
মার্বেল পাথরের কারুকাজ আর সোনালি রঙের ছটায় এখানে তৈরি হয়েছে লাইব্রেরি অফ কংগ্রেস। ছবি: উইকিপিডিয়া

অ্যাডমন্ট মনাস্ট্রি লাইব্রেরি (অ্যাডমন্ট)

অস্ট্রিয়ার স্টাইরিয়া অঞ্চলের পাহাড়ি জনপদে ১৭৭৬ সাল থেকে টিকে আছে এই বারোক স্থাপত্যের বিস্ময়। সাতটি বিশাল গম্বুজের নিচে শিল্পী বার্তোলোমিও আলতোমন্তের আঁকা ফ্রেস্কো বা দেয়ালচিত্রগুলো লাইব্রেরিটিকে এক স্বর্গীয় রূপ দিয়েছে। ৪৮টি জানালা দিয়ে আসা আলো যখন বাঁকানো তাকগুলোতে সাজানো লুথারের বাইবেলসহ প্রায় ৭০ হাজার বইয়ের ওপর পড়ে, তখন এক অপার্থিব পরিবেশ তৈরি হয়। শিল্পী জোসেফ স্টামেলের খোদাই করা মূর্তি আর সাদা-কালো মার্বেলের মেঝে জ্ঞান আর শিল্পের এক অদ্ভুত মেলবন্ধন ঘটিয়েছে এখানে।

বিবলিওটেকা ন্যাসিওনাল (রিও ডি জেনিরো)

এই গ্রন্থাগারের জন্ম হয়েছিল নির্বাসনের ইতিহাস থেকে। ১৮১০ সালে পর্তুগিজ রাজদরবার যখন লিসবন থেকে পালিয়ে রিওতে আশ্রয় নেয়, তখন তারা সাথে করে নিয়ে আসে বিশাল বইয়ের ভাণ্ডার। সেই সংগ্রহের ওপর ভিত্তি করেই গড়ে ওঠে নতুন বিশ্বের প্রথম বড় এই গ্রন্থাগার। বর্তমানে এখানে নথির সংখ্যা প্রায় ৯০ লক্ষ। ১৯১০ সালে রিও ব্রাঙ্কো অ্যাভিনিউতে নির্মিত হয় এর বিশাল নিওক্লাসিক্যাল ভবনটি। এর ভেতরে লোহার কারুকার্যময় ব্যালকনি, বিশালাকার থামের সারি আর সুউচ্চ অলিন্দগুলো আপনাকে মনে করিয়ে দেবে সেই রাজকীয় ঐতিহ্যের কথা।

সূত্র: ইএনভোলস

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

উত্তরের হিম রাজ্যে তুষারবিলাসের রোমাঞ্চ, হিমাঙ্কের নিচে তপ্ত রাত

ফিচার ডেস্ক
আইস হোটেল ৩৬ এর এবারের সবচেয়ে বড় চমক হলো বরফ দিয়ে খোদাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্র্যান্ড পিয়ানো। ছবি: আইসহোটেল ডটকম
আইস হোটেল ৩৬ এর এবারের সবচেয়ে বড় চমক হলো বরফ দিয়ে খোদাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্র্যান্ড পিয়ানো। ছবি: আইসহোটেল ডটকম

প্রকৃতি যখন শুভ্র তুষারের চাদরে নিজেকে ঢেকে নেয়, উত্তর গোলার্ধের হিমশীতল তন্দ্রা তখন জেগে ওঠে এক ক্ষণস্থায়ী বিস্ময়ে। যার নাম আইস হোটেল। বসন্তের আগমনে যারা নিভৃতে গলে মিশে যায় নদীর পানিতে, সেই বরফ প্রাসাদগুলোই এখন বিশ্বজুড়ে পর্যটকদের কাছে শীতকালীন অভিযানের প্রধান কেন্দ্রবিন্দু। বসন্তের প্রথম ছোঁয়া লাগলেই এই তুষার প্রাসাদগুলো নিভৃতে গলে যায়। তখন তারা ফিরে যায় আপন উৎস, নদীর বুকে। আপনি কি কখনো হিমাঙ্কের নিচে এমন বরফের বিছানায় রাত কাটানোর অদম্য রোমাঞ্চ অনুভব করতে চেয়েছেন?

অনেকে ভাবেন, বরফের ঘরে ঘুমানো মানেই জমে যাওয়া। কিন্তু বাস্তবতা ভিন্ন। রুমের তাপমাত্রা থাকে প্রায় ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। তবে পর্যটকদের দেওয়া হয় বিশেষ থার্মাল স্লিপিং ব্যাগ এবং রেইনডিয়ারের চামড়া, যা শরীরের স্বাভাবিক উষ্ণতা ধরে রাখে। বাথরুম বা পোশাক পরিবর্তনের জন্য পাশেই থাকে উত্তপ্ত আধুনিক ভবন। ২০২৫ সালের এই হাড়কাঁপানো মৌসুমেও সুইডেন, ফিনল্যান্ড, সুইজারল্যান্ড আর কানাডায় ফিরে এসেছে এই অনন্য ‘বরফবিলাস’।

ফিনল্যান্ডের আপুক্কা রিসোর্টের দেখামেলে কাঁচের ছাদের ইগলু থেকে শুরু করে তুষারাবৃত বনের মধ্য দিয়ে রেইনডিয়ারের যাত্রা। ছবি: আপুক্কা রিসোর্ট ডটকম
ফিনল্যান্ডের আপুক্কা রিসোর্টের দেখামেলে কাঁচের ছাদের ইগলু থেকে শুরু করে তুষারাবৃত বনের মধ্য দিয়ে রেইনডিয়ারের যাত্রা। ছবি: আপুক্কা রিসোর্ট ডটকম

আইস হোটেল ৩৬

বিশ্বের বিখ্যাত বরফ হোটেল আইস হোটেল ৩৬। প্রতিবছর এটি নতুন করে তৈরি করা হয় এবং এর প্রধান আকর্ষণ হলো বরফের ভাস্কর্য, বরফের ঘর, বরফের বার এবং আর্কটিক কার্যকলাপ; যেমন ডগ স্লেডিং ও নর্দান লাইট দেখা। সুইডিশ ল্যাপল্যান্ডের জুকাসজারভি ভিলেজে এ বছর উদ্বোধন করা হয়েছে আইস হোটেল ৩৬। নামের সংখ্যাটিই বলে দেয়, এটি তাদের ৩৬তম সংস্করণ। এবার এখানে ১২টি আর্ট স্যুট, আইস রুম, একটি প্রধান হল এবং সেরিমনি হল থাকবে। প্রতিবছর টোর্নে নদী থেকে বরফ সংগ্রহ করে হোটেলটি তৈরি করা হয়। বসন্তে এটি গলে নদীতে ফিরে যায়। এ বছরের সবচেয়ে বড় চমক হলো বরফ দিয়ে খোদাই করা একটি পূর্ণাঙ্গ গ্র্যান্ড পিয়ানো। অদ্ভুত শোনালেও সত্যি, এটি শুধু প্রদর্শনের জন্য নয়, রীতিমতো বাজানোর যোগ্য। ১২টি দেশের ৩৩ জন তুখোড় শিল্পী তাঁদের তুলির বদলে ছেনি-হাতুড়ির কারুকার্যে ফুটিয়ে তুলেছেন একেকটি কক্ষ বা আর্ট স্যুট। কোথাও দেয়ালে খোদাই করা হিমায়িত লাইব্রেরি, আবার কোথাও গোলকগুলো মাথার ওপর ভেসে থাকার বিভ্রম তৈরি করছে। জেনে রাখুন, এই হোটেলে দুজনের জন্য এক রাত কাটানোর খরচ পড়বে প্রায় ৬০০ ইউরো।

আল্পস পর্বতমালার ২,৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট। ছবি: ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট ডটকম
আল্পস পর্বতমালার ২,৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত সুইজারল্যান্ডের ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট। ছবি: ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট ডটকম

উত্তর মেরুর অন্যান্য বরফস্বর্গ

সুইডেনের বাইরেও ফিনল্যান্ড থেকে কানাডা পর্যন্ত ছড়িয়ে আছে এই হিমাঙ্ক-বিজয়ীদের আস্তানা।

ফিনল্যান্ডের আপুক্কা রিসোর্ট: ল্যাপল্যান্ডের রোভানিয়েনিতে কাচের তৈরি ইগলুতে শুয়ে আকাশের ‘নর্দান লাইটস’ বা মেরুজ্যোতি দেখা এক স্বর্গীয় অনুভূতি। কাচের ছাদের ইগলু থেকে শুরু করে তুষারাবৃত বনের মধ্য দিয়ে রেইনডিয়ারের যাত্রা পর্যন্ত, আপুক্কা রিসোর্ট আপনার আর্কটিক স্বপ্নকে বাস্তবে রূপ দেয়। আগস্ট থেকে এপ্রিল পর্যন্ত তাদের কার্যক্রম চলবে। এখানে খরচ শুরু হয় ৪০০ ইউরো থেকে।

সুইজারল্যান্ডের ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট: আল্পস পর্বতমালার ২ হাজার ৭০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত এই ইগলু ভিলেজ। এই ইগলু গ্রামের অবস্থান এতটাই চমৎকার যে আপনি যখন এর রোদ-ঝলমলে বারান্দায় বসে কফি খাবেন কিংবা খোলা আকাশের নিচে উষ্ণ পানিতে হট টব বা ঘূর্ণি জলধারায় গা এলিয়ে দিতে পারবেন। আর আপনার ঠিক চোখের সামনে ধরা দেবে সুইজারল্যান্ডের সব থেকে আইকনিক পাহাড় ‘ম্যাটারহর্ন’। এখানে রাত কাটাতে লাগবে ৪৫০ ইউরো।

কানাডার হোটেল ডি গ্লেস: উত্তর আমেরিকার একমাত্র বরফ হোটেল এটি। এখানে কেবল থাকার ঘর নয়, রয়েছে বরফ-বার, হট টব এবং শরীর চাঙা করার সাউনা। পশমি চাদর, মেরুজ্যোতির আভা আর স্ফটিকের মতো স্বচ্ছ নিস্তব্ধতার মাঝে হাতে খোদাই করা একটি স্যুটে রাত কাটানোর রোমাঞ্চই আলাদা। এখানে থাকার খরচ শুরু হয় ৫০০ ইউরো থেকে।

উত্তর আমেরিকার একমাত্র বরফ হোটেল কানাডার হোটেল ডি গ্লেস। ছবি: হোটেল ডি গ্লেস
উত্তর আমেরিকার একমাত্র বরফ হোটেল কানাডার হোটেল ডি গ্লেস। ছবি: হোটেল ডি গ্লেস

যেভাবে গড়া হয় তুষার প্রাসাদ

একটি আইস হোটেল তৈরি করা আর এক মহাকাব্য রচনা করা প্রায় একই কথা। এর প্রস্তুতি শুরু হয় সাত-আট মাস আগে থেকে। প্রথমে বরফ সংগ্রহের পালা। বসন্তের শেষে যখন বরফ সবচেয়ে স্বচ্ছ ও পুরু থাকে, তখন টর্ন রিভারের মতো নদীগুলো থেকে বিশাল বিশাল বরফের চাঁই কেটে নেওয়া হয়। এরপর সেগুলো সোলার পাওয়ারড হ্যাঙ্গারে যত্ন করে রাখা হয় পরবর্তী শীত পর্যন্ত। এরপর শুরু হয় নির্মাণযজ্ঞ। নভেম্বর মাসে যখন তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নিচে স্থির হয়, তখন প্রায় ৯০ জন শিল্পী, ইঞ্জিনিয়ার ও শ্রমিকের এক অমানুষিক পরিশ্রমে মাত্র ৬ সপ্তাহে গড়ে ওঠে এই স্থাপত্য। নির্মাণের গোপন উপাদান ‘সনিস’। এটি তৈরিতে শত শত টন স্বচ্ছ বরফের পাশাপাশি ব্যবহৃত হয় এই বিশেষ উপাদান। এটি তুষার ও বরফের এমন এক বিশেষ মিশ্রণ, যা দেয়াল ও ছাদকে পাথরের মতো মজবুত করে।

সূত্র: আফ্রিকা নিউজ, আপুক্কা রিসোর্ট ডটকম, ইগলু-ডর্ফ জেরম্যাট ডটকম, হোটেল ডি গ্লেস ডটকম

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আজকের রাশিফল: অহেতুক তর্কে মৌনতাই শ্রেয়, ঘর গোছাতে গিয়ে মাথা অগোছালো হবে

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ০৩
আজকের রাশিফল: অহেতুক তর্কে মৌনতাই শ্রেয়, ঘর গোছাতে গিয়ে মাথা অগোছালো হবে

মেষ

আজ নিজেকে সুপারম্যান মনে করতে পারেন। অফিসে বা ঘরে সবাইকে হুকুম দেওয়ার ইচ্ছা জাগবে। তবে সাবধান! মঙ্গল আপনার রাশিতে একটু বেশিই গরম, তাই গরম চা খেতে গিয়ে জিব পুড়িয়ে বা কারোর সঙ্গে অযথা তর্কে জড়িয়ে ফিউজ ওড়াবেন না। আয়নার সামনে দাঁড়িয়ে নিজের প্রশংসা করুন, কিন্তু অন্যের সামনে নয়।

বৃষ

আজকের মূল মনোযোগ থাকবে পেটের দিকে। বিদেশের কোনো কাজ বা দূরে ভ্রমণের সুযোগ আসতে পারে, কিন্তু মন পড়ে থাকবে বিরিয়ানির হাঁড়িতে। আর্থিক দিক থেকে দিনটি ভালো, তবে খরচ কমাতে আজ বন্ধুর পকেটের দিকে নজর রাখুন! মনে রাখবেন, বাজেট মানে শুধুই ডায়েরির পাতা নয়, মানিব্যাগের ওপর নিয়ন্ত্রণ রাখা।

মিথুন

আজ মনে হবে আপনি একই সঙ্গে পঞ্চগড় আর লালপুরে আছেন। পরস্পরবিরোধী আবেগ আপনাকে ভোগাবে। একদিকে মনে হবে খুব কাজ করি, অন্যদিকে লেপ ছেড়ে উঠতে ইচ্ছা করবে না। বিবাহিতদের জন্য দিনটি ‘জি হুজুর’ বলে কাটানোই নিরাপদ। সাতটি বিষাদ ও বিচ্ছেদের গান শুনুন, আর না হলে অন্তত সাতবার দীর্ঘশ্বাস ফেলুন।

কর্কট

আজ আপনার আবেগ সমুদ্রের ঢেউয়ের মতো আছড়ে পড়বে। তুচ্ছ কারণে চোখে পানি আসতে পারে। ব্যবসায় বড় বিনিয়োগের প্ল্যান আজ ড্রয়ারেই থাক। কারণ, আপনার বিচারবুদ্ধি আজ আবেগের বন্যায় ভাসছে। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটান, কিন্তু ঝগড়া করবেন না। ফেসবুক বা ইনস্টায় ইমোশনাল স্ট্যাটাস দেওয়া থেকে বিরত থাকুন।

সিংহ

আজ যেখানেই যাবেন, লাইমলাইট আপনার ওপর থাকবে। গ্রহ বলছে আপনি প্রচুর আত্মবিশ্বাসী। তবে অফিসে সহকর্মীদের সঙ্গে কথা বলার সময় একটু ‘ভলিউম’ কমিয়ে রাখুন, নতুবা তারা আপনার রাজকীয় গর্জনে ভয় পেয়ে ছুটি নিয়ে নিতে পারে! বড়দের সম্মান দিন, আর ছোটদের চকলেট খাইয়ে শান্ত রাখুন।

কন্যা

পারিপার্শ্বিক অস্থিরতা আপনাকে আজ একটু খিটখিটে করে তুলতে পারে। চাইবেন সবকিছু একদম নিখুঁত হোক, কিন্তু পৃথিবীটা তো আপনার নোটবই নয়! সম্পর্কের ক্ষেত্রে ধৈর্য ধরুন, সঙ্গীর ভুল ধরাটা আজকের মতো অফ রাখুন। ঘর গোছাতে গিয়ে নিজের মাথাটা বেশি অগোছালো করবেন না।

তুলা

শরীর আজ বেশ চনমনে থাকবে। অনেক দিন ধরে আটকে থাকা কাজ ঝটপট শেষ করে ফেলবেন। তবে সাবধান, সংসারের বিবাদ আজ আপনার শান্তির রাজ্যে হানা দিতে পারে। টাকাপয়সার যোগ ভালো হলেও পকেটে ফুটো যেন না হয় খেয়াল রাখুন। অহেতুক তর্কে ‘মৌনতাই শ্রেয়’।

বৃশ্চিক

আজ আপনি চার মাথার মোড়ে দাঁড়িয়ে কনফিউজড বোধ করবেন—ডানে যাব না বাঁয়ে? রিয়েল এস্টেট বা জমি-সংক্রান্ত কাজে লাভের মুখ দেখতে পারেন। প্রেমে আজ রসপিঠার মতো মিষ্টি সম্পর্ক থাকবে, যদি না আপনি পুরোনো কোনো ঝগড়া টেনে আনেন। মনের কথা শুনুন, কিন্তু গুগল ম্যাপকেও একটু বিশ্বাস করুন।

ধনু

আজ আপনার রাশিতে গ্রহের মেলা বসেছে! আজ গোল্ডেন টাইম এনজয় করবেন। সৃজনশীল কাজে ফাটিয়ে দেবেন। টাকাপয়সা আসার প্রবল যোগ, কিন্তু সেই খুশিতে সবাইকে অকাতরে খাওয়াতে গিয়ে যেন নিজেকে উপোস করতে না হয়! মাজারে একটু শিরনি দিয়ে আসুন, মাথা ঠান্ডা থাকবে।

মকর

আজ আপনাকে হাড়ভাঙা খাটুনি খাটতে হতে পারে। তবে ফল হবে মিষ্টি। টাকা একদিকে পকেটে ঢুকবে, অন্যদিকে বিদ্যুৎ গতিতে বেরিয়ে যাবে। বিদেশি কোম্পানি বা দূরপাল্লার যোগাযোগ থেকে লাভের খবর আসতে পারে। উপার্জনের খাতাটা একটু আড়াল করে রাখুন।

কুম্ভ

আজ নতুন লোকজনের সঙ্গে আলাপ হবে, যা জীবনের মানে বদলে দিতে পারে। সাধারণ কাজও আপনি অসাধারণভাবে করবেন। তবে অতিরিক্ত উৎসাহে যেন কোনো অপ্রীতিকর পরিস্থিতির মুখোমুখি না হতে হয়, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে ওঠার অভ্যাসটা অন্তত আজকের জন্য ট্রাই করুন।

মীন

মীন রাশির জাতকেরা আজ কল্পনার জগতে ভাসবেন। ক্যারিয়ারে বড় কিছু করার সুযোগ আসবে। তবে বাস্তবে পা রাখাটা জরুরি। আর্থিক হিসাব মেলাতে গিয়ে হিমশিম খেতে পারেন। বন্ধুর সাহায্য নিলে কাজ সহজ হবে। আকাশকুসুম চিন্তা না করে হাতের কাজটা আগে শেষ করুন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্কিন টাইপ বা ত্বকের ধরন জানা কেন জরুরি: সুস্থ ত্বকের প্রথম ধাপ

ফিচার ডেস্ক
আপডেট : ২০ ডিসেম্বর ২০২৫, ১১: ৩৬
আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূল মন্ত্র। ছবি: পেক্সেলস
আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূল মন্ত্র। ছবি: পেক্সেলস

আমাদের প্রত্যেকের ত্বক তার নিজস্ব বৈশিষ্ট্যে অনন্য। সুস্থ, উজ্জ্বল ও প্রাণবন্ত ত্বক পাওয়ার প্রথম শর্ত হলো আপনার ত্বকের ধরন বা ‘স্কিন টাইপ’ সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখা। অনেকে ত্বকের ধরন না জেনে বিভিন্ন প্রসাধন ব্যবহার করেন; যা উপকারের চেয়ে ক্ষতিই বেশি করে। আপনার ত্বক ঠিক কী চাইছে, তা বুঝতে পারাটাই হলো সঠিক রূপচর্চার মূলমন্ত্র।

ত্বকের ধরন কেন আলাদা হয়

আপনার ত্বক তৈলাক্ত হবে, নাকি শুষ্ক; তা মূলত কিছু বিষয়ের ওপর নির্ভর করে। এগুলোর মধ্যে প্রধান হলো বংশগতি বা জিন। এ ছাড়া বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের ধরন বদলাতে পারে। হরমোনের পরিবর্তন, মানসিক চাপ, খাদ্যাভ্যাস, দৈনন্দিন শারীরিক পরিশ্রম এবং পরিবেশগত উপাদানও আপনার ত্বকের ওপর বড় প্রভাব ফেলে। শরীরের বৃহত্তম এই অঙ্গের সঠিক যত্ন নিতে এর ধরন চেনা তাই অপরিহার্য। নিজের ত্বককে আপনার চেয়ে ভালো আর কেউ চেনে না। তাই কোনো নতুন পরামর্শ বা পণ্য ব্যবহারের আগে আপনার ত্বকের প্রয়োজনকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিন।

আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি অনুসারে ত্বকের পাঁচটি ধরন

শুষ্ক ত্বক

সিবাম একধরনের তৈলাক্ত উপাদান। ত্বকের সেবাসিয়াস গ্রন্থি থেকে যখন পর্যাপ্ত সিবাম উৎপন্ন হয় না, তখন শুষ্ক হয়। আর একেই বলে শুষ্ক ত্বক। এমন ত্বকের অধিকারীদের জন্য খুব মৃদু ক্লিনজার ব্যবহার করা উচিত। ময়শ্চারাইজার হিসেবে এমন কিছু বেছে নিতে হবে, যা ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে। অনেক সময় শুষ্ক ত্বকে নাক বা ভ্রুর আশপাশে ছত্রাকজনিত লালচে র‍্যাশ দেখা দিতে পারে, যাকে সেবোরিক ডার্মাটাইটিস বলা হয়; এর জন্য বিশেষ চিকিৎসার প্রয়োজন হতে পারে।

মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ্য করুন আপনার ত্বক কেমন অনুভব করছে। ছবি: পেক্সেলস
মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ্য করুন আপনার ত্বক কেমন অনুভব করছে। ছবি: পেক্সেলস

তৈলাক্ত ত্বক

যখন ত্বক অতিরিক্ত সিবাম উৎপাদন করে, তখন ত্বক তৈলাক্ত হয়ে যায়। এমন ত্বকে লোমকূপ বড় দেখায় এবং মুখ সব সময় চকচকে বা তেলতেলে থাকে। সিবাম বেশি হওয়ায় লোমকূপ বন্ধ হয়ে যাওয়ার ভয় থাকে, যা থেকে প্রায়ই ব্রণ হয়। তৈলাক্ত ত্বকের যত্নে স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত ক্লিনজার এবং ‘নন-কমেডোজেনিক’ (যা লোমকূপ বন্ধ করে না) পণ্য ব্যবহার করা ভালো। এ ছাড়া ব্যায়াম বা পরিশ্রমের পরপরই মুখ ধুয়ে ফেলা জরুরি।

কম্বিনেশন বা মিশ্র ত্বক

এই ধরনের ত্বকে মুখের বিভিন্ন অংশ ভিন্ন ভিন্ন বৈশিষ্ট্য দেখায়। সাধারণত টি-জোন কপাল, নাক ও চিবুক তৈলাক্ত হয় এবং গাল শুষ্ক থাকে। এ ক্ষেত্রে মুখের প্রতিটি অংশকে তার প্রয়োজন অনুযায়ী আলাদাভাবে যত্ন নিতে হয়।

নরমাল বা স্বাভাবিক ত্বক

একে ত্বকের আদর্শ অবস্থা বলা যেতে পারে। এই ত্বক খুব বেশি শুষ্কও নয়, আবার তৈলাক্তও নয়। এতে ব্রণের উপদ্রব বা সংবেদনশীলতা খুব একটা দেখা যায় না। সাধারণ ক্লিনজার দিয়ে দিনে দুবার মুখ ধোয়া এবং রাতে ও দিনে ময়শ্চারাইজার ব্যবহার করাই এই ত্বকের জন্য যথেষ্ট।

দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্যটি বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। ছবি: পেক্সেলস
দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্যটি বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। ছবি: পেক্সেলস

সংবেদনশীল ত্বক

সংবেদনশীল ত্বক চেনার উপায় তেলের পরিমাণ নয়, বরং এর প্রতিক্রিয়া। এই ত্বক তৈলাক্ত বা শুষ্ক; যা-ই হোক না কেন, প্রসাধনী ব্যবহারের ক্ষেত্রে খুব সতর্ক থাকতে হয়। অনেক সময় একজিমা বা অ্যালার্জির মতো সমস্যাও থাকতে পারে। এমন ত্বকে রং, সুগন্ধি, স্যালিসাইলিক অ্যাসিড বা বেনজয়েল পারক্সাইড যুক্ত কড়া পণ্য এড়িয়ে চলাই শ্রেয়।

কীভাবে বুঝবেন আপনার ত্বকের ধরন

আপনার ত্বকের ধরন নির্ধারণের জন্য কোনো ল্যাবরেটরি টেস্টের প্রয়োজন নেই। সহজ কিছু উপায়ে এটি বুঝতে পারেন। মুখ ধোয়ার ৩০ মিনিট পর লক্ষ করুন, ত্বক কেমন অনুভব করছে। এটি কি খুব তেলতেলে লাগছে, নাকি টান টান ও শুষ্ক মনে হচ্ছে? এভাবে বুঝবেন আপনার ত্বক শুষ্ক নাকি তৈলাক্ত। মুখ ধুয়ে শুকানোর ৩০ মিনিট পর একটি ব্লটিং পেপার নিয়ে গাল এবং টি-জোনে হালকা চাপ দিন। পেপারে তেলের পরিমাণ দেখে আপনি বুঝতে পারবেন, আপনার ত্বক তৈলাক্ত নাকি শুষ্ক।

কেন নিজের ত্বককে জানা জরুরি

দোকানে হাজারো প্রসাধনীর ভিড়ে বিভ্রান্ত না হয়ে সঠিক পণ্য বেছে নেওয়ার ক্ষমতা দেয় আপনার স্কিন টাইপ। আপনি অকালবার্ধক্য রোধ করতে চান, নাকি ব্রণ ও মেছতা দূর করতে চান। এটা আপনার ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঠিক করতে হবে। এ ছাড়া মেকআপ নির্বাচনের ক্ষেত্রেও এটি বড় ভূমিকা রাখে। সঠিক মেকআপ আপনার ত্বককে যেমন নিখুঁত দেখাবে, তেমনি ভুল পণ্য আপনার লোমকূপ বন্ধ করে ব্রণের সমস্যা বাড়িয়ে দিতে পারে। ত্বকের স্বাস্থ্যের ওপর আপনার ঘুমের মান, পানি পানের পরিমাণ এবং শরীরচর্চার গভীর সম্পর্ক রয়েছে। মনে রাখবেন, আপনার ত্বকের ধরন ঋতুভেদে পরিবর্তিত হতে পারে। যেমন শীতে ত্বক বেশি শুষ্ক থাকে এবং গরমে তৈলাক্ত হয়ে যাওয়ার প্রবণতা দেখা দেয়। তাই সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আপনার রূপচর্চার রুটিনেও পরিবর্তন আনা প্রয়োজন।

সূত্র: আমেরিকান একাডেমি অব ডার্মাটোলজি

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ময়মনসিংহে পিটিয়ে হত্যা: র‍্যাবের অভিযানে আটক ৭

বাম, শাহবাগী, ছায়ানট, উদীচীকে তছনছ করে দিতে হবে: জাবি ছাত্রশিবির সেক্রেটারি

ওসমান হাদির জানাজা: ১০০০ বডি ওর্ন ক্যামেরা পরবেন পুলিশ সদস্যরা

বিএনপি নেতার ঘরে তালা মেরে অগ্নিসংযোগের অভিযোগ, ঘুমন্ত শিশুর মৃত্যু, দগ্ধ ৩

মাগুরায় বিটিভির মহাপরিচালক ও ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর জোহার বাড়িতে অগ্নিসংযোগ

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত