কবি ও চিন্তক ফরহাদ মজহার বলেছেন, নির্বাচনের সঙ্গে গণতন্ত্রের কোনো সম্পর্ক নেই। নির্বাচন হচ্ছে গণতন্ত্রের চর্চা। সেই চর্চার জন্য সরকার নির্বাচন করতে হয়। যখন জনগণের ইচ্ছা অভিপ্রায় ঘটে, তারা যখন জানে, কী ধরনের রাষ্ট্র তারা কায়েম করতে চায়। রাষ্ট্র গঠনের ব্যাপারটা সাংস্কৃতিক লড়াইয়ের সঙ্গে জড়িত।
শুক্রবার (২০ সেপ্টেম্বর) সন্ধ্যায় নারায়ণগঞ্জ শহরের আলী আহাম্মদ চুনকা পাঠাগারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পথ শীর্ষক আলোচনায় তিনি এ মন্তব্য করেন। এ আলোচনার আয়োজন করে নাগরিক সংগঠন ‘পাঠ চিন্তা’।
ফরহাদ মজহার বলেন, আমি প্রতিবাদ করেছি, বারবার বলেছি, গণ অভ্যুত্থানে যারা নেতৃত্ব দিয়েছেন তাঁদের বিদ্যমান ফ্যাসিবাদী সংবিধানের অধীনে নেওয়া যাবে না। কিন্তু এখন একটা সাংবিধানিক প্রতিবিপ্লব ঘটে গেছে। যারা ক্ষমতায় এসেছেন তাঁদের একটাই কাজ। তা হচ্ছে, জনগণের অভিপ্রায়কে লিখিত রূপ দেওয়া। অবশ্য সংবিধান থাকাটা খুব জরুরি নয়। কারণ ব্রিটেন, নিউজিল্যান্ড, ইসরায়েলে সংবিধান নেই। তাদের দেশেও তো বিচার আচার হচ্ছে। জনগণের ক্ষমতাই যে সার্বভৌম এটা নিশ্চিত করতে হবে সবার আগে।
সাম্প্রতিককালে মাজারে হামলা প্রসঙ্গে এ কবি ও রাজনীতি বিশ্লেষক বলেন, ‘মাজারে যারা হামলা চালাচ্ছে তাদের জিজ্ঞাসা করলে বলছে, মাজারে মাদক সেবন হচ্ছে। যদি সেটাই একমাত্র কারণ হয়, তাহলে তারা কেন শহরের বড় বড় ক্লাবগুলোতে নজর দিচ্ছে না। আমি বলব, আসুন আমরা সবাই মাদক নির্মূল করি। মাজারে গান বাদ্য হারাম, তাহলে আসুন কনসার্টগুলো বন্ধ করে দেই। আসলে এগুলো মূল বিষয় নয়। মূল বিষয় হচ্ছে অন্যের চিন্তায় হস্তক্ষেপের মানসিকতা থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি তারা।’
আলোচনা সভা শেষে উপস্থিত দর্শক শ্রোতাদের নানা প্রশ্নের উত্তর দেন ফরহাদ মজহার।
মন্তব্য
ইহাতে মন্তব্য প্রদান বন্ধ রয়েছে