
পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ায় তিনি মুখ খুলছেন।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের কিছু কম সময়ের মধ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ঘটনা নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। গত ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন তিনি। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তাঁর কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই তাঁর বিশ্বাস। সাড়ে ৯টার দিকে পিলখানায় ‘কিছু একটা ঘটার তথ্য’ যখন জানতে পারেন, তিনি তখন একটি বৈঠকে।

সেই ঘটনা তুলে ধরে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে কানে কানে বলেন, পিলখানায় গন্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’
তিনি তখন ওই সভা স্থগিত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিডিআরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের ফোন টানা ব্যস্ত ছিল। সামরিক গোয়েন্দারা তাঁকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তিনি সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে, যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার’।
সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর ডিজি ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি (মহাপরিচালক) বলেন, দরবার চলাকালীন দুজন সশস্ত্র সৈনিক দরবার হলে প্রবেশ করেন। একজন ডিজির পেছনে এসে দাঁড়ান, অপরজন দরবার হল অতিক্রম করে বাইরে চলে যান। তার পরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে উপস্থিত সৈনিকেরা গন্ডগোল শুরু করে দেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে যান। দরবার হল থেকে বের হয়ে যান।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘মনে হলো সব পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনেকে মনে করে, বিডিআর ডিজি সাহায্যের জন্য আমাকে কল করেছিলেন—এটা সত্য নয়। আমি বিডিআর ডিজিকে ফোন করি এবং আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা ওনাকে জানিয়ে দিই।’
সেদিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেন সাবেক সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যেই তিনি (শেখ হাসিনা) বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় আমি তাঁকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি বললাম, সাধারণত ছয় ঘণ্টা লাগে। তবে তাড়াতাড়ি করে দুই ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায়।’
মইন ইউ আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা ৪৬ ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। এক ঘণ্টার মধ্যে তৎকালীন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা ও ৬৫৫ জন সৈনিক পিলখানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিগেডের অগ্রবর্তী দল জাহাঙ্গীর গেট অতিক্রম করে।
তিনি বলেন, আক্রমণ প্রতিহত করতে বিডিআর গেটগুলোর সামনে অস্ত্র মোতায়েন করেছিলেন বিদ্রোহীরা। বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়ি পিলখানার মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালান। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকের পাশে বসা একজন গুরুতর আহত হন।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাঁর অফিস থেকে বিডিআরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব হয়নি। হয়তো এর আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।
তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর ব্রিগেড পৌঁছায় ১১টার পরে। কিন্তু ১০টার আগেই ৩৫৫ জন র্যাব সদস্য নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শফিক পিলখানায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রবেশের অনুমতি পাননি। তাঁরা প্রবেশ করলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলে ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার–সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তাঁকে জানান। বিনা আলোচনায় সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন বিদ্রোহীরা। তাই সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে আদেশ দিয়েছিল সরকার। অন্তত দুই কিলোমিটার উত্তরে যেতে বলা হয়। সমঝোতা না হলে সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়।
মইন ইউ আহমেদ জানান, দুপুর ১২টার দিকে পিএসও ফোন পেয়ে তিনি জরুরি ভিত্তিতে যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এর মধ্যে বেলা ১টার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। সরকার থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী পিলখানার প্রধান ফটক এলাকায় থাকবে। র্যাব ও পুলিশ আরও দুটি এলাকায়, ডেইরি গেট এলাকাটি অরক্ষিত ছিল।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, যমুনায় গিয়ে তিনি অনেক লোককে দেখেন, যাঁদের কোনো কাজ ছিল না। কৌতূহলবশত এসেছিলেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক করছিল। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না। ওই সময় পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, সেখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার পর আরেকটি ছোট বৈঠক সেরে শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের ডাকেন। মইন ইউ আহমেদ সেখানে যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে যান। শেখ হাসিনা তাঁদের জানান, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিদ্রোহীদের একটি দলকে নিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম যমুনায় আসছেন এবং তাঁরা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চান। শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে তিন বাহিনীর প্রধান যেন তাঁদের বলেন।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘তখন আমি তাঁকে (শেখ হাসিনা) বলি, অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন, প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে আলোচনা তাঁর (মইন) জানা নেই। পরের পর্যায়ে তাঁকে ডাকা হয়।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য বলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে পিলখানার উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা ঘোষণা দেন, সাধারণ ক্ষমার প্রজ্ঞাপন না হলে তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন না। তাঁরা গোলাগুলিও শুরু করেন; কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকেন।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, রাত ১২টায় তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও তৎকালীন আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) পিলখানায় যান আলোচনার জন্য। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেন এবং আটটি পরিবারকে মুক্তি দেয়। শুধু তিনটি পরিবার ছিল সেনা অফিসারদের। সাহারা খাতুন জানতেন অফিসারদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি, কোনো খোঁজও নেননি।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার গোলাগুলি শুরু করেন বিদ্রোহীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে ডেকে নেন জানিয়ে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তাঁকে জানানো হয় বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি সাভার থেকে ট্যাংক আনার অনুমতি চান। সেটা দেওয়া হয়। তিনি ট্যাংক রওনা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন। অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ট্যাংক আসার কথা শুনে বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়া আত্মসমর্পণে রাজি হন। শেখ হাসিনা বেলা ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সেই পরামর্শ তিনি (মইন) দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রস্তুতি দেখে বিদ্রোহীরা আলোচনা ও আত্মসমর্পণের জন্য উদ্গ্রীব হন এবং সাদা পতাকা টানিয়ে দেন। রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান হয়। প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিলেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত নিয়েও কথা বলেন সাবেক সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দিই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী?’
মইন ইউ আহমেদ বলেন, প্রতি–উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এত সেনা অফিসার হত্যার কারণ তাঁকে বের করতে হবে। তারপর সরকার আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি।
তিনি আশা করেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির প্রধান বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে সক্ষম হবেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান।
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদল হওয়ায় তিনি মুখ খুলছেন।
২০০৮ সালের ২৮ ডিসেম্বর নির্বাচনে জয়ী হয়ে আওয়ামী লীগ ক্ষমতায় আসার দুই মাসের কিছু কম সময়ের মধ্যে পিলখানা হত্যাকাণ্ড ঘটে। ২০০৯ সালের ২৫ ও ২৬ ফেব্রুয়ারি পিলখানায় তৎকালীন বিডিআর সদর দপ্তরে বিদ্রোহের ওই ঘটনায় নির্মম হত্যাকাণ্ডের শিকার হন ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তাসহ ৭৪ জন। তখন সেনাপ্রধান ছিলেন জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ।
যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডায় অবস্থানরত মইন ইউ আহমেদ নিজের ইউটিউব চ্যানেলে ঘটনা নিয়ে নিজের ভাষ্য তুলে ধরেন। গত ২৫ আগস্ট ইউটিউব চ্যানেলটি খোলেন তিনি। সেখানে ২৯ মিনিটের ভিডিও বার্তায় তিনি সেদিনের ঘটনা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় সেনাবাহিনী ও তৎকালীন সেনাপ্রধানের ভূমিকা অনেকের জানা নেই। অনেকে নেতিবাচক ধারণা পোষণ করছেন। ভূমিকা কী ছিল, তা তিনি জানাতে চান।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর অব্যবহৃত কিছু অস্ত্র বিডিআরকে দেওয়া নিয়ে বাহিনীটির তৎকালীন মহাপরিচালক (ডিজি) মেজর জেনারেল শাকিল আহমেদের (হত্যাকাণ্ডে নিহত) সঙ্গে ২০০৯ সালের ২৫ ফেব্রুয়ারি সকালে তাঁর কথা হয়। তিনি অস্ত্রগুলো নিতে রাজি হন। তখন পর্যন্ত বিদ্রোহ সম্পর্কে তিনি (বিডিআরের ডিজি) কিছুই জানতেন না বলেই তাঁর বিশ্বাস। সাড়ে ৯টার দিকে পিলখানায় ‘কিছু একটা ঘটার তথ্য’ যখন জানতে পারেন, তিনি তখন একটি বৈঠকে।

সেই ঘটনা তুলে ধরে সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ‘আমার প্রিন্সিপাল সেক্রেটারি কর্নেল ফিরোজ রুমে প্রবেশ করেন এবং আমাকে কানে কানে বলেন, পিলখানায় গন্ডগোল হচ্ছে। আপনার দিকনির্দেশনা প্রয়োজন।’
তিনি তখন ওই সভা স্থগিত করে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও বিডিআরের ডিজির সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। তাঁদের ফোন টানা ব্যস্ত ছিল। সামরিক গোয়েন্দারা তাঁকে পরিস্থিতি সম্পর্কে জানান। পরিস্থিতির ভয়াবহতা উপলব্ধি করে তিনি সেনাবাহিনীর ৪৬ স্বতন্ত্র পদাতিক ব্রিগেডকে অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হতে নির্দেশ দেন। তারা তাৎক্ষণিকভাবে যুদ্ধপ্রস্তুতি শুরু করে, যার নামকরণ করা হয় ‘অপারেশন রি-স্টোর অর্ডার’।
সকাল ৯টা ৪৭ মিনিটে বিডিআরের ডিজিকে ফোনে পাওয়া যায় বলে উল্লেখ করেন মইন ইউ আহমেদ বলেন, বিডিআর ডিজি ভয়াবহ পরিস্থিতির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দেন। তিনি (মহাপরিচালক) বলেন, দরবার চলাকালীন দুজন সশস্ত্র সৈনিক দরবার হলে প্রবেশ করেন। একজন ডিজির পেছনে এসে দাঁড়ান, অপরজন দরবার হল অতিক্রম করে বাইরে চলে যান। তার পরপরই বাইরে থেকে গুলির শব্দ আসে। গুলির শব্দ শোনার সঙ্গে সঙ্গে দরবার হলে উপস্থিত সৈনিকেরা গন্ডগোল শুরু করে দেন। তাঁরা দাঁড়িয়ে যান। দরবার হল থেকে বের হয়ে যান।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘মনে হলো সব পরিকল্পনার অংশ। পরিকল্পনা অনুযায়ী বাস্তবায়িত হচ্ছে। অনেকে মনে করে, বিডিআর ডিজি সাহায্যের জন্য আমাকে কল করেছিলেন—এটা সত্য নয়। আমি বিডিআর ডিজিকে ফোন করি এবং আমরা কী ব্যবস্থা নিচ্ছি, তা ওনাকে জানিয়ে দিই।’
সেদিন সকাল ৯টা ৫৪ মিনিটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ সম্ভব হয় বলে উল্লেখ করেন সাবেক সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘এর মধ্যেই তিনি (শেখ হাসিনা) বিডিআর বিদ্রোহ সম্পর্কে অনেক তথ্য পেয়ে গিয়েছিলেন। এ সময় আমি তাঁকে অপারেশনের কথা জানালে তিনি জানতে চান, কতক্ষণ সময় লাগবে ব্রিগেডকে তৈরি করতে? আমি বললাম, সাধারণত ছয় ঘণ্টা লাগে। তবে তাড়াতাড়ি করে দুই ঘণ্টার মধ্যে তৈরি করা যায়।’
মইন ইউ আহমেদ বলেন, শেখ হাসিনা ৪৬ ব্রিগেডকে পিলখানায় যাওয়ার অনুমতি দিয়েছিলেন। এক ঘণ্টার মধ্যে তৎকালীন কমান্ডার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল হাকিমের নেতৃত্বে ১০ জন কর্মকর্তা ও ৬৫৫ জন সৈনিক পিলখানার উদ্দেশে যাত্রা শুরু করেন। সকাল সাড়ে ১০টায় ব্রিগেডের অগ্রবর্তী দল জাহাঙ্গীর গেট অতিক্রম করে।
তিনি বলেন, আক্রমণ প্রতিহত করতে বিডিআর গেটগুলোর সামনে অস্ত্র মোতায়েন করেছিলেন বিদ্রোহীরা। বেলা ১১টায় ৪৬ ব্রিগেডের প্রথম গাড়ি পিলখানার মেইন গেটের কাছাকাছি পৌঁছালে বিদ্রোহীরা একটি পিকআপ লক্ষ্য করে রকেট হামলা চালান। এতে চালক ঘটনাস্থলেই মারা যান। চালকের পাশে বসা একজন গুরুতর আহত হন।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, ১০টা ৩৫ মিনিটের দিকে তাঁর অফিস থেকে বিডিআরের মহাপরিচালকের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হয়। তবে তা সম্ভব হয়নি। হয়তো এর আগেই তাঁকে হত্যা করা হয়েছিল।
তৎকালীন লেফটেন্যান্ট কর্নেল শামসের বরাত দিয়ে তিনি বলেন, শামসের ধারণা অনুযায়ী, সাড়ে ১০টা থেকে ১১টার মধ্যেই অনেক অফিসারকে গুলি করে হত্যা করা হয়। সেনাবাহিনীর ব্রিগেড পৌঁছায় ১১টার পরে। কিন্তু ১০টার আগেই ৩৫৫ জন র্যাব সদস্য নিয়ে সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন শফিক পিলখানায় পৌঁছেছিলেন। কিন্তু ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তার কাছে প্রবেশের অনুমতি পাননি। তাঁরা প্রবেশ করলে হয়তো এত ক্ষয়ক্ষতি হতো না।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সরকার রাজনৈতিকভাবে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে বলে ১১টা ৪৫ মিনিটের দিকে পিএসও এএফডি (প্রিন্সিপাল স্টাফ অফিসার–সশস্ত্র বাহিনী বিভাগ) তাঁকে জানান। বিনা আলোচনায় সেনাবাহিনীকে এই এলাকা থেকে চলে যেতে বলেন বিদ্রোহীরা। তাই সেনাবাহিনীর সদস্যদের দৃষ্টির আড়ালে চলে যেতে আদেশ দিয়েছিল সরকার। অন্তত দুই কিলোমিটার উত্তরে যেতে বলা হয়। সমঝোতা না হলে সামরিক অভিযান পরিচালনার কথা বলা হয়।
মইন ইউ আহমেদ জানান, দুপুর ১২টার দিকে পিএসও ফোন পেয়ে তিনি জরুরি ভিত্তিতে যমুনায় প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করতে যান। এর মধ্যে বেলা ১টার দিকে সাদা পতাকা নিয়ে আওয়ামী লীগ নেতা জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম আলোচনার জন্য পিলখানায় যান। সরকার থেকে বলা হয়, সেনাবাহিনী পিলখানার প্রধান ফটক এলাকায় থাকবে। র্যাব ও পুলিশ আরও দুটি এলাকায়, ডেইরি গেট এলাকাটি অরক্ষিত ছিল।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, যমুনায় গিয়ে তিনি অনেক লোককে দেখেন, যাঁদের কোনো কাজ ছিল না। কৌতূহলবশত এসেছিলেন। মন্ত্রিসভা বৈঠক করছিল। কোনো সিদ্ধান্ত আসছিল না। ওই সময় পিলখানা থেকে পালিয়ে আসা একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে তিনি জানতে পারেন, সেখানে অনেককে হত্যা করা হয়েছে।
মন্ত্রিসভার পর আরেকটি ছোট বৈঠক সেরে শেখ হাসিনা তিন বাহিনীর প্রধানদের ডাকেন। মইন ইউ আহমেদ সেখানে যাওয়ার দেড় ঘণ্টা পরে বিমান ও নৌবাহিনীর প্রধান সেখানে যান। শেখ হাসিনা তাঁদের জানান, রাজনৈতিকভাবে সমস্যাটি সমাধানের চেষ্টা চলছে। বিদ্রোহীদের একটি দলকে নিয়ে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম যমুনায় আসছেন এবং তাঁরা (বিদ্রোহীরা) সাধারণ ক্ষমা চান। শেখ হাসিনা বলেন, বিদ্রোহীদের কিছু বলার থাকলে তিন বাহিনীর প্রধান যেন তাঁদের বলেন।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, ‘তখন আমি তাঁকে (শেখ হাসিনা) বলি, অনেকে নিহত হয়েছেন। তাদের কোনো দাবি মানা যাবে না। আপনি তাদের বলবেন, প্রথমত, অফিসার হত্যা এই মুহূর্তে বন্ধ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, যাঁদের আটক করা হয়েছে, তাঁদের সবাইকে এখনই মুক্তি দিতে হবে। তৃতীয়ত, অস্ত্রসহ বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণ করতে হবে এবং চতুর্থত, সাধারণ ক্ষমা দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না।’
একটা পর্যায়ে শেখ হাসিনা বিদ্রোহীদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। সেখানে শেখ ফজলে নূর তাপস, জাহাঙ্গীর কবির নানক ও মির্জা আজম ছিলেন। প্রথম পর্যায়ে আলোচনা তাঁর (মইন) জানা নেই। পরের পর্যায়ে তাঁকে ডাকা হয়।
সাবেক সেনাপ্রধান বলেন, সেখানে সাবেক প্রধানমন্ত্রী সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের জন্য বলেন। বিদ্রোহীরা ৬টা ৩৭ মিনিটে যমুনা থেকে পিলখানার উদ্দেশে রওনা দেন। সেখানে গিয়ে তাঁরা ঘোষণা দেন, সাধারণ ক্ষমার প্রজ্ঞাপন না হলে তাঁরা আত্মসমর্পণ করবেন না। তাঁরা গোলাগুলিও শুরু করেন; কর্মকর্তাদের খুঁজতে থাকেন।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, রাত ১২টায় তখনকার স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাহারা খাতুন, শেখ ফজলে নূর তাপস ও তৎকালীন আইজিপি (পুলিশের মহাপরিদর্শক) পিলখানায় যান আলোচনার জন্য। একপর্যায়ে বিদ্রোহীরা কিছু অস্ত্র সমর্পণ করেন এবং আটটি পরিবারকে মুক্তি দেয়। শুধু তিনটি পরিবার ছিল সেনা অফিসারদের। সাহারা খাতুন জানতেন অফিসারদের বন্দী করে রাখা হয়েছে। তিনি তাঁদের মুক্তির ব্যাপারে উদ্যোগ নেননি, কোনো খোঁজও নেননি।
২০০৯ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি আবার গোলাগুলি শুরু করেন বিদ্রোহীরা। সাবেক প্রধানমন্ত্রী সকাল সাড়ে ১০টায় তাঁকে ডেকে নেন জানিয়ে মইন ইউ আহমেদ বলেন, তাঁকে জানানো হয় বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ না করলে সামরিক অভিযান পরিচালনা করা হবে। তিনি সাভার থেকে ট্যাংক আনার অনুমতি চান। সেটা দেওয়া হয়। তিনি ট্যাংক রওনা দেওয়ার জন্য তাৎক্ষণিকভাবে নির্দেশ দেন। অন্য প্রস্তুতিও নেওয়া হয়।
মইন ইউ আহমেদ বলেন, সেনাবাহিনীর প্রস্তুতি ও ট্যাংক আসার কথা শুনে বিদ্রোহীরা কোনো শর্ত ছাড়া আত্মসমর্পণে রাজি হন। শেখ হাসিনা বেলা ২টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দিয়ে বিদ্রোহীদের আত্মসমর্পণের সময়সীমা বেঁধে দেন। সেই পরামর্শ তিনি (মইন) দিয়েছিলেন। সেনাবাহিনীর আক্রমণ প্রস্তুতি দেখে বিদ্রোহীরা আলোচনা ও আত্মসমর্পণের জন্য উদ্গ্রীব হন এবং সাদা পতাকা টানিয়ে দেন। রাতে সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর নেতৃত্বে একটি দল পিলখানায় প্রবেশ করে এবং বিদ্রোহীরা আত্মসমর্পণ করেন। এর মাধ্যমে ৩৩ ঘণ্টার বিদ্রোহের অবসান হয়। প্রাণ হারান ৫৭ জন সেনা কর্মকর্তা, যাঁরা সেনাবাহিনীর মেরুদণ্ড ছিলেন।
বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনার তদন্ত নিয়েও কথা বলেন সাবেক সেনাপ্রধান। তিনি বলেন, ‘বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনায় আমি যখন তদন্তের আদেশ দিই, তখন আমাকে বলা হয়; যখন সরকার এই বিষয়ে তদন্ত করছে, তখন আমাদের এর প্রয়োজনটা কী?’
মইন ইউ আহমেদ বলেন, প্রতি–উত্তরে তিনি বলেছিলেন, এত সেনা অফিসার হত্যার কারণ তাঁকে বের করতে হবে। তারপর সরকার আর উচ্চবাচ্য করেনি। তবে তদন্তে সরকার তেমন সহায়তা করেনি।
তিনি আশা করেন, সেনাবাহিনীর তদন্ত কমিটির প্রধান বর্তমান স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী তদন্ত কমিটি পুনর্গঠিত করে জড়িত ব্যক্তিদের বের করতে সক্ষম হবেন। এ বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার সঙ্গে তিনি কথা বলেছেন বলেও জানান।
বিডিআর হত্যাকাণ্ড নিয়ে সাবেক সেনাপ্রধান মইন ইউ আহমেদ বই লিখেছেন এবং তা শিগগিরই প্রকাশিত হবে বলে ভিডিও বার্তায় উল্লেখ করেন।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৬ ঘণ্টা আগেসংসদ নির্বাচন ও গণভোট
নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ ইতোমধ্যে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের জন্য সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় সেই ভাষণ প্রচার করা হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার (ওসিভি) এবং দেশের ভেতরে ডাকযোগে ভোট (আইসিপিভি) চালুর প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এ ছাড়া একই দিনে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা বিস্তারিতভাবে অবহিত করার পর রাষ্ট্রপতি সামগ্রিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
সচিব আরও বলেন, ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথাও রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এবার ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এ সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রপতি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ৩০০টি সংসদীয় আসনের ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সংসদ ও গণভোটের কারণে কিছু ভোটকক্ষ ও গোপন কক্ষ (যেখানে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়) বাড়াবে ইসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাবরের মতো সাদা রঙের ব্যালট পেপার আর গণভোটের জন্য গোলাপি রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হবে।
বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল
বাগেরহাটের সংসদীয় আসন একটি কমিয়ে আনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গতকাল আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ না করে ৩০০ আসনে তফসিল ঘোষণা করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন।
আজ তফসিল ঘোষণা করতে হলে আদালতের আদেশ অনুযায়ী নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তা ছাড়া আইন অনুযায়ী, ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার আসনগুলো বাদ রেখে ২৯১টি আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, কমিশনের এই বিষয়ে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে। তবে কমিশন বর্তমান পরিস্থিতিতে আর রিভিউ করতে চায় না। কমিশন মনে করছে, এটা ইসির পক্ষে যাবে না, ইসি আদালতের রায় মেনে নিয়েছে। আজ তফসিলের আগেই আদালতের আদেশ ইসিতে চলে আসবে। কমিশনের পক্ষে যেসব কাজ করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হচ্ছে। দ্রুতই গেজেট প্রকাশ করা হবে।
যদিও নির্বাচন কমিশন ভবনে গতকাল এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সীমানা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এখনো আদালতের রায় হাতে পাইনি। সে জন্য আপাতত ৩০০ সংসদীয় আসনেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করে। এতে ১৬ জেলার ৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে বাগেরহাটে আসনসংখ্যা ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টি করা হয় এবং গাজীপুরে আসন সংখ্যা ৫টি থেকে একটি বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। আপিল বিভাগের রায়ের পর এখন নির্বাচন কমিশনকে বাগেরহাটে আবার ৪টি আসন এবং গাজীপুরে ৫টি আসন পুনর্বহাল করতে হবে।

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ গতকাল বুধবার সাংবাদিকদের জানান, প্রধান নির্বাচন কমিশনারের ভাষণ ইতোমধ্যে গতকাল বিকেলে বাংলাদেশ টেলিভিশন ও বাংলাদেশ বেতারের জন্য সিইসির ভাষণ রেকর্ড করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যা ৬টায় সেই ভাষণ প্রচার করা হবে।
রাষ্ট্রপতির সঙ্গে ইসির সাক্ষাৎ
প্রধান নির্বাচন কমিশনার এ এম এম নাসির উদ্দিনের নেতৃত্বে নির্বাচন কমিশনের একটি প্রতিনিধিদল গতকাল বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতি মো. সাহাবুদ্দিনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে সংসদ নির্বাচন ও গণভোট আয়োজনের সার্বিক প্রস্তুতি সম্পর্কে তাঁকে অবহিত করে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাছউদ, বেগম তাহমিদা আহমদ, মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকার ও ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ এবং ইসি সিনিয়র সচিব মো. আখতার আহমেদ।
সাক্ষাতে রাষ্ট্রপতিকে ভোটার তালিকা হালনাগাদ, নতুন রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন, প্রবাসী ভোটারদের ভোটাধিকার (ওসিভি) এবং দেশের ভেতরে ডাকযোগে ভোট (আইসিপিভি) চালুর প্রস্তুতিসহ বিভিন্ন কার্যক্রম সম্পর্কে অবহিত করা হয়।
এ ছাড়া একই দিনে একযোগে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য দুটি আলাদা ব্যালট পেপার ব্যবহারের পরিকল্পনার কথাও রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়।
রাষ্ট্রপতি নির্বাচন কমিশনকে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন আয়োজনের জন্য সব ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন দেওয়ার আশ্বাস দেন।
সাক্ষাৎ শেষে ইসি সচিব সাংবাদিকদের জানান, ‘আমরা বিস্তারিতভাবে অবহিত করার পর রাষ্ট্রপতি সামগ্রিক প্রস্তুতিতে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।’
সচিব আরও বলেন, ভোট গ্রহণের সময় এক ঘণ্টা বাড়ানোর সিদ্ধান্তের কথাও রাষ্ট্রপতিকে জানানো হয়েছে। এবার ভোট গ্রহণ হবে সকাল ৭টা ৩০ মিনিট থেকে বিকেল ৪টা ৩০ মিনিট পর্যন্ত। এ সিদ্ধান্তকে রাষ্ট্রপতি যৌক্তিক বলে উল্লেখ করে সন্তোষ প্রকাশ করেছেন।
এবারের নির্বাচনে ৩০০টি সংসদীয় আসনের ৪২ হাজার ৭৬১টি ভোটকেন্দ্রে ১২ কোটি ৭৬ লাখ ভোটার তাঁদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করবেন। সংসদ ও গণভোটের কারণে কিছু ভোটকক্ষ ও গোপন কক্ষ (যেখানে ব্যালটে সিল দেওয়া হয়) বাড়াবে ইসি। জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য বরাবরের মতো সাদা রঙের ব্যালট পেপার আর গণভোটের জন্য গোলাপি রঙের ব্যালট পেপার ব্যবহৃত হবে।
বাগেরহাটে চারটি আসন বহাল
বাগেরহাটের সংসদীয় আসন একটি কমিয়ে আনার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনের গেজেটকে অবৈধ ঘোষণা করা হাইকোর্টের রায় বহাল রেখে গতকাল আদেশ দিয়েছেন আপিল বিভাগ। ফলে নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ না করে ৩০০ আসনে তফসিল ঘোষণা করতে পারবে না নির্বাচন কমিশন।
আজ তফসিল ঘোষণা করতে হলে আদালতের আদেশ অনুযায়ী নতুন করে সংসদীয় আসনের সীমানার গেজেট প্রকাশ করতে হবে। তা ছাড়া আইন অনুযায়ী, ৩০০ আসনের তফসিল ঘোষণা করতে পারবে না। এ ক্ষেত্রে বাগেরহাট ও গাজীপুর জেলার আসনগুলো বাদ রেখে ২৯১টি আসনে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করতে হবে।
সূত্র আরও জানায়, কমিশনের এই বিষয়ে রিভিউ করার সুযোগ রয়েছে। তবে কমিশন বর্তমান পরিস্থিতিতে আর রিভিউ করতে চায় না। কমিশন মনে করছে, এটা ইসির পক্ষে যাবে না, ইসি আদালতের রায় মেনে নিয়েছে। আজ তফসিলের আগেই আদালতের আদেশ ইসিতে চলে আসবে। কমিশনের পক্ষে যেসব কাজ করা প্রয়োজন, সেগুলো করা হচ্ছে। দ্রুতই গেজেট প্রকাশ করা হবে।
যদিও নির্বাচন কমিশন ভবনে গতকাল এক ব্রিফিংয়ে ইসির সিনিয়র সচিব আখতার আহমেদ সীমানা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘আমরা এখনো আদালতের রায় হাতে পাইনি। সে জন্য আপাতত ৩০০ সংসদীয় আসনেই তফসিল ঘোষণা করা হবে।’
এর আগে গত ৪ সেপ্টেম্বর নির্বাচন কমিশন ৩০০ আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ চূড়ান্ত করে। এতে ১৬ জেলার ৪৬টি সংসদীয় আসনের সীমানায় পরিবর্তন আনা হয়। এর ফলে বাগেরহাটে আসনসংখ্যা ৪টি থেকে কমিয়ে ৩টি করা হয় এবং গাজীপুরে আসন সংখ্যা ৫টি থেকে একটি বাড়িয়ে ৬টি করা হয়। আপিল বিভাগের রায়ের পর এখন নির্বাচন কমিশনকে বাগেরহাটে আবার ৪টি আসন এবং গাজীপুরে ৫টি আসন পুনর্বহাল করতে হবে।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৬ ঘণ্টা আগেবিশেষ প্রতিনিধি, ঢাকা

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। গতকাল দুপুরে আসিফ মাহমুদ জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে গত মঙ্গলবার রাতে জানায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আসিফ মাহমুদ জানান, তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানাবে। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারবেন না। পরে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে আসিফ ও মাহফুজ তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁদের পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।
আসিফ ও মাহফুজ পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সংখ্যা কমে ২০ জনে দাঁড়াবে। এই দুই উপদেষ্টার হাতে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘এই বিষয়টি পুরোপুরি প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন। আমি পদত্যাগপত্র দেখিনি।’
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই মত দিয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর দুই ছাত্র উপদেষ্টার সরকারে থাকা উচিত হবে না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের নেতৃত্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ এই দলে যোগ দেবেন। তাঁরা দুজন সরকারে থাকার কারণে এনসিপি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
বিএনপি গত ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানায়। সেদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি, আগেও জানিয়েছি। নিরাপত্তা উপদেষ্টা (খলিলুর রহমান) এবং দুজন ছাত্র উপদেষ্টার (আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম) কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাঁদের বাদ দেওয়ার জন্য আজকেও লিখিত বক্তব্য দিয়েছি, মুখেও বলেছি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পান। মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসিফ মাহমুদকে প্রথমে শ্রম মন্ত্রণালয় দেওয়া হলেও পরে তাঁকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মাহফুজ আলম প্রথমে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পান। এরপর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়ে দপ্তরবিহীন ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এনসিপির আহ্বায়ক হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মাহফুজ আলম।
এনসিপিতে যাচ্ছেন না আসিফ
পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোন অবস্থায় দায়িত্ব পেয়েছিলাম আর কোন অবস্থায় রেখে যাচ্ছি, সেটা আপনাদের জানাব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১২-১৩ মাসের কার্যক্রম তুলে ধরছি।’ এরপর নিজের হাতে থাকা দুই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত ঘণ্টাব্যাপী তুলে ধরেন তিনি।
এরপর সাংবাদিকেরা তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও আসিফ জানান, তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন। কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব, এটা স্পষ্টভাবেই বলা যায়। কিন্তু কোথায় থেকে করব, কোন দল থেকে, সেটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত। আমরা এখন একটা পর্যায়ে আছি, পরের পর্যায় সবার সামনে আসবে।’
এনসিপি বা অন্য কোনো দল থেকে নির্বাচন করবেন কি না, এ প্রশ্নে আসিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে সত্যিকার অর্থে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে সবাই জানতে পারবেন।’ এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর সহযোগী ছিলেন, তাঁরাই সেই দলটা করেছেন। তিনি অনেক আগেই বলেছেন, এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না, তিনি সেই দলেই যুক্ত হবেন বা অংশগ্রহণ করবেন।
আসিফ জানান, সকালে তিনি সম্পদের হিসাব দিয়েছেন এবং নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করেছেন।
কিছুদিন আগে কুমিল্লা থেকে ঢাকা-১০ এলাকার ভোটার হয়েছেন আসিফ মাহমুদ। শোনা যাচ্ছে, তিনি ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করবেন।
মাহফুজ আলম নির্বাচন করবেন কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। মাহফুজ লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ভোটার। আসিফ ও মাহফুজ বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন থাকলেও ঢাকা-১০ আসনে ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশ এলডিপিকে বিলুপ্ত করে ৮ ডিসেম্বর বিএনপিতে যোগ দেওয়া দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির সূত্র বলেছে।
এনসিপি গতকাল ১২৫ আসনে দলীয় প্রার্থীদের যে তালিকা ঘোষণা করেছে, সেখানে ঢাকা-১০ ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার মঙ্গল কামনা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে অবদান রেখেছ, তা জাতি মনে রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা একইভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’
শফিকুল বলেন, নিজেদের কর্মের মাধ্যমে দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানিয়ে দুই ছাত্র উপদেষ্টার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারে থেকে যে অভিজ্ঞতা তাঁরা অর্জন করেছেন, তা ভবিষ্যৎ জীবনে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের তরফ থেকে সব সময় একই কথা বলছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। আমরা যখন গ্রামে বা বিভিন্ন জেলা শহরে যাই, আমরা দেখেছি সেখানেও নির্বাচনের জোয়ার বইছে। কিন্তু কিছু কিছু তথাকথিত কমেন্টেটর ইউটিউবে বা বিভিন্ন টিভিতে বসে এই সন্দেহগুলো ছড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তথাকথিত কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকও আছেন।’

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে এই দুই উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র কার্যকর হবে বলে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
তফসিল ঘোষণার তোড়জোড়ের মধ্যে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় এবং যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা মাহফুজ আলমের পদত্যাগের গুঞ্জন ওঠে। গতকাল দুপুরে আসিফ মাহমুদ জরুরি সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে গত মঙ্গলবার রাতে জানায় স্থানীয় সরকার বিভাগ।
দুপুরে সচিবালয়ে সংবাদ সম্মেলন করে আসিফ মাহমুদ জানান, তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানাবে। এ বিষয়ে তিনি কিছু জানাতে পারবেন না। পরে সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনায় গিয়ে আসিফ ও মাহফুজ তাঁর কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন।
পরে সন্ধ্যা পৌনে ৭টার দিকে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম যমুনার সামনে সংবাদ সম্মেলনে জানান, উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা। তাঁদের পদত্যাগ নির্বাচন কমিশন তফসিল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে কার্যকর হবে।
আসিফ ও মাহফুজ পদত্যাগ করায় অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার সংখ্যা কমে ২০ জনে দাঁড়াবে। এই দুই উপদেষ্টার হাতে থাকা তিনটি মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব কাদের দেওয়া হবে, এমন প্রশ্নে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব বলেন, ‘এই বিষয়টি পুরোপুরি প্রধান উপদেষ্টার এখতিয়ার। তিনি এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত জানাতে পারবেন। আমি পদত্যাগপত্র দেখিনি।’
উপদেষ্টার পদে থেকে নির্বাচন করতে আইনি বাধা না থাকলেও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা পরিষদের অনেকেই মত দিয়েছিলেন, তফসিল ঘোষণার পর দুই ছাত্র উপদেষ্টার সরকারে থাকা উচিত হবে না। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া সমন্বয়কদের নেতৃত্বে গত ২৮ ফেব্রুয়ারি জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) গঠনের পর অনেকেই ধরে নিয়েছিলেন, উপদেষ্টা আসিফ ও মাহফুজ এই দলে যোগ দেবেন। তাঁরা দুজন সরকারে থাকার কারণে এনসিপি বাড়তি সুবিধা পাচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।
বিএনপি গত ২৪ মে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করে লিখিতভাবে উপদেষ্টা পরিষদ পুনর্গঠনের দাবি জানায়। সেদিন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছিলেন, ‘পদত্যাগের ব্যাপারে আমরা লিখিত বক্তব্যে জানিয়েছি, আগেও জানিয়েছি। নিরাপত্তা উপদেষ্টা (খলিলুর রহমান) এবং দুজন ছাত্র উপদেষ্টার (আসিফ মাহমুদ সজীব ভুঁইয়া ও মাহফুজ আলম) কারণে এই সরকারের নিরপেক্ষতা ক্ষুণ্ন হচ্ছে, তাঁদের বাদ দেওয়ার জন্য আজকেও লিখিত বক্তব্য দিয়েছি, মুখেও বলেছি।’
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। জুলাই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রদের প্রতিনিধি হিসেবে তিনজন সরকারের উপদেষ্টা পরিষদে জায়গা পান। মো. নাহিদ ইসলামকে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি এবং তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আসিফ মাহমুদকে প্রথমে শ্রম মন্ত্রণালয় দেওয়া হলেও পরে তাঁকে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় এবং যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব দেওয়া হয়।
মাহফুজ আলম প্রথমে উপদেষ্টা পদমর্যাদায় প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারীর দায়িত্ব পান। এরপর তিনি উপদেষ্টা হিসেবে শপথ নিয়ে দপ্তরবিহীন ছিলেন। গত ফেব্রুয়ারিতে নাহিদ ইসলাম উপদেষ্টা পরিষদ থেকে পদত্যাগ করে এনসিপির আহ্বায়ক হলে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব পান মাহফুজ আলম।
এনসিপিতে যাচ্ছেন না আসিফ
পদত্যাগের গুঞ্জনের মধ্যে দুপুরে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের সম্মেলনকক্ষে সংবাদ সম্মেলনের শুরুতে আসিফ মাহমুদ বলেন, ‘কোন অবস্থায় দায়িত্ব পেয়েছিলাম আর কোন অবস্থায় রেখে যাচ্ছি, সেটা আপনাদের জানাব। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে ১২-১৩ মাসের কার্যক্রম তুলে ধরছি।’ এরপর নিজের হাতে থাকা দুই মন্ত্রণালয়ের বিভিন্ন কার্যক্রমের বিস্তারিত ঘণ্টাব্যাপী তুলে ধরেন তিনি।
এরপর সাংবাদিকেরা তাঁর পদত্যাগের বিষয়ে প্রশ্ন করলে স্পষ্ট করে কিছু না বললেও আসিফ জানান, তিনি এবারের নির্বাচনে অংশ নেবেন। কোন দল থেকে নির্বাচন করবেন, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি নির্বাচন করব, এটা স্পষ্টভাবেই বলা যায়। কিন্তু কোথায় থেকে করব, কোন দল থেকে, সেটা পরবর্তী সিদ্ধান্ত। আমরা এখন একটা পর্যায়ে আছি, পরের পর্যায় সবার সামনে আসবে।’
এনসিপি বা অন্য কোনো দল থেকে নির্বাচন করবেন কি না, এ প্রশ্নে আসিফ বলেন, ‘এ বিষয়ে সত্যিকার অর্থে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। এ বিষয়ে যদি চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়, তাহলে সবাই জানতে পারবেন।’ এনসিপিতে যোগ দেবেন কি না, এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, যাঁরা গণ-অভ্যুত্থানে তাঁর সহযোগী ছিলেন, তাঁরাই সেই দলটা করেছেন। তিনি অনেক আগেই বলেছেন, এটা ধরে নেওয়া ঠিক হবে না, তিনি সেই দলেই যুক্ত হবেন বা অংশগ্রহণ করবেন।
আসিফ জানান, সকালে তিনি সম্পদের হিসাব দিয়েছেন এবং নিজের কূটনৈতিক পাসপোর্টও বাতিল করেছেন।
কিছুদিন আগে কুমিল্লা থেকে ঢাকা-১০ এলাকার ভোটার হয়েছেন আসিফ মাহমুদ। শোনা যাচ্ছে, তিনি ঢাকা-১০ আসনে নির্বাচন করবেন।
মাহফুজ আলম নির্বাচন করবেন কি না, সে বিষয়ে কিছুই জানাননি। মাহফুজ লক্ষ্মীপুর-১ আসনের ভোটার। আসিফ ও মাহফুজ বিএনপির প্রার্থী হতে পারেন বলে গুঞ্জন থাকলেও ঢাকা-১০ আসনে ইতিমধ্যে দলীয় প্রার্থী দিয়েছে বিএনপি। বাংলাদেশ এলডিপিকে বিলুপ্ত করে ৮ ডিসেম্বর বিএনপিতে যোগ দেওয়া দলটির চেয়ারম্যান শাহাদাত হোসেন সেলিমকে লক্ষ্মীপুর-১ আসনে মনোনয়ন দেওয়া হতে পারে বলে বিএনপির সূত্র বলেছে।
এনসিপি গতকাল ১২৫ আসনে দলীয় প্রার্থীদের যে তালিকা ঘোষণা করেছে, সেখানে ঢাকা-১০ ও লক্ষ্মীপুর-১ আসনে কাউকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি।
প্রধান উপদেষ্টার মঙ্গল কামনা
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখসারিতে থেকে নেতৃত্ব দেওয়া দুই ছাত্র উপদেষ্টার পদত্যাগপত্র গ্রহণের পর প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের ভবিষ্যৎ জীবনের মঙ্গল কামনা করেছেন বলে জানান প্রেস সচিব শফিকুল আলম। তাঁদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘অভ্যুত্থানের নেতৃত্ব দিয়ে তোমরা যেভাবে জাতিকে ফ্যাসিবাদী শাসন থেকে মুক্তির পথে অবদান রেখেছ, তা জাতি মনে রাখবে। আমি বিশ্বাস করি, ভবিষ্যতেও গণতান্ত্রিক উত্তরণ ও বিকাশে তোমরা একইভাবে সক্রিয় ভূমিকা রাখবে।’
শফিকুল বলেন, নিজেদের কর্মের মাধ্যমে দেশের মঙ্গলে নিয়োজিত থাকার আহ্বান জানিয়ে দুই ছাত্র উপদেষ্টার উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সরকারে থেকে যে অভিজ্ঞতা তাঁরা অর্জন করেছেন, তা ভবিষ্যৎ জীবনে অবশ্যই কাজে লাগাতে হবে।
সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে শফিকুল আলম বলেন, ‘আমরা সরকারের তরফ থেকে সব সময় একই কথা বলছি, নির্বাচন ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে হবে। আমরা যখন গ্রামে বা বিভিন্ন জেলা শহরে যাই, আমরা দেখেছি সেখানেও নির্বাচনের জোয়ার বইছে। কিন্তু কিছু কিছু তথাকথিত কমেন্টেটর ইউটিউবে বা বিভিন্ন টিভিতে বসে এই সন্দেহগুলো ছড়িয়েছে। তাদের মধ্যে তথাকথিত কিছু জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকও আছেন।’

পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
আজ বুধবার সন্ধ্যায় ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কথা জানিয়েছে।
মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা মুহম্মদ জসীম উদ্দিন স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, মোবাইল বিজনেস কমিউনিটি বাংলাদেশের (এমবিসিবি) সঙ্গে এ বিষয়ে গত তিন দিন ধারাবাহিক আলোচনা শেষে ব্যবসায়ীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন ১৬ ডিসেম্বরের পরিবর্তে ১৫ মার্চের মধ্যে নিবন্ধন করার সুযোগ দেওয়া হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মোবাইল ফোন আমদানিতে কোনো বাধা নেই। কত পুরোনো ও কোন কোন মডেলের ফোন আমদানি করা যাবে, ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ তা বাণিজ্য মন্ত্রণালয়সহ উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে অবহিত করবে। তবে সরকারের উপযুক্ত কর্তৃপক্ষকে আমদানির বিষয়ে জানাতে হবে। সব পক্ষকে আগামীকাল বৃহস্পতিবারের (১১ ডিসেম্বর) মধ্যে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগকে লিখিতভাবে এ বিষয়ে জানাতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া মোবাইল ফোন আমদানিতে শুল্ক পুনর্নির্ধারণে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা চলমান রয়েছে। ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগ এ বিষয়ে মধ্যস্থতা করবে। আমদানিকারক ও উৎপাদনকারীরা একসঙ্গে বসে সরকারকে লিখিতভাবে জানাবে।
ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয় আন্দোলনরত মোবাইল ব্যবসায়ীদের উদ্দেশে বলেছে, এ সিদ্ধান্তের পর দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নষ্ট করার অপচেষ্টা থেকে বিরত থাকার জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, ১৬ ডিসেম্বর এনইআইআর উদ্বোধন হবে। যেখানে মোবাইল ফোন ইন্ডাস্ট্রি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ এবং মোবাইল বিজনেস কমিউনিটির নেতারা দৃঢ় সমর্থন জানিয়েছেন।

পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

জুলাই–আগস্ট অভ্যুত্থানে সংঘটিত হতাহতের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে মৃত্যুদণ্ড পাওয়া সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ফেরত দেওয়ার বিষয়টি চূড়ান্তভাবে ভারতের সিদ্ধান্তের উপর নির্ভর করছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন।
দিল্লির আশ্রয়ে থাকা কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ সভাপতি হাসিনার প্রত্যর্পণের ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করের বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে আজ বুধবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকের প্রশ্নের জবাবে এমন তথ্য দেন।
জয়শঙ্করের বক্তব্যের বিষয়ে বাংলাদেশের অবস্থান কী তা জানতে চাইলে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা কী করতে পারি, বলেন তো? করণীয় তেমন কিছু আসলে নেই। কারণ ভারতকে রাজি হতে হবে অথবা চাইতে হবে তাকে ফেরত পাঠাতে।’
ভারত রাজি না হলে কিছুই কি করার নেই— এমন প্রশ্নের মুখে তৌহিদ হোসেন আবারও বলেন, ‘রাজি না হলে আসলেতো করার কিছু নাই। আমরা রাজি করানোর চেষ্টা চালিয়ে যেতে পারি, এইটুকুই। এর চেয়ে বেশি কিছু করতে পারি না।’
গত বছরের ৫ আগস্ট রক্তক্ষয়ী গণঅভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতা ছেড়ে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা। তারপর তিনি সেখানেই আছেন। তাঁর সরকারের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামালও ভারতে আছেন।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে ট্রাইব্যুনাল ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও কামালকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছে। সেদিন এক বিবৃতিতে দুজনকে ফেরত দিতে ভারতের প্রতি আহ্বান জানায় সরকার। এরপর ২৩ নভেম্বর ভারতকে কূটনৈতিকপত্র পাঠায় সরকার।
তার তিনদিন পর দিল্লি চিঠি পাওয়ার কথা স্বীকার করে। তবে শেখ হাসিনা ও কামালকে ফেরত দেওয়া হবে কি না সে বিষয়ে ভারত এখনো কিছু জানায়নি।
আওয়ামী লীগ সভাপতির ভারতে থাকার বিষয়টি তার ব্যক্তিগত সিদ্ধান্ত মন্তব্য করে সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অনুষ্ঠানে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী সুব্রামানিয়াম জয়শঙ্কর বলেন, হাসিনার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে তাঁর ‘ভারতে আসতে বাধ্য হওয়ার পরিস্থিতি’র প্রভাব থাকবে।
গত শনিবার এনডিটিভি লিখেছে, হিন্দুস্তান টাইমস লিডারশিপ সামিটে এনডিটিভির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা ও প্রধান সম্পাদক রাহুল কানওয়ালের সঙ্গে আলাপচারিতায় জয়শঙ্করের কাছে জানতে চাওয়া হয়, শেখ হাসিনা ‘যতদিন চান ততদিনই ভারতে থাকতে পারবেন কিনা’
জবাবে জয়শঙ্কর বলেন, ‘এটা একটা ভিন্ন বিষয়, তাই না? তিনি একটি বিশেষ পরিস্থিতিতে এখানে এসেছেন। তাকে ঘিরে যা ঘটছে তাতে সেই পরিস্থিতির স্পষ্ট প্রভাব রয়েছে বলে আমি মনে করি। কিন্তু তারপরও, এটা এমন এক বিষয় যে বিষয়ে সিদ্ধান্ত তাকেই নিতে হবে।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর এমন বক্তব্যের প্রেক্ষাপটে শেখ হাসিনাকে ফেরতের বিষয়টিতে দেশটির সরকারের ভূমিকার কথাও বলেছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। ভারতের বাইরে তৃতীয় কোনো দেশে শেখ হাসিনা যাওয়ার পরিকল্পনার বিষয়েও কোনো কোনো সংবাদমাধ্যমে খবর হয়েছে।
এ বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তৌহিদ হোসেন বলেন, ‘এটাও তো আমার কিছু করার নেই, বাংলাদেশেও খুব বেশি কিছু করার নেই। আমরা তো চাই যে, উনি ফেরত আসুক।’

পিলখানা হত্যাকাণ্ড হিসেবে পরিচিত বিডিআর বিদ্রোহের ঘটনা নিয়ে ১৫ বছর পর মুখ খুললেন তৎকালীন সেনাপ্রধান জেনারেল (অব.) মইন ইউ আহমেদ। তিনি বলেছেন, তখন কী ঘটেছিল এবং তাতে সেনাবাহিনীর ও তাঁর নিজের কী ভূমিকা ছিল—তা মানুষের জানা উচিত। আওয়ামী লীগ সরকারে থাকায় তিনি কথা বলতে পারেননি। এখন বাংলাদেশে ক্ষমতার পালাবদ
০৭ সেপ্টেম্বর ২০২৪
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণা করা হচ্ছে আজ বৃহস্পতিবার। প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন সন্ধ্যা ৬টায় জাতির উদ্দেশে ভাষণে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন। সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি (বৃহস্পতিবার) ভোট গ্রহণ করা হতে পারে।
৫ ঘণ্টা আগে
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার আগের দিন গতকাল বুধবার অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টার পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া ও মো. মাহফুজ আলম। সন্ধ্যায় তাঁরা প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের কাছে পদত্যাগপত্র জমা দেন। প্রধান উপদেষ্টা তাঁদের পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
মোবাইল ফোন চোরাচালান, ব্যবহৃত ও নকল ফোনের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং অপরাধ প্রতিরোধে ১৬ ডিসেম্বর থেকে ন্যাশনাল ইকুইপমেন্ট আইডেন্টিটি রেজিস্টার (এনইআইআর) ব্যবস্থা চালু হবে। তবে বর্তমানে দেশে থাকা সব অনিবন্ধিত মোবাইল ফোন আগামী বছরের ১৫ মার্চ পর্যন্ত নিবন্ধন করা যাবে।
৬ ঘণ্টা আগে