শাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
আইনজীবীরা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারার মামলায় এজাহারের বর্ণনা সুস্পষ্ট হতে হয়। তবে আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোর এজাহারে অস্পষ্টতা রয়েছে; যা মামলার দুর্বলতা। আবার আসামির সংখ্যাও অনেক। অজ্ঞাতনামা কয়েক শ আসামি থাকায় ‘বাণিজ্যের’ সুযোগও রয়েছে।
মামলার এজাহারের বর্ণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহতদের স্বজনেরাও। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা এমন এজাহার দেননি।
এদিকে কয়েক বছর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায়ও মামলা হচ্ছে। এমন মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাগুলোর বিষয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, এ ধরনের মামলা দিয়ে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না। বিচার পেতে হলে এটা বন্ধ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুট হয় অস্ত্র, গুলি। নিহত হন পুলিশের ৪৪ জন সদস্য। অনেক থানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। কয়েক দিন পর থানাগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মামলা নেওয়া হয়নি।
২১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মাদ আবদুল মোমেনের সই করা পরিপত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশের সব কমিশনার ও জেলার এসপিদের থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত না করতেও পুলিশকে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানায় জুলাই-আগস্টের ঘটনায় একের পর এক মামলা হতে থাকে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২৫০টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতাধিক হত্যা মামলা।
হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে হাতে গোনা দু-একটি বাদে সব কটিতেই আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের। প্রায় সব এজাহারেই শেখ হাসিনাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুকুমের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে কার গুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদিদোকানি আবু সায়েদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই মামলা করা হয়। মামলায় ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। এজাহারে আসামিদের যোগসাজশে ও হুকুমে সায়েদকে গুলি করার কথা বলা হয়। কিন্তু কে গুলি করেছে, তা উল্লেখ নেই। দুজন সাক্ষীর নাম রয়েছে। তবে তাঁদের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
২৪ আগস্ট আদাবরে পোশাকশ্রমিক মো. রুবেল হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, নাজমুল হাসান পাপনকেও আসামি করা হয়। অন্য আসামিরাও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ঘটনার সময় সাকিব আল হাসান বিদেশে ছিলেন। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নাঈম নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবার করা মামলায় আসামি হিসেবে শেখ হাসিনা, ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাসহ কয়েকজন নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিকেরা কীভাবে জড়িত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ঢাকার বাইরের কোনো কোনো মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম আসামি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারার মামলায় এজাহারে হত্যার হুকুমদাতা ও হত্যাকারী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যও গুরুত্বপূর্ণ। যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোতে হুকুমের আসামি অনেক, কিন্তু সরাসরি সম্পৃক্ত আসামি কম। এসব ক্ষেত্রে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিছু মামলার এজাহারের বর্ণনায় বিস্মিত হয়েছেন নিহতদের স্বজনেরাও। তাঁদের দাবি, তাঁরা এমন এজাহার দেননি। পুলিশ এমন এজাহার দিয়েছে। গণ আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি এমন না চাইলেও মামলা নিতে হবে। কাকে আসামি করবে, এজাহারের বর্ণনা কী হবে, সেসব বাদী নিজে ঠিক করে আনছেন। সেটা কাটাছেঁড়ার কোনো সুযোগ আপাতত পুলিশের হাতে নেই।
অবশ্য বাদীরা বলছেন ভিন্ন কথা। ধানমন্ডিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক আইনজীবীর চেম্বার থেকে মামলা ও আসামি ঠিক করে আনা হয়েছে। পরে মামলা নিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা অসহযোগিতা করায় শিক্ষার্থীরা ওই দুজনের নামও মামলায় দিয়েছেন।
মেহেরপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী হাসনাত জামান। তিনি বলেছেন, তিনি অনেক নামই মামলায় দেননি। কিন্তু তাঁর মামলায় অনেক মানুষের নাম রয়েছে। পরে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান। এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম রয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে নাম রয়েছে ১৩০ জনের।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাস্তবে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। গায়েবি মামলা করতে এই এজাহার দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন যে মামলা হচ্ছে, সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার সবকিছু এজাহারে থাকবে না। সব থাকলে তো আর তদন্তের প্রয়োজন হতো না। তবে এভাবে গড়পড়তা আসামি করা, কার কী ভূমিকা, তার একটুও ধারণা না থাকা মামলাকে দুর্বল করে। তখন সেটা পরিষ্কার হয়, এখানে কারও না কারও স্বার্থ রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
আইনজীবীরা বলছেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারার মামলায় এজাহারের বর্ণনা সুস্পষ্ট হতে হয়। তবে আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় যেসব মামলা হচ্ছে, সেগুলোর এজাহারে অস্পষ্টতা রয়েছে; যা মামলার দুর্বলতা। আবার আসামির সংখ্যাও অনেক। অজ্ঞাতনামা কয়েক শ আসামি থাকায় ‘বাণিজ্যের’ সুযোগও রয়েছে।
মামলার এজাহারের বর্ণনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহতদের স্বজনেরাও। তাঁদের অভিযোগ, তাঁরা এমন এজাহার দেননি।
এদিকে কয়েক বছর আগে বিএনপির নেতা-কর্মীদের ওপর হামলাসহ বিভিন্ন ঘটনায়ও মামলা হচ্ছে। এমন মামলায় আসামি করার ভয় দেখিয়ে টাকা আদায়ের অভিযোগও পাওয়া যাচ্ছে।
কোটা সংস্কার ও সরকার পতনের আন্দোলন ঘিরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় করা মামলাগুলোর বিষয়ে ব্যারিস্টার সারা হোসেন বলেন, এ ধরনের মামলা দিয়ে কাজ হবে না, টিকবে না। প্রথম ধাপও পার হতে পারবে না। বিচার পেতে হলে এটা বন্ধ করতে হবে।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে দেশ ছাড়েন শেখ হাসিনা। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর বিভিন্ন থানা, পুলিশ ফাঁড়ি, ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ করা হয়। লুট হয় অস্ত্র, গুলি। নিহত হন পুলিশের ৪৪ জন সদস্য। অনেক থানা ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। নিরাপত্তাসহ বিভিন্ন দাবিতে কর্মবিরতি শুরু করেন পুলিশ সদস্যরা। কয়েক দিন পর থানাগুলোতে কার্যক্রম শুরু হয়। তবে মামলা নেওয়া হয়নি।
২১ আগস্ট স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সিনিয়র সচিব ড. মোহাম্মাদ আবদুল মোমেনের সই করা পরিপত্রে পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি), পুলিশের সব কমিশনার ও জেলার এসপিদের থানায় মামলা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়। পরীক্ষা-নিরীক্ষা ও তদন্ত কার্যক্রম দীর্ঘায়িত না করতেও পুলিশকে বলা হয়। ওই নির্দেশনার পর রাজধানীসহ সারা দেশের বিভিন্ন থানায় জুলাই-আগস্টের ঘটনায় একের পর এক মামলা হতে থাকে। গতকাল সোমবার পর্যন্ত অন্তত ২৫০টি মামলা হয়েছে। এগুলোর মধ্যে শতাধিক হত্যা মামলা।
হত্যার অভিযোগে করা মামলাগুলোর মধ্যে হাতে গোনা দু-একটি বাদে সব কটিতেই আসামি করা হয়েছে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে। আসামি করা হয়েছে আওয়ামী লীগ সরকারের মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রী, সাবেক সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা, পুলিশের সাবেক ও বর্তমান কর্মকর্তাদের। প্রায় সব এজাহারেই শেখ হাসিনাসহ প্রভাবশালী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হুকুমের অভিযোগ আনা হচ্ছে। তবে কার গুলিতে ঘটনাটি ঘটেছে, তা সুনির্দিষ্ট করা হয়নি।
শেখ হাসিনাসহ অন্যদের বিরুদ্ধে প্রথম হত্যা মামলা করা হয় ১৩ আগস্ট রাজধানীর মোহাম্মদপুর থানায়। কোটা সংস্কার আন্দোলনের সময় গত ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুরে পুলিশের গুলিতে মুদিদোকানি আবু সায়েদ নিহত হওয়ার ঘটনায় ওই মামলা করা হয়। মামলায় ওবায়দুল কাদের, আসাদুজ্জামান খানসহ আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের আসামি করা হয়। এজাহারে আসামিদের যোগসাজশে ও হুকুমে সায়েদকে গুলি করার কথা বলা হয়। কিন্তু কে গুলি করেছে, তা উল্লেখ নেই। দুজন সাক্ষীর নাম রয়েছে। তবে তাঁদের হদিস পাচ্ছে না পুলিশ।
২৪ আগস্ট আদাবরে পোশাকশ্রমিক মো. রুবেল হত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনা, তাঁর বোন শেখ রেহানাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়। এই মামলায় জাতীয় দলের ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান ও চিত্রনায়ক ফেরদৌস আহমেদ, নাজমুল হাসান পাপনকেও আসামি করা হয়। অন্য আসামিরাও আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মী। ঘটনার সময় সাকিব আল হাসান বিদেশে ছিলেন। এজাহারে বলা হয়েছে, আসামিরা পরিকল্পনা করে এই হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
১৯ জুলাই গুলিবিদ্ধ হয়ে নাঈম নিহত হওয়ার ঘটনায় তাঁর বাবার করা মামলায় আসামি হিসেবে শেখ হাসিনা, ১৪ দলের শরিক বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতাসহ কয়েকজন নেতা, পুলিশ কর্মকর্তা, সাংবাদিকসহ ১৯৩ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। পরিকল্পিত হত্যার অভিযোগে করা মামলায় সাংবাদিকেরা কীভাবে জড়িত, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকে।
ঢাকার বাইরের কোনো কোনো মামলায় ঢাকা মহানগর পুলিশের শীর্ষ কর্মকর্তাদের নাম আসামি হিসেবে দেওয়া হয়েছে।
সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মাহবুবুর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধির ৩০২ ধারার মামলায় এজাহারে হত্যার হুকুমদাতা ও হত্যাকারী সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকতে হয়। প্রত্যক্ষদর্শীর সাক্ষ্যও গুরুত্বপূর্ণ। যেসব মামলা হয়েছে, সেগুলোতে হুকুমের আসামি অনেক, কিন্তু সরাসরি সম্পৃক্ত আসামি কম। এসব ক্ষেত্রে আদালতে অভিযোগ প্রমাণ করা কঠিন হয়ে পড়ে।
কিছু মামলার এজাহারের বর্ণনায় বিস্মিত হয়েছেন নিহতদের স্বজনেরাও। তাঁদের দাবি, তাঁরা এমন এজাহার দেননি। পুলিশ এমন এজাহার দিয়েছে। গণ আসামি করা হয়েছে।
পুলিশ সদর দপ্তরের পদস্থ এক কর্মকর্তা বলেন, পরিস্থিতি এমন না চাইলেও মামলা নিতে হবে। কাকে আসামি করবে, এজাহারের বর্ণনা কী হবে, সেসব বাদী নিজে ঠিক করে আনছেন। সেটা কাটাছেঁড়ার কোনো সুযোগ আপাতত পুলিশের হাতে নেই।
অবশ্য বাদীরা বলছেন ভিন্ন কথা। ধানমন্ডিতে পুলিশের গুলিতে নিহত সাংবাদিক তাহির জামান প্রিয়র মা শামসি আরা জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, এক আইনজীবীর চেম্বার থেকে মামলা ও আসামি ঠিক করে আনা হয়েছে। পরে মামলা নিতে দুই পুলিশ কর্মকর্তা অসহযোগিতা করায় শিক্ষার্থীরা ওই দুজনের নামও মামলায় দিয়েছেন।
মেহেরপুরে সন্ত্রাসবিরোধী বিশেষ ট্রাইব্যুনালে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তাঁর স্ত্রী সৈয়দা মোনালিসাসহ ১৬৮ জনের বিরুদ্ধে করা মামলা প্রত্যাহার করেছেন বাদী হাসনাত জামান। তিনি বলেছেন, তিনি অনেক নামই মামলায় দেননি। কিন্তু তাঁর মামলায় অনেক মানুষের নাম রয়েছে। পরে মামলা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন।
রাজশাহীর বাঘা থানায় একটি এজাহার দিয়েছেন কিশোরপুর গ্রামের জাহিদ হাসান। এজাহারে ১৪ নম্বর আসামি হিসেবে বাঘা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো. নুরুজ্জামান ও ১৫ নম্বর আসামি হিসেবে তাঁর ছেলে মো. স্বদেশের নাম রয়েছে। মামলায় আসামি হিসেবে নাম রয়েছে ১৩০ জনের।
সাংবাদিক নুরুজ্জামান জানান, অভিযোগে বলা হয়েছে, ২৫ আগস্ট তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে অভিযোগকারী জাহিদ হাসানের ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ভাঙচুর করেন। পরে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। বাস্তবে এমন কোনো ঘটনাই ঘটেনি। ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর এলাকায় ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেওয়ার মতো কেউ নেই। গায়েবি মামলা করতে এই এজাহার দেওয়া হয়েছে।
রাজশাহী জেলা পুলিশের মুখপাত্র ও বিশেষ শাখার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রফিকুল ইসলাম বলেন, এখন যে মামলা হচ্ছে, সেগুলো বাদীর ইচ্ছার ওপরই নির্ভর করছে। বাদী আসামিদের নাম দিচ্ছেন, সে অনুযায়ী মামলা হচ্ছে।
সাবেক আইজিপি মোহাম্মদ নুরুল হুদা আজকের পত্রিকাকে বলেন, মামলার সবকিছু এজাহারে থাকবে না। সব থাকলে তো আর তদন্তের প্রয়োজন হতো না। তবে এভাবে গড়পড়তা আসামি করা, কার কী ভূমিকা, তার একটুও ধারণা না থাকা মামলাকে দুর্বল করে। তখন সেটা পরিষ্কার হয়, এখানে কারও না কারও স্বার্থ রয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
২৭ আগস্ট ২০২৪
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
২৭ আগস্ট ২০২৪
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
২ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
২৭ আগস্ট ২০২৪
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৪ ঘণ্টা আগে
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনা
৬ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদিকে পরিকল্পিত ও নির্মম হত্যাকাণ্ডে গভীর উদ্বেগ ও তীব্র নিন্দা জানিয়েছে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)। একই সঙ্গে, এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদকে কেন্দ্র করে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতার ওপর সংঘটিত ও অভূতপূর্ব ধ্বংসাত্মক হামলার ঘটনাকে রাষ্ট্রের গণতান্ত্রিক ভিত্তি, নাগরিক নিরাপত্তা ও স্বাধীনতার চেতনার বিরুদ্ধে সরাসরি আঘাত বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
আজ শুক্রবার সন্ধ্যায় টিআইবির আউটরিচ অ্যান্ড কমিউনিকেশন পরিচালক মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক লিখিত বিবৃতিতে এসব কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডে জড়িত সবাইকে বিচারের আওতায় আনতে সরকার ব্যর্থ হয়েছে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, টার্গেটেড শুটিংয়ে জড়িতদের গ্রেপ্তারে ব্যর্থতা এবং পার্শ্ববর্তী দেশে পালিয়ে যেতে সহায়তার অভিযোগ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অদূরদর্শিতা ও অদক্ষতারই প্রতিফলন। এর ফলে গণরোষ থেকে সৃষ্ট অস্থিতিশীলতা ও নিরাপত্তাহীনতার ঝুঁকি আরও বেড়েছে, যার দায় সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ কোনোভাবেই এড়াতে পারে না।
ড. ইফতেখারুজ্জামান আরও বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনের পতনের পর বিজয়ের দাবিদার কিছু শক্তির আক্রোশপূর্ণ ও প্রতিশোধপ্রবণ আচরণ রাষ্ট্র ও সমাজে নতুন ধরনের দমনমূলক প্রবণতা তৈরি করছে। এর সরাসরি শিকার হচ্ছে মুক্ত গণমাধ্যম, ভিন্নমত ও বাক্স্বাধীনতা। পরিস্থিতি মোকাবিলায় সরকার কার্যকর অবস্থান নিতে ব্যর্থ হয়েছে; বরং অতীতে অনুরূপ সংকটে নতজানু অবস্থান গ্রহণ করে রাষ্ট্র নিজেই অসহিষ্ণুতা ও সহিংসতার ক্ষেত্র প্রসারিত করেছে।
টিআইবি জানায়, প্রথম আলো ও ডেইলি স্টারের মতো শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমে ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ, দৈনিক নিউ এজের সম্পাদক নূরুল কবীরের ওপর হামলা, সাংস্কৃতিক সংগঠন ছায়ানটে আক্রমণ এবং কথিত ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাতের অভিযোগে দীপু চন্দ্র দাসকে আগুনে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনা কোনোভাবেই বিচ্ছিন্ন নয়। বরং এসবই মুক্তচিন্তা, ভিন্নমত ও স্বাধীন মতপ্রকাশকে পরিকল্পিতভাবে দমনের জ্বলন্ত উদাহরণ।
ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, কর্তৃত্ববাদী শাসনামলে যেভাবে মানবিক মূল্যবোধ ও মৌলিক মানবাধিকার পদদলিত হয়েছিল, আজ সেই একই দমনমূলক বাস্তবতা নতুন রূপে ফিরে আসছে। যারা বিগত ১৬ বছর অধিকার হরণের শিকার হয়েছেন এবং জুলাই আন্দোলনের বিজয়ী হিসেবে নিজেদের দাবি করছেন, তাঁদেরই একাংশের হাতে আজ মুক্ত গণমাধ্যম ও ভিন্নমতের অধিকার ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে।
ড. ইফতেখারুজ্জামান সতর্ক করে বলেন, এসব ঘটনার ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা, জুলাই অভ্যুত্থানের চেতনা ও মূল্যবোধ চরম হুমকির মুখে পড়ছে। বৈষম্যমুক্ত সমাজ, সাম্য, মানবিক মর্যাদা, সামাজিক ন্যায়বিচার, ধর্মীয় স্বাধীনতা, সম্প্রীতি ও বহু সংস্কৃতির সহাবস্থানের যে স্বপ্ন একাত্তর ও জুলাই ধারণ করেছিল, তা আজ গভীর সংকটে।
টিআইবির নির্বাহী পরিচালক আরও বলেন, ওসমান হাদির হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে সৃষ্ট আবেগকে কাজে লাগিয়ে মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের বিরোধী স্বার্থান্বেষী মহল পতিত শক্তির ইন্ধনে সহিংসতা উসকে দিচ্ছে। তিনি হত্যাকারীদের দ্রুত দৃষ্টান্তমূলক বিচার, উদ্ভূত পরিস্থিতি মোকাবিলায় ব্যর্থতার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের জবাবদিহি এবং মুক্ত গণমাধ্যম ও নাগরিক অধিকারের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে অবিলম্বে কার্যকর, সমন্বিত ও দৃশ্যমান পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান।
ড. ইফতেখারুজ্জামান হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, এসব পদক্ষেপ না নিলে বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক ভবিষ্যৎ, রাষ্ট্র সংস্কারের প্রত্যাশা, সামাজিক স্থিতিশীলতা এবং একাত্তর ও জুলাইয়ের মৌলিক আদর্শ আরও গভীর সংকটে পড়বে, যার দায় সরকার কোনোভাবেই এড়াতে পারবে না।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনে নিহত হয়েছেন শিক্ষার্থীসহ কয়েক শ মানুষ। এসব হত্যার ঘটনায় রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশে মামলা করা হচ্ছে। এসব মামলার এজাহারের বর্ণনা অনেকটা একই রকম। প্রধান আসামিদের নামও একই। অনেক মামলায় শতাধিক আসামির নামোল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হচ্ছে আরও ৪০০-৫০০ জনকে।
২৭ আগস্ট ২০২৪
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
২ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
৪ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
৫ ঘণ্টা আগে