অরুণ কর্মকার

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
রাজপথে অবশ্য যান চলাচলে নৈরাজ্য ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা এখন আর চোখে পড়ছে না। সব নৈরাজ্য ও অস্থিরতা এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয়। এ ছাড়া কিছু অস্থিরতা রয়েছে শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে এই সব নৈরাজ্য ও অস্থিরতা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি না। যদিও আমরা সবাই জানি যে তাঁরা কাজ করছেন।
কাজ তো তাঁরা করবেনই। রাষ্ট্র সংস্কারের মতো অনেক বড় ও দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ একটি কাজ সম্পন্ন করার জাতীয় দায়িত্ব তাঁদের ওপর ন্যস্ত হয়েছে। সে কাজে তাড়াহুড়ার কোনো সুযোগ যে নেই তা-ও আমরা বুঝি এবং মানি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় দুই সপ্তাহ পর সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সরকারি অফিস ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হট্টগোল করা, সেখানকার একটি ভবনের ১৮ তলায় গিয়ে একজন সচিবের কক্ষে সদলবলে ঢুকে পড়া এবং এই হট্টগোল সৃষ্টিকারীদের চাপের মুখে অসমাপ্ত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এটি মোটেই ভালো আলামত নয়।
অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পর্যায় থেকে এই হট্টগোল সৃষ্টির বিষয়ে এমন কোনো বক্তব্য আমরা পেলাম না যে মব (সংঘবদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতা) সৃষ্টি করে এ ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি আর বরদাশত করা হবে না। কিংবা এখন থেকে কোথাও আর কেউ যেন এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
এমন একটি ঘোষণা দিলে অন্তর্বর্তী সরকার কি স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হতো? তাই যদি হয়, তাহলে এ সরকার কাজ করবে কীভাবে? তা ছাড়া এখন যারা অটোপাস প্রত্যাখ্যান করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছে, তাদের সরকার কী বলবে? সাধারণ ও সুস্থ জনমত তো তাদেরই পক্ষে বলে মনে হচ্ছে। এখন তারাও যদি মব সৃষ্টি করে, তাহলে কি আবার পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
সেদিনের সচিবালয়ের ওই ঘটনায় আরও একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ সংঘবদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার জন্য আইন প্রয়োগে এখনো প্রস্তুত নয়। এমনকি সচিবালয়ের মতো সরকারি স্থাপনা রক্ষায়ও নয়। যদি হতো তাহলে গেট ভেঙে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হতে পারত না।
অবশ্য জুলাই-আগস্টের প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনে জনতার রোষানলে সবচেয়ে বেশি পড়েছে পুলিশ। তাদেরই সব সময় সামনে দাঁড়াতে হয়। তাই তাদের মধ্যকার ট্রমা এত সহজে অপসৃত হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষের নির্দেশও তাদের কাজের জন্য জরুরি। সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো যদি বিভিন্ন পর্যায়ে মব সামলানোর জন্য কঠোর হতে না চায়, তাহলে সে দায়িত্ব অন্তত আরও কিছুদিনের জন্য ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক সমন্বয়কদের ওপর অর্পণ করতে পারে। তাঁরা তো প্রস্তুত আছেনই। আমার মনে হয় তাঁরা যথাযথভাবেই এই দায়িত্ব সামলাতে পারবেন।
আরেক ধরনের মব সৃষ্টি করা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই এ ধরনের কিছু মব সৃষ্টির ঘটনা আমরা দেখেছি সচিবালয়ে; বিশেষ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। ওখানে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ের শিকার। সে হিসেবে তাঁদের দাবি ন্যায্য। সেই ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা সেখানে গিয়ে কিছুটা হইচই করেছেন, যা দীর্ঘদিনের বঞ্চনাজনিত আক্রোশের ফল। কিন্তু তাঁরা জনপ্রশাসন সচিবকে জোর করে বাধ্য করেননি, তখনই তাঁদের সবাইকে বহাল করার। জনপ্রশাসন সচিব যখন তাঁদের বলেছেন যে ফাইলপত্র দেখে সবার বিষয়ই ফয়সালা করা হবে, তখন কিন্তু তাঁরা নিবৃত্ত হয়েছেন।
কিন্তু আমরা ভিন্নতর ঘটনা দেখলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। সেখানে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে তখনই (অন দ্য স্পট) বরখাস্ত করার জন্য মব সৃষ্টি করা হয়, যেটা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ হতে পারে না। কিন্তু তা করা হচ্ছে। অথচ সরকারের কোনো বক্তব্য কিংবা নির্দেশ-নির্দেশনা নেই।
মব সৃষ্টির খবর পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে দীর্ঘদিন যাঁরা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যেমন প্রতিকার চাইছেন, তেমনি পিছিয়ে নেই বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চাকরিচ্যুতরাও। তাঁরাও চাকরি ফিরে পেতে চাইছেন। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে বোর্ড মিটিংয়ের দরকার, সেই মিটিং পর্যন্তও তাঁরা অপেক্ষা করতে রাজি নন।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানিতে (জিটিসিএল) হয়রানিমূলক বদলি এবং পদোন্নতি থেকে বঞ্চিতরা যেমন মব সৃষ্টি করে প্রতিকার চাইছেন, তেমনি সেখানকার একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী অনৈতিক সুবিধা বহাল রাখার জন্যও সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে যেসব পয়েন্ট থেকে জিটিসিএল গ্যাস সরবরাহ করে সেই সব পয়েন্টে কোনো মিটারিং ব্যবস্থা না থাকায় কোন কোম্পানিকে জিটিসিএল কতটুকু গ্যাস দিচ্ছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
এই মিটারিং ব্যবস্থা না থাকার সুযোগ নিয়ে জিটিসিএল সঞ্চালন লাইনের সিস্টেম লসও বিতরণ কোম্পানিগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়। ফলে জিটিসিএলকে কোনো সিস্টেম লসের দায় নিতে হয় না। তাদের মুনাফা বাড়ে এবং তা এতটাই বাড়ে যে জিটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর শ্রেণিভেদে দুই থেকে ছয় লাখ টাকা অতিরিক্ত বোনাস পান।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিতরণ কোম্পানিগুলো। এই বৈষম্য নিরসনের জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাবির মুখে পেট্রোবাংলা মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এর বিরুদ্ধেও এখন মব সৃষ্টি করা হচ্ছে জিটিসিএলে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব সৃষ্টি করে কোনো কোনো শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে ব্যাপকভাবে। সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো তরফ থেকেই এ ব্যাপারে কোনো কথা বা বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। কথা না বলে যে তাঁরা এই পরিস্থিতি নিরসনে কাজ করছেন, তেমনও শোনা যাচ্ছে না। এ ধরনের অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের অবিলম্বে অবসান হওয়া দরকার।
অনেকের মনে হতে পারে কিংবা অনেকে বলতেও পারেন যে প্রবল ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা অর্জনের (দ্বিতীয় স্বাধীনতা) মতো একটি সর্বব্যাপী ঘটনার পর এ ধরনের কিছু বিশৃঙ্খলা অস্বাভাবিক নয়। অনেকে আবার একাত্তর সালে স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সঙ্গেও এর তুলনা করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, ন্যায্যতার বিচারে আপেলের সঙ্গে আপেলেরই তুলনা হতে পারে। সব ফলের রং, স্বাদ কিংবা পুষ্টিগুণ এক রকম হয় না।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
রাজপথে অবশ্য যান চলাচলে নৈরাজ্য ছাড়া তেমন কোনো সমস্যা এখন আর চোখে পড়ছে না। সব নৈরাজ্য ও অস্থিরতা এখন সরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোয়। এ ছাড়া কিছু অস্থিরতা রয়েছে শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গনকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে। কিন্তু অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের তরফ থেকে এই সব নৈরাজ্য ও অস্থিরতা বন্ধ করার বিষয়ে কোনো কথা আমরা শুনতে পাচ্ছি না। যদিও আমরা সবাই জানি যে তাঁরা কাজ করছেন।
কাজ তো তাঁরা করবেনই। রাষ্ট্র সংস্কারের মতো অনেক বড় ও দীর্ঘ সময়সাপেক্ষ একটি কাজ সম্পন্ন করার জাতীয় দায়িত্ব তাঁদের ওপর ন্যস্ত হয়েছে। সে কাজে তাড়াহুড়ার কোনো সুযোগ যে নেই তা-ও আমরা বুঝি এবং মানি। কিন্তু অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব গ্রহণের প্রায় দুই সপ্তাহ পর সচিবালয়ের মতো একটি গুরুত্বপূর্ণ ও স্পর্শকাতর সরকারি অফিস ভবনের গেট ভেঙে ভেতরে ঢুকে হট্টগোল করা, সেখানকার একটি ভবনের ১৮ তলায় গিয়ে একজন সচিবের কক্ষে সদলবলে ঢুকে পড়া এবং এই হট্টগোল সৃষ্টিকারীদের চাপের মুখে অসমাপ্ত এইচএসসি পরীক্ষা বাতিল করে দেওয়া মেনে নেওয়া যায় না। এটি মোটেই ভালো আলামত নয়।
অথচ অন্তর্বর্তী সরকারের কোনো পর্যায় থেকে এই হট্টগোল সৃষ্টির বিষয়ে এমন কোনো বক্তব্য আমরা পেলাম না যে মব (সংঘবদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতা) সৃষ্টি করে এ ধরনের নৈরাজ্য সৃষ্টি আর বরদাশত করা হবে না। কিংবা এখন থেকে কোথাও আর কেউ যেন এ রকম পরিস্থিতি সৃষ্টি না করে, সে জন্য সরকারের পক্ষ থেকে অনুরোধ করা হলো।
এমন একটি ঘোষণা দিলে অন্তর্বর্তী সরকার কি স্বৈরাচারী আচরণের অভিযোগে অভিযুক্ত হতো? তাই যদি হয়, তাহলে এ সরকার কাজ করবে কীভাবে? তা ছাড়া এখন যারা অটোপাস প্রত্যাখ্যান করে পরীক্ষা নেওয়ার দাবি তুলেছে, তাদের সরকার কী বলবে? সাধারণ ও সুস্থ জনমত তো তাদেরই পক্ষে বলে মনে হচ্ছে। এখন তারাও যদি মব সৃষ্টি করে, তাহলে কি আবার পরীক্ষা অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে?
সেদিনের সচিবালয়ের ওই ঘটনায় আরও একটি বিষয় পরিষ্কার হয়েছে যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, বিশেষ করে পুলিশ সংঘবদ্ধ উচ্ছৃঙ্খল জনতার কোনো বেআইনি কর্মকাণ্ড প্রতিরোধ করার জন্য আইন প্রয়োগে এখনো প্রস্তুত নয়। এমনকি সচিবালয়ের মতো সরকারি স্থাপনা রক্ষায়ও নয়। যদি হতো তাহলে গেট ভেঙে সচিবালয়ে ঢুকে পড়ার মতো ফৌজদারি অপরাধ সংঘটিত হতে পারত না।
অবশ্য জুলাই-আগস্টের প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনে জনতার রোষানলে সবচেয়ে বেশি পড়েছে পুলিশ। তাদেরই সব সময় সামনে দাঁড়াতে হয়। তাই তাদের মধ্যকার ট্রমা এত সহজে অপসৃত হওয়ার কথা নয়। তা ছাড়া যথাযথ সরকারি কর্তৃপক্ষের নির্দেশও তাদের কাজের জন্য জরুরি। সে ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকার এখনো যদি বিভিন্ন পর্যায়ে মব সামলানোর জন্য কঠোর হতে না চায়, তাহলে সে দায়িত্ব অন্তত আরও কিছুদিনের জন্য ছাত্র-জনতা গণ-অভ্যুত্থানের সংগঠক সমন্বয়কদের ওপর অর্পণ করতে পারে। তাঁরা তো প্রস্তুত আছেনই। আমার মনে হয় তাঁরা যথাযথভাবেই এই দায়িত্ব সামলাতে পারবেন।
আরেক ধরনের মব সৃষ্টি করা হচ্ছে বিভিন্ন সরকারি অফিসে। আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পরপরই এ ধরনের কিছু মব সৃষ্টির ঘটনা আমরা দেখেছি সচিবালয়ে; বিশেষ করে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে। ওখানে যাঁরা গিয়েছিলেন তাঁরা দীর্ঘদিন ধরে অন্যায়ের শিকার। সে হিসেবে তাঁদের দাবি ন্যায্য। সেই ন্যায্যতা প্রতিষ্ঠার জন্য তাঁরা সেখানে গিয়ে কিছুটা হইচই করেছেন, যা দীর্ঘদিনের বঞ্চনাজনিত আক্রোশের ফল। কিন্তু তাঁরা জনপ্রশাসন সচিবকে জোর করে বাধ্য করেননি, তখনই তাঁদের সবাইকে বহাল করার। জনপ্রশাসন সচিব যখন তাঁদের বলেছেন যে ফাইলপত্র দেখে সবার বিষয়ই ফয়সালা করা হবে, তখন কিন্তু তাঁরা নিবৃত্ত হয়েছেন।
কিন্তু আমরা ভিন্নতর ঘটনা দেখলাম স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে। সেখানে সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টার উপস্থিতিতে নবনিযুক্ত মহাপরিচালককে তখনই (অন দ্য স্পট) বরখাস্ত করার জন্য মব সৃষ্টি করা হয়, যেটা কোনো সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীর আচরণ হতে পারে না। কিন্তু তা করা হচ্ছে। অথচ সরকারের কোনো বক্তব্য কিংবা নির্দেশ-নির্দেশনা নেই।
মব সৃষ্টির খবর পাওয়া যাচ্ছে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ খাতের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান থেকেও। এর মধ্যে তিতাস গ্যাস ট্রান্সমিশন অ্যান্ড ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানিতে দীর্ঘদিন যাঁরা দলীয় বিবেচনায় পদোন্নতি থেকে বঞ্চিত হয়েছেন, তাঁরা যেমন প্রতিকার চাইছেন, তেমনি পিছিয়ে নেই বিভিন্ন অনিয়ম-দুর্নীতির কারণে চাকরিচ্যুতরাও। তাঁরাও চাকরি ফিরে পেতে চাইছেন। এসব সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য যে বোর্ড মিটিংয়ের দরকার, সেই মিটিং পর্যন্তও তাঁরা অপেক্ষা করতে রাজি নন।
গ্যাস ট্রান্সমিশন কোম্পানিতে (জিটিসিএল) হয়রানিমূলক বদলি এবং পদোন্নতি থেকে বঞ্চিতরা যেমন মব সৃষ্টি করে প্রতিকার চাইছেন, তেমনি সেখানকার একশ্রেণির কর্মকর্তা-কর্মচারী অনৈতিক সুবিধা বহাল রাখার জন্যও সোচ্চার হয়ে উঠেছেন। গ্যাস বিতরণ কোম্পানিগুলোকে যেসব পয়েন্ট থেকে জিটিসিএল গ্যাস সরবরাহ করে সেই সব পয়েন্টে কোনো মিটারিং ব্যবস্থা না থাকায় কোন কোম্পানিকে জিটিসিএল কতটুকু গ্যাস দিচ্ছে তার সঠিক হিসাব পাওয়া যায় না।
এই মিটারিং ব্যবস্থা না থাকার সুযোগ নিয়ে জিটিসিএল সঞ্চালন লাইনের সিস্টেম লসও বিতরণ কোম্পানিগুলোর ওপর চাপিয়ে দেয়। ফলে জিটিসিএলকে কোনো সিস্টেম লসের দায় নিতে হয় না। তাদের মুনাফা বাড়ে এবং তা এতটাই বাড়ে যে জিটিসিএলের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা প্রতিবছর শ্রেণিভেদে দুই থেকে ছয় লাখ টাকা অতিরিক্ত বোনাস পান।
অপরদিকে ক্ষতিগ্রস্ত হয় বিতরণ কোম্পানিগুলো। এই বৈষম্য নিরসনের জন্য বিতরণ কোম্পানিগুলোর দাবির মুখে পেট্রোবাংলা মিটারিং সিস্টেম প্রবর্তনের উদ্যোগ নিয়েছে। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতির সুযোগ নিয়ে এর বিরুদ্ধেও এখন মব সৃষ্টি করা হচ্ছে জিটিসিএলে।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে মব সৃষ্টি করে কোনো কোনো শিক্ষককে জোর করে পদত্যাগ করানো হচ্ছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে এবং ঘটে চলেছে ব্যাপকভাবে। সরকার এবং বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন কোনো তরফ থেকেই এ ব্যাপারে কোনো কথা বা বক্তব্য শোনা যাচ্ছে না। কথা না বলে যে তাঁরা এই পরিস্থিতি নিরসনে কাজ করছেন, তেমনও শোনা যাচ্ছে না। এ ধরনের অস্থিরতা ও নৈরাজ্যের অবিলম্বে অবসান হওয়া দরকার।
অনেকের মনে হতে পারে কিংবা অনেকে বলতেও পারেন যে প্রবল ছাত্র-জনতার গণ-আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত স্বাধীনতা অর্জনের (দ্বিতীয় স্বাধীনতা) মতো একটি সর্বব্যাপী ঘটনার পর এ ধরনের কিছু বিশৃঙ্খলা অস্বাভাবিক নয়। অনেকে আবার একাত্তর সালে স্বাধীনতা-পরবর্তী দেশের বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সঙ্গেও এর তুলনা করতে পারেন। কিন্তু মনে রাখা দরকার, ন্যায্যতার বিচারে আপেলের সঙ্গে আপেলেরই তুলনা হতে পারে। সব ফলের রং, স্বাদ কিংবা পুষ্টিগুণ এক রকম হয় না।
লেখক: জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫বাসস, ঢাকা

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের ট্রাইব্যুনাল-১-এ মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা (আইও) মো. আলমগীরের জেরা শুরু করেন রাষ্ট্র নিযুক্ত আইনজীবী আমীর হোসেন। আইনজীবী আমীর হোসেন পলাতক আসামি শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের পক্ষে শুনানি করছেন। এর আগে গত মঙ্গলবার তদন্তকারী কর্মকর্তা মো. আলমগীরের সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হয়।
এই মামলার শুনানিতে এর আগে গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম প্রতীক শহীদ আবু সাঈদের বাবাসহ স্বজনহারা পরিবারের একাধিক সদস্য সাক্ষ্য দিয়েছেন। এ ছাড়া মামলার গুরুত্বপূর্ণ ‘স্টার উইটনেস’ হিসেবে সাক্ষ্য দেন জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) আহ্বায়ক এবং জুলাই আন্দোলনের অন্যতম নেতৃত্বদানকারী নাহিদ ইসলাম এবং দৈনিক আমার দেশ পত্রিকার সম্পাদক ড. মাহমুদুর রহমান।
গত বছরের জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন দমনে আওয়ামী লীগ সরকার, তাদের দলীয় ক্যাডার ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি অংশ গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধ সংঘটিত করে বলে অভিযোগ ওঠে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে শেখ হাসিনা, তৎকালীন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল এবং তৎকালীন আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে গত ১০ জুলাই অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন ট্রাইব্যুনাল-১।
পরবর্তীকালে, এই মামলার অন্যতম আসামি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে রাজসাক্ষী (অ্যাপ্রোভার) হওয়ার জন্য ট্রাইব্যুনালে আবেদন করেন। ট্রাইব্যুনাল তাঁর আবেদন মঞ্জুর করলে তিনি রাজসাক্ষী হিসেবে এই মামলায় সাক্ষ্য দেন।
মামলার প্রসিকিউশন পক্ষে শুনানি করছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম, প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম এবং গাজী এসএইচ তামিম। শুনানিতে তাঁদের সঙ্গে অপর প্রসিকিউটররাও উপস্থিত ছিলেন।
অন্যদিকে, এই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের পক্ষে আছেন আইনজীবী যায়েদ বিন আমজাদ।
মানবতাবিরোধী অপরাধের এই মামলা ছাড়াও ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে আরও দুটি মামলা বিচারাধীন। এর মধ্যে একটি মামলায় আওয়ামী লীগের সাড়ে ১৫ বছরের শাসনামলে সংঘটিত গুম-খুনের ঘটনায় তাঁকে আসামি করা হয়েছে। অন্য মামলাটি হলো রাজধানীর মতিঝিলের শাপলা চত্বরে হেফাজতে ইসলামের সমাবেশে হত্যাকাণ্ড নিয়ে। এই তিনটি মামলার বিচারকাজই বর্তমানে দুটি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে চলমান।

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
২৬ আগস্ট ২০২৪
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর সঙ্গে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন, উৎপাদন, মৎস্যসম্পদ সংরক্ষণ ও টেকসই মৎস্য আহরণের জন্য সমুদ্রে সব ধরনের মাছ শিকার ৫৮ দিনের নিষেধাজ্ঞা গতকাল বুধবার দিবাগত মধ্যরাতে শেষ হয়েছে। তাই গতকাল দিনভর ছিল উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে ব্যস্ততা। অনেকে দেখে নিচ্ছিলেন ট্রলার ঠিকঠাক আছে কি না, কেউ জালের ছেঁড়া অংশ সেলাই করছিলেন, কেউ আবার প্রয়োজনীয় খাদ্যসামগ্রীসহ অন্য সরঞ্জাম গুছিয়ে নিচ্ছিলেন।
বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্র এবং ফকিরহাট উপ-মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের ঘাটে গতকাল শত শত ট্রলার নোঙর করে রাখা ছিল। জেলেদের উপস্থিতিতে ঘাট এলাকা সরগরম হয়ে ওঠে। ফকিরহাটের মুদি-মনিহারি দোকানগুলোতে জেলেরা কেনাকাটা করতে ভিড় জমান। ফকিরহাট এলাকার বিসমিল্লাহ ট্রলারের মাঝি রহিম মিয়া বলেন, ‘সাগরে মাছ শিকারে যেতে সকল প্রস্তুতি নিয়েছি। নিষেধাজ্ঞার সময় শেষ হওয়ামাত্রই সাগরে নামব।’
জেলে নুরসাইদ ও ফোরকান মিয়া বলেন, ‘নিষেধাজ্ঞার সময় পরিবার-পরিজন নিয়ে বেশ কষ্টে কেটেছে। ওই সময়ে বেশ টাকা ঋণ করেছি। এখন সাগরে যাব। দেখি আল্লাহ ঋণ পরিশোধ করতে দেন কি না।’
নোয়াখালীর হাতিয়ার সূর্যমুখী, বাংলাবাজার, কাজিরবাজার, পাইতান মার্কেট চেয়ারম্যান ঘাটসহ বেশ কয়েকটি ঘাটে গতকাল জেলেদের ব্যস্ত সময় পার করতে দেখা গেছে। অনেকে নৌকায় জাল তুলছিলেন, আবার অনেকে জ্বালানি তেল মজুতসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী ট্রলারে নিয়ে যান। সূর্যমুখী ঘাটের এমভি মায়ের দোয়া ট্রলারের মাঝি জাফর উল্যা বলেন, ‘সাগরে ৮-১০ দিন থাকার প্রস্তুতি নিচ্ছি। সন্ধ্যায় সাগরের উদ্দেশে রওনা দেব।’
সূর্যমুখী ঘাট জেলে সমিতির সভাপতি জবিয়ল হক বলেন, ‘সাগরে নামতে প্রস্তুত নোয়াখালীর হাতিয়ার ২০টি ঘাটের লক্ষাধিক জেলে। এসব ঘাটে প্রায় ১০ হাজার ছোট-বড় ফিশিং ট্রলার রয়েছে। প্রতি ট্রলারে ১০ জন হলেও লক্ষাধিক জেলে এই মাছ ধরার সঙ্গে জড়িত। তাঁদের সবাই গত ৫৮ দিন তীরে বেকার ছিলেন।’
পিরোজপুরের ইন্দুরকানি উপজেলার পাড়েরহাট মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রের পার্শ্ববর্তী এলাকার জেলেরা গতকাল দিনভর সাগরে যাওয়ার প্রস্তুতি নেন। এ ছাড়া মঠবাড়িয়া উপজেলার সাপলেজা, খেতাচিড়া, বড়মাছুয়া, ছোটমাছুয়া, ভান্ডারিয়া উপজেলার চরখালী, হেতালিয়া, কাউখালী উপজেলার সোনাকুর এলাকার জেলেরা, সদর উপজেলা এবং নেছারাবাদ উপজেলার বিভিন্ন এলাকার জেলেরা প্রস্তুতি শেষে গত রাতে বঙ্গোপসাগরে রওনা হন।
কয়েক দিন ধরে কক্সবাজার উপকূলের জেলেপল্লিগুলোতে নৌকা, জাল মেরামতসহ বিভিন্ন প্রস্তুতি সেরেছেন জেলেরা। গতকাল মেরিন ড্রাইভের টেকনাফের খুরেরমুখ, সাবরাং ও বাহারছড়া এলাকায় দেখা গেছে, সড়কে দাঁড় করিয়ে রাখা সারি সারি ট্রলারে জাল ও রসদ তোলেন জেলেরা।
একটি ট্রলারের মাঝি আবু তাহের জানান, এবার ভারতের সঙ্গে মিল রেখে নিষেধাজ্ঞা দেওয়ায় কেউ সাগরে মাছ শিকারে নামেনি। এতে উপকূলের কাছাকাছি সাগরে জাল ফেললেই ইলিশসহ অন্য মাছ পাওয়া যাবে বলে আশাবাদী তিনি।
কক্সবাজার শহরের ফিশারি ঘাটের মৎস্য ব্যবসায়ী সমিতির পরিচালক জুলফিকার আলী জানান, কক্সবাজার উপকূলে ছোট-বড় ৭ হাজারের মতো যান্ত্রিক ট্রলার রয়েছে। এসব ট্রলারে প্রায় এক লাখ জেলে ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন। অধিকাংশ ট্রলার নিষেধাজ্ঞা ওঠার সঙ্গে সঙ্গে সাগরে রওনা হবে।
[প্রতিবেদন তৈরিতে তথ্য দিয়ে সহায়তা করেছেন বরগুনা ও আমতলী, পিরোজপুর, কক্সবাজার এবং হাতিয়া প্রতিনিধি]

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
২৬ আগস্ট ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
ভারতের নিষেধাজ্ঞার এক দিন পরই গত রোববার লালমনিরহাটের বুড়িমারী ও যশোরের বেনাপোল স্থলবন্দরসহ বিভিন্ন বন্দরে পণ্যের ট্রাক আটকে দেয় ভারত। সংশ্লিষ্টদের সূত্রে জানা যায়, রোববার ভারতের আমদানি বিধিনিষেধের কারণে বুড়িমারী সীমান্তে প্রাণের ১৭ ট্রাক খাদ্যপণ্য আটকে যায়। এ ছাড়া বেনাপোলে ৩৬টি পোশাক বোঝাই ট্রাকসহ অন্যান্য পণ্যের শতাধিক ট্রাক ঢুকতে পারেনি।
গতকাল সোমবার পর্যন্ত বুড়িমারী থেকে প্রাণের পণ্যবোঝাই ট্রাকগুলোর অর্ধেকের বেশি ফেরত নিয়ে আসে প্রতিষ্ঠানটি। এ ছাড়া বেনাপোলে পোর্টের ভেতরে ২৪টি ট্রাক ছাড়া বাকিগুলো ফেরত চলে যায়।
বেনাপোল বন্দর সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মো. সাজেদুর রহমান গতকাল সোমবার আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল পোর্টের ভেতর ও বাইরে শতাধিক ট্রাক দাঁড়িয়ে ছিল। আজ পোর্টের ভেতরের ২৪টি ছাড়া বাকিগুলো ফেরত নিয়ে গেছেন মালিকেরা। এখন পর্যন্ত মনে হচ্ছে, পোর্টের ভেতরের ট্রাকগুলোও ফেরত নিতে হবে।
জানতে চাইলে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) কামরুজ্জামান কামাল আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের হাতে ৬ মিলিয়ন ডলারের ক্রয় আদেশ রয়েছে। তার মধ্য থেকে রোববার বুড়িমারী দিয়ে ১৭ ট্রাকবোঝাই পণ্য পাঠিয়েছিলাম। কিন্তু সেগুলো ঢুকতে পারেনি। ট্রাকগুলো ফেরত আনা হচ্ছে। নতুন করে কাগজপত্র তৈরি করে অন্য পথ দিয়ে পণ্য পাঠাতে হবে।’
বেনাপোল স্থলবন্দর সূত্রে জানা যায়, ওই ২৪টি ট্রাক পোর্টের ভেতরে থাকায় এখনো তারা ভারতে প্রবেশের অপেক্ষায় রয়েছে। তাদের আশা, যেহেতু নিষেধাজ্ঞার আগে এই পণ্যগুলোর এলসি করা হয়েছিল, তাই এগুলো প্রবেশে অনুমতি পাবে। তবে এটি নির্ভর করবে বাংলাদেশ সরকারের আলোচনার ওপর।
এমন পরিস্থিতিতে সরকারের সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় রয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ইতিমধ্যে অনেক রপ্তানিকারক রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সঙ্গে আলোচনা করে সরকারের সহযোগিতা চেয়েছে।
স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে আজ মঙ্গলবার আন্তমন্ত্রণালয়ের সভা ডেকেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।
বাণিজ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, স্থলবন্দরের মাধ্যমে পণ্য রপ্তানির ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জসমূহ এবং আশু করণীয় নির্ধারণে বাণিজ্যসচিবের সভাপতিত্বে বিকেল ৪টায় আন্তমন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হবে।
সভায় নৌপরিবহন ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, বাংলাদেশ ট্রেড অ্যান্ড ট্যারিফ কমিশন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড, বাংলাদেশ স্থলবন্দর কর্তৃপক্ষ, রপ্তানি উন্নয়ন ব্যুরো, জাতীয় ভোক্তা-অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তরের প্রতিনিধিদের উপস্থিত থাকতে বলা হয়েছে। এ ছাড়া ব্যবসায়ী প্রতিনিধি হিসেবে এফবিসিসিআই, বিজিএমইএ, ভারত-বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির প্রতিনিধিদের উপস্থিতির জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
ভারতের শিল্প ও বাণিজ্য মন্ত্রণালয় গত শনিবার হঠাৎ এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি নিষিদ্ধ করে। শুধু ভারতের নবসেবা ও কলকাতা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে দেশটির আমদানিকারকেরা বাংলাদেশ থেকে তৈরি পোশাক আমদানি করতে পারবেন বলে ওই বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়। এ ছাড়া বাংলাদেশ থেকে ভারতের আসাম, মেঘালয়, ত্রিপুরা ও মিজোরাম, পশ্চিমবঙ্গের চ্যাংড়াবান্দা ও ফুলবাড়ী শুল্ক স্টেশন দিয়ে ফল, ফলের স্বাদযুক্ত পানীয়, কোমল পানীয়, প্রক্রিয়াজাত খাদ্য, প্লাস্টিক পণ্য, সুতা, সুতার উপজাত, আসবাব রপ্তানিও নিষিদ্ধ করা হয় ওই বিজ্ঞপ্তিতে।
আমদানি ও রপ্তানিসংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, দেশের ২৪টি বন্দরের মধ্যে ১৬টি বন্দর দিয়ে ভারতের সঙ্গে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়ে থাকে। তবে যোগাযোগব্যবস্থা সহজ হওয়ায় বেনাপোল ও ভারতের পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে সবচেয়ে বেশি আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য হয়। এর পরিমাণ ৮০ শতাংশ। বেনাপোল বন্দর দিয়ে প্রতিদিন ভারতে ২৫০ থেকে ৩০০ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য রপ্তানি হয়। এর মধ্যে শতাধিক ট্রাক পণ্য থাকে তৈরি পোশাক।
এর আগে গত ৮ এপ্রিল বাংলাদেশের জন্য ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বাতিল করে ভারত। ফলে ভারতের বিমানবন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে তৈরি পোশাক রপ্তানি করতে পারছে না বাংলাদেশ। অন্যদিকে প্রায় এক মাস আগে ভারত থেকে বেনাপোল, ভোমরা, সোনামসজিদ, বাংলাবান্ধা, বুড়িমারী স্থলবন্দর দিয়ে সুতা আমদানির সুযোগ বন্ধ করে দেয় বাংলাদেশের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)।
সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) বিশেষ ফেলো মোস্তাফিজুর রহমানের মতে, এই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপে তুলনামূলকভাবে বেশি নেতিবাচক প্রভাব পড়বে বাংলাদেশের ওপর। তাই ভারতের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ঘাটতি কমানোর চেষ্টা অব্যাহত রাখাই সরকারের উচিত বলে মনে করছেন তিনি।
মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, আলোচনার মাধ্যমে বাংলাদেশ এবং ভারতের বিরোধপূর্ণ বিষয়সমূহ মিটিয়ে ফেলতে হবে এবং দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্কের ক্ষেত্রে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে হবে। এটাই হবে উভয় দেশের জন্য কল্যাণকর।

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
২৬ আগস্ট ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
০৮ মে ২০২৫
আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

আধুনিক যুগের সবচেয়ে বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর একটি হচ্ছে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষের সঙ্গে সম্পর্কিত ঐতিহাসিক রত্নসম্ভার। গতকাল বুধবার হংকংয়ে বিখ্যাত আর্ট নিলাম কোম্পানি সাদাবি’স-এর এক নিলামে এগুলো তোলার উদ্যোগ নেওয়া হয়।
১৮৯৮ সালে ভারতের উত্তর প্রদেশের একটি ধূলিধূসর টিলা খুঁড়ে পাওয়া মূল্যবান এই রত্নগুলো এক শতাব্দীর বেশি সময় ধরে একটি বেসরকারি ব্রিটিশ সংগ্রহাগারে প্রায় দৃষ্টিচক্ষুর আড়ালে ছিল। এখন যেহেতু রত্নগুলোর হাতবদলের সময় এসেছে, তাই নতুন সংগ্রাহকেরা আগ্রহ নিয়ে এগুলো সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছেন। কিন্তু এখানে একটা অস্বস্তিও তৈরি হয়েছে।
গৌতম বুদ্ধের জন্মস্থান লুম্বিনীর কাছাকাছি, বর্তমানে ভারতের উত্তর প্রদেশে একটি ইটের ঘরের ভেতর থেকে প্রায় ১ হাজার ৮০০টি মুক্তা, রুবি, টোপাজ, নীলা ও নকশা করা সোনার পাত সংগ্রহ করা হয়েছিল। তবে এই রত্নগুলোর সঙ্গে সঙ্গে একটি খোদাই করা পাত্রে হাড়ের টুকরাও পাওয়া যায়, যেগুলোকে গৌতম বুদ্ধের দেহাবশেষ বলে শনাক্ত করা হয়। এই আবিষ্কার তখন প্রত্নতত্ত্বের জগতে ব্যাপক আলোড়ন তোলে।
সাদাবি’স এশিয়ার চেয়ারম্যান নিকোলাস চাউ মনে করেন, স্মরণকালের বিস্ময়কর প্রত্নতাত্ত্বিক আবিষ্কারগুলোর মাঝে এই রত্নসম্ভার অন্যতম। তবে এগুলো নিলামে তোলার কারণে একটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন তৈরি হয়েছে। আর তা হচ্ছে—ভারতের ইতিহাসের সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে থাকা এবং বৌদ্ধদের কাছে পবিত্র এই সম্পদ বিক্রি করা কি নৈতিকভাবে গ্রহণযোগ্য?
১৮৯৮ সালে ব্রিটিশ এস্টেট ম্যানেজার উইলিয়াম ক্ল্যাক্সটন পেপ্পে লুম্বিনির ঠিক দক্ষিণে পিপ্রাওয়ায় অবস্থিত একটি ঢিবি খনন করেন। সেখান থেকেই প্রায় ২ হাজার বছর আগের ওই নির্দশনগুলো খুঁজে পাওয়া যায়।
ইতিহাসবিদদের মতে, প্রাপ্ত রত্নসম্ভার ও দেহাবশেষ, যা তখনো পর্যন্ত অক্ষত ছিল, সেগুলো গৌতম বুদ্ধের শাক্য বংশের এবং বিশ্বব্যাপী বৌদ্ধদের ঐতিহ্য। হাড়ের নিদর্শনগুলো থাইল্যান্ড, শ্রীলঙ্কা ও মিয়ানমারের মতো দেশগুলোতে বিতরণ করা হয়েছে। এসব দেশে এখনো সেগুলোর পূজা করা হয়।

দেশব্যাপী প্রবল ছাত্র-জনতা গণ-আন্দোলনের মুখে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন এবং শেখ হাসিনা দেশান্তরি হওয়ার পর প্রায় তিন সপ্তাহ অতিবাহিত হতে চলেছে। কিন্তু সেই ৫ আগস্ট থেকে যে নৈরাজ্য ও অস্থিরতা শুরু হয়েছিল, তার অবসান এখনো হয়নি।
২৬ আগস্ট ২০২৪
গত জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ তিন আসামির বিরুদ্ধে সর্বশেষ (৫৪ তম) সাক্ষীর জেরা শুরু হয়েছে। এই মামলাটির বিচার চলছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১-এ।
০৬ অক্টোবর ২০২৫
‘দুই দিন আগেই বাড়ি থেকে পাথরঘাটায় চলে এসেছি। এখন পুরোনো জাল সেলাই করছি। এক সপ্তাহের বাজারও করে এনেছি। আজ বিকেলে সাগর মোহনায় যাব, গভীর রাত থেকে জাল ফেলব।’ কথাগুলো বলছিলেন বরগুনা সদরের বাইনচটকী এলাকার জেলে হোসেন আলী। গতকাল বুধবার সকালে বরগুনার পাথরঘাটা মৎস্য অবতরণ কেন্দ্রে কথা হয় তাঁর...
১২ জুন ২০২৫
ভারতের স্থলবন্দর নিষেধাজ্ঞার পর সীমান্তে আটকে থাকা তৈরি পোশাক, খাদ্যসহ বিভিন্ন পণ্যের ট্রাকগুলো ফেরত আনছেন রপ্তানিকারকেরা। তবে যেসব ট্রাক বন্দরে ঢুকে গিয়েছিল, সেগুলো ভারতে প্রবেশ করানোর চেষ্টা চলছে। কিন্তু শেষ পর্যন্ত এসব ট্রাক ঢুকতে পারবে কি না, তা নিয়ে সংশয় আছে।
১৯ মে ২০২৫