ঢাবি প্রতিনিধি

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে বলেও সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন—
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবিতে আমরা বাংলাদেশের ছাত্র–তরুণেরা সারা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের হায়েনারা আমাদের বোনদের নির্মমভাবে পিটিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও দমন–পীড়নে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে ছাত্রদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে আমরা সারা দেশে শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচিতে সারা বাংলার ছাত্রদের সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের নাগরিকেরা আমাদের নিরাপত্তা দিতে কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু আমরা দেখেছি সরকার শাটডাউন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন শুরু করেছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নামিয়ে কারফিউ জারি করা হয়। সেই রাতে আমরা কারফিউ ভাঙার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ঘোষণা কোনো মিডিয়ায় প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। তারপরও ছাত্র–জনতার প্রতিরোধ থামেনি।
১৯ জুলাই আমাদের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। আমাদের জবরদস্তি করে আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দেয়। আমাদের হাসপাতালে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সেটিও না পেরে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে জোর করে আমাদের থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের বক্তব্য বিশ্বাস না করে রাজপথ দখলে রেখেছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সমন্বয়কদের অনশনের কারণে সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, খুনের হিসাবটা পর্যন্ত আমরা পাইনি।
এই সরকার মানুষ খুন করেছে এবং লাশও গুম করেছে। যারা খুন করেছে, তারা কীভাবে সেই খুনের বিচার করবে? আমরা এই সরকারের কাছে খুনের বিচার প্রত্যাশা করি না। সর্বস্তরের মানুষকে খুন, গুম ও গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। একদিকে গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের সংলাপের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ নেমে এসেছিল। আমরা এই জনগণকে মুক্ত করতে এখন আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা আজকে এক দফার দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা জীবনের নিরাপত্তা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে এক দফার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সরকার এখন বলছে আলোচনার জন্য গণভবনের দরজা খোলা রয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি আগেই বুঝে গিয়েছেন যে গণভবনের দরজা খোলা রাখতেই হবে। আমরা সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না, দেশে যত খুন, গুম হয়েছে তার দায়ে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুরো মন্ত্রিপরিষদকে পদত্যাগ করতে হবে।
আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনোই কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসবে না। আমাদের এক দফা হলো, এই সরকারের পতন। এই সরকারের লুটপাট, গণহত্যাসহ সব অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা। সব রাজবন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা জনগণকে বলতে চাই, আপনারা স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র–নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে এসে যোগ দিন। পাড়ায়–পাড়ায়, মহল্লায়–মহল্লায় সংগঠিত হন। আমরা খুব দ্রুতই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাত্র–নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা শিগগিরই আপনাদের সামনে ঘোষণা করব।
আমরা জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলবে। আমরা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন করব না। যদি কোনোভাবে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ দেওয়া হয়—তা আমরা প্রত্যাখ্যান করব।
সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ ও রাজপথের কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন। নিরাপত্তা বাহিনী, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা সবার কাছে আহ্বান থাকবে, জনগণ যদি সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে, সরকার যদি জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ায়, সেই সরকারের হুকুম মানতে আপনারা আর বাধ্য নন। সরকারের সমর্থন না দিয়ে আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের আমাদের মিছিলে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা হুকুমের আসামির বিচার চাই। আপনাদের কেন খুন করতে বাধ্য করা হচ্ছে? আমরা সব গণহত্যার বিচার করবই।
আমরা সরকার ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ ঘোষণা করছি। এ জন্য ছাত্র–নাগরিকের অভ্যুত্থান আহ্বান করছি।
পরবর্তীকালে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জরুরি নির্দেশনা দিয়ে আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন—
কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না। সব ধরনের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস–আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
আসিফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না। সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না। দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকেরা কেউ কাজে যাবেন না। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংক খোলা থাকবে। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা–পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে। বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্র্যানজেকশন বন্ধ থাকবে। বিলাসদ্রব্যের দোকান, শোরুম, বিপণিবিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১–১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা, যেমন—ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তাঁর মন্ত্রিসভার সব সদস্যের পদত্যাগ দাবিতে আগামীকাল রোববার সারা দেশে সর্বাত্মক অসহযোগ শুরু হবে বলেও সমাবেশ থেকে ঘোষণা দেন আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম বলেন—
কোটা সংস্কার ও মেধাভিত্তিক সমাজ গঠনের দাবিতে আমরা বাংলাদেশের ছাত্র–তরুণেরা সারা বাংলাদেশে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করেছিলাম। আমাদের ন্যায্য ও যৌক্তিক আন্দোলনে ছাত্রলীগের হায়েনারা আমাদের বোনদের নির্মমভাবে পিটিয়েছে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকেও দমন–পীড়নে কাজে লাগিয়ে সারা দেশে ছাত্রদের ওপর নির্মম অত্যাচার করা হয়েছে। যার প্রতিবাদে আমরা সারা দেশে শাটডাউন কর্মসূচি দিয়েছিলাম। সেই কর্মসূচিতে সারা বাংলার ছাত্রদের সঙ্গে অভিভাবক, শিক্ষক, শ্রমিকসহ সর্বস্তরের নাগরিকেরা আমাদের নিরাপত্তা দিতে কর্মসূচিতে যোগ দেন। কিন্তু আমরা দেখেছি সরকার শাটডাউন কর্মসূচিতে ইন্টারনেট বন্ধ করে দিয়ে ডিজিটাল ক্র্যাকডাউন শুরু করেছিল। পুলিশ ও সেনাবাহিনীকে নামিয়ে কারফিউ জারি করা হয়। সেই রাতে আমরা কারফিউ ভাঙার ঘোষণা দিয়েছিলাম। কিন্তু সেই ঘোষণা কোনো মিডিয়ায় প্রচার করতে দেওয়া হয়নি। তারপরও ছাত্র–জনতার প্রতিরোধ থামেনি।
১৯ জুলাই আমাদের সমন্বয়কদের তুলে নিয়ে গিয়ে নির্মমভাবে নির্যাতন করা হয়। আমাদের জবরদস্তি করে আন্দোলন প্রত্যাহার ও সরকারের সঙ্গে সংলাপের প্রস্তাব দেয়। আমাদের হাসপাতালে জিম্মি করে রাখা হয়েছিল। সেটিও না পেরে ডিবি অফিসে তুলে নিয়ে জোর করে আমাদের থেকে আন্দোলন প্রত্যাহারের ঘোষণা দেওয়ানো হয়েছে। কিন্তু সাধারণ শিক্ষার্থীরা আমাদের বক্তব্য বিশ্বাস না করে রাজপথ দখলে রেখেছিল। আমাদের প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে নিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করা হয়েছিল। শিক্ষার্থীদের আন্দোলন ও সমন্বয়কদের অনশনের কারণে সেই পরিকল্পনা নস্যাৎ হয়ে গিয়েছিল। স্পষ্টভাবে বলতে চাই, খুনের হিসাবটা পর্যন্ত আমরা পাইনি।
এই সরকার মানুষ খুন করেছে এবং লাশও গুম করেছে। যারা খুন করেছে, তারা কীভাবে সেই খুনের বিচার করবে? আমরা এই সরকারের কাছে খুনের বিচার প্রত্যাশা করি না। সর্বস্তরের মানুষকে খুন, গুম ও গ্রেপ্তার করে নির্যাতন করা হচ্ছে। একদিকে গ্রেপ্তার নির্যাতন করা হচ্ছে, অন্যদিকে আমাদের সংলাপের জন্য আহ্বান জানানো হচ্ছে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে বাংলাদেশের জনগণ নেমে এসেছিল। আমরা এই জনগণকে মুক্ত করতে এখন আমরা রাস্তায় নেমেছি। আমরা আজকে এক দফার দাবিতে এখানে হাজির হয়েছি। আমরা জীবনের নিরাপত্তা, বাংলাদেশের মানুষের জীবনের নিরাপত্তা, সমাজে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার জন্য সমাজে এক দফার সিদ্ধান্তে উপনীত হয়েছি। সরকার এখন বলছে আলোচনার জন্য গণভবনের দরজা খোলা রয়েছে। আমরা মনে করি, তিনি আগেই বুঝে গিয়েছেন যে গণভবনের দরজা খোলা রাখতেই হবে। আমরা সরকারের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি। শুধু পদত্যাগ করলেই হবে না, দেশে যত খুন, গুম হয়েছে তার দায়ে তাঁকে বিচারের আওতায় আনতে হবে। পুরো মন্ত্রিপরিষদকে পদত্যাগ করতে হবে।
আমরা এমন একটি বাংলাদেশ গঠন করতে চাই, রাজনৈতিক ব্যবস্থা তৈরি করতে চাই, যেখানে আর কখনোই কোনো ধরনের স্বৈরতন্ত্র ফিরে আসবে না। আমাদের এক দফা হলো, এই সরকারের পতন। এই সরকারের লুটপাট, গণহত্যাসহ সব অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা। সব রাজবন্দীর মুক্তি নিশ্চিত করতে হবে।
আমরা জনগণকে বলতে চাই, আপনারা স্বতঃস্ফূর্ত ছাত্র–নাগরিক অভ্যুত্থান শুরু হয়েছে, তার সঙ্গে এসে যোগ দিন। পাড়ায়–পাড়ায়, মহল্লায়–মহল্লায় সংগঠিত হন। আমরা খুব দ্রুতই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্ল্যাটফর্ম থেকে ছাত্র–নাগরিক অভ্যুত্থানের জন্য সর্বস্তরের নাগরিক, ছাত্রসংগঠন ও সব পেশাজীবী মানুষের সঙ্গে মিলে সম্মিলিত মোর্চা ঘোষণা করব। সবার সঙ্গে আলোচনার মাধ্যমে ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জাতীয় রূপরেখা শিগগিরই আপনাদের সামনে ঘোষণা করব।
আমরা জনগণকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলন চলবে। আমরা সরকারের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতা ও সমর্থন করব না। যদি কোনোভাবে ইন্টারনেট বন্ধ, কারফিউ দেওয়া হয়—তা আমরা প্রত্যাখ্যান করব।
সবার প্রতি আহ্বান থাকবে, আপনারা শান্তিপূর্ণভাবে অসহযোগ ও রাজপথের কর্মসূচি পালন করবেন। জনগণকে উদ্বুদ্ধ করবেন। নিরাপত্তা বাহিনী, সেনাবাহিনী, সরকারি কর্মকর্তা সবার কাছে আহ্বান থাকবে, জনগণ যদি সরকারকে প্রত্যাখ্যান করে, সরকার যদি জনগণের বিপক্ষে দাঁড়ায়, সেই সরকারের হুকুম মানতে আপনারা আর বাধ্য নন। সরকারের সমর্থন না দিয়ে আপনারা জনগণের পাশে দাঁড়ান। আপনাদের আমাদের মিছিলে আসার আহ্বান জানাচ্ছি। আমরা হুকুমের আসামির বিচার চাই। আপনাদের কেন খুন করতে বাধ্য করা হচ্ছে? আমরা সব গণহত্যার বিচার করবই।
আমরা সরকার ও ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থার বিলোপ ঘোষণা করছি। এ জন্য ছাত্র–নাগরিকের অভ্যুত্থান আহ্বান করছি।
পরবর্তীকালে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের জরুরি নির্দেশনা দিয়ে আরেক সমন্বয়ক আসিফ মাহমুদ বলেন—
কেউ কোনো ধরনের ট্যাক্স বা খাজনা প্রদান করবেন না। বিদ্যুৎ বিল, গ্যাস বিল, পানির বিলসহ কোনো ধরনের বিল পরিশোধ করবেন না। সব ধরনের সরকারি–বেসরকারি প্রতিষ্ঠান, অফিস–আদালত ও কলকারখানা বন্ধ থাকবে। আপনারা কেউ অফিসে যাবেন না, মাস শেষে বেতন তুলবেন।
আসিফ বলেন, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। প্রবাসীরা ব্যাংকিং চ্যানেলে কোনো ধরনের রেমিট্যান্স দেশে পাঠাবেন না। সব ধরনের সরকারি সভা, সেমিনার, আয়োজন বর্জন করবেন। বন্দরের কর্মীরা কাজে যোগ দেবেন না। কোনো ধরনের পণ্য খালাস করবেন না। দেশের কোনো কলকারখানা চলবে না, গার্মেন্টসকর্মী ভাইবোনেরা কাজে যাবেন না। গণপরিবহন বন্ধ থাকবে, শ্রমিকেরা কেউ কাজে যাবেন না। জরুরি ব্যক্তিগত লেনদেনের জন্য প্রতি সপ্তাহের রোববারে ব্যাংক খোলা থাকবে। পুলিশ সদস্যরা রুটিন ডিউটি ছাড়া কোনো ধরনের প্রটোকল ডিউটি, রায়ট ডিউটি ও প্রটেস্ট ডিউটিতে যাবেন না। শুধু থানা–পুলিশ নিয়মিত থানার রুটিন ওয়ার্ক করবে। বিজিবি ও নৌবাহিনী ছাড়া অন্যান্য বাহিনী ক্যান্টনমেন্টের বাইরে ডিউটি পালন করবে না। বিজিবি ও নৌবাহিনী ব্যারাক ও কোস্টাল এলাকায় থাকবে। আমলারা সচিবালয়ে যাবেন না, ডিসি বা উপজেলা কর্মকর্তারা নিজ নিজ কার্যালয়ে যাবেন না। দেশ থেকে যেন একটি টাকাও পাচার না হয়, সব অফশোর ট্র্যানজেকশন বন্ধ থাকবে। বিলাসদ্রব্যের দোকান, শোরুম, বিপণিবিতান, হোটেল, মোটেল, রেস্টুরেন্ট অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ থাকবে। নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের দোকানপাট বেলা ১১–১টা পর্যন্ত খোলা থাকবে।
তবে হাসপাতাল, ফার্মেসি, জরুরি পরিবহন সেবা, যেমন—ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম পরিবহন, অ্যাম্বুলেন্স সেবা, ফায়ার সার্ভিস, গণমাধ্যম, নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য পরিবহন, জরুরি ইন্টারনেট সেবা, জরুরি ত্রাণসহায়তা এবং এই খাতে কর্তব্যরত কর্মকর্তা-কর্মচারী পরিবহন সেবা চালু থাকবে।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
আজ রোববার অন্তর্বর্তী সরকারের আইন ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা আসিফ নজরুল তাঁর ব্যক্তিগত ফেসবুক পোস্টে এ তথ্য জানিয়েছেন।
উপদেষ্টা আসিফ নজরুল জানান, আজ থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত বোর্ড থেকে দাওরায়ে হাদিস সনদধারী ব্যক্তিরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার (কাজী) পদে আবেদন করার সুযোগ পাচ্ছেন।
এত দিন পর্যন্ত এই পদে আবেদনের সুযোগ কেবল আলিম সনদধারী ব্যক্তিদের জন্য সীমাবদ্ধ ছিল। আইন মন্ত্রণালয় সংশ্লিষ্ট আইন সংশোধন করার মাধ্যমে কওমি মাদ্রাসার উচ্চ ডিগ্রি অর্জনকারীদের জন্য এই গুরুত্বপূর্ণ পদটি উন্মুক্ত করে দিল। এই সংশোধনের ফলে কওমির ডিগ্রিধারীরা সরকারিভাবে স্বীকৃত এই পেশায় যুক্ত হওয়ার সুযোগ পেলেন।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
০৩ আগস্ট ২০২৪
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
আজ সকালে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে প্রথম ধাপে দাফন করা অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের লাশ উত্তোলন ও শনাক্তের জন্য নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করে সিআইডি। সিআইডি সূত্র জানায়, এই কবরস্থানে বেশ কয়েকটি অজ্ঞাতনামা লাশ দাফন করা হয়েছিল। পর্যায়ক্রমে অন্যান্য স্থানে দাফন করা লাশগুলো থেকেও নমুনা সংগ্রহ করা হবে। নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করা এবং স্বজনদের হাতে লাশ হস্তান্তরের লক্ষ্যেই এই বৃহৎ পরিসরের ফরেনসিক কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে।

সিআইডির প্রধান অতিরিক্ত আইজিপি মো. ছিবগাত উল্লাহ এ প্রসঙ্গে জানান, নিহত অজ্ঞাতনামাদের লাশ দ্রুত শনাক্ত করতে একটি বিশেষ আন্তবিভাগীয় টিম গঠন করা হয়েছে। এই টিমে দেশি বিশেষজ্ঞ ছাড়াও আন্তর্জাতিক মানের ফরেনসিক বিশেষজ্ঞরা রয়েছেন। তাঁরা অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে প্রতিটি লাশের নমুনা সংগ্রহ করে ডিএনএ প্রোফাইল তৈরি করবেন। এরপর নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের সংগৃহীত ডিএনএ নমুনার সঙ্গে এই প্রোফাইলগুলো ম্যাচ করে দেখা হবে।
এই ফরেনসিক তদন্তপ্রক্রিয়ায় সিআইডির বিশেষজ্ঞ টিমের সঙ্গে নিবিড় সহযোগিতা করতে রয়েছেন খ্যাতনামা ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ ড. লুইস ফন্ডব্রাইডার। ফরেনসিক সায়েন্স ও ডিএনএ অ্যানালাইসিসে তাঁর দীর্ঘ অভিজ্ঞতা এই শনাক্তকরণ প্রক্রিয়াকে আরও নির্ভুল ও দ্রুত করতে সহায়ক হবে বলে আশা করা হচ্ছে।

সিআইডি সূত্রে আরও জানা যায়, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় দেশের বিভিন্ন স্থানে মোট ১১৪ জন অজ্ঞাতপরিচয় নিহত ব্যক্তির লাশ দাফন করা হয়েছিল। এই ১১৪ জনের লাশের পরিচয় শনাক্তের জন্য সিআইডি কাজ শুরু করেছে।
লাশ শনাক্তকরণের এই উদ্যোগকে কেন্দ্র করে দীর্ঘদিন ধরে নিখোঁজ স্বজনের অপেক্ষায় থাকা পরিবারগুলোর মধ্যে নতুন করে আশা জেগেছে। সিআইডি নিখোঁজ পরিবারগুলোর সদস্যদের ডিএনএ নমুনা সংগ্রহের জন্য একটি সুনির্দিষ্ট প্রক্রিয়া ঘোষণা করবে, যাতে তাঁরা সরকারি নির্দেশিকা মেনে দ্রুত নমুনা জমা দিতে পারেন এবং তাঁদের প্রিয়জনের পরিচয় নিশ্চিত করা যায়।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
০৩ আগস্ট ২০২৪
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৩ মিনিট আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ফৌজদারি তদন্ত বিভাগের (সিআইডি) বিশেষ পুলিশ সুপার মো. জসিম উদ্দিন খান বলেন, ‘ঢাকার একটি আদালতের আদেশ অনুযায়ী রোববার রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই শহীদদের মরদেহ উত্তোলনের প্রস্তুতি সম্পন্ন করা হয়েছে।’
জসিম উদ্দিন জানান, রোববার সকালে মরদেহ উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হবে। ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ ও ময়নাতদন্ত শেষে মরদেহগুলো যথাযথ মর্যাদায় পুনরায় দাফন করা হবে।
সিআইডির অতিরিক্ত আইজিপি (প্রধান) মো. সিবগত উল্লাহ আজ রোববার সকাল সাড়ে ৯টায় রায়েরবাজার স্মৃতিসৌধসংলগ্ন কবরস্থানে মরদেহ উত্তোলন শুরুর আগে সাংবাদিকদের ব্রিফ করবেন। এই কার্যক্রমে ফরেনসিক বিশেষজ্ঞ লুই ফন্দেব্রাইডার এবং ফরেনসিক নৃবিজ্ঞানীদের একটি দল উপস্থিত থাকবে।
সিআইডি কর্মকর্তারা জানান, বিভাগটির অপরাধ দৃশ্য ইউনিট কবরস্থানে তাঁবু ও প্রয়োজনীয় সরঞ্জাম স্থাপন করেছে, যাতে মরদেহ উত্তোলনের কাজ নির্বিঘ্নে সম্পন্ন করা যায়।
গত ৪ আগস্ট মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মাহিদুল ইসলামের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান ১১৪টি মরদেহ উত্তোলনের নির্দেশ দেন। আদালতের আদেশ অনুযায়ী, ২০২৪ সালের জুলাইয়ের গণ-অভ্যুত্থানে নিহত অজ্ঞাত শহীদদের পরিচয় শনাক্তের জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত বছর বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন শহীদকে অজ্ঞাত পরিচয়ে মোহাম্মদপুরের রায়েরবাজার কবরস্থানে দাফন করা হয়।
পুলিশের আবেদনে বলা হয়, ‘ভবিষ্যতে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং নিহত ব্যক্তিদের পরিচয় নিশ্চিত করার জন্য সঠিক আইনগত প্রক্রিয়ায় মরদেহ উত্তোলন, ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ নমুনা সংগ্রহ জরুরি।’
আবেদনে আরও বলা হয়, ‘ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার পর নিহত ব্যক্তিদের মরদেহ সংশ্লিষ্ট পরিবারের কাছে হস্তান্তর করাও প্রয়োজন।’

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
০৩ আগস্ট ২০২৪
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন।
৮ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া উড়োজাহাজে দীর্ঘ পথ ভ্রমণে সক্ষম না হওয়ায় চিকিৎসার জন্য তাঁর লন্ডনযাত্রা বিলম্বিত হচ্ছে বলে জানিয়েছে চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড। গতকাল শনিবার বিকেলে রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালের সামনে সাংবাদিকদের কাছে এ কথা জানান মেডিকেল বোর্ডের সদস্য এ জেড এম জাহিদ হোসেন। উন্নত চিকিৎসার জন্য গত শুক্রবারই খালেদা জিয়াকে নিয়ে চিকিৎসকদের লন্ডনে রওনা হওয়ার কথা থাকলেও পরে তা বাতিল ঘোষণা করা হয়। আজ রোববার যাত্রা করার কথা থাকলেও তা হচ্ছে না।
এদিকে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী বলেছেন, এয়ার অ্যাম্বুলেন্সবিষয়ক প্রস্তুতি সম্পন্ন। মেডিকেল বোর্ড পরামর্শ দিলেই ঢাকায় চলে আসবে কাতারের আমিরের ব্যবস্থা করা অ্যাম্বুলেন্সটি।
গত ২৩ নভেম্বর থেকে এভারকেয়ার হাসপাতালে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় চিকিৎসাধীন আছেন ৮০ বছর বয়সী খালেদা জিয়া। লিভার, কিডনি, ফুসফুস ও হৃদ্রোগের জটিলতায় তাঁর অবস্থা এখন সংকটাপন্ন। অধ্যাপক শাহাবুদ্দিন তালুকদারের নেতৃত্বে দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞদের নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে তাঁর চিকিৎসা চলছে। খালেদা জিয়ার বড় পুত্রবধূ মেডিকেল বোর্ডের সদস্য জুবাইদা রহমান যুক্তরাজ্য থেকে শুক্রবার ঢাকায় এসে চিকিৎসাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত হয়েছেন। লন্ডনে থাকতেও চিকিৎসা কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে আসছিলেন জুবাইদা রহমান।
সার্বিকভাবে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা আগের মতোই রয়েছে। তাঁকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে নিবিড় পর্যবেক্ষণে রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে।
বিএনপির চেয়ারপারসনকে চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে নিতে সব ধরনের প্রস্তুতি থাকলেও বিষয়টি মূলত তাঁর শারীরিক অবস্থার ওপর নির্ভর করছে বলে জানান তাঁর ব্যক্তিগত চিকিৎসক জাহিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘এয়ার অ্যাম্বুলেন্স সব সময় প্রস্তুত আছে। তবে চিকিৎসাগত দিক থেকে উনার নিরাপত্তা এবং সুরক্ষা প্রাধান্য পাচ্ছে। মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকেরাও উনার শারীরিক অবস্থার দিকে সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দিচ্ছেন।’
খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়া বিলম্বিত হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘(কাতারের আমিরের) এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের যান্ত্রিক ত্রুটি যেমন ছিল, একইভাবে মেডিকেল বোর্ডও সভা করে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল, ওই মুহূর্তে উনার ফ্লাই করা সঠিক হবে না। ভবিষ্যতে হয়তো শারীরিক অবস্থাই বলে দেবে, উনাকে কখন বিদেশে নিয়ে যাওয়া যাবে।’
জাহিদ হোসেন বলেন, ‘যেহেতু উনার স্বাস্থ্য আমাদের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার, সেহেতু বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান তদারকির পাশাপাশি চিকিৎসকদের মতামতকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন। দলও বিষয়টিতে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।’

খালেদা জিয়ার চিকিৎসা, তাঁকে দেশের বাইরে নেওয়ার বিষয়ে বিভ্রান্ত না হওয়া, গুজবে কান না দেওয়া এবং গুজব না ছড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জাহিদ হোসেন বলেন, ‘১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা যখন বিমানে ফ্লাই করবেন, তখন মানুষের শারীরিক যে পরিবর্তন হয়, তার সঙ্গে খাপ খাওয়ানো একজন অসুস্থ মানুষের পক্ষে সব সময় সম্ভব হয় না। বিষয়টি খেয়াল রেখে আপনারা দয়া করে বিভ্রান্ত হবেন না, দয়া করে কেউ বিভ্রান্তি ছড়ানোর চেষ্টা করবেন না।’
খালেদা জিয়াকে বিদেশে পাঠাতে কাতার সরকার এবং অন্তর্বর্তী সরকার সর্বোচ্চ পর্যায়ে সহযোগিতা করছে বলেও জানান খালেদা জিয়ার চিকিৎসক।
এদিকে বার্তা সংস্থা বাসস জানিয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ড সবুজসংকেত দিলেই ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেবে কাতারের ব্যবস্থা করা এয়ার অ্যাম্বুলেন্স। বাসস জানায়, বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এনামুল হক চৌধুরী এ তথ্য জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে তিনিই কাতার কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রক্ষা করছেন।
এনামুল হক চৌধুরী বলেন, মেডিকেল বোর্ড যখনই সিদ্ধান্ত জানাবে, তখনই এয়ার অ্যাম্বুলেন্স ঢাকার উদ্দেশে রওনা হবে এবং খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য লন্ডনে নিয়ে যাবে। সবকিছুই কাতার কর্তৃপক্ষের ব্যবস্থাপনায় হচ্ছে।
বিকল্প এয়ার অ্যাম্বুলেন্স আনার বিষয়টি সম্পর্কে জানতে চাইলে এনামুল হক বলেন, ‘আমরা নই, কাতার কর্তৃপক্ষই জার্মানি থেকে একটি অত্যাধুনিক এয়ার অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা করে দিচ্ছে।’
মেডিকেল বোর্ডের কয়েকজন সদস্য বাসসকে জানিয়েছেন, গত দুদিনে বোর্ড কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেছে। সেগুলোর প্রতিবেদন পর্যালোচনা করা হচ্ছে। শুক্রবার দুই দফা মেডিকেল বোর্ডের বৈঠক হয়। প্রতিদিনই খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থার নিয়মিত প্রতিবেদনগুলো পর্যালোচনা করা হচ্ছে।

কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে সরকারের পদত্যাগের এক দফা দাবি ঘোষণা করেছে কোটা সংস্কারকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা মোর্চা—বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। আজ শনিবার এক দফা দাবি ঘোষণা করেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম।
০৩ আগস্ট ২০২৪
এখন থেকে কওমি মাদ্রাসার স্বীকৃত ডিগ্রিধারীরাও নিকাহ রেজিস্ট্রার বা কাজী পদের জন্য আবেদন করতে পারবেন। এই সুযোগ তৈরির জন্য আইন মন্ত্রণালয় পুরোনো আইন সংশোধন করেছে।
৩ মিনিট আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সহিংসতায় নিহত অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের লাশ শনাক্ত করার জন্য অবশেষে নমুনা সংগ্রহের কাজ শুরু করেছে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। হাইকোর্টের নির্দেশে ফরেনসিক পরীক্ষার অনুমতি পাওয়ার পর আজ রোববার থেকে প্রক্রিয়াটি শুরু হলো।
৩ ঘণ্টা আগে
রাজধানীর রায়েরবাজার কবরস্থান থেকে জুলাই আন্দোলনের সময় নিহত ১১৪ জন অজ্ঞাতনামা শহীদের মরদেহ শনাক্তের লক্ষ্যে আজ রোববার থেকে উত্তোলন কার্যক্রম শুরু হচ্ছে। ময়নাতদন্ত ও ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে তাঁদের পরিচয় নিশ্চিত করতে এই উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
৭ ঘণ্টা আগে