
গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে একটি কৌশল ব্যবহার করে বিনামূল্যে জিমেইলে আরও ১৫ জিবি স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন।
পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো মুছে ফেলে বা ডিলিট করে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি করে থাকেন অনেকেই। তবে এভাবে ইমেইল ডিলিট করতে আপনার মূলবান সময়ের অপচয় হতে পারে। এ ছাড়া সবগুলো ইমেইলই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে গুগলের স্টোরেজ প্ল্যান কিনে জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াতে পারেন। তবে প্ল্যানগুলো খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। গুগলের ১০০ জিবি স্টোরজ প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ১৫০ টাকা, ২ টিবি (টেরাবাইট) এর জন্য মাসে ৮০০ টাকা ও ২ টিবি (টেরাবাইট) এআই প্ল্যানের এর জন্য মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এখন ভাবতে পারেন, নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেই তো হয়! তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে জিমেইল অ্যাড্রেসও পরিবর্তন হবে। সেটি সবাইকে জানাতে হবে ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিমেইল আইডি পরিবর্তন করতে হবে। তাই এটি খুব একটি কার্যকরী সমাধান নয়।
এ জন্য ইমেইলগুলো নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ও পুরোনো জিমেইল খালি করে এ সমস্যা দূর করা যায়। ফলে নতুন ইমেইলগুলো পুরোনো জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসে আসবে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টা ইমেইল খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি গুগল। ফলে নতুন অ্যাকাউন্টটি ‘আর্কাইভ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে ইমেইল স্থানান্তর করতে পারবেন ও ফলে পুরোনো জিমেইলের স্টোরেজও খালি হবে।
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবেন যেভাবে
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াটি ধৈর্য সহকারে করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত পুরোনো ইমেইল হারিয়ে না যায়, এ জন্য নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার আগে এগুলো কপি কম্পিউটার বা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে রাখতে হয়। ইমেইলগুলো স্থানান্তরের পর এসব ব্যাকআপ ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।
গুগল টেকআউট ব্যবহার করে এসব ইমেইল একই সঙ্গে ডাউনলোড করা যায়। ইন্টারনেটের গতি ও ইমেইলের সংখ্যার ওপর ডাউনলোডের সময় নির্ভর করবে।
এখন পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. আপনার প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টে কোনো ব্রাউজার থেকে লগ ইন করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. এরপর ওপরের দিকে থাকা ট্যাবগুলো থেকে ‘POP/IMAP’ ট্যাবটি নির্বাচন করুন।
৩. ‘Enable POP for all mail’ অপশনের পাশের খালি ঘরে ক্লিক করে অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘When messages are accessed with POP’ এর পাশে টগল বাটনে (নিচের দিকে তীর চিহ্ন আইকোন) অনেকগুলো অপশন দেখা যাবে। ইমেইলগুলো নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর পুরোনো অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার জন্য অপশনগুলো থেকে ‘ডিলিট জিমেইলস কপি’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৫. সেভ চেঞ্জেস অপশনে ক্লিক করুন।
এখন ইমেইল স্থানান্তরের জন্য একটি নতুন ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একে ‘আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। এখন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১. নতুন আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এরপর সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনে ট্যাপ করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ এর পাশে ‘Add a mail account’ অপশনে ক্লিক করুন। এর ফলে একটি পপ আপ মেনু চালু হবে।
৪. পপ আপ উইন্ডো থেকে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসটি টাইপ করুন। এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৫. ‘ Import emails from my other account (POP3) ’ অপশন নির্বাচন করুন ও আবার ‘নেক্সট’ আইকোন ক্লিক করুন।
৬. এখন প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন। এ সময় গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হতে পারে। (গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরির প্রক্রিয়া নিচে তুলে ধরা হয়েছে)
৭. ‘পোর্ট’ অপশনের বক্সে ‘৯৯৫’ সংখ্যাটি নির্বাচন করুন।
৮. তিনটি অপশনের পাশে চেক বক্সে ক্লিক করে সেগুলো নির্বাচন করুন। অপশন গুলো হলো—‘Always use a secure connection (SSL) when retrieving mail’, ‘Label incoming messages’, ‘Archive incoming messages (Skip the Inbox) ’
৯. ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
অনেক সময় জিমেইলের ইমেইলগুলো স্থানান্তরের জন্য গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
এটি ১৬ ডিজিটের একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড তৈরি করে দেবে। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কোনো অ্যাপ অননুমোদিত অ্যাকসেস করতে না পারে সে জন্য গুগলের এই ফিচার রয়েছে।
পাসকোড তৈরির জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। নিজের প্রধান অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর পাসকোডের জন্য নাম নির্ধারণ করুন ও ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ফলে পপ আপ উইন্ডো চালু হবে ও একটি ১৬ ডিজিটের পাসকোড দেখা যাবে। পাসকোডটি কোথাও লিখে রাখুন।
এরপর ৬ নম্বর ধাপে অনুসরণ করার সময় এই পাসকোড চাইতে পারে। পুরোনো ও নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট লিংক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হবে। এ জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
সবগুলো ইমেইল স্থানান্তর হয়ে গেলে পুরোনো ইমেইলগুলো আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টের ট্র্যাশ ফোল্ডারে জমা হবে। ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে সবগুলো ইমেইল একেবারে ডিলিট করে দিলে আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টে স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে ‘ড্রাফটস’ ও ‘স্প্যাম’ গুলো শুধু স্থানান্তর হবে না। স্প্যাম মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিন পর ডিলিট করতে পারবেন। এভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো ডিলিট করতে হবে না।
এখন স্বাভাবিকভাবে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে চাইলে আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইল স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. নতুন গুগল অ্যাকাউন্টে (আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট) প্রবেশ করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ থেকে প্রধান গুগল অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দিন।
৪. এরপর ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করুন।
আর নিরাপত্তার জন্য গুগল অ্যাপ পাসকোডটিও ডিলিট করে দিতে হবে। এ জন্য আগের মতোই পাসকোড তৈরির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার তৈরি করা পাসকোডটির পাশে ট্র্যাশ আইকোন ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র: সিনেট

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে একটি কৌশল ব্যবহার করে বিনামূল্যে জিমেইলে আরও ১৫ জিবি স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন।
পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো মুছে ফেলে বা ডিলিট করে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি করে থাকেন অনেকেই। তবে এভাবে ইমেইল ডিলিট করতে আপনার মূলবান সময়ের অপচয় হতে পারে। এ ছাড়া সবগুলো ইমেইলই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে গুগলের স্টোরেজ প্ল্যান কিনে জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াতে পারেন। তবে প্ল্যানগুলো খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। গুগলের ১০০ জিবি স্টোরজ প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ১৫০ টাকা, ২ টিবি (টেরাবাইট) এর জন্য মাসে ৮০০ টাকা ও ২ টিবি (টেরাবাইট) এআই প্ল্যানের এর জন্য মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এখন ভাবতে পারেন, নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেই তো হয়! তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে জিমেইল অ্যাড্রেসও পরিবর্তন হবে। সেটি সবাইকে জানাতে হবে ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিমেইল আইডি পরিবর্তন করতে হবে। তাই এটি খুব একটি কার্যকরী সমাধান নয়।
এ জন্য ইমেইলগুলো নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ও পুরোনো জিমেইল খালি করে এ সমস্যা দূর করা যায়। ফলে নতুন ইমেইলগুলো পুরোনো জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসে আসবে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টা ইমেইল খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি গুগল। ফলে নতুন অ্যাকাউন্টটি ‘আর্কাইভ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে ইমেইল স্থানান্তর করতে পারবেন ও ফলে পুরোনো জিমেইলের স্টোরেজও খালি হবে।
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবেন যেভাবে
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াটি ধৈর্য সহকারে করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত পুরোনো ইমেইল হারিয়ে না যায়, এ জন্য নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার আগে এগুলো কপি কম্পিউটার বা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে রাখতে হয়। ইমেইলগুলো স্থানান্তরের পর এসব ব্যাকআপ ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।
গুগল টেকআউট ব্যবহার করে এসব ইমেইল একই সঙ্গে ডাউনলোড করা যায়। ইন্টারনেটের গতি ও ইমেইলের সংখ্যার ওপর ডাউনলোডের সময় নির্ভর করবে।
এখন পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. আপনার প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টে কোনো ব্রাউজার থেকে লগ ইন করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. এরপর ওপরের দিকে থাকা ট্যাবগুলো থেকে ‘POP/IMAP’ ট্যাবটি নির্বাচন করুন।
৩. ‘Enable POP for all mail’ অপশনের পাশের খালি ঘরে ক্লিক করে অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘When messages are accessed with POP’ এর পাশে টগল বাটনে (নিচের দিকে তীর চিহ্ন আইকোন) অনেকগুলো অপশন দেখা যাবে। ইমেইলগুলো নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর পুরোনো অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার জন্য অপশনগুলো থেকে ‘ডিলিট জিমেইলস কপি’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৫. সেভ চেঞ্জেস অপশনে ক্লিক করুন।
এখন ইমেইল স্থানান্তরের জন্য একটি নতুন ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একে ‘আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। এখন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১. নতুন আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এরপর সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনে ট্যাপ করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ এর পাশে ‘Add a mail account’ অপশনে ক্লিক করুন। এর ফলে একটি পপ আপ মেনু চালু হবে।
৪. পপ আপ উইন্ডো থেকে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসটি টাইপ করুন। এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৫. ‘ Import emails from my other account (POP3) ’ অপশন নির্বাচন করুন ও আবার ‘নেক্সট’ আইকোন ক্লিক করুন।
৬. এখন প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন। এ সময় গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হতে পারে। (গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরির প্রক্রিয়া নিচে তুলে ধরা হয়েছে)
৭. ‘পোর্ট’ অপশনের বক্সে ‘৯৯৫’ সংখ্যাটি নির্বাচন করুন।
৮. তিনটি অপশনের পাশে চেক বক্সে ক্লিক করে সেগুলো নির্বাচন করুন। অপশন গুলো হলো—‘Always use a secure connection (SSL) when retrieving mail’, ‘Label incoming messages’, ‘Archive incoming messages (Skip the Inbox) ’
৯. ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
অনেক সময় জিমেইলের ইমেইলগুলো স্থানান্তরের জন্য গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
এটি ১৬ ডিজিটের একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড তৈরি করে দেবে। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কোনো অ্যাপ অননুমোদিত অ্যাকসেস করতে না পারে সে জন্য গুগলের এই ফিচার রয়েছে।
পাসকোড তৈরির জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। নিজের প্রধান অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর পাসকোডের জন্য নাম নির্ধারণ করুন ও ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ফলে পপ আপ উইন্ডো চালু হবে ও একটি ১৬ ডিজিটের পাসকোড দেখা যাবে। পাসকোডটি কোথাও লিখে রাখুন।
এরপর ৬ নম্বর ধাপে অনুসরণ করার সময় এই পাসকোড চাইতে পারে। পুরোনো ও নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট লিংক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হবে। এ জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
সবগুলো ইমেইল স্থানান্তর হয়ে গেলে পুরোনো ইমেইলগুলো আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টের ট্র্যাশ ফোল্ডারে জমা হবে। ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে সবগুলো ইমেইল একেবারে ডিলিট করে দিলে আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টে স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে ‘ড্রাফটস’ ও ‘স্প্যাম’ গুলো শুধু স্থানান্তর হবে না। স্প্যাম মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিন পর ডিলিট করতে পারবেন। এভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো ডিলিট করতে হবে না।
এখন স্বাভাবিকভাবে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে চাইলে আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইল স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. নতুন গুগল অ্যাকাউন্টে (আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট) প্রবেশ করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ থেকে প্রধান গুগল অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দিন।
৪. এরপর ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করুন।
আর নিরাপত্তার জন্য গুগল অ্যাপ পাসকোডটিও ডিলিট করে দিতে হবে। এ জন্য আগের মতোই পাসকোড তৈরির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার তৈরি করা পাসকোডটির পাশে ট্র্যাশ আইকোন ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র: সিনেট

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে একটি কৌশল ব্যবহার করে বিনামূল্যে জিমেইলে আরও ১৫ জিবি স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন।
পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো মুছে ফেলে বা ডিলিট করে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি করে থাকেন অনেকেই। তবে এভাবে ইমেইল ডিলিট করতে আপনার মূলবান সময়ের অপচয় হতে পারে। এ ছাড়া সবগুলো ইমেইলই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে গুগলের স্টোরেজ প্ল্যান কিনে জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াতে পারেন। তবে প্ল্যানগুলো খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। গুগলের ১০০ জিবি স্টোরজ প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ১৫০ টাকা, ২ টিবি (টেরাবাইট) এর জন্য মাসে ৮০০ টাকা ও ২ টিবি (টেরাবাইট) এআই প্ল্যানের এর জন্য মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এখন ভাবতে পারেন, নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেই তো হয়! তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে জিমেইল অ্যাড্রেসও পরিবর্তন হবে। সেটি সবাইকে জানাতে হবে ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিমেইল আইডি পরিবর্তন করতে হবে। তাই এটি খুব একটি কার্যকরী সমাধান নয়।
এ জন্য ইমেইলগুলো নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ও পুরোনো জিমেইল খালি করে এ সমস্যা দূর করা যায়। ফলে নতুন ইমেইলগুলো পুরোনো জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসে আসবে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টা ইমেইল খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি গুগল। ফলে নতুন অ্যাকাউন্টটি ‘আর্কাইভ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে ইমেইল স্থানান্তর করতে পারবেন ও ফলে পুরোনো জিমেইলের স্টোরেজও খালি হবে।
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবেন যেভাবে
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াটি ধৈর্য সহকারে করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত পুরোনো ইমেইল হারিয়ে না যায়, এ জন্য নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার আগে এগুলো কপি কম্পিউটার বা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে রাখতে হয়। ইমেইলগুলো স্থানান্তরের পর এসব ব্যাকআপ ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।
গুগল টেকআউট ব্যবহার করে এসব ইমেইল একই সঙ্গে ডাউনলোড করা যায়। ইন্টারনেটের গতি ও ইমেইলের সংখ্যার ওপর ডাউনলোডের সময় নির্ভর করবে।
এখন পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. আপনার প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টে কোনো ব্রাউজার থেকে লগ ইন করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. এরপর ওপরের দিকে থাকা ট্যাবগুলো থেকে ‘POP/IMAP’ ট্যাবটি নির্বাচন করুন।
৩. ‘Enable POP for all mail’ অপশনের পাশের খালি ঘরে ক্লিক করে অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘When messages are accessed with POP’ এর পাশে টগল বাটনে (নিচের দিকে তীর চিহ্ন আইকোন) অনেকগুলো অপশন দেখা যাবে। ইমেইলগুলো নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর পুরোনো অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার জন্য অপশনগুলো থেকে ‘ডিলিট জিমেইলস কপি’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৫. সেভ চেঞ্জেস অপশনে ক্লিক করুন।
এখন ইমেইল স্থানান্তরের জন্য একটি নতুন ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একে ‘আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। এখন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১. নতুন আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এরপর সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনে ট্যাপ করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ এর পাশে ‘Add a mail account’ অপশনে ক্লিক করুন। এর ফলে একটি পপ আপ মেনু চালু হবে।
৪. পপ আপ উইন্ডো থেকে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসটি টাইপ করুন। এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৫. ‘ Import emails from my other account (POP3) ’ অপশন নির্বাচন করুন ও আবার ‘নেক্সট’ আইকোন ক্লিক করুন।
৬. এখন প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন। এ সময় গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হতে পারে। (গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরির প্রক্রিয়া নিচে তুলে ধরা হয়েছে)
৭. ‘পোর্ট’ অপশনের বক্সে ‘৯৯৫’ সংখ্যাটি নির্বাচন করুন।
৮. তিনটি অপশনের পাশে চেক বক্সে ক্লিক করে সেগুলো নির্বাচন করুন। অপশন গুলো হলো—‘Always use a secure connection (SSL) when retrieving mail’, ‘Label incoming messages’, ‘Archive incoming messages (Skip the Inbox) ’
৯. ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
অনেক সময় জিমেইলের ইমেইলগুলো স্থানান্তরের জন্য গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
এটি ১৬ ডিজিটের একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড তৈরি করে দেবে। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কোনো অ্যাপ অননুমোদিত অ্যাকসেস করতে না পারে সে জন্য গুগলের এই ফিচার রয়েছে।
পাসকোড তৈরির জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। নিজের প্রধান অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর পাসকোডের জন্য নাম নির্ধারণ করুন ও ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ফলে পপ আপ উইন্ডো চালু হবে ও একটি ১৬ ডিজিটের পাসকোড দেখা যাবে। পাসকোডটি কোথাও লিখে রাখুন।
এরপর ৬ নম্বর ধাপে অনুসরণ করার সময় এই পাসকোড চাইতে পারে। পুরোনো ও নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট লিংক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হবে। এ জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
সবগুলো ইমেইল স্থানান্তর হয়ে গেলে পুরোনো ইমেইলগুলো আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টের ট্র্যাশ ফোল্ডারে জমা হবে। ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে সবগুলো ইমেইল একেবারে ডিলিট করে দিলে আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টে স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে ‘ড্রাফটস’ ও ‘স্প্যাম’ গুলো শুধু স্থানান্তর হবে না। স্প্যাম মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিন পর ডিলিট করতে পারবেন। এভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো ডিলিট করতে হবে না।
এখন স্বাভাবিকভাবে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে চাইলে আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইল স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. নতুন গুগল অ্যাকাউন্টে (আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট) প্রবেশ করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ থেকে প্রধান গুগল অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দিন।
৪. এরপর ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করুন।
আর নিরাপত্তার জন্য গুগল অ্যাপ পাসকোডটিও ডিলিট করে দিতে হবে। এ জন্য আগের মতোই পাসকোড তৈরির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার তৈরি করা পাসকোডটির পাশে ট্র্যাশ আইকোন ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র: সিনেট

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারে। তবে একটি কৌশল ব্যবহার করে বিনামূল্যে জিমেইলে আরও ১৫ জিবি স্টোরেজ বাড়াতে পারবেন।
পুরোনো অপ্রয়োজনীয় ইমেইলগুলো মুছে ফেলে বা ডিলিট করে গুগল অ্যাকাউন্টের স্টোরেজ খালি করে থাকেন অনেকেই। তবে এভাবে ইমেইল ডিলিট করতে আপনার মূলবান সময়ের অপচয় হতে পারে। এ ছাড়া সবগুলো ইমেইলই আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হতে পারে।
এসব ক্ষেত্রে গুগলের স্টোরেজ প্ল্যান কিনে জিমেইলের স্টোরেজ বাড়াতে পারেন। তবে প্ল্যানগুলো খুব একটা সাশ্রয়ী নয়। গুগলের ১০০ জিবি স্টোরজ প্ল্যানের জন্য প্রতি মাসে ১৫০ টাকা, ২ টিবি (টেরাবাইট) এর জন্য মাসে ৮০০ টাকা ও ২ টিবি (টেরাবাইট) এআই প্ল্যানের এর জন্য মাসে ২ হাজার ৫০০ টাকা খরচ করতে হবে।
এখন ভাবতে পারেন, নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুললেই তো হয়! তবে নতুন অ্যাকাউন্ট খুললে জিমেইল অ্যাড্রেসও পরিবর্তন হবে। সেটি সবাইকে জানাতে হবে ও বিভিন্ন প্ল্যাটফর্মে জিমেইল আইডি পরিবর্তন করতে হবে। তাই এটি খুব একটি কার্যকরী সমাধান নয়।
এ জন্য ইমেইলগুলো নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করে ও পুরোনো জিমেইল খালি করে এ সমস্যা দূর করা যায়। ফলে নতুন ইমেইলগুলো পুরোনো জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসে আসবে।
একজন ব্যক্তি সর্বোচ্চ কয়টা ইমেইল খুলতে পারবেন তার কোনো সীমা নির্ধারণ করেনি গুগল। ফলে নতুন অ্যাকাউন্টটি ‘আর্কাইভ’ হিসেবে ব্যবহার করতে পারেন। আর নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে ইমেইল স্থানান্তর করতে পারবেন ও ফলে পুরোনো জিমেইলের স্টোরেজও খালি হবে।
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করবেন যেভাবে
পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার প্রক্রিয়াটি ধৈর্য সহকারে করতে হবে। যেন অসাবধানতাবশত পুরোনো ইমেইল হারিয়ে না যায়, এ জন্য নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার আগে এগুলো কপি কম্পিউটার বা হার্ড ড্রাইভে সেভ করে রাখতে হয়। ইমেইলগুলো স্থানান্তরের পর এসব ব্যাকআপ ফাইল ডিলিট করে ফেলতে পারবেন।
গুগল টেকআউট ব্যবহার করে এসব ইমেইল একই সঙ্গে ডাউনলোড করা যায়। ইন্টারনেটের গতি ও ইমেইলের সংখ্যার ওপর ডাউনলোডের সময় নির্ভর করবে।
এখন পুরোনো ইমেইল নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর করার জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. আপনার প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টে কোনো ব্রাউজার থেকে লগ ইন করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. এরপর ওপরের দিকে থাকা ট্যাবগুলো থেকে ‘POP/IMAP’ ট্যাবটি নির্বাচন করুন।
৩. ‘Enable POP for all mail’ অপশনের পাশের খালি ঘরে ক্লিক করে অপশনটি নির্বাচন করুন।
৪. এখন ‘When messages are accessed with POP’ এর পাশে টগল বাটনে (নিচের দিকে তীর চিহ্ন আইকোন) অনেকগুলো অপশন দেখা যাবে। ইমেইলগুলো নতুন অ্যাকাউন্টে স্থানান্তরের পর পুরোনো অ্যাকাউন্ট থেকে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিলিট করার জন্য অপশনগুলো থেকে ‘ডিলিট জিমেইলস কপি’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
৫. সেভ চেঞ্জেস অপশনে ক্লিক করুন।
এখন ইমেইল স্থানান্তরের জন্য একটি নতুন ইমেইল অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন। একে ‘আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট’ হিসেবে চিহ্নিত করতে পারেন। এখন নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন।
১. নতুন আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন। এরপর সেটিংস অপশনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনে ট্যাপ করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ এর পাশে ‘Add a mail account’ অপশনে ক্লিক করুন। এর ফলে একটি পপ আপ মেনু চালু হবে।
৪. পপ আপ উইন্ডো থেকে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের অ্যাড্রেসটি টাইপ করুন। এরপর ‘নেক্সট’ বাটনে ক্লিক করুন।
৫. ‘ Import emails from my other account (POP3) ’ অপশন নির্বাচন করুন ও আবার ‘নেক্সট’ আইকোন ক্লিক করুন।
৬. এখন প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টের পাসওয়ার্ড দিন। এ সময় গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করতে হতে পারে। (গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরির প্রক্রিয়া নিচে তুলে ধরা হয়েছে)
৭. ‘পোর্ট’ অপশনের বক্সে ‘৯৯৫’ সংখ্যাটি নির্বাচন করুন।
৮. তিনটি অপশনের পাশে চেক বক্সে ক্লিক করে সেগুলো নির্বাচন করুন। অপশন গুলো হলো—‘Always use a secure connection (SSL) when retrieving mail’, ‘Label incoming messages’, ‘Archive incoming messages (Skip the Inbox) ’
৯. ‘অ্যাড অ্যাকাউন্ট’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
অনেক সময় জিমেইলের ইমেইলগুলো স্থানান্তরের জন্য গুগল অ্যাপ পাসওয়ার্ড তৈরি করা প্রয়োজনীয়তা দেখা দিতে পারে।
এটি ১৬ ডিজিটের একবার ব্যবহারযোগ্য পাসওয়ার্ড তৈরি করে দেবে। আপনার গুগল অ্যাকাউন্টে কোনো অ্যাপ অননুমোদিত অ্যাকসেস করতে না পারে সে জন্য গুগলের এই ফিচার রয়েছে।
পাসকোড তৈরির জন্য ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। নিজের প্রধান অ্যাকাউন্ট দিয়ে লগ ইন করুন। এরপর পাসকোডের জন্য নাম নির্ধারণ করুন ও ‘ক্রিয়েট’ বাটনে ক্লিক করুন। ফলে পপ আপ উইন্ডো চালু হবে ও একটি ১৬ ডিজিটের পাসকোড দেখা যাবে। পাসকোডটি কোথাও লিখে রাখুন।
এরপর ৬ নম্বর ধাপে অনুসরণ করার সময় এই পাসকোড চাইতে পারে। পুরোনো ও নতুন জিমেইল অ্যাকাউন্ট লিংক হলে স্বয়ংক্রিয়ভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্থানান্তর হবে। এ জন্য কয়েক ঘন্টা বা কয়েক দিন সময় লাগতে পারে।
সবগুলো ইমেইল স্থানান্তর হয়ে গেলে পুরোনো ইমেইলগুলো আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টের ট্র্যাশ ফোল্ডারে জমা হবে। ট্র্যাশ ফোল্ডার থেকে সবগুলো ইমেইল একেবারে ডিলিট করে দিলে আপনার প্রধান অ্যাকাউন্টে স্টোরেজ খালি হয়ে যাবে।
এই পদ্ধতির মাধ্যমে ‘ড্রাফটস’ ও ‘স্প্যাম’ গুলো শুধু স্থানান্তর হবে না। স্প্যাম মেসেজগুলো স্বয়ংক্রিয়ভাবে ৩০ দিন পর ডিলিট করতে পারবেন। এভাবে পুরোনো ইমেইলগুলো ডিলিট করতে হবে না।
এখন স্বাভাবিকভাবে প্রধান জিমেইল অ্যাকাউন্টটি ব্যবহার করতে চাইলে আর্কাইভ অ্যাকাউন্টে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ইমেইল স্থানান্তরের প্রক্রিয়াটি বন্ধ করতে হবে। এ জন্য নিচের ধাপগুলো অনুসরণ করুন—
১. নতুন গুগল অ্যাকাউন্টে (আর্কাইভ অ্যাকাউন্ট) প্রবেশ করুন। এরপর ওপরের ডান দিকে থাকা ‘সেটিংস’ আইকোনে ক্লিক করুন ও ‘See all settings’ অপশনটি নির্বাচন করুন।
২. ওপরের দিকে থাকা ‘Accounts and Import’ অপশনে ক্লিক করুন।
৩. ‘Check mail from other accounts’ থেকে প্রধান গুগল অ্যাকাউন্টটি ডিলিট করে দিন।
৪. এরপর ‘ওকে’ বাটনে ক্লিক করুন।
আর নিরাপত্তার জন্য গুগল অ্যাপ পাসকোডটিও ডিলিট করে দিতে হবে। এ জন্য আগের মতোই পাসকোড তৈরির ওয়েবসাইটে প্রবেশ করুন। আপনার তৈরি করা পাসকোডটির পাশে ট্র্যাশ আইকোন ক্লিক করুন।
তথ্যসূত্র: সিনেট

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) এক জরিপের তথ্য বলছে, বাংলাদেশে এখন ইন্টারনেট ব্যবহার করে ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবারের মানুষ। এই হার গ্রামাঞ্চলে ৫১ দশমিক ৫ শতাংশ এবং শহরে ৬৪ শতাংশ।
‘ব্যক্তি ও খানা পর্যায়ে জেলাভিত্তিক আইসিটি ব্যবহারের সুযোগ ও প্রয়োগ পরিমাপ’ প্রকল্পের আওতায় পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সীদের ওপর এই জরিপ পরিচালনা করে বিবিএস। এতে পরিবারগুলোয় মোবাইল ফোন, ফিক্সড ফোন, টেলিভিশন, রেডিও ও কম্পিউটার ব্যবহারের চিত্রও উঠে আসে।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, দেশে ব্যক্তি ও পারিবারিক পর্যায়ে মোবাইল ফোনের ব্যবহার বেড়েছে। একই সঙ্গে বেড়েছে টেলিভিশন, কম্পিউটার ও ইন্টারনেট ব্যবহারের হারও। তবে কমেছে স্মার্টফোন ও রেডিওর ব্যবহার।
‘আইসিটি প্রয়োগ ও ব্যবহার জরিপ’-এ পাঁচ বছর ও তদূর্ধ্ব বয়সী এবং শহর-পল্লি অঞ্চল অনুযায়ী জাতীয় পর্যায়ে আইসিটির সূচকসমূহ ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তৈরি করা হয়। সারা দেশে ২ হাজার ৫৬৮টি নির্বাচিত নমুনা এলাকায় দৈবচয়নের ভিত্তিতে ২৪টি করে মোট ৬১ হাজার ৬৩২টি খানায় ত্রৈমাসিক ভিত্তিতে তথ্য সংগ্রহ করা হয়েছে।
জরিপের বিষয়ে বিবিএসের মহাপরিচালক মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, জরিপের খানা ও ব্যক্তি পর্যায়ে আইসিটির সূচকগুলো আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) আলোকে নেওয়া হয়েছে। জরিপে খানায় রেডিও, টেলিভিশন, কম্পিউটার, মোবাইল ফোন, স্মার্টফোন, ইন্টারনেটের এক্সেস এবং ব্যক্তি পর্যায়ে মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, ইন্টারনেটের ব্যবহার, মোবাইল ফোনের মালিকানার ফলাফল প্রস্তুত করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
বিশ্লেষকেরা বলছেন, দেশের অনেক মানুষ ডিজিটাল সেবার বাইরে। এই জরিপে বিকাশ, নগদসহ মোবাইল ফাইন্যান্সিয়াল সার্ভিসে (এমএফএস) এর আওতায় আনা হলে পরিসংখ্যান হয়তো পাল্টাবে।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ তানভীর হাসান জোহা আজকের পত্রিকাকে বলেন, সচেতনতার অভাবে এখনো অর্ধেক মানুষ ডিজিটাল সিস্টেমের আওতার বাইরে রয়েছে, যাদের বেশির ভাগ গ্রামাঞ্চল এবং পার্বত্য এলাকার। তারা ডিজিটাল সেবাকে ভয় পায়।
জরিপের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে দেশে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে অন্তত একটি মোবাইল ফোন ব্যবহৃত হচ্ছে। এর মধ্যে ৭২ দশমিক ৪ শতাংশ পরিবারে রয়েছে স্মার্টফোন। স্মার্টফোন ব্যবহারে শহরাঞ্চল এগিয়ে। শহরে ৮০ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে ৬৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার স্মার্টফোন ব্যবহার করে। এ ছাড়া ফিক্সড ফোন ব্যবহার করে শূন্য দশমিক ৮ শতাংশ পরিবার। কম্পিউটার ব্যবহার করে ৯ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার। আর ৫৬ দশমিক ২ শতাংশ পরিবার ইন্টারনেট ব্যবহার করে।
অন্যদিকে, ৫৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে টেলিভিশন দেখা হয় এবং ১৫ দশমিক ১ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করে বলে জরিপে উঠে এসেছে। আর বিদ্যুৎ সুবিধা রয়েছে ৯৮ দশমিক ৯ শতাংশ পরিবারে।
এর আগের বছর ২০২৪-২৫ অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর প্রান্তিকে দেশের ৯৮ দশমিক ৮ শতাংশ পরিবারের অন্তত একজন মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছিল। এর মধ্যে স্মার্টফোন ছিল ৭২ দশমিক ৮ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে মোবাইল ফোনের ব্যবহার ১ শতাংশ বাড়লেও স্মার্টফোনের ব্যবহার কমেছে দশমিক ৪ শতাংশ।
২০২৪ সালের প্রথম প্রান্তিকে পারিবারিকভাবে কম্পিউটার ব্যবহারকারীদের সংখ্যা ছিল ১৫ দশমিক ৩ শতাংশ। সেখান থেকে এই হার দশমিক ২ শতাংশ কমে ১৫ দশমিক ১ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। গ্রাম-শহরভিত্তিক হিসাবে দেখা যায়, গ্রামাঞ্চলে ১৪ শতাংশ পরিবার রেডিও ব্যবহার করলেও শহরে এই হার ১৭ দশমিক ৭ শতাংশ।
জরিপের ব্যক্তি পর্যায়ের বিশ্লেষণে দেখানো হয়, ২০২৫ সালের জুলাই-সেপ্টেম্বরে ৮০ দশমিক ৬ শতাংশ মানুষ মোবাইল ফোন ব্যবহার করেছে, যা এক বছর আগে ছিল ৭৮ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ এক বছরে মোবাইল ব্যবহারকারী বেড়েছে ১ দশমিক ৭ শতাংশ। এর মধ্যে পুরুষ ৮০ দশমিক ৯ শতাংশ এবং নারী ৭৮ দশমিক ৮ শতাংশ।
তবে ব্যক্তিমালিকানাধীন মোবাইল ফোনের ব্যবহার কিছুটা কমেছে। ২০২৪ সালে যেখানে এ হার ছিল ৫৭ দশমিক ৫ শতাংশ, ২০২৫ সালে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৫৬ দশমিক ৫ শতাংশে। কম্পিউটার ব্যবহারের হারও সামান্য কমে ১০ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ১০ শতাংশে নেমেছে। বিপরীতে, ব্যক্তি পর্যায়ে ইন্টারনেট ব্যবহারকারীর সংখ্যা বেড়েছে। ২০২৪ সালে ৪৭ দশমিক ৮ শতাংশ থেকে ২০২৫ সালে তা বেড়ে হয়েছে ৪৮ দশমিক ৯ শতাংশ। ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের মধ্যে ৫১ দশমিক ২ শতাংশ পুরুষ এবং ৪৬ দশমিক ৩ শতাংশ নারী।
বিবিএস জানায়, এই জরিপের মাধ্যমে প্রাপ্ত তথ্য জাতীয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) পরিমাপ এবং আন্তর্জাতিক টেলিকমিউনিকেশন ইউনিয়নের (আইটিইউ) জন্য আইসিটি সূচক সরবরাহে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারবে না। তবে
০২ আগস্ট ২০২৪
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বিশেষ সহকারী ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেছেন, ডিজিটাল রূপান্তর মানে শুধু অ্যাপ নয়, রাষ্ট্রের ভিত্তি পুনর্গঠনের প্রক্রিয়া।
রাজধানীর বাংলাদেশ–চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে আজ বুধবার ‘বিল্ডিং ট্রাস্ট অ্যান্ড সাসটেইনেবিলিটি থ্রু ডেটা গভর্ন্যান্স’ শীর্ষক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সরকারের সহযোগিতায় দ্য ইনস্টিটিউট অব কস্ট অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট অ্যাকাউন্ট্যান্টস অব বাংলাদেশ (আইসিএমএবি) এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগ (ইডিজিই প্রকল্প) এই সম্মেলনের আয়োজন করে।
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির অভাব বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। ফলে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা হচ্ছে এবং কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কার্যকরভাবে ব্যবহার করা যাচ্ছে না।
তৈয়্যব জানান, অন্তর্বর্তী সরকার এরই মধ্যে সাইবার সেফটি, ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষা ও জাতীয় ডেটা গভর্ন্যান্স—এই তিন আইনি ভিত্তি গড়ে তোলার কাজ শুরু করেছে, যা ভবিষ্যৎ ডিজিটাল পাবলিক ইনফ্রাস্ট্রাকচারের (ডিপিআই) মূল স্তম্ভ হবে। ভবিষ্যতে প্রতিটি নাগরিকের একটি ডিজিটাল ডেটা ওয়ালেট থাকবে; যেখানে জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে এবং নাগরিকের সম্মতিতেই নির্দিষ্ট সময়ের জন্য ডেটা ব্যবহার করা যাবে।
সম্মেলনে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিভাগের সচিব শীষ হায়দার চৌধুরী বলেন, কার্যকর ডেটা গভর্ন্যান্স কেবল নীতিমালা প্রণয়নের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়; এর জন্য প্রয়োজন শক্তিশালী প্রাতিষ্ঠানিক সক্ষমতা, আন্তখাত সমন্বয় এবং সুস্পষ্ট জবাবদিহি কাঠামো। সরকারি ও বেসরকারি খাতে ডিজিটাল সেবার পরিসর বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বশীল ডেটা ব্যবহার, নিরাপত্তা ও কমপ্লায়েন্স নিশ্চিত করা জনআস্থা অর্জন ও টেকসই ডিজিটাল রূপান্তরের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
সম্মেলনে তিনটি আলাদা অধিবেশনে ডেটা সুরক্ষা নীতিমালার বাস্তব প্রয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের সঙ্গে বাংলাদেশের ডেটা ব্যবস্থাপনার তুলনা এবং ডেটা ব্যবস্থাপনায় পেশাদার হিসাববিদদের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা হয়।
সম্মেলনে ইন্টারন্যাশনাল ফেডারেশন অব অ্যাকাউন্ট্যান্টসের (আইএফএসি) সভাপতি জ্যঁ বোকু, বিশ্বব্যাংকের বাংলাদেশ ও ভুটান অঞ্চলের ডিভিশন ডিরেক্টর জ্যঁ পেসমেসহ সরকারি নীতিনির্ধারক, আন্তর্জাতিক সংস্থা, পেশাদার হিসাববিদ, আইন ও প্রযুক্তি খাতের বিশেষজ্ঞরা অংশ নেন।

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারবে না। তবে
০২ আগস্ট ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
ফোনটিতে গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড বিজয়ী ইন্ডাস্ট্রির সর্বোচ্চ ওয়াটার অ্যান্ড ডাস্ট প্রোটেকশন স্ট্যান্ডার্ড—আইপি ৬৯ প্রো রেটিং রয়েছে, যা এটিকে ৬০ দিন পর্যন্ত পানির নিচে টিকে থাকতে সাহায্য করে।
এতে রয়েছে ৬.৮ ইঞ্চি অ্যামোলেড ডিসপ্লে, যার রিফ্রেশ রেট সুপার-স্মুথ ১৪৪ হার্জ এবং পিক ব্রাইটনেস ১,২০০ নিট।
ডিভাইসটিতে স্ন্যাপড্রাগন ৬৮৫ ফোরজি প্রসেসর ব্যবহার করা হয়েছে। ফটোগ্রাফির জন্য পেছনে ৫০ মেগাপিক্সেল প্রাইমারি ক্যামেরা এবং সামনে ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা রয়েছে।
রিয়েলমি সি৮৫ সোয়ান ব্ল্যাক ও কিংফিশার ব্লু রঙে দুইটি ভ্যারিয়েন্টে পাওয়া যাচ্ছে: ৬ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ১৮,৯৯৯ টাকা। ৮ জিবি + ১২৮ জিবি: মূল্য ২০,৯৯৯ টাকা।

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারবে না। তবে
০২ আগস্ট ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে।
৩ দিন আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা এআই এখন আর শুধু প্রযুক্তি খাতেই সীমাবদ্ধ নয়; ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনাতেও এটি হয়ে উঠছে নতুন ভরসা। বিশেষ করে জেন-জি ও মিলেনিয়াল প্রজন্মের মধ্যে এআই ব্যবহার করে খরচ নিয়ন্ত্রণ ও সঞ্চয় বাড়ানোর প্রবণতা দ্রুত বাড়ছে। এরই একটি উদাহরণ কানাডার অন্টারিওভিত্তিক একটি প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহপ্রতিষ্ঠাতা তাকি ওং।
মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) রয়টার্স জানিয়েছে, ২৭ বছর বয়সী তাকি ওং ব্যস্ত পেশাজীবীদের জন্য এআই টুল তৈরি করেন। তবে নিজের ব্যক্তিগত অর্থ পরিচালনায়ও তিনি এআইয়ের ওপর ভরসা রাখেন। গুগলের জেমিনি এআই মডেলকে তিনি নিজের ‘২৪ ঘণ্টার ব্যক্তিগত আর্থিক উপদেষ্টা’ বলে মনে করেন।
ওং জানান, প্রতি মাসে তিনি নিজের ক্রেডিট কার্ড ও অন্যান্য খরচের হিসাব নিজে হাতে এআইয়ে ইনপুট দেন। এরপর এআই সেই তথ্য বিশ্লেষণ করে তাঁকে জানায় কোথায় অপ্রয়োজনীয় খরচ হচ্ছে।
ওংয়ের ভাষায়, এআই কখনো বলে দেয়—‘তুমি হয়তো রেস্তোরাঁয় বেশি খাচ্ছ’, আবার কখনো সতর্ক করে—‘এই সাবস্ক্রিপশনগুলো অপ্রয়োজনীয়।’ এই ধরনের বিশ্লেষণের ফলেই তিনি বাইরে খাওয়ার খরচ মাসে ৬০০ ডলার থেকে কমিয়ে ২০০ ডলারে নামাতে পেরেছেন। একইভাবে টিভি ও অন্যান্য সাবস্ক্রিপশনের খরচ ৩০০ ডলার থেকে কমে দাঁড়িয়েছে মাত্র ৫০ ডলারে।
তবে সুবিধার পাশাপাশি সতর্কতাও অবলম্বন করছেন তিনি। ওং স্পষ্ট করে বলেন, তিনি কখনোই এআইয়ের সঙ্গে নিজের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট যুক্ত করেন না। শুধুমাত্র মোট খরচের সংখ্যা বা সামগ্রিক তথ্যই তিনি শেয়ার করেন, যাতে ব্যক্তিগত ডেটা সুরক্ষিত থাকে।
এই প্রবণতা শুধু ওংয়ের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয়। এক গবেষণায় দেখা গেছে, এআই ব্যবহারকারী আমেরিকানদের একটি বড় অংশ আর্থিক পরামর্শ নিতে এআইয়ের ওপর নির্ভর করছে। এঁদের মধ্যে জেন জি ও মিলেনিয়ালদের হার ৮২ শতাংশ। যুক্তরাজ্যেও প্রায় তিনজনের একজন নিয়মিত ব্যক্তিগত অর্থ ব্যবস্থাপনায় এআই ব্যবহার করেন।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এআই সময় বাঁচাতে ও খরচের দুর্বল জায়গা চিহ্নিত করতে সহায়ক হলেও সব পরামর্শ যাচাই করে নেওয়া জরুরি। পাশাপাশি ব্যক্তিগত তথ্য শেয়ার করার ক্ষেত্রে সতর্ক থাকাই সবচেয়ে নিরাপদ পথ।

গুগলের অ্যাকাউন্ট বিনামূল্যে ব্যবহার করলে জিমেইলে শুধু ১৫ জিবি স্টোরেজ পাওয়া যায়। জিমেইলের পাশাপাশি গুগল ফটোজ, ড্রাইভের মতো প্ল্যাটফর্মগুলোর জন্য এই একই স্টোরেজ ব্যবহৃত হয়। তাই খুব সহজেই জিমেইল স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে যেতে পারে। আর স্টোরেজ পূর্ণ হয়ে গেলে জিমেইলের নতুন ইমেইল আসা বন্ধ হয়ে যেতে পারবে না। তবে
০২ আগস্ট ২০২৪
দেড় দশকের বেশি সময় ধরে কখনো ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ’, আবার কখনো ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ গড়ার স্লোগান শুনে আসছে দেশের মানুষ। এ নিয়ে ‘অ্যাকসেস টু ইনফরমেশন (এটুআই)’ নামে প্রকল্পও আছে সরকারের। বেসরকারি পর্যায়েও রয়েছে নানা উদ্যোগ। তারপরও দেশের ৪৩ দশমিক ৯৮ শতাংশ পরিবার এখনো ইন্টারনেট সেবার আওতার বাইরে রয়ে গেছে।
২ দিন আগে
ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব বলেন, দেশের ডিজিটাল রূপান্তর এখন আর খণ্ডিত প্রকল্প বা অ্যাপভিত্তিক উদ্যোগে সীমাবদ্ধ রাখা যাবে না। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদি ও ভিত্তিমূলক রাষ্ট্রীয় রূপান্তর, যার কেন্দ্রে থাকবে ডেটা গভর্ন্যান্স, সাইবার নিরাপত্তা ও নাগরিক অধিকার। দেশে বহু ডিজিটাল সিস্টেম থাকলেও ইন্টারঅপারেবিলিটির...
২ দিন আগে
স্মার্টফোন ব্র্যান্ড রিয়েলমি দেশে রিয়েলমি সি৮৫ উন্মোচন করেছে। এই ডিভাইসটির প্রধান আকর্ষণ হলো এর শক্তিশালী ৭০০০ মিলি অ্যাম্পিয়ারের আলট্রা ব্যাটারি ও ৪৫ ওয়াট ফাস্ট চার্জিং সক্ষমতা (যা ১০ ওয়াট রিভার্স চার্জিংও সাপোর্ট করে)।
৩ দিন আগে