মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।
মো. হুমায়ূন কবীর, ঢাকা

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা। এমন পরিস্থিতিতে দেশের সাইবার নিরাপত্তা দেখভালের দায়িত্বে থাকা জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ভুগছে জনবলসংকটে। তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের অধীন সংস্থাটি পরিচালিত হচ্ছে একজন মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক দিয়ে। অর্থাৎ মাত্র তিন কর্মকর্তার ওপর নির্ভর করছে দেশের সাইবার নিরাপত্তা।
জানতে চাইলে ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি এজেন্সির জন্য জনবল অনুমোদন করা দরকার। এটি আমরা দুই বছর ধরে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে বারবার বলার চেষ্টা করেছি। আমরা খুবই দুঃখ এবং পরিতাপের সঙ্গে জানাচ্ছি, এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত অনুমোদন পাইনি।’
প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘সংস্থাটিতে অন্তত ১০০ থেকে ১৫০ জন এক্সপার্ট দরকার। লোকবল নিয়োগ হলে আমরা এই কার্যক্রমগুলো আরও বেগবান করতে পারব। এখন আমাদের খুবই সীমিতসংখ্যক দক্ষ জনবল নিয়ে কাজ করতে হচ্ছে। এতে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের বিজিডি-সার্ট প্রজেক্টের ওপর অনেক বেশি চাপ পড়ছে। আমার প্রত্যাশা থাকবে, জনপ্রশাসন এবং অর্থ মন্ত্রণালয় গুরুত্ব বিবেচনা করে যত দ্রুত সম্ভব এজেন্সির লোকবল নিয়োগের বিষয়টি অনুমোদন দেবে।’
সংশ্লিষ্ট সূত্র বলেছে, সাইবার নিরাপত্তা এজেন্সি (এনসিএসএ) ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি (ডিএসএ) নামে ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। ২০২৩ সালে পাস হয় এনসিএসএ আইন। তারপর থেকে সংস্থাটির নাম হয়েছে এনসিএসএ। প্রতিষ্ঠানটির শুরু থেকে সেখানে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের পাঁচজন কর্মকর্তা কাজ করে আসছিলেন। ২০২৩ সালে নতুন করে আরও পাঁচ কর্মকর্তাকে প্রেষণে পদায়ন করা হয়। অবশ্য ডিএসএর বিধিমালায় অনুমোদিত ১২০ জন এবং সরকার কর্তৃক নিয়োগকৃত তিনজনসহ মোট ১২৩ জন জনবলের একটি অর্গানোগ্রাম অনুমোদিত ছিল। ২০২১ সালের জুনে অর্থ মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেলেও সেই জনবল নিয়োগ হয়নি এখনো।
সূত্রটি আরও বলেছে, নিয়োগের জন্য অনুমোদিত ১২৩ জনের মধ্যে একজন মহাপরিচালক এবং দুজন পরিচালক সরকারের নিয়োগ করা। এর বাইরে তথ্যপ্রযুক্তি অধিদপ্তরের ১০ জন কর্মকর্তা নিয়ে চলছিল এনসিএসএর কার্যক্রম। সেখান থেকে দুজন অনেক আগেই বদলি হয়েছেন। একজন মাতৃত্বকালীন ছুটিতে রয়েছেন। সর্বশেষ কর্মরত সাত কর্মকর্তাকে সরকার ১ জুলাই আইসিটি বিভাগে নিজস্ব কর্মস্থলে পদায়ন করেছে। ফলে ওই দিন থেকে এনসিএসএর ভার মহাপরিচালক ও দুই পরিচালকের ওপরই। অবশ্য শুরু থেকে সরকারের নির্দেশনার ভিত্তিতে কারিগরি বিষয়টি দেখভাল করছে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিলের প্রকল্প বিজিডি-সার্ট।
এ বিষয়ে এনসিএসএর মহাপরিচালক আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এই এজেন্সিতে বর্তমানে আমরা তিনজন কাজ করছি। আমি মহাপরিচালক ও দুজন পরিচালক। এখানে কাজ করা সাতজন কর্মকর্তাকে ১ জুলাই তাঁদের নিজস্ব কর্মস্থলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। আমরা ৮ জুলাই তাঁদের অথবা তাঁদের সিনিয়র কাউকে পদায়ন করার জন্য আবেদন করেছি। তবে আমার অনুরোধ থাকবে, যেহেতু প্রচুর জনশক্তির ঘাটতি রয়েছে, তাই পুরোনো কর্মকর্তাদের পুনরায় পদায়ন করলে কাজ চালানো সহজ হবে। সরকার যদি মনে করে বিকল্প কাউকে দেবে, তাতেও আপত্তি নেই।’
এনসিএসএর মহাপরিচালক বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা এজেন্সি থেকে যখন সাইবার নিরাপত্তা আইন সরকার প্রণয়ন করল, তখন আইনের আলোকে ১২৩ জনের পরিবর্তে ১৯০ জন জনবলের অর্গানোগ্রাম তৈরি করে গত জুনে আইসিটি বিভাগে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া পূর্বের ১২০ জনের নিয়োগপ্রক্রিয়া শুরু করার জন্য নিয়োগ বিধিমালা পিএসসিতে পাঠানো হয়েছে। সেই প্রক্রিয়াটি চলমান রয়েছে। নিয়োগের এই প্রক্রিয়াটি দীর্ঘ। কাজেই আপাতত দৈনন্দিন কার্যক্রম পরিচালনার জন্য পূর্বে যাঁরা কর্মরত ছিলেন, তাঁদের বা তাঁদের অনুরূপ কর্মকর্তাদের পদায়ন করলে অচলাবস্থা কাটানো সম্ভব হবে।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেশাহরিয়ার হাসান, ঢাকা

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
রাজধানীর রাজারবাগে আজ বৃহস্পতিবার সদ্য পদায়ন পাওয়া ৬৪ জেলার এসপি, কমিশনার ও রেঞ্জ ডিআইজিদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব বিষয়ে আলোচনা হয়। এর আগে সকালে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস দেশের সব নতুন এসপির সঙ্গে বৈঠকে নির্বাচনকালীন দায়িত্ব ও মাঠপর্যায়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে দিকনির্দেশনা দেন।
আইজিপির সঙ্গে বৈঠকে উপস্থিত পুলিশ কর্মকর্তারা জানান, বক্তব্য দেওয়া এসপিদের সবার আলোচনাতেই কমবেশি ভোটকেন্দ্রে ব্যালটের নিরাপত্তার বিষয়টি উঠে আসে। আইজিপি বাহারুল আলম বৈঠকে তাঁর বক্তব্যে বলেন, আসন্ন নির্বাচনে পুলিশ শতভাগ নিরপেক্ষ থাকবে। জেলায় জেলায় এসপিরা সংসদীয় আসনের প্রার্থীদের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখবে এবং সবাইকে সুষ্ঠু নির্বাচনে অংশ নিতে উৎসাহিত করবে। আইজি এসপিদের বলেছেন, যার যার জেলা ও আসন ধরে ধরে নির্বাচনের সকল প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখতে হবে। এতে কাজটা সহজ হয়ে যাবে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক জেলার এসপি জানান, নির্বাচন সামনে রেখে পুলিশের প্রশিক্ষণ ঠিকভাবে সম্পন্ন করার ওপর জোর দিয়েছেন আইজিপি। তিনি বলেন, প্রত্যেক সদস্যকে নির্বাচনী দায়িত্ব পালনের জন্য প্রস্তুত রাখতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। প্রার্থীদের মধ্যে সম্ভাব্য সংঘাত বা উত্তেজনার তথ্য আগে থেকেই সংগ্রহ করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও বলা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ কেন্দ্রগুলো বিবেচনায় নিয়ে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
ঢাকা রেঞ্জের এক এসপি জানান, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার অভিযান জোরদার করার নির্দেশও দেওয়া হয়। তাঁর মতে, এসব অস্ত্র উদ্ধার করা গেলে সহিংসতার ঝুঁকিও কমে আসবে বলে মনে করে পুলিশ সদর দপ্তর।
বৈঠকের আলোচনা নিয়ে জানতে চাইলে হবিগঞ্জের এসপি ইয়াসমিন খাতুন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমাদের কিছু সমস্যার কথা বলা হয়েছে। ভোটার, ভোট, ভোটের কেন্দ্র নিয়ে আইজি স্যার আমাদের বেশ কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।’
এর আগে সকালে এসপিদের উদ্দেশে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, ‘ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নতুন বাংলাদেশের সূচনা করবে।’ তিনি বলেন, ‘এই নির্বাচনের মাধ্যমে নতুন বাংলাদেশের জন্ম হবে। এই জন্ম দিতে আপনারা (এসপি) ধাত্রীর ভূমিকা পালন করবেন। সুন্দর ও সুষ্ঠুভাবে নির্বাচনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আপনাদের দায়িত্ব।’
অতীতের বিতর্কিত নির্বাচনের প্রসঙ্গ তুলে ধরে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এবার সেই ইতিহাস বদলানোর সুযোগ এসেছে। যেন দেশে-বিদেশে সবাই বলতে পারে, বাংলাদেশে এক নজিরবিহীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, এ নির্বাচন কেবল রুটিন নির্বাচন নয়; এটি গণ-অভ্যুত্থানের পরবর্তী নির্বাচন। যে স্বপ্ন নিয়ে মানুষ আত্মত্যাগ করেছে, সেই স্বপ্নের স্থায়ী ভিত্তি তৈরির সুযোগ এই নির্বাচন।
গণ-অভ্যুত্থানে শহীদ শাহরিয়ার খান আনাসের চিঠির প্রসঙ্গ টেনে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, সেই চিঠি দায়িত্ববোধের বার্তা দিয়ে গেছে। এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আপনারা কর্মস্থলে যাওয়ার আগে আনাসের চিঠিটা কাছে রাখবেন। সেটাই আপনাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দেবে।’
পুলিশ সুপারদের পদায়নে লটারির কথা উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, এর লক্ষ্য ছিল পক্ষপাতহীনতা নিশ্চিত করা। এতে ব্যক্তিগত অসুবিধা হলেও দায়িত্ব পালনে মনোযোগ বাড়বে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
২৭ জুলাই ২০২৪
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

বিএনপির পক্ষ থেকে আপত্তি তোলা সত্ত্বেও পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশ ও এনজিও-সংক্রান্ত অধ্যাদেশের অনুমোদন দিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
রাজধানীর তেজগাঁওয়ে প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে আজ বৃহস্পতিবার উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকের সভাপতিত্ব করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
সেদিন সংবাদমাধ্যমে পাঠানো বিবৃতিতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, ‘বিশ্বস্ত সূত্রে আমরা জানতে পেরেছি, তাড়াহুড়ো করে দুটি আইন বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকার পাস করাতে চাইছে। একটি সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন, অন্যটি এনজিও-সংক্রান্ত আইন। আমরা মনে করি, নির্বাচনের আগে এই আইনগুলো পাস করার পেছনে সরকারের ভিন্ন কোনো উদ্দেশ্য কাজ করছে; যা গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করবে।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘জনগণের ম্যান্ডেট ছাড়াই তড়িঘড়ি করে এ ধরনের গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে আইন পাস করা সমীচীন হবে না। আমরা মনে করি, উপরোক্ত বিষয়ে আইনগুলো পরবর্তী জাতীয় সংসদে যুক্তিতর্কের মধ্য দিয়ে প্রণয়ন করা সঠিক হবে। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি, এই ধরনের পদক্ষেপ গ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য।’
বিএনপির আপত্তি আমলে না নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের একজন অবসরপ্রাপ্ত বিচারককে প্রধান করে আজ উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যের পুলিশ কমিশন গঠনের অনুমোদন দেওয়া হয়। গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশের (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রেও সংশোধনী আনা হয়।
বৈঠক শেষে এ বিষয়ে রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
উপদেষ্টা জানান, পুলিশ কমিশনে সুপ্রিম কোর্টের অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি ছাড়াও একজন অবসরপ্রাপ্ত জেলা জজ, অতিরিক্ত মহাপুলিশ পরিদর্শক পদমর্যাদার নিচে নন—এমন কোনো অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক, যিনি কর্মরত হতে পারেন বা অবসরপ্রাপ্তও হতে পারেন এবং মানবাধিকার ও সুশাসন বিষয়ে অন্তত ১৫ বছর অভিজ্ঞতা রয়েছে, এমন একজন ব্যক্তি থাকবেন।
পুলিশকে জনবান্ধব করতে করণীয় সম্পর্কে সরকারকে সুপারিশ করবে কমিশন। এ ছাড়া পুলিশ যাতে সংবেদনশীল হয়, সে জন্য তাদের আধুনিকায়ন কোথায় কোথায় দরকার, কী ধরনের প্রশিক্ষণ দরকার—সেগুলোও চিহ্নিত করবে কমিশন।
কমিশনের কার্যক্রমের মধ্যে থাকবে—পুলিশের বিষয়ে নাগরিকদের যেসব অভিযোগ থাকবে, সেগুলো তদন্ত ও নিষ্পত্তি করা এবং পেশাগত বিষয়ে পুলিশ সদস্যদের যদি কোনো অভিযোগ থাকে, সেগুলোর নিষ্পত্তি করা। পুলিশি কার্যক্রমে দক্ষতা ও উৎকর্ষ আনা, শৃঙ্খলা, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় প্রয়োজনীয় সুপারিশ প্রদান ইত্যাদি কাজও হবে এ কমিশনের।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে রিজওয়ানা হাসান বলেন, সুপারিশ-পরামর্শ কেউ কখনো মানতে বাধ্য না। পুলিশের সঙ্গে জনগণের একটি ব্রিজ (সেতু) করে দেওয়ার জন্যই এ কমিশন। আর পুলিশের সেবা দেওয়ার ক্ষেত্রে, আধুনিকায়নের ক্ষেত্রে, মানবাধিকার রক্ষার ক্ষেত্রে পুলিশ বাহিনীর সঙ্গে সরকারের একটা যোগসূত্র স্থাপন করে দেওয়ার কাজ হচ্ছে এ কমিশনের।
আরপিও সংশোধন করে কোন কোন ভোট বিবেচনায় নেওয়া হবে না এবং পোস্টাল ব্যালটের ভোটগুলো গণনা পদ্ধতি সংযুক্ত করা হয়েছে।
রিজওয়ানা হাসান বলেন, ‘ব্যালটে যেখানে একটা সিল পড়ার কথা, সেখানে একাধিক সিল পড়লে গণনা করা হবে না। যদি সিল না দেয়, তাহলে গণনা করা হবে না। যখন পোস্টাল ভোট দেওয়া হয়, তখন একটা ডিক্লারেশন স্বাক্ষর করা হবে। ওই ডিক্লারেশনে যদি স্বাক্ষর না থাকে, তাহলে গণনা করা হবে না। আর আমাদের ভোটের দিন পর্যন্ত সময় নির্ধারণ করে দেবে নির্বাচন কমিশন। সেই সময়ে যে ব্যালটগুলো এসে পৌঁছাবে রিটার্নিং অফিসারের কাছে—সেগুলো একইভাবে গণনা করা হবে।’

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
২৭ জুলাই ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন এবং পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান বলেছেন, ভিভিআইপি (অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি) হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আজ বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ‘ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।’
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রের অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি (ভিভিআইপি) ঘোষণা করে অন্তর্বর্তী সরকার। রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে গত ২৩ নভেম্বর থেকে চিকিৎসা নেওয়ার মধ্যেই তাঁকে এই বিশেষ মর্যাদা দেওয়া হয়।
বিশেষ নিরাপত্তা বাহিনী (স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্স) (সংশোধন) অধ্যাদেশ অনুযায়ী, রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী বা অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা যেখানেই অবস্থান করুন না কেন, তাঁদের দৈহিক নিরাপত্তা দেওয়া এ বাহিনীর প্রধান দায়িত্ব হবে। এ ছাড়া বাহিনী বাংলাদেশে অবস্থানরত অতি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিকেও নিরাপত্তা দেবে।

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
২৭ জুলাই ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
১৭ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

প্রধান উপদেষ্টার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে আজ বৃহস্পতিবার কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ অধ্যাদেশের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে আয়োজিত ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান। এ সময় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার উপস্থিত ছিলেন।
উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান জানান, গণপ্রতিনিধিত্ব অধ্যাদেশে (আরপিও) দুটি ক্ষেত্রে সংশোধনী আনা হয়েছে। প্রথম—এখন থেকে পোস্টাল ভোট সাধারণ ভোটের সঙ্গে একই সঙ্গে গণনা করা হবে। দ্বিতীয়—ব্যালট পেপারে একাধিক সিল থাকলে সেই ভোট বাতিল বলে গণ্য হবে।
উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট পুলিশ কমিশন অধ্যাদেশও পাস হয়েছে। পুলিশকে জনবান্ধব করার জন্য এই কমিশন সরকারকে সুপারিশ করবে। পাশাপাশি, পেশাগত ক্ষেত্রে পুলিশের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলোও এই কমিশন দেখবে।
এক প্রশ্নের জবাবে সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান নিশ্চিত করেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন। তবে তিনি আরও জানান, জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা এই সুবিধা পাবেন না।
উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার অন্য এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, খালেদা জিয়াকে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাঁর পরিবার বিদেশে নিতে চাইলে তার সব প্রস্তুতি সরকারের রয়েছে। তিনি জানান, সরকার এ ব্যাপারে সহযোগিতা করছে এবং বিএনপি চাইলে আরও সহায়তা দেওয়া হবে।

মাঝেমধ্যেই হ্যাকারদের কবলে পড়ছে দেশের গুরুত্বপূর্ণ ওয়েবসাইটগুলো। ঘটছে নাগরিকের তথ্য বেহাতের ঘটনা। সম্প্রতি বাংলাদেশ ব্যাংক, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়, পুলিশ ও ছাত্রলীগের ওয়েবসাইট হ্যাক করার দাবি করেছে হ্যাকাররা।
২৭ জুলাই ২০২৪
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ব্যালটের নিরাপত্তাকে বড় ধরনের চ্যালেঞ্জ হিসেবে দেখছেন বিভিন্ন জেলার পুলিশ সুপাররা (এসপি)। তবে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) মনে করেন, ঝুঁকি বিবেচনায় রেখে সব প্রার্থীর সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে নির্বাচন আয়োজন করা গেলে এই চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
১১ ঘণ্টা আগে
সংশোধিত পুলিশ কমিশন আইন ও এনজিও-সংক্রান্ত আইন পাস করা নিয়ে গত ২৮ নভেম্বর উদ্বেগ জানায় বিএনপি। নির্বাচনের আগে এমন পদক্ষেপ নেওয়া থেকে অন্তর্বর্তী সরকারকে বিরত থাকারও আহ্বান জানায় দলটি।
১৫ ঘণ্টা আগে
সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়াকে দেওয়া ভিভিআইপি মর্যাদা জিয়া পরিবারের অন্য সদস্যরা পাবেন কি না—এ বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে উপদেষ্টা বলেন, ভিভিআইপি হিসেবে খালেদা জিয়ার নিরাপত্তায় এসএসএফ সুবিধা দেওয়া নিয়ে একটি গেজেট জারি হয়েছে। সে অনুযায়ী খালেদা জিয়া এই সুযোগ-সুবিধা পাবেন।
১৫ ঘণ্টা আগে