Ajker Patrika

থমথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

নিজস্ব প্রতিবেদক
আপডেট : ১৬ জুলাই ২০২৪, ২২: ৪০
থমথমে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়

থমথমে অবস্থা বিরাজ করছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে। আজ মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাসে দুই পক্ষই অবস্থান করছে। গতকাল সোমবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার পর জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়েও একই ঘটনার সূত্রপাত ঘটে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আজ মঙ্গলবার রাতেও ক্যাম্পাসের পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি।

মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অবস্থান করছিলেন চারুকলা অনুষদের ৪৩তম আবর্তনের শিক্ষার্থী ইয়াসমিন আক্তার। তিনি জানিয়েছেন, সারা দিনের উত্তেজনার পর রাতে ক্যাম্পাসজুড়ে একটি ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে। থমথমে পরিস্থিতি বিরাজ করছে চারপাশে। রাত ৯টার দিকে ক্যাম্পাস প্রাঙ্গণে দুই পক্ষেরই অবস্থান দেখা গেছে। এক পক্ষে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা, অন্য পক্ষে ছাত্রলীগ।

এই প্রতিবেদকের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময় ক্যাম্পাসের আল-বেরুনি হলসংলগ্ন একটি এলাকায় অবস্থান করছিলেন ইয়াসমিন। তিনি বলেন, ’বুঝতে পারছি না, কে ছাত্রলীগ আর কে সাধারণ শিক্ষার্থী। দুই পক্ষের কাছেই দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র রয়েছে। রাতে ছাত্রলীগ হামলা করতে পারে এমন আশঙ্কা করা হচ্ছে।’

তিনি জানান, গতকাল মাঝরাতে হামলার শিকার হলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় বিভিন্ন হল থেকে সাধারণ শিক্ষার্থীরাও এগিয়ে এসেছিলেন। ক্যাম্পাসে দোকানপাট বন্ধ থাকায় খাবার এবং ঘুমের অভাবে দুর্বল হয়ে পড়েছিলেন আন্দোলনকারীরা। তবে সাধারণ শিক্ষার্থীদের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করতে এগিয়ে এসেছেন ক্যাম্পাসের কিছু সাবেক শিক্ষার্থী। তাদের পাঠানো অর্থে প্রাথমিকভাবে ৩০০ শিক্ষার্থীর জন্য খাবারের আয়োজন করা হয়েছে।

এর আগে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের ওপর ছাত্রলীগের হামলার প্রতিবাদে গতকাল সোমবার রাতেই ভিসির বাসভবনের সামনে অবস্থান নিয়েছিল জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। মধ্যরাতে ভিসির বাসভবনের সামনেই অতর্কিত হামলার শিকার হন তাঁরা।

ক্যাম্পাসে সংঘর্ষের শুরু গতকাল সোমবার সন্ধ্যার পর থেকেই। কোটা সংস্কার আন্দোলনে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ মিছিলের ওপর শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আক্তারুজ্জামান সোহেল এবং সাধারণ সম্পাদক হাবিবুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে সন্ধ্যা ৭টার দিকে হামলার ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় একজন শিক্ষকসহ প্রায় ৫০ জন শিক্ষার্থী আহত হন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যায় ছাত্রলীগ আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার পর তাঁরা সংঘবদ্ধভাবে ছাত্রলীগের হামলা প্রতিহত করার চেষ্টা করে।

ঘটনার সময় থাকা প্রত্যক্ষদর্শী এক সংবাদকর্মী আজকের পত্রিকাকে বলেন, সন্ধ্যার ঘটনার পর থেকেই ছাত্রলীগ বড় ধরনের হামলার প্রস্তুতি নেয়। এ জন্য তারা বিভিন্ন হল থেকে কর্মীদের একসঙ্গে হওয়ার আহ্বান করে। ছাত্রলীগ সাধারণ সম্পাদক লিটন তাঁর অনুসারীদের নিয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হলের সামনে জড়ো হতে থাকেন। সে সময় তাঁরা লাঠি ও দেশীয় অস্ত্রের জড়ো করতে থাকেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এসব বিষয় দ্রুত ভাইরাল হয়ে গেলে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা নিরাপত্তার খাতিরে ভিসির বাসভবনে অবস্থান নেন। একপর্যায়ে রাত ১২টার দিকে তাঁদের ওপর ছাত্রলীগের নেতা-কর্মী ও বহিরাগতরা ইট-পাটকেল ছুড়ে হামলা চালান বলে অভিযোগ করেন শিক্ষার্থীরা। হামলাকারীদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল বলেও দাবি করেন তাঁরা। শিক্ষার্থীদের ওপর দুটি পেট্রলবোমা ছুড়ে দেওয়ার ঘটনাও ঘটে। রাত ১টা ৫০-এর দিকে পুলিশের সামনে ফটক ভেঙে ভিসির বাসভবনের ভেতরে প্রবেশ করে আন্দোলনকারীদের ব্যাপক মারধর করেন হামলাকারীরা। উপাচার্য এ সময় বাসভবনেই ছিলেন। পুলিশের উপস্থিতিতে এই হামলা চালালেও পুলিশ হামলাকারীদের কোনো বাধা দেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সংবাদকর্মী বলেন, ছাত্রলীগ বহিরাগত কর্মীদেরও ক্যাম্পাসে ডেকে আনে। পিকাপে করে আশপাশের গেরুয়া, ইসলামনগর, জামসিং, আশুলিয়া, সাভার এলাকা থেকে বহিরাগতরা ক্যাম্পাসে প্রবেশ করতে শুরু করে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন, হামলার সময় উপাচার্যের বাসভবনে অনেক শিক্ষক অবস্থান করছিলেন। তাঁরাও হতবাক হয়েছেন। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে বহিরাগতরা এভাবে উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে ঢুকে কীভাবে হামলা করতে পারে!

এদিকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এমন হামলার খবর ছড়িয়ে পড়লে বিভিন্ন হল থেকে প্রায় দুই হাজারের মতো শিক্ষার্থী জোট বেঁধে উপাচার্যের বাসার সামনে এসে প্রতিরোধ গড়েন। তাঁদের দেখে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরাও পিছু হটতে থাকেন।

এ সময় সাধারণ শিক্ষার্থী ও আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ টিয়ার গ্যাসের শেল, ছররা গুলি নিক্ষেপ ও লাঠিপেটা করে। এতে অন্তত শতাধিক আহত হন।

আজ মঙ্গলবার সকালে পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হলেও দুপুর ১২টায় ক্যাম্পাসের বিশমাইল গেটে বহিরাগতদের প্রায় ১০০ জন অবস্থান নিলে ক্যাম্পাস আবার উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। তখন আন্দোলনকারীরাও আবারও সংগঠিত হতে শুরু করেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নেত্রকোনায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে সংঘর্ষে যুবক নিহত

নেত্রকোনা প্রতিনিধি
জিহাদুল ইসলাম । ছবি: আজকের পত্রিকা
জিহাদুল ইসলাম । ছবি: আজকের পত্রিকা

নেত্রকোনার পূর্বধলায় অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জিহাদুল ইসলাম (৩২) নামের এক যুবক নিহত হয়েছেন।

আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) বেলা ৩টার দিকে পূর্বধলা উপজেলায় চৌরাস্তা মোড়ে ইলাসপুর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

সদর সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।

নিহত জিহাদুল ইসলাম পূর্বধলার সদর ইউনিয়নের ইলাসপুর গ্রামের আব্দুল হাইয়ের ছেলে। তিনি পেশায় ট্রাকচালক। তাঁর দুটি সন্তান রয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার চৌরাস্তা অটোস্ট্যান্ডে যাত্রী ওঠানামা নিয়ে দুই অটোচালকের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডা হয়। জিহাদুল বিষয়টি সমাধান করতে গেলে অটোচালক নিজাম উদ্দিনের সঙ্গে তাঁর ঝগড়া ও হাতাহাতি হয়। স্থানীয় লোকজন বিবাদ থামিয়ে উভয় পক্ষকে বাড়িতে পাঠিয়ে দেয়।

কিছুক্ষণ পর অটোচালক নিজাম উদ্দিন দেশীয় অস্ত্রসহ তাঁর লোকজন নিয়ে এসে জিহাদুলের ওপর হামলা করেন। এ সময় জিহাদুলের পক্ষের লোকজনও তাঁদের প্রতিহত করেন। সংঘর্ষের একপর্যায়ে নিজাম উদ্দিন শাবল দিয়ে জিহাদুলকে আঘাত করে গুরুতর জখম করেন।

গুরুতর আহত অবস্থায় স্থানীয়রা জিহাদুলকে উদ্ধার করে পূর্বধলা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান। উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কর্তব্যরত চিকিৎসক সোহেল রানা পরীক্ষা-নিরীক্ষা শেষে জিহাদুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

খবর পেয়ে নেত্রকোনার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সজল কুমার সরকার ঘটনাস্থল পরিদর্শনে যান। তিনি বলেন, অটোরিকশায় যাত্রী ওঠানামা ও ভাড়াকে কেন্দ্র করে অটোচালক নিজাম উদ্দিন ও জিহাদুলের মধ্যে বাগ্‌বিতণ্ডার জেরে এ সংঘর্ষ হয়েছে বলে জানা গেছে। তবে তাঁদের মধ্যে আগে থেকেই জমি-সংক্রান্ত ঝামেলা রয়েছে। জিহাদুলের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হচ্ছে। এ বিষয়ে তদন্ত করে দায়ীদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. দিদারুল ইসলাম বলেন, ঘটনাস্থল পরিদর্শনের পাশাপাশি সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে। নিহত ব্যক্তির সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নেত্রকোনা সদর হাসপাতালে পাঠানো হবে। এ ঘটনায় পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়া চলমান।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিলেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার

দুর্গাপুর (রাজশাহী) প্রতিনিধি  
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা
প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন আওয়ামী লীগ নেতা প্রদ্যুৎ কুমার সরকার। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহীর দুর্গাপুরে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নিয়েছেন প্রদ্যুৎ কুমার সরকার নামের কার্যক্রম নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগের এক নেতা। আজ সোমবার দুপুরে কারাগার থেকে প্যারোলে মুক্তি পেয়ে তিনি উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে বাবার শেষকৃত্যে অংশ নেন।

প্রদ্যুৎ কুমার সরকার রাজশাহী জেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক। তাঁর বাড়ি রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার বেলঘরিয়া গ্রামে।

গতকাল রোববার রাতে বার্ধক্যজনিত কারণে প্রদ্যুৎ কুমারের বাবা পল্লিচিকিৎসক গোপাল চন্দ্র সরকার মারা যান। বাবার মৃত্যুর খবর পেয়ে রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে আজ প্যারোলে মুক্তি পান প্রদ্যুৎ কুমার। বেলা প্রায় ২টা ৩০ মিনিটে কারাগার থেকে মুক্তি নিয়ে বেলা ৩টার দিকে তিনি নিজ গ্রামে আসেন। পরে পুলিশি প্রহরায় বাড়ির পাশে বাবার দাহকর্মে অংশ নেন তিনি।

প্রদ্যুৎ কুমারের ছোট ভাই সুকেশ কুমার জানান, বাবার মৃত্যুর পর প্যারোলে মুক্তির জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট বরাবর লিখিত আবেদন করলে বেলা

১টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা প্যারোলে মুক্তি পান তাঁর ভাই।

জানা গেছে, এ বছরের ২ সেপ্টেম্বর নগরীর ভাড়া বাসা থেকে প্রদ্যুৎ কুমারকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁর বিরুদ্ধে রাজশাহী নগরীর শাহমখদুম থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা করা হয়। বর্তমানে তিনি রাজশাহী কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী রয়েছেন।

দুর্গাপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা থানা থেকে অংশ নিয়েছিলাম। বিস্তারিত তথ্য জেলা পুলিশের হাতে ছিল। তারাই সব বলতে পারবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় স্ত্রীর কারাদণ্ড

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: সংগৃহীত
মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। ছবি: সংগৃহীত

স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলার অভিযোগে বাদীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন মানিকগঞ্জের চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত। গতকাল রোববার দুপুরে আদালতের বিচারক মামুন হাসান খান এই রায় ঘোষণা করেন।

দণ্ডপ্রাপ্ত নারী হলেন শারমিন আক্তার। বাবার বাড়ি সাটুরিয়া উপজেলার তেবাড়িয়া গ্রামে। পার্শ্ববর্তী জেলা টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলার মানরা গ্রামের শহীদ হোসেনের সাবেক স্ত্রী।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, গত ১৭ নভেম্বর শারমিন আক্তার ও শহীদ হোসেনের তালাক সম্পন্ন হয়। কাবিনের অর্থ ও এক সন্তানের ভরণপোষণ বাবদ শারমিনকে ১৪ লাখ টাকা দেন শহীদ হোসেন। এর দুই দিন পর (১৯ নভেম্বর) তালাকের বিষয়টি গোপন করে সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে যৌতুক দাবির অভিযোগে মামলা করেন শারমিন। এর পরিপ্রেক্ষিতে আদালত আসামি শহীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করেন।

গতকাল রোববার দুপুরে আসামি শহীদ ও বাদী শারমিন আদালতে হাজির হন। এ সময় দুই পক্ষের আইনজীবীদের শুনানি শেষে মামলাটি মিথ্যা হিসেবে প্রমাণিত হয়। এরপর মামলা থেকে আসামিকে অব্যাহতি দেন। পাশাপাশি মিথ্যা মামলা করার দায়ে শারমিনকে এক দিনের কারাদণ্ড দেন বিচারক মামুন হাসান খান।

খালাসপ্রাপ্ত শহীদ হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, দাম্পত্যকলহের কারণে সংসার করা সম্ভব হয়নি। পরে স্ত্রীর সম্মতিতে তাঁদের মধ্যে তালাক হয়ে যায় এবং আর্থিক দেনা-পাওনা পরিশোধ করা হয়। এরপরও তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করা হয়।

আদালতে দেওয়া বক্তব্যে বাদী শারমিন আক্তার দাবি করেন, তিনি কাবিনের টাকা পেয়েছেন। তবে আগে চাকরি বাবদ শহীদ তাঁর কাছ থেকে ১২ লাখ টাকা নিয়েছিলেন। এ কারণে তিনি মামলা করেছেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবী আজিজুল হক সাংবাদিকদের বলেন, সাবেক স্বামীর বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা করায় আদালতের বিচারক ওই নারীকে এক দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন। আদালতের নির্দেশে আসামি শারমিনকে কারাগারে পাঠানো হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

বড়দিন উপলক্ষ ২১টি গির্জায় আর্থিক প্রণোদনা দিল ডিএনসিসি

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন বড়দিন উপলক্ষে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের ঐচ্ছিক তহবিল থেকে রাজধানীর ২১টি গির্জায় প্রায় ২০ লাখ টাকা আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে। আজ সোমবার (২২ ডিসেম্বর) ডিএনসিসির জনসংযোগ বিভাগ এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়।

ডিএনসিসি জানিয়েছে, বড়দিনকে কেন্দ্র করে গির্জাগুলোর ধর্মীয় আয়োজন, সামাজিক কল্যাণমূলক কার্যক্রম এবং সার্বিক প্রস্তুতি গ্রহণে এই আর্থিক সহায়তা সহায়ক ভূমিকা রাখবে বলে আশা করা হচ্ছে।

বড়দিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়ে ডিএনসিসি প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, শহরের সব ধর্মের মানুষ যেন নিরাপদ, আনন্দঘন ও উৎসবমুখর পরিবেশে নিজ নিজ ধর্মীয় উৎসব পালন করতে পারেন, সে লক্ষ্যে সিটি করপোরেশন কাজ করছে। তিনি বলেন, ‘আমরা ঢাকাকে একটি বহু সংস্কৃতির মানবিক নগরীতে পরিণত করতে চাই, যেখানে সব ধর্ম ও সংস্কৃতির মানুষ নির্ভয়ে ও নিশ্চিন্তে বসবাস করতে পারবেন।’

ডিএনসিসি প্রশাসক আরও বলেন, নাগরিক সম্প্রীতি, সহনশীলতা ও পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধকে ডিএনসিসি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেয়। এরই ধারাবাহিকতায় বড়দিনসহ বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে বাস্তবসম্মত সহায়তা অব্যাহত থাকবে।

ডিএনসিসি জানায়, এর আগে ঈদ ও দুর্গাপূজা উপলক্ষে মসজিদ, মন্দির ও ঈদগাহে আর্থিক প্রণোদনা দেওয়া হয়েছিল।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত