আয়নাল হোসেন, ঢাকা

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর থেকে ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে ১২০টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর। এই ছয় মাসের মধ্যে মোট কর্মদিবস ছিল ১০৩টি। সেই হিসাবে দিনে গড়ে একটির বেশি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক।
হঠাৎ এত বেশি ওষুধ কারখানা অনুমোদন নিয়ে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছে সংশ্লিষ্ট মহলে। দীর্ঘদিন ধরে এ খাতের ব্যবসার সঙ্গে যুক্ত ব্যবসায়ী ও বিশেষজ্ঞদের কেউ কেউ মনে করছেন, কিছু মানুষ কালোটাকা বিনিয়োগ এবং ব্যাংক থেকে মোটা অঙ্কের ঋণ নেওয়ার জন্যই কারখানার অনুমোদন নিয়ে থাকতে পারেন। কেউ হয়তো গ্রামাঞ্চলে তৈরি হওয়া বাজার ধরতে নতুন কারখানা গড়ছেন, আবার অনেকে প্রতিবেশী দেশের গণমাধ্যমে ব্যাপক প্রচার দেখে বাংলাদেশও আয়ুর্বেদিক ওষুধের বড় বাজার হবে বলে মনে করছেন।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মোহাম্মদ ইউসুফ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ঔষধ ও কসমেটিকস আইন পাস হওয়ার পর অনেকে নতুন প্রকল্প নিচ্ছেন। অনেকের ওষুধের ব্যবসা রয়েছে। তাঁরা নতুন করে ইউনানি, হারবাল ও আয়ুর্বেদিক ওষুধ তৈরির প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। এ কারণে নতুন প্রকল্প বেশি অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
দেশে বর্তমানে সব ধরনের ওষুধ তৈরির প্রতিষ্ঠান রয়েছে হাজারখানেক। অ্যালোপ্যাথিক কোম্পানিগুলোর মধ্যেও ৩০-৪০টি প্রতিষ্ঠান চাহিদার মান ঠিক রেখে চাহিদার ৯৫ শতাংশ ওষুধ তৈরি করছে। অন্যগুলোর অবস্থা খুবই নাজুক; বিশেষ করে বিকল্প ওষুধের ক্ষেত্রে খুবই সমস্যা হচ্ছে। এগুলোর গুণমান ও দাম—কোনোটিই নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে না। এমন পরিস্থিতিতে নতুন প্রকল্প অনুমোদনের কোনো প্রয়োজন নেই বলে মনে করেন ওষুধশিল্পের মালিক ও বিশেষজ্ঞরা।
বাংলাদেশ ঔষধ শিল্প সমিতির মহাসচিব এস এম সফিউজ্জামান বলেন, নতুন প্রকল্প অনুমোদনের সময় অনেকে জমি ভাড়া নিয়ে নিজেদের বলে চালিয়ে দিচ্ছেন। দেশে এত ওষুধ কারখানা অনুমোদনের প্রয়োজন নেই।
ওষুধের মান খারাপ হলেও পার পেয়ে যাওয়া এবং কালোটাকা বিনিয়োগের সুযোগ থাকায় ওষুধ কারখানা অনুমোদন নেওয়ার হিড়িক পড়েছে বলে মনে করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্লিনিক্যাল ফার্মেসি অ্যান্ড ফার্মাকোলজি বিভাগের সাবেক অধ্যাপক মনীর উদ্দিন আহমেদ। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, দেশে অবৈধ পন্থায় উপার্জনকারী কালোটাকার মালিকেরা নতুনভাবে ওষুধে বিনিয়োগ করছেন। ওষুধের মান খারাপ দিলে সাধারণ মানুষ চ্যালেঞ্জ করতে পারে না। ওষুধ কোম্পানিগুলো দেশের মানুষের অসহায়ত্বের সুযোগ নিচ্ছে। তারা আগ্রাসী বিনিয়োগ করছে এবং কমিশন-বাণিজ্যের মাধ্যমে বছরে ১০ হাজার কোটি টাকা চিকিৎসকদের পকেটে দিচ্ছে।
মনীর উদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, দেশে মোট ওষুধের ৯২-৯৫ শতাংশ উৎপাদন করছে ৩০-৪০টি কোম্পানি। অবশিষ্ট ওষুধ তৈরি করছে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান। দেশে বর্তমানে ৯৮ শতাংশ ওষুধ তৈরি হচ্ছে। নতুন করে আর কোম্পানির দরকার নেই।
ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের গত ৫ বছরের তথ্য বিশ্লেষণে দেখা গেছে এই সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ওষুধ কারখানার অনুমোদন পেয়েছে গত নভেম্বর থেকে এপ্রিলে। অধিদপ্তর ২০২০ সালে ২০টি, ২০২১ সালে ২৪টি, ২০২২ সালে ২৯টি, ২০২৩ সালে ৭৫টি এবং ২০২৪ সালের ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ৬০টি কারখানার অনুমোদন দেয়।
২০২৩ সালের ২৬ নভেম্বর ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের প্রকল্প অনুমোদন কমিটির ১১৩তম সভায় ৬৫টি নতুন প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। আর চলতি বছরের ২৯ এপ্রিল ১১৪তম সভায় অনুমোদন দেওয়া হয় ৫৫টি নতুন কারখানার। এসব নতুন কারখানার মধ্যে ২৫টি অ্যালোপ্যাথিক, ৬৫টি হারবাল, ১৩টি ইউনানি, হোমিওপ্যাথি ৪টি, আয়ুর্বেদিক ৭টি, মেডিকেল ডিভাইস ২টি, কসমেটিকস ২টি ও ১টি ফিড কারখানা রয়েছে।
সম্প্রতি সবচেয়ে বেশি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে ঢাকা জেলায়। ঢাকায় ১৪টি হারবাল, ২টি অ্যালোপ্যাথিক, ১টি ইউনানি, ২টি হোমিওসহ মোট ১৯টি কারখানার অনুমোদন পেয়েছে এ সময়ে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ কারখানা অনুমোদন দেওয়া হয়েছে বগুড়ায়। সেখানে হারবাল ৮টি, আয়ুর্বেদিক ৩টি, ইউনানি ৩টি ও অ্যালোপ্যাথিক ২টিসহ মোট ১৬টি কারখানা অনুমোদন পায়। এ ছাড়া গাজীপুরে ৫টি হারবাল ও ৬টি অ্যালোপ্যাথিক মিলিয়ে মোট ১১টি, নারায়ণগঞ্জে ১টি আয়ুর্বেদিক, ২টি হারবাল এবং ১টি করে অ্যালোপ্যাথিক ও ইউনানি কারখানা অনুমোদন পেয়েছে।
বগুড়ায় এক ওষুধ ব্যবসায়ী নিজের এবং আত্মীয়স্বজনের নামে ৮টি কারখানা অনুমোদন নিয়ে রেখেছেন বলে জানা গেছে। জেলাটিতে নতুনভাবে অনুমোদন পাওয়া একটি আয়ুর্বেদিক কোম্পানির মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আমরা বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের তালিকাভুক্ত। ওষুধ প্রশাসন থেকে প্রকল্প অনুমোদন দেখিয়ে আমরা চাইলে ব্যাংক থেকে চাহিদা অনুযায়ী ঋণ নিতে পারব।’
রাজশাহীতে অনুমোদন পাওয়া মেসার্স এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালস কারখানায় গত বুধবার বিকেলে গিয়ে দেখা গেছে, পাঁচতলা ভবনের সামনে ‘মুসলিম মেডিল্যাব’ নামে রাঙাপরি গ্রুপের একটি ওষুধ কোম্পানির সাইনবোর্ড। এভালন হারবাল অ্যান্ড নিউট্রাসিউটিক্যালসের লাইসেন্স নেওয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে প্রতিষ্ঠানের চেয়ারম্যান মাসুম সরকার বলেন, চালু কারখানায় বাড়তি দেড় থেকে আড়াই হাজার বর্গফুট জায়গা থাকলে হারবালের লাইসেন্স নেওয়া যায়। ঔষধ প্রশাসন প্রাথমিকভাবে অনুমোদন পেলেও সবাই উৎপাদনে আসতে পারে না।
হারবাল প্রোডাক্টস ম্যানুফ্যাকচারার্স অ্যাসোসিয়েশনের সাংগঠনিক সম্পাদক মুনসি দারুল ইসলাম বলেন, দেশে ওষুধে আগ্রাসী বিনিয়োগ হচ্ছে। চাহিদা ও উৎপাদনের সঙ্গে কোনো মিল নেই। প্রকল্প অনুমোদন নিয়ে ব্যাংকঋণ নেবে। ভারতসহ বিশ্বের অনেক দেশে ওষুধ উৎপাদনকারী মার্কেটিং করে না। সেখানে দ্বিতীয় প্রতিষ্ঠানকে দেওয়া হচ্ছে। দেশে এটি করা হলে দুর্বল কোম্পানিগুলো সবল হতো।
ঔষধ প্রশাসনের তথ্য অনুযায়ী, দেশে অ্যালোপ্যাথিক ওষুধ কারখানা রয়েছে ৩১৫টি। এগুলোর মধ্যে বন্ধ রয়েছে ৬৪টি। ইউনানি ২৮৭টির মধ্যে বন্ধ ১৯টি। আয়ুর্বেদিক ২০৫টির মধ্যে ১৬টি, হারবাল ৪৪টির মধ্যে ৩টি এবং হোমিও ৭১টির মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১৭টি। অর্থাৎ ৯২২টি কারখানার মধ্যে বন্ধ রয়েছে ১১৯টি। এসব কারখানা দেখভাল করার মতো পর্যাপ্ত জনবল অধিদপ্তরের নেই।
ছয় মাসে ১২০টি নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়াকে লুটপাট বলে মন্তব্য করেছে বাংলাদেশ হেলথ কনজ্যুমারস রাইট ফোরাম। সংগঠনের সদস্যসচিব ইবনুল সাঈদ রানা বলেন, সরকারের দুর্বলতায় ঔষধ প্রশাসনে লুটপাট চলছে, যা মোটেও গ্রহণযোগ্য নয়। এসব অনিয়ম জনগণের সামনে তুলে ধরার অনুরোধ করেন তিনি।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বাস্থ্য অর্থনীতি ইনস্টিটিউটের অধ্যাপক আব্দুল হামিদ বলেন, দেশে বর্তমানে ওষুধের চাহিদা কী পরিমাণ রয়েছে, কত উৎপাদিত হচ্ছে, তার একটি মূল্যায়ন করে নতুন কারখানা অনুমোদন দেওয়া দরকার। চাহিদার তুলনায় বেশি ওষুধ তৈরি হলে আগ্রাসী বাণিজ্য এবং পুশ সেল বাড়বে।
ঔষধ প্রশাসনের অনিয়ম নিয়ে ২০১৫ সালে গবেষণা চালায় ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল, বাংলাদেশ (টিআইবি)। প্রকল্প স্থানান্তর বা হস্তান্তরের সময় ১৫ লাখ, ছাড়পত্রে ৫-১০ লাখ, লাইসেন্স নবায়নে ৫০ হাজার থেকে ১ লাখ, রেসিপি অনুমোদন ৪-৫ হাজার, ওষুধ নিবন্ধন ১ থেকে দেড় লাখ পর্যন্ত ঘুষ লেনদেনের তথ্য উঠে আসে এতে।
নতুন ওষুধ কারখানা অনুমোদনের ক্ষেত্রেও এমন অর্থ লেনদেন হয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ওষুধের মান খুব গুরুত্বপূর্ণ। যাদেরকে তড়িঘড়ি ওষুধ তৈরির অনুমোদন দেওয়া হয়েছে, তাদের সে সক্ষমতা আছে কি না, যথাযথ নিয়ম অনুসরণ করে প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে কি না, বিষয়টি ক্ষতি দেখতে হবে। ওষুধের মান দেখার দায়িত্ব ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের। তারা যদি রক্ষকের জায়গায় ভক্ষকের ভূমিকা পালন করে, সেটি খতিয়ে দেখতে হবে এবং তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩০ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
ভাষণে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি আপনাদের সামনে হাজির হয়েছি অত্যন্ত হৃদয়বিদারক একটি সংবাদ নিয়ে। সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সম্মুখভাগের অকুতোভয় যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি আর আমাদের মাঝে নেই।’
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘আমি তাঁর রুহের মাগফিরাত কামনা করছি এবং শোকসন্তপ্ত স্ত্রী, পরিবারের সদস্যবৃন্দ, স্বজন ও সহকর্মীদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানাচ্ছি। শহীদ ওসমান হাদির স্ত্রী ও একমাত্র সন্তানের দায়িত্ব সরকার গ্রহণ করবে।’
প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় শোক পালনে আজ দেশের সব সরকারি, আধা সরকারি, স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠান, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসহ সরকারি-বেসরকারি ভবন এবং বিদেশে বাংলাদেশ মিশনগুলোতে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত থাকবে।
গতকাল শুক্রবার হাদির মরদেহ সিঙ্গাপুর থেকে দেশে আনা হয়। তাঁর মরদেহ জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউটের হিমঘরে রাখা হয়েছে। আজ বেলা ২টায় জাতীয় সংসদ ভবনের দক্ষিণ প্লাজায় তাঁর জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের কবরের পাশে তাঁকে সমাহিত করা হবে।
জানাজায় অংশগ্রহণে আগ্রহীদের কোনো প্রকার ব্যাগ বা ভারি বস্তু বহন না করার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ জানিয়েছে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং।
আরও বলা হয়েছে, এ সময় সংসদ ভবন ও এর আশপাশের এলাকায় ড্রোন ওড়ানো সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ।
জুলাই অভ্যুত্থান ও আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে পরিচিতি পাওয়া শরিফ ওসমান বিন হাদি ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ঢাকা-৮ আসন থেকে স্বতন্ত্র প্রার্থী হওয়ার ঘোষণা দিয়েছিলেন। নির্বাচন ও গণভোটের তফসিল ঘোষণার পরদিন শুক্রবার (১২ ডিসেম্বর) ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে চলন্ত মোটরসাইকেল থেকে রিকশায় থাকা হাদিকে গুলি করা হয়। গুলিটি হাদির মাথায় লাগে।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাঁকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়। সেখানে অস্ত্রোপচার শেষে রাতেই তাঁকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য গত সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) দুপুরে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে করে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক যৌথ বিবৃতিতে সংগঠনের সভাপতি হারুন জামিল ও সাধারণ সম্পাদক শওকত আলী লিথো এই প্রতিবাদ জানান।
বিপিজেএ নেতারা বলেন, সংবাদপত্রের ওপর যেকোনো ধরনের হামলা স্বাধীন মতপ্রকাশের মৌলিক অধিকারের পরিপন্থী। একটি গণতান্ত্রিক সমাজে এ ধরনের সহিংসতা অগ্রহণযোগ্য।
বিবৃতিতে তাঁরা উল্লেখ করেন, সমাজে ভিন্নমত থাকবেই এবং মতের ভিন্নতা একটি সুস্থ সমাজ বিনির্মাণে সহায়তা করে। সাংবাদিকতা কোনো অপরাধমূলক কাজ নয়, বরং এটি রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির ওপর হামলার দায় দুষ্কৃতকারীদের। নেতারা বলেন, অপরাধীদের আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের। কিন্তু এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ঢালাওভাবে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের লক্ষ্যবস্তু করা চরম অন্যায়।
বিবৃতিতে নেতারা গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, দেশে যখন একটি সুস্থ ধারার রাজনৈতিক পরিবেশ সৃষ্টির লক্ষ্যে নির্বাচনের প্রস্তুতি চলছে, ঠিক সেই মুহূর্তে সংবাদপত্র ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের বর্বরোচিত হামলা অত্যন্ত উদ্বেগজনক। এটি গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করার একটি অপচেষ্টা হতে পারে।
বিপিজেএ অবিলম্বে এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছে। একই সঙ্গে গণমাধ্যমকর্মীদের পেশাগত নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সরকারের প্রতি কার্যকর পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩০ মিনিট আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
আজ শুক্রবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই নিন্দা জ্ঞাপন ও শাস্তি দাবি করেন তাঁরা।
এতে বলা হয়, ‘এই হামলা শুধু গণমাধ্যমের ওপর নয়, এটা আমাদের সমাজের ওপর, গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের ওপর আক্রমণ। সর্বোপরি বাংলাদেশের ওপর আক্রমণ। গভীর রাতের ওই হামলায় প্রতিষ্ঠান দুটির গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো ও সম্পদহানির পাশাপাশি সংবাদকর্মীদের জীবনের ঝুঁকি তৈরি হয়েছিল। এটি আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির চরম অবনতির পাশাপাশি রাষ্ট্রের দায় এবং দায়িত্বহীনতারও স্পষ্ট বহিঃপ্রকাশ।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব মনে করে, এটা কোনো বিচ্ছিন্ন ঘটনা নয়। শুরু থেকেই মব ভায়োলেন্স (সংগঠিত) প্রতিরোধে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের ব্যর্থতার যে ধারাবাহিকতা আমরা প্রত্যক্ষ করেছি, সর্বশেষ ঘটনা তার আরেকটি ভয়াবহ উদাহরণ। গণমাধ্যম কার্যালয়ে হামলা প্রমাণ করে যে আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো অপরাধ দমনে কার্যকর ভূমিকা রাখতে সম্পূর্ণ ব্যর্থ হয়েছে।’
একই সঙ্গে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব ছায়ানটে হামলার ঘটনার নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছে।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস প্রথম আলো সম্পাদক মতিউর রহমান এবং দ্য ডেইলি স্টার সম্পাদক মাহফুজ আনামকে ফোন করে নিরাপত্তার বিষয়ে আশ্বস্ত করেন এবং পাশে আছেন বলে জানান। তবে এই হামলা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ব্যর্থতার দায় অন্তর্বর্তী সরকারকেই নিতে হবে। বিবৃতি বা আশ্বাস নয়, অবিলম্বে হামলাকারীদের চিহ্নিত করে গ্রেপ্তারসহ সম্পাদক পরিষদের সভাপতি নূরুল কবীরকে হেনস্তায় ঘটনায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।
পেশাজীবী সংগঠন, ব্যবসায়ী, নাগরিক সমাজ, রাজনৈতিক দলসহ সাংবাদিক সংগঠনগুলোকে এ দাবির সঙ্গে একাত্মতা প্রকাশের জন্য আহ্বান জানাচ্ছে সম্পাদক পরিষদ ও নোয়াব।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩০ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অন্যতম যোদ্ধা ও ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক। আজ শুক্রবার (১৯ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে তিনি এ ঘটনার দ্রুত ও নিরপেক্ষ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
১২ ডিসেম্বর ঢাকার পুরানা পল্টনের বক্স কালভার্ট রোডে ঢাকা-৮ আসনের সম্ভাব্য স্বতন্ত্র প্রার্থী ওসমান হাদিকে গুলি করা হয়। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল ও পরে এভারকেয়ার হাসপাতালে তাঁকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে ১৫ ডিসেম্বর এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে তাঁকে সিঙ্গাপুরে নেওয়া হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় গতকাল বৃহস্পতিবার রাত পৌনে ১০টার দিকে তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
জাতিসংঘের মানবাধিকার-বিষয়ক হাইকমিশনার ফলকার তুর্ক এক বিবৃতিতে বলেন, ‘হাদির মৃত্যুর ঘটনায় যারা দায়ী, তাদের চিহ্নিত করে দ্রুত, নিরপেক্ষ, পুঙ্খানুপুঙ্খ এবং স্বচ্ছ তদন্ত করার জন্য আমি কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি। একই সঙ্গে দায়ীদের জবাবদিহি এবং আইনি প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার অনুরোধ করছি।’
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, হাদির মৃত্যুকে কেন্দ্র করে টানা দ্বিতীয় দিনের মতো বাংলাদেশে বিক্ষোভ চলছে। এই পরিস্থিতিতে ফলকার তুর্ক সবাইকে শান্ত থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। তিনি সতর্ক করে বলেছেন, ‘প্রতিহিংসা এবং প্রতিশোধ কেবল বিভাজন বাড়াবে এবং পরিস্থিতিকে আরও জটিল করে তুলবে।’
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে বাংলাদেশে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা রয়েছে। এই সময়টিকে অত্যন্ত সংবেদনশীল উল্লেখ করে ফলকার তুর্ক বলেন, ‘এই সময়ে এমন একটি পরিবেশ নিশ্চিত করা জরুরি, যেখানে জনজীবনে সবার নিরাপদ অংশগ্রহণ এবং স্বাধীনভাবে ভিন্নমত প্রকাশের সুযোগ থাকবে।’
ফলকার তুর্ক আরও বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা, শান্তিপূর্ণ সমাবেশের অধিকার এবং সাংবাদিকদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অস্থিরতা যাতে আর না বাড়ে, সে বিষয়ে সরকারকে যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।

চলতি বছর ২৯ এপ্রিল পর্যন্ত ছয় মাসে দিনে গড়ে একটির বেশি ওষুধের কারখানা অনুমোদন পেয়েছে, যার বড় অংশই হারবাল...
০৬ জুলাই ২০২৪
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আজ শনিবার (২০ ডিসেম্বর) রাষ্ট্রীয় শোক পালিত হবে। গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাত পৌনে ১০টার দিকে সিঙ্গাপুরে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তাঁর মৃত্যু হয়। একই রাতে জাতির উদ্দেশে দেওয়া ভাষণে আজ এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেন...
৩০ মিনিট আগে
দেশের পাঠকপ্রিয় দুই সংবাদমাধ্যম দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টার কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা এবং প্রবীণ সাংবাদিক ও দ্য নিউ এজ সম্পাদক নূরুল কবীরকে নাজেহাল ও হেনস্তা করার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছে বাংলাদেশ পার্লামেন্ট জার্নালিস্টস অ্যাসোসিয়েশন (বিপিজেএ)।
৯ ঘণ্টা আগে
দেশের শীর্ষস্থানীয় দৈনিক প্রথম আলো ও দ্য ডেইলি স্টারের কার্যালয়ে হামলা, ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগের ন্যক্কারজনক ঘটনায় গভীর উদ্বেগ, ক্ষোভ এবং তীব্র নিন্দা জানিয়েছে সম্পাদক পরিষদ ও সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নোয়াব। একই সঙ্গে এসব ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি করেছে সংগঠন দুটি।
১১ ঘণ্টা আগে