রেজা করিম, ঢাকা

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন দলটির নেতারা।
বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের একাধিক নেতা জানান, এখন চাওয়া একটাই—স্বল্পতম সময়ের মধ্যে এই সরকারকে হটিয়ে গ্রহণযোগ্য একটি নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করা। ‘মধ্যবর্তী’ বা ‘অন্তর্বর্তীকালীন’ যে নামেই ডাকা হোক না কেন, তেমন একটি নির্বাচনের পরিস্থিতি সৃষ্টিরই পরিকল্পনা করা হয়েছে। এ লক্ষ্যে আন্দোলন পুনর্গঠনের কাজ চলছে। চলতি বছরের মধ্যেই নতুন কর্মসূচি নিয়ে পূর্ণোদ্যমে মাঠে নামা হবে। সেভাবেই দলকে প্রস্তুত করা হচ্ছে।
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব থেকে সম্প্রতি দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হয়েছেন সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমরা স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই সরকারের পতন ঘটিয়ে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের পরিবেশ তৈরি করতে চাই। জনগণ এই সরকারের ওপর চরমভাবে ক্ষুব্ধ।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সেলিমা রহমান অবশ্য এ বিষয়ে স্পষ্ট কিছু বলতে চাননি। তবে আকারে-ইঙ্গিতে তিনি বলেন, ‘আমাদের চিন্তাভাবনা যা-ই থাকুক না কেন, এই সরকার যা করেছে, তাদের নিজেদেরই তো পদত্যাগ করা উচিত। সময় কখন কোন গতিতে যাবে, সেটা তো বলতে পারছি না। সরকার পতনের আন্দোলন চলমান আছে। এর মাঝে কখন কী হবে, সেটা সময়ই বলে দেবে।’
দলীয় সূত্রে জানা গেছে, নতুন পরিকল্পনার অংশ হিসেবে সংসদ নির্বাচনের পরই দল গোছানোর কাজে হাত দিয়েছে বিএনপির শীর্ষ নেতৃত্ব। এরই মধ্যে দলের ঢাকাসহ চার মহানগর কমিটি এবং যুবদলের কমিটি বিলুপ্ত করা হয়েছে। ব্যাপক রদবদল আনা হয়েছে দলের কেন্দ্রীয় কমিটিতে। সহযোগী সংগঠনগুলোর দিকেও মনোযোগ দেওয়া হয়েছে। ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণার পর তাঁতী দল, মহিলা দল, শ্রমিক দলের কমিটি বিলুপ্ত করে ঢেলে সাজানোর প্রক্রিয়া চলমান। যুগপৎ আন্দোলনে গতি আনতে শরিকদের সঙ্গে যোগাযোগ বাড়ানো হয়েছে। আন্দোলনের তেজ বাড়াতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গেও যোগাযোগ করা হচ্ছে। এ ছাড়া কূটনৈতিক পরিমণ্ডলেও তৎপরতা বাড়ানোর পাশাপাশি জনসম্পৃক্ততা বাড়াতে প্রচারের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। কোনো কারণে স্বল্পতম সময়ে এই মিশন বাস্তবায়ন সম্ভব না হলে আরও গোছানোভাবে ‘প্ল্যান বি’ নিয়ে এগোনোর চিন্তাও আছে বিএনপিসহ মিত্রদের।
যুগপৎ আন্দোলনে যুক্ত বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘স্বল্পতম সময়ের মধ্যেই বড় চাপ সৃষ্টি করে সরকারকে বিদায় করতে চাই, যাতে দেশে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি হয়। সেই লক্ষ্যে আমরা কাজ করছি। নির্বাচনের নামটা “মধ্যবর্তী” হবে কি না, বলতে পারছি না।’
গত বছরের ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশ ঘিরে প্রাণঘাতী সংঘর্ষের পর বিপর্যয়ে পড়ে বিএনপি। সেই বিপর্যয় কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করলেও দলটি এখনো ঘুরে দাঁড়াতে পারেনি। নির্বাচনের পর এখনো মাঠে গড়ায়নি যুগপৎ আন্দোলন। এই অবস্থায় দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে নেতা-কর্মীরা হতাশ। স্বস্তিতে নেই নীতিনির্ধারকেরাও। এমন বিপর্যস্ত দশা কাটিয়ে নতুন মিশন সফল করা কতটা সম্ভব, সে নিয়ে সংশয় আছে বিএনপির ভেতরেই।
তবে এ বিষয়ে প্রকাশ্যে মুখ খুলতে রাজি নন কেউ। সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের কথায় এর কিছুটা আভাস মেলে। তিনি বলেন, বিক্ষুব্ধ জনগণকে অধিকার রক্ষার আন্দোলনে সম্পৃক্ত করাটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ। সেই কাজটা কতটা দক্ষতার সঙ্গে করা যায়, সেটাই বিষয়।
বিএনপির নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বেশ কয়েকজন নেতার অভিযোগ, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও তাঁর বলয়ই সুষ্ঠুভাবে দল পরিচালনার পথে বড় প্রতিবন্ধক। তারেক রহমানের বলয় ঘিরে দলের সিনিয়র নেতাদের মধ্যেও অস্বস্তি ও অসন্তোষ অনেকটাই খোলামেলা বিষয়। তারেকের অনিচ্ছায়ই জাতীয় কাউন্সিল হচ্ছে না। কাউন্সিল না করে সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে কমিটিতে পছন্দসই লোক ঢোকানো হচ্ছে।
দলের অপর অংশের নেতাদের দাবি, তারুণ্যনির্ভর নেতৃত্ব তৈরি করতে কেন্দ্রীয় কমিটিতে অপেক্ষাকৃত তরুণ যোগ্য নেতাদের অন্তর্ভুক্ত করছেন তারেক রহমান। আর কাউন্সিল অনুষ্ঠানের উপযুক্ত পরিবেশ না থাকায় বাধ্য হয়েই সংবাদ বিজ্ঞপ্তির ওপর ভরসা করতে হচ্ছে।
এদিকে তারেক রহমানের সঙ্গে দলের জ্যেষ্ঠ অনেক নেতার দ্বন্দ্বের বিষয়টিও বেশ পুরোনো। একটি পক্ষ একে সরাসরি ‘দ্বন্দ্ব’ বললেও আরেক পক্ষ ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ বলতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করে। জানা গেছে, কেন্দ্রীয় কমিটিতে বড় রদবদলের পর সেই ‘দ্বন্দ্ব’ বা ‘পারস্পরিক বোঝাপড়ার ঘাটতি’ আরও বেড়েছে।
এভাবে কোন্দল, সমন্বয়হীনতা, নেতৃত্বের সংকটসহ নানা সমস্যা নিয়ে বছরের পর বছর ধরে চলছে বিএনপি। সে কারণে নতুন মিশনেও আশার আলো দেখছেন না দলের অনেক নেতা-কর্মী। তাঁদের মতে, দলের ভবিষ্যৎ নিয়ে হতাশা ছড়িয়ে পড়েছে সর্বত্র। অনেক নেতা-কর্মী রাজনীতি ছেড়ে দেওয়ারও চিন্তা করছেন, কেউ পাড়ি দিচ্ছেন বিদেশে। বিএনপির জেলা পর্যায়ের এক দায়িত্বশীল নেতা হতাশার সুরে বলেন, ‘আমি কোনো আশার আলো দেখছি না।’
রাজধানীতে সমাবেশ আজ
দলীয় চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে তিন দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপি আজ শনিবার রাজধানীতে সমাবেশ করবে। নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বেলা আড়াইটায় এই সমাবেশ হবে।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বুদ্ধিজীবী দিবসটি আমাদের কাছে খুব ভারাক্রান্ত। কারণ স্বাধীনতা পাওয়ার ঠিক দুই দিন আগে অত্যন্ত পরিকল্পিতভাবে, একটা নীল নকশার মাধ্যমে, একটা জাতিকে সম্পূর্ণ মেধাশূন্য করে দেওয়ার একটা চক্রান্ত ছিল সেটা। দুর্ভাগ্য আমাদের যে, যারা পাক হানাদার বাহিনীর সঙ্গে সেদিন যোগসাজশ করেছিল, তাদের প্রতিনিধি হয়ে এসে বাড়িতে বাড়িতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোয়ার্টারগুলোতে অথবা তাদের বাড়ি থেকে যারা তুলে নিয়ে গিয়েছিল, তারা ছিল কিন্তু বাঙালি সন্তান। আজকে আমরা খুব ভালো করে জানি যে, তারা কারা ছিলেন?’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমাদের ইতিহাস প্রমাণ করে, তখনকার সেই রাজনৈতিক শক্তি, যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছিল তারাই সেদিন আমাদের সেই সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল। এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই। কারণ বারবার এই চক্রান্ত ষড়যন্ত্র হয়েছে, বারবার এই দেশের মানুষের ওপরে আঘাত এসেছে এবং তারা যেন মেধার ভিত্তিতে জেগে উঠতে না পারে, যেন তারা জ্ঞানে বিজ্ঞানে উপরে উঠতে না পারে, শিক্ষায় দীক্ষায় জাতিকে সামনের দিকে এগিয়ে নিতে না পারে, সেই চেষ্টাটা তখন করা হয়েছে।’
আওয়ামী লীগের ১৫ বছরেও ‘ভিন্ন অঙ্গিকে’ এই চেষ্টার ধারাবাহিকতা ছিল অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা দুর্বল হয়ে গেছে, আমাদের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা দুর্বল হয়েছে, আমরা আমাদের অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে পর্যুদস্ত করে ফেলা হয়েছে। আমরা সবসময় এই চক্রান্ত-ষড়যন্ত্র আমাদের এই জাতির বিরুদ্ধে আমরা দেখছি।
ভয় দেখিয়ে গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস স্মরণে বিএনপির উদ্যোগে রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে এই আলোচনা সভায় ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র ওসমান হাদিকে হত্যা চেষ্টার মধ্য দিয়ে দেশে ‘ভীতিকর পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা চলছে’ বলে মন্তব্য করে বিএনপি মহাসচিব।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে নির্বাচনের যখন তফসিল ঘোষণা হলো, তখনই হত্যা করার চেষ্টা করা হলো হাদিকে. . একজন সৈনিক যে ফ্যাসিস্টের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়িয়েছিল। একটা ভয় আবার শুরু করতে চেয়েছে, যে ভয় ১৫ বছর আওয়ামী লীগ দেখিয়েছে— ভয় দেখিয়ে দেশ শাসন করার চেষ্টা করেছে, চাপ সৃষ্টি করেছে। আবার সেই ভয় দেখিয়ে আমাদের গণতন্ত্রের সৈনিকদের স্তব্ধ করে দিতে চায়। কিন্তু ইতিহাস বলে বিএনপি ভয়ে কখনও দমে যায় না।’
আলোচনায় সভায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সালাহউদ্দিন আহমদ, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান শামসুজ্জামান দুদু, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালামসহ আরও অনেকে বক্তব্য রাখেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘এ দেশের দিল্লির তাঁবেদাররা বুদ্ধিজীবী হত্যার ঘটনা নিয়ে প্রথাগতভাবে সমস্ত দায়দায়িত্ব ঘৃণিতভাবে জামায়াতে ইসলামীর ওপরে চাপানোর চেষ্টা করেছেন। ইতিহাসের অনেক তথ্য আবিষ্কার হচ্ছে যে, দিল্লির পরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের ভিত্তিতে ভারতীয়রাই আমাদের এই সেরা সন্তানদের হত্যা করেছে।’
জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল বলেন, ‘৮ ডিসেম্বর বিজয়ের আগে ভারতীয় ৩৬ সেনারা ঢাকায় অবতরণ করেছে, এর রেকর্ড আছে। তখন রাজধানী ঢাকাসহ তদানীন্তন পূর্ব পাকিস্তান ভারতীয় সেনাদের নিয়ন্ত্রণে। পাকিস্তানি সেনা, রাজাকার-আল-বদরেরা তো আত্মসমর্পণ, নিজেদের প্রাণ বাঁচানো, পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টায় ব্যস্ত ছিল; কে কাকে খুঁজে কোথায় হত্যা করবে? নিজেদের জীবন বাঁচাতেই ততক্ষণ তারা ব্যস্ত ছিল।’
মিয়া গোলাম পরওয়ার বলেন, ‘ভারতের জনগণের প্রতি আমাদের কোনো আক্রোশ নেই। তবে ভারতের সাম্প্রদায়িক হিন্দুত্ববাদী সরকার, যারা ক্ষমতায় এখনো আছে, বারবার যারা এসেছে, তারাই এ দেশের স্বাধীন সত্তাকে বিকিয়ে দিয়ে এ দেশের ইসলামি মূল্যবোধ ধ্বংসের জন্য বারবার এ দেশের মানুষের ওপরে হত্যার ষড়যন্ত্র চাপিয়ে দিয়েছে।’
ভারত সরকারের উদ্দেশে পরওয়ার বলেন, ‘আপনারা বর্ডার কিলিং করেছেন। আমাদের পানি সমস্যা, আমাদের নদীর সমস্যা। আপনারা ফেলানির মতো কাঁটাতারে ঝুলিয়ে রেখে দেশের মানুষকে হত্যা করা, আমাদের ট্রানজিট, আমাদের ট্রেড ব্যালেন্স সবকিছুকে পরিকল্পিতভাবে আপনারা ধ্বংস করেছেন। আমরা সম্পর্ক চাই, কিন্তু সেই সম্পর্ক চাই ন্যায্যতা ও সমতার ভিত্তিতে।’
জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির সেলিম উদ্দিনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও বক্তব্য দেন দলের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল আব্দুল হালিম, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য সাইফুল আলম খান মিলন, মোবারক হোসাইন প্রমুখ।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এই কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
ঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী, সোমবার (১৫ ডিসেম্বর) বেলা ২টায় বিএনপির উদ্যোগে রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে মহান বিজয় দিবসের আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। পাশাপাশি বিজয় দিবসে মঙ্গলবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ৬টায় নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় ও দেশব্যাপী দলের সব কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হবে।
এ ছাড়া, একই দিন সকাল ৭টায় বিএনপির জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন এবং শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন ও পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। এরপর সাভার জাতীয় স্মৃতিসৌধ থেকে ফিরে দলের জাতীয় নেতৃবৃন্দসহ সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা সকাল সাড়ে ৯টায় বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন।
এ ছাড়া মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয় এবং নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হবে। পাশাপাশি দিবসটি উপলক্ষে দলের পক্ষ থেকে ক্রোড়পত্র প্রকাশ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নিজস্ব আঙ্গিকে কর্মসূচি প্রণয়ন করে তা বাস্তবায়ন করবে। সেই সঙ্গে মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সারা দেশে স্থানীয় সুবিধানুযায়ী বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করবে।
বিজ্ঞপ্তিতে ঢাকাসহ সারা দেশের বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সব পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে গৃহীত কর্মসূচি সফলের আহ্বান জানানো হয়েছে।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
যারা দেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেন, আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে।
৯ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

যারা বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাদের বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, যে শক্তি ১৯৭১ সালে দেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। আজ সেই শক্তি ভোল পাল্টে এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। দেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।
আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর কাকরাইলে ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন। শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দল এই আলোচনার আয়োজন করে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আমরা লড়াই করে, যুদ্ধ করে একটা স্বাধীন ভূখণ্ড এনেছি। এই ভূখণ্ড আজ স্বাধীনতার দিকে থাকবে, নাকি যারা স্বাধীনতাকে নস্যাৎ করে দিতে চেয়েছিল, তাদের দিকে যাবে—আজকে এই প্রশ্নগুলো আসছে। এই জন্য যে, সেই স্বাধীনতাবিরোধী শক্তি আবার মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে, এই শক্তি আজকে আবার মানুষকে বিভ্রান্ত করছে সেই ধর্মের নামে। ১৯৭১ সালেও কিন্তু সে ধর্মের নামে বিভ্রান্ত করতে চেয়েছিল।’
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘যে আমার স্বাধীনতাকে অস্বীকার করেছে, তাকে বিশ্বাস করার কোনো কারণ থাকতে পারে বলে আমি অন্তত মনে করি না।’
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমি খুব পরিষ্কার করে বলতে চাই, ১৯৪৭ সালে এই শক্তি পাকিস্তান আন্দোলনের বিরোধিতা করেছে। এই শক্তি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা করেছে। আজকে সেই শক্তি ভোল পাল্টে, চেহারা পাল্টে তারা এমন ভাব দেখাচ্ছে যেন তারাই নতুন বাংলাদেশ করতে পারবে। আমরা কেন, সারা বাংলাদেশের মানুষ এ কথা বিশ্বাস করতে পারে না।’
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের ইতিহাস তুলে ধরে বিএনপির মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের এ দেশীয় সহযোগীদের নিয়ে পরিকল্পিতভাবে এ দেশের শ্রেষ্ঠ সন্তান—বুদ্ধিজীবী, শিক্ষক, চিকিৎসক, প্রকৌশলী, সাহিত্যিক ও সাংবাদিকদের হত্যা করেছিল। উদ্দেশ্য ছিল—বাংলাদেশকে ভবিষ্যতের জন্য মেধাশূন্য করে দেওয়া। কিন্তু সে ষড়যন্ত্র সফল হয়নি। দুদিন পরই পাকিস্তানি বাহিনীকে আত্মসমর্পণ করতে হয়েছিল। তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র করে কখনো সফলতা আসে না। সফলতা আসে সত্যের পথে থেকে, সংগ্রাম ও লড়াইয়ের মধ্য দিয়ে।
দেশ এক গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে—এমন মন্তব্য করে ফখরুল বলেন, কোনো চক্রান্ত বা ষড়যন্ত্রের কাছে মাথা নত না করে জনগণের ঐক্যের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক, উদার বাংলাদেশ গড়ে তোলার সময় এসেছে। জিয়াউর রহমানের স্বপ্ন, বেগম খালেদা জিয়ার স্বপ্ন ও তারেক রহমান ঘোষিত ৩১ দফার আলোকে নতুন বাংলাদেশ নির্মাণ করতে হবে।
মির্জা ফখরুল বলেন, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রামে ফ্যাসিবাদকে বিতাড়িত করা হয়েছে। কিন্তু এর অর্থ এই নয় যে, নতুন কোনো ফ্যাসিবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে দেওয়া হবে। যে শক্তি দেশকে পেছনে নিয়ে যেতে চায়, তাকে প্রতিহত করতে হবে। জোর করে কোনো আদর্শ চাপিয়ে দেওয়া এ দেশের মানুষ কখনো মেনে নেয়নি, ভবিষ্যতেও নেবে না।
মির্জা ফখরুল অভিযোগ করেন, পরাজিত শক্তি পরাজয় মেনে নিতে না পেরে দেশকে অস্থিতিশীল করার ষড়যন্ত্র করছে। তিনি বলেন, বাংলাদেশের মানুষ কখনো অন্যায়ের কাছে মাথা নত করে না। কোনো ষড়যন্ত্রই জনগণের ঐক্যকে পরাজিত করতে পারবে না।
আলোচনায় জাতীয়তাবাদী মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাতের সভাপতিত্বে বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, বিএনপির নির্বাহী কমিটির মুক্তিযুদ্ধবিষয়ক সম্পাদক লে. কর্নেল (অব.) জয়নুল আবেদীন প্রমুখ বক্তব্য দেন।

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ঘিরে সব মিশন ব্যর্থ হওয়ার পর নতুন পরিকল্পনা নিয়ে এগোচ্ছে বিএনপি। এই পরিকল্পনা অনুযায়ী, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পর্যন্ত অপেক্ষা করতে চাইছে না দলটি। তার আগেই তারা সরকারকে হটিয়ে মধ্যবর্তী নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যবস্থা করতে চায়। এ বিষয়ে সরাসরি কিছু না বললেও তেমনই ইঙ্গিত দিয়
২৯ জুন ২০২৪
বাংলাদেশের স্বাধীনতার বিরোধিতা যারা করেছিল, তারাই মুক্তির ঠিক আগে জাতির সূর্য সন্তানদেরকে তুলে নিয়ে গিয়েছিল— এ বিষয়টি হালকা করে দেখার কোনো কারণ নেই বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আজ রোববার বিকালে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
৬ ঘণ্টা আগে
পাকিস্তানিরা নয়, বরং ভারতীয়রাই হত্যা করেছিল শহীদ বুদ্ধিজীবীদের—এমন দাবি করেছেন জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরওয়ার। আজ রোববার রাজধানীর ফার্মগেটে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশনে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে জামায়াতের ঢাকা মহানগর উত্তর আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ দাবি করেন।
৭ ঘণ্টা আগে
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে দুই দিনব্যাপী কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। আজ রোববার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর সই করা এক বিজ্ঞপ্তিতে এ কর্মসূচির বিষয়ে জানানো হয়েছে।
৮ ঘণ্টা আগে