
এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।

এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।

এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।

এত দিন চিকিৎসাবিদ্যা পড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জীববিজ্ঞানের সঙ্গে পদার্থবিজ্ঞান, রসায়ন, কিংবা গণিত পড়তে হয়েছে। তবে এখন থেকে পড়ার মূল বিষয়বস্তু ঘুরপাক খাবে মানবশরীর ঘিরে। মানবশরীর মহাবিশ্বের তুলনায় খুব ছোট হলেও, এতে প্রতিনিয়ত ঘটে চলা অদ্ভুতুড়ে সব কর্মকাণ্ড বৈচিত্র্য ও জটিলতার দিক দিয়ে বিশ্বপ্রকৃতির কর্মযজ্ঞের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। এ ব্যাপারে জানতে ও শিখতে পারা ভীষণ আনন্দের। তবে শেখার প্রক্রিয়াটা বেশ দীর্ঘ ও শ্রমসাধ্য। তাই ভালো করার জন্য অধ্যবসায়ী হওয়া জরুরি।
কারিকুলামের আদ্যোপান্ত
এমবিবিএস প্রথম ও দ্বিতীয় বর্ষ অর্থাৎ প্রথম পর্যায়ের পাঠ্য বিষয় হলো অ্যানাটমি, ফিজিওলজি ও বায়োকেমিস্ট্রি। ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষ থেকে কারিকুলামে ইন্টিগ্রেটেড টিচিং অন্তর্ভুক্ত হওয়ায়, ক্লিনিক্যাল ও প্যারা ক্লিনিক্যাল বিষয়গুলোর সঙ্গে এই পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের কিছুটা পরিচয় ঘটবে। তবে এর উদ্দেশ্য মূলত শিক্ষার্থীদের প্রধান পাঠ্য বিষয়গুলোর সঙ্গে ক্লিনিক্যাল অনুশীলনকে সম্বন্ধ স্থাপন করতে শেখানো।
পরীক্ষা, পরীক্ষা আর পরীক্ষা
প্রথম পর্যায় শেষ করে প্রথম পেশাগত পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার জন্য মেডিকেল শিক্ষার্থীদের তিনটি স্তর পেরিয়ে আসতে হয়। প্রতি বিষয়ের ছয়টি কার্ড, আর প্রতি কার্ডে গড়ে ১০ থেকে ১২টির মতো আইটেম থাকে। তাই পরীক্ষা যে এখন থেকে আপনাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ হয়ে উঠতে চলেছে তা বলাই বাহুল্য। মনে রাখবেন, প্রতিটি স্তরের পরীক্ষাই সমান গুরুত্বপূর্ণ; আর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ হলো পড়াশোনায় নিয়মিত থেকে সব পরীক্ষায় সময় মতো অংশ নেওয়া।
মৌলিক কৌশল
এরই মধ্যে নিশ্চয় নিজ মেডিকেল কলেজ থেকে নির্ধারিত বইয়ের তালিকা পেয়েছেন। বইগুলো সংগ্রহ করে পড়াশোনার তোড়জোড়ও হয়তো শুরু হয়ে গেছে। নিয়মিত ক্লাস লেকচার অনুসরণ করা, লেকচার অনুযায়ী পাঠ্যবই থেকে পড়া এবং টিউটোরিয়াল-প্র্যাক্টিক্যালে যথাযথভাবে সক্রিয় থাকাই এখন ভালো করার মূল চাবিকাঠি।
বিষয়ভিত্তিক পরামর্শ
অ্যানাটমি বিষয়টি তুলনামূলক বড় হওয়ায় বিশেষভাবে কিছু কথা বলা প্রয়োজন। অ্যানাটমি অংশের মধ্যে রয়েছে গ্রস অ্যানাটমি, হিস্টোলজি, এমব্রিয়োলজি, অস্টিওলজি ও জেনারেল অ্যানাটমি। তার মধ্যে আগে যে আইটেম নামের পরীক্ষাগুলোর কথা বলেছি, সেগুলো মূলত হয়ে থাকে গ্রস অ্যানাটমি নিয়ে; এর মধ্য দিয়ে অবশ্য অস্টিওলজি আর জেনারেল অ্যানাটমি বিষয়েও অনেকটাই পড়া হয়ে যায়। অ্যানাটমি অংশে মূলত পড়ানো হয় শরীরের হাড়, পেশি, রক্তনালি ও বিভিন্ন অঙ্গের বাহ্যিক গঠন নিয়ে। আমাদের দেশে এখনো সত্যিকারের মানবশরীরের অংশ (বোনস এবং ভিসেরা) নিয়েই পড়ানো হয়। সিমুলেশনের মাধ্যমে পাঠদান শুরু হলেও, তা মূলধারায় আসেনি।
ডিসেকশন হলের পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাও প্রথম বর্ষের অনেক শিক্ষার্থীর জন্য চ্যালেঞ্জ হয়ে ওঠে। বলা হয়ে থাকে যে ডিসেকশন হলো মৃতরা জীবিতদের শেখায়। তাই আমাদের শেখার ও সেই শিক্ষাকে কাজে লাগিয়ে অসুস্থ মানুষকে সুস্থ করে তোলার জন্য যাঁরা নিজেদের সর্বোচ্চ বিলিয়ে দিয়ে গেছেন–সেই মৃত শরীরকে যথাযথ সম্মান প্রদর্শন করতে হবে। পাশাপাশি মৃতদের ত্যাগ সার্থক করার জন্য যথাযথভাবে শেখার চেষ্টা চালিয়ে যেতে হবে। এই ডিসেকশন হলেই আমাদের ত্বকের নিচে লুকিয়ে থাকা সোনালি অনুপাতের সৌন্দর্য ধরা পড়ে। জানা যায়, মানবযন্ত্রের অবকাঠামো ঠিক কতটা জটিল ও একই সঙ্গে নিখুঁত।
সুস্থ মানবদেহকে পরিপূর্ণভাবে জানার মাধ্যমেই শুরু হয়, অসুস্থ মানুষকে পুনরায় সুস্থতার জায়গায় ফিরিয়ে আনার প্রচেষ্টা। এ ছাড়া সরাসরি ডিসেকশন ক্লাসের পাশাপাশি আমাদের হাতে অনেক অনলাইন রিসোর্সও রয়েছে। আমার এখনো মনে আছে, হেড-নেক কার্ডের সময়ে টেরিগোপ্যালাটাইন ফসার গঠনটি কিছুতেই বুঝতে পারছিলাম না। এর অবস্থান মাথার খুলির এমন জায়গায় যে ‘ভেতর কিংবা বাইরে’—কোনো দিক দিয়েই আমাদের চোখ সেখানে পৌঁছতে পারছিল না। তখন ত্রাতার ভূমিকা পালন করেছিল কিছু অনলাইন ভিডিও অ্যাটলাস। পাশাপাশি নিটারের অ্যাটলাস তো আছেই। অ্যানাটমি বুঝতে হলে এ সব অ্যাটলাস বারবার দেখার বিকল্প নেই।
অন্যদিকে গ্রস অ্যানাটমির সিলেবাস বিশাল। তবে শেষ পর্যন্ত সবার এ বিষয়টি ভালো লাগে। বিপত্তি বাঁধে মূলত হিস্টোলজি ও এমব্রিয়োলজি অংশে। দেখা যায়, অন্যান্য বিষয়ের আইটেমের চাপে এ দুই অংশ পড়া হয় কেবল টার্ম ও প্রফের আগে। অথচ ‘অ্যাকাডেমিক ক্ষেত্রই হোক, বা ক্লিনিক্যাল অনুশীলন’—ওই দুটি বিষয়ের গুরুত্বও কম নয়। হিস্টোলজির কাজ শরীরের আণুবীক্ষণিক স্তরের গঠন, অর্থাৎ কোষ ও টিস্যু নিয়ে। বর্তমানে এ কথা স্বীকৃত যে যেকোনো রোগ সৃষ্টি হয় কোষীয় স্তরে।
শরীরে তার লক্ষণ প্রকাশ পাওয়ার অনেক আগেই দেখা দেয়, কোষীয় অবকাঠামোর বিকৃতি। কাজেই হিস্টোলজিতে কোষ-কলার স্বাভাবিক গঠন শেখার মাধ্যমে পরবর্তীতে তাতে অস্বাভাবিকতা চিনতে পারা সম্ভব হয়ে ওঠে। আর এমব্রিয়োলজিতে পড়াশোনা করা হয় মানবভ্রূণের বিকাশ নিয়ে, যা পরিপূর্ণ মানবশরীরের গঠন ও তার সমস্যা বোঝার জন্য অপরিহার্য। তাই কেবল পরীক্ষার আগে নয়, শুরু থেকেই এই বিষয়গুলোর জন্য যথোপযুক্ত পরিমাণে সময় বরাদ্দ রাখতে হবে।
লক্ষ্যে অবিচল থাকা
এতক্ষণ পড়াশোনায় নিয়মিত থাকার কথা বললেও, এবারে বলতে চাই উল্টো পিঠের কথা। কারণ, চাইলেও সব সময় নিয়মিত থাকা সবার জন্য সম্ভব হয়ে ওঠে না। মেডিকেলের শিডিউল এমন যে এক রাতের জ্বরের কারণে দুই থেকে তিনটি আইটেম পেন্ডিং বা অনুস্পাদিত হয়ে যেতে পারে। এমন ঘটনা যেকোনো স্তরেই ঘটতে পারে, যেটি মেডিকেলের খুবই সাধারণ চিত্র। তবে এর জন্য হতাশাগ্রস্ত হওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের এই অতি ব্যস্ত রুটিনের মধ্যে কোনোভাবে হতাশা ঢুকে গেলে নিজেদের জন্যই ক্ষতি। তাই কখনো হোঁচট খেলেও, হাসিমুখে পুনরায় এগিয়ে যাওয়ার মানসিকতা ধারণ করতে হবে।

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
২ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশরিফুল ইসলাম শুভ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক। মনে রাখতে হবে, এ ভয় শুধু তুমি একা পাচ্ছ না; সব পরীক্ষার্থীই কম-বেশি একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এমনকি তোমার আগে যেসব সিনিয়র ভাইয়া-আপুরা চান্স পেয়েছেন, তাঁরাও এই একই অনুভূতির মধ্য দিয়ে গেছেন।
৬ পেপারের প্রস্তুতি
সাধারণত শিক্ষার্থীরা বোর্ড পরীক্ষা বা কলেজে একটি বিষয়ের একটি পত্রের পরীক্ষা দিয়ে থাকে (যেমন: পদার্থবিজ্ঞান প্রথম পত্র)। আর এ একটি পত্রের প্রস্তুতিই যেখানে বেশ কঠিন, সেখানে ৬টি পত্রের প্রস্তুতি নেওয়াটা নিশ্চয়ই আরও কঠিন। আর তাই এই কঠিন পরীক্ষার মাধ্যমেই অসংখ্য পরীক্ষার্থীর মধ্য থেকে অল্পসংখ্যককে বুয়েটে পড়াশোনার জন্য নির্বাচন করা হয়।
শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতির মূল কৌশল
তোমার হাতে যখন আর অল্প ক’দিন বাকি আছে, তখন শেষ মুহূর্তে নিজের প্রস্তুতিকে শাণিত করতে কিছু বিষয় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে। প্রথমত, একাডেমিক থেকে অ্যাডমিশন পর্যন্ত শেখা টপিকগুলো ভালোভাবে রিভিশন দিতে হবে। আর তা করতে হবে তোমার নিজস্ব নোটখাতা থেকে। যদি নিজের ভালোভাবে নোট করা না থাকে তবে যে বইগুলো পড়েছ, সেখান থেকে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোর ওপর চোখ বুলিয়ে নিতে হবে। থিওরির ক্ষেত্রে ডিটেইলস প্রতিপাদন বা লাইন বাই লাইন সব পড়ার দরকার নেই; বরং মূল আইডিয়াগুলো পরিষ্কারভাবে মাথায় রাখতে হবে। আর ম্যাথের ক্ষেত্রে সব ধরনের সূত্র ও প্রশ্নের টাইপ ভালোভাবে আয়ত্তে রাখতে হবে।
প্রস্তুতি যেভাবে আত্মবিশ্বাস ধরে রাখবে
দেখো, শুধু রিভিশন করলেই আত্মবিশ্বাস আসবে না। আত্মবিশ্বাস অর্জনের জন্য অবশ্যই ফাইনাল মডেল টেস্ট দিতে হবে। ফিজিকস, কেমিস্ট্রি ও ম্যাথ মিলিয়ে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করে এবং তাতে ধীরে ধীরে উন্নতি করার মাধ্যমেই আত্মবিশ্বাস তৈরি হবে। অফলাইনে পরীক্ষা দিতে যাতায়াতে সময় অপচয় হলে বা সুবিধামতো টাইম শিডিউল না পেলে চাইলে অনলাইনেও মডেল টেস্টে অংশগ্রহণ করতে পার। বর্তমানে শিখোসহ বেশ কয়েকটি অ্যাডটেক প্ল্যাটফর্মে অনলাইনে মডেল টেস্ট দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
মডেল টেস্টে যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিতে হবে
কয়েকটি ফুল মডেল টেস্ট (বুয়েট ভর্তি পরীক্ষার অনুরূপ) দেওয়ার পর তুমি বুঝতে পারবে, কিছু টপিক তুমি স্বাচ্ছন্দ্যের সঙ্গে উত্তর করতে পারছ। আবার কিছু টপিক থেকে প্রশ্ন এলে তোমার উত্তর করতে কষ্ট হচ্ছে বা মনে থাকছে না। বেছে বেছে সে টপিকগুলো ভালো করে আবার ঝালাই করে নিতে হবে।
মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় বিশেষভাবে তিনটি বিষয় খেয়াল রাখবে। যেমন: স্পিড মেইনটেইন করা; রিভিশন দেওয়া ও সিলি মিসটেক কমানো।
আড়াই ঘণ্টার মধ্যে শেষ করার অভ্যাস করতে হবে
বুয়েট অ্যাডমিশন টেস্টের অন্যতম বড় চ্যালেঞ্জ হলো টাইম শর্টেজ। ৩ ঘণ্টায় ৬০টি প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। তাই মডেল টেস্ট দেওয়ার সময় চেষ্টা করবে আড়াই ঘণ্টার মধ্যে লেখা শেষ করার অভ্যাস গড়ে তুলতে। এতে এক্সাম ডে-তে টাইম ম্যানেজ করা অনেক সহজ হবে। পাশাপাশি শেষে ১০-১৫ মিনিট সময় রাখতে হবে রিভিশনের জন্য। অনেক সময় মেন্টাল প্রেশারের কারণে ছোটখাটো ক্যালকুলেশন মিসটেক হয়ে যায়, যা শেষে রিভিশন দেওয়ার সময় ধরতে পারলে ওভারঅল নম্বর তথা ফলাফল অনেক ভালো হয়।
মডেল টেস্টের খাতাগুলোও রিভিশন দাও
মডেল টেস্ট দিতে গেলে দেখবে, অসংখ্য ছোট ছোট ভুল তোমার নম্বর কমিয়ে দিচ্ছে। আমার পরামর্শ হলো, পরীক্ষার আগের কয়েক দিন গত দুই বছরে তুমি যেসব পরীক্ষায় অংশ নিয়েছো, সেগুলোর মধ্যে যেসব খাতা তোমার কাছে আছে, সেগুলো একবার করে দেখে যাও। বিশেষ করে যেসব জায়গায় ভুলের কারণে নম্বর কাটা গেছে, সেগুলোর দিকে ৩০ সেকেন্ড করে ফোকাস করো। এতে ভুলের ব্যাপারে তোমার সেনসিটিভিটি বাড়বে এবং ছোট ছোট ভুল অনেক কমে যাবে।
সবশেষে বলব, প্রস্তুতি যেমনই হোক না কেন, বিশ্বাস রাখবে বুয়েট ভর্তি পরীক্ষা হবে তোমার জীবনের বেস্ট পরীক্ষা। আর এক্সাম চলাকালে যদি কোনো প্রশ্ন না পার, তখন ঘাবড়ে যাবে না; বরং ভাববে এটা শুধু আমি না, বাকিরাও সম্ভবত পারছে না। তাই ভয় না পেয়ে যেগুলো পারছ, সেগুলো ভালোভাবে করার চেষ্টা করো। তাহলেই তোমার এক্সাম ভালো হবে। আজ আর বেশি কিছু বলব না। শেষ মুহূর্তে নিজের বেস্ট এফোর্টটা দাও। ইনশা আল্লাহ, তোমার পরীক্ষা অনেক ভালো হবে।
শিক্ষার্থী, ইইই বিভাগ, ১৪ ব্যাচ

গত ৫ জুন ‘হিরোস ইন হোয়াইটকোটস’ স্কোয়াডে যুক্ত হলো কয়েক হাজার নবীন প্রাণ—যাঁদের বর্তমান পরিচয় এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের পুরো যাত্রা মোটেও সহজ নয়। খারাপ ফল যেন চিকিৎসাবিদ্যা শেখার আনন্দটাকে কোনোভাবেই মাটি করতে না পারে, সে জন্য নিজের কৌশল ঠিক করতে হবে শুরু থেকেই।
১০ জুন ২০২৪
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেমো. ফাহিম ফরহাদ

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে। পরীক্ষার দিন যত ঘনিয়ে আসে, ততই ভর্তি-ইচ্ছুকদের মনে তৈরি হয় দুশ্চিন্তা ও উৎকণ্ঠা। তবে সঠিক দিকনির্দেশনা, বিষয়ভিত্তিক প্রস্তুতি ও পরিকল্পিত কৌশল অনুসরণ করলে এ চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করা সম্ভব।
বাংলা
বাংলার ক্ষেত্রে এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র বইয়ের গদ্য, পদ্য, উপন্যাস ও নাটক নিয়ে ভালো ধারণা থাকতে হবে। প্রতিবছর বাংলা পাঠ্যবইয়ের কবি-লেখক পরিচিতি, শব্দার্থ এবং গদ্য-পদ্যের লাইন থেকে প্রশ্ন আসে। বাংলা ব্যাকরণের সমাস, সন্ধি, শব্দধ্বনি, বাক্য, পদ, ণ-ত্ব বিধান-ষ-ত্ব বিধান এবং মুখস্থ অংশ (বিপরীত শব্দ, পারিভাষিক শব্দ, বাগধারা) গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে। যদি কেউ জাবির নৃবিজ্ঞান বিষয়ে অধ্যয়ন করতে চায়, তাহলে অবশ্যই বাংলায় ৫০ শতাংশ নম্বর পেতে হবে।
ইংরেজি
ভর্তি পরীক্ষায় সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ইংরেজি। প্রতিবছর অনেক শিক্ষার্থী বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয় শুধু ইংরেজি বিষয়ে দুর্বলতার কারণে। জাবির ‘বি’ ইউনিটে প্যাসেজ থেকে প্রশ্ন হয়ে থাকে, এ ক্ষেত্রে বাসায় প্যাসেজ অনুশীলন করা জরুরি। অনেক সময় দেখা যায়, ইংরেজি প্রথম পত্র পাঠ্যবইয়ের প্যাসেজ থেকেও প্রশ্ন আসে, তাই সেগুলোও পড়া গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও ইংরেজি গ্রামারের পার্টস অব স্পিচ, সেন্টেন্স, নেরেশন, টেন্স, ভয়েস এ টপিকগুলো গুরুত্বসহকারে পড়তে হবে এবং ইংরেজি সাহিত্যিক পদ থেকেও প্রশ্ন আসতে দেখা যায়।
সাধারণ গণিত
জাবির ‘বি’ ইউনিটে শুধু বিজ্ঞান বিষয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ রয়েছে। তাই ‘বি’ ইউনিটে সাধারণ গণিত থেকেও ২০টি প্রশ্ন আসে। তবে ভয়ের কিছু নেই। সাধারণ গণিত থেকে আসা প্রশ্নগুলো সহজ এবং মৌলিক ধরনের হয়ে থাকে। সাধারণ গণিতে বীজগণিত (সাধারণ সূত্র, ফাংশন, সেট, সম্ভাবনা, সমীকরণ, উৎপাদক), পাটিগণিত (ধারা, ল সা গু-গ সা গু, গড়, ঐকিক নিয়ম, শতকরা, লাভ-ক্ষতি-মুনাফা) এবং জ্যামিতি (সাধারণ ধারণা, ক্ষেত্রফল, পিথাগোরাস, ত্রিভুজ, চতুর্ভুজ, বৃত্ত) গুরুত্বপূর্ণ।
সাধারণ জ্ঞান ও যৌক্তিক বিশ্লেষণ
সাধারণ জ্ঞানের ক্ষেত্রে প্রথমত সাময়িক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাগুলো সম্পর্কে ধারণা থাকতে হবে। এ ছাড়াও সাধারণ জ্ঞানের জন্য নদী-নালা, বাংলাদেশের প্রথম ও গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা, গুরুত্বপূর্ণ সাল, বিভিন্ন সংস্থা, পূর্বনাম, পূর্ণরূপ, সদর দপ্তর-ভাষা-মুদ্রা, আন্তর্জাতিক সম্পর্ক, সংসদ ও সরকারব্যবস্থা, সংবিধান—এ টপিকগুলো অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এ ছাড়াও জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের অত্যাবশ্যক তথ্যগুলো মনে রাখতে হবে।
বাজারে যৌক্তিক বিশ্লেষণ বিষয়টির জন্য কিছু বই পাওয়া যায়। সেসব বই থেকে ঘড়ির সময়, বার, দিন, মাস, বছর নির্ণয়, দূরত্ব, নৌকা স্রোত, সংখ্যা সিরিজ, রক্তের সম্পর্ক, প্রতিবিম্ব, সিদ্ধান্ত গ্রহণ—এ টপিকগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তে হবে এবং অনুশীলন করতে হবে।
পরীক্ষায় ভালো ফলাফল অর্জন করার জন্য প্রস্তুতি চালিয়ে যেতে হবে এবং কঠোর পরিশ্রম করতে হবে। যেহেতু পরীক্ষায় ভুল উত্তরের জন্য নেতিবাচক নম্বর কাটা হবে, তাই মনোযোগসহকারে সঠিক উত্তর চিহ্নিত করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা তীব্র, তাই সঠিক প্রস্তুতি ছাড়া কোনো বিকল্প নেই। শেষ পর্যন্ত হাল ছাড়া যাবে না, পরিশ্রম একদিন ফলপ্রসূ হবেই।
শিক্ষার্থী, জার্নালিজম অ্যান্ড মিডিয়া স্টাডিজ বিভাগ, জাবি

গত ৫ জুন ‘হিরোস ইন হোয়াইটকোটস’ স্কোয়াডে যুক্ত হলো কয়েক হাজার নবীন প্রাণ—যাঁদের বর্তমান পরিচয় এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের পুরো যাত্রা মোটেও সহজ নয়। খারাপ ফল যেন চিকিৎসাবিদ্যা শেখার আনন্দটাকে কোনোভাবেই মাটি করতে না পারে, সে জন্য নিজের কৌশল ঠিক করতে হবে শুরু থেকেই।
১০ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেশিক্ষা ডেস্ক

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। বৃত্তিটিতে অর্থায়ন করবে দেশের সরকার। নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা দেশের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ও পিএইচডি ডিগ্রি অর্জনের সুযোগ পাবেন। ২০২৬-২৭ শিক্ষাবর্ষের জন্য বৃত্তিটি উন্মুক্ত।
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় ও বিশ্বখ্যাত উচ্চ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে মোনাশ ইউনিভার্সিটি অন্যতম। ১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয় অস্ট্রেলিয়ার ভিক্টোরিয়া রাজ্যে অবস্থিত। গবেষণা, উদ্ভাবন ও আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষার জন্য বিশ্বজুড়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপরিচিত রয়েছে। কিউএস ইউনিভার্সিটি র্যাঙ্কিংসহ বিভিন্ন বৈশ্বিক র্যাঙ্কিংয়ে মোনাশ ইউনিভার্সিটি ধারাবাহিকভাবে স্থান করে নিচ্ছে।
আর্থিক সুবিধা
এই বৃত্তিটি যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ অর্থায়িত একটি সুযোগ। অস্ট্রেলিয়া সরকারের তত্ত্বাবধানে প্রদত্ত এ স্কলারশিপে পড়াশোনার জন্য প্রয়োজনীয় প্রায় সব খরচই বহন করা হয়। এর আওতায় নির্বাচিত শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে এবং মাসিক স্টাইপেন্ড বা ভাতা দেওয়া হবে। পাশাপাশি মিলবে আন্তর্জাতিক যাতায়াতের বিমান টিকিট, নতুন দেশে গিয়ে বসবাস শুরুর জন্য রিলোকেশন অ্যালাউয়েন্স, নিয়মিত লিভিং অ্যালাউয়েন্স, বই ও কোর্স উপকরণের খরচ এবং স্বাস্থ্যসেবা ভাতা।
বৃত্তির ধরন
অস্ট্রেলিয়ার শীর্ষস্থানীয় মোনাশ ইউনিভার্সিটিতে গবেষণাভিত্তিক উচ্চশিক্ষায় আগ্রহী শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে একাধিক মর্যাদাপূর্ণ স্কলারশিপ। এর মধ্যে রিসার্চ ট্রেনিং প্রোগ্রাম স্কলারশিপ অস্ট্রেলিয়ান সরকারের অর্থায়নে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক শিক্ষার্থীদের জন্য প্রদান করা হয়। এই বৃত্তির মোট মূল্য সর্বোচ্চ প্রায় ৩২ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার। একই পরিসরে মোনাশ গ্র্যাজুয়েট স্কলারশিপ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অর্থায়নে গবেষণা ডিগ্রির শিক্ষার্থীদের দেওয়া হয়।
এ ছাড়া গবেষণায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে রয়েছে ম্যাক্সওয়েল কিং পিএইচডি স্কলারশিপ, যা পিএইচডি শিক্ষার্থীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নির্বাহে সহায়তা করে। এই বৃত্তির আর্থিক মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ৬০০ ডলার। প্রতিবছর ভিন্ন ভিন্ন অনুষদে পর্যায়ক্রমে দেওয়া হয় মোনাশ সিলভার জুবিলি পিএইচডি স্কলারশিপ। যার মূল্য সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার ডলার। মানবিক ও সামাজিক বিজ্ঞানে গবেষণার জন্য রয়েছে রেডন গ্র্যাজুয়েট রিসার্চ স্কলারশিপ। এই বৃত্তির মূল্য সর্বোচ্চ ২০ হাজার ডলার।
আবেদনের যোগ্যতা
দেশি ও বিদেশি উভয় ধরনের শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন। আবেদনকারীদের অবশ্যই স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি থাকতে হবে। এই স্কলারশিপ মূলত প্রার্থীর একাডেমিক ফলাফল, গবেষণাকর্ম এবং পূর্ববর্তী গবেষণা অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে প্রদান করা হয়। পাশাপাশি নির্বাচিত প্রোগ্রামে ভর্তি হতে হলে ইংরেজি ভাষায় দক্ষতার প্রমাণ থাকা বাধ্যতামূলক।
অধ্যয়নের ক্ষেত্রগুলো
আর্টস, ডিজাইন ও আর্কিটেকচার; হিউম্যানিটিজ এবং সোশ্যাল সায়েন্সেস; বিজনেস; এডুকেশন; ইঞ্জিনিয়ারিং; ইনফরমেশন টেকনোলজি; মেডিসিন; নার্সিং; হেলথ সায়েন্সেস; ফার্মেসি ও ফার্মাসিউটিক্যাল সায়েন্সেস এবং ল। এ বিষয়গুলোর মধ্যে শিক্ষার্থীর আগ্রহ ও যোগ্যতার ওপর ভিত্তি করে মাস্টার্স বা পিএইচডি প্রোগ্রামে ভর্তির সুযোগ রয়েছে।
আবেদনের পদ্ধতি
আগ্রহী প্রার্থীরা এই লিংকে গিয়ে অনলাইনের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন।
আবেদনের শেষ সময়
৩১ মার্চ, ২০২৬।

গত ৫ জুন ‘হিরোস ইন হোয়াইটকোটস’ স্কোয়াডে যুক্ত হলো কয়েক হাজার নবীন প্রাণ—যাঁদের বর্তমান পরিচয় এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের পুরো যাত্রা মোটেও সহজ নয়। খারাপ ফল যেন চিকিৎসাবিদ্যা শেখার আনন্দটাকে কোনোভাবেই মাটি করতে না পারে, সে জন্য নিজের কৌশল ঠিক করতে হবে শুরু থেকেই।
১০ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
২ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
১ দিন আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান শাখার প্রথম বর্ষের আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। সকল জুলাই যোদ্ধা, শরিফ ওসমান হাদি ও শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল শনিবার অনুষ্ঠেয় এই পরীক্ষা স্থগিত করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
আজ শুক্রবার সকালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জনসংযোগ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) মোহাম্মদ রফিকুল ইসলামের পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানা গেছে।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী শরিফ ওসমান হাদির মৃত্যুতে এক দিনের রাষ্ট্রীয় শোক পালনের অংশ হিসেবে আগামীকাল শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শোক দিবস পালন করা হবে।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘সাহসী জুলাই যোদ্ধা শরিফ ওসমান হাদি এবং ২৪-এর গণ-অভ্যুত্থানে অংশগ্রহণকারী সকল জুলাই যোদ্ধা ও শহীদের প্রতি শ্রদ্ধার নিদর্শন হিসেবে আগামীকাল ২০ ডিসেম্বর শনিবার অনুষ্ঠেয় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৫-২০২৬ শিক্ষাবর্ষের বিজ্ঞান ইউনিটের প্রথম বর্ষ আন্ডারগ্র্যাজুয়েট প্রোগ্রামের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে। স্থগিত ভর্তি পরীক্ষার সময়সূচি শিগগিরই ঘোষণা করা হবে।’

গত ৫ জুন ‘হিরোস ইন হোয়াইটকোটস’ স্কোয়াডে যুক্ত হলো কয়েক হাজার নবীন প্রাণ—যাঁদের বর্তমান পরিচয় এমবিবিএস প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী। তবে তাঁদের পুরো যাত্রা মোটেও সহজ নয়। খারাপ ফল যেন চিকিৎসাবিদ্যা শেখার আনন্দটাকে কোনোভাবেই মাটি করতে না পারে, সে জন্য নিজের কৌশল ঠিক করতে হবে শুরু থেকেই।
১০ জুন ২০২৪
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ভর্তি পরীক্ষার দিন যতই ঘনিয়ে আসছে, পরীক্ষার্থীদের মধ্যে ভয়ভীতি ততই বাড়ছে। বিশেষত, ৩টি বিষয়ের ৬টি পত্রের সব টপিকের ওপর ৩ ঘণ্টার এই একটি পরীক্ষা যখন ভবিষ্যৎ নির্ধারণ করে দেয়, তখন সে পরীক্ষার জন্য ভয় লাগাটাই স্বাভাবিক।
২ ঘণ্টা আগে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) একটি আসন বহু শিক্ষার্থীর স্বপ্ন। সবুজ ক্যাম্পাস, মানসম্মত শিক্ষা ও সীমিত আসনের কারণে এ বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা বরাবরই প্রতিযোগিতাপূর্ণ। বিশেষ করে সমাজবিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ‘বি’ ইউনিটের পরীক্ষায় প্রতিযোগিতা আরও তীব্র হয়ে থাকে।
২ ঘণ্টা আগে
অস্ট্রেলিয়ায় যেসব শিক্ষার্থী উচ্চশিক্ষা ও গবেষণার স্বপ্ন দেখছেন, তাঁদের জন্য এল দারুণ সুযোগ। মোনাশ ইউনিভার্সিটি রিসার্চ স্কলারশিপ ২০২৬-এর আবেদনের প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থী ও অস্ট্রেলিয়ার নিজস্ব শিক্ষার্থীরা এই বৃত্তির জন্য আবেদন করতে পারবেন।
২ ঘণ্টা আগে