Ajker Patrika

‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেও স্বস্তি ফিরছে না ডলার বাজারে

জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা
আপডেট : ৩০ মে ২০২৪, ১১: ৩২
‘ক্রলিং পেগ’ চালু করেও স্বস্তি ফিরছে না ডলার বাজারে

ডলার-সংকট সামলাতে দর বাজারের ওপর ছেড়ে না দিয়ে ক্রলিং পেগ নামক নতুন ব্যবস্থা চালু করেছে বাংলাদেশ ব্যাংক। কিন্তু নতুন ব্যবস্থায় চাপ না কমে উল্টো ডলার বাজার আগের চেয়ে অস্থির হয়ে পড়েছে। এমনকি ৮ মে ডলারের দাম এক দিনে ৭ টাকা বাড়িয়ে ১১৭ টাকা করা হলেও সেই দলের ডলার মিলছে না। এমনকি বিভিন্ন ব্যাংকের নির্বাহীদের যুক্তরাষ্ট্রে গমনের ক্ষেত্রে প্রতি ডলারের রেট ১২৩ টাকা ধরা হয়েছে। আর খোলাবাজারের জন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংকের মৌখিক নির্দেশিত ১ টাকার মার্জিন লোকদেখানো রেটে পরিণত হয়েছে। কেননা, খোলাবাজারে প্রতি ডলার ১২৫ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে বলে জানা গেছে।

রাজধানীর বিভিন্ন ব্যাংকের শাখায় ডলারের খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ক্রলিং পেগের মাধ্যমে প্রতি ডলার ১১৭ টাকার রেট মানছে না অধিকাংশ ব্যাংক। ব্যাংকগুলো সাধারণ গ্রাহকদের কাছে নির্ধারিত দরে ডলার বিক্রি করতে চাইছে না। আবার কিছু গ্রাহকের কাছে ১২২ থেকে ১২৩ টাকা পর্যন্ত দরে ডলার বিক্রি করছে।

আরিফুজ্জামান নামের এক গ্রাহক বলেন, ‘বেলা ১১টায় সোনালী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ শাখায় ৩০০ ডলার কেনার জন্য যাই। কিন্তু নির্ধারিত ১১৮ টাকা দরে ডলার পাননি। পরে অন্য একটি বেসরকারি ব্যাংকের এক আত্মীয়ের পরিচয় দিয়ে ব্যাংকটির একজন কর্মকর্তার কাছ থেকে ১২৩ টাকা দরে ডলার কিনতে সক্ষম হই।’

রাষ্ট্রায়ত্ত সোনালী ব্যাংকের কাগজপত্র বিশ্লেষণে দেখা গেছে, গতকাল বুধবার প্রতি ডলার ১১৭ টাকায় কিনে ১১৮ টাকায় বিক্রি করা হয়েছে। আর টিটি রেট ছিল ১১৬ টাকা ৯০ পয়সা। রপ্তানি বিল ছিল ১১৬ টাকা ৭৮ পয়সা। তিন মাসের জন্য ডিএ বিলের ১২২ টাকা ৩৩ পয়সা।

অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, খোলাবাজারে ডলারের সাময়িক ঘাটতি মেটাতে ব্যাংকগুলোতে ডলার সরবরাহ বাড়াতে হবে কেন্দ্রীয় ব্যাংককে। সরবরাহ বাড়লে রেট কমবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংক ৮ মে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়ার নামে ক্রলিং পদ্ধতি চালু করে। আবার প্রতি ডলারের দাম ক্রলিং পেগ মিড-রেট ১১৭ টাকা ঘোষণা করে। ওই দিন ঘোষণার পরেই ডলার ১৩১ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হতে দেখা যায়।

অগ্রণী ব্যাংক গতকাল প্রতি ডলার ১১৭ টাকা ৯০ পয়সা ক্রয়-বিক্রয় করেছে বলে ব্যাংকটির ওয়েবসাইটে উল্লেখ করা হয়। কিন্তু ব্যাংকটি থেকে ডলার ক্রয় করতে পারেননি সজীব নামের একজন গ্রাহক। তাঁর কাছ থেকে কমিশন এবং চার্জ মিলে প্রতি ডলারের জন্য ১২৪ টাকার কথা জানান সংশ্লিষ্ট একজন ব্যাংক কর্মকর্তা।

মোহাম্মদ কামরুজ্জামান নামে এক আমদানিকারক বলেন, ‘ডলার-সংকটে তাঁর নির্ধারিত ব্যাংক আমদানি বিল পরিশোধ করতে পারছে না। কয়েক দিন ঘুরে নির্ধারিত ব্যাংকে ১২৪ টাকা দরে ডলার কিনে এলসি বিল পরিশোধ করেছি।’

একটি বেসরকারি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘ডলারের রেট আসলে ১১৭ টাকায় কেনা বা বেচা সম্ভব নয়। কারণ, এটা বিদেশি মুদ্রা। চাইলে জোর করে দাম আটকে রাখা যায় না। এ জন্য আলোচনা সাপেক্ষে ব্যবসায় ও সাধারণ গ্রাহকদের ডলার লেনদেন করা হয়। বাস্তব দর এখনো ১২৩-২৪ টাকার নিচে নয়।’

রাজধানীর মতিঝিল, দিশকুশা, পল্টন, শান্তিনগর, পান্থপথ এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, গতকাল খোলাবাজারে নোটিশ বোর্ডে প্রতি ডলারের ক্রয় মূল্য ছিল ১১৭ টাকা ৮০ পয়সা এবং বিক্রয় মূল্য ছিল ১১৮ টাকা ৮০ পয়সা। তবে এই দামে ডলার লেনদেন করতে দেখা যায়নি।

শিখা বিনতে তাহিতি নামে একজন বেসরকারি কর্মজীবী বিদেশে যাওয়ার জন্য ডলার কেনার জন্য মতিঝিল ও দিলকুশা ঘোরেন। তিনি বলেন, ‘ডলারের জন্য দোকানে খাটানো রেট নিতান্ত লোকদেখানো। এই দরে ডলার বেচা ও কেনা কোনোটাই হয় না। অনেক ঘোরাঘুরি শেষে ১২৪ টাকা দরে ২০০ ডলার এবং অপর একটি দোকান থেকে ১২৫ টাকা ৫০ পয়সা দরে ৩০০ ডলার কিনেছি। আর ব্যাংক তো আমজনতাকে ডলার দেবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে। এ রকম খেয়াল-খুশিতে ডলার লেনদেন যেন দেখার কেউ নেই।’

মানি চেঞ্জার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের মহাসচিব গৌতম দে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ডলার এখনো বাজারভিত্তিক হয়নি। আর ক্রলিং পেগ তো বাজারকে উসকে দিয়েছে। এই পদ্ধতি চালুর দিনে (৮ মে) ডলারের দর অনেক ওপরে ওঠে। বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রির জন্য কোনো চিঠি দেয়নি। একটা মৌখিক ঘোষণা দিয়েছে। ব্যাংকের চেয়ে বেশি দরে খোলাবাজারে ডলার বিক্রি করা যাবে। যদিও ব্যাংকের সঙ্গে আমাদের ডলার লেনদেনের সম্পর্ক নেই। ক্যাশ ডলার কিনি আর ক্যাশ ডলার বিক্রি করি। আর ১১৭ কিংবা ১১৮ টাকা দরে খোলাবাজারে ডলার কেনাবেচা কোনোটাই হয় না। এর বাহিরে ডলার লেনদেন হয়। মূলত কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ঘোষিত ডলার রেটের সঙ্গে প্রণোদনার হার যোগ করে রেট ঠিক করা উচিত।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাংলাদেশে বিনিয়োগ বাড়াতে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। ছবি: আজকের পত্রিকা
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। ছবি: আজকের পত্রিকা

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান এবং চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ ও পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।

চীনা প্রতিনিধিদলে টেক্সটাইল, ফেব্রিকস, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, আইটি, এআই, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও গবেষণা, আইন পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ও উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়।

বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ইনামুল হক খান চীনা ব্যবসায়ীদের এমএমএফ-ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ের জন্য এআইচালিত প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটো প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট খাতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের একটি নিবিড় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব এসেছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ত্রিমুখী চাপে অস্তিত্ব সংকটে দেশীয় সুতা শিল্প

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
প্রতীকী ছবি
প্রতীকী ছবি

দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্পিনিং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা—সবাই মিলে সরকারের কাছে খাতটির জরুরি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।

আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাজার এখন আর সমান প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। এই অবস্থায় বিদেশি সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স ও ১০ শতাংশ সেফ গার্ড ডিউটি আরোপ সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বর্তমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ করার দাবিও জানান তাঁরা।

সংবাদ সম্মেলনে সালমা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আজহার আলী বলেন, অনেক দেশ ভর্তুকির কারণে অস্বাভাবিক কম দামে সুতা রপ্তানি করছে, ফলে স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর ভাষায়, বিদেশি সুতা এখন এমন দামে দেশে ঢুকছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর উৎপাদন খরচেরও নিচে। এটি সরাসরি ডাম্পিং এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করছে।

আজহার আলী জানান, মহামারি-পরবর্তী মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার-সংকট এবং জ্বালানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মিলিয়ে স্পিনিং শিল্পের ওপর বহুস্তরীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গেলেও টেক্সটাইল ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে পণ্যমূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে ক্ষতির বোঝা চেপে বসেছে সরাসরি মিলগুলোর ওপর। গত কয়েক বছরে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ স্পিনিং মিল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে। যেসব কারখানা এখনো চলছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা নেমে এসেছে অর্ধেকে।

এ সংকট মোকাবিলায় তিনি রপ্তানিমুখী কারখানার জন্য দুই বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বিল রিবেটসহ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান। একই সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানির সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।

সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাতিল হওয়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা আগামী দুই বছর পুনর্বহাল করা উচিত। স্থানীয় কাঁচামালের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, রিসাইকেল ও সাসটেইনেবল পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ঋণ প্যাকেজ চালুর কথাও বলা হয়। তাঁদের দাবি, রপ্তানিনির্ভর কারখানাগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের ওপর ৩০ শতাংশ রিবেট দিতে হবে।

অনুষ্ঠানের সভাপতি ও গ্রিনটেক্স কম্পোজিট মিলসের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ডাম্পিংয়ের কারণে দেশীয় সুতা তার স্বাভাবিক বাজার হারাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ভিত্তিকে ধসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।

সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ কম্পোজিট গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) শাহিনুল হক, আরমাডা গ্রুপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ গ্রুপের অ্যাডভাইজর শান্তিময় দত্ত, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এ বি এম সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রোজার আগে কমল খেজুরের শুল্ক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।

আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।

শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।

এর আগে গত নভেম্বরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দেয় ট্যারিফ কমিশন। রোজায় খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।

এ ছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

পার্ক অ্যাভিনিউর নতুন ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর জামাল ভূঁইয়া

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।

এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ভাস্কর কুমার দে (হেড অব মার্কেটিং), রিতেশ বড়ুয়া (হেড অব সেলস), গোপাল দ্বিবেদী (হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন) এবং শশাঙ্ক পানম্বুর (ডিজিএম হিউম্যান রিসোর্সেস, সার্ক)।

পার্ক অ্যাভিনিউ, গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড। এটি আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক পুরুষদের জন্য প্রিমিয়াম বডি স্প্রে ও পারফিউমসহ ব্যক্তিগত সুগন্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জামালের ক্যারিয়ারের যাত্রা ও ব্যক্তিগত পরিচয় পার্ক অ্যাভিনিউ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানানসই, যা আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

ডিজির সঙ্গে তর্ক: অব্যাহতির ৪ দিনের মাথায় পুনর্বহাল ময়মনসিংহের চিকিৎসক

রাশেদ খানের পদত্যাগ চেয়ে গণঅধিকারের উচ্চতর পরিষদ সদস্যের অনাস্থা

মোদির সঙ্গে রাহুলের ৮৮ মিনিটের বৈঠক, কী আলোচনা হলো

মধ্যরাতে দেশে দুই দফা ভূমিকম্প, উৎপত্তিস্থল সিলেট ও মৌলভীবাজার

বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত ৩ গর্ত, শাস্তি চান সাজিদের মা

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত