জয়নাল আবেদীন খান, ঢাকা

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না।
এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা। এমন বেসামাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়ে ডলারের দাম আটকে রাখার অবস্থান থেকে পিছু হটে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে এক দিনেই ৭ টাকা বাড়িয়েছে; যা আমদানি পণ্য ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ উসকে দিয়েছে। পাশাপাশি হঠাৎ করে বাজারের ওপর সুদের হার ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকেও ভালো দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সামনে বিনিয়োগ ও ব্যবসা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নতুন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগ কমলে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে ৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৪৪ দশমিক ১০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। গত ২০২২-২৩ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে যা ছিল যথাক্রমে ৭৫ দশমিক শূন্য ৬ কোটি ডলার ও ৮৯ দশমিক ১৬ কোটি ডলার।
তথ্য পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০২২ সালে ডলার-সংকট সামলাতে আমদানি পণ্যের ওপর কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। গত মার্চে আমদানি ব্যয় ছিল ৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে প্রতি মাসে গড় আমদানি ব্যয় ছিল ৬ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ সময়ে প্রতি মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ডলারের কোনো উন্নতি হয়নি। তবে পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি শর্তের কারণে শুধু চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। আমদানি কমায় একই সময়ে উৎপাদন কমেছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কারখানায় উৎপাদন কমায় চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এভাবে আমদানি-রপ্তানি কমার ফলে রাজস্ব আদায় কমেছে, যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা কম। একইভাবে আমদানি-রপ্তানি কমার নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে কর্মসংস্থানে। গত ডিসেম্বরের তুলনায় পরবর্তী তিন মাসে বেকারত্ব বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলার-সংকট দূরীকরণের প্রধান হাতিয়ার তা বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। যেটা এখন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে জনগণকে। এত দিন জোর করে ডলারের দাম আটকে রাখার খেসারত। তবে হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকদের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। তবু সমন্বয় করা দরকার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১১৭ টাকা করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যার প্রভাবে আমদানি পণ্যসহ নানা দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। চলতি বছরের জুলাইতে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা ৬৫ পয়সা। আর ২০২২ সালের মে মাসে এই রেট ছিল ৮৯ টাকা। দুই বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। এদিকে চলতি মাসের ২১ মে পর্যন্ত মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। যা চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই ছিল ২৯ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরে রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর এই মোট রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়নের নিচে নামার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিলাসী পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা ছিল প্রধান লক্ষ্য। এরই মধ্যে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ডলার বাজার উসকে গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, গত এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে।

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না।
এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা। এমন বেসামাল পরিস্থিতিতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক বাধ্য হয়ে ডলারের দাম আটকে রাখার অবস্থান থেকে পিছু হটে ‘ক্রলিং পেগ’ পদ্ধতিতে এক দিনেই ৭ টাকা বাড়িয়েছে; যা আমদানি পণ্য ও বৈদেশিক ঋণ পরিশোধের খরচ উসকে দিয়েছে। পাশাপাশি হঠাৎ করে বাজারের ওপর সুদের হার ছেড়ে দেওয়ার ঘটনাকেও ভালো দেখছেন না ব্যবসায়ীরা। এ অবস্থায় সামনে বিনিয়োগ ও ব্যবসা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার নতুন শঙ্কা সৃষ্টি হয়েছে। বিনিয়োগ কমলে উৎপাদন এবং কর্মসংস্থান হ্রাস পাবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত মার্চ মাসে ৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। তার আগে ফেব্রুয়ারিতে ছিল ৪ দশমিক ৪৬ বিলিয়ন ডলার। আর চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছরের প্রথম আট মাসে (জুলাই-ফেব্রুয়ারি) ৪৪ দশমিক ১০ কোটি ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে। গত ২০২২-২৩ এবং ২০২১-২২ অর্থবছরে যা ছিল যথাক্রমে ৭৫ দশমিক শূন্য ৬ কোটি ডলার ও ৮৯ দশমিক ১৬ কোটি ডলার।
তথ্য পর্যালোচনায় জানা গেছে, ২০২২ সালে ডলার-সংকট সামলাতে আমদানি পণ্যের ওপর কড়াকড়ি শর্ত আরোপ করে ব্যাংলাদেশ ব্যাংক। গত মার্চে আমদানি ব্যয় ছিল ৫ দশমিক ২৩ বিলিয়ন ডলার। গত অর্থবছরে প্রতি মাসে গড় আমদানি ব্যয় ছিল ৬ দশমিক ২৬ বিলিয়ন ডলার এবং ২০২১-২২ সময়ে প্রতি মাসে ছিল ৭ দশমিক ৪৪ বিলিয়ন ডলার। কিন্তু ডলারের কোনো উন্নতি হয়নি। তবে পণ্যের ঋণপত্র (এলসি) খোলায় কড়াকড়ি শর্তের কারণে শুধু চলতি অর্থবছরের জুলাই-মার্চ সময়ে শিল্পের মূলধনি যন্ত্রপাতিসহ সামগ্রিক আমদানি কমেছে ১৫ দশমিক ৫০ শতাংশ। আমদানি কমায় একই সময়ে উৎপাদন কমেছে ৬ দশমিক ৬৬ শতাংশ। কারখানায় উৎপাদন কমায় চলতি বছরের জুলাই-এপ্রিল সময়ে পোশাক রপ্তানি কমেছে ৯ দশমিক ১০ শতাংশ। এভাবে আমদানি-রপ্তানি কমার ফলে রাজস্ব আদায় কমেছে, যা চলতি অর্থবছরের লক্ষ্যমাত্রার তুলনায় ২৬ হাজার ২৬৩ কোটি টাকা কম। একইভাবে আমদানি-রপ্তানি কমার নেতিবাচক প্রভাবে পড়েছে কর্মসংস্থানে। গত ডিসেম্বরের তুলনায় পরবর্তী তিন মাসে বেকারত্ব বেড়েছে ১ লাখ ২০ হাজার।
এ বিষয়ে পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের (পিআরআই) নির্বাহী পরিচালক ড. আহসান এইচ মনসুর বলেন, ‘ডলার-সংকট দূরীকরণের প্রধান হাতিয়ার তা বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া। যেটা এখন করেছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক। এই সিদ্ধান্ত নিতে অনেক বিলম্ব হয়েছে। যার খেসারত দিতে হয়েছে জনগণকে। এত দিন জোর করে ডলারের দাম আটকে রাখার খেসারত। তবে হঠাৎ করে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় আমদানিকারকদের ওপর একটা নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। আবার পণ্যের দামও বেড়ে গেছে। তবু সমন্বয় করা দরকার।’
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, চলতি মাসে ডলারের দাম ১১০ টাকা থেকে বৃদ্ধি করে ১১৭ টাকা করার ঘোষণা দেয় বাংলাদেশ ব্যাংক। যার প্রভাবে আমদানি পণ্যসহ নানা দ্রব্যের দাম বেড়ে যায়। চলতি বছরের জুলাইতে ডলারের দাম ছিল ১০৭ টাকা ৬৫ পয়সা। আর ২০২২ সালের মে মাসে এই রেট ছিল ৮৯ টাকা। দুই বছরের ব্যবধানে ডলারের দাম বেড়েছে ২৮ টাকা। এদিকে চলতি মাসের ২১ মে পর্যন্ত মোট রিজার্ভের পরিমাণ ছিল ২৩ দশমিক ৭৪ বিলিয়ন ডলার। যা চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই ছিল ২৯ দশমিক ৮৬ বিলিয়ন ডলার। সেই হিসাবে চলতি অর্থবছরে রিজার্ভ কমেছে ৬ দশমিক ১২ বিলিয়ন ডলার। আর এই মোট রিজার্ভ ২০২১ সালের আগস্টে ছিল ৪৮ দশমিক শূন্য ৬ বিলিয়ন ডলার। আর বর্তমানে ব্যয়যোগ্য রিজার্ভ ১৩ বিলিয়নের নিচে নামার রেকর্ড সৃষ্টি হয়েছে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের একজন কর্মকর্তা জানান, ডলারের ওপর চাপ কমাতে আমদানিতে নিয়ন্ত্রণমূলক বিভিন্ন ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। এর মাধ্যমে বিলাসী পণ্য নিয়ন্ত্রণ করা ছিল প্রধান লক্ষ্য। এরই মধ্যে ডলারের দাম বাজারের ওপর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাতে পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিসহ ডলার বাজার উসকে গেছে।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো জানায়, গত এপ্রিলে খাদ্যপণ্যে মূল্যস্ফীতি বেড়ে ১০ দশমিক ২২ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। তবে সার্বিক মূল্যস্ফীতি আগের মাসের চেয়ে কিছুটা কমে হয়েছে ৯ দশমিক ৭৪ শতাংশ। আগের মাসে যা ছিল ৯ দশমিক ৮৭ শতাংশে।

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান এবং চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ ও পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
চীনা প্রতিনিধিদলে টেক্সটাইল, ফেব্রিকস, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, আইটি, এআই, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও গবেষণা, আইন পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ও উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ইনামুল হক খান চীনা ব্যবসায়ীদের এমএমএফ-ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ের জন্য এআইচালিত প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটো প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট খাতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের একটি নিবিড় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব এসেছে।

বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। জানুয়ারিতে উভয় পক্ষের একটি সমন্বয় সভা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার বিজিএমইএ কার্যালয়ে চীনের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও বাণিজ্য সুযোগ নিয়ে আলোচনা করে। বিজিএমইএর পক্ষ থেকে বৈঠকে নেতৃত্ব দেন সিনিয়র সহসভাপতি ইনামুল হক খান এবং চীনের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেডের চেয়ারম্যান ফ্রাঙ্ক য়ি। বৈঠকে বিজিএমইএর সহসভাপতি মো. শিহাব উদ্দোজা চৌধুরী, পরিচালক ফয়সাল সামাদ, পরিচালক মো. হাসিব উদ্দিন, পরিচালক রুমানা রশীদ ও পরিচালক মোহাম্মদ সোহেল।
চীনা প্রতিনিধিদলে টেক্সটাইল, ফেব্রিকস, ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, আইটি, এআই, হাইটেক শিল্প, শিক্ষা ও গবেষণা, আইন পরামর্শ ও বিরোধ নিষ্পত্তি খাতের প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করে। আলোচনায় বাংলাদেশের পোশাক খাতের ব্যাকওয়ার্ড লিঙ্কেজ, বিশেষ করে ম্যানমেইড ফাইবার ও উচ্চমূল্যের পোশাক উৎপাদনে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনার ওপর জোর দেওয়া হয়।
বিজিএমইএর পক্ষ থেকে ইনামুল হক খান চীনা ব্যবসায়ীদের এমএমএফ-ভিত্তিক টেক্সটাইল, কেমিক্যাল ও নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ খাতে যৌথ বিনিয়োগের আহ্বান জানান। এ ছাড়া এলডিসি গ্র্যাজুয়েশন-পরবর্তী সময়ের জন্য এআইচালিত প্রযুক্তি, সাপ্লাই চেইন, থ্রিডি ফটো প্রিন্টিং ও ডিজিটাল প্রোডাক্ট পাসপোর্ট খাতেও সহযোগিতা কামনা করা হয়। পর্যাপ্ত সমন্বয়ের জন্য জানুয়ারিতে বেটেক্স ইন্ডাস্ট্রিজের উদ্যোগে বিজিএমইএ ও চীনা ব্যবসায়ীদের একটি নিবিড় সভা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া শিক্ষা ও গবেষণার জন্য চীনের চেউং কং গ্র্যাজুয়েট স্কুল অব বিজনেসের সঙ্গে একটি সহযোগিতা স্মারক (এমওইউ) স্বাক্ষরের প্রস্তাব এসেছে।

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না। এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা।
২৩ মে ২০২৪
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্পিনিং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা—সবাই মিলে সরকারের কাছে খাতটির জরুরি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাজার এখন আর সমান প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। এই অবস্থায় বিদেশি সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স ও ১০ শতাংশ সেফ গার্ড ডিউটি আরোপ সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বর্তমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ করার দাবিও জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আজহার আলী বলেন, অনেক দেশ ভর্তুকির কারণে অস্বাভাবিক কম দামে সুতা রপ্তানি করছে, ফলে স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর ভাষায়, বিদেশি সুতা এখন এমন দামে দেশে ঢুকছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর উৎপাদন খরচেরও নিচে। এটি সরাসরি ডাম্পিং এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করছে।
আজহার আলী জানান, মহামারি-পরবর্তী মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার-সংকট এবং জ্বালানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মিলিয়ে স্পিনিং শিল্পের ওপর বহুস্তরীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গেলেও টেক্সটাইল ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে পণ্যমূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে ক্ষতির বোঝা চেপে বসেছে সরাসরি মিলগুলোর ওপর। গত কয়েক বছরে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ স্পিনিং মিল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে। যেসব কারখানা এখনো চলছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা নেমে এসেছে অর্ধেকে।
এ সংকট মোকাবিলায় তিনি রপ্তানিমুখী কারখানার জন্য দুই বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বিল রিবেটসহ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান। একই সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানির সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাতিল হওয়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা আগামী দুই বছর পুনর্বহাল করা উচিত। স্থানীয় কাঁচামালের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, রিসাইকেল ও সাসটেইনেবল পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ঋণ প্যাকেজ চালুর কথাও বলা হয়। তাঁদের দাবি, রপ্তানিনির্ভর কারখানাগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের ওপর ৩০ শতাংশ রিবেট দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও গ্রিনটেক্স কম্পোজিট মিলসের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ডাম্পিংয়ের কারণে দেশীয় সুতা তার স্বাভাবিক বাজার হারাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ভিত্তিকে ধসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ কম্পোজিট গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) শাহিনুল হক, আরমাডা গ্রুপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ গ্রুপের অ্যাডভাইজর শান্তিময় দত্ত, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এ বি এম সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে। এ পরিস্থিতিতে দেশের স্পিনিং কারখানার শ্রমিক-কর্মচারী থেকে উচ্চপর্যায়ের কর্মকর্তা—সবাই মিলে সরকারের কাছে খাতটির জরুরি সুরক্ষার আহ্বান জানিয়েছেন।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তাঁরা বলেন, অস্বাভাবিক পরিস্থিতি সৃষ্টি হওয়ায় বাজার এখন আর সমান প্রতিযোগিতার জায়গা নয়। এই অবস্থায় বিদেশি সুতার ওপর অ্যান্টি ডাম্পিং ট্যাক্স ও ১০ শতাংশ সেফ গার্ড ডিউটি আরোপ সময়োপযোগী পদক্ষেপ হবে। পাশাপাশি দেশীয় সুতায় তৈরি পোশাক রপ্তানিতে বর্তমান ১ দশমিক ৫ শতাংশ প্রণোদনা বাড়িয়ে কমপক্ষে ১০ শতাংশ করার দাবিও জানান তাঁরা।
সংবাদ সম্মেলনে সালমা গ্রুপের চিফ অপারেটিং অফিসার ইঞ্জিনিয়ার আজহার আলী বলেন, অনেক দেশ ভর্তুকির কারণে অস্বাভাবিক কম দামে সুতা রপ্তানি করছে, ফলে স্থানীয় উৎপাদন মারাত্মকভাবে পিছিয়ে পড়ছে। তাঁর ভাষায়, বিদেশি সুতা এখন এমন দামে দেশে ঢুকছে, যা স্থানীয় মিলগুলোর উৎপাদন খরচেরও নিচে। এটি সরাসরি ডাম্পিং এবং বাজারে ন্যায্য প্রতিযোগিতার সুযোগ সম্পূর্ণভাবে নষ্ট করছে।
আজহার আলী জানান, মহামারি-পরবর্তী মন্দা, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের প্রভাব, ডলার-সংকট এবং জ্বালানি-বিদ্যুতের মূল্য বৃদ্ধি মিলিয়ে স্পিনিং শিল্পের ওপর বহুস্তরীয় চাপ সৃষ্টি হয়েছে। টানা তিন দফায় গ্যাস-বিদ্যুতের দাম ৩৫০ শতাংশ বেড়ে গেলেও টেক্সটাইল ও ব্যাকওয়ার্ড লিংকেজ শিল্পে পণ্যমূল্য সমন্বয় করা হয়নি। এতে ক্ষতির বোঝা চেপে বসেছে সরাসরি মিলগুলোর ওপর। গত কয়েক বছরে দেশের প্রায় ৪০ শতাংশ স্পিনিং মিল উৎপাদন বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয়েছে। লক্ষাধিক শ্রমিক-কর্মচারীর কর্মসংস্থান ঝুঁকিতে পড়েছে। যেসব কারখানা এখনো চলছে, সেগুলোর উৎপাদন সক্ষমতা নেমে এসেছে অর্ধেকে।
এ সংকট মোকাবিলায় তিনি রপ্তানিমুখী কারখানার জন্য দুই বছরের জন্য ৩০ শতাংশ বিল রিবেটসহ বিশেষ প্রণোদনার দাবি জানান। একই সঙ্গে টাকার অবমূল্যায়নের ফলে কাঁচামাল আমদানির সক্ষমতা প্রায় ৪০ শতাংশ কমে যাওয়ার বিষয়টিও তুলে ধরেন তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে আয়োজকেরা আরও কয়েকটি দাবি উপস্থাপন করেন। তাঁদের প্রস্তাব অনুযায়ী, বাতিল হওয়া রপ্তানি উন্নয়ন তহবিল (ইডিএফ) সুবিধা আগামী দুই বছর পুনর্বহাল করা উচিত। স্থানীয় কাঁচামালের বাধ্যতামূলক ব্যবহার ৭০ শতাংশে উন্নীত করা, রিসাইকেল ও সাসটেইনেবল পণ্য উৎপাদনে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ প্রণোদনা দেওয়া এবং আধুনিক যন্ত্রপাতি স্থাপনে ৫ শতাংশ সুদে ১০ বছরমেয়াদি বিশেষ ঋণ প্যাকেজ চালুর কথাও বলা হয়। তাঁদের দাবি, রপ্তানিনির্ভর কারখানাগুলোকে গ্যাস ও বিদ্যুতের বিলের ওপর ৩০ শতাংশ রিবেট দিতে হবে।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ও গ্রিনটেক্স কম্পোজিট মিলসের নির্বাহী পরিচালক রুহুল আমিন বলেন, ডাম্পিংয়ের কারণে দেশীয় সুতা তার স্বাভাবিক বাজার হারাচ্ছে, যা দীর্ঘ মেয়াদে এই গুরুত্বপূর্ণ শিল্প ভিত্তিকে ধসের দিকে ঠেলে দিতে পারে।
সংবাদ সম্মেলনে মোশাররফ কম্পোজিট গ্রুপের পরিচালক (অপারেশন) শাহিনুল হক, আরমাডা গ্রুপের পরিচালক আবুল কালাম আজাদ, আহমেদ গ্রুপের অ্যাডভাইজর শান্তিময় দত্ত, যমুনা গ্রুপের পরিচালক এ বি এম সিরাজুল ইসলামসহ বিভিন্ন গ্রুপের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না। এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা।
২৩ মে ২০২৪
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দেয় ট্যারিফ কমিশন। রোজায় খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এ ছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

আসন্ন পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক কমিয়েছে অন্তর্বর্তী সরকার।
আজ বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে তাঁর সভাপতিত্বে উপদেষ্টা পরিষদের সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পরে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এক ব্রিফিংয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানান প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
শফিকুল আলম বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
এর আগে গত নভেম্বরে পবিত্র রমজান উপলক্ষে খেজুরের আমদানি শুল্ক ও অগ্রিম কর কমানোর প্রস্তাব দেয় ট্যারিফ কমিশন। রোজায় খেজুরের দাম সহনীয় রাখতে পণ্যটির আমদানি শুল্ক ২৫ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ এবং উৎসে করহার ১০ থেকে কমিয়ে ৩ শতাংশ করার সুপারিশ করে সংস্থাটি।
এ ছাড়া খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান ৩ শতাংশ নিয়ন্ত্রণমূলক শুল্ক সম্পূর্ণ প্রত্যাহারের সুপারিশ করা হয়।

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না। এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা।
২৩ মে ২০২৪
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
২ ঘণ্টা আগে
বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
৪ ঘণ্টা আগেআজকের পত্রিকা ডেস্ক

বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ভাস্কর কুমার দে (হেড অব মার্কেটিং), রিতেশ বড়ুয়া (হেড অব সেলস), গোপাল দ্বিবেদী (হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন) এবং শশাঙ্ক পানম্বুর (ডিজিএম হিউম্যান রিসোর্সেস, সার্ক)।
পার্ক অ্যাভিনিউ, গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড। এটি আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক পুরুষদের জন্য প্রিমিয়াম বডি স্প্রে ও পারফিউমসহ ব্যক্তিগত সুগন্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জামালের ক্যারিয়ারের যাত্রা ও ব্যক্তিগত পরিচয় পার্ক অ্যাভিনিউ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানানসই, যা আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।

বাংলাদেশের ফুটবল তারকা ও জাতীয় দলের অধিনায়ক জামাল ভূঁইয়াকে অফিশিয়াল ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করেছে পার্ক অ্যাভিনিউ। ১০ ডিসেম্বর গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড সার্কের হেড সমীর সূর্যবংশীর উপস্থিতিতে ঢাকায় এই সাইনিং সেরিমনি হয়।
এতে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য ভাস্কর কুমার দে (হেড অব মার্কেটিং), রিতেশ বড়ুয়া (হেড অব সেলস), গোপাল দ্বিবেদী (হেড অব প্রকিউরমেন্ট অ্যান্ড সাপ্লাই চেইন) এবং শশাঙ্ক পানম্বুর (ডিজিএম হিউম্যান রিসোর্সেস, সার্ক)।
পার্ক অ্যাভিনিউ, গোদরেজ কনজ্যুমার প্রোডাক্টস লিমিটেড একটি গ্রুমিং ব্র্যান্ড। এটি আত্মবিশ্বাসী ও আধুনিক পুরুষদের জন্য প্রিমিয়াম বডি স্প্রে ও পারফিউমসহ ব্যক্তিগত সুগন্ধির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত। জামালের ক্যারিয়ারের যাত্রা ও ব্যক্তিগত পরিচয় পার্ক অ্যাভিনিউ ব্র্যান্ডের সঙ্গে মানানসই, যা আত্মবিশ্বাসকে প্রতিফলিত করে।

এক ডলার-সংকটেই যেন দেশের সমগ্র অর্থনীতিতে মন্থর দশা দেখা দিয়েছে। বিশেষ করে রিজার্ভ, উৎপাদন, মূল্যস্ফীতি, আমদানি-রপ্তানি, রাজস্ব আদায়, সুদের হার এবং কর্মসংস্থানে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে। ডলার-সংকট নিরসনে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের গৃহীত কোনো নীতিমালাই কাজে আসছে না। এতে সর্বত্র দেখা দিয়েছে হতাশা।
২৩ মে ২০২৪
বাংলাদেশে বৈচিত্র্যময় বিনিয়োগের সুযোগ নিয়ে আগ্রহী চীনা ব্যবসায়ীরা। নবায়নযোগ্য জ্বালানি, টেক্সটাইল ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ খাতে যৌথ বিনিয়োগের সম্ভাবনা নিয়ে তাঁরা বিজিএমইএর সঙ্গে আলোচনা করেছেন। একই সঙ্গে বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের চীনের ফেব্রিকস উৎপাদন কেন্দ্র পরিদর্শনের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগে
দেশীয় স্পিনিং শিল্প এমন এক অবস্থায় পৌঁছেছে, যেখানে টিকে থাকাই এখন প্রধান চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিদেশি সুতার আগ্রাসী ডাম্পিং, দেশে উৎপাদন ব্যয়ের অস্বাভাবিক বৃদ্ধি এবং আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতার তীব্র চাপ—নেতিবাচক এই ত্রিমুখী প্রভাবের সম্মিলিত ধাক্কা শিল্পটিকে কার্যত ঠেলে দিয়েছে অস্তিত্ব সংকটে।
২ ঘণ্টা আগে
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারিতে রমজান মাস সামনে রেখে রোজাদারদের সুবিধার কথা বিবেচনা করে খেজুরের ওপর শুল্ক ৫২ দশমিক ২ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৪০ দশমিক ৭ শতাংশ করা হয়েছে।
২ ঘণ্টা আগে