বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়ও এমন চিত্র রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় নেতারা। চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম ওরফে সাঈদী। জাফর আলম সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র ছিলেন। সে হিসেবে এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই উপজেলায় আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন কল্যাণ পার্টির সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম। যদিও বদিউল আলম সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন।
এই উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতা প্রার্থী না হলেও ভোটার হিসেবে এ দুই দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা।
জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে আনার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর আলম ও ফজলুল করিম। এমনকি একটি নির্বাচনী সভায় ফজলুল করিম বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁকে ভোট দিলে প্রকাশ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম ও মিটিং-মিছিল করতে পারবে বলে ঘোষণাও দেন।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাফর আলম ও ফজলুল করিম আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জাফর আলমের দমন-পীড়ন ও ফজলুল করিমের বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে করা অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও রয়েছে। ২০০০ সালে ফজলুল করিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুষ্ঠানের মঞ্চে গুলি চালিয়েছিলেন। এসব প্রচার করা হচ্ছে। নীতিগতভাবে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী দুজনের কাউকেই সমর্থন দেবেন না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাকে অপপ্রচার উল্লেখ করে চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোট বর্জনের বিষয়ে আমি তারেক রহমান ও সালাহ উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের ভোট বর্জন করতে নির্দেশনা দিতে বলেছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন কোনো নির্দেশনার কথা কাউকে জানাননি। এসব অপপ্রচার।’
নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোটের মাঠে যে দুজন প্রার্থী হয়েছেন, দুজনই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। মূলত আমরা কেন্দ্রীয় নিদের্শনামতে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছি। কোনো নেতা-কর্মী কারও প্রার্থীর পক্ষে গেলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘আমি সাংগঠনিক একটি মিটিংয়ে আছি, পরে বিস্তারিত বলব।’
জামায়াতের চকরিয়া পৌর শাখার আমির আরিফুল কবীর বলেন, ‘ভোট থেকে বিরত থাকতে আমাদের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে আমাদের অবস্থান নেই।’
এ বিষয়ে জাফর আলম বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
ফজলুল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়ও এমন চিত্র রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় নেতারা। চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম ওরফে সাঈদী। জাফর আলম সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র ছিলেন। সে হিসেবে এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই উপজেলায় আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন কল্যাণ পার্টির সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম। যদিও বদিউল আলম সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন।
এই উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতা প্রার্থী না হলেও ভোটার হিসেবে এ দুই দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা।
জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে আনার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর আলম ও ফজলুল করিম। এমনকি একটি নির্বাচনী সভায় ফজলুল করিম বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁকে ভোট দিলে প্রকাশ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম ও মিটিং-মিছিল করতে পারবে বলে ঘোষণাও দেন।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাফর আলম ও ফজলুল করিম আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জাফর আলমের দমন-পীড়ন ও ফজলুল করিমের বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে করা অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও রয়েছে। ২০০০ সালে ফজলুল করিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুষ্ঠানের মঞ্চে গুলি চালিয়েছিলেন। এসব প্রচার করা হচ্ছে। নীতিগতভাবে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী দুজনের কাউকেই সমর্থন দেবেন না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাকে অপপ্রচার উল্লেখ করে চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোট বর্জনের বিষয়ে আমি তারেক রহমান ও সালাহ উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের ভোট বর্জন করতে নির্দেশনা দিতে বলেছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন কোনো নির্দেশনার কথা কাউকে জানাননি। এসব অপপ্রচার।’
নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোটের মাঠে যে দুজন প্রার্থী হয়েছেন, দুজনই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। মূলত আমরা কেন্দ্রীয় নিদের্শনামতে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছি। কোনো নেতা-কর্মী কারও প্রার্থীর পক্ষে গেলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘আমি সাংগঠনিক একটি মিটিংয়ে আছি, পরে বিস্তারিত বলব।’
জামায়াতের চকরিয়া পৌর শাখার আমির আরিফুল কবীর বলেন, ‘ভোট থেকে বিরত থাকতে আমাদের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে আমাদের অবস্থান নেই।’
এ বিষয়ে জাফর আলম বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
ফজলুল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।
বাপ্পী শাহরিয়ার, চকরিয়া (কক্সবাজার)

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়ও এমন চিত্র রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় নেতারা। চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম ওরফে সাঈদী। জাফর আলম সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র ছিলেন। সে হিসেবে এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই উপজেলায় আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন কল্যাণ পার্টির সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম। যদিও বদিউল আলম সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন।
এই উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতা প্রার্থী না হলেও ভোটার হিসেবে এ দুই দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা।
জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে আনার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর আলম ও ফজলুল করিম। এমনকি একটি নির্বাচনী সভায় ফজলুল করিম বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁকে ভোট দিলে প্রকাশ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম ও মিটিং-মিছিল করতে পারবে বলে ঘোষণাও দেন।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাফর আলম ও ফজলুল করিম আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জাফর আলমের দমন-পীড়ন ও ফজলুল করিমের বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে করা অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও রয়েছে। ২০০০ সালে ফজলুল করিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুষ্ঠানের মঞ্চে গুলি চালিয়েছিলেন। এসব প্রচার করা হচ্ছে। নীতিগতভাবে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী দুজনের কাউকেই সমর্থন দেবেন না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাকে অপপ্রচার উল্লেখ করে চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোট বর্জনের বিষয়ে আমি তারেক রহমান ও সালাহ উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের ভোট বর্জন করতে নির্দেশনা দিতে বলেছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন কোনো নির্দেশনার কথা কাউকে জানাননি। এসব অপপ্রচার।’
নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোটের মাঠে যে দুজন প্রার্থী হয়েছেন, দুজনই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। মূলত আমরা কেন্দ্রীয় নিদের্শনামতে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছি। কোনো নেতা-কর্মী কারও প্রার্থীর পক্ষে গেলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘আমি সাংগঠনিক একটি মিটিংয়ে আছি, পরে বিস্তারিত বলব।’
জামায়াতের চকরিয়া পৌর শাখার আমির আরিফুল কবীর বলেন, ‘ভোট থেকে বিরত থাকতে আমাদের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে আমাদের অবস্থান নেই।’
এ বিষয়ে জাফর আলম বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
ফজলুল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন। কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়ও এমন চিত্র রয়েছে।
দ্বিতীয় দফায় কক্সবাজারের তিন উপজেলায় ভোট গ্রহণ হবে ২১ মে। এর মধ্যে চকরিয়া উপজেলায় সবচেয়ে বেশি প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করছেন স্থানীয় নেতারা। চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সাবেক সংসদ সদস্য জাফর আলম এখানে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা ফজলুল করিম ওরফে সাঈদী। জাফর আলম সাবেক সংসদ সদস্য ছাড়াও চকরিয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও পৌরসভা মেয়র ছিলেন। সে হিসেবে এই উপজেলায় আওয়ামী লীগের শীর্ষ দুই নেতার মধ্যে মূল প্রতিদ্বন্দ্বিতা হবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
এই উপজেলায় আরও দুই প্রার্থী রয়েছেন। তাঁরা হলেন কল্যাণ পার্টির সাবেক অতিরিক্ত মহাসচিব আব্দুল্লাহ আল হাসান ও ভেওলা মানিকচর (বিএমচর) ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান বদিউল আলম। যদিও বদিউল আলম সাবেক এমপি জাফর আলমের পক্ষে প্রকাশ্যে ভোট করছেন।
এই উপজেলায় বিএনপি-জামায়াতের কোনো নেতা প্রার্থী না হলেও ভোটার হিসেবে এ দুই দলের নেতা-কর্মীদের কাছে টানার চেষ্টা করছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী আওয়ামী লীগ নেতারা।
জনপ্রতিনিধি ও আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, বিএনপি ও জামায়াতের কর্মী-সমর্থকদের ভোটকেন্দ্রে আনার তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছেন জাফর আলম ও ফজলুল করিম। এমনকি একটি নির্বাচনী সভায় ফজলুল করিম বিএনপি-জামায়াতের লোকজনকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে বক্তব্য দিয়েছেন। তাঁকে ভোট দিলে প্রকাশ্যে আন্দোলন-সংগ্রাম ও মিটিং-মিছিল করতে পারবে বলে ঘোষণাও দেন।
তবে বিএনপির একাধিক নেতা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, জাফর আলম ও ফজলুল করিম আওয়ামী লীগের টানা ক্ষমতায় থাকাকালে বিএনপি-জামায়াতের ওপর দমনপীড়ন চালিয়েছে। এখন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কিছু ভিডিও ও ছবি ছড়িয়ে পড়েছে। সেখানে জাফর আলমের দমন-পীড়ন ও ফজলুল করিমের বিএনপি নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদকে নিয়ে করা অশ্লীল মন্তব্যের ভিডিও রয়েছে। ২০০০ সালে ফজলুল করিম বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের অনুষ্ঠানের মঞ্চে গুলি চালিয়েছিলেন। এসব প্রচার করা হচ্ছে। নীতিগতভাবে বিএনপির কোনো নেতা-কর্মী দুজনের কাউকেই সমর্থন দেবেন না।
উপজেলা নির্বাচনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক যোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী সালাহ উদ্দিন আহমেদ একজন বিশেষ প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনা দিয়েছেন বলে প্রচার করা হচ্ছে। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এই আসনে সাবেক সংসদ সদস্য ছিলেন।
তবে কোনো প্রার্থীর পক্ষে কাজ করার নির্দেশনাকে অপপ্রচার উল্লেখ করে চকরিয়া পৌর বিএনপির সভাপতি ও পৌরসভার সাবেক মেয়র নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোট বর্জনের বিষয়ে আমি তারেক রহমান ও সালাহ উদ্দিন সাহেবের সঙ্গে কথা বলেছি। তাঁরা আমাদের ভোট বর্জন করতে নির্দেশনা দিতে বলেছেন। সালাহ উদ্দিন আহমেদ এমন কোনো নির্দেশনার কথা কাউকে জানাননি। এসব অপপ্রচার।’
নুরুল ইসলাম হায়দার বলেন, ‘ভোটের মাঠে যে দুজন প্রার্থী হয়েছেন, দুজনই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। তাঁরা আমাদের নেতা-কর্মীদের ওপর জুলুম-নির্যাতন চালিয়েছেন। মূলত আমরা কেন্দ্রীয় নিদের্শনামতে বিএনপির পক্ষ থেকে ভোট বর্জনের লিফলেট বিতরণ করছি। কোনো নেতা-কর্মী কারও প্রার্থীর পক্ষে গেলে কেন্দ্রের সঙ্গে কথা বলে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
চকরিয়া উপজেলা বিএনপির আহ্বায়ক এনামুল হক বলেন, ‘আমি সাংগঠনিক একটি মিটিংয়ে আছি, পরে বিস্তারিত বলব।’
জামায়াতের চকরিয়া পৌর শাখার আমির আরিফুল কবীর বলেন, ‘ভোট থেকে বিরত থাকতে আমাদের কাছে কেন্দ্রীয়ভাবে নির্দেশনা রয়েছে। আমরা সেভাবে কাজ করছি। কোনো প্রার্থীর পক্ষে আমাদের অবস্থান নেই।’
এ বিষয়ে জাফর আলম বলেন, ‘আমি জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী।’
ফজলুল করিমকে ফোন করা হলেও তিনি তা ধরেননি।

ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৭ মিনিট আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২৮ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

রাজধানীর ধানমন্ডিতে ছায়ানট ভবনের ভেতরে আগুন দেওয়া হয়েছে। তবে ঘটনাস্থলে রাত ৩টায় কোনো বিক্ষোভকারীর দেখা মেলেনি।
ভবনের সামনে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও র্যাবের সদস্যরা নিরাপত্তা অবস্থান নিয়েছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে জানা গেছে।
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
এদিকে, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার দীর্ঘ সময় পরও ফায়ার সার্ভিস ঘটনাস্থলে পৌঁছাতে পারেনি।
ইনকিলাব মঞ্চের মুখপাত্র শরিফ ওসমান হাদি হত্যার বিচারের দাবিতে রাজধানীতে বিক্ষোভ করছেন ইনকিলাব মঞ্চের কর্মী ও সমর্থকেরা। এই বিক্ষোভের অংশ হিসেবে এর আগে রাত থেকেই বিক্ষুব্ধরা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নিয়ে যান চলাচল বন্ধ করে দেয়। পরে তারা রাজধানীর রামপুরা, মিরপুর ও কারওয়ান বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় সড়ক অবরোধ করে যান চলাচলে বাধার সৃষ্টি করে।
রাত ১২টার দিকে কারওয়ান বাজারে প্রথম আলো কার্যালয়ে ভাঙচুর ও নথিপত্রে অগ্নিসংযোগও করে তারা। একপর্যায়ে তারা ডেইলি স্টার কার্যালয়ের দিকেও অগ্রসর হয় এবং সেখানেও আগুন ধরিয়ে দেয়। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ডেইলি স্টার কার্যালয়ের আগুন নিয়ন্ত্রণে এনেছে দমকল কর্মীরা। সেখানে দমকল বাহিনীর অন্তত দুটি ইউনিট কাজ করছে।

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছ
১৯ মে ২০২৪
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২৮ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেনওগাঁ সংবাদদাতা

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)। পরিবেশকর্মীরা বলছেন, সরকার যখন বজ্রপাত থেকে সুরক্ষায় তালগাছ রোপণের উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এভাবে পাতা কেটে গাছগুলো ন্যাড়া করা ঠিক হয়নি। বিকল্প ব্যবস্থা গ্রহণ করে বিদ্যুৎ সরবরাহ নিশ্চিত করা সম্ভব ছিল। এতে গাছ বাঁচত, পরিবেশের ভারসাম্যও রক্ষা পেত।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি বিভিন্ন এলাকা থেকে তালের বীজ সংগ্রহ করে সড়কের দুই পাশে রোপণ করেছিলেন। এখন একেকটি গাছের বয়স ২০-৩০ বছর। এগুলোর কারণে সড়কটিও দৃষ্টিনন্দন হয়ে ওঠে। কিন্তু এখন পাতা ছেঁটে ফেলায় কিছু গাছ মারা যেতে পারে। এর আগেও সড়ক সংস্কারের নামে নির্বিচারে গাছ কাটা হয়েছিল।
এ বিষয়ে নেসকোর উপবিভাগীয় প্রকৌশলী মো. কালাম বলেন, ‘বৈদুতিক লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ঝুঁকিপূর্ণ গাছের ডাল ও মাথা কাটা হয়েছে। এটি নিয়মিত প্রক্রিয়া।’
সরেজমিনে দেখা যায়, সড়কের রামভদ্রপুর থেকে বটতলী বোয়ালিয়া পর্যন্ত প্রায় দুই কিলোমিটার এলাকাজুড়ে কয়েক হাজার তালগাছ। এগুলোর উচ্চতা ১০-১২ ফুট। সামান্য দূরত্বে বিদ্যুতের খুঁটি। এর মধ্যে দুই পাশে থাকা প্রায় ৭৫০টি তালগাছ ন্যাড়া অবস্থায় দাঁড়িয়ে আছে।
স্থানীয় বাসিন্দা বেলাল হোসেন বলেন, ‘দিন দিন তালগাছ হারিয়ে যাচ্ছে। এই গাছগুলো এক দিনে বড় হয়নি। বিদ্যুতের লাইন পরিষ্কারের নামে সমানে পাতা কাটা হয়েছে। তালগাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের খুঁটিগুলো দু-তিন হাত সরিয়ে নেওয়া যেত। কিন্তু তারা সেটি না করে গাছের ক্ষতি করল।’
স্থানীয় পরিবেশকর্মী নাইস পারভীন বলেন, ‘নওগাঁয় প্রতিবছর বজ্রপাতে অনেক মানুষ মারা যায়। বজ্রপাতের ক্ষতি এড়াতে তালগাছ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। সরকার যেখানে গাছ লাগানোর উদ্যোগ নিচ্ছে, সেখানে এগুলো ন্যাড়া করে দেওয়া পরিবেশবিধ্বংসী আচরণ।’

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছ
১৯ মে ২০২৪
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৭ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেতৌফিকুল ইসলাম, ঢাকা

ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সদস্যসচিবকে পত্র জারি করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভায় এগুলোসহ ১৯টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সভা সূত্র জানায়, রুট অনুমোদনের ৬ মাসের মধ্যে পরিবহন কোম্পানিকে রুট পারমিট নিতে হবে। পাশাপাশি বাসের সামনে ও পেছনের উইন্ডশিল্ডে রুট নম্বর ও কোম্পানির নাম এবং বডির বাম পাশের পেছনে রুট নম্বর ও রুটের বিবরণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। নতুন রুটের জন্য অসম্পূর্ণ আবেদন, যেমন লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল ও টিআইএন ছাড়া আবেদন কিংবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন ছাড়া আবেদন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা যাবে না।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, যে পরিবহন কোম্পানিগুলো ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি থেকে রুট অনুমোদন নিয়ে সড়কে গাড়ি পরিচালনা করছে না, তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে রুট অনুমোদন ও রুট পারমিট বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গণপরিবহন শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে রুট সংখ্যা কমিয়ে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ চালুর উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুমোদিত কোম্পানিগুলোকে নির্ধারিত রুটে বাস পরিচালনা করতে হবে।
রুট পারমিট ইস্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন থাকা বাধ্যতামূলক। সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে কোম্পানির মেমোরেন্ডামে থাকা যেকোনো পরিচালক অথবা গাড়ির মালিকানার সঙ্গে কোম্পানির চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা থাকলে রুট পারমিট ইস্যু করা যাবে।
নতুন রুট অনুমোদন, রুট সম্প্রসারণ, সংশোধন, সিলিং বৃদ্ধি-সংক্রান্ত আবেদনের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি অনুমোদিত বাস বা মিনিবাস এবং নতুন কোম্পানির বাস ডিপো ও রিপেয়ার ওয়ার্কশপ পরিদর্শনের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হবে।
যানজট সৃষ্টি, রুট ওভারল্যাপিং এবং অসম্পূর্ণ নথিপত্রের কারণে বিভিন্ন কোম্পানির নতুন বাস রুট পারমিটের আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। একই কারণে দুটি রুটের ১৬০টি হিউম্যান হলার আবেদনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বাস টার্মিনালের বাইরে পরিবহন কোম্পানির অবৈধ টিকিট কাউন্টার দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী খোলা ট্রাকে মালপত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে ত্রিপল বা ভারী পলিথিন দিয়ে ঢেকে পরিবহনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে সভায়।
ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করতে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রো ও পণ্য পরিবহন কমিটির সদস্যসচিব (পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে এসি বাস সার্ভিস চালু করে এর সংখ্যা বাড়ানো হলে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারের ব্যবহার কমবে। এতে সড়কে যানজট হ্রাস পাবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে। আমরা চাই, এই উদ্যোগের মাধ্যমে নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করতে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নগর পরিবহন ব্যবস্থায় এসি বাস যুক্ত হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু রুট পারমিট বা ভাড়া নির্ধারণ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে না। রুট রেশনালাইজেশন, শক্তিশালী নজরদারি এবং অপারেটিং কোম্পানিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে বাসের গুণগত মান, সময়নিষ্ঠা ও নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে না পারলে—এসি বাসও যাত্রী আস্থার সংকটে পড়বে। পরিকল্পিত বাস্তবায়ন হলে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমবে এবং সামগ্রিকভাবে যানজট হ্রাস পাবে।

ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে কমিটির সদস্যসচিবকে পত্র জারি করতে বলা হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) সদর দপ্তরে গত ৬ নভেম্বর অনুষ্ঠিত ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটির সভায় এগুলোসহ ১৯টি সিদ্ধান্ত হয়েছে। সভার কার্যবিবরণী সূত্রে বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।
সভা সূত্র জানায়, রুট অনুমোদনের ৬ মাসের মধ্যে পরিবহন কোম্পানিকে রুট পারমিট নিতে হবে। পাশাপাশি বাসের সামনে ও পেছনের উইন্ডশিল্ডে রুট নম্বর ও কোম্পানির নাম এবং বডির বাম পাশের পেছনে রুট নম্বর ও রুটের বিবরণ স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। নতুন রুটের জন্য অসম্পূর্ণ আবেদন, যেমন লিমিটেড কোম্পানির ক্ষেত্রে মেমোরেন্ডাম অব আর্টিকেল ও টিআইএন ছাড়া আবেদন কিংবা ব্যক্তিমালিকানাধীন প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে ট্রেড লাইসেন্স ও টিআইএন ছাড়া আবেদন কমিটির সভায় উপস্থাপন করা যাবে না।
সভায় গৃহীত সিদ্ধান্তগুলোর মধ্যে আরও রয়েছে, যে পরিবহন কোম্পানিগুলো ঢাকা মেট্রো যাত্রী ও পণ্য পরিবহন কমিটি থেকে রুট অনুমোদন নিয়ে সড়কে গাড়ি পরিচালনা করছে না, তাদের কারণ দর্শানো নোটিশ দিয়ে রুট অনুমোদন ও রুট পারমিট বাতিল করার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এ ছাড়া গণপরিবহন শৃঙ্খলা ও যানজট নিরসনে রুট সংখ্যা কমিয়ে ‘বাস রুট রেশনালাইজেশন’ চালুর উদ্যোগের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে অনুমোদিত কোম্পানিগুলোকে নির্ধারিত রুটে বাস পরিচালনা করতে হবে।
রুট পারমিট ইস্যুর ক্ষেত্রে কোম্পানির নামে রেজিস্ট্রেশন থাকা বাধ্যতামূলক। সড়ক পরিবহন বিধিমালা ২০২২ সংশোধন না হওয়া পর্যন্ত আগের নিয়মে কোম্পানির মেমোরেন্ডামে থাকা যেকোনো পরিচালক অথবা গাড়ির মালিকানার সঙ্গে কোম্পানির চুক্তিপত্র বা অঙ্গীকারনামা থাকলে রুট পারমিট ইস্যু করা যাবে।
নতুন রুট অনুমোদন, রুট সম্প্রসারণ, সংশোধন, সিলিং বৃদ্ধি-সংক্রান্ত আবেদনের যাচাই-বাছাইয়ের জন্য একটি উপকমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত হয়েছে। পাশাপাশি অনুমোদিত বাস বা মিনিবাস এবং নতুন কোম্পানির বাস ডিপো ও রিপেয়ার ওয়ার্কশপ পরিদর্শনের জন্য আরেকটি কমিটি গঠন করা হবে।
যানজট সৃষ্টি, রুট ওভারল্যাপিং এবং অসম্পূর্ণ নথিপত্রের কারণে বিভিন্ন কোম্পানির নতুন বাস রুট পারমিটের আবেদনের অনুমোদন দেওয়া হয়নি। একই কারণে দুটি রুটের ১৬০টি হিউম্যান হলার আবেদনেরও অনুমোদন দেওয়া হয়নি।
বাস টার্মিনালের বাইরে পরিবহন কোম্পানির অবৈধ টিকিট কাউন্টার দ্রুত অপসারণের নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যবাহী খোলা ট্রাকে মালপত্র পরিবহনের ক্ষেত্রে ত্রিপল বা ভারী পলিথিন দিয়ে ঢেকে পরিবহনের বাধ্যবাধকতা আরোপ করা হয়েছে সভায়।
ঢাকা মহানগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থাকে সুশৃঙ্খল, আধুনিক ও যাত্রীবান্ধব করতে এসব সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে বলে সভা সূত্রে জানা গেছে।
ঢাকা মেট্রো ও পণ্য পরিবহন কমিটির সদস্যসচিব (পরিচালক ইঞ্জিনিয়ারিং) শফিকুজ্জামান ভূঁইয়া আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ঢাকা মহানগরীতে এসি বাস সার্ভিস চালু করে এর সংখ্যা বাড়ানো হলে ব্যক্তিগত প্রাইভেট কারের ব্যবহার কমবে। এতে সড়কে যানজট হ্রাস পাবে এবং যাত্রীদের ভোগান্তিও কমবে। আমরা চাই, এই উদ্যোগের মাধ্যমে নগরীর গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা ও সামগ্রিক উন্নতি নিশ্চিত করতে।’
যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক মো. হাদিউজ্জামান বলেন, নগর পরিবহন ব্যবস্থায় এসি বাস যুক্ত হওয়া অবশ্যই ইতিবাচক পদক্ষেপ। তবে শুধু রুট পারমিট বা ভাড়া নির্ধারণ দিয়ে কাঙ্ক্ষিত পরিবর্তন আসবে না। রুট রেশনালাইজেশন, শক্তিশালী নজরদারি এবং অপারেটিং কোম্পানিগুলোর জবাবদিহি নিশ্চিত করা জরুরি। একই সঙ্গে বাসের গুণগত মান, সময়নিষ্ঠা ও নিরাপত্তা মান বজায় রাখতে না পারলে—এসি বাসও যাত্রী আস্থার সংকটে পড়বে। পরিকল্পিত বাস্তবায়ন হলে ব্যক্তিগত গাড়ির চাপ কমবে এবং সামগ্রিকভাবে যানজট হ্রাস পাবে।

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছ
১৯ মে ২০২৪
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৭ মিনিট আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২৮ মিনিট আগে
প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে।
১ ঘণ্টা আগেইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জোটের স্বার্থে জামায়াত যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং এ নিয়ে কোনো কোন্দলও সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন নেতারা। অন্যদিকে সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনের ৫টিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কোন্দল সামনে এসেছে বিএনপিতে। তিনটি আসনে বিএনপিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দুই দফায় ৫টি আসনে বিএনপি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। আর সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। আলোচনায় আছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে এই আসনেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে সিলেটের ৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে একটিতে ‘কালোটাকার বিনিময়ে’ মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। আর ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রচারের রয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির প্রচারও চলছে। প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির (কাদের) নেতারা। দলটি বিভাগের ১৯ আসনের প্রার্থী তালিকাও ইতিমধ্যে অনেকটা চূড়ান্ত করেছে।
সিলেট-১ (নগর ও সদর)
দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ প্রচারিত হয়ে আসছে যে এই আসনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হন, তারাই সরকার গঠন করে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ জন্য এখানে সব সময় হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়। তবে এবার তুলনামূলক কম হেভিওয়েটদের এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এখানে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আব্দুল মুক্তাদির মনোনয়ন পাওয়ায় সরে গেছেন সাবেক মেয়র। এই আসনে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হাবিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া এনসিপির এহতেশাম হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদের আকমল হোসেন, এবি পার্টির ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের তাজুল ইসলাম হাসান ও বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী।
সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ)
এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ এম ইলিয়াছ আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী আবদুল হান্নানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হোসাইন আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের জামান আহমেদ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর উদ্দিন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও সিটির ৬টি ওয়ার্ড)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালিক। প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুসারীরা।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী লোকমান আহমদ ভোটের মাঠে আছেন। এনসিপির নুরুল হুদা জুনেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, এবি পার্টি থেকে নাজমুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস থেকে দিলওয়ার হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে মাঠে সরব। স্থানীয় সূত্র বলছে, এই আসনে বিএনপিকে ভোগাতে পারে দলীয় কোন্দল। এ ছাড়া প্রচারে এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর)
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মনোনয়নবঞ্চিত আবদুল হেকিম চৌধুরী (সাবেক গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান) ও হেলাল আহমদের অনুসারীরা। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বতন্ত্র নির্বাচন—যেকোনো কিছুই হতে পারে। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদিন। এ ছাড়া এনসিপির মো. রাশেল উল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সাঈদ আহমদ, খেলাফত মজলিস থেকে আলী হাসান উসামা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী, গণঅধিকার পরিষদের জহিরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ)
এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। স্থানীয়ভাবে প্রচার আছে, বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জোট হলে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অবস্থায় ‘অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাঁরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীর দাবি, আসনটিতে ইসলামপন্থী দলগুলো বিভাজিত থাকায় পৃথকভাবে সেই অর্থে কারও ভোটব্যাংক নেই। এখানে বিএনপির ভোটারই বেশি। আসনটিতে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান (পাপলু), জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর প্রমুখ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নামও প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রেজাউল করিম জালালী, খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলার উপদেষ্টা আবুল হাসান, এবি পার্টির আলতাফ হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক জালালাবাদী প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী। মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে তাঁর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত ওই নির্বাচনে ফয়সল চৌধুরী লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় অনুসারীরা হতাশ। তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, আসন্ন নির্বাচনে এমরান চৌধুরীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তাঁর ঘর সামলানো। ফয়সল চৌধুরীর অনুসারীসহ বিএনপির বিভিন্ন পক্ষকে তাঁর পক্ষে টেনে আনতে পারলে ভোটের লড়াইয়ের পথ সহজ হয়ে যাবে। অন্যথায় তাঁকে ভুগতে হবে।
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজমল হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ফখরুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান ভোটের মাঠে আছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাইঘাট-জকিগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানানো উচিত। নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী চাওয়া যৌক্তিক। আশা করি দলের নীতিনির্ধারকেরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। আর বাকি যে তিনটি নির্বাচনী এলাকার কথা বলেছেন, সেগুলোর বিষয় হলো এটা প্রাথমিক তালিকা। ওই তিন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, তখন এসব সমস্যা থাকবে না।’

প্রচার জমে ওঠে সিলেটের সংসদীয় আসনগুলোয়। জনসংযোগ, উঠান বৈঠক করতে দেখা যাচ্ছে বিভিন্ন দলের নেতা-কর্মীদের। এক বছর আগে প্রার্থী ঘোষণা করা জামায়াতে ইসলামী প্রচারে খানিকটা এগিয়ে। দলটির সঙ্গে জোটসঙ্গী বাকি ৭ দলকে কোন কোন আসন ছেড়ে দেওয়া হবে, এ নিয়ে খানিকটা ধোঁয়াশা রয়েছে। তবে জোটের স্বার্থে জামায়াত যেকোনো ত্যাগ স্বীকার করতে প্রস্তুত এবং এ নিয়ে কোনো কোন্দলও সৃষ্টি হবে না বলে মনে করছেন নেতারা। অন্যদিকে সিলেটের ৬ সংসদীয় আসনের ৫টিতে প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে কোন্দল সামনে এসেছে বিএনপিতে। তিনটি আসনে বিএনপিতে অস্থিরতা দেখা দিয়েছে।
দুই দফায় ৫টি আসনে বিএনপি প্রাথমিক মনোনয়ন ঘোষণার পর থেকে মনোনয়নবঞ্চিত নেতাদের অনুসারীরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিতে বিক্ষোভও করেছেন। আর সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ) আসনে প্রার্থী ঘোষণা করেনি দলটি। আলোচনায় আছে, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দিতে পারে বিএনপি। তবে এই আসনেও বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা ক্ষুব্ধ। তাঁরা প্রকাশ্যে সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন।
এদিকে সিলেটের ৩টি আসনের প্রার্থী ঘোষণা করেছে জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি)। এর মধ্যে একটিতে ‘কালোটাকার বিনিময়ে’ মনোনয়ন দেওয়ার অভিযোগ করেছেন দলটির মনোনয়নবঞ্চিত নেতা। আর ৮ দলীয় জোটের প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়ায় প্রচারের রয়েছে জামায়াত, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, খেলাফত মজলিস। এ ছাড়া গণঅধিকার পরিষদ, এবি পার্টির প্রচারও চলছে। প্রচার চালিয়ে যাচ্ছে জাতীয় পার্টির (কাদের) নেতারা। দলটি বিভাগের ১৯ আসনের প্রার্থী তালিকাও ইতিমধ্যে অনেকটা চূড়ান্ত করেছে।
সিলেট-১ (নগর ও সদর)
দীর্ঘদিন ধরে একটি মিথ প্রচারিত হয়ে আসছে যে এই আসনে যে দলের প্রার্থী জয়ী হন, তারাই সরকার গঠন করে। রাজনৈতিক দলগুলোও এ জন্য এখানে সব সময় হেভিওয়েট প্রার্থী দেয়। তবে এবার তুলনামূলক কম হেভিওয়েটদের এখানে প্রার্থী করা হয়েছে। সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী ও বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা খন্দকার আব্দুল মুক্তাদির এখানে ধানের শীষের মনোনয়নপ্রত্যাশী ছিলেন। আব্দুল মুক্তাদির মনোনয়ন পাওয়ায় সরে গেছেন সাবেক মেয়র। এই আসনে সিলেট জেলা জামায়াতের আমির ও কেন্দ্রীয় মজলিসে শুরা সদস্য হাবিবুর রহমান দলের মনোনীত প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন। এ ছাড়া এনসিপির এহতেশাম হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের মাহমুদুল হাসান, গণঅধিকার পরিষদের আকমল হোসেন, এবি পার্টির ওমর ফারুক, খেলাফত মজলিসের তাজুল ইসলাম হাসান ও বাসদের প্রণব জ্যোতি পাল এই আসনে দলের মনোনীত প্রার্থী।
সিলেট-২ (ওসমানীনগর ও বিশ্বনাথ)
এই আসনে বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও নিখোঁজ এম ইলিয়াছ আলীর স্ত্রী তাহসিনা রুশদীর লুনা। আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী আবদুল হান্নানও নেতা-কর্মীদের নিয়ে প্রচার চালিয়ে যাচ্ছেন। এ ছাড়া জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের হোসাইন আহমদ, গণঅধিকার পরিষদের জামান আহমেদ সিদ্দিকী, খেলাফত মজলিসের মুহাম্মদ মুনতাসির আলী ও ইসলামী আন্দোলনের আমীর উদ্দিন দলীয় প্রার্থী হিসেবে মাঠে আছেন।
সিলেট-৩ (দক্ষিণ সুরমা, বালাগঞ্জ ও সিটির ৬টি ওয়ার্ড)
এই আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও যুক্তরাজ্য শাখার সভাপতি মোহাম্মদ আবদুল মালিক। প্রার্থী বদলের দাবিতে মাঠে আছেন দুই মনোনয়নপ্রত্যাশী দলটির কেন্দ্রীয় আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক এম এ সালাম ও জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরীর অনুসারীরা।
এই আসনে জামায়াতে ইসলামীর প্রার্থী লোকমান আহমদ ভোটের মাঠে আছেন। এনসিপির নুরুল হুদা জুনেদ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে রেদওয়ানুল হক চৌধুরী, এবি পার্টি থেকে নাজমুল ইসলাম, খেলাফত মজলিস থেকে দিলওয়ার হোসাইন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের নজরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরা প্রত্যেকে মাঠে সরব। স্থানীয় সূত্র বলছে, এই আসনে বিএনপিকে ভোগাতে পারে দলীয় কোন্দল। এ ছাড়া প্রচারে এগিয়ে রয়েছে জামায়াত।
সিলেট-৪ (কোম্পানীগঞ্জ, গোয়াইনঘাট ও জৈন্তাপুর)
বিএনপির প্রাথমিক মনোনয়ন পেয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সিলেট সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র আরিফুল হক চৌধুরী। তাঁকে ‘বহিরাগত’ উল্লেখ করে প্রার্থী বদলের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে মনোনয়নবঞ্চিত আবদুল হেকিম চৌধুরী (সাবেক গোয়াইনঘাট উপজেলা চেয়ারম্যান) ও হেলাল আহমদের অনুসারীরা। এতে বিএনপির নেতা-কর্মীরাও দ্বিধাবিভক্ত। স্থানীয় নেতা-কর্মীদের মধ্যে আলোচনা রয়েছে, এই আসনে প্রার্থী পরিবর্তন কিংবা বিদ্রোহী প্রার্থীর স্বতন্ত্র নির্বাচন—যেকোনো কিছুই হতে পারে। এই আসনে জামায়াতের প্রার্থী মো. জয়নাল আবেদিন। এ ছাড়া এনসিপির মো. রাশেল উল আলম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে সাঈদ আহমদ, খেলাফত মজলিস থেকে আলী হাসান উসামা, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের মুহাম্মদ আলী, গণঅধিকার পরিষদের জহিরুল ইসলাম মনোনয়ন পেয়েছেন। তাঁরাও রয়েছেন প্রচারে।
সিলেট-৫ (কানাইঘাট-জকিগঞ্জ)
এই আসনে এখনো প্রার্থী ঘোষণা করেনি বিএনপি। স্থানীয়ভাবে প্রচার আছে, বিএনপির সঙ্গে জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জোট হলে দলটির কেন্দ্রীয় সভাপতি উবায়দুল্লাহ ফারুককে আসনটি ছেড়ে দেওয়া হতে পারে। এমন অবস্থায় ‘অসন্তুষ্ট ও ক্ষুব্ধ’ বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। তাঁরা প্রকাশ্যে বিভিন্ন সভা-সমাবেশে আসনটিতে বিএনপির নিজস্ব প্রার্থী ঘোষণার দাবি জানাচ্ছেন। বিএনপির নেতা-কর্মীর দাবি, আসনটিতে ইসলামপন্থী দলগুলো বিভাজিত থাকায় পৃথকভাবে সেই অর্থে কারও ভোটব্যাংক নেই। এখানে বিএনপির ভোটারই বেশি। আসনটিতে এবার বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশী হিসেবে আছেন জেলা বিএনপির সহসভাপতি মামুনুর রশিদ (চাকসু মামুন), যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিদ্দিকুর রহমান (পাপলু), জেলা বিএনপির উপদেষ্টা আশিক উদ্দিন চৌধুরী, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মাহবুবুল হক চৌধুরী, সংযুক্ত আরব আমিরাত বিএনপির আহ্বায়ক মো. জাকির হোসাইন, যুক্তরাজ্যপ্রবাসী ফাহিম আলম ইসহাক চৌধুরী, যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সহসভাপতি শরীফ আহমদ লস্কর প্রমুখ। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর মেয়ে সামিরা তানজিন চৌধুরীর নামও প্রার্থী হিসেবে আলোচনায় আছে।
এ আসনে জামায়াতের প্রার্থী হিসেবে মাঠে প্রচার-প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলার নায়েবে আমির আনোয়ার হোসেন খান। এখানে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের রেজাউল করিম আবরার, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিসের রেজাউল করিম জালালী, খেলাফত মজলিসের সিলেট জেলার উপদেষ্টা আবুল হাসান, এবি পার্টির আলতাফ হোসেন ও ইসলামী ঐক্যজোটের ফয়জুল হক জালালাবাদী প্রার্থী হিসেবে কাজ করছেন।
সিলেট-৬ (বিয়ানীবাজার-গোলাপগঞ্জ)
এ আসনে বিএনপির মনোনয়ন পেয়েছেন দলটির জেলা সাধারণ সম্পাদক এমরান আহমেদ চৌধুরী। মনোনয়নপ্রাপ্তির দৌড়ে তাঁর সঙ্গে শক্ত প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ২০১৮ সালে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী ফয়সল আহমদ চৌধুরী। ‘রাতের ভোট’ হিসেবে আলোচিত ওই নির্বাচনে ফয়সল চৌধুরী লক্ষাধিক ভোট পেয়েছিলেন। এবার তিনি মনোনয়ন না পাওয়ায় অনুসারীরা হতাশ। তাঁরা প্রার্থী পরিবর্তনের দাবিও জানিয়েছেন।
গোলাপগঞ্জ ও বিয়ানীবাজার বিএনপির একাধিক নেতা-কর্মী জানান, আসন্ন নির্বাচনে এমরান চৌধুরীর সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হবে, তাঁর ঘর সামলানো। ফয়সল চৌধুরীর অনুসারীসহ বিএনপির বিভিন্ন পক্ষকে তাঁর পক্ষে টেনে আনতে পারলে ভোটের লড়াইয়ের পথ সহজ হয়ে যাবে। অন্যথায় তাঁকে ভুগতে হবে।
আসনটিতে জামায়াতের প্রার্থী দলটির ঢাকা মহানগর উত্তরের আমির মুহাম্মদ সেলিম উদ্দিন। এ ছাড়া খেলাফত মজলিসের সাদিকুর রহমান, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আজমল হোসেন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশের ফখরুল ইসলাম ও গণঅধিকার পরিষদের অ্যাডভোকেট জাহিদুর রহমান ভোটের মাঠে আছেন।
সিলেট জেলা বিএনপির সভাপতি আবদুল কাইয়ুম চৌধুরী আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘কানাইঘাট-জকিগঞ্জ নিয়ে গঠিত সিলেট-৫ আসনে দলীয় সিদ্ধান্ত দ্রুততম সময়ের মধ্যে জানানো উচিত। নেতা-কর্মীদের দলীয় প্রার্থী চাওয়া যৌক্তিক। আশা করি দলের নীতিনির্ধারকেরা তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের মতামতকে গুরুত্ব দেবেন। আর বাকি যে তিনটি নির্বাচনী এলাকার কথা বলেছেন, সেগুলোর বিষয় হলো এটা প্রাথমিক তালিকা। ওই তিন এলাকায় ধানের শীষের পক্ষে কাজ চলছে। শিগগিরই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণা হবে, তখন এসব সমস্যা থাকবে না।’

চলমান ষষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচন কেন্দ্রীয়ভাবে বর্জন করেছে বিএনপি। এর পরও অনেক এলাকায় কিছু নেতা দলের সিদ্ধান্ত না মেনে এই নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছেন। কেউ আবার নিজে নির্বাচন না করলেও প্রার্থীদের পক্ষে কাজ করছেন। ভোটে অংশ নেওয়া দলের নেতারাও বিএনপি-জামায়াতের এ ধরনের কর্মী-সমর্থকদের কাছে টানার চেষ্টা করছ
১৯ মে ২০২৪
ধানমন্ডি মডেল থানার ডিউটি অফিসার মিঠুন সিংহ বলেন, ‘বিক্ষুব্ধ জনতা ধানমন্ডিতে অবস্থিত ছায়ানট ভবন ভাংচুর ও আগুন দিয়েছে। আমরা ফায়ার সার্ভিসকে খবর দিয়েছি। পুলিশ ঘটনাস্থলে আছে। আমাদের ঊর্ধ্বতন সেখানে আছেন।’
৭ মিনিট আগে
নওগাঁয় বাইপাস সড়কের দুই পাশে থাকা ৭৫০টি তালগাছের পাতা কেটে ন্যাড়া করে দেওয়া হয়েছে। এসব গাছের ওপর দিয়ে যাওয়া বিদ্যুতের সরবরাহ লাইনের সুরক্ষা দিতে এই কাজ করেছে নর্দান ইলেকট্রিসিটি সাপ্লাই কোম্পানি লিমিটেড (নেসকো)।
২৮ মিনিট আগে
ঢাকা মহানগরীতে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত (এসি) বাস সার্ভিস বাড়াতে নতুন রুট পারমিট দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে। একই সঙ্গে ভাড়া নির্ধারণ করবে সংশ্লিষ্ট বাসমালিক কিংবা কোম্পানিগুলো। এ ছাড়া ঢাকার গণপরিবহন ব্যবস্থায় শৃঙ্খলা আনতে ‘কন্ট্রাক্ট সিস্টেম’ তুলে দিয়ে কাউন্টারভিত্তিক বাস সার্ভিস চালুর নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
২৮ মিনিট আগে