নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
২০ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
২০ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির। রইদ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, মাস্টার সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে গত নভেম্বরে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের ‘দেলুপি’।
‘হাওয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেজবাউর রহমান সুমনের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় সিনেমা রইদ। গত বছর রইদ সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন সুমন। এতে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান, নাজিফা তুষি, গাজী রাকায়েতসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। অবশেষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো রইদ সিনেমার। এই সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে রটারড্যাম উৎসবে। এরপর মুক্তি দেওয়া হবে দেশের হলে।
রইদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগার প্রতিযোগিতা (মূল প্রতিযোগিতা) বিভাগে। নির্মাতা জানান, এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা রটারড্যামের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই বিভাগে রইদসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো থেকে নির্বাচকেরা বাছাই করবেন উৎসবের সেরা সিনেমা।
রইদ সিনেমার গল্প নিয়ে সুমন বলেন, ‘সাধু, তার পাগল স্ত্রী এবং তাদের বাড়ির পাশের তালগাছকে ঘিরে আবর্তিত এই গল্পে আমরা আদতে আদম ও হাওয়ার আদিম আখ্যানকেই খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা সেই হাজার বছরের পুরোনো আখ্যানকে বর্তমানে পুনর্নির্মাণ করেছি, তবে সময়ের বর্তমানে নয়, বরং অনুভূতির বর্তমানে। এই সিনেমার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দেখা গ্রামীণ বাংলার আবহ।’

রইদের গল্প লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও সেলিনা বানু মনি। চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, জাহিন ফারুক আমিন, সিদ্দিক আহমেদ ও সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ, সহপ্রযোজনায় আছে ফেসকার্ড প্রোডাকশন।
এদিকে রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বানিয়েছেন মাস্টার। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটি প্রতিযোগিতা করবে রটারড্যাম উৎসবের বিগ স্ক্রিন কম্পিটিশন বিভাগে
গল্পে দেখা যাবে, জহির আহমেদ নামের এক শিক্ষক সমাজসেবায় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। ওই এলাকার উপজেলা নির্বাচনের সময় প্রার্থীর অভাব দেখা দেয়। তখন শিক্ষক জহির আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। সবার অনুরোধে ভোটে দাঁড়িয়ে যায় জহির। ভোটে জয় পেয়ে চেয়ারম্যানও হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর বদলে যায় ওই শিক্ষকের জীবন। জহির আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফ সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে রটারড্যাম উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে দেলুপি। অভিনয় করেছেন স্থানীয়রা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি।

আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির। রইদ পরিচালনা করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, মাস্টার সিনেমার পরিচালক রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক প্রিমিয়ার হবে গত নভেম্বরে দেশের হলে মুক্তি পাওয়া মোহাম্মদ তাওকীর ইসলামের ‘দেলুপি’।
‘হাওয়া’ দিয়ে চলচ্চিত্র পরিচালক হিসেবে অভিষেক হয় মেজবাউর রহমান সুমনের। প্রথম সিনেমাতেই বাজিমাত করেন তিনি। তিন বছর পর তিনি নিয়ে আসছেন দ্বিতীয় সিনেমা রইদ। গত বছর রইদ সিনেমার শুটিং শুরু করেছিলেন সুমন। এতে অভিনয় করছেন মোস্তাফিজ নূর ইমরান, নাজিফা তুষি, গাজী রাকায়েতসহ অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছিলেন, সিনেমার বিস্তারিত জানানো হবে আনুষ্ঠানিক ঘোষণার মাধ্যমে। অবশেষে গতকাল এক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো রইদ সিনেমার। এই সিনেমার প্রদর্শনী শুরু হচ্ছে রটারড্যাম উৎসবে। এরপর মুক্তি দেওয়া হবে দেশের হলে।
রইদ প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে টাইগার প্রতিযোগিতা (মূল প্রতিযোগিতা) বিভাগে। নির্মাতা জানান, এই প্রথম বাংলাদেশের কোনো পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা রটারড্যামের মূল প্রতিযোগিতা বিভাগে আমন্ত্রণ পেয়েছে। এই বিভাগে রইদসহ বিভিন্ন দেশের মোট ১২টি সিনেমা নির্বাচিত হয়েছে। এই সিনেমাগুলো থেকে নির্বাচকেরা বাছাই করবেন উৎসবের সেরা সিনেমা।
রইদ সিনেমার গল্প নিয়ে সুমন বলেন, ‘সাধু, তার পাগল স্ত্রী এবং তাদের বাড়ির পাশের তালগাছকে ঘিরে আবর্তিত এই গল্পে আমরা আদতে আদম ও হাওয়ার আদিম আখ্যানকেই খোঁজার চেষ্টা করেছি। আমরা সেই হাজার বছরের পুরোনো আখ্যানকে বর্তমানে পুনর্নির্মাণ করেছি, তবে সময়ের বর্তমানে নয়, বরং অনুভূতির বর্তমানে। এই সিনেমার প্রতিটি স্তরে জড়িয়ে আছে চিত্রশিল্পী এস এম সুলতানের দেখা গ্রামীণ বাংলার আবহ।’

রইদের গল্প লিখেছেন মেজবাউর রহমান সুমন ও সেলিনা বানু মনি। চিত্রনাট্য করেছেন মেজবাউর রহমান সুমন, জাহিন ফারুক আমিন, সিদ্দিক আহমেদ ও সুকর্ণ শাহেদ ধীমান। সিনেমাটি প্রযোজনা করেছে বঙ্গ, সহপ্রযোজনায় আছে ফেসকার্ড প্রোডাকশন।
এদিকে রাজনৈতিক থ্রিলার ঘরানায় রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত বানিয়েছেন মাস্টার। গত বছর এপ্রিলে শেষ হয়েছিল সরকারি অনুদানে নির্মিত এই সিনেমার শুটিং। মাস্টারের শুটিং-পরবর্তী কাজ হয়েছে দক্ষিণ কোরিয়ায়। এই প্রক্রিয়ায় যুক্ত ছিলেন পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্তের শিল্পীরা। একটি উপজেলার স্থানীয় রাজনীতি এই সিনেমার প্রেক্ষাপট। সিনেমাটি প্রতিযোগিতা করবে রটারড্যাম উৎসবের বিগ স্ক্রিন কম্পিটিশন বিভাগে
গল্পে দেখা যাবে, জহির আহমেদ নামের এক শিক্ষক সমাজসেবায় এলাকাবাসীর কাছে জনপ্রিয়। ওই এলাকার উপজেলা নির্বাচনের সময় প্রার্থীর অভাব দেখা দেয়। তখন শিক্ষক জহির আহমেদকে প্রার্থী হিসেবে দেখতে চায় এলাকাবাসী। সবার অনুরোধে ভোটে দাঁড়িয়ে যায় জহির। ভোটে জয় পেয়ে চেয়ারম্যানও হয়। উপজেলার চেয়ারম্যান হওয়ার পর বদলে যায় ওই শিক্ষকের জীবন। জহির আহমেদ চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসির উদ্দিন খান। আরও আছেন আজমেরী হক বাঁধন, জাকিয়া বারী মম, ফজলুর রহমান বাবু, লুৎফর রহমান জর্জ, শরিফ সিরাজ প্রমুখ।
এদিকে রটারড্যাম উৎসবের ‘ব্রাইট ফিউচার’ বিভাগে প্রদর্শিত হবে দেলুপি। এই বিভাগে চলচ্চিত্র নির্মাতাদের বানানো প্রথম ও দ্বিতীয় সিনেমা নির্বাচিত হয়। দক্ষিণাঞ্চলের মানুষের জীবনের ঘটনা, বাস্তবতা আর সম্পর্কের গল্প থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে নির্মিত হয়েছে দেলুপি। অভিনয় করেছেন স্থানীয়রা। গত ৭ নভেম্বর খুলনায় মুক্তি পেয়েছিল দেলুপি। পরের সপ্তাহে দেশব্যাপী মুক্তি পায় সিনেমাটি।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
২০ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জ্যাজ সিটি, দেখা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়।
জ্যাজ সিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত ছিলেন গত বছর মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় হিন্দি সিরিজ ‘জুবিলি’র সঙ্গে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সৌমিক। প্রেক্ষাপট ছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকের মুম্বাই শহর ও বলিউডের শুরুর দিকের ঘটনা। জুবিলির মতো নতুন এ সিরিজেও সৌমিক পর্দায় তুলে ধরেছেন পুরোনো প্রেক্ষাপট।
২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের হিন্দি ভাষার ট্রেলারে দেখা গেল, ১৯৭০-৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও। সেই সময়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বই মোটাদাগে তুলে ধরা হয়েছে এতে। ট্রেলার দেখে সহজেই আন্দাজ করা গেল, জ্যাজ সিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই আছেন শুভ। তাঁর চরিত্রের নাম জিমি রয়। ট্রেলারে শুভকে হিন্দি ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়, যা তিনি নিজেই ডাবিং করেছেন। শুভর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রকে। এ ছাড়া আরও আছেন কলকাতা ও হিন্দি সিনেমার একাধিক অভিনেতা।
জ্যাজ সিটি পশ্চিমবঙ্গে আরিফিন শুভর তৃতীয় ওয়েব কনটেন্ট। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন অরিন্দম শীলের ‘উনিশে এপ্রিল’ ও রাহুল মুখার্জির ‘লহু’তে। উনিশে এপ্রিল আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে লহু।

ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মুক্তি পাবে জ্যাজ সিটি, দেখা যাবে বাংলা, হিন্দি ও ইংরেজি ভাষায়।
জ্যাজ সিটি পরিচালনা করেছেন সৌমিক সেন। সর্বশেষ তিনি যুক্ত ছিলেন গত বছর মুক্তি পাওয়া জনপ্রিয় হিন্দি সিরিজ ‘জুবিলি’র সঙ্গে। বিক্রমাদিত্য মোতওয়ানের সঙ্গে যৌথভাবে সিরিজটির চিত্রনাট্য লিখেছিলেন সৌমিক। প্রেক্ষাপট ছিল চল্লিশের দশকের শেষের দিকের মুম্বাই শহর ও বলিউডের শুরুর দিকের ঘটনা। জুবিলির মতো নতুন এ সিরিজেও সৌমিক পর্দায় তুলে ধরেছেন পুরোনো প্রেক্ষাপট।
২ মিনিট ৩৬ সেকেন্ডের হিন্দি ভাষার ট্রেলারে দেখা গেল, ১৯৭০-৭১ সালের পশ্চিমবঙ্গের প্রেক্ষাপট। রয়েছে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের প্রসঙ্গও। সেই সময়ে ভারত-পাকিস্তানের দ্বন্দ্বই মোটাদাগে তুলে ধরা হয়েছে এতে। ট্রেলার দেখে সহজেই আন্দাজ করা গেল, জ্যাজ সিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রেই আছেন শুভ। তাঁর চরিত্রের নাম জিমি রয়। ট্রেলারে শুভকে হিন্দি ভাষাতেও কথা বলতে শোনা যায়, যা তিনি নিজেই ডাবিং করেছেন। শুভর বিপরীতে দেখা যাবে কলকাতার অভিনেত্রী সৌরসেনী মৈত্রকে। এ ছাড়া আরও আছেন কলকাতা ও হিন্দি সিনেমার একাধিক অভিনেতা।
জ্যাজ সিটি পশ্চিমবঙ্গে আরিফিন শুভর তৃতীয় ওয়েব কনটেন্ট। এর আগে তিনি অভিনয় করেছেন অরিন্দম শীলের ‘উনিশে এপ্রিল’ ও রাহুল মুখার্জির ‘লহু’তে। উনিশে এপ্রিল আলোর মুখ দেখলেও আটকে আছে লহু।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
২০ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজন ম্রো ভাষা, শিল্পকলা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আদিবাসী শিশুদের সৃজনশীল কাজ প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।
লামায় অবস্থিত পাওমুম থারক্লা একটি সম্প্রদায়নির্ভর বিদ্যালয়, যা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ম্রো ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শিশু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবে অংশ নেওয়া অনেক শিশুর জন্য এটিই পাহাড়ের বাইরে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
উৎসবে শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম, বাঁশের কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, বুননের প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং লাইভ পারফরম্যান্স যেমন ম্রো নৃত্য, গান ও ঐতিহ্যবাহী প্লাং বাঁশি উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মশালা, গাইডেড ট্যুর এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পাওমুম থারক্লার সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল একটি ছোট বাঁশের ঝুপড়িতে, মাত্র কয়েকটি শিশু নিয়ে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। পাওমুম পার্বণ ২০২৫ শিশুদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ, যাতে তারা পাহাড়ের বাইরে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। আমরা সব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন।’
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (রোববার বন্ধ) চলবে এই আয়োজন। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকেরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিশু ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।

বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত। এই আয়োজন ম্রো ভাষা, শিল্পকলা, সংগীত ও সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যকে তুলে ধরার পাশাপাশি রাজধানীতে প্রথমবারের মতো আদিবাসী শিশুদের সৃজনশীল কাজ প্রদর্শনের সুযোগ করে দেবে বলে জানিয়েছে আয়োজকেরা।
লামায় অবস্থিত পাওমুম থারক্লা একটি সম্প্রদায়নির্ভর বিদ্যালয়, যা গত ১০ বছরের বেশি সময় ধরে ম্রো ভাষা, সাংস্কৃতিক চর্চা এবং শিশু শিক্ষার উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছে। উৎসবে অংশ নেওয়া অনেক শিশুর জন্য এটিই পাহাড়ের বাইরে জীবনের প্রথম অভিজ্ঞতা।
উৎসবে শিশুদের তৈরি শিল্পকর্ম, বাঁশের কারুশিল্প, ফটোগ্রাফি, বুননের প্রদর্শনী, স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র এবং লাইভ পারফরম্যান্স যেমন ম্রো নৃত্য, গান ও ঐতিহ্যবাহী প্লাং বাঁশি উপস্থাপন করা হবে। এ ছাড়া সপ্তাহজুড়ে বিভিন্ন কর্মশালা, গাইডেড ট্যুর এবং সম্প্রদায়ভিত্তিক সংলাপ অনুষ্ঠিত হবে।
পাওমুম থারক্লার সহপ্রতিষ্ঠাতা শাহরিয়ার পারভেজ বলেন, ‘আমাদের স্কুলটি শুরু হয়েছিল একটি ছোট বাঁশের ঝুপড়িতে, মাত্র কয়েকটি শিশু নিয়ে। গত এক দশকের বেশি সময় ধরে আমরা শিক্ষার মাধ্যমে তাদের ভাষা ও সাংস্কৃতিক পরিচয় রক্ষার কাজ করে যাচ্ছি। পাওমুম পার্বণ ২০২৫ শিশুদের জন্য একটি অনন্য সুযোগ, যাতে তারা পাহাড়ের বাইরে নিজেকে তুলে ধরতে পারে। আমরা সব অংশীদারের প্রতি কৃতজ্ঞ, যারা এই যাত্রাকে সম্ভব করেছেন।’
প্রতিদিন বেলা ৩টা থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত (রোববার বন্ধ) চলবে এই আয়োজন। উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত। দর্শকেরা প্রদর্শনী ঘুরে দেখার পাশাপাশি শিশু ও সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিশে ম্রো জনগোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য উপভোগ করতে পারবেন।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
২০ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
২০ ঘণ্টা আগে
৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ।
২০ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। আগামীকাল রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর নির্দেশিত ‘রঙমহাল’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৫৪তম প্রযোজনা।
রঙমহাল নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াৎ আহমেদ। মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন নাহার, ফারজানা চুমকি, অনিকেত ইসলাম, তৌকির আলম, রতন, বাদলসহ অনেকে।

রঙমহাল নিয়ে নির্দেশক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘খুব ভালো একটা গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। একবাক্যে যদি বলি, এটি সমাজের রূপ ও অরূপের আখ্যান। আমি রঙমহাল নাটকটিকে মোরাল প্লে হিসেবে অভিহিত করব। নৈতিক মূল্যবোধের নাটক। দর্শক এ কথার বিচার করবেন। আশা করছি নতুন ও পুরোনোর সম্মিলিত প্রয়াসে রঙমহাল হয়ে উঠবে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা।’
নির্দেশনায় আসতে এত সময় নেওয়ার কারণ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে হলের নাট্যসম্পাদক ছিলাম। বেশ কয়েকটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তবে ঢাকা থিয়েটারে এই প্রথম। ঢাকা থিয়েটারে অনেক বড় ও গুণী নির্দেশক ছিলেন এবং আছেন। বাচ্চু ভাই, জামিল ভাই, ফরীদি ভাইয়ের মতো মানুষ এখানে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছেন গুণী শিল্পীরা। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে অনেক দিন সরাসরি থিয়েটার করতে পারিনি। সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এখন নাটক নির্দেশনা দিচ্ছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

৪০ বছরের বেশি সময় নাটকের দল ঢাকা থিয়েটারের সঙ্গে যুক্ত অভিনেতা ফারুক আহমেদ। অভিনয় করেছেন দলটির অনেক নাটকে। তবে কখনোই দলটির হয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়নি তাঁর। অবশেষে ঢাকা থিয়েটারের নাট্যনির্দেশক হিসেবে হাজির হচ্ছেন ফারুক আহমেদ। আগামীকাল রাজধানীর বাংলাদেশ মহিলা সমিতির মিলনায়তনে সন্ধ্যা ৭টায় অনুষ্ঠিত হবে তাঁর নির্দেশিত ‘রঙমহাল’ নাটকের উদ্বোধনী প্রদর্শনী। এটি ঢাকা থিয়েটারের ৫৪তম প্রযোজনা।
রঙমহাল নাটকটি রচনা করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক রুবাইয়াৎ আহমেদ। মঞ্চ পরিকল্পনায় আছেন অভিনেতা ও নির্মাতা আফজাল হোসেন। বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন নাসরিন নাহার, ফারজানা চুমকি, অনিকেত ইসলাম, তৌকির আলম, রতন, বাদলসহ অনেকে।

রঙমহাল নিয়ে নির্দেশক ফারুক আহমেদ বলেন, ‘খুব ভালো একটা গল্প দেখা যাবে এই নাটকে। একবাক্যে যদি বলি, এটি সমাজের রূপ ও অরূপের আখ্যান। আমি রঙমহাল নাটকটিকে মোরাল প্লে হিসেবে অভিহিত করব। নৈতিক মূল্যবোধের নাটক। দর্শক এ কথার বিচার করবেন। আশা করছি নতুন ও পুরোনোর সম্মিলিত প্রয়াসে রঙমহাল হয়ে উঠবে সাম্প্রতিক সময়ের উল্লেখযোগ্য প্রযোজনা।’
নির্দেশনায় আসতে এত সময় নেওয়ার কারণ জানিয়ে ফারুক আহমেদ বলেন, ‘জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াকালে হলের নাট্যসম্পাদক ছিলাম। বেশ কয়েকটি নাটক নির্দেশনা দিয়েছিলাম। তবে ঢাকা থিয়েটারে এই প্রথম। ঢাকা থিয়েটারে অনেক বড় ও গুণী নির্দেশক ছিলেন এবং আছেন। বাচ্চু ভাই, জামিল ভাই, ফরীদি ভাইয়ের মতো মানুষ এখানে নির্দেশনা দিয়েছেন। তাঁদের অসাধারণ সব নাটকে অভিনয় করেছেন গুণী শিল্পীরা। তা ছাড়া ব্যক্তিগত কারণে অনেক দিন সরাসরি থিয়েটার করতে পারিনি। সমস্ত ধাপ পেরিয়ে এখন নাটক নির্দেশনা দিচ্ছি, এটা অনেক বড় প্রাপ্তি।’

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
আগামী বছর ২৯ জানুয়ারি নেদারল্যান্ডসের রটারড্যাম শহরে শুরু হবে ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভ্যাল রটারড্যামের ৫৫তম আসর। এই উৎসব দিয়ে যাত্রা শুরু করছে বাংলাদেশে দুই সিনেমা ‘রইদ’ ও ‘মাস্টার’। উৎসবে প্রিমিয়ার হবে সিনেমা দুটির।
২০ ঘণ্টা আগে
ভারতীয় ওটিটি প্ল্যাটফর্ম সনি লিভের ওয়েব সিরিজ ‘জ্যাজ সিটি’তে অভিনয় করেছেন বাংলাদেশের আরিফিন শুভ। এমনটা জানা গিয়েছিল আগেই। গত সেপ্টেম্বরে সনি লিভের প্রমোশনাল ভিডিওতে কয়েক ঝলক দেখা মিলেছিল তাঁর। এবার জানা গেল সিরিজটির মুক্তির তারিখ। গতকাল ট্রেলার প্রকাশ করে ঘোষণা দেওয়া হলো, আগামী বছরের ৬ ফেব্রুয়ারি মু
২০ ঘণ্টা আগে
বান্দরবানের ম্রো শিশু ও সম্প্রদায়ের সদস্যদের অংশগ্রহণে আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ দো ঢাকায় আয়োজন করা হয়েছে সপ্তাহব্যাপী সাংস্কৃতিক উৎসব। আজ থেকে শুরু হওয়া ‘পাওমুম পার্বণ ২০২৫’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠান চলবে ২৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত।
২০ ঘণ্টা আগে