নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।
নাজমুল হক নাঈম, ঢাকা

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

দীর্ঘ ১৭ বছরের সম্পর্ক চুকিয়ে ‘লালন’ ব্যান্ড ছেড়েছেন দলনেতা ও ড্রামার থেইন হান মং তিতি। ‘ব্যান্ডের চেয়ে ব্যক্তির প্রাধান্য’ বেড়ে যাওয়ার কারণ দেখিয়ে তিনি এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন। গতকাল শুক্রবার রাতে আজকের পত্রিকাকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন তিতি।
ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
বিষয়টি নিয়ে আজকের পত্রিকার সঙ্গে খোলাখুলি কথা বলেছেন তিতি। জানিয়েছেন, সংগীতের ক্যারিয়ারের মতোই তাঁর দাম্পত্য জীবনও ঝুলে আছে! তবে ব্যান্ড ছাড়ার সঙ্গে দাম্পত্য জীবনের কোনো প্রভাব নেই বলে জোর দিয়ে বলেছেন তিতি।
তিতির কথায়, সুমির জীবন দর্শনের সঙ্গে দ্বান্দ্বিক অবস্থানের কারণেই আজকের এ পরিস্থিতি। হয়তো এর প্রভাব পারিবারিক জীবনেও পড়ছে।
আজ শনিবার রাতে তিতি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দেখেন, যখন একজন মানুষ মুক্তি চায়, তখন তাকে মুক্তি দিতে হয়। আমার কাছে মনে হয়েছে, সুমি আমার সঙ্গে ব্যান্ড করতে চায় না। এ বিষয়টা যখনই মনে হয়েছে, তখনই আমি ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিই। সমস্যা যেহেতু আমাকে নিয়ে, তাই আমিই ছেড়ে এসেছি। আর এটা যদি পারিবারিক জীবনেও হয়, আমি এখানেও কিছুই বলব না। তবে কোনো কিছু চাপিয়ে দিতে চাই না আমি।’
তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, ব্যান্ডের অভ্যন্তরীণ সমস্যাগুলো একদিনের নয়। বিগত কয়েক বছর ধরেই এটি চলছিল। তবে তা প্রকট আকার ধারণ করে গত পাঁচ-ছয় মাসে। ব্যান্ডের সব ব্যবস্থাপনা তিতির হাতেই হতো। কিন্তু বিভিন্ন জায়গায় শো বুকিংয়ের পর তা বাতিল করতেন সুমি। সুমির স্বেচ্ছাচারিতায় অনেক গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানেও অংশ নেয়নি লালন। এতে শো আয়োজকদের সঙ্গে সম্পর্ক নষ্ট হয় তিতির।
এ ছাড়া সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সুমির জীবন দর্শনেও পরিবর্তন দেখেন তিতি। এটি তাঁকে হতাশায় ডুবিয়েছে। তিতি চেয়েছিলেন, ফকির লালন সাঁইয়ের দর্শনে বিশ্বাসী ব্যান্ডটির কাছে অর্থ কখনো বড় হয়ে উঠবে না। তারকাখ্যাতি ও অহমিকা সুমিকে কখনো স্পর্শ করবে না বলেও বিশ্বাস ছিল তিতির। কিন্তু সময়ের সঙ্গে সঙ্গে সে ভুল ভেঙেছে তিতির—তারকাখ্যাতি, অহংকার, লোভ ঘিরে ধরেছে সুমিকে।
লালন ব্যান্ডের সর্বশেষ শো হয় গত ৯ মার্চ খুলনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে একা নিজের ব্যবস্থাপনায় শোতে অংশ নেন তিতি। ছিলেনও আলাদা হোটেলে। এর আগে সিলেটের একটি শো শেষে গাড়িতে করে ঢাকায় ফেরার পথে সুমির সঙ্গে বিভিন্ন বিষয় নিয়ে তিতির বাগ্বিতণ্ডা হয়। এ সময় ব্যান্ডের অন্য সদস্যরাও ছিলেন। তিতির বক্তব্য অনুযায়ী, সুমি তাঁকে ব্যান্ডের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে দোষারোপ করেন। এমনকি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগও তোলেন। একপর্যায়ে নরসিংদীতে গাড়ি থেকে নেমে যান তিতি। সেখান থেকে ভাড়া করা বাইকে করে তিনি ঢাকায় আসেন। ১০ মার্চ শিল্পকলা একাডেমিতে একটি শো ছিল। সবকিছু ঠিকঠাক থাকার পরও সুমি একক সিদ্ধান্তে সেটি বাতিল করেন। মূলত এরপরই ব্যান্ড ছাড়ার সিদ্ধান্ত নেন তিতি।
তিতি বলেন, ‘ফকির লালনের সঙ্গে লোভ যায় না। আমরা যেহেতু তাঁর জীবনদর্শনে বিশ্বাসী, তাই আমাদের অনেক কিছুই হিসেব করতে হয়। আমাদের জিহ্বায় যদি লোভ জন্মায়, তাহলে আমরা কেন তাঁর গান করছি? সুমির কাছে সব সময় গাড়ি, বাড়ির অফার আসত। আর যেহেতু সে মিউজিক করে অন্যদের মতো সম্পদের মালিক হতে পারেনি, তাই তার মধ্যে বিষয়গুলো কাজ করছিল। আসলে, শেষ কয়েক বছর তার মধ্যে অর্থনৈতিক বিষয়গুলো ভর করে। এগুলো কেউ তাকে বুঝিয়েছে কি না তা-ও জানা নেই।’
এ নিয়ে সুমিকে একাধিকবার বোঝানোরও চেষ্টা করেছেন তিতি। কিন্তু তাতে কাজ হয়নি। সুমি তাঁকে এড়িয়ে চলতে শুরু করেন। তিতির ভাষায়, ‘তাকে সব সময় বোঝানোর চেষ্টা করেছি, সবার মতো সবকিছুতে আমরা যেতে পারি না। বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও সরকারের সঙ্গে ভালো সম্পর্ক থাকার পরও কোনো দিন সুবিধা বা কোনো আবদার কোথাও আমরা রাখিনি। দেশের বাইরে যুক্তরাষ্ট্র-কানাডায় স্থায়ী হওয়ার অফার তার কাছে এলেও আমি তাকে বুঝিয়েছি, আমাদের তো একটা জীবনদর্শন আছে। অনেক বড় বড় ব্র্যান্ড গাড়ি-বাড়ির অফার করলেও তাতে কোনো দিন তাকে সম্মতি দিতে দিইনি আমি। হয়তো বিষয়গুলো এখন তার মধ্যে কষ্টের জন্ম দিয়েছে। কিন্তু বিশ্বাস করেন, এগুলো করলে হয়তো আজকের এই লালন ব্যান্ডকে কেউ পেত না।’
তিতির কাছ থেকেই জানা যায়, ২০১০ সালে সুমি ও তিতি বিয়ে করেন। যদিও বিষয়টি সেভাবে কখনো জানাননি। ব্যক্তিগতই রাখতে চেয়েছেন। এখন এই পরিস্থিতিতে দাম্পত্য সম্পর্ক কোন পর্যায়ে রয়েছে জানতে চাইলে তিতি বলেন, ‘প্রথমেই তো বলেছি, আমার জানা নেই। সে সিদ্ধান্ত সে-ই (সুমি) নিতে পারে। ব্যান্ডের যেকোনো বিষয়ে সে যেহেতু সুপ্রিম। আমি মনে করি, আমাদের সম্পর্কেও তাই-ই। হয়তো সময়ই বলে দেবে।’
এদিকে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, খুলনায় নিজের বাড়িতেই অবস্থান করছেন সুমি। ব্যান্ডের সঙ্গে এখন সেভাবে যোগাযোগ নেই। তিতির সঙ্গেও গত ৪০ দিনে কয়েকটি এসএমএসে যোগাযোগ হয়েছে, তবে সেগুলো ব্যক্তিগত। সপ্তাহ দু-এক আগে সুমির মা তিতিকে ফোনকল করে জানিয়েছেন, মেয়ে আপাতত তাঁর কাছেই থাকবেন। সংগীত নিয়ে সুমি আপাতত কিছু ভাবছেন না।
তবে তিতি বলছেন, সুমি ও তাঁর এই সম্পর্কের জটিলতার কারণে যেন ব্যান্ডের কোনো ক্ষতি না হয়। প্রয়োজনে নতুন একজন ড্রামার নিয়ে হলেও যেন ব্যান্ডটি চলে। সমস্যা যেহেতু তাঁকে নিয়েই, এ জন্য তিনি সরে গেছেন। তিনি আশা করছেন, এবার ব্যান্ডে আর কোনো সমস্যা থাকবে না।
সব অভিযোগের ব্যাপারে সুমির বক্তব্য জানার চেষ্টায় তাঁর ব্যবহৃত নম্বরে কল করা হলে রিসিভ করেননি। পরে হোয়াটসঅ্যাপে মেসেজ পাঠালেও তিনি সাড়া দেননি।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
১৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সেখানে মেয়ের সঙ্গে আছেন তিনি। গত জুলাই মাসে ইলিয়াস কাঞ্চন লন্ডন গেলে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ হয় চিত্রনায়িকা রোজিনার। ওই সময় রোজিনা ছিলেন কানাডায়। সেখান থেকে ফিরে গত সেপ্টেম্বর অভিনেতাকে দেখেতে যান তিনি। তখন রোজিনা জানিয়েছিলেন, অসুস্থতার ধঁকলে কিছুটা বিধ্বস্ত দেখালেও কাঞ্চন দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ছেন নিয়মিত। ধীরে ধীরে কথা বলছেন। ব্রেনের সস্যার কারণে মাঝে মাঝে কথা ভুলে যান ইলিয়াস কাঞ্চন। ব্রেনের স্পর্শকাতর জায়গায় টিউমার হওয়ায় অস্ত্রোপচার করে সম্পূর্ণ টিউমার সরানো যায়নি। তবে কেমোথেরাপির মাধ্যমে তাঁর চিকিৎসা চলবে।
সম্প্রতি ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করেছেন বাংলা সিনেমার নব্বই দশকের আরেক জনপ্রিয় নায়িকা সোনিয়া। অনেক বছর হলো স্বামী-সন্তান নিয়ে ইংল্যান্ডে স্থায়ী হয়েছেন সোনিয়া। ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে দেখা করে তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।

ইলিয়াস কাঞ্চনকে দেখার অভিজ্ঞতা জানিয়ে ফেসবুকে দীর্ঘ স্ট্যাটাস দিয়েছেন সোনিয়া। নায়কের শারীরিক অবস্থার সর্বশেষ তথ্যসহ জানিয়েছেন চিকিৎসার খবর।
স্ট্যাটাসে সোনিয়া লেখেন, ‘ইংল্যান্ডের কর্মব্যস্ত জীবনের কারণে অনেকদিন ইলিয়াস কাঞ্চন ভাইয়ের সঙ্গে দেখা করতে যাওয়া হয়নি। যোগাযোগ সবসময় হয়, তবে আজ প্রথম সুযোগ পেলাম তাকে দেখতে যাওয়ার। ভাইয়ার চলমান চিকিৎসায় কিছুদিনের বিরতি ছিল। আগামী সপ্তাহে আবার চিকিৎসা শুরু হবে।’
সোনিয়া জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চন এখন স্বাভাবিকভাবেই কথা বলছেন। সময় কাটাচ্ছেন স্বজনদের সঙ্গে। তবে শিগগির দেশে ফেরার সম্ভাবনা নেই তাঁর। এ বিষয়ে সোনিয়া লেখেন, ‘ভাইয়া আমার সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন। উনার পরিবারের সঙ্গে কাটালাম ভালো সময়। তবে আপাতত বাংলাদেশে ফেরার কোনো সম্ভাবনা নেই তাঁর। ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া পরবর্তী কোনো সিদ্ধান্ত জানানো যাচ্ছে না।’
সোনিয়া আরও জানিয়েছেন, ইলিয়াস কাঞ্চনের চিকিৎসা বেশ ভালোভাবেই চলছে। ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে উঠছেন নায়ক। পুরো চিকিৎসাপ্রক্রিয়া শেষে চিকিৎসকদের সঙ্গে পরামর্শ করেই দেশে ফেরার সিদ্ধান্ত নেবেন অভিনেতা। সোনিয়া অনুরোধ করেছেন, কোনো ধরনের গুজব না ছড়িয়ে ইলিয়াস কাঞ্চনের সুস্থতার জন্য দোয়া করতে।
উল্লেখ্য, ইলিয়াস কাঞ্চনের সঙ্গে ‘ভয়ংকর ৭ দিন’, ‘বিদ্রোহী কন্যা’, ‘বডিগার্ড’, ‘শেষ রক্ষা’সহ বেশ কয়েকটি সিনেমায় অভিনয় করেছেন সোনিয়া। তবে তাঁর নায়িকা হয়ে কোনো সিনেমায় অভিনয় করা হয়নি তাঁর।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
১৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন তিনি।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষ হয়েছে ৬ ডিসেম্বর। দেশে ফিরেই ভক্তদের আমন্ত্রণে নিজের জন্মদিনের অনুষ্ঠানে হাজির হন নিশো। এদিন তাঁর সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন দম সিনেমার পরিচালক রেদওয়ান রনি ও নায়িকা পূজা চেরি। স্বাভাবিকভাবে উঠে আসে দম সিনেমার প্রসঙ্গ। নির্মাতা জানালেন, কতটা কঠিন পরিস্থিতির মাঝে শুটিং করেছেন তাঁরা। একদিন পাহাড়ে শুটিং করতে গিয়ে হাত কেটে যায় নিশোর। তাৎক্ষণিকভাবে তাঁকে উন্নত চিকিৎসাসেবা দেওয়া সম্ভব হয়নি। কারণ, শুটিং হয়েছে দুর্গম এলাকায়। তবু থেমে যাননি নিশো, আহত অবস্থায় ঝুঁকিপূর্ণ দৃশ্যের শুটিং চালিয়ে গেছেন।
দম সিনেমার শুটিংয়ের অভিজ্ঞতা জানিয়ে নিশো বলেন, ‘আমরা সবাই চাই গল্প, চাই পারফরম্যান্স। দম সিনেমার মতো একটি গল্পের দায়িত্ব আমার কাঁধে, এটা আমার কাছে আশীর্বাদের মতো। এটা যদি ঠিকমতো পালন করতে না পারি, তাহলে কীভাবে হবে? আমি জানি, একজন সিনিয়র হিসেবে টিমের স্পিড অনেকটাই আমার ওপর নির্ভর করে। তখন এই হাত কাটা, পা কাটা, সেখানে মেডিকেল সাপোর্ট এল কি এল না, এসব কোনো বিষয় না। এ ছাড়া আমাদের খুব টাইট শিডিউল ছিল। সেখানে ১০ মিনিটের একটা বিরতি মানে শিডিউল ফেল করা। আমি দাবি নিয়ে বলতে পারি, এই সিনেমায় টিমের সবাই যতটা কষ্ট নিয়ে কাজ করেছে, এত কষ্ট কোনো প্রোডাকশনে করতে হয়নি। অনেক প্রতিবন্ধকতা ছিল সেখানে।’
নানা প্রতিবন্ধকতা থাকলেও নির্ধারিত সময়ে কাজাখস্তানের শুটিং শেষ করেছে দম টিম। নিশো বলেন, ‘বয়স ও অভিজ্ঞতার সঙ্গে সঙ্গে দায়িত্বটা বেড়ে যায়। এখানে নিজেকে শুধু অভিনেতা হিসেবে ভাবিনি। ভেবেছি, আমিও নির্মাতার একটি অংশ। আমরা যে ওয়েদারে কাজ করেছি, সেখানে ২টার সময় সূর্যের আলো থাকে না। আমরা কখনোই ভাবি নাই, সানলাইট ২টার সময় চলে যায়। এত জটিলতার পরেও আমরা এক দিনও বেশি শুটিং করি নাই। নির্ধারিত সময়েই কাজ শেষ করেছি। সিনেমাসংশ্লিষ্টদের কাছে আমরা আমাদের কথা রেখেছি।’
দম সিনেমার গল্প নিয়ে এখনই বিস্তারিত বলতে চান না এই অভিনেতা। শুধু জানালেন, বাংলাদেশের ইন্ডাস্ট্রিতে এ ধরনের গল্প নিয়ে আগে কাজ হয়নি। তিনি আশা করেন, গল্পটি সবাই উপভোগ করবে এবং সিনেমাটি দেখার পর সবাই গর্ব করবে যে এটি বাংলাদেশের সিনেমা।
কাজাখস্তানে শুটিং শেষে এবার দমের শুটিং হবে দেশে। কয়েকটা দিন বিশ্রাম নিয়ে আবার লাইট, ক্যামেরার সামনে দাঁড়াবেন অভিনয়শিল্পীরা। নিশো, পূজা চেরির সঙ্গে এতে আরও অভিনয় করছেন চঞ্চল চৌধুরী। আগামী বছর রোজার ঈদে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাবে দম।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
১৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন আহমেদ। শুধু তা-ই নয়, সংগীত ও সংস্কৃতি নিয়ে ইতিবাচক পরিকল্পনা না থাকলে রাজনৈতিক দলগুলোকে ভোট না দেওয়ার কথাও জানিয়েছেন তিনি।
গতকাল ফেসবুকে হামিন আহমেদ লেখেন, ‘জাতীয় নির্বাচন কিছুদিন পরেই। সংগীতস্রষ্টা, শিল্পী এবং সংগীতপ্রেমীরা জানতে চান—ভবিষ্যৎ বাংলাদেশের জন্য আপনার সাংস্কৃতিক ও সংগীতভিত্তিক ইশতেহার কী? বাংলাদেশের ৫৪ বছরের ইতিহাসে কোনো রাজনৈতিক দল সংগীত নিয়ে তাদের পরিকল্পনা ঘোষণা করেনি। অন্য সবকিছু নিয়ে করেছে, কিন্তু সংগীত নিয়ে নয়! আমরা জানতে চাই (সংগীত নিয়ে পরিকল্পনা)।’
আরও একটি পোস্টে হামিন তুলে ধরেন বাংলাদেশে গান শোনা মানুষের পরিসংখ্যান। সেখানে হামিন লেখেন, ‘২০২৫ সালে বাংলাদেশে রেডিও, পডকাস্ট ও অন্যান্য মাধ্যমে গান শোনা লোকের সংখ্যা জনসংখ্যার প্রায় ২৮.৪০ শতাংশ। এআই বলছে ২০৩০ সালের মধ্যে এটি ৫১.৯১ মিলিয়নে পৌঁছাবে; যা মোট জনসংখ্যার প্রায় এক তৃতীয়াংশ। এই বিপুল সংখ্যক মানুষ যদি বলে, বাংলাদেশে সংগীতের বিরোধিতাকারী দল/প্রার্থীদের ভোট দেব না, তাহলে কী হবে বলে আপনার মনে হয়? এই ক্ষমতা উপলব্ধি করুন।’
বাংলাদেশ মিউজিক্যাল ব্যান্ডস অ্যাসোসিয়েশনের (বামবা) সভাপতির দায়িত্বে থাকা হামিন আহমেদের এই পোস্ট ইতিমধ্যে ভাইরাল সোশ্যাল মিডিয়ায়। দেশের অনেক সংগীতশিল্পী, গীতিকার, সুরকার, ব্যান্ড সদস্য ও সংগীতপ্রেমীরা পোস্টটি শেয়ার করে নিজেদের সমর্থন জানাচ্ছেন।
এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে কথা হয় হামিন আহমেদের সঙ্গে। আজকের পত্রিকাকে তিনি বলেন, ‘এই বিষয়ে অনেক দিন ধরে সহশিল্পীদের সঙ্গে কথা হচ্ছিল। আমরা খেয়াল করলাম, রাজনৈতিক দলগুলোর ইশতেহারে সবকিছু আলাদাভাবে উপস্থাপন করা হলেও মিউজিক বা আর্ট কালচার নিয়ে কখনোই কিছু বলা হয় না। অথচ এমন কোনো অনুষ্ঠান নেই, যেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে গান-বাজনা হয় না। কেন মিউজিশিয়ানরাই বারবার সাফার করবে। এক পক্ষ বলবে বন্ধ করে দেব, আরেক পক্ষ বলবে চালু রাখব। তারা কী চাইছে, সেটা স্পষ্ট করা দরকার। সবাই তো মিউজিশিয়ানদের কাছেও ভোট চাইবে। বাংলাদেশে ২ থেকে ৩ কোটি মানুষ গান গাওয়া ও শোনার সঙ্গে জড়িত। কেউ যদি মিউজিক বন্ধ করে দিতে চায়, তাকে তো এই মানুষগুলো ভোট দেবে না। কারণ, কারও পক্ষ থেকে মিউজিক নিয়ে কোনো পরিকল্পনার কথা শোনা যায়নি।’
হামিন আহমেদ আরও বলেন, ‘এখন বাংলাদেশের যে সময়, সেটা যেকোনো সময়ের চেয়ে দুর্যোগপূর্ণ, বিভ্রান্তিকর ও চক্রান্তমূলক। বিভিন্ন শো ক্যানসেল হচ্ছে, আবার শোনা যাচ্ছে, গান-বাজনা বন্ধ করতে হবে ইত্যাদি। এখনই কারও বিরুদ্ধে অভিযোগ করছি না। আমরা জানতে চাই, যে দলগুলো নির্বাচনে যাচ্ছে, আমাদের জন্য তাদের স্ট্র্যাটেজি কী? আর্ট কালচার নিয়ে তাদের চিন্তা-ভাবনা কী? সংস্কৃতি কীভাবে এগোবে, এই বিষয়ে কী ভাবছে তারা? এখনো এ বিষয়ে ঘোষণা আসেনি কোনো দলের পক্ষ থেকে। আমরা সেটাই স্পষ্ট জানতে চাইছি।’

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগে
বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

বিজয়ের মাসে নতুন চার গান নিয়ে আসছেন গীতিকার, সুরকার ও সংগীতশিল্পী সুমী শারমীন। চারটি গানই লিখেছেন সুমী, দুটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন, বাকি দুটি গান গেয়েছেন প্রিয়াঙ্কা গোপ ও সাব্বির জামান। গানগুলো সুর করেছেন শান সায়েক ও সাব্বির জামান।
সুমী গেয়েছেন ‘রোদ্দুর কোলাহল’ ও ‘কোনো এক বিকেলে’ শিরোনামের দুটি গান। রোদ্দুর কোলাহল গানটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক। কোনো এক বিকেলের সুর ও সংগীতায়োজন করেছেন সাব্বির জামান। অন্যদিকে প্রিয়াঙ্কা গোপ গেয়েছেন ‘বিজয় রাঙানো সুখ’ শিরোনামের গান। এটির সুর ও সংগীত আয়োজন করেছেন শান সায়েক; সাব্বির জামান গেয়েছেন নিজের সুর ও সংগীতায়োজনে ‘ভালোবাসি তোমায়’ শিরোনামের গান। সম্প্রতি রাজধানীর বিভিন্ন লোকেশনে গানগুলোর মিউজিক ভিডিওর শুটিং হয়েছে।
গানগুলো নিয়ে সুমী শারমীন বলেন, ‘প্রতিটি গানেই জীবনের প্রতিচ্ছবি ফুটে উঠেছে। গানগুলো নিয়ে আমি ভীষণ আশাবাদী। চারটি গানেরই সুর শ্রোতাদের মন ছুঁয়ে যাবে—এতটুকু আমি নিশ্চিত বলতে পারি।’
প্রিয়াঙ্কা গোপ বলেন, ‘বিজয় রাঙানো সুখ গানটির কথা যেমন চমৎকার, গানের সুরও সহজ-সরল। সাধারণত এই ধরনের গান আমার গাওয়া হয় না। কিন্তু এই গান গেয়ে আমার ভীষণ ভালো লেগেছে।’
সাব্বির জামান বলেন, ‘সুমী আপার গানের কথাগুলো সাবলীল ও গভীরতায় পূর্ণ। তাঁর লেখনীর গুণেই সুর করাটা সহজ হয়ে যায়। এই গানগুলোর সুর সত্যিই মনে গেঁথে যাওয়ার মতো।’
প্রিয়াঙ্কা গোপের গাওয়া গানটি প্রকাশিত হবে এনিগমা টিভি ইউটিউব চ্যানেলে এবং সাব্বিরের গানটি আলফা আই ইউটিউব চ্যানেলে। সুমী শারমীনের গাওয়া গান দুটিও প্রকাশিত হবে ইউটিউবে, চ্যানেলের নাম শিগগির শ্রোতাদের জানিয়ে দেওয়া হবে।

ব্যান্ডের সম্পর্কের বাইরেও লালন ব্যান্ডের কণ্ঠশিল্পী সুমির সঙ্গে বৈবাহিক সম্পর্কে রয়েছেন তিতি। তাই তাঁর ব্যান্ড ছাড়ার খবরের সঙ্গে তাঁদের দাম্পত্য সম্পর্কের ভবিষ্যৎ নিয়েও কথা উঠছে। এ ব্যাপারে তিনি জানিয়েছেন, ব্যক্তিগত জীবন কোথায় যাবে তা সময়ই বলে দেবে।
২৭ এপ্রিল ২০২৪
ঢাকাই চলচ্চিত্রের জনপ্রিয় অভিনেতা ইলিয়াস কাঞ্চন ব্রেন টিউমারে আক্রান্ত হয়ে লন্ডনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। সম্প্রতি তাঁর সঙ্গে দেখা করেছেন নায়িকা সোনিয়া। তিনি জানিয়েছেন, এখন আগের চেয়ে ভালো আছেন ইলিয়াস কাঞ্চন, ধীরে ধীরে সেরে উঠছেন তিনি।
৯ ঘণ্টা আগে
৮ ডিসেম্বর ছিল অভিনেতা আফরান নিশোর জন্মদিন। প্রতিবছরের মতো এবারও তাঁর ভক্তরা দিনটি উদ্যাপন করলেন বিশেষ আয়োজনে। তবে ‘দম’ সিনেমার শুটিংয়ে কাজাখস্তানে থাকায় অনেকে ধরে নিয়েছিলেন, এই আয়োজনে উপস্থিত থাকতে পারবেন না নিশো। শেষ পর্যন্ত সবাইকে চমকে দিয়ে ভক্তদের সঙ্গে নিজের জন্মদিন উদ্যাপনে উপস্থিত হয়েছিলেন
১৮ ঘণ্টা আগে
এই সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে জাতীয় নির্বাচনের তফসিল। এরপর বেজে উঠবে নির্বাচনী ঘণ্টা। ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ গড়তে ইতিমধ্যে রাজনৈতিক দলগুলো তাদের পরিকল্পনা জানাচ্ছে, যা প্রকাশ করা হবে নির্বাচনী ইশতেহার হিসেবে। এমন সময়ে সংগীত নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর পরিকল্পনা জানতে চাইলেন মাইলস ব্যান্ডের প্রধান সংগীতশিল্পী হামিন
১৮ ঘণ্টা আগে