Ajker Patrika

সনদ জালিয়াতি: আরও ২ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ২২ এপ্রিল ২০২৪, ১৮: ১৬
সনদ জালিয়াতি: আরও ২ আসামির স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি

কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সনদ-বাণিজ্যে জড়িত থাকার অভিযোগে দায়ের করা মামলায় আরও দুই আসামি স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন। আজ সোমবার ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে তাঁরা জবানবন্দি দেন।

দুই আসামি হলেন মাকসুদুর রহমান মামুন ও সরদার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমান। তাঁরা দুজনই কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ টি এম শামসুজ্জামানের সহযোগী। হিলফুল ফুজুল নামে কারিগরি প্রতিষ্ঠানের প্রিন্সিপাল সরদার গোলাম মোস্তফা ও যাত্রাবাড়ীর ঢাকা পলিটেকনিক্যাল স্কুল অ্যান্ড কলেজের পরিচালক মাকসুদুর রহমান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা লালবাগ গোয়েন্দা বিভাগের পরিদর্শক মো. আমিরুল ইসলাম দুই আসামিকে আদালতে হাজির করেন। এরপর তাঁরা স্বেচ্ছায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিতে সম্মত হওয়ায় তা লিপিবদ্ধ করার আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মামুনুর রশীদ আসামি মাকসুদুর রহমান মামুনের এবং আরেক মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ জসিম আসামি সরদার গোলাম মোস্তফা ওরফে মোস্তাফিজুর রহমানের জবানবন্দি ফৌজদারি কার্যবিধির ১৬৪ ধারায় লিপিবদ্ধ করেন। এরপর তাঁদের কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত।

আদালতের মিরপুর মডেল থানার সাধারণ নিবন্ধন শাখার কর্মকর্তা পুলিশের উপপরিদর্শক জালাল উদ্দিন এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন। আগের দিন বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান মো. আলী আকবর খানের স্ত্রী শেহেলা পারভীনকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়া হয়। এর আগে গত শনিবার শেহেলা পারভীনকে আটক করা হয়।

কারিগরি বোর্ডের সনদ-বাণিজ্য মামলার প্রধান আসামি এ টি এম শামসুজ্জামান এবং সহযোগী আসামি সানজিদা আক্তার ওরফে কলি ৭ এপ্রিল আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।

মামলায় কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট শামসুজ্জামান, সাবেক কর্মচারী ও বর্তমানে শামসুজ্জামানের সনদ তৈরির নিজস্ব কারখানায় নিয়োজিত কম্পিউটারম্যান ফয়সাল হোসেন, গড়াই সার্ভে ইনস্টিটিউটের পরিচালক সানজিদা আক্তার ওরফে কলিকে আগেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে।

এর আগে গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের একাধিক দল ১ এপ্রিল ভোররাত থেকে নজরদারিতে রেখে দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে মিরপুরের দক্ষিণ ও মধ্য পীরেরবাগ এবং আগারগাঁও এলাকায় অভিযান চালিয়ে বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের সিস্টেম অ্যানালিস্ট এ কে এম শামসুজ্জামান এবং তাঁর সহযোগী ফয়সাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে।

এ সময় কাছাকাছি দুটি বাসায় তাঁদের হেফাজত থেকে একাধিক কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার, কারিগরি শিক্ষা বোর্ড থেকে চুরি করে নেওয়া হাজার হাজার অরিজিনাল সার্টিফিকেট এবং মার্কশিটের ব্লাঙ্ক কপি, তৈরি করা শতাধিক সনদ এবং ট্রান্সক্রিপ্ট, বায়োডাটা ও গুরুত্বপূর্ণ দলিল উদ্ধার করা হয়। এসব কম্পিউটার প্রিন্টার ল্যাপটপ দিয়ে গত কয়েক বছরে পাঁচ হাজারের বেশি আসল সনদ, মার্কশিট বানিয়ে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা হয়েছে।

নকল সার্টিফিকেটও ওয়েবসাইটে দেখা যেত। এ ছাড়া সরকারি ওয়েবসাইটে, সরকারি পাসওয়ার্ড, অথরাইজেশন ব্যবহার করে ভুয়া লোকদের কাছে বিক্রি করা সনদগুলোকে বাংলাদেশ সরকারের কারিগরি শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইটে আপলোড করা হয়েছে। ফলে বাংলাদেশসহ পৃথিবীর যেকোনো দেশে বসে এই ওয়েবসাইটে গিয়ে রোল নম্বর, রেজিস্ট্রেশন নম্বরগুলোকে সার্চ করলে সার্টিফিকেটগুলো সঠিক বলে প্রমাণিত হবে। এ ঘটনায় গোয়েন্দা পুলিশ বাদী হয়ে ১ এপ্রিল মিরপুর থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে একটি মামলা দায়ের করে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

মতলব উত্তরে কাঠমিস্ত্রিকে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন, আটক ১

মতলব উত্তর (চাঁদপুর) প্রতিনিধি 
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত
লোকমান হোসেন ভূঁইয়া ও মো. মাসুদ। ছবি: সংগৃহীত

চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় লোকমান হোসেন ভূঁইয়া নামে এক কাঠমিস্ত্রিকে বাড়ি থেকে তুলে নিয়ে শিকল দিয়ে বেঁধে নির্যাতন করার অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার রায়েরকান্দি গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। মো. মাসুদ নামে এক ব্যক্তি লোকমানের ওপর এই নির্যাতন চালায় বলে দাবি করেছে পরিবার।

এ ঘটনায় আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে ভুক্তভোগীর মা থানায় অভিযোগ জানানোর পর পুলিশ লোকমানকে উদ্ধার এবং মাসুদকে আটক করে।

জানা গেছে, মাসুদ দীর্ঘদিন ধরে রায়েরকান্দি গ্রামে বাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে, তিনি ধনাগোদা নদীতে অবৈধ জাগ তৈরি করে মাছ চাষ করেন। জাগে বিষ দিয়ে মাছ মারার সন্দেহে কাঠমিস্ত্রি লোকমান হোসেনকে গত বৃহস্পতিবার (১৮ ডিসেম্বর) রাতে বাড়ি থেকে তুলে যান মাসুদ ও তাঁর লোকজন। তাঁরা একটি গোয়ালঘরে রেখে তাঁকে নির্যাতন করেন। লোকমানের মা জাহানারা বেগম সেখানে গিয়ে তাঁকে ছাড়িয়ে আনতে গেলে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করেন মাসুদ। এ অবস্থায় লোকমানের মা পুলিশের সহায়তায় ছেলেকে উদ্ধার করেন।

কাঠমিস্ত্রি লোকমান বলেন, ‘আমি গরিব মানুষ। কাঠমিস্ত্রির কাম করি আর খাই। কারও কোনো ঝামেলায় আমি নাই। কিন্তু মাসুদ আমাকে হাত-পা বেঁধে বাড়ি থেকে তুলে এনে গরু ঘরে রেখে অনেক মারধর করেছে—আর বলেছে আমি যেন বলি আমি তার জাগ ভাঙছি। কিন্তু আমি এ ব্যাপারে কিছুই জানি না।’

মতলব উত্তর থানার এসআই সুমন চন্দ্র দাস বলেন, ‘লোকমানকে শিকল দিয়ে হাত-পা বেঁধে রেখে মারধর করা হয়। প্রায় চার দিন ধরে তার ওপর এই নির্যাতন চালানো হয়েছে। পরে তার মা থানায় ইনফর্ম করলে আমরা গিয়ে লোকমানকে উদ্ধার করি এবং মাসুদকে আটক করি। এ ঘটনায় মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

খালের পাড় থেকে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২৬
জব্দ করা আলু। ছবি: আজকের পত্রিকা
জব্দ করা আলু। ছবি: আজকের পত্রিকা

ঝালকাঠির নলছিটি উপজেলায় পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকা ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করেছে পুলিশ।

আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে উপজেলার মগড় ইউনিয়নের খাওখীর গ্রামের উত্তর পাশে কালিজিরা খালের পাড়ে মনির তালুকদারের জমি থেকে মালিকানাবিহীন এসব আলু জব্দ করা হয়। পরে জব্দ করা আলুগুলো মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেনের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে এলাকাবাসী জানায়, গত বুধবার রাতে কয়েকজন অপরিচিত ব্যক্তি আলুভর্তি একটি বড় ট্রলার খাওখীর গ্রামের কালিজিরা খালের পাড়ে নিয়ে আসে। পরে ট্রলার থেকে আলুর বস্তাগুলো খালের পাশের মনির তালুকদারের জমিতে নামিয়ে রেখে খালি ট্রলারটি চলে যায়। প্রথমে এলাকাবাসী ধারণা করেছিল, আলুগুলো হয়তো কেউ কিনে রেখেছে এবং পরে নিয়ে যাবে। কিন্তু বুধবার রাত থেকে শনিবার দিন পর্যন্ত কেউ আলুগুলো নিতে না আসায় সেগুলো পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে।

পরে বিষয়টি মগড় ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য মিন্টু খানকে জানানো হলে তিনি নলছিটি থানা-পুলিশকে অবহিত করেন।

মিন্টু খান জানান, আলুর মালিককে খুঁজে না পেয়ে আজ পুলিশে খবর দেওয়া হয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে আলুগুলো জব্দ করে।

মগড় ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মো. জামাল হোসেন বলেন, ‘পুলিশ জব্দ করা আলুর বস্তাগুলো আপাতত আমার জিম্মায় রেখেছে।’

নলছিটি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুল আলম আজকের পত্রিকাকে বলেন, খবর পেয়ে পুলিশ নিয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে ৪৫০ বস্তা আলু জব্দ করা হয়েছে। আলুর কোনো বৈধ মালিক এখনো শনাক্ত করা যায়নি। আলুর বস্তাগুলো আপাতত স্থানীয় চেয়ারম্যানের জিম্মায় রাখা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

আন্দোলনের মুখে রাবিতে আওয়ামীপন্থী ছয় ডিনের পদত্যাগ

রাবি প্রতিনিধি 
আপডেট : ২১ ডিসেম্বর ২০২৫, ২২: ২০
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসকের সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসকের সভা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিন পদত্যাগ করেছেন। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় এক সভায় তাঁরা দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন বলে জানান বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক অধ্যাপক আখতার হোসেন মজুমদার।

আখতার হোসেন মজুমদার বলেন, ‘আমরা শিক্ষার্থী ও ডিনদের সঙ্গে আলোচনা করেছি। সেখানে ডিনরা তাঁদের দায়িত্ব পালনে অপারগতা প্রকাশ করেন।’

এদিকে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন এস এম একরাম উল্ল্যাহ বলেন, ‘আজ কী হয়েছে, সেটা জানি না। তবে আমরা জানিয়েছি, আমরা দায়িত্ব পালন করতে ইচ্ছুক না।’

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক সালেহ্ হাসান নকীব বলেন, ‘অনেক দিন ধরেই একটি সমস্যার মধ্য দিয়ে আমরা যাচ্ছিলাম, যার একটি সুরাহা হতে চলেছে। আগামীকাল (সোমবার) অফিশিয়ালি আমরা জানাব।’

এর আগে আওয়ামীপন্থী ছয়জন ডিনের পদত্যাগ দাবিতে আজ সকাল ১০টার দিকে ডিনস কমপ্লেক্সে যান শিক্ষার্থীরা। পরে ডিনস কমপ্লেক্সসহ বিভিন্ন ভবনে অবস্থিত এই ডিনদের চেম্বারে তালা দেন তাঁরা। ডিনদের কেউ আজ নিজেদের বিভাগে ক্লাসে যাননি।

পরে বেলা আড়াইটার দিকে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরে এসে তাঁদের দাবি জানান। এ সময় শাখা শিবিরের সাধারণ সম্পাদক মুজাহিদ ফয়সাল দাবি আদায়ের আগে রেজিস্ট্রার ভবন ত্যাগ না করার ঘোষণা দেন। পরে শিক্ষার্থীরা রেজিস্ট্রার দপ্তরসহ সহ-উপাচার্য ও প্রক্টর দপ্তরেও তালা ঝুলিয়ে দেন। প্রায় আধা ঘণ্টা তালাবদ্ধ রাখার পর খুলে দেওয়া হয়। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য, প্রক্টর ও জনসংযোগ দপ্তর প্রশাসক শিক্ষার্থীদের সঙ্গে সভায় বসেন। সেখানে কোনো সিদ্ধান্ত ছাড়াই রাতে আরেকটি সভা ডাকা হবে বলে ওই সভা সমাপ্ত ঘোষণা করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ১৭ ডিসেম্বর শিক্ষক সমিতি, ডিন, সিন্ডিকেট, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন কমিটি এবং শিক্ষা পরিষদের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। এর মধ্যে ১২টি অনুষদের ডিন নির্বাচনে আওয়ামীপন্থী হলুদ প্যানেল থেকে ছয়জন প্রার্থী নির্বাচিত হন। গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে ডিনদের নির্ধারিত মেয়াদ শেষ হয়েছে। তবে উপাচার্য ১১ ডিসেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন অনুযায়ী এসব ডিনকে নির্বাচন না হওয়া পর্যন্ত স্বপদে থাকার নির্দেশ দেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত

নিরাপত্তা শঙ্কায় রাবি শিক্ষকের ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন

রাবি প্রতিনিধি  
সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা
সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। ছবি: আজকের পত্রিকা

নিরাপত্তা শঙ্কার কারণে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জনের ঘোষণা দিয়েছেন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ। আজ রোববার (২১ ডিসেম্বর) নিজের ফেসবুক টাইমলাইনে এক পোস্টে কাজী জাহিদ এ ঘোষণা দেন। পোস্টে তিনি নিরাপত্তা নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত ক্লাস-পরীক্ষা নিতে অপারগতা প্রকাশ করেন।

পোস্টে রাবির সহকারী অধ্যাপক কাজী জাহিদ লেখেন, ‘নিরাপত্তা না থাকায় ক্লাস-পরীক্ষা নেয়া ও অন্যান্য একডেমিক কাজ করা সম্ভব হচ্ছে না বলে দুঃখিত। আমার নিয়োগকারী প্রতিষ্ঠান রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের দায়িত্ব রয়েছে আমার জন্য সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টি করে দেয়া এবং প্রয়োজনে আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। কিন্তু অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় সাম্প্রতিক সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রায় সাড়ে আটশত শিক্ষকের প্রতি ক্লাসরুমে প্রবেশ করলে তাদেরকে কলার ধরে টেনে প্রশাসন ভবনের সামনে এনে বেঁধে রাখার অব্যাহত হুমকি দেয়া হলেও রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে ওই সকল শিক্ষকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে কোন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি।’

কাজী জাহিদ আরও লেখেন, ‘যেই মুহূর্ত থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমার নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে, সেই মুহূর্ত থেকেই আমার উপরে ন্যস্ত দায়িত্ব আমি যথাযথভাবে পালন করবো ইনশাল্লাহ।’

এ বিষয়ে যোগাযোগ করা হলে কাজী জাহিদ বলেন, ‘এভাবে জেনারেল নোটিশের মতো সংখ্যা উল্লেখ করে হুমকি দেওয়ার পর আমরা কোনোভাবেই নিরাপদ অনুভব করছি না। বিশ্ববিদ্যালয়ের আওয়ামীপন্থী সাত শতাধিক শিক্ষক যদি ফ্যাসিস্ট হয়, তাহলে সেখানে তো আমারও নাম আছে!’ তিনি আরও বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ে সকল শিক্ষকই তো রাজনীতি করে। বর্তমান প্রশাসনে থাকা প্রত্যেকেই কোনো না কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট। সেভাবেই আমাদেরও নাম আছে।’ নিরাপত্তা শঙ্কার কথা জানানোর পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কোনো যোগাযোগ করা হয়নি বলেও জানান কাজী জহিদ।

এর আগে গত শুক্রবার ইনকিলাব মঞ্চের আহ্বায়ক শরিফ ওসমান বিন হাদির মৃত্যুতে আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশে রাকসুর জিএস সালাহউদ্দিন আম্মার বলেন, ‘ভারতীয় আধিপত্যবাদ ও আওয়ামী ফ্যাসিবাদের পক্ষে যারা নমনীয়তা উৎপাদন করবে, আমরা তাদের জুতা খুলে মুখে মারব ইনশা আল্লাহ। রাবিতে আওয়ামী ফ্যাসিবাদের মদদপুষ্ট কোনো শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী যদি চাকরি করে, তাদের আগামী রোববার থেকে কলার ধরে টেনে টেনে প্রশাসনিক ভবনের সামনে বেঁধে রাখব।’

এ ছাড়া গতকাল শনিবার আম্মার এক পোস্টে আওয়ামীপন্থী ডিনদের পদত্যাগ ও ফ্যাসিজমের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট শিক্ষকদের অপসারণের দাবিতে ‘অপারেশন জিরো টলারেন্স ফর ফ্যাসিজম’ শীর্ষক কর্মসূচির ঘোষণা দেন।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিন খান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘শিক্ষকেরা যদি এভাবে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে, তাহলে সমস্যা সৃষ্টি হবে। অনেক শিক্ষকই এভাবে নিরাপত্তা শঙ্কা প্রকাশ করেছেন। আমরা বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করব।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

তারেক রহমানের জন্য নির্ধারিত ফ্লাইটের দুই কেবিন ক্রুকে প্রত্যাহার

কুকুর লেলিয়ে পুরুষ ফিলিস্তিনিকে ধর্ষণ—বিবিসির প্রতিবেদনে ইসরায়েলি কারাগারে নির্যাতনের চিত্র

দিল্লিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনারকে হুমকি, বিবৃতিতে যা বলল ভারত

পত্রিকা অফিসে হামলার গোয়েন্দা তথ্য ছিল, আমলে নেওয়া হয়নি: সালাহউদ্দিন

এনএসআইয়ের ১৩ কর্মকর্তার দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করছে দুদক

এলাকার খবর
Loading...

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত