ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’
ইয়াহ্ইয়া মারুফ, সিলেট

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ, ‘উকিল বাবা’খ্যাত সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলমসহ ১১ জনের একটি সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ উঠেছে।
আজকের পত্রিকার অনুসন্ধানে ও বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বশেষ নিয়োগে মুক্তিযোদ্ধা কোটাও বাস্তবায়িত হয়নি। এবার আপন ভাতিজাসহ ১০ আত্মীয়কে চাকরি দিয়েছেন ভিসি। আর পিএস সালাহ উদ্দিনের তিন আত্মীয় নিয়োগ পেয়েছেন।
ভিসির এই সিন্ডিকেটে রয়েছেন সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমান, সাধারণ সম্পাদক এমাদুল হোসেন, কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুক, সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামা, যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরু, শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক মো. আব্দুল্লাহ-আল-মামুন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকার ও অশোক বিশ্বাস। বিশ্ববিদ্যালয়ে নিয়োগের সময় তাঁরা প্রত্যেকেই স্বজনদের চাকরির ব্যবস্থা করেছেন।
ভিসির বিরুদ্ধে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ নতুন নয়। ২০১০ সালে ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে থাকাকালে প্রথম স্ত্রীর ভাই আমিন মো. জেবিন শাহপরান (রহ.) হলের সহকারী রেজিস্ট্রার পদে এবং ভাগনে মো. আব্দুর রকিব রাব্বুর তথ্য গোপন করে সেকশন অফিসার পদে চাকরি দেন তিনি। এবারের নিয়োগেও এমনটা ঘটেছে।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্র জানায়, বিপুলসংখ্যক কর্মচারী নিয়োগে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেন সাবেক ভিসি মতিয়ার রহমান হাওলাদার। কিন্তু ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়নি। এরই মধ্যে ভিসি হিসেবে যোগ দেন জামাল উদ্দিন। এরপর আগের বিজ্ঞপ্তি বাতিল করে ২০২৩ সালের এপ্রিলে একাধিক বিজ্ঞপ্তি দেন। এর মাধ্যমে কর্মকর্তা-কর্মচারী পদে মোট ৬৭ জনকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। এই নিয়োগে ভিসির আপন ভাতিজা আরাফাত ভূঞা, আত্মীয় রমজান ভুইয়া, মো. শাহ আলম, মো. আব্দুল কাজল মুন্সি, মানিকুর রহমান, মো. এনায়েতুল্লাহ, হাসিন রায়হান ফাহিম নিয়োগ পান। এ ছাড়া অতিথি ভবনের কেয়ারটেকার পদে নিয়োগ পান বর্তমান স্ত্রীর ভাইয়ের ছেলে তাজুল ইসলাম।
আত্মীয় নিয়োগের ব্যাপারে জানতে চাইলে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘কোন মানুষের বাড়ি কোথায়, কার কী লাগে, এটা চাইলেই যাচাই করা যায়। এটা দেখলেই বুঝবেন যে এটা সঠিক নয়। হ্যাঁ, আমার ভাতিজা আছে একজন। সে আমার নিকটাত্মীয়। আপন ভাতিজা। সে কম্পিউটার অপারেটর পদে আছে।’
উকিল বাবা, পালকপুত্রের আত্মীয়রা
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একসময় শিক্ষার্থী ছিলেন ভিসির পিএস সালাহ উদ্দিন। নিজেকে ভিসির ঘনিষ্ঠজন হিসেবে দাবি করেন তিনি। সালাহ উদ্দিনকে নিজের পালকপুত্রও বলে থাকেন ভিসি। কথিত এই পালকপুত্রের তিন আত্মীয় অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি পেয়েছেন। তাঁরা হলেন ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে মো. আবুল হাসেম ও মো. আবুল খায়ের এবং শ্বশুরবাড়ির আত্মীয় সামছুজ্জামান। জানতে চাইলে সালাহ উদ্দিন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘মেধা ও যোগ্যতায় আমার ফুফাতো ভাইয়ের দুই ছেলে চাকরি পেয়েছে। সামছুজ্জামান শ্বশুরবাড়ি এলাকার আত্মীয়।’
ভিসির দ্বিতীয় বিয়েতে উকিল বাবা ছিলেন সিকিউরিটি সুপারভাইজার মো. খোরশেদ আলম। তিনিও ভিসির ঘনিষ্ঠ। এবারের নিয়োগে তাঁর সুপারিশে আব্দুর রহিম নামের একজন সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ পেয়েছেন। তবে খোরশেদ আলমের দাবি, ‘আমার আপন বোন আবেদন করে লিখিত পরীক্ষায় টেকে নাই। এত ক্ষমতা থাকলে বোনের চাকরি হলো না কেন? আব্দুর রহিম নামের কাউকে চিনি না।’
সিন্ডিকেটে আছেন তাঁরাও
এ ছাড়া কর্মচারী পরিষদের সাবেক সভাপতি শাহ আলম সুরুকের মেয়ে মোছা. তাহেরা আক্তার মিলিকে অফিস সহায়ক পদে, সার্টিফিকেট জালিয়াতি (বয়স টেম্পারিং) করে পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অরুণ লামার বোন অর্পনা কুমারী বুক সর্টার পদে, সাবেক যুগ্ম সম্পাদক মুস্তাফিজ রহমান নিরুর স্ত্রী মোছা. শাহনাজকে সহকারী বাবুর্চি পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। নীরুর মাধ্যমে আরও দুজন নিয়োগ পেয়েছেন। এই সার্টিফিকেট জালিয়াতি ও বয়স টেম্পারিংয়ের ব্যাপারে ভিসি জামাল উদ্দীন বলেন, ‘যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ হলো, তারপরে আমার কাছে এই তথ্যটা বলা হইছে যে ও বয়স লুকাইছে। এখন ওই পরিস্থিতিতেও যখন সিন্ডিকেট অ্যাপ্রুভ দিছে, আমার স্থগিত রাখার সুযোগ নাই।’
এ ছাড়া শাহপরান (রহ.) হলের প্রভোস্ট আব্দুল্লাহ-আল-মামুনের আত্মীয় জামাল হোসেন ইলেকট্রিশিয়ান পদে; বিশ্ববিদ্যালয়ে সংস্থাপন শাখার ডেপুটি রেজিস্ট্রার সুজন চন্দ্র সরকারের শ্যালক জয় দাস, ডেপুটি রেজিস্ট্রার অশোক বিশ্বাসের শ্যালিকা স্মিতা দে মমিকে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে চাকরি দেওয়া হয়েছে।
ভাগ আছে ছাত্রলীগেরও
অফিস সহায়ক পদে সিকৃবি ছাত্রলীগ সভাপতি আশিকুর রহমানের ভগ্নিপতি মো. ফয়েজ উদ্দিন, সাধারণ সম্পাদক মো. এমাদুল ইসলামের মাধ্যমে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে বিশ্বজিৎ দেব এবং সহকারী বাবুর্চি পদে মো. মোবারক আলী নিয়োগ পেয়েছেন। যদিও এই দুই নেতাই এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। আশিকুর রহমান বলেন, ‘আমার আত্মীয়স্বজনের যোগ্যতা থাকলে কি চাকরি পাবে না? কোনো অনিয়ম হয়নি, স্বচ্ছতার সঙ্গে নিয়োগ হয়েছে।’
আর এমাদুল হোসেন বলেন, ‘নিয়োগ তো প্রশাসনের ব্যাপার। এই দুজনকে আমি চিনিও না।’
এসব নিয়োগের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক বিশ্ববিদ্যালয়ের একাধিক শিক্ষক জানান, নিজের লোকদের নিয়োগ দিতেই নতুন করে বিজ্ঞপ্তি দেন ভিসি। তাঁর যোগদানের পরপরই নিয়োগপ্রক্রিয়া সামনে রেখে একটি নিয়োগ-বাণিজ্যের সিন্ডিকেট তৈরি হয়। নিয়োগ পরীক্ষা শেষে উপাচার্যের বাংলোতে বসে রাতভর খাতা দেখেন তাঁরা। তাঁরাই মেরিট লিস্ট তৈরি করেন। সে অনুযায়ী ভোর ৫টায় খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের জানানো হয় সকাল ১০টায় ব্যবহারিক পরীক্ষা। মূলত পছন্দের প্রার্থীরা ছাড়া যাতে অন্যরা এই পরীক্ষায় অংশ নিতে না পারেন, এ জন্য অসময়ে খুদে বার্তা দিয়ে প্রার্থীদের ডাকা হয়েছিল। আসলে কাকে কাকে নিয়োগ দেওয়া হবে, সেই তালিকা আগেই চূড়ান্ত ছিল।
এই নিয়োগের অনিয়মের বিষয়ে জানতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের (ইউজিসি) ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান অধ্যাপক মুহাম্মদ আলমগীর আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ রকম হওয়ার কথা নয়। এমনটা হওয়া দুঃখজনক। সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করব।’

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
২৭ মিনিট আগে
খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেশহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস
গফরগাঁও (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে গফরগাঁওয়ের লঞ্চঘাটা বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক হাজার মানুষকে এনে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে গফরগাঁওয়ের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম কুমার স্থানটি নির্ধারণের পর তৈরি করেন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ। পরে ২০১১ সালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সংস্কার করলেও এলাকাটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। বাকি ১০ বধ্যভূমিতে এখনো স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে ওঠেনি এবং সংরক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
অনাদরে পড়ে আছে গফরগাঁও পৌর শহরের শিলাসী ইমামবাড়ী, উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাইদুর রহমান উচ্চবিদ্যালয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, সুতার চাপর বাজার, মশাখালী ইউনিয়নের প্রসাদপুর, ফরচুঙ্গি-শিলা রেলব্রিজ, পাইথল ইউনিয়নের কাওরাইদ-গয়েশপুর রেলব্রিজ, রাওনা ইউনিয়নের ভারইল ও গণ্ডগ্রাম, রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বারইগাঁও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে অগণিত মানুষকে এসব স্থানে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসরেরা। লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব বধ্যভূমি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পর অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব বধ্যভূমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। কোনোটি হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। কোনোটি ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। কোনো কোনোটি এখনো চিহ্নিতই হয়নি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা মশাখালী ফরচুঙ্গি-শিলা রেলব্রিজের ওপর দাঁড় করিয়ে স্থানীয় নিরীহ মানুষজনকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করত। পরে সেচকাজের জন্য সেখানে একটি জলকপাট নির্মাণ করা হলেও এ স্থান আজও চিহ্নিত করা হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গফরগাঁও ইসলামিয়া (পরে সরকারি) হাইস্কুলের শিক্ষক রাস বিহারী মিশ্রর ছেলে রণদা প্রসাদ মিশ্র বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরেরা মুক্তিকামী বাঙালিদের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে এসব গণহত্যার স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা যেন সেসব বীরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে পারি, সে জন্য স্মৃতিচিহ্নটুকু সংরক্ষণ করা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘অরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চরআলগী ইউনিয়নে একটি বধ্যভূমি চিহ্নিত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।’

ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
বীর মুক্তিযোদ্ধা আবু সাইদ জানান, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে গফরগাঁওয়ের লঞ্চঘাটা বধ্যভূমিতে মুক্তিযোদ্ধাসহ কয়েক হাজার মানুষকে এনে হত্যা করা হয়েছিল। ২০০৫ সালে গফরগাঁওয়ের তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা গৌতম কুমার স্থানটি নির্ধারণের পর তৈরি করেন বধ্যভূমি স্মৃতিস্তম্ভ। পরে ২০১১ সালে ময়মনসিংহ জেলা পরিষদ সংস্কার করলেও এলাকাটি সংরক্ষিত হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। বাকি ১০ বধ্যভূমিতে এখনো স্মৃতিস্তম্ভ গড়ে ওঠেনি এবং সংরক্ষণের উদ্যোগও নেওয়া হয়নি।
অনাদরে পড়ে আছে গফরগাঁও পৌর শহরের শিলাসী ইমামবাড়ী, উপজেলার নিগুয়ারী ইউনিয়নের সাইদুর রহমান উচ্চবিদ্যালয় সেনাবাহিনীর ক্যাম্প, সুতার চাপর বাজার, মশাখালী ইউনিয়নের প্রসাদপুর, ফরচুঙ্গি-শিলা রেলব্রিজ, পাইথল ইউনিয়নের কাওরাইদ-গয়েশপুর রেলব্রিজ, রাওনা ইউনিয়নের ভারইল ও গণ্ডগ্রাম, রসুলপুর ইউনিয়নের রসুলপুর পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প, দত্তেরবাজার ইউনিয়নের বারইগাঁও পাকিস্তানি বাহিনীর ক্যাম্প। মুক্তিযোদ্ধারা বলছেন, মুক্তিযুদ্ধের ৯ মাসে অগণিত মানুষকে এসব স্থানে ধরে এনে নির্মমভাবে হত্যা করেছে পাকিস্তান সেনাবাহিনী এবং তাদের এ দেশীয় দোসরেরা। লাশ মাটিচাপা দিয়ে রাখা হয়েছে। ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা এসব বধ্যভূমি থেকে মুক্তিযুদ্ধের পর অসংখ্য মানুষের মাথার খুলি ও হাড় উদ্ধার করা হয়েছে। রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে এসব বধ্যভূমি নিশ্চিহ্ন হয়ে যাচ্ছে। কোনোটি হারিয়ে যাচ্ছে নদীগর্ভে। কোনোটি ঝোপঝাড়ে আচ্ছাদিত হয়ে আছে। কোনো কোনোটি এখনো চিহ্নিতই হয়নি।
স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, পাকিস্তান সেনাবাহিনীর সদস্যরা মশাখালী ফরচুঙ্গি-শিলা রেলব্রিজের ওপর দাঁড় করিয়ে স্থানীয় নিরীহ মানুষজনকে নির্মমভাবে গুলি চালিয়ে হত্যা করত। পরে সেচকাজের জন্য সেখানে একটি জলকপাট নির্মাণ করা হলেও এ স্থান আজও চিহ্নিত করা হয়নি।
মুক্তিযুদ্ধে শহীদ গফরগাঁও ইসলামিয়া (পরে সরকারি) হাইস্কুলের শিক্ষক রাস বিহারী মিশ্রর ছেলে রণদা প্রসাদ মিশ্র বলেন, ‘মহান মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তানি বাহিনী ও তাদের দোসরেরা মুক্তিকামী বাঙালিদের ওপর ব্যাপক গণহত্যা চালিয়েছিল। সারা দেশে সরকারি উদ্যোগে এসব গণহত্যার স্থানগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের দাবি জানাচ্ছি।’
উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘যাদের আত্মত্যাগে এই দেশ স্বাধীন হয়েছে, আমরা যেন সেসব বীরকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে পারি, সে জন্য স্মৃতিচিহ্নটুকু সংরক্ষণ করা জরুরি।’
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এন এম আব্দুল্লাহ-আল-মামুন বলেন, ‘অরক্ষিত বধ্যভূমিগুলো চিহ্নিত করে সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। ইতিমধ্যে চরআলগী ইউনিয়নে একটি বধ্যভূমি চিহ্নিত করে স্মৃতিস্তম্ভ নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ
০৩ এপ্রিল ২০২৪
খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেকাজী শামিম আহমেদ, খুলনা

খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে ৯ ডিসেম্বর। মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেত্রী নুসরাত তাবাস্সুম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন ছাত্রনেতা। তাঁরা ষষ্ঠ গ্রেডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চাপ দেন। তাঁরা চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আসে নিয়োগের আদেশ। এতে বলা হয়, খুলনায় পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা না থাকায় রেজাউল ইসলাম প্রকল্প পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ইবাদত হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ বাস্তবে সেখানে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ রয়েছেন।
প্রকল্পে ফোকাল পার্সন হিসেবে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন। তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ না করেই নতুন পিডি করা হয়েছে রেজাউল ইসলামকে। ফলে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এতে জড়িয়ে পড়েছেন বোর্ড পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে খুলনা ওয়াসায় এখন হযবরল অবস্থা।
এই প্রকল্পে পিডির জন্য আবেদন করেছিলেন চারজন প্রকৌশলী। তাঁরা হলেন সেলিম আহমেদ, রেজাউল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও আরমান সিদ্দিকী। এর মধ্যে সেলিম আহমেদ পঞ্চম গ্রেডের। বাকিরা সবাই ষষ্ঠ গ্রেডের। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বোর্ডে অন্যদের না ডেকেই রেজাউল ইসলামকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত বুধবার বিকেলে খুলনা ওয়াসার নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান যোগদান করেন। তবে অফিস শুরু করেন পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। ওই দিন সকালে দপ্তরে হাজির হন ছাত্র প্রতিনিধি বোর্ড সদস্য ইব্রাহিম খলিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাস্সুম, খুলনা-১ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী অহিদুজ্জামান, তাঁদের সহযোগী আলিফ, আরিয়ান, সাব্বির ও সাইম। এ সময় তাঁরা ওয়াসার ফেস-২ প্রকল্পের পিডি নিয়োগ নিয়ে এমডিকে চাপ দিতে থাকেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর ফাইল প্রসেস করতে বলা হয়। তাঁরা ওয়াসা ভবন ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর ওই প্রকৌশলীকে পিডি নিয়োগ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ আসে।
নুসরাত তাবাস্সুমসহ অন্যদের নিয়ে খুলনা ওয়াসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন খুলনা ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, ‘এনসিপি নেতা অহিদুজ্জামানের নির্বাচনী এলাকায় ওয়াসার কার্যক্রম এবং এলাকাবাসীর কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ে কিছু কথা হয়েছে। তবে ওই সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।’
২০২৩ সালে প্রকল্পটির প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ার পর এডিবির সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পান মো. কামাল হোসেন। ২০২৪ সালের ৩০ মে তৎকালীন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে মো. কামাল হোসেনকে প্রকল্পের ফোকাল পার্সন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই আদেশে বলা হয়, এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি অন্য কোনো প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ফলে তিনিই এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
নিয়োগ বোর্ডে ডাকা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে ফোকাল পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ওই পদ ছাড়ার কোনো আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’
অপর প্রকৌশলী সেলিম আহমেদ বলেন, ‘খুলনা থেকে চারজন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডে আমাকে ডাকা হয়নি।’ তবে নতুন পিডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. রেজাউল ইসলামের দাবি, নিয়োগ বোর্ডে সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ণ কর্মদিবস অফিস করেছেন। তাহলে নিয়োগের সাক্ষাৎকার কীভাবে দিলেন? এমন প্রশ্নের মুখে তিনি ফোন রেখে দেন।
খুলনা ওয়াসার এমডি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি নতুন যোগ দিয়েছি। প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানা নেই।’

খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিতের লক্ষ্যে প্রায় ২ হাজার ৬০০ কোটি টাকার ওই প্রকল্প নেওয়া হয়েছে। এতে যৌথভাবে অর্থায়ন করছে বাংলাদেশ সরকার ও এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। প্রশাসনিক অনুমোদন হয়েছে ৯ ডিসেম্বর। মেয়াদ ১ অক্টোবর ২০২৫ থেকে ৩০ জুন ২০৩০।
সূত্র বলছে, গত বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে আসেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় নেত্রী নুসরাত তাবাস্সুম। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কয়েকজন ছাত্রনেতা। তাঁরা ষষ্ঠ গ্রেডের নির্বাহী প্রকৌশলী রেজাউল ইসলামের পক্ষে অবস্থান নিয়ে ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালককে চাপ দেন। তাঁরা চলে যাওয়ার কয়েক ঘণ্টা পর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে আসে নিয়োগের আদেশ। এতে বলা হয়, খুলনায় পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা না থাকায় রেজাউল ইসলাম প্রকল্প পরিচালক (রুটিন দায়িত্ব) হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন। স্থানীয় সরকার বিভাগের পরিকল্পনা-৩ শাখার উপসচিব ইবাদত হোসেন স্বাক্ষরিত আদেশে এই নির্দেশনা দেওয়া হয়। অথচ বাস্তবে সেখানে পঞ্চম গ্রেডের কর্মকর্তা সেলিম আহমেদ রয়েছেন।
প্রকল্পে ফোকাল পার্সন হিসেবে আছেন নির্বাহী প্রকৌশলী মো. কামাল হোসেন। তাঁকে ওই পদ থেকে অপসারণ না করেই নতুন পিডি করা হয়েছে রেজাউল ইসলামকে। ফলে তাঁদের দুজনের মধ্যে ঠান্ডা লড়াই শুরু হয়েছে। আর এতে জড়িয়ে পড়েছেন বোর্ড পরিচালক থেকে শুরু করে কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। সব মিলিয়ে খুলনা ওয়াসায় এখন হযবরল অবস্থা।
এই প্রকল্পে পিডির জন্য আবেদন করেছিলেন চারজন প্রকৌশলী। তাঁরা হলেন সেলিম আহমেদ, রেজাউল ইসলাম, মো. কামাল হোসেন ও আরমান সিদ্দিকী। এর মধ্যে সেলিম আহমেদ পঞ্চম গ্রেডের। বাকিরা সবাই ষষ্ঠ গ্রেডের। অভিযোগ রয়েছে, নিয়োগ বোর্ডে অন্যদের না ডেকেই রেজাউল ইসলামকে চূড়ান্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানায়, গত বুধবার বিকেলে খুলনা ওয়াসার নতুন ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ কামরুজ্জামান যোগদান করেন। তবে অফিস শুরু করেন পরদিন বৃহস্পতিবার সকাল থেকে। ওই দিন সকালে দপ্তরে হাজির হন ছাত্র প্রতিনিধি বোর্ড সদস্য ইব্রাহিম খলিল। তাঁর সঙ্গে ছিলেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক নুসরাত তাবাস্সুম, খুলনা-১ আসনে এনসিপির সম্ভাব্য প্রার্থী অহিদুজ্জামান, তাঁদের সহযোগী আলিফ, আরিয়ান, সাব্বির ও সাইম। এ সময় তাঁরা ওয়াসার ফেস-২ প্রকল্পের পিডি নিয়োগ নিয়ে এমডিকে চাপ দিতে থাকেন। তাঁকে সংশ্লিষ্ট প্রকৌশলীর ফাইল প্রসেস করতে বলা হয়। তাঁরা ওয়াসা ভবন ত্যাগের কয়েক ঘণ্টা পর ওই প্রকৌশলীকে পিডি নিয়োগ দিয়ে মন্ত্রণালয় থেকে আদেশ আসে।
নুসরাত তাবাস্সুমসহ অন্যদের নিয়ে খুলনা ওয়াসায় যাওয়ার কথা স্বীকার করেছেন খুলনা ওয়াসার বোর্ড সদস্য ও ছাত্র প্রতিনিধি ইব্রাহিম খলিল। তিনি বলেন, ‘এনসিপি নেতা অহিদুজ্জামানের নির্বাচনী এলাকায় ওয়াসার কার্যক্রম এবং এলাকাবাসীর কিছু বিষয় তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া নিয়োগ-পদোন্নতি নিয়ে কিছু কথা হয়েছে। তবে ওই সময় আমি সেখানে উপস্থিত ছিলাম না।’
২০২৩ সালে প্রকল্পটির প্রাথমিক কাজ শুরু হওয়ার পর এডিবির সঙ্গে সমন্বয়ের দায়িত্ব পান মো. কামাল হোসেন। ২০২৪ সালের ৩০ মে তৎকালীন ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আব্দুল্লাহ স্বাক্ষরিত এক আদেশে মো. কামাল হোসেনকে প্রকল্পের ফোকাল পার্সন হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই আদেশে বলা হয়, এই দায়িত্ব পালনকালে তিনি অন্য কোনো প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। ফলে তিনিই এখন পর্যন্ত দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।
নিয়োগ বোর্ডে ডাকা হয়েছে কি না—জানতে চাইলে মো. কামাল হোসেন বলেন, ‘আমাকে ডাকা হয়নি। মন্ত্রণালয় থেকে এ-সংক্রান্ত কোনো চিঠি পাইনি।’ অপর প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্পে ফোকাল পার্সন হিসেবে দায়িত্ব পালন করছি। ওই পদ ছাড়ার কোনো আদেশ পাইনি। আদেশ পেলে দায়িত্ব ছেড়ে দেব।’
অপর প্রকৌশলী সেলিম আহমেদ বলেন, ‘খুলনা থেকে চারজন আবেদন করেছিলাম। কিন্তু নিয়োগ বোর্ডে আমাকে ডাকা হয়নি।’ তবে নতুন পিডি হিসেবে নিয়োগ পাওয়া মো. রেজাউল ইসলামের দাবি, নিয়োগ বোর্ডে সবার সাক্ষাৎকার নেওয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার পূর্ণ কর্মদিবস অফিস করেছেন। তাহলে নিয়োগের সাক্ষাৎকার কীভাবে দিলেন? এমন প্রশ্নের মুখে তিনি ফোন রেখে দেন।
খুলনা ওয়াসার এমডি মোহাম্মদ কামরুজ্জামান বলেন, ‘আমি নতুন যোগ দিয়েছি। প্রকল্প সম্পর্কে কিছু জানা নেই।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ
০৩ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
২৭ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেময়মনসিংহ প্রতিনিধি

ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজের সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড ২০ তলা কাজীবাড়ি ভবনের নির্মাণকাজ করছে। পাইলিং করার সময় পাঁচতলা ভবন হেলে পড়ে। ভবনের সামনের এবং পাশের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ভাড়াটে ও মালিক বাসা ছেড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবন হেলে পড়া ঠেকাতে ডেভেলপার কোম্পানিকে সরিয়ে নেওয়া মাটি ভরাটের নির্দেশ দেন।
পাঁচতলা ভবনের ভাড়াটে শিলা রানী বলেন, ভবনটি হঠাৎ হেলে পড়ায় আতঙ্কে প্রশাসনের নির্দেশে আমরা বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আসব।
বাসার মালিকের ভাই রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, বেশ কয়েক মাস ডেভেলপার কোম্পানি অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। যার কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়ে। ভবনের সামনে এবং পাশে ফাটল ধরে ফাঁকা হয়েছে। যেকোনো সময় পুরো ভবন হেলে পড়তে পারে।
কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই লাল মিয়া বলেন, একটি ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার কারণে পাশের ৫ তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে। পরে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, পাইলিং করার কারণে ভবন হেলে পড়েনি। এটি অন্য কোনো কারণে হেলে পড়েছে। দায় আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। তারপরও প্রশাসনের নির্দেশে ভবনটি হেলে পড়া ঠেকাতে মাটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি।

ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজের সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
রাত সাড়ে ৯টার দিকে গিয়ে দেখা যায়, গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেড ২০ তলা কাজীবাড়ি ভবনের নির্মাণকাজ করছে। পাইলিং করার সময় পাঁচতলা ভবন হেলে পড়ে। ভবনের সামনের এবং পাশের অংশে ফাটল দেখা দিয়েছে। এতে আতঙ্কিত হয়ে ভাড়াটে ও মালিক বাসা ছেড়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে পুলিশ এবং ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা ভবন হেলে পড়া ঠেকাতে ডেভেলপার কোম্পানিকে সরিয়ে নেওয়া মাটি ভরাটের নির্দেশ দেন।
পাঁচতলা ভবনের ভাড়াটে শিলা রানী বলেন, ভবনটি হঠাৎ হেলে পড়ায় আতঙ্কে প্রশাসনের নির্দেশে আমরা বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এখন বাড়ি চলে যাচ্ছি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে আসব।
বাসার মালিকের ভাই রফিকুল ইসলাম লিটন বলেন, বেশ কয়েক মাস ডেভেলপার কোম্পানি অপরিকল্পিতভাবে কাজ করছে। যার কারণে আমাদের পাঁচতলা ভবনটি হেলে পড়ে। ভবনের সামনে এবং পাশে ফাটল ধরে ফাঁকা হয়েছে। যেকোনো সময় পুরো ভবন হেলে পড়তে পারে।
কোতোয়ালি মডেল থানার এএসআই লাল মিয়া বলেন, একটি ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার কারণে পাশের ৫ তলা একটি ভবন হেলে পড়েছে। পরে বাসিন্দাদের সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।
গ্রিনল্যান্ড ডেভেলপার প্রাইভেট লিমিটেডের প্রকৌশলী আবু সাঈদ বলেন, পাইলিং করার কারণে ভবন হেলে পড়েনি। এটি অন্য কোনো কারণে হেলে পড়েছে। দায় আমাদের ওপর চাপানো হচ্ছে। তারপরও প্রশাসনের নির্দেশে ভবনটি হেলে পড়া ঠেকাতে মাটি দিয়ে সাপোর্ট দেওয়ার চেষ্টা করছি।

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ
০৩ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
২৭ মিনিট আগে
খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
৩২ মিনিট আগে
গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ের নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
২ ঘণ্টা আগেটঙ্গী (গাজীপুর) প্রতিনিধি

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।
জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

গাজীপুরের টঙ্গীতে বিকাশকর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ সময় অপর একজন ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে টঙ্গী বাজার আনারকলি রোড এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
গুলিবিদ্ধ ওই ব্যক্তির নাম আরিফ হোসেন (৩১)। তিনি টঙ্গীর দত্তপাড়া হাউজ বিল্ডিং এলাকার বাসিন্দা দেলোয়ার হোসেনের ছেলে। তিনি বিকাশের একজন বিক্রয় প্রতিনিধি হিসেবে কর্মরত। একই সময় তাঁর সহকর্মী আজাদ হাওলাদার (৩০) ছুরিকাঘাতে আহত হন।
প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, আরিফ হোসেন ও আজাদ হাওলাদার দিনভর টঙ্গী এলাকার বিভিন্ন বিকাশ এজেন্টের কাছ থেকে বিকাশের টাকা সংগ্রহ শেষে ডিস্ট্রিবিউশন (পরিবেশক) অফিসে যাওয়ার উদ্দেশে রওনা হন। তাঁরা আনারকলি রোড এলাকায় পৌঁছালে একটি মোটরসাইকেলে থাকা দুজন ছিনতাকারী তাঁদের গতিরোধ করে টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে। বাধা দিলে আরিফকে লক্ষ্য করে দুটি গুলি ছোড়ে। আর আজাদকে ছুরিকাঘাত করে। তখন ছিনতাইকারীরা টাকার ব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়।
স্থানীয়রা আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে টঙ্গীর শহীদ আহসান উল্লাহ মাস্টার জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যান। গুলিবিদ্ধ আরিফ হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন। এ সময় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানোর পরামর্শ দেন। আহত আজাদ প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে বাড়ি ফিরে যান।
জেএ অ্যান্ড সন্স নামক বিকাশের টঙ্গী এলাকার পরিবেশক আফজাল হোসেন সেতু বলেন, ‘আমাদের প্রতিষ্ঠানের একজন কর্মীকে গুলি করে ১৫ লাখ টাকা ছিনিয়ে নিয়েছে ছিনতাইকারীরা। আরেক কর্মীকে ছুরিকাঘাত করেছে। আমি মামলা করব।’
টঙ্গী পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মেহেদী হাসান বলেন, ‘ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের শনাক্ত ও গ্রেপ্তারের জন্য কাজ চলছে। ঘটনাস্থলের আশপাশের সিসি ক্যামেরা ফুটেজ সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) সর্বশেষ কর্মচারী নিয়োগে দুর্নীতি ও স্বজনপ্রীতির অভিযোগ উঠেছে। খোদ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ডা. মো. জামাল উদ্দিন ভূঞা, তাঁর ‘পালকপুত্র’খ্যাত পিএস সালাহ উদ্দিন আহমেদ
০৩ এপ্রিল ২০২৪
ময়মনসিংহের গফরগাঁওয়ের মহান মুক্তিযুদ্ধের নীরব সাক্ষী ১১টি বধ্যভূমি। স্বাধীনতার ৫৪ বছর পেরিয়ে গেলেও এসব বধ্যভূমি সংরক্ষণে নেওয়া হয়নি সরকারি-বেসরকারি কোনো উদ্যোগ। বেশ কিছু বধ্যভূমিতে এখনো গড়ে ওঠেনি স্মৃতির মিনার।
২৭ মিনিট আগে
খুলনা ওয়াসায় ‘খুলনা পানি সরবরাহ প্রকল্পের (ফেজ-২)’ প্রকল্প পরিচালক (পিডি) নিয়োগ নিয়ে তুঘলকি কাণ্ড ঘটেছে। রাজনৈতিক চাপে ষষ্ঠ গ্রেডের একজন প্রকৌশলীকে এমন পদে বসানো হয়েছে, যেখানে কমপক্ষে চতুর্থ গ্রেডের যোগ্যতা দরকার।
৩২ মিনিট আগে
ময়মনসিংহ শহরের গুলকীবাড়িতে ২০ তলা ভবনের পাইলিং কাজ করার সময় হেলে পড়েছে পাশের ৫ তলা ভবন। আতঙ্কে বাসা ছেড়েছেন মালিক ও ভাড়াটেরা। শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) রাতে এ ঘটনায় ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে।
৩৯ মিনিট আগে