Ajker Patrika

জিআই কেন গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশের যেসব পণ্য জিআই ট্যাগ পেল

আপডেট : ১১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪, ১২: ৪১
জিআই কেন গুরুত্বপূর্ণ, বাংলাদেশের যেসব পণ্য জিআই ট্যাগ পেল

বাংলাদেশের ঐতিহ্যবাহী টাঙ্গাইল শাড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গের পণ্য হিসেবে নিবন্ধিত হওয়ার পর জিআই শব্দটি নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে। এর আগেও বাংলাদেশের ইলিশসহ বেশ কিছু পণ্যের জিআই পাওয়া নিয়ে সংবাদের শিরোনাম হলেও এতটা নজর কাড়েনি। এ পর্যন্ত বাংলাদেশের মোট ২১টি পণ্য জিআই ট্যাগ পেয়েছে। 

জিওগ্র্যাফিক্যাল ইন্ডিকেশন (জিআই) বা ভৌগোলিক নির্দেশক আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত এমন এক চিহ্ন, যা ভৌগোলিকভাবে ও ঐতিহ্যগতভাবে পাওয়া পণ্যে ব্যবহার করা হয়। সেই সব পণ্য উৎপাদনে নির্দিষ্ট পরিবেশ, আবহাওয়া ও সংস্কৃতি ভূমিকা রাখে বলে এই ট্যাগ দেওয়া হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়া পণ্যে ভৌগোলিক গুণ, মান ও স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্য থাকে। কোনো পণ্য জিআই ট্যাগ পেলে সেটিকে বিশ্বজুড়ে ব্র্যান্ডিং করা সহজ হয়। 

তখন দেশে-বিদেশে পণ্যগুলোর বিশেষ গুরুত্ব তৈরি হয়। জিআই ট্যাগ পাওয়ার পর সংশ্লিষ্ট দেশ পণ্যটি বাণিজ্যিকভাবে উৎপাদন করার অধিকারসহ আইনি সুরক্ষা পায়। তখন অন্য কোনো দেশ বা অন্য কেউ পণ্যটির মালিকানা বা স্বত্ব দাবি করতে পারে না। 

নিয়ম অনুযায়ী, কৃষিপণ্য, প্রকৃতি থেকে আহরিত সম্পদ ও কুটিরশিল্পকে জিআই ট্যাগ দেওয়া হয়। বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যেসব জিআই পণ্য আছে, সেখানে এর সব ধরনই রয়েছে। 

জিআই ট্যাগের জন্য আবেদন যেভাবে 
২০১৩ সালের আগে বাংলাদেশে জিআই ট্যাগ বিষয়ে আইনি কাঠামো ছিল না। ওই বছর ভৌগোলিক নির্দেশক পণ্য (নিবন্ধন ও সুরক্ষা) আইন প্রণয়নের পর ২০১৫ সালে সম্পূরক বিধিমালা তৈরি হয়। 

 এরপর আইন ও বিধিমালার অধীনে শিল্প মন্ত্রণালয়ের নিয়ন্ত্রণাধীন দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রতিষ্ঠান প্যাটেন্ট, শিল্প-নকশা ও ট্রেডমার্কস অধিদপ্তর (ডিপিডিটি) জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধন নেওয়ার আহ্বান জানায়। 

আইন অনুযায়ী, জিআই পণ্য হিসেবে নিবন্ধনের জন্য পর্যাপ্ত প্রমাণ ও তথ্য-উপাত্তসহ কোনো ব্যক্তিসংঘ, প্রতিষ্ঠান বা সংগঠনকে ডিপিডিটিতে আবেদন করতে হয়। আবেদনপত্র পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে কোনো ভুলভ্রান্তি থাকলে পরিবর্তন বা সংশোধনের জন্য আবেদনকারীকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেওয়া হয়। 

আবেদনপত্রের সঙ্গে যেসব তথ্য দেওয়া হয়েছে, সেগুলো বিবেচনা করার পর সব ঠিক থাকলে জিআই জার্নালে প্রকাশ করা হয়। জার্নালে প্রকাশিত হওয়ার পর কেউ যদি সেই পণ্যের বিরোধিতা করতে চায়, তাহলে তার জন্য সর্বোচ্চ দুই মাস সময় ধরা আছে। এসব কিছুর সর্বশেষ ধাপ হলো জিআই সনদ বা নিবন্ধন সার্টিফিকেট প্রাপ্তি। 

আন্তর্জাতিক মেধাস্বত্ববিষয়ক সংস্থা ‘ওয়ার্ল্ড ইন্টেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটস অর্গানাইজেশন’-এর (ডব্লিউআইপিও) নিয়ম মেনে ডিপিডিটি জিআই নিবন্ধন দিয়ে থাকে।

জিআই যেভাবে সুরক্ষিত হয়
আন্তর্জাতিক চুক্তি ও জাতীয় আইন অনুসারে জিআই পণ্য সুরক্ষা পেয়ে থাকে। 
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা উৎপত্তির আবেদন রক্ষায় বিশেষ আইন 
* কালেক্টিভ ট্রেড মার্ক বা সার্টিফিকেশন মার্ক আকারে ট্রেডমার্ক আইন
* অসম প্রতিযোগিতার বিরুদ্ধে আইন (প্রতিযোগিতা আইন)
* ভোক্তা সুরক্ষা আইন বা
* ভৌগোলিক নির্দেশক বা জিআইকে কেন্দ্র করে নির্দিষ্ট আইন

মোদ্দাকথা, অননুমোদিত কোনো পক্ষ জিআই ট্যাগ ব্যবহার করতে পারে না। জিআইয়ের অননুমোদিত ব্যবহার ঠেকাতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা থেকে শুরু করে ক্ষতিপূরণ ও জরিমানা বা গুরুতর ক্ষেত্রে কারাদণ্ড পর্যন্ত প্রযোজ্য হতে পারে। 

 আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে জিআই যেভাবে সুরক্ষিত
মেধাসম্পদ স্বত্ব বিষয়ে জাতিসংঘের সংস্থা ওয়ার্ল্ড ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি রাইটসের (ডব্লিউআইপিও) পরিচালিত বেশ কয়েকটি চুক্তি জিআই সুরক্ষা দেয়। বিশেষ করে শিল্প সম্পদ সুরক্ষার জন্য ১৮৮৩ সালে অনুষ্ঠিত প্যারিস কনভেনশন এবং উৎপত্তির আবেদন সুরক্ষার জন্য লিসবন চুক্তি এবং সেগুলোর আন্তর্জাতিক নিবন্ধন। এ ছাড়া বিশ্ব বাণিজ্য সংস্থার (ডব্লিউটিওর) কাঠামোর মধ্যে বাণিজ্যবিষয়ক মেধাস্বত্ব চুক্তি-ট্রিপসের (TRIPS) ২২ থেকে ২৪ ধারা জিআই বা ভৌগোলিক নির্দেশকের সুরক্ষা দেয়। 

জিআই সুরক্ষায় ডব্লিউআইপিওর ভূমিকা
বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক চুক্তি বাস্তবায়নের দায়িত্বে রয়েছে ডব্লিউআইপিও। এসব চুক্তি আংশিক বা সম্পূর্ণভাবে জিআই সুরক্ষা নিয়ে কাজ করে। বিশেষত প্যারিস কনভেনশন ও লিসবন চুক্তিও এর আওতায় আছে। এ ছাড়া সদস্য রাষ্ট্র ও সংশ্লিষ্ট সংস্থাগুলোর প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত ট্রেড মার্কস, শিল্প নকশা ও জিআইবিষয়ক সম্মিলিত এসসিটি আইন সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির কাজের মাধ্যমেও ডব্লিউআইপিও জিআই সুরক্ষা জোরদারের নতুন নতুন উপায় বের করে৷ 

জিআই পেল বাংলাদেশের যেসব পণ্য
২০১৫ সালের ১ সেপ্টেম্বর প্রথম বাংলাদেশি পণ্য হিসেবে জিআই নিবন্ধন পায় জামদানি শাড়ি। বাংলাদেশ ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প করপোরেশনের (বিসিক) আবেদনে সেটা নিবন্ধিত হয়। এরপর বাংলাদেশের মৎস্য অধিদপ্তরের আবেদনে ২০১৬ সালের ১৩ নভেম্বর দ্বিতীয় পণ্য হিসেবে ‘বাংলাদেশ ইলিশ’ নিবন্ধিত হয়। সর্বশেষ ২০২৩ সালের ১৭ এপ্রিল জেলা প্রশাসনের আবেদনে কুষ্টিয়ার তিলের খাজা নিবন্ধন হয়। সব মিলে মোট ২১টি পণ্য জিআই পেয়েছে।

জিআই পাওয়া ২১ পণ্য:-
জামদানি শাড়ি
বাংলাদেশের ইলিশ
চাঁপাইনবাবগঞ্জের খিরসাপাতি আম
বিজয়পুরের সাদা মাটি
দিনাজপুরের কাটারিভোগ
বাংলাদেশের কালোজিরা
রংপুরের শতরঞ্জি
রাজশাহীর সিল্ক
ঢাকার মসলিন
বাংলাদেশের বাগদা চিংড়ি
রাজশাহী ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের ফজলি আম
বাংলাদেশের শীতলপাটি
বগুড়ার দই
শেরপুরের তুলসীমালা
চাঁপাইনবাবগঞ্জের ল্যাংড়া আম
চাপাইনবাবগঞ্জের আশ্বিনা আম
বাংলাদেশের ব্ল্যাক বেঙ্গল ছাগল
নাটোরের কাঁচাগোল্লা
টাঙ্গাইলের পোড়াবাড়ির চমচম
কুমিল্লার রসমালাই
কুষ্টিয়ার তিলের খাজা

আরও পড়ুন:

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

যুব কর্মসংস্থানে ১৮৩৯ কোটি টাকা ঋণ দেবে বিশ্বব্যাংক

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
ছবি: সংগৃহীত
ছবি: সংগৃহীত

বেকার যুবকদের কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ বাড়াতে বাংলাদেশকে ১৫ কোটি ৭ লাখ ৫০ হাজার ডলার ঋণ অনুমোদন দিয়েছে বিশ্বব্যাংক। প্রতি ডলার ১২২ টাকা হিসাবে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ দাঁড়ায় প্রায় ১ হাজার ৮৩৯ কোটি ১৫ লাখ টাকা। নারী এবং জলবায়ু-ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায় বসবাসকারী নিম্ন আয়ের যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের অগ্রাধিকার দিয়ে এই অর্থ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে।

আজ বুধবার বিশ্বব্যাংকের ঢাকা অফিস থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। অনানুষ্ঠানিক খাত কর্মসংস্থান পুনরুদ্ধার ও অগ্রগতি প্রকল্পের আওতায় এ ঋণ দেওয়া হবে।

বিশ্বব্যাংক জানায়, এই প্রকল্পের মাধ্যমে নতুন করে প্রায় ১ লাখ ৭৬ হাজার যুবকের জন্য কর্মসংস্থান ও আয়ের সুযোগ তৈরি হবে। এর আগে প্রকল্পটির আওতায় ২ লাখ ৩৩ হাজার মানুষ সুবিধা পেয়েছেন। নতুন অর্থায়নের ফলে অংশগ্রহণকারীরা দক্ষতা প্রশিক্ষণ, শিক্ষানবিশ কর্মসূচি, উদ্যোক্তা উন্নয়ন এবং ক্ষুদ্রঋণের সুযোগসহ বিভিন্ন সহায়তা পাবেন। এতে তরুণ ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা কর্মসংস্থান ও ব্যবসা সম্প্রসারণে বিদ্যমান বাধা অতিক্রম করতে পারবেন।

প্রকল্পটির একটি বড় অংশ নারীর ক্ষমতায়ন ও জলবায়ু সহনশীল জীবিকার ওপর গুরুত্ব দিচ্ছে। এর মধ্যে রয়েছে মানসম্মত ও সাশ্রয়ী শিশু যত্নসেবার সুযোগ, পাশাপাশি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবিলায় সম্প্রদায়ভিত্তিক জীবিকা সহায়তা।

বাংলাদেশে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের ভারপ্রাপ্ত কান্ট্রি ডিরেক্টর গেইল মার্টিন বলেন, ‘একটি ভালো চাকরি একটি জীবন, একটি পরিবার এবং একটি সম্প্রদায়কে বদলে দিতে পারে। কিন্তু প্রতিবছর শ্রমবাজারে প্রবেশ করা অনেক তরুণ বাংলাদেশি কাজ খুঁজে পায় না। কাজের মান, দক্ষতার ঘাটতি ও দক্ষতার অমিল বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে আছে।’

তিনি আরও জানান, নতুন এই অর্থায়ন বিশেষ করে নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর তরুণদের বাজার–প্রাসঙ্গিক দক্ষতা ও প্রশিক্ষণ অর্জনে সহায়তা করবে।

বিশ্বব্যাংক আরও জানায়, অতিরিক্ত অর্থায়নের ফলে প্রকল্পটির কার্যক্রম শহরের বাইরে গ্রামীণ এলাকাতেও সম্প্রসারিত হবে। এতে প্রান্তিক যুবক ও ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা লক্ষ্যভিত্তিক সহায়তা পাবেন। পাশাপাশি নারীদের প্রশিক্ষণ ও স্টার্টআপ অনুদানের মাধ্যমে গৃহভিত্তিক শিশু যত্নসেবা চালুর উদ্যোগ নেওয়া হবে, যা নারী শ্রমশক্তির অংশগ্রহণ বাড়াবে এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।

বিশ্বব্যাংকের সিনিয়র সামাজিক সুরক্ষা অর্থনীতিবিদ ও প্রকল্পের টিম লিডার আনিকা রহমান বলেন, ‘এই নতুন অর্থায়নের মাধ্যমে প্রমাণিত উদ্যোগগুলো সম্প্রসারণ, ক্ষুদ্রঋণের সুযোগ বাড়ানো এবং শিশু যত্নের মতো উদ্ভাবনী সমাধান চালু করা সম্ভব হবে। এতে আরও বেশি তরুণ ও নারী তাদের সম্ভাবনা কাজে লাগিয়ে একটি স্থিতিশীল ভবিষ্যৎ গড়তে পারবেন।’

বিশ্বব্যাংক জানায়, প্রকল্পটি ইতিমধ্যেই ইতিবাচক ফল দেখিয়েছে। শিক্ষানবিশ কর্মসূচি সম্পন্ন করা অংশগ্রহণকারীদের ৮০ শতাংশের বেশি তিন মাসের মধ্যেই কর্মসংস্থান নিশ্চিত করেছেন। একই সঙ্গে তরুণ ক্ষুদ্র উদ্যোক্তারা আয় ও ব্যবসা পরিচালনায় উন্নতির কথা জানিয়েছেন।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

রমজান উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক হ্রাস

‎নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা‎
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ৩৯
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম
দীর্ঘ সময় রোজা রাখার পর পর দুটি বা তিনটি খেজুর শরীরে দ্রুত শক্তি এবং প্রাকৃতিক শর্করা জোগায়। ছবি: ভিজিট সৌদি ডট কম

রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে ৪০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আজ বুধবার এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছে সংস্থাটি।

এনবিআর জানায়, ধর্মপ্রাণ জনগণের আবেগের প্রতি শ্রদ্ধা প্রদর্শন করে খেজুরের মূল্য সাধারণের নাগালের মধ্যে নিয়ে আসার লক্ষ্যে আসন্ন রমজান মাস উপলক্ষে খেজুর আমদানিতে বিদ্যমান আমদানি শুল্ক ৪০ শতাংশ কমানো হয়েছে।

এনবিআর আরও জানায়, পবিত্র রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ ও বাজারমূল্য স্বাভাবিক রাখার উদ্দেশ্যে খেজুর আমদানিতে কাস্টমস ডিউটি ২৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ১৫ শতাংশ নির্ধারণ করে গতকাল মঙ্গলবার প্রজ্ঞাপন জারি করেছে সরকার। এই অব্যাহতি আগামী বছরের ৩১ মার্চ পর্যন্ত বলবৎ থাকবে।

এ ছাড়া বিগত বাজেটে আমদানি পর্যায়ে অগ্রিম আয়কর-সংক্রান্ত বিধিমালা সংশোধন করে খেজুরসহ সব ফল আমদানির ওপর প্রযোজ্য অগ্রিম আয়কর ১০ শতাংশ থেকে কমিয়ে ৫ শতাংশ করা হয়েছে। খেজুর ও অন্যান্য ফল আমদানিতে গত বছর অগ্রিম আয়করে যে ৫০ শতাংশ ছাড় দেওয়া হয়েছে, তা এ বছরও বহাল আছে।

জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের প্রত্যাশা, খেজুর আমদানিতে আমদানি শুল্ক এবং অগ্রিম আয়করে উল্লেখযোগ্য পরিমাণে ছাড় দেওয়ার কারণে আসন্ন রমজান মাসে খেজুরের সরবরাহ এবং বাজারমূল্য সাধারণ ভোক্তাদের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে থাকবে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বাড়ল মেট্রোরেলের টিকিটে ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ

আজকের পত্রিকা ডেস্ক­
আপডেট : ২৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১২: ০৮
ফাইল ছবি
ফাইল ছবি

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির সময়সীমা বেড়েছে। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) মেট্রোরেল সেবার ওপর ভ্যাট (মূল্য সংযোজন কর) অব্যাহতির মেয়াদ আগামী বছরের ৩০ জুন পর্যন্ত বাড়িয়েছে। মঙ্গলবার এনবিআর এ-সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করে।

এনবিআর জানায়, মেট্রোরেল সেবার ওপর মূল্য সংযোজন করের বিদ্যমান অব্যাহতি চালু রাখার জন্য সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ের সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে জনস্বার্থে এই অব্যাহতির মেয়াদ ৩০ জুন ২০২৬ পর্যন্ত বৃদ্ধি করা হয়েছে।

মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর ভ্যাট অব্যাহতির মেয়াদ শেষ হবে ৩১ ডিসেম্বর।

ভ্যাট আইন অনুযায়ী, যেকোনো শীতাতপনিয়ন্ত্রিত রেলের টিকিটে ১৫ শতাংশ ভ্যাট আরোপের বিধান আছে। পুরোপুরি শীতাতপনিয়ন্ত্রিত এবং গণপরিবহন হওয়ায় মেট্রোরেলের ওপরও এই ভ্যাট আরোপিত হয়। তবে মেট্রোরেল চালুর শুরু থেকেই এর মালিক কোম্পানি ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) অনুরোধে এই সেবার ওপর ভ্যাট আরোপ করা হয়নি।

এর আগে ১১ ডিসেম্বর উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে মেট্রোরেলের টিকিটের ওপর মূল্য সংযোজন কর বা ভ্যাট অব্যাহতির সুবিধা অব্যাহত রাখার সিদ্ধান্ত হয়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

বিজ্ঞপ্তি
ইবিএলের ‘এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ড’ পেল ফার্স্টট্রিপ

দেশের অন্যতম সেরা বেসরকারি বাণিজ্যিক ব্যাংক ইস্টার্ন ব্যাংক লিমিটেডের (ইবিএল) কাছ থেকে এক্সিলেন্স ইন বিজনেস অ্যাওয়ার্ডস জিতল ফার্স্টট্রিপ। ইস্টার্ন ব্যাংকের গত এক বছরে প্রবৃদ্ধি ও ডিজিটাল রূপান্তর-যাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ‘এক্সিলেন্স ইন অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি’ পুরস্কার অর্জন করে ফার্স্টট্রিপ।

এক্সিলেন্স ইন বিজনেস ইমার্জিং ক্যাটাগরিতে অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম হিসেবে ফার্স্টট্রিপের অগ্রগতি ও উদ্ভাবনের স্বীকৃতি হিসেবেই এই সম্মান দেওয়া হয়েছে। রাজধানীর ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে আয়োজিত এক জমকালো অনুষ্ঠানে তাদের শীর্ষ পার্টনার ও মার্চেন্ট প্রতিষ্ঠানগুলোকে সম্মাননা জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।

বাংলাদেশের অন্যতম জনপ্রিয় অনলাইন ট্রাভেল প্ল্যাটফর্ম ফার্স্টট্রিপ সব সময় চায় গ্রাহকদের ভ্রমণ হোক সাশ্রয়ী, সহজ ও আনন্দদায়ক। ফার্স্টট্রিপ ইতিমধ্যে নিজেদের একটা রিলায়েবল মডার্ন আর ফিউচার রেডি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে প্রতিষ্ঠা করেছে।

ফার্স্টট্রিপের হেড অব অপারেশন (বি-টু-সি) মীর তাজমুল হোসেনের হাতে ইবিএল আয়োজিত ‘স্কাইস্ফিয়ার: ডিজিটাল এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড ২০২৫’ অনুষ্ঠানে পুরস্কার তুলে দেন ইবিএলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আলী রেজা ইফতেখার।

ফার্স্টট্রিপের জন্য এই স্বীকৃতি একটি বড় মাইলস্টোন। ইনোভেশন এবং সঠিক পার্টনারশিপের মাধ্যমে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল খাতে নিজেদের অবস্থান শক্ত করেছে। এই পুরস্কারের পেছনে ইস্টার্ন ব্যাংক পিএলসির সঙ্গে ফার্স্টট্রিপের শক্তিশালী পার্টনারশিপের বড় ভূমিকা রয়েছে। দুই প্রতিষ্ঠানের প্রচেষ্টায় ফার্স্টট্রিপ গ্রাহকদের জন্য পেমেন্ট সলিউশনকে করে তুলেছে স্মার্ট ও সহজ।

ফার্স্টট্রিপের প্রতিনিধিরা এই অর্জনে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন। তাঁরা জানিয়েছেন, এই সাফল্য পুরো টিম এবং পার্টনারদের সম্মিলিত প্রচেষ্টার ফল। বিশেষ করে ইবিএলের সহযোগিতা আমাদের ডিজিটাল যাত্রাকে আরও মসৃণ করেছে। ইনোভেশন ও গ্রাহকের আস্থাকে পুঁজি করে ফার্স্টট্রিপ বাংলাদেশের ট্রাভেল ইন্ডাস্ট্রিতে আরও বড় লক্ষ্য অর্জন করতে চায়।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

জুলাই হত্যাকাণ্ডকে ব্যক্তিগত অপরাধ গণ্য করে আ.লীগের বিরুদ্ধে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহ্বান ৫ মার্কিন আইনপ্রণেতার

চট্টগ্রামের ১৬ আসনের ৭টিতে বিএনপির চ্যালেঞ্জ বিএনপিই

বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ক: উত্তেজনা বাড়ছে দ্রুত

আজকের রাশিফল: ফেসবুকে জ্ঞান ঝাড়বেন না— বন্ধুরা জানে আপনি কপি মাস্টার, স্ত্রীর কথা শুনুন

নেছারাবাদে ছিনতাইকারী সন্দেহে যুবক আটক, দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত