মীর রাকিব হাসান

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’

ঢাকা: সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা সময় জানা গেল, সেখানেই বিয়ে করে স্থায়ী হয়েছেন সুজানের স্বামী ও স্পর্শিয়ার বাবা। তার পর থেকে শুরু মা–মেয়ের সংগ্রাম। এতটা বছর চলার পথে তেমন কাউকেই সঙ্গে পাননি। এমনকি সুজানের পরিবারের মানুষও থাকেন দেশের বাইরে। একা এক হাতে মেয়ের আজকের অবস্থান তৈরি করেছেন। নিজের সুনামও অক্ষুণ্ন রেখেছেন। কিছু আক্ষেপ তো রয়েই যায়। সেই থেকে শুরু করলেন সুজান, ‘সমাজ একজন স্বামী চায়, সেটা পরতে পরতে বুঝতে হয়েছে। স্বামী মন্দ হলেও অসুবিধা নেই। এই সমাজে স্বামী থাকতেই হবে। স্বামী না থাকা মানেই মহিলার হয়তো কোনো ত্রুটি আছে। সমাজ আমাকে এটা বুঝিয়েছে ভালো করে। অনেক কিছু ফেইস করেছি।’
উদাহরণ দিয়ে বোঝালেন তিনি, ‘একক মহিলাদের জন্য যে কতটুকু নিরাপত্তার অভাব আমাদের দেশে, সেটা বুঝেছি, অনেক কিছু বুঝেছি। কত বাসা ভাড়া নিয়েছি। কোনো বাসায় বাড়িওয়ালা, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ছেলে, কোনো বাসায় বাড়িওয়ালার ভাই প্রেম করতে চেয়েছে আমার সঙ্গে। যখনই এমন পরিস্থিতিতে পড়েছি, বাসা ছেড়ে দিয়েছি। এভাবে করে করে আমি খুব ক্লান্ত হয়ে গিয়েছিলাম। নিরাপত্তার অভাব কতটা যে বোধ হতো, সেটা শুধু আমি আর আমার মেয়েই জানে। ও যে স্কুলে পড়ত সেই স্কুলের অভিভাবক, টিচাররা মিলে এমন পরিবেশ তৈরি করেছিল– ওর বাবা নেই কেন? ওর বাবা নেই–ও ভালো নয়। ওর সঙ্গে বাকি ছেলেমেয়েদের মিশতে দেওয়া যাবে না। সেটাও ফেইস করেছি। তখন এর প্রতিবাদ জানাতে হয়েছে। বলেছি, এটা নিয়ে আমি নিউজ করব। তখন তো আমি পত্রিকায় কাজ করি। তখন ওরা ক্ষমা চেয়ে নিয়েছে।’
স্পর্শিয়াও মায়ের কথায় সায় দিলেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সমাজ তো পুরুষতান্ত্রিক সমাজ। খোলাখুলিভাবে বললে একটা সিঙ্গেল ওমেনকে খুব খারাপ চোখে দেখা হয়। স্বামী ছেড়ে চলে গেছে, নিশ্চয়ই বউয়ের দোষ। মেয়েটারই তো দোষ। সেই জায়গা থেকে শুধু যে অর্থনৈতিক তা নয়, মানসিক স্ট্রাগলও ছিল। নিজের খাওয়া–পরা–থাকার সঙ্গে আরও একটা মেয়েকে বড় করা এই শহরে। এটা কিন্তু চাট্টিখানি কথা নয়।’
মা–মেয়ের সম্পর্ক বন্ধুর মতো। সুজান হকের মতে, ‘আমি মনে করি প্রত্যেক বাবা-মায়ের আগে বন্ধু হতে হবে। তাহলে সন্তানের কষ্ট বা দুঃখটা জানা যায়। সুখটা তো এমনিতেই চোখেই পড়ে। এতে সন্তান নিরাপদ বোধ করে। এ জন্য আমি মা না হয়ে বন্ধু হওয়ার চেষ্টা করেছি।’
স্পর্শিয়া বলেন, ‘আমার মায়ের লাইফের পার্ট নিয়ে একটা মুভি হওয়া উচিত। কারণ, তাঁর স্ট্রাগলটা ছোট করে বলা সম্ভব নয়। বলা শুরু করলে রাত পার হয়ে যাবে। কোনো বাসায় থাকলে বাড়িওয়ালা বা পাড়া–প্রতিবেশী যেমন ডিস্টার্ব করত, তেমনি অনেক সময় চাকরি পরিবর্তন করতে হয়েছে। বসরা ডিস্টার্ব করত। আমাদের সমাজে একা একটা সিঙ্গেল মেয়েকে পাবলিক প্রপার্টি হিসেবে দেখা হয়। ওইটাও একধরনের স্ট্রাগল ছিল আমার ও আমার মায়ের।’
স্পর্শিয়া কথা বলছিলেন হেসে হেসে। কিন্তু তাঁর মনের কষ্টটা চোখেমুখে স্পষ্ট। তিনি বলেন, ‘সে চাইলে বিয়েও করতে পারতেন। সেটাও সে করেননি। আমাকে আঁকড়ে রেখেছেন। একটা মানুষ এত ডেডিকেটেড হতে পারে সন্তানের প্রতি! সেটা আমাকে অবাকই করে। কারণ, আমি আরও অনেক বাবা-মা দেখেছি। পুরো লাইফটাই লিখে দিল আমাকে! এমনকি তাঁর কাছের বন্ধুবান্ধবও তেমন নেই। আমিকেন্দ্রিকই তাঁর জীবন। এটা নিয়েই আমাদের ঝগড়া হয় প্রায়ই। আমি এখনো বলি, একটা প্রেম করো বিয়ে করো। করবে না সে। আমার সঙ্গে বয়সেরও কিন্তু খুব বেশি পার্থক্য নেই তাঁর।’
সুজান হকের সাংবাদিকতার পরিচয় অনেকেই জানেন। দেশের একটি প্রথম সারির পত্রিকায় দীর্ঘদিন সাংবাদিকতা করেছেন। শিক্ষকতাও করেছেন। তবে তিনি এখন লেখালেখি নিয়ে ব্যস্ত সময় পার করেন। লেখালেখির পাশে আছে বুটিকস হ্যান্ডি ক্রাফটসের হাউস। বাগান আছে, পোষা প্রাণী আছে, আর মেয়ের স্ক্রিপ্ট তো তাঁরই আগে পড়া হয়। এখন একটা ছোট গল্প অনুবাদ করেছেন। গত বছর বইমেলাতে ছোটদের বই ‘হেলেনের অহংকারী ফুল’ প্রকাশ করেছেন। এ জীবনে বেশ কিছু বই লিখেছেন, কবিতার বই ‘তুমি সেই ভ্যালেন্টাইন’, বিভিন্ন ক্ষেত্রের তারকাদের যে সাক্ষাৎকার নিয়েছিলেন, ফিচার লিখেছেন, তার সংকলন নিয়েও বই প্রকাশ করেছেন। মাইকেল জ্যাকসন যখন প্রয়াত হন, তখন তাঁকে নিয়ে ‘শ্রদ্ধাঞ্জলি মাইকেল জ্যাকসন’ নামে একটা বই লিখেছেন। ‘অ্যা পোরট্রেট অব ফাদার রিগান’ বই তাঁর লেখা। ফটোগ্রাফি করেন। আছেন সমাজসেবামূলক কাজের সঙ্গেও জড়িত।
স্পর্শিয়া এখন কম কাজ করেন। আর এটাতে তৃপ্ত তাঁর মা। তিনি সাধুবাদ জানান মেয়ের এমন সিদ্ধান্তে। তাঁর মতে, এটা ভালো। যেটাতে ও স্বস্তিবোধ করবে, আমি স্বস্তিবোধ করব। সেই জায়গার কথা ভাবা লাগবে। ‘অনেকেই বলে মেয়েকে মিডিয়ায় কাজ করতে দিয়েছি। কেন! তারা তো কাছ থেকে দেখেন না মিডিয়াকে। ভালো–মন্দ তো সব সেক্টরেই আছে। একজন শিল্পীর যেভাবে স্ট্রাগল করতে হয়, সেটা তো মিডিয়ার বাইরের মানুষ বুঝবে না। মিডিয়া মানেই খারাপ নয়, আমি তো বলি তোমরা আসো, এসে দেখো ওরা কি ফেইস করে, এখানে কি ভালো–মন্দ আছে। তারপর বলো। মিডিয়ার মানুষও ভালো থাকতে পারে। খারাপ প্রস্তাব যে সব মিডিয়া থেকে আসে, তা তো নয়। তাহলে শোবিজের বাইরে এত ক্রাইম হচ্ছে কেন!’
অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার আজকের অবস্থানের পেছনে সবটাই মায়ের অবদান বলে মনে করেন স্পর্শিয়া। তিনি বলেন, ‘আম্মুর কখনো চাওয়া ছিল না যে আমার মেয়ের ডাক্তার–ইঞ্জিনিয়ারই হতে হবে। আমি ছবি আঁকতাম। সেটাতেও তাঁর সায় ছিল। উৎসাহিত করত আমি যেন ছবি আঁকায় মন দিই। লেখালেখি করতাম, সে উৎসাহ দিত যেন আমি লেখক হই। আমি যখনই যেটা করতে ভালোবেসেছি, সেটাই সে চেয়েছে যেন আমি মন দিয়ে করি। ছোটবেলা থেকেই তো শোবিজের মানুষজন দেখে বড় হয়েছি। মা যেহেতু বহু বছর সাংবাদিকতায় ছিলেন। কিন্তু মা চাপিয়ে দেননি– তোমার অভিনেত্রী হতে হবে। সে কখনো তাঁর পরিচিত কাউকে বলেওনি যে আমার মেয়েকে কাজ দেও। কিন্তু যখন আমি নিজে শুরু করেছি, তখন সে পাশে ছিল। আমার ভালো–মন্দের সিদ্ধান্তের সঙ্গে ছিল। আমার স্ক্রিপ্ট পড়া থেকে বিদেশ ট্যুর– সবখানেই মা সঙ্গী হন। যেমনটা তাঁকে দেখেছি সেই শৈশব থেকে হাত ধরে চলা শেখাতে।’
খাবার খাওয়া নিয়ে দুজনার খুব ঝগড়া হয়। এক বেলার খাবার আরেক বেলা খায় স্পর্শিয়া। তখন এই নিয়ে মায়ের অনেক কথা শুনতে হয়। মেয়েকে নিয়মিত বকাঝকা করার আরও কারণ আছে,‘ও খুব সরল টাইপের। যে যা চায় সব বিলিয়ে দেয়। তখন রাগ হয়। আমারও কোনো একটা শখের জিনিস কেউ চাইল, অমনি সে দিয়ে দেয়। আমার লাইব্রেরি থেকে অর্ধেক বই দিয়ে দিয়েছে মানুষকে। আমি বাসায় না থাকলে দিয়ে দেয়। আমি এলে বলেও না। অনেকে পারিশ্রমিক ঠিকমতো দেয় না। চেনা মুখের আবদার রাখতে হয়। দেখা গেল সেই কাজটা করলে একটু মানহানি হয়। তখন রাগারাগি করি যে এটা কেন করেছ।’
স্পর্শিয়া মনে করেন, ‘তাঁর মা এই সময়ের প্রত্যেকটা নারীর জন্য উদাহরণ। প্রত্যেকটা নারীর আসলে তাঁর সঙ্গে কথা বলা উচিত, তাঁর সম্পর্কে জানা উচিত। আমি তাঁকে আইডল মানি। কারণ, সে যেভাবে কারও সাপোর্ট ছাড়া নিজেকে এগিয়ে নিয়েছেন, আমাকেও বড় করেছেন। আমি যে বদের হাড্ডি, আমাকেও সামলিয়েছেন। এটা আমি সব সময় সব জায়গাতেই বলি।’ তিনি বলেন, ‘অনেক সময় অনেক মেয়ের কথা শুনলে আমি বলি আমার মায়ের সঙ্গে কথা বলা উচিত। তাহলে কিছুটা হলেও উত্তরণের পথ খুঁজে পাবে। আমি নিজে যখন অনেক আপসেট হয়ে যাই, অনেক কিছু নিয়ে মানসিকভাবে ভেঙে পড়ি, তখন আমার চোখের সামনে তিনি চলে আসেন। তাঁর কথা চিন্তা করি। তখন ভাবি এই মহিলাটা কীভাবে আসলে এত স্ট্রাগল করেছে। এত বড় করেছে আমাকে। ওই জায়গায় তো আমি কিছুই না।’
স্পর্শিয়ার জীবনেও ঘটেছে বিয়ে এবং ডিভোর্সের মতো ঘটনা। বিয়ের সিদ্ধান্তটা স্পর্শিয়া নিজেই নিয়েছিলেন। স্পর্শিয়ার মায়ের কথা, ‘এত অল্প বয়সে তো আমি বিয়ের সিদ্ধান্ত দেব না। ও আবেগে পড়ে সিদ্ধান্তটা নিয়েছিল। আমি বলেছিলাম, এটা তোমার সঙ্গে যায় না। তোমার বয়স এখনো অনেক পড়ে আছে। আমি পাশে আছি। এখন আর আবেগকে প্রশ্রয় দেবে না হয়তো। শিক্ষা হয়েছে। আমি আছি, ওকে আর এমন সিদ্ধান্ত নিতেও দেব না। লম্বা জীবন আছে। সেখানে আমিই ওর সাথি খুঁজে দেব। আমার পছন্দের বাইরে গিয়ে তো একবার শিক্ষা হলো।’
স্পর্শিয়াও হাসিমুখে তাঁর মায়ের কথা মেনে নিলেন, ‘যখন ভুল করেছি, সে বলেছে এটা কোরো না, এটা ভুল। সে আমার চেয়ে অবশ্যই ম্যাচিউরড। সেই জায়গা থেকে আমি শুনিনি। তাঁর যেটা শুনেছি সেটা তো ভালো। যেটা শুনিনি বাঁশ খেয়েছি এই আর কি।’

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৭ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো। উৎসবে ছয়জন নাট্যব্যক্তিত্বকে দেওয়া হবে নাট্যবন্ধু সম্মাননা।
উৎসব শুরু হবে আজ সন্ধ্যা ৬টায়। উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক নিয়াজ আহমদ খান। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক কবি রেজাউদ্দিন স্টালিন এবং বাংলাদেশ গ্রুপ থিয়েটার ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কামাল বায়েজীদ। সভাপতিত্ব করবেন নাট্যতীর্থের দলপ্রধান ও নাট্যমেলার আহ্বায়ক তপন হাফিজ। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে তীরন্দাজ রেপার্টারির প্রযোজনা দীপক সুমনের নির্দেশিত ‘কণ্ঠনালীতে সূর্য’।
আগামীকাল শনিবার মঞ্চস্থ হবে আরণ্যক নাট্যদলের ‘রাঢ়াঙ’। রচনা ও নির্দেশনায় মামুনুর রশীদ। এদিন অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন সামিনা লুৎফা নিত্রা। সম্মাননা পদক দেওয়া হবে অধ্যাপক আবদুস সেলিমকে।
২১ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বাতিঘরের প্রযোজনা ‘প্যারাবোলা’, নির্দেশনায় মুক্তনীল। অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন নাট্যজন আফজাল হোসেন ও সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন শাহীন খান।
২২ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে বহুবচনের প্রযোজনা আরহাম আলো নির্দেশিত ‘অনিকেত সন্ধ্যা’। এদিন সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন সামিউন জাহান দোলা।
২৩ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে নাট্যতীর্থের প্রযোজনা ‘জুলিয়াস সিজার’, নির্দেশনায় তপন হাফিজ। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন বাপ্পাদিত্য চৌধুরী। ২৪ ডিসেম্বর প্রদর্শিত হবে ঢাকা থিয়েটার মঞ্চের প্রযোজনা গোলাম সরোয়ার নির্দেশিত ‘ঘর জামাই’। সম্মাননা দেওয়া হবে খন্দকার সাইফুল ইসলাম নিপুকে।
২৫ ডিসেম্বর মঞ্চস্থ হবে পদাতিক নাট্য সংসদের (টিএসসি) প্রযোজনা ‘আলিবাবা এবং চল্লিশ চোর’। নির্দেশনা সুদীপ চক্রবর্তী। সম্মাননা পদক গ্রহণ করবেন মাহফুজা হিলালী। নাটক প্রদর্শনীর আগে এদিন বিকেল ৪টায় শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হবে ‘প্রবীণের ঐতিহ্যালোকে নবীনের শিল্পযাত্রা’ শীর্ষক সেমিনার।
২৬ ডিসেম্বর সন্ধ্যা ৬টায় শুরু হবে নাট্যমেলার সমাপনী অনুষ্ঠান। অনুষ্ঠানে নাট্যতীর্থের কর্মীদের মধ্য নির্বাচিত নাট্যকর্মীকে দেওয়া হবে ‘নাট্যতীর্থ সর্বোচ্চ উপস্থিতি সম্মাননা পদক’। সমাপনী অনুষ্ঠানের পর মঞ্চস্থ হবে আবদুল্লাহ আল-মামুন নির্দেশিত থিয়েটার প্রযোজনা ‘মেরাজ ফকিরের মা’।

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৭ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার সময় উপস্থিত হলেন নায়িকা। জানালেন রাক্ষসের গল্পই তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে এসেছে।
সংবাদ সম্মেলনে রাক্ষস সিনেমায় যুক্ত হওয়ার কারণ জানিয়ে সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘নির্মাতা হৃদয়ের কাছ থেকে গল্পটা শুনে মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম। গল্পের জন্যই এ সিনেমায় যুক্ত হওয়া। কারণ এই গল্পে নায়িকার অনেক কিছু করার আছে। চরিত্রটি পর্দায় ফুটিয়ে তুলতে নিজের ২০০ ভাগ দিয়ে চেষ্টা করব।’
প্রথমবার ঢাকাই সিনেমায় অভিনয় প্রসঙ্গে অভিনেত্রী বলেন, ‘আমি ভীষণ এক্সাইটেড, এই প্রথমবার বাংলাদেশে এসেছি, সিনেমায় অভিনয় করছি। এই দিনটা আমার কাছে ভীষণ স্পেশাল। অনেকবার সৃষ্টিকর্তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছি। ভালো একটি টিমের সঙ্গে প্রথমবার বাংলাদেশি সিনেমায় অভিনয় করতে চলেছি, এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।’
ঢাকাই সিনেমায় কাজ করাটা চ্যালেঞ্জিং মনে করলেও সবার সহায়তায় সেই চ্যালেঞ্জকে জয় করতে চান সুস্মিতা। পেতে চান বাংলাদেশের দর্শকদের ভালোবাসা। সুস্মিতা বলেন, ‘যখন সিনেমায় নাম লেখাই তখন কলকাতার সিনেমা ইন্ডাস্ট্রির কাউকেও চিনতাম না। অডিশন দিয়ে অনেক কষ্ট করে সিনেমায় এসেছি। ওটাও যেমন আমার জন্য কঠিন ছিল, তেমনি এই দেশের সিনেমা ইন্ডাস্ট্রিতেও প্রথম কাজটা চ্যালেঞ্জিং হবে। কিন্তু এখানে এসে টিমের সবাইকে দেখে মনে হচ্ছে চ্যালেঞ্জটা উতরে যেতে পারব। তাঁরা একবারের জন্য আমাকে মনে করতে দিচ্ছে না যে আমি অন্য দেশ থেকে এসেছি। আমি এ দেশের দর্শকদের ভালোবাসা নিতে এসেছি, আশা করছি অনেক ভালোবাসা পাব।’
ছোটবেলা থেকেই অভিনেত্রী হতে চেয়েছেন সুস্মিতা। পড়াশোনায়ও ছিলেন খুব ভালো। তাই পরিবারের চাওয়া ছিল আগে পড়াশোনা শেষ হবে, তারপর অন্য কাজ। মা-বাবার ইচ্ছা অনুযায়ী ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং সম্পন্ন করেন সুস্মিতা। পড়াশোনা শেষে বড় প্রতিষ্ঠানে চাকরিও পেয়েছিলেন। কিন্তু চাকরিটা করা হয়নি। তিনি হেঁটেছেন ছোটবেলার স্বপ্নের দিকে, অভিনেত্রী হতে।
২০২১ সালে ‘প্রেম টেম’ সিনেমা দিয়ে টালিউডে অভিষেক হয় সুস্মিতার। এরপর কাজ করেছেন ‘চেঙ্গিজ’, ‘মানুষ’সহ একাধিক সিনেমায়। এবার নাম লেখালেন ঢাকাই সিনেমায়। রুপালি পর্দায় নিজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে সুস্মিতা বলেন, ‘প্রেম টেম সিনেমার সুস্মিতা আর রাক্ষসের সুস্মিতার মধ্যে অনেক পার্থক্য। চার বছর হয়ে গেছে প্রেম টেম সিনেমার। এই সময়ে অনেক ম্যাচিউরিটি এসেছে আমার কাজে, ব্যক্তিত্বে। আশা করছি পর্দায় সেটা বুঝতে পারবেন সবাই।’
রাক্ষস সিনেমায় সুস্মিতার বিপরীতে আছেন সিয়াম আহমেদ। সংবাদ সম্মেলনে প্রকাশ করা হয় সিনেমার অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার। ১ মিনিট ২৬ সেকেন্ডের ভিডিওতে ভয়ংকর এক সিয়ামকে দেখা গেল। ফ্লোরের চারদিকে রক্তের ছোপ, রক্তমাখা সাদা স্যুট পরা সিয়ামের এক হাতে চায়নিজ কুড়াল অন্য হাতে পিস্তল। কামড়ে ধরে আছেন একটি গোলাপ। হাতের অস্ত্র উঁচিয়ে বাথটাবে পড়ে থাকা একটি মৃত বাঘের দিকে গুলি ছুড়লেন।
টিজার দেখে বোঝাই যাচ্ছে বরবাদ সিনেমার মতো রাক্ষসেও ভরপুর অ্যাকশন, ভায়োলেন্স দেখাবেন নির্মাতা মেহেদী হাসান হৃদয়। নির্মাতা জানালেন, এ সিনেমায় একটি প্রেমের গল্প আছে, যে প্রেমের কারণে সিয়াম অভিনীত চরিত্রটি রাক্ষস হয়ে ওঠে। এতে আরও অভিনয় করছেন বাপ্পারাজ, আলীরাজ প্রমুখ। সিনেমাটি নির্মিত হচ্ছে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রিয়েল অ্যানার্জি প্রোডাকশনের ব্যানারে। ইতিমধ্যে শুরু হয়েছে শুটিং। সব ঠিক থাকলে আগামী বছরের রোজার ঈদে মুক্তি পাবে রাক্ষস।

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৮ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগেবিনোদন প্রতিবেদক, ঢাকা

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা। নিরাপত্তার কারণ দেখিয়ে বাতিল করা হয় সেই কনসার্ট। তবে কনসার্ট বাতিল হলেও ঢাকায় এসেছেন আতিফ আসলাম। একের পর এক প্রাইভেট কনসার্টে গান শোনাচ্ছেন তিনি।
গতকাল আমেরিকান ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ (এআইইউবি) আয়োজিত ‘মিউজিক বিয়ন্ড বাউন্ডারিজ’ শীর্ষক কনসার্টে গান শোনান আতিফ। বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঠে আয়োজিত এ কনসার্টে প্রবেশের সুযোগ ছিল শুধু এআইইউবির বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীদের। বহিরাগতদের প্রবেশে ছিল কড়াকড়ি।
আতিফের কনসার্ট ঘিরে উৎসবের আমেজ সৃষ্টি হয়েছিল এআইইউবিতে। সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়া কয়েকটি ভিডিওতে দেখা যায়, কনসার্ট দেখতে মাঠে প্রবেশ করতে ছিল দীর্ঘ লাইন। বেলা ২টায় অনুষ্ঠানের সময় নির্ধারিত হলেও সকাল থেকেই কনসার্টের স্থলে ভিড় করতে থাকেন শিক্ষার্থীরা। তিল ধরার জায়গা ছিল না মাঠে। আতিফও নিরাশ করেননি তাঁদের। গেয়ে শোনান তাঁর জনপ্রিয় গানগুলো। আতিফের আগে এই কনসার্টে গান শোনান দেশের সংগীতশিল্পী মিনার রহমান।
এর আগে ১৫ ডিসেম্বর ঢাকার ইউনাইটেড কনভেনশন সেন্টারে ‘দ্য ফাইনাল নোট’ শিরোনামের আরেকটি কনসার্টে গান শোনান আতিফ আসলাম। ওই কনসার্টে শুধু গুলশান ক্লাবের সদস্যরাই আমন্ত্রিত ছিলেন। এ ছাড়া সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘুরে বেড়াচ্ছে ঢাকায় আতিফের ঘুরে বেড়ানোর ভিডিও। একটি ভিডিওতে দেখা যায়, ক্রিকেট খেলায় মেতেছেন তিনি।
এর আগে পাকিস্তানের আলী আজমত ও ব্যান্ড কাভিশের কনসার্ট বাতিল হলেও তাঁরাও বাংলাদেশে এসেছিলেন। শোনা গেছে, তাঁরাও ঢাকায় একাধিক প্রাইভেট কনসার্টে পারফর্ম করেছিলেন।

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৭ ঘণ্টা আগে
প্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
১৮ ঘণ্টা আগেপ্রতি সপ্তাহে নতুন সিনেমা বা ওয়েব সিরিজের জন্য দর্শকদের নজর থাকে ওটিটি প্ল্যাটফর্মে। এ সপ্তাহেও মুক্তি পাচ্ছে নানা দেশের, নানা ভাষার কনটেন্ট। বাছাই করা এমন কিছু কনটেন্টের খোঁজ থাকছে এ প্রতিবেদনে।
বিনোদন ডেস্ক

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সাবা (বাংলা সিনেমা)
রাত আকেলি হ্যায়: দ্য বানসাল মার্ডারস (হিন্দি সিনেমা)
মিসেস দেশপান্ডে (হিন্দি সিরিজ)
এমিলি ইন প্যারিস সিজন ৫ (ইংরেজি সিরিজ)
থাম্মা (হিন্দি সিনেমা)

সুজান হক, অভিনেত্রী স্পর্শিয়ার মা। বছর ৩০ আগের গল্প, প্রেম করে পালিয়ে বিয়ে করেছিলেন সুজান। কিন্তু ভালোবাসার মর্যাদা দিতে পারেননি স্বামী। স্পর্শিয়ার বয়স তখন এক বছর। সংসার-সন্তান-স্ত্রী ছেড়ে স্পর্শিয়ার বাবা পাড়ি জমালেন বিদেশে। সুজান হক যোগাযোগের চেষ্টা করেছিলেন স্বামীর সঙ্গে। কিন্তু সাড়া মেলেনি। একটা
০৯ মে ২০২১
আজ থেকে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে শুরু হচ্ছে নাট্যতীর্থ আয়োজিত ‘নবীন প্রবীণ নাট্যমেলা’ শীর্ষক আট দিনব্যাপী নাট্যোৎসব। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় ও বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সহযোগিতায় আয়োজিত এই উৎসবে প্রদর্শিত হবে আট দলের আটটি নাটক। ১৯ থেকে ২৬ ডিসেম্বর প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায় দেখা যাবে নাটকগুলো।
১২ ঘণ্টা আগে
মেহেদী হাসান হৃদয়ের ‘রাক্ষস’ সিনেমা দিয়ে ঢালিউডে অভিষেক হচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের সুস্মিতা চট্টোপাধ্যায়ের। এ মাসের শুরুতেই শোনা গিয়েছিল এমন খবর। জানা গিয়েছিল দেশের বাইরে রাক্ষস সিনেমার দ্বিতীয় লটের শুটিংয়ে যোগ দেবেন তিনি। তবে সবাইকে চমকে দিয়ে গত বুধবার বিএফডিসিতে রাক্ষস সিনেমার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার...
১৭ ঘণ্টা আগে
এ মাসে ঢাকায় পাকিস্তানি সংগীতশিল্পী আতিফ আসলামের দুটি কনসার্টের ঘোষণা দেওয়া হয়েছিল। তবে শঙ্কা জেগেছিল অনুমতি নিয়ে। স্থগিত হওয়ার শঙ্কা আছে জেনে দুটি কনসার্ট আয়োজনের পরিকল্পনা থেকে সরে এসে যৌথভাবে ১৩ ডিসেম্বর একটি কনসার্টের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মেইন স্টেজ ও স্পিরিটস অব জুলাই। তাতেও হয়নি শেষরক্ষা।
১৮ ঘণ্টা আগে