Ajker Patrika

সাবেক কর কমিশনারের বাড়ি থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
আপডেট : ৩১ ডিসেম্বর ২০২৩, ১৯: ২৯
সাবেক কর কমিশনারের বাড়ি থেকে পড়ে গৃহকর্মীর মৃত্যু, গাড়িতে আগুন দিল বিক্ষুব্ধ জনতা

রাজধানীর রামপুরা বনশ্রীর একটি বহুতল বাড়িতে আসমা বেগম (৪২) নামে এক গৃহকর্মীর মৃত্যুর ঘটনায় বিক্ষুব্ধ বাসিন্দারা দুইটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দিয়েছে। এ সময় পুলিশের ওপর হামলা চালায় বিক্ষুব্ধরা। পুলিশ ও স্থানীয় বাসিন্দাদের সংঘর্ষে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তাসহ (ওসি) চারজন পুলিশ ও তিন ব্যক্তি আহত হয়েছেন। 

বাড়ির মালিকের দাবি, ওই গৃহকর্মী ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। তবে বিক্ষুব্ধ বাসিন্দাদের দাবি, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। 

পুলিশ মৃত্যুর কারণ জানতে নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠিয়েছে। 

আজ রোববার সকালে রামপুরার বনশ্রীর–ডি ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। বাড়িটির মালিক দেলোয়ার হোসেন নামে সাবেক একজন কর কমিশনার। নিহত আসমা বেগম বাড়ির মালিক দেলোয়ারের মেয়ে কানিজ ফাতিমার মিরপুরের মধ্যমনিপুরের বাসায় কাজ করতেন। দুদিন আগে কানিজ ফাতিমা গৃহকর্মী আসমা বেগমকে নিয়ে ওই বাড়িতে বেড়াতে আসেন। নিহত আসমা বেগমের গ্রামের বাড়ি কিশোরগঞ্জের বাজিতপুর থানার কোকরাই এলাকায়। 

সরেজমিনে বাড়িটির নিচে দেখা যায়, ছয় তলা বাসাটির সামনে কাচের টুকরা পড়ে আছে। বাসার নিচতলায় তিনটি প্রাইভেটকার ভাঙচুর করা। দুটি গাড়ি, একটি মোটরসাইকেল পুড়ে গেছে। নিচতলার একটি কক্ষের জানালার কাচ ভাঙচুর করা হয়েছে। এ ছাড়া ছয়তলা ভবনটির নিচতলা ও দ্বিতীয় তলা অনেকটাই পুড়ে গেছে। আগুনের শিখায় কালো দাগ তৃতীয় ও চতুর্থ তলায়। সিঁড়িতেও আগুনের শিখার কালো দাগ দেখা গেছে। সন্ধ্যা নাগাদ বাসাটির সামনের সড়ক বন্ধ রাখে পুলিশ। 
 
ঘটনার বর্ণনা দিয়ে রামপুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মশিউর রহমান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বাড়ির মালিকের ছেলে মেহেদী হাসান জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ এ ফোন দেন। সংবাদ পেয়ে পুলিশের একটি দল ওই বাড়ির সামনে যায়। সেখানে গিয়ে এক নারীর মরদেহ পড়ে থাকতে দেখেন। কিছু লোকও ওই মরদেহ ঘিরে ছিল। মরদেহ উদ্ধার করে যখন ময়নাতদন্তের জন্য পুলিশের দল আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছিল, তখন বিক্ষুব্ধ জনতা তাদের ওপর হামলা চালিয়েছে। ইটপাটকেলের আঘাতে আমিসহ ৭-৮ জন আহত হয়েছি।’ 

আসমা বেগমকে দুই মাস আগে কানিজ ফাতিমার বাসায় গৃহকর্মীর কাজ পাইয়ে দেন তারই এলাকার আরেক গৃহকর্মী রেশমা বেগম। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আসমা আমার এলাকার মেয়ে। আমাদের দুজনের বাড়িই বাজিতপুর। আসমার স্বামী মারা গেছে। এক ছেলে আজিজুর রহমান বাড়িতে স্ত্রী–সন্তান নিয়ে থাকে। আসমা ঢাকাতে বিভিন্ন বাসা বাড়িতেই কাজ করত। দুই মাস আগে মধ্যমনিপুরে কানিজ ফাতিমার বাড়িতে দশ হাজার টাকা বেতনে কাজে দেই।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘আজ সকালে কানিজ ফাতিমা আমাকে ফোন দিয়ে জানায়, বনশ্রীতে একটা ঝামেলা হয়েছে, দ্রুত আসেন। আমি এসে দেখি রাস্তায় আসমার রক্তাক্ত মরদেহ পরে আছে। মাথা দিয়ে রক্ত বের হচ্ছে। অনেক মানুষ মরদেহ ঘিরে আছে। পরে আমাকে বাড়ির চারতলায় বাড়িওয়ালার বাসায় নিয়ে যায়। ঘটনার বর্ণনা দিয়ে তারা সবাই আমাকে বলেন, আসমা ছাদে কাপড় শুকাতে দিতে গিয়ে লাফিয়ে পরে আত্মহত্যা করেছেন। আমার বিশ্বাস হলো না। ছাদ থেকে কেন লাফ দেবে। এরপর আমাকে আর নিচে নামতে দেয়নি। পরে বাড়িতে লোকজন আগুন ধরিয়ে দেয়। এটা আত্মহত্যা বলে আমরা বিশ্বাস হয় না।’ 

ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বাড়িওয়ালা মো. দেলোয়ার হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘গাজীপুরে একটি রিসোর্টে বেড়াতে গিয়েছিলাম পরিবারের সবাই মিলে। রাতে ফিরে আসি। আমাদের বাসার ছাদে কাপড় ধোয়ার ব্যবস্থা রয়েছে। সকালে কাজের মেয়ে আসমা কাপড় ধোয়ার কথা বলে ছাদে যায়। তার কিছুক্ষণ পরই শুনি নিচে লাশ পড়ে আছে। পরে পুলিশকে খবর দেই। তার কিছুক্ষণের মধ্যেই লোকজন ভাঙচুর শুরু করে।’ 
 
আজ রোববার সকাল ৮টার দিকে বনশ্রী-ই ব্লকের ৪ নম্বর রোডের ৩২ নম্বর বাসায় এ ঘটনা ঘটে। ছবি: সংগৃহিততিনি দাবি করেন, আসমা তার ছেলেকে নিয়ে বেশ কিছু দিন ধরেই মানসিক চাপে ছিলেন। নিজে যেই টাকা আয় করতেন তা ছেলেকে পাঠাতেন। 
 
ঘটনাস্থলের সামনের একটি বাড়ির নিরাপত্তাকর্মী মো. বারেক মোল্লা আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকাল সাড়ে ৭টার দিকে ঘুম থেকে উঠেই শুনি বাইরে লাশ পড়ে আছে। বের হয়ে দেখি, সামনের ভবনের গেটের পিলারের কাছেই সালোয়ার কামিজ পরা একটা নারীর লাশ পড়ে আছে। মাথায় আঘাত ও রক্ত ছড়িয়ে আছে। প্রথমে অল্প কিছু লোক ছিল। কয়েক মিনিটের মধ্যেই শত শত লোক জড়ো হয়ে যায়।’ 

ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী বনশ্রী-ই ব্লকের ফুটপাতে চা বিক্রেতা সিরাজুল ইসলাম আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে বনশ্রী এলাকায় খবর ছড়িয়ে পরে ডি–ব্লকে গৃহকর্মীকে হত্যা করে সড়কে মরদেহ ফেলে রাখা হয়েছে। এরপর দ্রুত ওই বাড়ির সামনে বিভিন্ন ব্লকের গৃহকর্মীরা জড়ো হতে থাকেন। তারা বিক্ষোভ শুরু করেন। পুলিশ মরদেহ নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিল, তখন শ্রমিক, গৃহকর্মী, রিকশাচালকেরা বাড়িতে হামলা চালায়।’ 

তিনি আরও বলেন, ‘বাড়ির প্রধান ফটক দিয়ে বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করে। এর কিছুক্ষণ পর বাড়িটির নিচতলায় আগুন দেখা যায়। ধোয়া বের হয়। পুলিশ লাঠিপেটা করেও প্রথমে কাউকে সরাতে পারেনি। পরে পুলিশ বাড়ানো হলে কয়েক দফায় পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা এসে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।’ 

সংঘর্ষের পর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে বনশ্রী সোসাইটির নিরাপত্তা বিষয়ক সম্পাদক আহসান উল্লাহ সাংবাদিকদের বলেন, গৃহকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে বলে গুজব ছিল। এমন খবর পেয়ে তিনি নিজেই সকালে বাড়িটিতে যান। গিয়ে তিনি শুনতে পান বাড়ির মালিক দেলোয়ার হোসেনের মেয়ের বাসার গৃহকর্মী বেড়াতে এসে ছাদ থেকে পড়ে নিহত হয়েছেন। সেই ঘটনা নিয়ে এই সংঘর্ষ হয়েছে। 

নিহত আসমা বেগমের সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করেছেন রামপুরা থানার উপপরিদর্শক (এসআই) তওফিকা ইয়াসমিন। সুরতহাল প্রতিবেদনে মৃত্যুর সম্ভাব্য কারণ উল্লেখ করা হয়েছে আত্মহত্যা। তিনি তার প্রতিবেদনে উল্লেখ করেছেন, বাড়ির মালিকের মেয়ে কানিজ ফাতিমার ভাষ্যমতে ষষ্ঠতলা ভবনের ছাদ থেকে লাফিয়ে পরে আসমা বেগম আত্মহত্যা করেছেন। পুলিশকে খবর দিলে দ্রুত আমি ঘটনাস্থলে যাই। সেখানে গিয়ে সুরতহাল প্রতিবেদন প্রস্তুত করি। 

এ বিষয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) হায়াতুল ইসলাম বলেন, ‘শত শত লোক জড়ো হয়ে পুলিশের ওপর হামলা করেছে। তারা পুলিশকে লাশ উদ্ধারে বাধা দেয়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেখানে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়। একপর্যায়ে তারা বাড়িটির নিচ তলায় রাখা দুটি গাড়ি ও একটি মোটরসাইকেলে আগুন দেয়। নিহতের মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। ময়নাতদন্তের প্রতিবেদন পেলে মৃত্যুর কারণ জানা যাবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কর্ণফুলীতে অস্ত্রসহ যুবক আটক

কর্ণফুলী (চট্টগ্রাম) প্রতিনিধি 
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত
অস্ত্রসহ আটক যুবক। ছবি: সংগৃহীত

চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে অস্ত্র, কার্তুজসহ রাশেদ নুর প্রকাশ রাশু (৩৮) নামের এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। শুক্রবার ভোর চারটার দিকে বৈরাগ ইউনিয়নের উত্তর বন্দর এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁকে আটক করা হয়।

আটক যুবক ওই এলাকার রাজ্জাক নুর প্রকাশ রজ্জক নুরের ছেলে। এ সময় তাঁর কাছ থেকে দেশীয় তৈরি ১টি এলজি এবং ৩টি কার্তুজ উদ্ধার করে পুলিশ।

বিষয়টি নিশ্চিত করে কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জাহেদুল ইসলাম বলেন, আটক যুবকের বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। পুলিশ পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না’

দশমিনা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি 
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত
অভিযুক্ত যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা। ছবি: সংগৃহীত

পটুয়াখালীর দশমিনা উপজেলায় যুবদলের এক নেতার বিরুদ্ধে চাঁদা দাবি, ঘর ভাঙচুর, টাকা ছিনতাই ও হত্যার হুমকির অভিযোগ উঠেছে। অভিযুক্ত মো. নজরুল ইসলাম মোল্লা উপজেলার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক। ভুক্তভোগী তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিন হাওলাদার বাঁশবাড়িয়া ইউনিয়নের ৬ নম্বর উত্তর বাঁশবাড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, যুবদল নেতা নজরুল বেশ কিছুদিন ধরে তরমুজ চাষি ফরিদ উদ্দিনের কাছে ৫ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করছিলেন। চাঁদা না দেওয়ায় গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নজরুলসহ ৯-১০ জন চর ফাতেমায় গিয়ে ফরিদ উদ্দিনের তরমুজের ২০ হাজার চারা নষ্ট করে দেন। ফরিদ উদ্দিন চারা নষ্টের বিষয়ে জানতে চাইলে নজরুল বলেন, ‘চাঁদা না দিলে এই চরে আর তরমুজ চাষ করতে পারবি না।’ পরে হত্যার হুমকি দিয়ে নজরুল চলে যান।

এরপর গতকাল রাত ১০টার দিকে নজরুল তাঁর দলবল নিয়ে ফরিদের ঘরে এলোপাতাড়ি কোপাতে থাকেন। একপর্যায়ে ঘরের দরজা ভেঙে ভেতরে ঢুকে ফরিদকে মারধর করেন তাঁরা। ডাকচিৎকার শুনে এলাকার লোকজন দৌড়ে এলে নজরুল তাঁর বাহিনী নিয়ে চলে যান।

প্রত্যক্ষদর্শী মোশারেফ চৌকিদার বলেন, ‘আমি ভাত খেয়ে শুইতে যাওয়ার সময় বাড়ির পূর্ব পাশে পিটাপিটির শব্দ পাই। তখন লোকজন নিয়ে এসে দেখি, ১০-১২ জন লোক মুখোশ পরা, প্রত্যেকের হাতে রাম দা। দূরে দাঁড়িয়ে ঘরের মধ্যে চিৎকার শুনি। তখন আমরা কয়েকজন ডাকাত পড়ছে বলে ডাকাডাকি করতে থাকি। এরপর দক্ষিণ দিকে তারা দৌড়ে চলে যায়।’ তাদের পরিচয় জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি কাউকে চিনি না। তবে যাওয়ার সময় বলেছে, ‘‘চরে তোরে খাইয়া দিমু’’।’

প্রতিবেশী আলেয়া ও সাহিনুর বলেন, ‘রাত ১০টায় ঘর পেটানোর শব্দ পাই। আমরা দৌড়ে আসি ফরিদ হাওলাদারের ঘরের সামনে। দেখি ১০-১২ জন রাম দা নিয়া দাঁড়াইয়া আছে। তাদের হাতে রাম দা দেখে কেউই সামনে যাইনি। পরে আরও লোকজন আসলে নজরুল, আল আমিনসহ তারা সবাই চলে যায়। আমরা ঘরে গিয়ে দেখি, ফরিদ হাওলাদার ঘরের মেঝেতে পড়ে আছে।’

তরমুজ চাষি ফরিদ হাওলাদার বলেন, ‘আমি রাতে আমার ঘেরের ঘরে শুয়ে ছিলাম। রাত ১০টায় আমার ঘরে পেটানোর শব্দ পেয়ে উঠে বসি। দেখি, নজরুল, আল আমিনসহ ৮-৯ জন দেশীয় অস্ত্র নিয়ে দরজা ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে। আমাকে চৌকির ওপর শোয়াইয়া পিটায়, পাড়ায় এবং জবাই করার জন্য গলায় রাম দা রেখে বলে ‘‘টাকা কই? টাকা না দিলে জবাই করব।’’ পরে আমার ঘরের মালামাল ভাঙচুর করে, মালপত্র এলোমেলো করে ফেলে। আমার তোশকের নিচে রাখা দেড় লাখ টাকা নিয়ে যায়। আমার ডাকচিৎকারে এলাকার লোকজন ছুটে আসলে সবাই চলে যায়। আমি থানায় জানিয়েছি। আমি আইনের আশ্রয় নিব।’

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে যুবদল নেতা নজরুল ইসলাম মোল্লা বলেন, ‘আমি গতকাল চর ফাতেমায় গিয়াছিলাম। তবে দিনে তরমুজের চারা নষ্ট ও রাতে ফরিদের ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর, টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা মিথ্যা। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক নাই।’

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ আবদুল আলীম বলেন, ‘ঘটনা সম্পর্কে দুপুরে অবহিত হয়েছি। অভিযোগ পেলে তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

কৃষকের ঘরে ১২ ফুট লম্বা গাঁজার গাছ, আটক

বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি 
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা
দিনাজপুরের বিরামপুরে গাঁজার গাছসহ আটক ব্যক্তি। ছবি: আজকের পত্রিকা

দিনাজপুরের বিরামপুর উপজেলায় ১২ ফুট উচ্চতার একটি গাঁজার গাছসহ এক কৃষককে আটক করেছে পুলিশ। পরে আজ শুক্রবার তাঁকে আদালতে সোপর্দ করা হয়।

বিরামপুর থানার জ্যেষ্ঠ উপপরিদর্শক (এসআই) সাজিদুল ইসলাম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার গভীর রাতে জোতবাণী ইউনিয়নের চাকুল গ্রামে অভিযান চালানো হয়। এ সময় মৃত দছির উদ্দিনের ছেলে আজিজার রহমানের (৪৫) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘর থেকে গাঁজার গাছটি জব্দ করা হয়।

পরে আজিজার রহমানকে আটক করা হয়। পুলিশ জানায়, গাছটির উচ্চতা প্রায় ১২ ফুট, ওজন ১০ কেজি এবং আনুমানিক মূল্য এক লাখ টাকা।

এ বিষয়ে বিরামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আতাউর রহমান জানান, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা হয়েছে। আজ আসামিকে দিনাজপুর আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত

বিস্ফোরক মামলায় আওয়ামী ও স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা জেলে

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি 
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা
গ্রেপ্তার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা ও উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক মনোয়ার হোসেন। ছবি: আজকের পত্রিকা

পাবনার চাটমোহরে আওয়ামী লীগ ও স্বেচ্ছাসেবক লীগের দুই নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে চাটমোহর থানার পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেল ও রাতে পৃথক অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আজ শুক্রবার দুপুরে বিস্ফোরক আইনে করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাঁদের আদালতের মাধ্যমে পাবনা জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।

গ্রেপ্তার দুজন হলেন উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি নবীর উদ্দিন মোল্লা (৭০) এবং উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক ও পৌর সদরের মধ্য শালিখা মহল্লার বাসিন্দা মনোয়ার হোসেন (৫৪)।

চাটমোহর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল আলম গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে আজকের পত্রিকাকে বলেন, গতকাল বেলা সাড়ে ৩টার দিকে উপজেলার ডিবিগ্রাম ইউনিয়নের বামনগ্রাম নিজ বাড়ি থেকে আওয়ামী লীগ নেতা নবীর উদ্দিন মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এ ছাড়া একই দিন রাতে মধ্য শালিখা মহল্লার নিজ বাড়ি থেকে স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা মনোয়ারকে গ্রেপ্তার করা হয়। এই দুজনের বিরুদ্ধে চাটমোহর থানায় বিস্ফোরক মামলা রয়েছে। আজ সকালে তাঁদের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
Loading...

সম্পর্কিত